সফটওয়্যার বা টেকনলজিতে বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই, দেশের মেধাবী তরুন প্রজন্মের তৈরী এপস ও গেমস জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিদেশি গেম বা এপস এর মতই , 
মোবাইল বা পিসির এই এপস গুলো তারা তৈরী করছে অনেকটাই নিজ উদ্দ্যোগে কিন্তু এই খাতে  দেশে স্পন্সর করার মত কোম্পানী নেই বললেই চলে , মার্কেটিং এর অভাবে এই এপস বা গেমস পৌছাতে পারছে না সবার কাছে, ফলে ঠিক মত মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না 
তো আসুন দেখে নেই বাংলাদেশের তরুনদের তৈরী কিছু মোবাইল গেমস , যা খেলার সময়  হয়ত কিছু সময়ের জন্য দেশি ফ্লেবার পাবেন , তো দেড়ি না করে আসুন জেনে আসি এমন কিছু এপস সম্পর্কে ,


অ্যাকশন এগঃ
এন্ড্রয়েড ও আইফোনের জন্য তৈরী  গেমসটি মুলত তৈরী করা হয়েছে শিশুদের জন্য , কিন্তু বড়দের কাছেও এই গেম জনপ্রিয়তা পেয়েছে । অ্যাকশন এগ একটি আত্মরক্ষামূলক গেম যেখানে গেমারকে একটি ডিম হিসেবে খেলতে হবে। গেমটির পটভূমি হলো সায়েন্স ফিকশন ধাঁচের। কিছু ডিমকে ডিম নগরী থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করা হয়। গেমার-এর কাজ হলো সুস্থ অবস্থায় সবাইকে নিয়ে সেখান থেকে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়া। প্রথমদিকে একটু সোজা হলেও গেমটি ধীরে ধীরে কঠিন করা হয়েছে। গেমারকে বিভিন্ন সময় অনেক সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে। গেমটিতে অনেক পাওয়ার আছে যেগুলো গেমার ইন অ্যাপ পারচেজ করে নিতে পারবেন। ভালো খেললে সেগুলো পুরস্কার হিসেবে ফ্রি পাওয়া যাবে। এছাড়াও প্রতিদিনই অসংখ্য পাওয়ার বিভিন্ন উপায়ে পাওয়া যাবে। এটি একটি ট্যাপ দিয়ে খেলার গেম। গেমারদের সুবিধার্থে প্রথমেই একটি টিউটোরিয়াল দেখানো হয়েছে। ২০১২ সালে বায বাংলা নামের কোম্পানী এই গেমটি  উন্মুক্ত করে ।


হিরোজ অফ ৭১
এন্ড্রয়েডে গেম খেলেন অথচ হিরোজ অফ ৭১ এর নাম শুনে নি এমন লোক কমই রয়েছে ,  মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভুমিতে তৈরী গেমটি রিলিজ পেয়েছিল বিজয় দিবসের দিন । বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর মিলে তৈরী এই গেমটি পোর্টব্লিস নামক কোম্পানীর ব্যানারে প্রকাশ পায় । 

হাইওয়ে চেসঃ 
রাইস আপ ল্যাবস  বাংলাদেশের জনপ্রিয় গেম মেকিং কোম্পানীর মধ্যে অন্যতম । হাইওয়ে চেস তাদেরই তৈরী একটি গেম। ‘হাইওয়ে চেস’ গেমটি অ্যাকশন ও শুটিংপ্রেমীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। গেমটিতে গেমারের চরিত্রে রয়েছেন একজন স্নাইপার। যার কাজ হলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে চোরের গাড়ি ধ্বংস করা। পাশাপাশি পথচারী ও সাধারণ গাড়িতে যেন আঘাত না লাগে, সেটিও খেয়াল করা।
আশরাফুল আজাদ আরও বলেন ছোট-বড় সবার জন্য উপযোগি করে ‘হাইওয়ে চেস’ গেমটি তৈরি করা হয়েছে। সময় কাটানোর জন্য মজার একটি গেম। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার খেয়াল রেখে গেমটিতে উন্নতমানের সাউন্ড ইফেক্টস, আকর্ষণীয় গ্রাফিক্স এবং পয়েন্ট সুবিধা রয়েছে। পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে গেমার গেমের বিভিন্ন ধাপ আনলক করতে পারবেন। দীর্ঘদিন সময় নিয়ে একটি দল এ গেম তৈরিতে কাজ করেছে।

