Showing posts with label ডার্ক ওয়েব. Show all posts
Showing posts with label ডার্ক ওয়েব. Show all posts
আপনিও হতে পারেন একজন দক্ষ হ্যাকার এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ... 
শুধু বাংলাদেশ নয়, সরকারী বেসরকারী ভাবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেই নিয়োগ চলছে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের। অনলাইন মার্কেট প্লেসেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।  সাইবার নিরাপত্তার উপর ফ্রিল্যান্সিং করে হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী। ডিজিটাল বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয়তা ও অপরিহার্য।

ক্যারিয়ার সেক্টরঃ আইটি এনালিস্ট, সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট, ইথিক্যাল হ্যাকার, আইটি ইঞ্জিনিয়ার, ডিজিটাল ফরেন্সিক স্পেশালিস্ট, ফ্রিল্যান্সার।

Ethical Hacking Course, Bangladesh

আর সেই প্রেক্ষাপট থেকেই   সাইবার সিকিউরিটি / ইথিক্যাল হ্যাকিং / লিনাক্স এবং ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে বাংলাদেশী সর্ব প্রথম সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি

তিন মাসের কোর্স এবং এক মাসের ইন্টার্নির সুবিধা সহ সাইবার সিকিউরিটি / ইথিক্যাল হ্যাকিং / ফ্রিল্যান্সিং এবং লিনাক্স শীর্ষক কোর্স চালু করেছে এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি। যেখানে রয়েছে চারটি বিভাগে এবং ১২১ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সহ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করা সুযোগ।

অনলাইন ভিত্তিক কোর্স হওয়ায় দেশ এবং দেশের বাইরে সহ যে কোন জায়গা থেকেই ক্লাসে অংশগ্রহণ করার সুবিধা। অংশগ্রহনকারীরা কোর্স শেষে পাচ্ছেন সাইবার নিরাপত্তার উপর সার্টিফিকেট।
ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির অফিস কিংবা ২৪ ঘন্টা সাপোর্ট হটলাইনে।
সাপোর্ট - 01310333444, 01885841489 (শুধুমাত্র কোর্স সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ২৪ ঘন্টা হটলাইন।)
অফিস - বি/১, মেইন রোড, বনশ্রী, ঢাকা।

সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে এবং এডভান্স ওয়েব সিকিউরিটি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে আপনি ও চাইলে আসন গ্রহন করতে পারেন এই কোর্সে।

বৈশিষ্ট্যঃ
# দেশসেরা সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ টীম দ্বারা প্রশিক্ষণ।
# যারা প্রোগ্রামিং সম্পর্কে আগের থেকে ধারনা নেই তাদেরকে কোর্সের সাথে ফ্রি বেসিক ট্রেনিং প্রদান করা হয়। 
# কোর্স শেষে এক মাসের ইন্টার্নি প্রজেক্ট আমাদের আমাদের টীমের সাথে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের কাজ গুলো করার সুযোগ।


শর্তাবলীঃ
# প্রতিটা ক্লাসের রেকর্ড রাখা হয়, তাই কেউ একদিন অনুপস্থিত থাকলে তাকে ক্লাস পরবর্তী সময়ে রেকর্ড এবং অতিরিক্ত ক্লাস করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ পুর্ব অনুমতি ছাড়া একটানা দুই সপ্তাহ ক্লাস না করলে তার স্টুডেন্টশীপ সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হবে।
# প্র্যাকটিস এবং পরীক্ষা গুলোতে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। যদি কোন কারনে উপস্থিত না থাকতে পারেন তাহলে আগের থেকে অবশ্যই দায়িত্বশীলদের জানিয়ে রাখতে হবে।

ক্লাসের নিয়মাবলী এবং সময় সুচীঃ 
ক্লাস সময়ঃ বৃহস্পতি এবং শনিবার, রাত ৯:৩০ থেকে রাত ১১:৩০ পর্যন্ত। 
প্র্যাকটিস টাইমঃ মঙ্গলবার। আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী তিন ঘন্টা পছন্দ করে নিতে পারবেন।
# ক্লাশ গুলো অনলাইনে আমাদের নিজস্ব সার্ভারের মাধ্যমে হবে। তাই বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে বাংলা ভাষার যে কেউ আমাদের কোর্সে অংশ নিতে পারবেন।
# যারা দেশের বাইরে থাকেন, তাদের জন্য অনলাইনেই পরীক্ষা নেবার ব্যাবস্থা রয়েছে।
# এডমিশন শেষ করে আসন নিশ্চিত করার পরেই আপনাকে একটি আইডি পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে যার মাধ্যমে আপনি যে কোন প্রান্ত থেকেই লগিন করে আমাদের ট্রেইনারদের ক্লাস গুলো করতে পারবেন এবং যে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন।
# যারা বাংলাদেশে রয়েছেন তাদের জন্য কোর্স শেষে পরীক্ষাটি আমাদের এরিনা সিকিউরিটির অফিসে এসে দিতে হবে। এছাড়া সকল ক্লাস অনলাইন ভিত্তিক পরিচালনা করা হবে। [ তবে যারা শুধুমাত্র বাংলাদেশের বাইরে রয়েছেন তারা অনলাইনেও পরীক্ষাটি দিতে পারবেন।]


কোর্স সময়কালঃ ৩ মাস ক্লাস এবং এক মাস ইন্টার্নি। ইন্টার্নি আমাদের অফিস কিংবা অনলাইনেও আমাদের প্রজেক্ট গুলোতে অংশগ্রহনের মাধ্যমে করতে পারবেন।

ক্লাস শুরুঃ ১৫ ই মার্চ ২০২৫। 

কোর্স ফিঃ ১৪ হাজার টাকা। [ প্রথমে ৭ হাজার টাকা পরিশোধের মাধ্যমে আসন নিশ্চিত করতে পারবেন। বাকী ৭ হাজার টাকা ক্লাস শুরু হবার ১৫ দিন পরে পরিশোধ করতে হবে।]

ট্রেইনার পরিচিতিঃ
Photo: Tanjim Al Fahim
Tanjim Al Fahimwww.facebook.com/TanjimOfficial ]
CEO of "Arena Web Security" [ The Hacker's Arena]
Ex Administrator of "Cyber 71" [ We hack to protect Bangladesh]

Expertise: Ethical Hacking, Cyber Security, Cloud Security, Open-source Intelligence, Cyber Forensic, Freelancing.

Professional Background:
# Certified in Open Source Intelligence (C|OSINT) 2016
Bentley Training and Consultancy, United Kingdom
# Computer Hacking Forensics Investigator (CHFI) 2017
CertNexus,  United States of America (USA)
# CSA APAC Congress (Cloud Security) 2019
Cloud Security Alliance APAC, Malaysia

এছাড়াও রয়েছে আমাদের অভিজ্ঞ ট্রেইনার এবং ফ্রিল্যান্সার টীম, যাদের মাধ্যমে ব্যাচটি পরিচালনা করা হয়ে থাকে। 

ক্লাস সমূহ - Introduction:
        What is Ethical Hacking?
        Why we have to Learn Ethical Hacking?
        Facebook / Gmail account security, recover, and disable concept.
        Ethical Hacking career
        Homework

Footprinting and Information Gathering:
        From Social Media
        Web server Whois
        subdomain
        Reserved IP Location
        Which platform used for developing
        Ping to identify server details
        Collecting Information from Email Header
        Email Tracking Tools
        Tracking of a target person
        Website Cookies history
        Recover any deleted files. [ PC or Mobile ]
        HomeWork

PHP & MySQL Basic:

Website Penetration Testing:
        What is website Penetration Testing
        Website Penetration Testing Tools
        Discussion of the different types of vulnerabilities
        Defining a web application test scope and process
        Defining types of penetration testing
        Tools and manual process of penetration testing
        Some more ++
        HomeWork

Website Hacking
        Web Attacking method
        Sql Injection
        Session Hijacking
        Private exploit of Arena Web Security
        Target Server Exploit
        Bypass
        Shell upload
        Private shell script
        Compromising Session IDs using Sniffing
        Compromising Session IDs by Predicting Session Token
        HomeWork

System Hacking
        All Possible Passwords Cracking Method
        Password Guessing
        Default Password
        Password Cracking Tools and Script
        Keylogger
        Spyware
        How to Defend Against Keyloggers
        HomeWork

keylogger Spyware
        How to make keylogger Spyware?
        How to Bind keylogger file in Real setup File?
        Ardamex Keylogger
        Hardware Keyloggers
        Paid course on keylogger project [free]
        HomeWork

Malware Threats [Virus]
        What is a Trojan?
        Batchprogrammer
        server shell
        File Extension Viruses
        Pen Testing for Trojans and Backdoors
        Penetration Testing for Virus
        HomeWork

Website Development:
        Wordpress [Live project]
        HomeWork

Security
        Website Security
        Web Server security, Cpanel
        HomeWork

Social Engineering
        Pishing
        CSRF and XSS
        Social Media account recovery process.
        Fb / Gmail Account Security, Recover, Disable concept.
        HomeWork

Denial-of-Service
        What is a Denial of Service Attack?
        What Are Distributed Denial of Service Attacks?
        How Distributed Denial of Service Attacks Work
        Live DDOS attack
        HomeWork

SQL Injection All method
        WAF Bypass
        Blind SQL Injection
        Error Base
        POST base SQL Injection
        HomeWork

Evading IDS, Firewalls, and Honeypots
        RFI/LFI
        X-path
        Cryptography
        HomeWork

Scanning Networks web server:
        NMAP
        VEGA
        Acunotix
        Prepare Proxies
        Proxy Tool
        Proxy Tools for Mobile
        Free Proxy Servers
        Scanning Pen Testing

Linux - Kali Linux
        HomeWork
        VM ware setting

Kali Linux Tools
        HomeWork
        Paid course about Bug Bounty project [ free ]
        HomeWork

Attack:
        Login Page injection
        Cross Site Scripting
        Bypass it
        Authentication Bypass
        HomeWork

Cross-Site Request Forgery (CSRF)
        Bypass

Outsourcing in Fiverr / Upwork:
        What is Fiverr & Upwork?
        What type of work would suit you?
        How create a GIG and Sell it?
        Fiverr freelancing support.
        Order and Payment
        Dollar payout process
        HomeWork

Outsourcing in Hackerone and Bugcroud
        How to Hackerone and Bugcroud
        First Bug Report in Hackerone and Bugcroud
        HomeWork

