এই থ্রিজি-ফোরজির যুগেও এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলো ওপেন করতে গিয়ে ঘুম পেয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।মূলত ওয়েব ডিজাইনিংয়ের কারণেই সাইটগুলোতে এই সমস্যা হয়। আর এই যুগে সাইট খুলতে দেরী হওয়া মানে ব্যবহারকারীর মনে বিরক্তির সৃষ্টি হওয়া।আর এমনটি হলে সাইট র‍্যাঙ্কিং  এ পিছিয়ে পড়া নিশ্চিত।



ভিজটারদের তাক লাগানোর জন্য,চমকের জন্য,আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিভিন্ন ডিজাইন ব্যবহার করে। তাতেই শুরু হয় সমস্যা। জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস সহ নানা প্রোগ্রাম ব্যবহারের ফলে ওয়েবসাইটের লোড বৃদ্ধি পেয়ে খুলতে সময় লাগে। কিন্তু এমন একটা ওয়েবসাইট আছে যা চোখের নিমেষে খুলে যায়। তাই এই ওয়েবসাইটটাকে বলা হয় দুনিয়ার দ্রুততম সাইট।
সাইটটির লিংক https://www.freecodecamp.com/the-fastest-web-page-on-the-internet  এই ওয়েবসাইটে কোনোরকম জাভা স্ক্রিপ্ট, সিএসএস বা ডেটাবেস নেই। তাই খুব তাড়াতাড়ি খুলে যায়। তবে এই ওয়েবসাইটটা কেবলই ডেমো। যে কোম্পানি এই ওয়েবসাইটে তৈরি করেছে, তাদের প্রস্তাব তাদের সঙ্গে চুক্তি করলে দ্রুততম ওয়েবসাইট করে দেওয়া হবে।
 ওয়েবসাইট গতি হারালেই বিপদ। কাস্টমাররা অন্য প্রতিযোগী ওয়েবসাইটে চলে যাবে। তাই ওয়েবসাইট গতিময় হওয়া জরুরী।
যারা ফটোখোর, তারা সব সময়ই থাকি ফটো নিয়ে। আর কিভাবে এই ফটোকে সুন্দর করে এডিট করা যায়।
 তাদের মধ্যে আবার কেউ ফটোশপের কাজ জানেন আবার কেউ জানেন না। যারা যানেন না তাদের আর কোন চিন্তা নেই।
 আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম অনলাইনে ফটো এডিট করার সেরা দুইটি সাইট। এই সাইট দুটিতে আপনি কোন প্রকার ফটোশপের দক্ষতা ছাড়াই এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন।


১। Ipiccy
আমার দেখা মতে Ipiccy আছে ১ নাম্বার এ। কারণ এই সাইটটির কাজ অসাধারন। অনেক গুলো ভালো মানের ইফেক্ট ও
 রয়েছে এই সাইটে। যা আপনার একটি ছবিকে করে তুলবে অন্যরকম প্রফেশনাল মানের। এই সাইটির মাধ্যমে আপনি সাধারন
 কাজ গুলো থেকে একদম প্রফেশনাল মানের কাজ ও করতে পারবেন।


২। Pixlr

আমার দেখার মাঝে Pixlr আছে ২ নাম্বার এ। এই সাইটি দিয়ে ও অনেক ভালো কাজ করা যায়। তবে একটু বুদ্ধি খাঁটাতে হবে।
 তাহলেই প্রফেশনাল মানের কাজ করতে পারবেন। আরেকটা কথা। এই সাইটির কিন্তু একটি অফিশিয়াল এন্ড্রয়েড এপ্স আছে। 
এখানে ইজেম সিলেক্ট করার অনেক গুলো অপশন রয়েছে। আপনার ইচ্ছানুযায়ী যেকোনটা সিলেক্ট করে ইমেজ বা ছবি আপলোড করতে পারবেন। তারপর আসবে এডিটিং এর পর্ব।



আজকাল এন্ড্রয়েড ফোনগুলো বেশ জনপ্রিয়। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সব দিক থেকে হ্যান্ডসেটগুলো দিন দিন আরও
 উন্নত হয়ে উঠছে। কিন্তু এর ব্যাটারি ব্যাকআপ সমস্যা যেন কোন ভাবেই এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।আমাদের আজকের 
আয়োজন এমন কিছু কৌশল নিয়ে যা আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যাটারিকে কিছুটা হলেও দীর্ঘস্থায়ী করবে।