ট্যাপ ট্যাপ এন্টসঃ
বাংলাদেশের গেম কে পৃথিবীর বুকে পরিচয় করিয়ে দেয়া গেম বলা যায় এটিকে , গেমটিতে স্ক্রিনের নিচের অংশে কিছু খাবার থাকবে এবং সে খাবার খেতে স্ক্রিনের চারপাশ থেকে ক্ষুধার্ত পিঁপড়া আসতে থাকবে। গেমারের কাজ হবে-স্ক্রিনে টাচ করে প্রতিটি পিঁপড়াকে পিষে মারা এবং পিঁপড়ার হাত থেকে খাবার রক্ষা করা। এতে চারটি গেম মোড আছে; বিশেষত বাচ্চাদের জন্য আছে কিড মোড-যা কিছুটা কার্টুনধর্মী করে বানানো। এ গেমটিতে বিভিন্ন রকমের পিঁপড়ার পাশাপাশি সেগুলোর সক্রিয়তার মাঝেও বৈচিত্র্য দেখা যাবে। গেমের মধ্যে আছে দানব বা মনস্টার পিঁপড়া, যার এক কামড়েই গেম ওভার হয়ে যেতে পারে। সময় অতিক্রমের সঙ্গে সঙ্গে পিঁপড়ার সংখ্যাও বাড়তে থাকবে। এ ছাড়াও গেমটিতে পৃথক পৃথক ব্যাকগ্রাউন্ড, মিউজিক সহ রয়েছে আরও কিছু বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশের গেমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ডাউনলোড ও আন্তর্জাতিক পুরুষ্কার ও রয়েছে এর ঝুলিতে  


মুক্তি ক্যাম্পঃ 
এখনো প্রকাশিত হয়নি গেমটি , তবে ট্রেইলার এরই মধ্যে মাত করে দিয়েছে সব , পোর্ট ব্লিস এর ব্যানারে তাদের হিরোজ অফ ৭১ এর পরবর্তী ভার্শন বলতে পারেন একে 
তবে ওইগেম থেকে এর ভিন্নতা অনেক থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে । 
মোবাইল গেমস খেলেননি এমন মানুষ খুঁজে কম পাওয়া গেলেও মোবাইল গেমস পিসিতে খেলেছেন এই মানুষের সংখ্যা অনেক 
অনেক কম। কারন? হ্যাঁ প্রথম কারন হল অনেকের পিসি নাই 😛 তারপরে যাদের আছে তাদের মধ্যেই অনেকে জানেন না।

যাই হোক কিভাবে মোবাইলের জাভা গেমস আপনারা আপনাদের পিসিতে খেলবেন সেটা আপনাদের বলছি। এজন্য  আপনাকে ছোট একটি সফটওয়্যার পিসিতে ইন্সটল করতে হবে। 

সফটওয়্যারটির নাম PC Java Emulator installer 



তবে তার আগে একটা কথা আছে। সেটা হল এই সফটওয়্যারটি চালাতে হলে আপনার পিসিতে অবশ্যই  Java Runtime Environment  সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে রাখতে হবে।


প্রযুক্তির  কল্যানে মোবাইল ফোন এখন সবার হাতে হাতে , এন্ড্রয়েডের রিকমারী স্মার্ট ফোনের  জন্য রয়েছে হাজার হাজার এপস , যা হাতের ছোট্ট ডিভাইসকে করে তুলে আরো শক্তিশালী ও কার্যকরী 
তো আসুন জেনে আসি কয়েকটি প্রয়োজনীয় এন্ড্রয়েড এপস সম্পর্কে ,

E2B Dictionary :

ইংলিশ থেকে বাংলা ডিকশনারী গুলোর মধ্যে বেস্ট বলতে পারেন এটিকে , ইন্টারফেস যথেষ্ট সুন্দর , ইংলিশ অডিও সহ বিভিন্ন সুবিধা  রয়েছে এতে , তবে ঘন ঘন আপডেট আসলেই বিরক্তিকর মনে হতে পারে আপনার কাছে 