Bonus concept: Deep Web, Dark Web, Tor Network

Extra if need: [Resource Support]
        HTML and CSS Injection
        Remote Code Execution and Directory Traversing
        Hacking Mobile Platforms
        Android keylogger
        CCNA Basic

Full Course Road Map V0: Click here 

 এছাড়াও প্রত্যেকটি বিষয়ে প্রফেশনাল সেক্টরে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ সহায়তা।

                    সংবাদঃ  https://www.jugantor.com/old/it-technology/2015/03/10/232517

ভর্তির যোগ্যতা এবং শর্তাবলীঃ
# Windows / Linux সেটাপ করা একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ।
# ইন্টারনেট এবং কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান।
# প্রতিটি ক্লাস করার ইচ্ছা। যদি ক্লাস মিস করা হয় তাহলে আগে থেকে হটলাইনে ফোনের মাধ্যমে জানাতে হবে। আমরা ইমেইলে রেকর্ড পাঠিয়ে দিবো।
# ট্রেইনারদের অবগত করা ছাড়া একত্রে দুইটি ক্লাস মিস করলে ট্রেইনারদের অনুমতি সাপেক্ষে দায়িত্বশীলরা ছাত্রত্ব বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।

সুবিধাঃ

আমাদের লক্ষ্য কয়েকজন দক্ষ সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ তৈরি করা যাদের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটির মার্কেট প্লেসের চাহিদা পূরণ করা ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করতে পারবো।
সে লক্ষ্যেই আমাদের ট্রেইনাররা একেবারে বেসিক থেকে শুরু করে থাকে যাতে যে কেউ সময় এবং প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারে।
তবুও আপনি প্রথম দুইটি ক্লাস করার পর যদি মনে করেন আপনি সাপোর্ট পাচ্ছেন না তবে সেক্ষেত্রে আপনি দুইটি ক্লাসের পরে চাইলে ভর্তি পেমেন্ট একটি এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে রিফান্ড করে নিতে পারবেন।

সেক্ষেত্রে শর্ত হলো আপনাকে দুইটি ক্লাস ই যথা সময়ে উপস্থিত থাকতে হবে।

যদিও আমাদের সাফল্যের গত ৫ বছরে একজন ছাত্রও রিফান্ড এর আবেদন করে নি তবুও আমরাই একমাত্র আইটি কোম্পানি হিসেবে সুযোগ দিয়ে থাকি যাতে আপনি নিশ্চিন্ত মনেই রেজিস্ট্রেশন করে নিতে পারেন।

Ethical Hacking Course Bangladesh


ভর্তি হওয়ার নিয়মাবলীঃ # পাসপোর্ট সাইজের ছবি সহ আপনার ভোটার আইডি কার্ড / পাসপোর্ট / জন্ম নিবন্ধনের কপি ই মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে হবে।

# যেহেতু আসন সংখ্যা সীমিত [ ৭০ জন, প্রতিটি ব্যাচের জন্য ১৩ জন ট্রেইনার এবং সাপোর্ট টীম বরাদ্ধ থাকে। ] তাই সিট থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই আসন নিশ্চিত করতে হবে।

যোগাযোগঃ শুধুমাত্র পরীক্ষা ছাড়া এটা সম্পুর্ন অনলাইন ব্যাচ, তাই সকল প্রকার কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমেই পরিচালনা করা হয়। এবং বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকেই বাংলা ভাষাভাষীরা এখানে যোগদান করতে পারবেন।

ভর্তি সংক্রান্ত যে কোন প্রশ্ন কিংবা কোন কিছু জানার থাকলে যোগাযোগ করতে পারেন এরিনা সিকিউরিটির হটলাইনে,

01310333444, 01885841489  (শুধুমাত্র কোর্স সংক্রান্ত তথ্যের জন্য ২৪ ঘন্টা হটলাইন)
অফিস - বি/১, মেইন রোড, বনশ্রী, ঢাকা।
ওয়েবসাইটঃ www.arenawebsecurity.net
ফেসবুক সাপোর্টঃ www.facebook.com/ArenaBangladesh
ইমেইলঃ support@arenawebsecurity.net





এছাড়াও এরিনা সিকিউরিটি নিয়ে সচরাচর কিছু প্রশ্নোত্তরঃ https://www.1337bangla.com/2019/09/question2answer.html
এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির সাবেক শিক্ষার্থীদের মতামত [রিভিউ] ঃ www.facebook.com/ArenaBangladesh/reviews
দৈনিক পত্রিকা গুলোতে আমাদের সাফল্য সংবাদ - https://www.jugantor.com/old/it-technology/2015/03/10/232517

জানুন, যাচাই করুন - অভিজ্ঞদের মতামত নিন, সঠিক দিক নির্দেশনায় ক্যারিয়ার গড়ুন।

আমাদের বেসিক সাইবার সিকিউরিটি কোর্সটি করে নিন এই লিংক থেকে - ফ্রি ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্স

# হ্যাকার # ইথিক্যাল হ্যাক # এথিক্যাল হ্যাক # ফ্রিল্যান্সিং # সাইবার সিকিউরিটি  # সাইবার নিরাপত্তা  # সাইবার ৭১ # এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি # বাংলাদেশ ইথিক্যাল হ্যাক

ইন্টারনেট জগতের রহস্যময় জগতের নাম ডার্ক ওয়েব। এই রহস্যময় জগতের প্রধান পেমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে বিটকয়েন। বিটকয়েন হল ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। বিটকয়েন লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন।

যেহেতু বিটকয়েনের লেনদেন সম্পন্ন করতে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পরে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি কোনভাবেই অনুসরণ করা যায় না। তাই বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় বিটকয়েন ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
দুর্নীতিবাজ ধনীরা যেমন কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ টাকা জমা করার জন্য সুইস ব্যাংকে জমা করে থাকে তেমনি এই রহস্যময় জগতের সবাই নিজেদের গতিবিধি সবার নজরের উর্ধ্বে রাখার জন্য বিটকয়েন ব্যাবহার করে থাকে।


বিট কয়েন এর কার্য প্রণালীঃ বিটকয়েনের লেনদেন হয় পিয়ার টু পিয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকের কম্পিউটারে। এটি কোন কেন্দ্রীয় নিকাশঘরের মধ্য দিয়ে যায় না কিংবা এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান নেই। বিটকয়েনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে। বিটকয়েন মাইনারের মাধ্যমে যেকেউ বিটকয়েন উৎপন্ন করতে পারে। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াটা সবসময় অনুমানযোগ্য এবং সীমিত। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে এটি গ্রাহকের ডিজিটাল ওয়ালেটে সংরক্ষিত থাকে। এই সংরক্ষিত বিটকয়েন যদি গ্রাহক কর্তৃক অন্য কারও একাউন্টে পাঠানো হয় তাহলে এই লেনদেনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ইলেক্ট্রনিক সিগনেচার তৈরী হয়ে যায় যা অন্যান্য মাইনার কর্তৃক নিরীক্ষিত হয় এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে গোপন অথচ সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষিত হয়। একই সাথে গ্রাহকদের বর্তমান লেজার কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে হালনাগাদ হয়।
বিটকয়েন দিয়ে কোন পণ্য কেনা হলে তা বিক্রেতার একাউন্টে পাঠানো হয় এবং বিক্রেতা পরবর্তীতে সেই বিটকয়েন দিয়ে পুনরায় পণ্য কিনতে পারে, অপরদিকে সমান পরিমাণ বিটকয়েন ক্রেতার লেজার থেকে কমিয়ে দেওয়া হয়।

প্রচলিত মুদ্রা এবং বিটকয়েনের মধ্যে পার্থক্য:
পৃথিবীব্যাপী ব্যবহৃত প্রচলিত মুদ্রাগুলো মূলত কাগজের তৈরি। যেকোন প্রকারের সেবা আদান-প্রদানের হিসাব নিকাশের মূলে থাকে কাগজের তৈরি মুদ্রা। যে উপায়েই সেবা আদান-প্রদানের করা হোকনা কেন, মুখোমুখি সেবা দেওয়া-নেওয়া, অনলাইনে সেবা দেওয়া-নেওয়া, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা আদান-প্রদান ইত্যাদি।
ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে তৈরি করা বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। প্রচলিত মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যকার প্রধান পার্থক্য হলো- ফিজিক্যাল অস্তিত্বের কারণে প্রচলিত মুদ্রা হাতে হাতে ব্যবহার করা যায়, হাতে নেওয়া যায়। অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি শুধু ব্যবহার করা যায়। ভার্চুয়াল অথবা ডিজিটাল হওয়ার কারণে এটি শুধু ব্যবহার করা যায়,কখনো হাতে নেওয়া সম্ভব নয়।

বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী:
বর্তমানে ৪৫৪ রকমের ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বব্যাপী কমবেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এর মধ্যে Litecoin এবং Ripple অন্যতম। অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলো বিটকয়েনের মত এতটা ব্যবহৃত হয়না। আপাতদৃষ্টিতে Litecoin- কে বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হলেও, এটির সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।

.


বিট কয়েন এর বর্তমান মূল্যঃ এক বিটকয়েনের বর্তমান মূল্য ২ লাখ ১১ হাজার টাকা প্রায় যা আমেরিকান ডলার হিসেবে ২৫৮০ ডলার। 
.
বিটকয়েন নিয়ে মজার কিছু কথাঃ শুরুর দিকে কেউ ভাবতে পারে নি বিটকয়েন এতোদুর এগিয়ে যাবে এবং শুরুর দিকে অনেক কম মূল্যের ছিলো।
আমেরিকান একজন যুবক বাজীতে হেরে বন্ধূকে পিজ্জা খাওয়ানোর বদলে তার একাউন্টে থাকা ১০ বিটকয়েন দিয়ে দিয়েছিলো। উল্লেখ্য, বিটকয়েন দিয়ে প্রথম পিজ্জা ই ক্রয় করা হয়েছিলো। ১২ বিটকয়েনের বিনিময়ে একটি পিজ্জা অর্ডার করা হয়েছিলো মাত্র। 
পরিশেষে কিছু কথাঃ আন্ডারগ্রাউন্ড টর নেটওয়ার্ক এবং বিটকয়েন মার্কেটপ্লেসটি উঠতি প্রযুক্তিগুলির মাত্র দুটি উদাহরণ। রহস্যময় এই জগতে লুকিয়ে আছে অনেক কিছু যা আমাদের অজানা। যার কার্যক্রম আমাদের চোখের সামনেই হচ্ছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

