হ্যাকার / সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা তাদের কাজের জন্য বেশির ভাগ সময়েই কালি লিনাক্স Kali Linux অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে । এটি একটি খুব জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম । 
আপনি চাইলে এই অপারেটিং সিস্টেমটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ব্যবহার করে নিতে পারেন। 

free recharge








- মোবাইলে কালি লিনাক্স সেটাপ করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলী...

# ১০০% চার্জ সম্পন্ন এন্ড্রোয়েড ফোন।
# ভালো ইন্টারনেট সংযোগ। [ কালি লিনাক্স ডাউনলোডের জন্য]
# রুট পার্মিশন।
# অন্তত ৫ জিবি ফ্রি স্পেস।

 প্লে স্টোর থেকে লিনাক্স   ডাউনলোড করে নিন। Linux Deploy
এরপর এটিকে কালি লিনাক্স (Kali Linux)  এ কনভাট করতে হবে । কনভাট অপশনটি লিনাক্স ডাউনলোড করার পরই থাকবে ।
এরপর ইন্সটল বাটনে ক্লিক করতে হবে ।
অবশ্যই ভাল ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে । ভাল ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে ৫ সর্বোচ্চ মিনিট সময় লাগবে ।
এরপর গুগল প্লে (Google play) স্টোর থেকে VNC VIEWER অ্যাপ ডাউনলোড দিতে হবে ।
লিংকঃ VNC Viewer

ইন্সটল হয়ে গেলে  VNC VIEWER অ্যাপ এ গিয়ে connect button এ ক্লিক করতে হবে । ক্লিক করলেই কালি লিনাক্স (Kali Linux) চালু হয়ে যাবে ।

আমাদের সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি বিষয়ক অন্য পোস্ট গুলো দেখতে চাইলে এই লিংকে ক্লিক করুন। Click here


ফ্রিতে রিচার্জ করে নিন ১০ টাকা। হ্যা, আইপে নামক একটি বাংলাদেশী ডিজিটাল ওয়ালেট এপস সেটাপ করে নিয়ে নিন ১০ টাকা বোনাস।

প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিন আইপে এপসটি। Ipay অতঃপর আপনার যেই মোবাইল নাম্বারটিতে রিচার্জ নিতে ইচ্ছুক সেই নাম্বারটি দিয়ে Sign up অপশনটি ব্যাবহার করে একটি একাউন্ট করে ফেলুন।
আপনার নাম্বারে আইপে থেকে ভেরিফিকেশন কোড আসলে কোডটি প্রদান করে নাম্বারটি ভেরিফিকেশন করে ফেলুন।

এবার দেখুন, জয়েনিং বোনাস হিসেবে আপনাকে বাংলাদেশী টাকার ১০ টাকা করে ফ্রি দেওয়া হয়েছে। এর পর সেখান থেকে মোবাইল টপ আপ সিলেক্ট করে ফ্লেক্সিলোড অপশন দিলেই আপনার একাউন্টে টাকা চলে আসবে।

কোম্পানিটি বাংলাদেশী প্রথম ডিজিটাল ওয়ালেট এপস হিসেবে প্রকাশ করায় মার্কেটিং প্ল্যানে ফ্রিতে রিচার্জ দিচ্ছে। যদিও তাদের এপসের মধ্যে এখনো অনেক দূর্বলতা রয়েছে। যেমন, অনেক সময় একাউন্ট একটিভ হতে সময় নিয়ে থাকে। আবার কোড আসতেও মাঝে মাঝে অনেক সময় নিয়ে থাকে।

আরেকটি দূর্বলতা হচ্ছে, এপসটির মধ্যে দেওয়া আছে প্রতিটা এন্ড্রোয়েড মোবাইলের জন্য একটি নাম্বারে একবার ই রিচার্জ করা যাবে। কিন্তু এপসটির Clear Data দিলে আবারো নেওয়া যাচ্ছে রিচার্জ। নতুন বাংলাদেশী ডিজিটাল ওয়ালেট কোম্পানি দিচ্ছে আই পে এই সুবিধা। 


ফ্রি পাওয়ার পরে এপসটি ব্যাবহার করা না করা সম্পূর্ন আপনার ইচ্ছা। রিচার্জ পেতে কারো কোন প্রকার সমস্যা হলে জানাতে পারেন আমাদের ই বাংলা ডট টেক এর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। http://www.facebook.com/ebangla.tech