K-9 mail:

আপনারা যারা পিসিতে অউটলুক ইউস করেন তাদের জন্য এই অ্যাপসটি খুব কাজের।আপনাদের যাদের একাধিক মেইল অ্যাকাউন্ট আছে তারা এই একটি অ্যাপ দিয়ে আপনি আপানার একাধিক ইয়াহু, জিমেইল, হট মেইল, আউটলুক মেইল চেক করতে পারবেন। মাত্র ২ এমবির এপস টি ইন্সটল করে নিতে পারেন ফ্রীতেই । 


Evernote:

এটা আপনার ডায়রির কাজ করবে। আপনার সকল নোট, টু ডু লিস্ট, ভয়েস রিমাইন্ডার সহ অনেক অনেক কাজের একটা এপস। ব্যবহার করেই দেখুন কাজে লাগবে অবশ্যই।


AdFree Android:

আপনার ব্রাউজারের বিজ্ঞাপন রিমুভ করা ছাড়াও অন্যান্য এপসের বিজ্ঞাপনও মুছে দিবে এই এপস। হোস্ট ফাইল কাস্টোমাইজ করে কাজ করে এই এপস।  মজার একটি কথা বলে রাখি এডব্লকার কিন্তু গুগল একদমই দেখতে পারে না , প্রতিবছর প্রায় মিলিয়ন ডলার লোকসান হয় গুগলের সুধুমাত্র  এডব্লকার গুলোর জন্য 


ASTRO File Manager / Browser:

এটা হলো আপনার ফোনের সকল ছবি,গান, ভিডিও, ফাইল সব কিছু এক জায়গায় অর্গানাইজ করার এপস। অনেকটা উন্ডোজ এক্সপ্লোরারের মতো। এছাড়াও আপনার ব্যাটারির ক্ষমতাও অনেক ক্ষেত্রে বাড়িয়ে দেয় এবং ফোনের সেটিংস ব্যাক আপও রাখে।


Advanced Task Killer: 

আপনার এনড্রয়েড সেটটি প্রতি মূহুর্তেই কিছু এপস অটো চালু হয়ে বসে থাকে যা আপনার সেটকে স্লো এবং গরম করে ফেলে। ব্যাটারীও অনেক বেশী খরচ হয়। সেক্ষেত্রে এটা একটা জরুরী সফট হতে পারে। 


Expense Manager: 

প্রতিদিনের যত টাকা পয়সার লেনদেন-হিসাবনিকাশ সব কিছু এই এপস এর মাধ্যমে করতে পারবেন। দুইটা এপস এর লিংক দিলাম, যেটা পছন্দ হয় ব্যাবহার করবেন

Kingsoft Office: 

এটার মাধ্যমে ওয়ার্ড, স্পেয়ার্ডশীট, পিডিএফ এবং পাওয়ার পয়েন্ট পড়তে এবং তৈরি করতে পারবেন। 

Moon+Reader : 
 ইবুক প্রেমিদের অন্যতম  পছন্দ এই পিডিএফ রিডিং সফটওয়্যারটি , আপনিও ট্রাই করতে পারেন 


নিউজ-হানট/বাংলা পত্রিকাঃ

 বাংলা পত্রিকা যারা ব্যাস্ততার জন্য ঘরে বসে পড়তে পারেন না তারা এপস টি ডাউনলোড করে নিতে পারেন ।  এখানে বাংলা তিনটি পত্রিকাএকসাথে পাবেন(প্রথম আলো, কালেরকণ্ঠ, নয়া দিগন্ত) এবং একটি ইংরেজি পত্রিকাও পাবেন।

রিদমিক কিবোর্ডঃ 

মোবাইলে বাংলা টাইপে এই এপস এর জুরি নেই ।

এন্ড্রয়েড এসিস্টেন্স: 

লাইট এবং দুর্দান্ত একটি সফটওয়্যার , ডাউনলোড হওয়া ইন্সটল ফাইলের ব্যাকয়াপ তৈরী এবং মোবাইল ক্লিন ছাড়াও অসংখ সিস্টেম এড করা রয়েছে এখানে .
http://www.webcoachbd.com/