এবার আমরা আলোচনা করবো ক্রিপ্টোকারেন্সী সম্পর্কে। আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সী জগতের প্রধান মুদ্রা বিটকয়েন নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। ক্রিপ্টো কারেন্সি এটি একটি ইলেকট্রনিক মাধ্যম যা বিনিময়ের মাধ্যম যা মুদ্রার ইউনিট উৎপাদন, লেনদেন পরিচালনা এবং এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার করে তহবিলের স্থানান্তর যাচাইকরণে জড়িত প্রসেস নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি  ।  
প্রচলিত ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় , এছাড়াও রয়েছে লাইট কয়েন , ইথেরিয়াম কয়েন , ডজ বা ডগি কয়েন ইত্যাদিবিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর প্রচলন রয়েছে , এর উপকারিতাও অনেকঃ * ডিজিটাল মুদ্রায় বড় বা ছোট স্কেলে একযোগে কাজ করার সামর্থ্য আছে। 

ক্রিপ্টোকারেন্সী এর সুবিধাঃ

* বিদেশী মুদ্রার অধিবাসীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে কারণ তারা একটি এনক্রিপ্টেড ডিজিটাল বোতামে টোকড করা ইলেকট্রনিক 
   মুদ্রাগুলি আটকে রাখার বিলাসিতা ভোগ করে, যা তারা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

* তারা সম্পূর্ণ ডিজিটাল হতে থাকে কিন্তু জাল বা নকল হতে পারব না ।

* খনি শ্রমিকদের প্রায়ই তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় তাদের নেটওয়ার্ক দ্বারা বিনিময় ফি ছারাই ।

* সনাক্তকরণের মাধ্যমে চুরির সুযোগকে কমিয়ে দেয়; একজন ব্যক্তি কেবল বণিককে তাদের আরও তথ্যের সাথে যা 
   প্রয়োজন তা পাঠায়।

* এটা খুব সহজেই দেখতে পাওয়া যায় কারণ প্রায় 2.2 বিলিয়ন লোক যাদের শুধুমাত্র মোবাইল ফোনে নয় কিন্তু ওয়েবে 
   অ্যাক্সেস আছে তবে প্রথাগত বিনিময় সিস্টেমের কাছে সত্যিই অ্যাক্সেসযোগ্যতা নেই।

* এটি কোনও কেন্দ্রীভূত কর্তৃপক্ষের ছাড়াই ব্যবহারকারী-টু-ইউজার ভিত্তিতে পরিচালনা করে, ফলে ম্যানিপুলেশন এবং 
   হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

ডার্ক ওয়েব নিয়ে আমাদের সম্পূর্ণ সিরিজ পড়তে চাইলে এখানে - Click Here

বিজ্ঞাপন - এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

আতঙ্কের নতুন নাম ব্লু হোয়েল। একাধিক টাস্ক। অবশেষে আত্মহত্যা। গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে বিভীষিকা। ছেলে-মেয়ের দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলেছেন স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ। সাইবার জগতের বিশেষজ্ঞরাও একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন। রাশিয়া, অ্যামেরিকা ও ইউরোপের পর এশিয়ার ভারতেও হানা ব্লু হোয়েলের। শুধু ব্লু হোয়েল নয়, এই তালিকায় আছে আরও অনেক গেম। যা রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে অভিভাবকদের। কী সেই সব গেম ও চ্যালেঞ্জ ? জেনে রাখুন, সাবধান থাকুন।



দা টাচ মাই বডি চ্যালেঞ্জ : বাংলায় এই খেলার নাম কানামাছি ভোঁ ভোঁ। শৈশবে প্রত্যেকেই কমবেশি খেলেছে। কিন্তু অনলাইনে অত্যন্ত বিপজ্জনক খেলাগুলোর মধ্যে একটি। চোখ বেঁধে একদল ছেলেমেয়ে এই খেলায় অংশ নেয়। সেই খেলার ভিডিও করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হবে। অধিকাংশ সময় ভিডিওতে দেখা গেছে, শরীরের গোপন অংশে হাত দিতে দেখা গেছে ওই চোখ বাঁধা পুরুষ বা নারীকে। শেষ দু’সপ্তাহে সোশাল মিডিয়া এই চ্যালেঞ্জ খেলেছেন অসংখ্য ব্যবহারকারী। এই ধরনের ভিডিও খুব তাড়াতাড়ি ছড়ায়। সামাজিক সম্মানও নষ্ট হয়।

ডিওডোরেন্ট চ্যালেঞ্জ : শরীরের চামড়া থেকে মাত্র কয়েক ইঞ্চি দূর থেকে ডিও স্প্রে করতে হবে। সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হবে। কে কতক্ষণ বেশি করতে পারছে, সেটাই চ্যালেঞ্জ। শিশু বা নাবালকদের চামড়া পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভবিষ্যতেও সেই দাগ থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

পাস আউট চ্যালেঞ্জ : WWE বা ইউটিউবের ভিডিও দেখে বাচ্চারা নিজেদের গলা টিপে ধরছে। যতক্ষণ পর্যন্ত শ্বাস রোধ না হয়, তা চলবে। সেই ভিডিও পোস্ট করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে। পাস আউট চ্যালেঞ্জে মৃত্যু হয়েছে অনেক স্কুলশিশুর।

স্ন্যাপস্ট্রিক চ্যালেঞ্জ : স্ন্যাপচ্যাটে পরস্পরকে স্ন্যাপ করলে একটি পয়েন্ট পাওয়া যায়। একে বলা হয় স্ন্যাপস্ট্রিক। একদিন স্ন্যাপ না পাঠালেই সব স্কোর শূন্য। আবার প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। এটাতেই গেমের আসল রহস্য। স্ন্যাপস্ট্রিক কাউন্ট ভালো না হলে সোশাল জগতে ভালো মর্যাদা পাওয়া যায় না। বন্ধুরা মনে করবে, আপনার শিশু ভালো বন্ধু নয়। এই থেকে হীনমন্যতায় ভোগা শুরু শিশু ও নাবালকদের। নেশায় বুঁদ হয়ে সারাদিন মোবাইলে সময় কাটাচ্ছে তারা। তাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে আগামী প্রজন্ম।

সল্ট অ্যান্ড আইস চ্যালেঞ্জ
সল্ট অ্যান্ড আইস চ্যালেঞ্জ

সল্ট অ্যান্ড আইস চ্যালেঞ্জ : গত বছর সোশাল মিডিয়ায় এই গেমের মারাত্মক প্রভাব পড়ে। নাবালক-বালিকারা তাঁর শরীরের যে কোনও অংশে প্রথমে নুন রাখে। তারপর ঠান্ডা বরফের কিউব রাখে সেখানে। ফল হয় মারাত্মক। জ্বলে যায় শরীরের সেই অংশ। এই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে হয়। 



এর থেকে বাঁচতে কি করা যায়?
১। প্রথমত চাই আপনার সচেতনতা। কেন আপনি অপরের নির্দেশনায় যাকে আপনি কখনও দেখেন নি, যার পরিচয় জানেন না তার কথায় কেন নিজের জীবন অকালে বিলিয়ে দিবেন! 
২। এই রকম কোন লিংক আসলে তাকে এড়িয়ে চলা। সমাজের তরুন ছেলে-মেয়ে থেকে শুরু করে সব বয়সীদের মাঝে এই গেমের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে বলা।
৩। আপনার সন্তানকে মোবাইলে ও কম্পিউটারে অধিক সময়ে একাকী বসে থাকতে দেখতে সে কি করছে তার খোঁজ খবর নেয়া। সন্তানকে কখনও একাকি বেশি সময় থাকতে না দেয়া এবং এই সব গেমের কুফল সম্পর্কে বলা। 
৪। সন্তানদের মাঝে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মানসিকতা সৃষ্টি করা। যাতে করে তারা বুঝতে পারে আত্মহত্যা করা বা নিজের শরীরকে ক্ষতবিক্ষত করা অনেক বড় পাপের কাজ। 
৫। আপনার সন্তান ও পরিবারের অন্য কোন সদস্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কি না সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা। কেউ যদি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয় তাকে সঙ্গ দেয়া।
৬। আমাদের সকলেরই ফেসবুক আইডি আছে, যাতে কিছু না কিছু অন্য দেশের অচেনা বন্ধুরাও আছে। এদের সকলের থেকে সাবধান। হতে পারে, এদের মাঝেই লুকিয়ে আছে এসকল ভয়ংকর কিছু গেমের মডারেটররা। 
২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই মারণ খেলা৷ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দুবছর পরে৷ প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে৷ যেন আত্মহত্যার জন্যই৷ সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল' বা নীল তিমি৷
ইদানীং ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একাধিক দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ‘ব্লু হোয়েল গেম'-এর৷ হু হু করে বাড়ছে আত্মহননের ঘটনা৷ পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন মাসে রাশিয়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোট ১৬ জন তরুণীর আত্মহত্যার খবর মিলেছে৷ এদের মধ্যে সাইবেরিয়ার দুই স্কুলছাত্রী য়ুলিয়া কনস্তান্তিনোভা (১৫) এবং ভেরোনিকা ভলকোভা (১৪) একটি বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে৷ তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম'৷ শুরুর টাস্কগুলি অবশ্য তেমন ভয়ংকর নয়৷ বরং বেশ মজারই৷ আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা৷

প্রথমে সাদা কাগজে তিমি মাছের ছবি এঁকে শুরু হয় খেলা৷ তারপর খেলোয়াড়কে নিজেরই হাতে পিন বা ধারালো কিছু ফুটিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে আকঁতে হয় সেই তিমির ছবি৷ একা ভূতের ছবি দেখতে হয়, আবার ভোর চারটে কুড়ি মিনিটে ঘুম থেকেও উঠতে হয়৷ চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত মাদকসেবনও রয়েছে৷ এই খেলায় প্রত্যেকেই মারা গিয়েছেন, এমনটা নয়৷ মারাত্মক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জাও লড়ছেন অনেকে৷ গেমের লেভেল যত এগোয়, ততই ভয়ংকর হতে থাকে টাস্কগুলি৷ এই টাস্কগুলিতে অংশগ্রহণের পর সেই ছবি পোস্ট করতে হয় এর গেমিং পেজে৷জার্মানির আরেক গেম ডিজাইনার ক্যারোলিন গেপার্ট৷ তার নিজের একটি গেম তৈরির কোম্পানি রয়েছে, যার নাম ‘ইয়ো মেই’৷ শুরুতে কাজ করতেন একটি কোম্পানিতে৷ সেখানে কাজ শিখে পরে নিজেই নিজের সংস্থাটি খোলেন৷ কিন্তু তিনি বুঝে উঠতে পারেন না, কেন গেম শিল্পে মেয়েদের উপস্থিতি এতটা কম৷
প্রতিযোগিতার একেবারে শেষ পর্যায়ে, অর্থাৎ ৫০তম টাস্কের শর্তই হলো আত্মহনন৷ রাশিয়া পুলিশের আশঙ্কা, সাম্প্রতিককালে গোটা বিশ্বে আত্মঘাতী হওয়া অন্তত ১৩০ জনের আত্মহননের পেছনে রয়েছে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম'৷ এই গেমিং অ্যাপ মোবাইলে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে তা আর কোনোভাবেই ডিলিট করা সম্ভব নয়৷ শুধু তাই নয়, ওই মোবাইলে ক্রমাগত নোটিফিকেশন আসতে থাকে যা ওই মোবাইলের ইউজারকে এই গেম খেলতে বাধ্য করে৷