- ডার্ক কালার ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যাবহার করুন। আপনার ফোন যদি এমোলেড স্ক্রিন বিশিষ্ট হয় তবে এ পদ্ধতিটি কাজে দিবে কেননা
 এমোলেড স্ক্রিন শুধু রঙিন পিক্সেলগুলোকে আলোকিত করে।

- অ্যাপ গুলোকেও সম্ভব হলে কালো করে রাখুন। (ইউজার ইন্টারফেস/স্কিন/থিম সেটিংস এর মাধ্যমে)
- অটো ব্রাইটনেস থেকে দূরে থাকুন। যখন দরকার শুধুমাত্র তখন ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করুন।
-ভাইব্রেশন বন্ধ করে রাখুন। তবে চলতি পথে ভাইব্রেশন বন্ধ করার আগে দুবার ভাবুন, কেননা ভাইব্রেশন বন্ধ করলে আপনি 
হয়ত কল/মেসেজের নোটিফিকেশন টের পাবেন না।
- অরিজিনাল ব্যাটারি ব্যাবহার করুন।
- ডিসপ্লে লাইটের টাইমআউট কমিয়ে রাখুন। এতে প্রচুর চার্জ খরচ হয়। একটি রিপোর্টে দেখা যায় একজন ব্যবহারকারী
 দৈনিক ১৫০ বার তার ফোন ডিসপ্লে অন করেন।
- প্রয়োজন না হলে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখুন।
- স্মার্ট ফিচার যেমন এয়ার জেশ্চার, স্মার্ট স্ক্রলিং বন্ধ করে রাখুন। শুধুমাত্র প্রয়োজন হলেই সেগুলো ব্যবহার করুন।
-জিপিএস, এনএফসি, ওয়াই ফাই  এবং ব্লুটুথ শুধু দরকার হলেই অন করুন।
- যেসব উইজেড দরকার নেই বিশেষ করে যেগুলো নেটে কানেক্টেড হয়ে থাকে সেগুলো কম ব্যবহার করুন।
- আপডেটেড অ্যাপ ব্যবহার করুন কেননা, সাধারণত নতুন অ্যাপ অপটিমাইজ করা থাকে যাতে ব্যাটারি আরও কম খরচ হয়।
- ফোনে ব্যাটারি সেভিং মুড ব্যবহার করুন।
- যদি সারাদিনে একবার ইমেইল চেক করেন তাহলে সব সময়ের জন্য ইমেইল ওপেন করে রাখার কোনো দরকার নেই।
- গুগল প্লে স্টোর সেটিং পরিবর্তন করে ম্যানুয়াল আপডেট করে রাখুন।

এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের বর্তমানে যে আপ-টু-ডেট ভার্সন চলছে, সেটি হচ্ছে নোগাট। এন্ড্রয়েড ৭ নোগাট ওএসে গুগল
আকাঙ্ক্ষিতভাবেই বেশ কিছু নতুন ফিচার দিয়েছে। এগুলো এন্ড্রয়েড ৭ চালিত ডিভাইসকে আরও ভালোভাবে চলতে সাহায্য করে।



ক্লিয়ার অল

ফোনের র‍্যাম ক্লিন করলে ফোনের গতি বৃদ্ধি পায়। অনেকেই স্মার্টফোনের র‍্যাম ক্লিয়ার করার জন্য থার্ড-পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করেন।
 সেসব অ্যাপ নিজেও কিন্তু র‍্যাম দখল করে বসে থাকে! যদিও বিভিন্ন ফোন কোম্পানি র‍্যাম ক্লিন করার অপশন কাস্টম উপায়ে এন্ড্রয়েডে
দিয়ে দেয়, তবে এবার গুগল নিজেই এই সুবিধাটি তৈরি করে দিয়েছে। হোম অথবা অপশন বাটন চেপে সকল
ওপেন অ্যাপের প্রিভিউ দেখা যায়।