এটি একটি বাংলাদেশী ওয়েবসাইট । এখানে রয়েছে বিগিনারদের জন্যে টেক্সট এডিটর যার সাহায্য সহজেই একজন প্রোগ্রামিং করতে পারে। 


WWW.URIONLINEJUDGE.COM

এটি একটি ব্রাজিলিয়ান ওয়েবসাইট ,অল্পদিনেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখানে রয়েছে বিগিনারদের জন্যে অনলাইনের সবচেয়ে 
সহজ প্রবলেম এর কালেকশান। প্রবলেমগুলোর ডিফিকাল্টি একটু একটু করে বাড়তে থাকে এবং প্রায়সময়ই আগের প্রবলেম এর 
সাথে সামঞ্জস্য থাকে।



WWW.HACKERRANK.COM

এটিও খুব পপুলার একটি সাইট যেখানে প্রবলেম সলভিং এর মাধ্যমে হাতে ধরে প্রোগ্রামিং শিখিয়ে দেয়া হয়। প্রথম প্রোগ্রামে যা 
শেখানো হয় পরের প্রোগ্রামে তা এপ্লাই করে সাথে আরো নতুন কিছু শেখানো হয়। নতুন যে অংশ সলভ করতে হবে জলছাপের 
মাধ্যমে তার ক্লু ও দেয়া থাকে। যাদের প্রোগ্রামিং এর বেসিক ধারণা নেই তারাও এখানে প্রোগ্রামিং করতে পারে।


30 hours of code নামে একটি প্রবলেম সলভিং কোর্স আছে এখানে, যেখানে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে সময় দিলেই শিখে
 ফেলতে পারবেন অনেক কিছুই। এখানে বিভিন্ন কোম্প্যানি জব কনটেস্ট আয়োজন করে থাকে। তারপর সেখান থেকে সিলেক্টেডদের
 ইন্টারভিউ এর জন্যে ডাকা হয়।

WWW.CODECHEF.COM

প্রোগ্রামিং শেখার পাশাপাশি যদি সুন্দর সুন্দর গিফট পাওয়া যায় তাহলে তো বেশ হয় তাই না? কোডশেফ একটি ইন্ডিয়ান সাইট। 
প্রবলেম সলভ করে আপনি জমাতে পারেন লাড্ডু, সেই লাড্ডু দিয়ে কিনতে পারেন টি-শার্ট, ব্যাগ থেকে শুরু করে ড্রোন ও।

HTTP://WWW.CONDINGAME.COM

কোডিং এ মন বসে না? এই সাইটটি আপনাকে সুযোগ দেবে গেম খেলে খেলে প্রোগ্রাম করে গেমটি বানানোর। এই ওয়েবসাইট 
এ গেম এর লিস্ট আছে সেখান থেকে পছন্দ করে নিয়ে আপনি প্রোগ্রামিং করে আপনার গেমটি বানাতে পারবেন। অন্যসব সাইট 
এর চেয়ে একেবারে ভিন্ন হলেও এই সাইটটি অনেক পপুলার হয়ে উঠেছে প্রোগ্রামারদের কাছে।
গুগল হেডকোয়াটার্স !!! মানেই স্বপ্নের একটা প্লেস। 

লাস্ট সামারে যখন হেডকোয়াটার্স  এ যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার (David Burkas – Associate Professor of Management at Oral Roberts University) ।
স্বভাবতই, খুবই এক্সসাইটিং ছিল ব্যাপারটা ! প্রথমে প্রবেশ করেই দেখলাম , হিউজ খাবার দিয়ে ভর্তি এবং অনেক সুস্বাদু। এর অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে ,একদিন গুগল কো -ফাউন্ডার সের্গেই ব্রিন তার আর্কিটেক্ট ও অফিস ডিজাইনার কে ডেকে বললো অফিসটাকে 
এমনভাবে সাজাও যেন কেউ খাবার থেকে 200 ফিট দূরে না থাকে  ! চলুন দেখা যাক গুগল একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে  কত  টাকা পে করে থাকে?