ভূগোলের শিক্ষক মৌসম মজুমদারের কথায়, ‘‘এই সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে৷ কেন ছেলে-মেয়েরা কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলে বেশি সময় দিচ্ছে, অনেক অভিভাবকের সেদিকে তাকানোর সময় নেই৷ ফলে বিপদ তাদের নজর এড়িয়ে ঘরে ঢুকছে৷ বাবা-মায়েদের তাদের সন্তানদের আরও বেশি সময় দেওয়াই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান৷'


ব্লু হোয়েল'-এর মতো বিপজ্জনক অনলাইন গেমস-এর লিঙ্ক সরানোর নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার৷ গুগল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, মাইক্রোসফ্ট এবং ইয়াহু থেকে অবিলম্বে এই লিংক সরাতে হবে৷ কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে খবর, অনলাইন গেমসের নেশায় মেতে বিশ্ব জুড়েই একাধিক দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে৷ ভারত তার ব্যতিক্রম নয়৷ সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের একাধিক ঘটনার খবর শোনা গিয়েছে৷ তাতে যে ‘ব্লু হোয়েল'-ই জড়িত তেমন অভিযোগও উঠেছে৷ সরকার যে নির্দেশ পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘অবিলম্বে ব্লু হোয়েল বা এ ধরনের বিপজ্জনক গেমসের লিঙ্ক সরিয়ে ফেলতে হবে৷' কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নির্দেশের পরই ওই পাঁচ সংস্থাকে ‘ব্লু হোয়েল' সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে৷

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ঋতম গিরি মনে করেন, মারণ এই খেলা থেকে তরুণ-তরুণীদের রক্ষা করার একমাত্র উপায় হলো বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফিরিয়ে আনা৷ জলজ্যান্ত মানুষের অবহেলা থেকেই ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন গেমের দিকে ঝুঁকছে৷
ফিলিপ বুদেইকিন নামে সাইকোলজির এক প্রাক্তন ছাত্র নিজেকে ওই গেমের আবিষ্কর্তা বলে দাবি করে৷ বছর একুশের ওই রুশ যুবকের দাবি, যারা মানসিক অবসাদে ভোগেন, প্রতিনিয়ত আত্মহত্যার কথা ভাবেন, তাদের আত্মহত্যার জন্য মজাদার পথ বাতলাতেই এই গেমের ভাবনা৷ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে৷ পুলিশকে ফিলিপ বলেছে, ‘‘সমাজকে পরিচ্ছন্ন করাই” নাকি তার উদ্দেশ্য৷

বেশ কয়েক বছর ধরেই রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে অনলাইন গেম, বিশেষত অভিভাবকদের কাছে৷ তবে শুধু অভিভাবকরাই নন, অনলাইন গেমের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আসক্তি চিন্তা বাড়িয়েছে মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীদেরও৷ শিশুদের বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রেও নাকি বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন ধরনের গেম৷ অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, বাড়ছে দুর্ঘটনাও৷ এর সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। 
ফিলিপ বুদেকিন
ফিলিপ বুদেকিন

বিগত কয়েক বছর ধরেই অনলাইন গেম রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে অভিভাবকদের কাছে। শুধু অভিভাবকরাই নন, অনলাইন গেমের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আসক্তি চিন্তা বাড়িয়েছে মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীদেরও। শিশুদের বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রেও নাকি অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গেমের নেশা। অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। বাড়ছে দুর্ঘটনাও। আর অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা।

ইদানীংকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একাধিক দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’ নামের একটি সোশ্যাল গেমিং-এর। পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন মাসে রাশিয়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোট ১৬ জন তরুণীর আত্মহত্যার খবর পেয়েছিল পুলিশ। এদের মধ্যে সাইবেরিয়ার দুই স্কুলছাত্রী য়ুলিয়া কনস্তান্তিনোভা (১৫) এবং ভেরোনিকা ভলকোভা (১৪) একটি বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’। এই গেমে প্রতিযোগীদের মোট ৫০টি আত্মনির্যাতনমূলক লেভেল কমপ্লিট করতে হতো। ভয়ঙ্কর ছিল সেই সমস্ত লেভেল ও তার টাস্কগুলি। গেমের শুরুর টাস্কগুলি অবশ্য তেমন ভয়ঙ্কর নয়। বরং বেশ মজারই। আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। কিন্তু গেমের লেভেল যত এগোয়, ততই ভয়ঙ্কর হতে থাকে টাস্কগুলি।
এই টাস্কগুলিতে অংশগ্রহণের পর সেই ছবি পোস্ট করতে হয় এর গেমিং পেজে। প্রতিযোগিতার একেবারে শেষ পর্যায়ে, অর্থাৎ ৫০তম টাস্কের শর্তই হল আত্মহনন। পুলিশের অনুমান, সাম্প্রতিক কালে আত্মঘাতী ১৬ জন তরুণীই এই গেমের ৫০তম টাস্কের শর্ত অনুযায়ী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। রাশিয়া পুলিশের আশঙ্কা, সাম্প্রতিক কালে গোটা বিশ্বে আত্মঘাতী হওয়া অন্তত ১৩০ জনের আত্মহননের পেছনে রয়েছে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, এই গেমিং অ্যাপ মোবাইলে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে তা আর কোনও ভাবেই ডিলিট করা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, ওই মোবাইলে ক্রমাগত নোটিফিকেশন আসতে থাকে যা ওই মোবাইলের ইউজারকে এই গেম খেলতে বাধ্য করে।
তদন্তে নেমে দিন কয়েক আগেই পুলিশ হদিস পায় এই গেম-এর পেজ অ্যাডমিন-কে। নাম ফিলিপ বুদেকিন, বয়স ২১ বছর। ফিলিপ রাশিয়ারই বাসিন্দা। সে ভিকোন্তাক্তে নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় চালাত তার এই মারাত্মক গেম। ইতিমধ্যেই ফিলিপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের জেরায় এই গেম চালানোর কথা স্বীকারও করেছে সে। কিন্তু কোনও ভাবেই এই কাজকে অপরাধ বলে মানতে নারাজ ফিলিপ। তার মতে, সমাজে যাঁদের বেঁচে থাকা উচিত নয়, সে তাঁদেরকেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। ফিলিপ আপাতত সেন্ট পিটার্সবার্গের ক্রিস্টি জেলে বন্দি। বর্তমানে ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’টি রাশিয়ার গণ্ডী পেরিয়ে ব্রিটেনের তরুণ-তরুণীদের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যা চিন্তা বাড়িয়েছে ইউরোপের একাধিক মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীর।
ব্লু হোয়েল (Blue whale) এর বাংলা অর্থ নীল তিমি। আক্ষিরিক অর্থে নীল তিমি হলেও বর্তমান বিশ্বে এটি প্রবল আতংকিত একটি নাম। সাম্প্রতি ডার্ক ওয়েবে ভাইরাল হওয়া একটি মর্মান্তিক চ্যালেঞ্জিং গেম হলো ব্লু হোয়েল । এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক সুইসাইড গেম । গেমটি খেললে যে কারও মৃত্যু অনিবার্য । কিন্তু কিভাবে একটি গেম একজন মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে?আসলে যতদিন যাচ্ছে এটি মানুষের কাছে ক্রমেই রহস্যময় হয়ে উঠছে । অনেকেই বুঝতে পারছে না যে এর পিছনের রহস্যটি আসলে কি? আবার অনেকেই মনে করছে যে এটি আসলে একটি মিথ্যা ঘটনা যার কোন বাস্তবতা নেই।


ব্লু হোয়েল এর বিস্তারিত বলতে গেলে প্রথমে বলতে হয় হলিউডের “স” মুভির কথা । মুভিটির সাথে এই গেমের অনেকাংশেই মিল রয়েছে। যারা “স” মুভিটি দেখেছেন তারা হয়ত জানেন যে একজন সিরিয়াল কিলারের ফাঁদে পরে কাহিনির মেইন চরিত্র”ড. ল্যারির” কি অবস্থা হয়েছিল। তার স্ত্রী, কন্যাকে কিডনাপ করে এবং তার পার্সনাল ইনফরমেশন হাতিয়ে নিয়ে; ব্লাক মেইল করে তাকে পরিত্যাক্ত বাথরুমে বন্দি অবস্থায় বাধ্য করা হয়েছিল একটি মর্মান্তিক গেম খেলার । তাকে বলা হয়েছিল, সে যদি তার স্ত্রী সন্তান ও বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে তাকে অবস্যই গেমের সবগুলো স্টেপ সঠিক ভাবে সম্পুর্ন করতে হবে । যারা “স” মুভিটি দেখেন নি তারা এখানে ক্লিক করে মুভিটির রিভিও দেখতে পারেন।