ডেটা সেভার

এই ফিচারটি মোবাইল ডেটা ব্যবহারকারীদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। মোবাইল ডেটার এমনিতেই যে দাম, তার উপর যদি আবার
ব্যাকগ্রাউন্ডে কাটতে থাকে তাহলে একাউন্ট ফাঁকা হতে বেশি সময় লাগবেনা। গুগল এটা জানে। আর তাই তারা এন্ড্রয়েড ৭ অপারেটিং
 সিস্টেমে ডেটা সেভার অপশন দিয়েছে। সেটিংস মেন্যুতে গিয়ে ডেটা ইউসেজ > ডেটা সেভার অপশন চালু করলে আপনার
মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ড সেলুলার ডেটা আর ব্যবহৃত হবেনা। অবশ্য কিছু অ্যাপকে আপনি এই অবস্থায়ও ডেটা ব্যবহারের পারমিশন
 দিয়ে রাখতে পারবেন। এরকম কাছাকাছি একটি ফিচার এর আগেও এন্ড্রয়েডে ছিল, তবে সেটা এতটা ফ্লেক্সিবল ছিলনা।

সহজেই মেসেজের রিপ্লাই

এন্ড্রয়েডের ষষ্ঠ ভার্সন পর্যন্ত ফোনে নতুন কোনো মেসেজ (এসএমএস বা ফেসবুক মেসেজ কিংবা ইমেইল) পেলে সেই মেসেজ অ্যাপ
 ওপেন করে তারপর রিপ্লাই দিতে হত। এন্ড্রয়েড ৭ নোগাটে মেসেজের রিপ্লাই দেয়া খুবই সহজ করা হয়েছে। মেসেজ আসার যে
নোটিফিকেশনটি দেখানো হয়, সেই নোটিফিকেশনের সাথেই রিপ্লাই বাটন দেয়া থাকে, ফলে আপনি মেসেজ পেয়েই নোটিফিকেশন
প্যানেল থেকে সরাসরি মেসেজের উত্তর দিতে পারবেন।

নোটিফিকেশন ম্যানেজমেন্ট

নির্দিষ্ট কোনো অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখতে চাইলে ফোনের নোটিফিকেশন প্যানেলে সেই অ্যাপের আসা নোটিফিকেশন
কার্ডের উপর প্রেস করে কয়েক সেকেন্ড রাখলেই অ্যাপটির জন্য নোটিফিকেশন সেটিংস আসবে। সেখান থেকে আপনি এর নোটিফিকেশন
 সাইলেন্ট, ব্লক বা ফ্রি করে রাখতে পারেন।

ডিসপ্লে সাইজ

স্টক এন্ড্রয়েড ফোনে এতদিন আপনি শুধু স্ক্রিনের লেখার সাইজ ছোট-বড় করতে পারতেন। কিন্তু স্ক্রিনের অন্যান্য বিষয়বস্তু যেমন
আইকন, কার্ড প্রভৃতির সাইজ কমানো-বাড়ানো যেতনা। এন্ড্রয়েড নোগাট সংস্করণে আসছে ডিপিআই
স্কেলিং যা অনেকটা জুম করার মত।

নাইট মুড

রাতে এন্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহার করার সময় স্ক্রিনের আলো যাতে চোখে না লাগে সেজন্য স্টক এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমেই
যুক্ত হল নাইট মুড। কোনো কোনো ফোন নির্মাতা অবশ্য নিজেদের ডিভাইসের নাইট মুড ফিচার যুক্ত করে দিয়েছে আগে থেকেই,
 তবে এন্ড্রয়েড নোগাট ভার্সনে এটা বিল্ট-ইন রয়েছে।
প্রতিনিয়ত আমরা গুগলে অনেক কিছুই সার্চ করে থাকি, কিন্তু সবসময়ই কি কাঙ্খিত উত্তরটি খুঁজে পাই? গুগল সার্চ করে দরকারী 
তথ্য খুঁজে পেতে আমরা কিছু টিপস এবং ট্রিকস এখানে শেয়ার করছি যা আপনাকে কাঙ্খিত বিষয় খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।




নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের  কিভাবে তথ্য খুজবেন ঃ 

কোনো বিষয়ে নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটে তথ্য খুঁজতে চাচ্ছেন? অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মধ্যে দেয়া বিল্ট-ইন সার্চ 
সুবিধাটি খুব একটা পারদর্শী হয়না। সেক্ষেত্রে গুগলে এভাবে লিখুন যা খুঁজতে চান site:সাইটের ঠিকানা