গুগল $300k প্রতি বছর পে করে (মাঝে মাঝে আরও বেশি হয়ে থাকে) । যদি একজন ইঞ্জিনিয়ার 2000 ঘন্টা প্রতি ইয়ার এ  কাজ করে (40 ঘন্টা উইকে ,50 উইক বছরে ) তাহলে প্রতি ঘন্টায় গুগল তাকে $150 করে পে করছে।  এখন যদি একজন ইঞ্জিনিয়ার খাবারের বিলের জন্য লাইনে 5 মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে গুগলের লেবার কস্ট $12 ডলার লস হবে।  যা কিনা ঐ ইঞ্জিনিয়ারের 
লাঞ্চ বিলের চেয়েও বেশি।  আবার, অন্য দিকে যেহেতু এমপ্লয়ীকে রান্না করতে হচ্ছে না তাই তার টাইমটাও সেভ হবে।

গুগলের সেই লিজেন্ডারি গুগল পার্কে বেশির ভাগ ইন্টার্ন এপলাই করে থাকে এই ফ্রি ফুডের জন্য ! (শুধু কি ফুডই ফ্রি ? না! 
 চুলকাটা,লন্ড্রী , ঘুমানোর জন্য ক্যাপসল এবং আরো অনেক কিছুই ফ্রি ) গুগল তার এমপ্লয়ীদের জন্য ওয়ার্কপ্লেস তৈরী করেছে 
যাতে কেউ চলে যেতে না চাই।গুগল বিলিভ করে যে,

Happy workers are good workers.


কিনতু, সত্যটা একটু ভিন্ন !!! গুগল খাবারের পিছনে এত টাকা ইনভেস্ট করে তাদের এমপ্লয়ীকে ধরে রাখার জন্য না !
 এটার উদ্দেশ্য আসলে এমপ্লয়ীদের ইনোভেটিভ থিংকিং এর জন্য। আমরা খুব সহজে বুজতে পারি, ফ্রি ফুড কর্মীদের জন্য 
ফুয়েল হিসাবে কাজ করে কিনতু গুগলে ফ্রি ফুড মানে ইনোভেশন !!! গুগল সর্বদাই এমপ্লয়ীদের একসাথে খেতে উৎসাহিত করে। 
 কারণ, এতে করে আইডিয়াগুলা ক্রস- পলিনেসন হয়।

ফ্রি ফুডের মাধ্যমে গুগলের আরো লাভ হয় !


  1. ফ্রি ফুড একটা গ্রেট রিক্রুটিং টুল হিসাবে কাজ করে।
  2. কাজ করতে উদ্যোমী করে তোলে কর্মীদের।
  3. কমিউনিটি বিল্ড আপ হয়।
( সংগ্রহীত )


৪র্থ পর্বে স্বাগতম 
আশা করি গত ৩ পর্বে  অনেকেই নতুন কিছু শিখেছেন । আজকের পর্বে আমরা শিখব ইমেজ ও  লিংক এড করা । 

ইমেজ বা ছবি ওয়েব পেইজ এ প্রদর্শনের জন্য প্রয়োজন <img>  ট্যাগ, এটি একটি ব্যাতিক্রম ধর্মীট্যাগ কারন এর কোন ক্লোজিং অংশ নেই । 
<img src="/sunset.gif" alt="Sunset" /> 
খানে src এবং alt হচ্ছে img ট্যাগের দুটি এট্রিবিউট। src দিয়ে ছবিটির অবস্থান দেখিয়ে দিতে হবে এবং alt এর মধ্যে ছবিটির কোন বর্ননা দিতে পারবেন। ছবি লোড হতে দেরি হলে ততক্ষন alt এর ভিতর লেখাটি দেখায়।
যেকোন ইমেজের লিংক দিলেই সেটি ওয়েব পেইজে প্রদর্শন করে আমরা পরবর্তীতে ছবির আকার  পরিবর্তন দেখব ।   


ওয়েবসাইট গুলোতে  ভিজিটের সময় দেখা যায় বিভিন্ন লেখা বা  ছবি তে ক্লিক করলেই তা অন্য ওয়েবসাইটে চলে যায়।  সেখানে আসলে একটি ওয়েবএড্রেস লিংক করে দেয়া হয়  , anchor tag এর সাহায্যে লিংক তৈরী করা হয়। শুধু টেক্সট নয় আপনি চাইলে একটা মেইল এড্রেসের উপর লিংক দিতে পারেন, একটা ছবির উপর লিংক দিতে পারেন, বড় কোন ওয়েব পেজের সুচিপত্র তৈরী করে এর আইটেমগুলিতে লিংক দিতে পারেন (এসব লিংকে ক্লিক করলে পেজেরই ঐ অংশে যাবে যেখান থেকে আইটেমটি শুরু হয়েছে)।