ব্লু হোয়েল গেমটিও “স” মুভির মতই ভিক্টিমকে বাধ্য করে গেমটির সবগুলো স্টেপ খেলতে । এটি একটি চ্যালেঞ্জিং গেম, এবং গেমটির ৫০ টি লেভেল বা স্তর রয়েছে । গেমটি প্রথম তৈরি হয়েছিল ২০১৩ সালে । “F57” নামের একটি রাশিয়ান হ্যাকার টিম (অনেক জায়গায় এরা “ডেথ গ্রুপ” নামেও পরিচিত) এই গেমেটি তৈরি করে ।
২০১৫ সালে সর্বপ্রথম সোসিয়াল মিডিয়া “VKontakte(vk.com)” এ এর লিঙ্ক শেয়ারের মাধ্যমে এটি তুমুল ভাইরাল হয়ে পরে এবং অনেকেই গেমটি ডাউনলোড করতে শুরু করে।
*ফিলিপ বুদেকিন।
গেমটির মাস্টার মাইন্ডে ছিল “ফিলিপ বুদেকিন” নামের একজন রাশিয়ান যুবক ।সে রাশিয়ার একটি ভার্সিটিতে “সাইকোলজি” বিভাগে অধ্যায়নরত ছিল । ভার্সিটি থেকে বহিস্কৃত হওয়ার পর, সে এই গেমটি তৈরিতে মনোনিবেশ করে বলে জানা যায়। সম্প্রতি রাশিয়ার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি তাকে গ্রেফতার করে এবং তাদেরকে দেওয়া জবানবন্দিতে ফিলিপ জানায় যে, তরুন বয়সি ছেলেমেয়ে, সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা মানুষ এবং মানুষিক ভাবে বিকারগ্রস্থ রোগীদের টার্গেট করেই এই গেমটি সে তৈরি করেছে । সে আরও বলে যে, যারা এই সমাজের হতাশাগ্রস্থ মানুষ এবং যারা মানুষিক ভাবে বিকারগ্রস্থ তারা এই সমাজের বোঝা, সমাজে তাদের কোন প্রয়োজন নেই, মৃত্যুই তাদের কাম্য তাই এই গেমটির মাধ্যমে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক চাপ প্রোয়োগ করে, তাদেরকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়। আর টিনএজরা এমনিতেই চ্যালেঞ্জ প্রিয় হয়ে থাকে এবং তাদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তাদেরকে গেমটি খেলতে বাধ্য করা হয়।

*জুলিয়া এবং ভেরনিকা:

উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ব্লু হোয়েল গেমটির কারনে এখন পর্যন্ত ১৩০ জন রাশিয়ান টিনএজ এর মৃত্যু হয়েছে । এবং রাশিয়ার বাইরে অন্যান্য দেশে ৫০ জনেরও বেশি ছেলেমেয়ে মারা গেছে । ব্লু হোয়েলের শিকার গ্রীসের ১৪ বছরের একজন মেয়ে কমিউটর ট্রেনের লাইনে মাথা রেখে মারা যায় এবং সাইবেরিয়ায় ১৫ বছরের এক মেয়ে ৫ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। “জুলিয়া কন্সটাটিন ওভা” এবং “ভেরনিকা ভল্ক ওভা” নামের দুইবোন সর্বোপ্রথমএই গেমের শিকার হয় । গেমটির শেষ পর্যায়ে তারা ১৪ তলা বিশিষ্ট অ্যাপার্ট্মেন্ট থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল । প্রথম অবস্থায় তাদের মৃত্যুর কারণ কিছুই জানা যায় নি। মৃত্যুর আগে জুলিয়া তার ইন্সটাগ্রাম পেজে একটি “নীল তিমি” (Blue Whale)র ছবি দিয়েছিলো এবং তাতে লিখা ছিলো “the end”. এবং তার বোন ভেরনিকা লিখেছিল “sence is lost”. তাদের দুই বোনের সুইসাইড ভিডিওটি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। তবে যাদের হার্ট দুর্বল তাদেরকে এই ভিডিওটি না দেখার পরামর্শ রইল।
সম্প্রিতি ভারতের মুম্বায়ে এই গেমটি খেলতে গিয়ে একজন তরুন আত্মহত্যা করে এবং ভারতের মিডিয়ায় এটি খুব চাঞ্চল্যকর তথ্য হয়ে দাঁড়ায়। সে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও সোসিয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে এই গেম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। সাধারণত মধ্যম আয়ের দেশের ছেলেমেয়েরাই এই গেমে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে তবে কিছু কিছু অধিক উন্নত রাষ্ট্রেও এটি ছড়িয়ে পরছে, এদের মধ্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও চীন উল্লেখযোগ্য।

*হিউম্যান এম্ব্রেডরি
শুরুতে ব্লু হোয়েল গেমটি মুলত একটি একক গেম হিসেবে রিলিজ হলেও পরে এটি আর একটি কিলার গেম “হিউম্যান এম্ব্রেডরি” এর সাথে যুক্ত হয়ে আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করে এবং অ্যামেরিকার বেশ কিছু রাষ্ট্রে যেমন, কানাডা, মেক্সিকো ও আর্জেন্টিনার মত দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
“হিউম্যান এম্ব্রেডরি” এটি একটি কিলার গেম হলেও এর ধরণ “ব্লু হোয়েল” থেকে সম্পুর্ন আলাদা । তবে এটির সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য এখনও পাওয়া যায় নি। এর তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে, সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে এটির সম্পর্কেও বিস্তারি আলোচনা করা হবে।

২০১৩ সালে “ব্লু হোয়েল” রিলিজ হলেও ২০১৫ সালের আগে এটি জনসম্মুখে একেবারেই অপরিচিত ছিলো এবং ২০১৬ এর আগে এর সঠিক কোন তথ্য পাওয়া জায়নি। এর আগে যারাই এ গেমটি খেলেছে তাদের মধ্যে ৯০% প্লেয়ারই সুইসাইড করেছে এবং যারা নিত্বান্তই ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফিরেছে তাদের বেশির ভাগই মানুষিক ভাবে
বিকারগ্রস্থ অথবা ভয়ে তাদের অবস্থা এতটাই শচনীয় হয়েছে যে, তারা কোন ভাবেই এর সম্পর্কে মুখ খুলার সাহস পাইনি। ২০১৫ এর মাঝামাঝি সময়ে আর্জেন্টিনার এক তরুন গেমটির প্রথম ২০ লেভেল কম্পিলিট করে এর সম্পর্কে পুলিশের কাছে ক্লেম দিলেও সেখানকার পুলিশ খুব একটা গুরুত্ব দেয় নি।
২০১৬ সালে “নোভায়া গেজেটা” নামক একটি রাশিয়ান ম্যাগাজিন সর্বপ্রথম এর সম্পর্কে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে । তাদের জরিপ অনুযায়ী এই গেমটি খেলে রাশিয়ায় ১৩০ জন তরুন-তরুনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয় এবং গেমটির বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়। উক্ত খবর প্রকাশের পর রাশিয়ায় গেমটিকে তদন্তাধীন রাখা হয় এবং সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি গেমটির মাস্টার মাইন্ডদের কে গ্রেফতারের জন্য তৎপর হয় ।

*Blue whale:
প্রিয় পাঠক, আপনারা হয়ত অনেকেই এর ডাউনলোড লিঙ্ক পাওয়ার জন্য গুগল, ইয়াহু অথবা অন্যান্য ওয়েব পোর্টালে সার্চ করেছেন। কিন্তু কোনভাবেই এর লিংক খুজে পাচ্ছেন না , তাই না? আসলে সত্যি কথা বলতে ইন্টারনেটে এই গেমের কোন অস্তিত্বই নেই। হয়ত বলতে পারেন যে, ইন্টারনেটে না থাকলে, যারা এই গেমটি খেলেছে তারা এটিকে কোথা থেকে পেল !
আমি আপনাদের প্রথমেই বলেছি যে, এটি ডার্ক ওয়েবের একটি গেম। আমরা যে ইন্টারনেট পোর্টাল ইউজ করি সেটির নাম “world wide web” এবং গুগল, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি এসবই কিন্তু “world wide web” এরই একটি অংশ। আর আমাদের এই ইন্টারনেট জগতের বাইরে আরও একটি বিশাল জগত রয়েছে যার নাম “dark web”. এটি আমাদের ওয়েব থেকে একেবারেই আলাদা এবং সম্পুর্ন বিপরীত একটি ইন্টারনেট জগত। ডার্ক ওয়েবের সিরিজ গুলো পেতে হলে আমাদের ধারাবাহিক সিরিজের লিংক এ গেলেই পেয়ে যাবেন।


“dark web” সম্পুর্নরূপে একটি অন্ধকার জগত এবং বিভিন্ন ক্ষতিকর, অবৈধ ও খারাপ কাজের জন্যই এটি বিখ্যাত। এর ওয়েব সাইট গুলো সাধারণত খারাপ কাজের উদ্দ্বেশ্যেই তৈরি হয়ে থাকে। ইন্টারনেট জগতের ৮০-৮৫% অবৈধ ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধমুলক কাজ মুলত “dark web” এয় সংঘতিত হয়। সাধারণত goole chrome, firefox কিংবা opera দিয়ে এই ওয়েবে প্রবেশ করা যায় না । ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে একটি বিশেষ ব্রাউজারের প্রয়োজন হয়। তো যাই হোক, ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে আর বেশি কিছু আলোচনা করছি না। যারা ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে জানেন না তারা এই লিংকে ক্লিক করে এর বিস্তারিত দেখে নিতে পারেন। ব্লু হোয়েল ডার্ক ওয়েবেই তৈরি হওয়া একটি গেম এবং ডার্ক ওয়েব থেকে ডাউনলোড করে facebook, twitter, instagram কিমবা vk.com এ এর লিংক গুলো শেয়ার করা হয়েছিল। যারাই এই লিংকগুলো থেকে এই গেমটি ডাউনলোড করেছিল তাদের সবাইকেই বিভিন্ন মজা ও সার্পা কথা বলে গেমটি ইন্সটল করানো হয়েছিল।

তবে গেমটি এমন এক বিশেষ সিস্টেমে তৈরি করা হয়েছে যে, আপনি যে ডিভাইসেই এটি ইন্সটল দেন না কেন পরবর্তীতে আর কখনোই এটিকে আনইন্সটল করতে পারবেন না। আর এটি একবার ইন্সটল হয়ে গেলেই এর মাধ্যমে এই গেমের টিম আপনার ip location সহ সকল প্রকার পার্সোনাল ইনফরমেশন ট্র্যাকিং করতে শুরু করবে এবং আপনাকে বাধ্য করবে গেমটি খেলতে। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন যে এই গেমটি কতখানি ভয়ংকর।

আমি এতক্ষন আপনাদের ব্লু হোয়েলের বাইরের অংশ অর্থাৎ, বিভিন্ন দেশের জনসমাজে এর কতখানি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করেছে, সে সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আশাকরি কিছুটা হলেও গেমটির সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন এবং এটি আসলেই যে একটি কিলার গেম সেটাও বিশ্বাস করতে পেরেছেন। তাহলে আসুন এখন জানি গেমটির ভিতরের অংশ অর্থাৎ কি এমন আছে এই গেমের ভিতরে যা কিনা সকলকেই এর প্রতি আকৃষ্ট করছে !