উদাহরণঃ আপনি যদি ebangla.tech ওয়েবসাইটে প্রযুক্তি সম্পর্কে সকল তথ্য খুঁজতে চান, তাহলে গুগলে এটা 
লিখে সার্চ করুন -  প্রযুক্তি  site:ebangla.tech

সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয় খুঁজতে

আপনি যদি সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে তথ্য খুঁজতে চান তাহলে কোটেশন ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, cyber-71 Echo review
 লিখে সার্চ দিলে গুগল আপনাকে ৩৭ মিলিয়ন রেজাল্ট দেখাবে। আর যদি “cyber-71 Echo review” লিখে সার্চ দেন তবে 
এটি আপনাকে আরো সংক্ষেপে  রেজাল্ট দেখাবে।


বিষয় নির্দিষ্টকরণ ঃ 

মনে করুন আপনি jaguar car খুঁজতে চান। সেক্ষেত্রে শুধু jaguar লিখে সার্চ করলে আপনি জাগুয়ার পশু সম্পর্কিত
লিংক/ছবিও দেখতে পাবেন। এজন্য আপনাকে car বিষয়টি উল্লেখ করে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে jaguar -car লিখে সার্চ করুন।

নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ফাইল

কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ফাইল খুঁজে পেতে ফাইল ফরম্যাট উল্লেখ করে দিন। যেমন, কোনো বিষয়ের পাওয়ার পয়েন্ট ফাইল খুঁজে
 পেতে চাইলে ফাইলের ধরন উল্লেখ করে দিন এভাবে Laptop Computer filetype:ppt


ছবি দিয়ে ছবি সার্চ করা

গুগলে ছবি ব্যবহার করে ছবি খোঁজার জন্য আপনাকে প্রথমে গুগল হোম/সার্চ পেজের উপরের দিকে থাকা Images লিংকে ক্লিক করে
 গুগল ইমেজেস পেজে যেতে হবে। ওখানে ড্রাগ-ড্রপ বা ক্যামেরা চিহ্নিত বাটনে ক্লিক করে ছবি সিলেক্ট করে দিলেই ছবি আপলোড হয়ে
 আপনাকে আপলোডকৃত ছবির অনুরূপ ছবি দেখাবে। এছাড়া যেকোনো সার্চ ফলাফল প্রদর্শিত হওয়ার সময় সেই পেজের উপরের 
দিকে Images লেখায় ক্লিক করেও সংশ্লিষ্ট ইমেজ খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে এটা যে সবসময়ই আপনাকে সঠিক তথ্য দেখাবে এমন নয়।



একই ধরনের ওয়েবসাইট খুঁজতে

একই ধরনের ওয়েবসাইট খুঁজতে related শব্দটি ব্যবহার করতে পারেন।

যেমনঃ related:bbc.com
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান কি?

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান ছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগটি সার্চ ইঞ্জিন ফলাফল পৃষ্ঠার (SERPs) শীর্ষে নিয়ে আসা যায়।
 এই অপ্টিমাইজেশান মূলত দুটি ধরনের মধ্যে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।



অন ​​পেজ অপ্টিমাইজেশান
অফ-পেজ অপ্টিমাইজেশান

অন ​​পেজ এসইও কৌশল কি?
কোডিং, টেক্সট, ইমেজ প্রভৃতি উপাদান যেমন আমাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগে আপডেট করার প্রক্রিয়া অন পেজ অপটিমাইজেশন বলে।

অফ-পেজ এসইও কৌশল কি?
আমাদের ওয়েবসাইট নির্দেশ যা ফিরে সংযোগগুলি অর্জন প্রক্রিয়া, বন্ধ পাতা অপ্টিমাইজেশান বলা হয়।

উভয়, অন পৃষ্ঠা এবং অফ-পৃষ্ঠা অপ্টিমাইজেশানটি নিম্নলিখিত তিনটি উপায়ে করা যেতে পারে:

হোয়াইট হ্যাট এসইও কৌশলগুলি
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কৌশলগুলি
গ্রে হ্যাট এসইও কৌশল