হাইপারটেক্সক্ট রেফারেন্স(href)

Hypertext reference হতে পারে Internal, Local, Global

ইন্টারনাল: একই পেজের মধ্যে লিংক তৈরী হবে। উদাহরনঃইন্টারনাল- href="#anchorname"

লোকাল: আপনার web site এর ভিতরে কোন পেজেরে সাথে লিংক তৈরী হবে। উদাহরনঃhref="/ebangla.tech/../pics.jpg"

গ্লোবাল: আপনার web site এর বাহিরে অন্য web site এর লিংক তৈরী হবে।  উদাহরনঃ"http://www.google.com/"

এইচটিএমএল লিংক (টেক্সক্ট) যেভাবে তৈরী করবেন

<a> এবং  </a> tag দ্বারা যথাক্রমে লিংক শুরু এবং শেষ বোঝায়।  href এট্রিবিউট এর সাহায্যে কোন ধরনের লিংক স্থাপিত হবে তা নির্ধারিত হয়। href এট্রিবিউটকে opening tag এর মধ্যে রাখতে হয়। opening এবং closing tag এর মধ্যে কোন লেখা থাকলে, তা পরে web পেজে লিংক হিসাবে দেখা যাবে।যেমন 

body tag এর মধ্যে নীচের লিংক টি লেখুন 
<a href="http://ebangla.tech" >E bangla Website</a>

এরপর ওয়েব পেইজ টি রান করে দেখুন  E bangla Website  লেখা রয়েছে সেখানে মাউস  নিয়ে দেখুন  কার্সর এর ডিজাইন চেঞ্জ হয়ে গেছে ।  তারমানে সেটি লিংক হিসেবে সেট হয়েছে এবং ক্লিক করে দেখুন  লিংক এর ওয়েবসাইটে গিয়েছে কিনা ।   যদি যায় তাহলেই বুঝবেন  সব ঠিক মত হয়েছে ।

এবার আরেকটু এডভান্স দেখি এবার , সেটি হল টার্গেট এট্রিবিউট ,
target="_blank" - নতুন  window  এ ওপেন হবে লিংক 
target="_self" - যে ট্যাব এ আছেন সেখানেই ওপেন হবে  এটি ডিফল্ট অপশন আপনি যদি লিংকের পরে কিছু না ও দেন তাহলেও  সেলফ এট্রিবিউট কাজ করে 
target="_parent" -  parent frame এ ওপেন হবে 

a tag এর লিঙ্ক এর শেষে  এইগুলো দিলে  কাজ করে  , 
যেমন আপনি যদি 
<a href="https://ebangla.tech/" target="_blank"> EBangla Website </a> 

এবার ইমেজ এর মধ্যে লিংক তৈরী করব , অর্থাৎ ইমেজে ক্লিক করলে ওয়েবসাইটের লিংক এ চলে যাবে 



আবার ফিরে এলাম,
ব্যাসিক তো মোটামোটি বুঝেই গেছি , এবার আসুন একটূ সামনে এগুনো যাক। প্রথমেই বলব ইন্টারনেট থেকে notepad++ ডাউনলোড করে নিন , যেন কাজ করতে একটু সুবিধা পাওয়া যায়।


এইচটিএমএল শিখতে যে শব্দগুলি ভালভাবে জানা দরকার-


এইচটিএমএল এলিমেন্ট (Element)
এইচটিএমএল ট্যাগ (Tag)
এইচটিএমএল অ্যাট্রিবিউট (Attribute)


Tag নিয়ে আগের পর্বগুলোতে কথা বললেও বাকি দুটো নিয়ে আসলে কোন কিছুই বলা হয়নি। তাই ব্যার্থতার দায় মাথায় নিয়ে , সামান্য পাপ মোচনের লক্ষে একটু  কথা বলেই নেই । 