*কলসি গাছ

এর সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদেরকে একটি উদাহরণ দিতে চায়, আপনারা অনেকেই হয়তো “কলসি গাছের” নাম শুনেছেন। এই গাছটির বিশেষ্যত্ব হলো, এটি পোকা-মাকড় খায়। পোকা-মাকড় ধরার জন্য গাছটি কলসির মতো দেখতে একটি বিশেষ ফাঁদ তৈরি করে এবং এই কলসির ভিতর থেকে এক ধরনের চকচকে আঠালো জাতীয় রস নিঃসৃত্ব করে। যখন কোন কীট-পত্বঙ্গ এই গাছের আশেপাশে যায়, এর চকচকে অংশ দেখে
আকৃষ্ট হয়ে কলসির ভিতেরে প্রবেশ করে আর প্রবেশের সাথে সাথেই পোকাটি আঠায় আঁটকে যায়। এই সুযোগে গাছটি তার কলসির মুখ বন্ধ করে এবং পোকাটিকে খেয়ে ফেলে। খাওয়ার পর কলসির মুখ খুলে যায় এবং রস নিঃসরণ করে আবার চলতে থাকে নতুন শিকারের আয়োজন।
আবার অনেকেই দেখে থাকবেন যে, মাকড়াসার জালে আঁটকে পরা মাছি কিংবা কোন পোকার কি অবস্থা হয়। আঁটকানো অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এরা যতই ছুটাছুটি করে ততবেশি তারা জালে আঁটকে পড়ে।
ব্লু হোয়েল গেমটিও কলসি গাছ কিংবা মাকড়াসার জালের মতই পাতা একটি ফাঁদ। যে কেও এর ভিতরে প্রবেশ করলে এর থেকে বেরিয়ে আসার আর কোন সুযোগ থাকে না।

প্রথমেই আপনাদেরকে বলেছি যে, এটি একটি চ্যালেঞ্জিং গেম এবং এর ৫০ টি চ্যালেঞ্জ লেভেল বা স্তর রয়েছে। এটি মুলত একটি অনলাইন গেম অর্থাৎ ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া এই গেমটি খেলা যাবে না। গেমটির প্রতিটি লেভেল পুরনের আগে ও পরে গেমের টিম মেম্বাররা প্লেয়ারদের সাথে যোগাযোগ করে এবং পূর্ববর্তী লেভেল সঠিকভাবে সম্পুর্ন করতে পারলেই তাকে পরবর্তী লেভেল খেলার সুযোগ দেওয়া হয়।
গেমটির প্রথম ১০ লেভেল একেবারেই সোজা এবং যে কেওই এটি পুরন করতে পারবে। যেমন, বলা হবে সকাল ০৪:২০ এ উঠতে হবে, একটি হরর মুভি দেখতে হবে, আপনার প্রিয় খাবার খেতে হবে ইত্যাদি। কিন্তু এর লেভেল যতই বাড়তে থাকে ততো বেশি এটি ভংকর রূপ ধারণ করতে থাকে। এবং এর ৫০ নং লেভেলে প্লেয়ার কে সুইসাইড করার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়। আর খুব কম মানুষই আছে যারা এর থেকে বেঁচে ফিরেছে।

যেহেতু ব্লু হোয়েল টিনএজ অর্থাৎ ১৪-১৮ বছরের ছেলেমেদের উদ্দেশে তৈরি করা হয়েছে সেহেতু তাদেরকে ইম্প্রেস করার জন্য অনেক কিছুই রয়েছে এই গেমের ভিতর। আর এই বয়সি ছেলেমেয়েরা এমনিতেই প্রতিযোগিতা প্রবন বা চ্যলেঞ্জপ্রিয় হয়ে থাকে। এরা অপরিচিত মানুষদের বেশি বিশ্বাস করে এবং বাস্তব জগতের চাইতে অবাস্তবকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। এরা যেকোন চ্যালেঞ্জ গ্রহনের জন্য প্রস্তুত থাকে। যেমন ধরুন তিন বন্ধু, তাদের নাম যথাক্রমে A,B,ও C. এবং তাদের উভয়ের বয়সই ১৪-১৫ এর মাঝামাঝি। তারা তাদের স্কুলের মাঠে খেলা করছিল। মাঠের পাশে একটি বিশাল গাছের কাছে এসে B ও C এর মাথায় একটি নতুন বুদ্ধি উদয় হয়। A ছিলো B ও C র চাইতে কিছুটা ছোট। B এবং C লম্বায় A থেকে খানিকটা বড় হওয়ায় তাকে অনেকটা ভেংচি কেটে বলে উঠলো যে, দেখ A. তোর মতো একটি পুচকে ছেলে এই গাছটিতে কখনোই উঠতে পারবে না।
তখন খুব স্বাভাবিক ভাবেই A এর মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তার মতো একটি বড় ছেলেকে পুচকে বলছে, আবার বলছে যে এই গাছটিতে সে উঠতে পারবে না। এটা কিছুটা হলেও তার পার্সনালিটিতে আঘাত করেছে। সুতরাং, সে নিজের অজান্তেই বলে বসে, কে বলেছে তোদের যে, আমি ওটাতে উঠতে পারব না, দেখতে চাস? তখন B আর C একসাথে বলে বসে, আমরা ৫০ টাকা করে বাজি ধরে বলতে পারি যে, তুই এটাতে উঠতে পারবি না।

A তখন টাকার জন্যই হোক অথবা নিজের পার্সনালিটি রক্ষার জন্যই হোক সে গাছটিতে উঠতে আরম্ভ করে। সে ভাবে না যে, এত বড় একটি গাছ বেয়ে উঠা তার পক্ষে আসলেই সম্ভব কিনা! কিংবা এই বিশাল গাছেটি থেকে পড়ে গেলে হাত-পা ভেঙ্গে গেলে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, তাতেও তার কিছু যায় আসে না। তার কাছে এই গাছে উঠাটাই সবথেকে বড় কথা, কারন তারা তার পার্সনালিটিতে আঘাত হেনেছে।

বেশির ভাগ টিনএজারা মুলত A, B ও C এর মতই অত্যাধিক চ্যালেঞ্জ প্রবল হয়ে থাকে। আবার অনেকেই আছে যারা সবার সাথে মিশতে পছন্দ করে না অথবা স্কুলে কিছু নির্দিষ্ট ফ্রেন্ড ছাড়া ক্লাসে আর কারও সাথেই মিশে না। যদি কোন দিন তার নির্দিষ্ট ফ্রেন্ড স্কুলে অনুপস্তিত থাকে, তাহলে তাদের আর কিছুই ভাল লাগে না। তখন বাধ্য হয়ে ক্লাস না করেই বাসায় ফিরে আসে। আবার বাসায় ফিরে এসেও একি অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। নিজের ঘরে বসে থেকে
অথবা টিভি দেখে দেখে তারা টায়ার্ড ও বোরড হয়ে যায় । তখন তাদেরকে একাকিত্ব ঘিরে ফেলে। শহরের বেশির ভাগ ছেলেমেদেরই একই অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, কিংবা ইন্সটাগ্রাম চালিয়েও তারা Bored হয়ে পরছে এবং একাকিত্ব তাদের গ্রাস করে ফেলছে। এই একাকিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তাদের নতুন কিছু চাই আর এর জন্যই তারা ইন্টারনেটে বিভিন্ন আজেবাজে বিষয় সার্চ করতে থাকে এবং বিভিন্ন লিংকে ক্লিক করতে থাকে,
আর এই আজেবাজে লিংকের মাধ্যমেই ব্লু হোয়েল তাদের সামনে এসে ধরা দেয় এবং তারা পা দেয় এর মরণ ফাঁদে!

চ্যালেঞ্জিং এর আরও একটি মুল মাধ্যমে হচ্ছে টেলিভিশন। টেলিভিশনে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রায়সই বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জিং অনুষ্ঠান প্রচার হয়ে থাকে। যেমন, কোন অনুষ্ঠানে দেখানো হয় একটি কালো কাপড় দিয়ে প্রতিটি প্রতিযোগিদের চোখ বেঁধে বেধে দেওয়া হয় এবং হাতে কিছু সংখ্যক বল দিয়ে তাদের ৮-১০ ফুট সামনে থাকা ছোট ঝুড়িতে বলগুলো ফেলতে বলা হয় , আবার অনেকসময় ঝুড়িতে অনেকগুলো বিভিন্ন রঙের বল রেখে দেওয়া হয় আর প্রতিযোগিদের বলা হয় যে, ৩০ অথবা ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে
কিছু নির্দিষ্ট রঙের বল আলাদা করতে বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যে সবথেকে বেশি বল আলাদা করতে পারে তাকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। আর প্রতিটি অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের আকর্ষনীয় সব পুরুস্কার দেওয়া হয়। এসব ছোট ছোট চ্যালেঞ্জের বাইরেও অনেক বড় বড় হার্ড চ্যালেঞ্জিং অনুষ্ঠানও প্রচার হয়ে থাকে যেমন, বিভিন্ন সাইন্স চ্যানেলে প্রচারিত “wild life chalenging program” যেখানে এক বা একাধিক মানুষকে পৃথিবীর এমন সব বিপদজনক স্থানে রেখে আসা হয় যেখানে
পদে পদে রয়েছে মৃত্যুর আশংকা। আধুনিক কোন সরঞ্জাম ছাড়া সম্পুর্ন বন্য উপায়ে জীবন-যাপন করতে হয় এবং মৃত্যুর মুখে নিজের জীবনটাকে টিকিয়ে রাখাটাই সবচাইতে বড় চ্যলেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকেই আছেন যারা এই ধরনের চ্যলেঞ্জ গ্রহণ করে থাকেন। এদের মধ্য “বিয়ার গ্রিলস” কে তো আমরা সবাই চিনি।

ব্লু হোয়েল গেমটি যখন কেও ওপেন করে তখন তাকে প্রথম চ্যালেঞ্জ আনলক করার জন্য রিকোয়েষ্ট করতে হয়। এরপর গেম এর টিম মেম্বাররা তার সাথে যোগাযোগ করে আর সে যদি টিনএজ হয় তাহলে তো কোন কথায় নেই। তখন তাকে বলা হবে যে, সে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে আগ্রহী কি না? যদি আগ্রহী হয় তাহলে তাকে একটি ওয়ার্নিং দেওয়া হয় যে, এ গেমটির সবগুলো চ্যালেঞ্জ কমপ্লিট করতে গিয়ে তোমার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, যদি রাজি থাকো তাহলে Accept কর অন্যথায় এটিকে
Reject করে দাও। তখন একজন টিনএজার ভাবে যে আমি তো গেমটি আমার ঘরে বসে খেলব তাই তারা আমার কি এমন ক্ষতি করতে পারবে, so, আমি এটা accept করেই দেই। এর একটি নমুনা হলো –
victim – I want to play the game.
blue W. team – R u sure? There’s no way to go back.
– Yes. What does that mean? No way back?
– You can’t leave the game once u begin.
– am ready.
– carry out each task diligently and no one must know about it.
when u finish a task u send us a photo. at the end of the game,
u die. R u ready?
– And if I wanna get out?
– We have all your information. They will come after u.
bt don’t worry. The first challenge has unlock for u.