হোয়াইট হ্যাট এসইও কৌশলগুলি:

বিশেষজ্ঞরা হোয়াইট হ্যাট এসইওকে এসইও পদ্ধতির সর্বাধিক প্রাকৃতিক পদ্ধতি বলে উল্লেখ করে যা সার্চ ইঞ্জিন নিয়ম ও নীতি অনুসরণ করে।
 অধিকাংশ কৌশল ব্যবহারকারীদের দয়া করে করা হয় এবং সার্চ ইঞ্জিন দয়া করে না। এই কৌশল প্রাথমিক লক্ষ্য ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা এবং
 ওয়েবসাইট ব্যবহারযোগ্যতা বৃদ্ধি হবে।

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কৌশলগুলি:

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কৌশল হোয়াইট হ্যাট এসইও কৌশলগুলির সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে, ব্যবহারকারীদের এবং প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে অনেক
 চিন্তা ছাড়াই শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনকে অনুগ্রহ করে কৌশল প্রয়োগ করার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে আমরা যেমন কালো টুপি কৌশল অনুশীলন 
 করা হলে ওয়েবসাইট শাস্তি পেতে পারে। এটি একটি মানবিক সম্পৃক্ততা ছাড়া, বট, প্রোগ্রাম, সরঞ্জাম ইত্যাদি মাধ্যমে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় 
প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে।




গ্রে হ্যাট এসইও কৌশল:

এটি হোয়াইট হেট এসইও কৌশল এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কৌশলগুলির সমন্বয়। ডিজিটাল বিপণন ক্ষেত্রের অধিকাংশ newbies গ্রে হ্যাট
 এসইও কৌশল প্রয়োগ  করা হয়।

পার্ট ২ এর জন্য পেজ এ  চোখ রাখুন --- চলবে 


এলান টিউরিংকে বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক। ১৯৫০ সালের দিকে এলান টিউরিং একটি মেশিন বুদ্ধিমান কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য
 একটি টেস্ট এর কথা উল্যেখ করে গিয়েছেন, যা টিউরিং টেস্ট নামে পরিচিত। ঐ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনেক রিসার্চ হলেও এর পর 
অনেক দিন AI নিয়ে রিসার্চ বন্ধ থাকে। প্রধান একটা কারণ হিসেবে ধরা হয় কম্পিউটেশনাল পাওয়ার।



 ঐ সময়কার কম্পিউটার গুলো এত পাওয়ারফুল ছিল না।
 কম্পিউটারের প্রসেসিং পাওয়ার বাড়ার সাথে সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আবার রিসার্চ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে Facebook, Google,
 Amazon মিলে AI এর উপর রিসার্চ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। Elon Musk গঠন করেছেন OpenAI নামক প্লাটফরম।

বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য প্রধান যে বিষয়টা দরকার তা হচ্ছে Knowledge Representation & Reasoning।
 আর সুন্দর ভাবে Knowledge Representation & Reasoning এর জন্য মানুষের ব্রেইন কিভাবে কাজ করে, 
বিজ্ঞানীরা তার অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।

আমরা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করি। মঙ্গলে মানুষের কলোনি তৈরি করার স্বপ্ন দেখি। সবই করি এই মস্তিষ্কটাকে কাজে লাগিয়ে।
 মহাকাশ অনেক দূরে হয়েও আমরা অনেক কিছু জানতে পারি। কিন্তু মস্তিষ্কটা কিভাবে কাজ করে, এখনো ঠিক মত আমরা বুঝে 
উঠতে পারি নি। যতটুকু বুঝে উঠেছি আমরা, তত টুকু ব্যবহার করেই আমরা বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করছি।

মানুষের মস্তিক নিউরন দ্বারা গঠিত। আমাদের মস্তিষ্কে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে। এগুলো একটা একটার সাথে কানেক্টেড,
 একটা নেটওয়ার্ক এর মত। এই জৈবিক নিউরাল নেটওয়ার্ক এর অনুকরণ করেই আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।

আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটোওয়ার্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটা অংশ মাত্র। মূলত এটি হচ্ছে মেশিন লার্নিং এর একটা শাখা।
 আর মেশিন লার্নিং হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি শাখা। মেশিন লার্নিং ছাড়া AI এর অন্যান্য বিষয় গুলো হচ্ছে 
ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, অবজেক্ট রিকগনিশন, প্যাটার্ন রিকগনিশন, রোবটিক্স, ইভোলিউশনারি কম্পিউটেশন 
যেমন জেনেটিক অ্যালগরিদম, ফাজি সিস্টেম, প্রবাবিলিটি, প্রিডিকশন, Knowledge management সহ অন্যান্য।



কম্পিউটার বা যে কোন মেশিন হচ্ছে বোকা বাক্স। এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য ইন্ট্রাকশনের দরকার হয়।
 প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটার বা যে কোন মেশিনকে কিছু ইন্সট্রাকশন দেই, কম্পিউটার বা মেশিন গুলো
 সে অনুযায়ী কাজ করে।

এই মেশিনকে আমরা যে ইন্সট্রাকশনই দিব, মেশিন সে অনুযায়ীই কাজ করবে। এর বাহিরে নিজ থেকে কিছু করতে পারবে না। 
মেশিন যেন নিজ থেকে কিছু করতে হলে তার কিছু বুদ্ধি শুদ্ধি লাগবে। মেশিনের বুদ্ধি শুদ্ধিকে আমরা বলি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা
 কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একটা রোবটের কথা যদি চিন্তা করি, রোবটের বুদ্ধি হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

বিজ্ঞাপন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

বুদ্ধি জিনিসটা কি?

বুদ্ধি হচ্ছে জ্ঞান আহরণ করা এবং তা প্রয়োগ করার ক্ষমতা। সাধারণ প্রোগ্রাম গুলো জ্ঞান আহরণ করতে পারে না। কিন্তু যে সব মেশিন বা
 প্রোগ্রাম এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যেন নিজে নিজে কিছু শিখে নিতে পারে, সেগুলোকে আমরা বলি বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম বা বুদ্ধিমান মেশিন। 
যেমন গুগল সার্চ প্রোগ্রামটা একটা বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম। আমরা কিছু সার্চ করলে এটি আমাদের আগের সার্চ হিস্টোরি, বয়স, লোকেশন 
ইত্যাদির উপর নির্ভর করে আমাদের সার্চ রেজাল্ট দেখায়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যদি আমরা খুব উন্নত করতে পারি, হয় এটি হবে সবচেয়ে দারুণ একটা পরিবর্তন অথবা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিবর্তন। 
এমনকি আমাদের অস্তিত্বও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আমরা মানুষেরা বুদ্ধিমান, কিউরিয়াস। আমরা দেখতে চাই কি হবে ফিউচারে।
 এটাই হচ্ছে বুদ্ধি। আর এ জন্যই আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ডেভেলপ করে যাবো। আমরা চেষ্টা করে যাবো
 কম্পিউটারকে মানুষের মত বুদ্ধিমান করে তোলার।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে শিখতে চাইলেঃ

Udacity এর Intro to Artificial Intelligence কোর্সটা প্রাথমিক ধারণা নেওয়ার জন্য খুবি দারুণ। 
সব গুলো ইউনিভার্সিটিতে Artificial Intelligence: A Modern Approach বইটি থেকে পড়ানো হয়।
 নীলক্ষেত থেকে বইটি কিনতে পাওয়া যাবে। আর বইটির সহ লেখক হচ্ছেন Peter Norvig। পিটার নরভিগ হচ্ছেন গুগলের
 রিসার্চ টিমের ডিরেক্টর। আর Udacity’র এ কোর্সটার সহ ইন্সট্রাকটর। পিটার নরভিগের একটা দারুণ লেখা রয়েছে।
 Teach Yourself Programming in Ten Years। যারা পড়েন নি, একবার পড়ে নিতে বলব। 
এছাড়া এই কোর্সটি করার পর ইউডাসিটিতে আরো কিছু কোর্স রয়েছে, যেমন মেশিন লার্নিং ইত্যাদি। সেগুলোও দেখতে পারেন।


বিনোদনের জন্য এগুলো দেখতে পারেনঃ

Ex Machina (2015)
2001: A Space Odyssey
I, Robot
Matrix series
Chappie
Transcendence
The Terminator series
Star Trek series
Intelligence
Mr. Robot ইত্যাদি।