এসব এখন নয় , বুঝে জাবেন আস্তে আস্তে,:D 

গত পর্বে <p> ট্যাগ নিয়ে বলেছিলাম শুধুমাত্র প্যারাগ্রাফ বা অনুচ্ছেদ ধরনের লেখা দেখতে চাইলেই এই ট্যাগ, এবার বলব হেডিং ট্যাগ নিয়ে । পত্রিকার হেড লাইন তো দেখেছেনই একটু মোটা ও বড় টাইপের হয় ।

এখন দেখব কিভাবে তা দিতে পারি , 
এর জন্য আমাদের h ট্যাগ ইউজ করতে হবে , শিরোনাম বা হেডিং আকারে বড় ফন্টের লেখা ব্রাউজারে প্রদর্শনের জন্য এইচটিএমএল এ রয়েছে ৬ ধরনের হেডিং ট্যাগ। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে <h1></h1> এভাবে <h2></h2>, <h3></h3>... h6 পর্যন্ত






এই হেডিং ট্যাগের ভিতরে আমরা যা লেখব তাই হেড লাইন আকারে আসবে , ছবি দেখে নীচের কোডটি নোটপ্যাডে লেখে , html ফাইল বানিয়ে রান করুন দেখবেন কোন হেডিং কতটুকু বড় হেড লাইন তৈরী করে দিচ্ছে ।

হেডিং  তো আমি বললাম এখন আপনারা একটূ প্র্যাক্টিস এর জন্য নিজের প্রিয় বই নিয়ে একটি ছোট্ট প্যারাগ্রাফ লিখে ফেলুন । ইন্টারনেটে পাওয়া প্যারাগ্রাফ গুলোর মত হেডিং দিলে লেখতে পেরেছেন কিনা ।


এবার আসুন লিস্টিং অপশনে , আমরা এবার লিস্ট আকারে ওয়েব পেইজ এ কিছু দেই।  এইচটিএমএল এ ৩ ধরনের লিস্ট করার ট্যাগ আছে, প্রয়োজনমত যেকোন একটি ব্যবহার করতে পারেন।
Unordered List :

এটিই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় প্রফেশনালি। <ul></ul> এর ভিতরে রাখতে হবে এবং <li></li> এলিমেন্টের ভিতর একটা একটা করে আইটেম রাখতে হবে। প্রদর্শন করবে তালিকা আকারে কোন নাম্বারিং থাকবেনা। বাই ডিফল্ট একটা গোল চিহ্ন প্রতিটি আইটেমের বাপাশে থাকে। যেমনআমরা যদি <body> ট্যাগের ভিতরে নীচের কোড দেই তাহলে দেখতে   ছবিটির মত দেখাবে ,

<ul>
<li>Bangla</li>
<li>English</li>
<li>Social Science</li>
<li>Mathemetaics</li>
</ul>




এখানে বুলেট পয়েন্ট হিসেবে গোল চিহ্ন এসেছে , আপনি ইচ্ছে করলে সিএসএস দিয়ে গোল চিহ্নের পরিবর্তে অন্য চিহ্নও দিতে পারেন এগুলি সিএসএস এ আলোচনা হবে।

Ordered List:

কখনও নাম্বার দিয়ে তালিকা প্রয়োজন হতে পারে তখন <ol></ol> এর ভিতর li ট্যাগ দিয়ে বানাতে পারেন যেমনঃ
<ol>
<li>iPad</li>
<li>iPhone</li>
<li>MacBook Air</li>
</ol>
এর ফলে লিস্ট গুলো  1,2,3 সিরিয়ালে এসে যাবে 
আরেকটি লিস্টিং ট্যাগ আছে যার ব্যাবহার আজকাল হয়না বললেই চলে তবুও  জানার জন্য , Definition list নামে আরেকটা লিস্টিং ট্যাগ , এটা দিয়ে একটু ভিন্নভাবে তালিকা দেখানো যায় যেমন

<dl>

<dt>My Village </dt>

<dd> The name of........ </dd>

</dl>

নোটপ্যাডে বডি ট্যাগের মধ্যে দিয়ে দেখুন   কেমন কাজ করে ।  বুঝে যাবেন  
আশা করি  ভাল লেগেছে , সামনে আরো কিছু বিষয় নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ ততদিন পর্যন্ত প্র্যাক্টিস করতে থাকুন ।
আর যারা গতপর্ব মিস করেছেন তারা ঘুরে আসুন  ২য় পর্ব থেকে