আর এভাবেই unlock করে দেওয়া হয় গেমটির প্রথম চ্যালেঞ্জ। আমি প্রথমেই বলেছি এই গেমটির প্রথম ১০ টি লেভেল খুবই সহজ, আকর্ষনীয় ও চমকপ্রদ। সাধারণত বলা হয়ে থাকে যে, যার আকর্ষন করার ক্ষমতা যত বেশি মানুষ তাকে ততোবেশি ভালোবাসে ও বিশ্বাস করে। গেমটিও একই কৌশল অবলম্বন করেছে। এটি শুরুতে খুবই মনভোলানো কথাবার্তা, মজার টিপস এবং ছোট ছোট চ্যালেঞ্জ দিয়ে যে কাওকেই আপন করে নেয়। তবে এর আকর্ষন করার ক্ষমতা এতটাই প্রবল যে,
যারায় এই গেমটি খেলেছে, তাদের সবাই এর প্রথম ১০ লেভেল খেলার পর এটিকে তাদের নিজের জীবনের একটি অংশ বানিয়ে ফেলেছিল। গেমটিতে তাদেরকে যে তথ্য দেওয়া হতো তারা যাচাই বাছাই না করেই তা বিশ্বাস করে ফেলত এবং সে অনুযায়ী কাজ করত। কারণ তারা জানত, যাকে জীবনের একটা অংশ বানিয়েছি সে নিশ্চই আমাদের সাথে কোন বেইমানি করবে না। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তাদের ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এর পাসওয়ার্ড সহ বিভিন্ন পারসনাল ইনফরমেশন
হাতিয়ে নিতে শুরু করা হয়।



*ট্যাটু চ্যালেঞ্জ: 

প্রথম ১০টি চ্যালেঞ্জ কম্পিলিট হওয়ার পর গেমারকে পরবর্তী ১০ লেভেল খেলার জন্য প্রিপেয়ার করানো হয়। যেহুতু টিনএজরা কল্পনা প্রবল হয়ে থাকে সেহেতু এই লেভেল গুলোতে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে প্রচুর কল্পনা করানো হয়। আর এই পর্বেও চলতে থাকে ছলেবলে কৌশলে তাদের পার্সনাল ইনফরমেশন হাতিয়ে নেওয়ার কাজ। আর একজন প্লেয়ার নিজের অজান্তেই তাদেরকে সব তথ্য দিতে থাকে।
এই পর্বে ১৫ লেভেলের পর গেমারকে একটি নীল তিমির একটি ছবি আঁকতে শেখানো হয় এবং পরবর্তী কোন এক লেভেলে ব্লেড দিয়ে হাত কেটে উক্ত ছবিটি আঁকতে বলা হয়। বলা হয় যে, ব্লেড অথবা সুচ দিয়ে তোমার হাতে একটি ব্লু হোয়েলের (নীল তিমির) ছবি আঁক, কিন্তু সাবধান এর ক্ষত যেন বেশি গভীর না হয়। আর এভাবেই শেষ হয় আরও দশটি লেভেল ।


*ড্রাগ চ্যালেঞ্জ
প্রথম ২০টি চ্যালেঞ্জ কম্পিলিট হওয়ার পর পরবর্তী ২১-৩০ নং লেভেলে গেমার টিম তাদের কৌশল পাল্টে ফেলে। কারণ ইতিমধ্যেই তারা একজন গেমারের ছোট-খাটো সকল তথ্য ও পার্সনাল ইনফরমেশন নিয়ে নেয়। এবং এর পরই তারা গেমারকে বেশ কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এই পর্বের চ্যালেঞ্জগুলোর অনেকটা “হিপন্সিস” এর মাধ্যমে ঘটানো হয়। হিপ্নসিস হলো মানুষের মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রন করার একটি প্রক্রিয়া। আর এই প্রক্রিয়াকে নিখুত ভাবে কাজে লাগিয়ে গেমারকে পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করা হয়। যেমন, ঠান্ডার রাতে একটা হালকা ড্রেস পরে সারারাত জেগে হাকা এবং সারাদিন না খয়ে থাকা, পরিবারের সাথে ঝগড়া করা এবং বাড়ি থেকে টাকা চুড়ি করা, ঘনিষ্ট বন্ধু-বান্ধবের একান্তই কিছু ব্যক্তিগত জিনিশ চুরি করা এবং প্রমান হিসেবে সেগুলোর একটি করে ফটো আপলোড দেওয়া ইত্যাদি। ২৫ লেভেলের পর গেমারকে বিভিন্ন ড্রাগ নিতে অভ্যাস্ত করা হয় এবং খুব সুক্ষভাবে হিপ্নসিসের মাত্রা বৃদ্ধি করে লেভেল ৩০ পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

৩০ টি চ্যালেঞ্জ সম্পুর্ন হলে ব্লু হোয়েল টিম আরও বেশি কৌশলী হয়ে উঠে এবং তারা পরবর্তি লেভেল গুলো একেবারেই আনলক করতে চাই না। আর এদিকে ৩০ টি লেভেল কম্পিলিট করে একজন গেমারের অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, সে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে এর জন্য সে যেকোন কিছু করতে করতে প্রস্তুত থাকে। আর তারা এটাকেই সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে তারা গেমের ৩১ নং চ্যালেঞ্জ আনলক করে দেয় আর তাতে বলা হয় যে, তুমি নগ্ন পোজে বেশকিছু ফটো তুলে আমাদের কাছে আপলোড করো।
গেমার তখন ড্রাগের কারণে হোক অথবা হিপন্সিস জনিত কারনেই হোক সে গেমটার প্রতি এতটাই অ্যাফেক্টেড হয়ে পরে যে সে নিজের নগ্ন ফটো আপলোড দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। আর এ ভাবেই গেমটি তাকে পরবর্তী লেভেল গুলোতে বাধ্য করে অতি ভারিমাত্রার ড্রাগ নিতে, কারও সাথে সেক্স করে তার ফটো আপলোড দিতে আর গেমটির ৪০ নং চ্যালেঞ্জে বলা হয় যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত পক্ষে ২৫ থেকে ৩০ টা সুচ প্রবেশ করিয়ে তার একটি ফটো আমাদের কাছে সেন্ড করো।

*dethly blue whale

৪০ টি চ্যালেঞ্জ কম্পিলিট হওয়ার পর গেমার এতটাই মানুষিক ভাবে বিকার গ্রস্থ ও ভীত হয়ে পরে যে, সে বার বার ব্লু হোয়েল টিমকে রিকোয়েষ্ট করতে থাকে, সে আর এই গেমটি খেলতে চায় না, সে আর চাপ নিতে পারছে না, তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু ব্লু হোয়েল টিম তাকে আরও বেশি চাপ প্রয়োগ করতে তাকে ব্লাক মেইল করতে শুরু করে। বলে যে, তুমি যদি পরবর্তি চ্যালেঞ্জ গ্রহন না কর। তাহলে তোমার নগ্ন ফটো গুলো তোমার ফেসবুকে পোষ্ট করে দেওয়া হবে, তোমার ড্রাগ নেওয়ার সকল প্রমান পুলিশকে দিয়ে দেওয়া হবে, তোমার সেক্স করার ফটোগুলো তোমার বাবা-মায়ের কাছে প্রকাশ করে দেওয়া হবে, ফ্রেন্ডদের ব্যক্তিগত জিনিশ ও বাড়িতে টাকা চুড়ির ঘটনাগুলোও প্রকাশ করে দেওয়া হবে। তাদের এই ধরণের কথা শুনে গেমার আরও বেশি আতংকিত হয়ে পরে এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয় পরবর্তি চ্যালেঞ্জ accept করতে। সুতরাং আবার তাক বাধ্য করা হয় শরীরে ব্লেড কিংবা ছুরি চালাতে এবং ভারি মাত্রার ড্রাগ নিতে। গেমার যখন আর এ সব চাপ নিতে পারে না তখন সে আপন মনেই আত্নহনের পথ বেছে নেয়। গেমটির ৫০ নম্বর চ্যালেঞ্জে বলা হয় ,
এটি সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ, এর পর আমরা তোমাকে আর কোন ভাবে বিরক্ত করব না। এই চ্যালেঞ্জে তোমাকে আমাদের দেখানো নির্দেশনা অনুযায়ী শেষবারের মত একটি ড্রাগ সংগ্রহ করতে হবে। এটি নিয়ে কোন একটি উচু বিল্ডিং এর ছাদে উঠতে হবে এবং একেবারে কিণারায় দাড়িয়ে এটি তোমার শরীরে পুশ করতে হবে এবং প্রমান সরুপ এর একটি সেলফি তুলে আমাদেরকে দিতে হবে, যাতে করে আমরা বুঝতে পারি যে, তুমি সকল নির্দশনা গুলো সঠিক ভাবে পুরণ করেছ আর এরপরই তোমাকে সকল পার্সনাল ইনফরমেশন ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তুমি গেমটিকে আনইন্সটল করতে পারবে এবং তুমি সেফ থাকবে।

*সুইসাইড-

নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথেই গেমার ড্রাগটি সংগ্রহ করে ফেলে এবং সেটি নিয়ে একটি ১৫ তলা আপার্ট্মেন্টের একবারে কিনারায় দাঁড়িয়ে সেটিকে নিজের শরীরে পুশ করে দেয়। পুশ করার একটি সেলফি তুলে সেটি ব্লু হোয়েলে আপলোড করে এবং এর টিম মেম্বাররা এটি নিশ্চিত হয়ে তাকে কংগ্রাচুলেশন্স জানায় । বলে তুমি এই গেমের সকল লেভেল সম্পুর্ন করেছ এবং তোমাকে আমাদের আর দরকার নেই, তাই আজ থেকে তুমি মুক্ত। নিচে তাকিয়ে দেখ তোমার গন্ত্যব্য তোমাকে ডাকছে, সূতরাং,
বেশি দেরি করো না, এক্ষনি ঝাঁপ দাও। আর গেমার তখন ড্রাগ অ্যাফেক্টেড থাকার কারনে সম্পুর্ন হীতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং বুঝতে পারে না যে, তাকে কি করতে হবে। প্রচন্ড ঘু্মের চাপে তার চোখ বন্ধ হয়ে আসে, সে চারদিকে ঝাপসা দেখতে শুরু করে। নিজের অজান্তেই সে সত্যি সত্যিই ঝাঁপ দিয়ে বসে এবং নিজের মুক্তির পথ খুজে নেয়। আর ব্লু হোয়েলও খুজতে থাকে তার পরবর্তী শিকারকে।

ব্লু হোয়েলের আরও আকর্ষনীয় বিষয় হলো এর simple graphical interface. এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকা এর বেশ কিছু ব্রেইন ওয়াশ background music. গেমটির গ্রাফিক্স খুব সিম্পল হলেও এর পুরো ইন্টারফেস সকলেরই পছন্দ হবে। আর একজন মানুষকে মেডিটেট করার জন্য মিউজিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মানুষকে হিপ্নসিস করার ক্ষেত্রে কিছু মিউজিক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ব্লু হোয়েলে এই বিষইটিকে খুব সুন্দর ভাবে কাজে লাগানো হয়েছে। অনেকেই হয়তো ভাবছেন যে, একটি মিউজিক কিভাবে মানুষের ধ্যান-জ্ঞানকে এক করে ফেলতে পারে।কিন্তু আসলে এটিও সম্ভব।

মধ্যযুগে ইরানের কিছু দস্যুরা দস্যুবৃত্তির জন্য এক বিশেষ কৌশল অবলম্বন করেছিল। নির্জন মরুভূমিতে যখন কোন কাফেলা যেত, তারা তার আশেপাশে সন্তুর (ইরানি বাদ্যযন্ত্র) এর এমন এক রাগ সৃষ্টি করত যে, কাফেলার সকল লোকজন সে সুরে বিমহিত হয়ে পরত আর মাতাল হয়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকত। এই সুযোগে দস্যুরা তাদের সমস্ত অস্ত্রসস্ত্র, ধনসম্পদ ও মালামাল লুট করত। ব্লু হোয়েলের টিমও একই কৌশল কাজে লাগিয়েছে। গেমারকে ভারি কোন চ্যলেঞ্জ দেওয়ার আগে তাকে ড্রাগ এবং গেমটিতে কিছু ব্রেইন ওয়াস মিউজিক চালিয়ে দেওয়া হতো। হিপ্নসিস করার পূর্বে তারা এই মিউজিক গুলোকে প্রধান হাতিয়ার
হিসেবে ব্যবহার করত। এর ফলসরুপ গেমারের ধ্যান, মন ও জ্ঞান একটি বিন্দুতে পরিনত হত আর তাকে বাধ্য করা হত সামনের চ্যলেঞ্জগুলোকে accept করতে।



গেমটিতে বেশকিছু ব্রেইন ওয়াশ মিউজিক রয়েছে। তবে “all I want” নামের মিউজিকটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়।এটি ইন্টারনেটে available আছে। গেমের মতই এটিও সমান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এরকম আরও একটি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এই গেমে রয়েছে । মিউজিকটির টাইটেল হলো “Runway”.
ব্লু হোয়েলের তৈরি করা একটি ভিডিওসহ মিউজিকটি এই লিংকে দেওয়া আছে। আপনারা যারা শুনতে চান তারা [link|এই লিংকে ক্লিক করে শুনতে পারেন। ভিডিও সহ পুরো মিউজিকটিই এখানে দেওয়া আছে। কেউ যদি ভাবেন যে এটি আমার কতখানি ব্রেইন ওয়াস করতে পারবে? তাহলে আমি বলব রাত 02:00 am এর পর অন্ধকার একটি ঘরে রিলাক্স হয়ে বসে অথবা শুয়ে মিউজিকটি শুনুন, আশা করছি নিজেই এর উত্তরটি পেয়ে যাবেন। এটি প্রথাগত ধারার বাইরের একটি মিউজিক । এটি শুনার পর কিছুটা হলেও আপনি নতুনত্বের স্বাদ পাবেন।

ব্লু হোয়েল গেমটি বিদেশে বেশ আতংক ছড়িয়ে রাখলেও আমাদের দেশে এর কনো প্রভাব নেই। রাশিয়াসহ বাইরের বেশকিছু রাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই গেমটি নির্মূল করার ব্যপারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেই সব দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ডার্ক ওয়েবের বিভিন্ন সাইট access করছে এবং বিভিন্ন জাইগায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই গেমের লিংক গুলোকে জব্দ করছে। বাংলাদেশে এর কোন প্রভাব না থাকলেও এর জন্য গনসচেনতা জাগিয়ে তুলা খুবই জরুরি। কেননা কেও জানে না কে কখন এই গেমের শিকার হয়ে পরবে। তাই এখনই সচেতন হোন এবং অপরকে সচেতন করুন। নিজের ছেলেমেয়েদের প্রতি খেয়াল রাখুন, তারা ফোনে অথবা পিসিতে কি করছে, কোন সাইটে
ঢুকছে, কোথায় যাচ্ছে, কাদের সাথে মিশছে, এসব বিষের প্রতি যত্নবান হোন। আর বাবা-মায়দের আমি অনুরোধ করে বলছি, প্লিজ আপনারা কেউ আপনাদের ১৪-১৫ বছরের সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিবেন না। তারা যতই বায়না করুক না কেন। ছেলেমেয়ে বায়না করবেই, কিন্তু তাদের সব বায়না পুরণ করে দেওয়া মানে তাদেরকে ধংশের মুখে ঠেলে দেওয়া। সুতরাং, সাবধান হন। তাদেরকে কোন মতেই স্মার্টফোন কিনে দিবেন না। যদি বাসা থেকে স্কুল খুব দূরে হয় এবং স্কুলে থাকা অবস্থায় ছেলেমেয়ের সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হয় কিংবা একান্তই কোন প্রয়োজনে তাদেরকে যদি ফোন দিতেই হয়, তাহলে একটি নরমাল কথা বলা ফোন দিন। এতে করে আপনার যেমন উদ্দেশ্য পুরন হবে অন্যদিকে আপনার সন্তানও সেফ থাকবে।



স্মার্টফোনে ব্লু হোয়েলই যে একমাত্র আতংক তা কিন্তু নয় একজন বাচ্চার কাছে একটি স্মার্টফোন থাকলে তার কি পরিমান ক্ষতি হতে পারে তা নিশ্চয় আপনাদেরকে বুঝাতে হবে না। তাই আবারও বলছি তাদেরকে স্মার্টফোন দেওয়া থেকে বিরত রাখুন। তাদের প্রতি যত্নবান হন, কাজের চাপে তাদের কখনই দূরে সরিয়ে দিবেন না। প্রতিদিন রাতে অন্তত পক্ষে এক ঘন্টা করে হলেও তাদেরকে সময় দিন এবং তাদের ভালোমন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন। শাষন করতে হলে মেরে শাসন করবেন না,
তাদেরকে বুঝিয়ে বলুন অথবা হালকা ভাবে শাসন করুন। কোন ভুল করলে নিজ দায়িত্বে তাদের ভুলগুলোকে শুধরিয়ে দিন এবং তাদের ভিতর সামাজিক ও ধর্মীয় মুল্যবোধ জাগিয়ে তুলুন। তাহলে দেখবেন তারা কখনো আর ভুল পথে যাবে না এবং আপনারাও তাদের কাছে আজিবন শ্রেষ্ঠ বাবা-মা হয়েই থাকবেন। আর এভাবেই সন্তানদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আশা করছি।

শেষ করার আগে আর একটি কথা, অনেকেই মনে করছেন যে, যেহুতু ব্লু হোয়েলের নির্মতাকে অ্যারেষ্ট করা হয়েছে সেহুতু এটি আর কোন আতঙ্কের বিষয় না। এটা একেবারেই ভুল। এর নির্মাতাকে গ্রেফতার করা হলেও এর টিম মেম্বাররা বিভিন্ন দেশে থেকে গেমটিকে সক্রিয় রেখেছে। আর যেহেতু এর ভয়াবহতা সবাই জেনে ফেলেছে সেহুতু এটি নতুন কোন কৌশলে আবার হাজির হতে পারে। তাই সাবধান হোন । কোন আজেবাজে লিংকে ঢুকবেন না কিংবা কোন আকর্ষনীয় অ্যাপ বা গেম দেখা মাত্রই ইন্সটল করে ফেলবেন না। কোন অ্যাপ বা গেম ইন্সটল করার আগে অন্তত্বঃপক্ষে একবাবের জন্য হোলেও ভেবে নিন যে, আসলেই এটি আপনার প্রয়োজন আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে তাকে এড়িয়ে চলায় ভালো। আপনার বন্ধু-বান্ধব কিংবা আশেপাশের কোন পরিচিত মানুষকে, ফেসবুক, টুইটার অথবা ইন্সটাগ্রামে #IaminWhale লিখে কোন পোষ্ট করতে দেখেন তাহলে বুঝে নিবেন, সে ব্লু হোয়েলের শিকার হয়েছে। কেননা এই গেমের কোন এক চ্যালেঞ্জে প্লেয়ারকে
বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় #IaminWhale লিখে হ্যাস ট্যাগ দিতে। এরকম কোন পোষ্ট দেখলে তাকে অবস্যই গেমটির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্ক বলুন এবং গেমটি খেলতে নিষধ করুন, তার ফ্যামিলিতে ব্যাপারটি জানান আর তাকে মৃত্যর হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন।

 দুইটি ভিডিও লিংক দেওয়া হলো। যাদের ব্লু হোয়েল সম্পর্কে এখনো কৌতুহল মিটে নি, তার প্রথম ভিডিওতে দেখতে পাবেন, গেমটি ইন্সটল করার পর এতে ০১ থেক ৫০ লেভেল পর্যন্ত কি কি চ্যালেঞ্জ থাকে এবং দ্বিতীয় লিংকে দেখতে পাবেন এই গেমটির শিকার হয়ে একজন চাইনিজ তরুনি কিভাবে মৃত্যর পথ বেছে নিচ্ছে। দুটো লিংকই নিচে দেওয়া রইলো। 
blue whale all challenges: view this link
blue whale chinese documentary: view this link

লেখা-  Nok Naim / Ebangla.Tech। 


দেখে নিন কিভাবে ব্লু হোয়েল এ আসক্ত হয়ে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে আসা কিশোরের গল্প।