যারা রিচার্জ পেয়েছেন তারাও আমাদের ফেসবুক পেজে জানাতে ভূলবেন না। আপনাদের আগ্রহের ভিত্তিতে পরবর্তীতে ফ্রি ৫০ টাকা রিচার্জের পদ্ধতি শেয়ার করা হবে। ই বাংলা ডট টেক এর সাথেই থাকুন।


ইংরেজি বর্নমালা শুরু হয় A , B , C , D  এভাবে  তা আমরা সবাই জানি , কিন্তু কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন কম্পিউটারের ড্রাইভ C  দিয়ে শুরু হয় ? A , B  ড্রাইভ কোথায় ?  
চলুন আজকে জেনে আসি সেই সহজ কারনটি ।

কম্পিউটারের আধুনিকায়নের ইতিহাস খুব একটা পুরোনো নয় । তবে খুব দ্রুততার সাথে কম্পিউটারের উন্নতি ঘটছে , আজ থেকে ১০ বছর আগের কম্পিউটার এর ক্ষমতার সাথে এখনের কম্পিউটারের কোন কিছুরই তুলনা করা সম্ভব না । 

কম্পিউটার যখন প্রথম দিকে বাজারে আসে, তখন তাতে ইন্টারনাল স্টোরেজ ছিল না। কম্পিউটারে স্টোরেজ হিসেবে শুরুর দিকে ফ্লপি ডিস্ক ড্রাইভ ব্যবহার করা হতো। ফ্লপি ডিস্ক কম্পিউটারে প্রাথমিক অবস্থায় ‘A’ ড্রাইভ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ফ্লপি ডিস্ক দুই ধরনের মাপের ছিল ৫ ১/৪ ইঞ্চি এবং ৩ ১/২ ইঞ্চি। ফলে কম্পিউটারে যখন উভয় ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করা হতো, তা ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভ নামে ছিল।

এরপর ১৯৮০ সালের দিকে যখন কম্পিউটারের ইন্টারনাল স্টোরেজ হিসেবে হার্ডডিস্ক আসে, তখন সেটি ধারাবাহিকতা অনুসারে ‘C’ ড্রাইভ নামে ব্যবহৃত হতে থাকে। কারণ তখনো কম্পিউটারে এক্সটারনাল স্টোরেজ হিসেবে ‘A’ এবং ‘B’ ড্রাইভ ছিল। হার্ডডিস্কে সাধারণত কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়। ধীরে ধীরে কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এর ক্ষমতা বাড়তে থাকে ফলে এত অল্প স্পেস বিশিষ্ট ফ্লপিডিস্ক আসলে কোন কাজের ছিল না , ফলে ধীরে ধীরে তা বিলুপ্ত হতে থাকে , যেহেতু  তখন তারা  A , B নামে ছিল এবং হার্ড ডিস্ক এর ড্রাইভ C , D , E এই রকম ছিল তাই পরবর্তীতে ফ্লপিডিস্ক বিলুপ্ত হয়ে  গেলেও হার্ডডিস্ক তার সুচনা সময়কালের নামেই আছে , তবে হয়ত এমন সময় আসবে যখন হার্ডডিস্ক এর বদলে অন্য কিছু ব্যাবহার প্রয়োজন হবে , তখন হয়ত হার্ডডিস্ক এর সি ড্রাইভ বাদ দিয়ে অন্য কিছু হিসেব করতে হবে । তবে এটি ভাবার কোন কারন নেই যে A , B  ব্যাবহার করা যায় না । আপনি চাইলেই কম্পিউটারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অপশন থেকে ড্রাইভের নাম ‘A’ করতে নিতে পারবেন। 
ভিডিও করার সময় ভয়েসের সঙ্গে কিছু অনাকাঙ্খিত শব্দ ঢুকে যায়। নয়েজ হিসেবে পরিচিত এসব শব্দের কারণে ভিডিওটির মান খারাপ হয়ে যায়। সনি ভেগাস প্রো সফটওয়্যারের সাহায্যে সহজেই এসব নয়েজ দূর করা যায়।





প্রথমে এ ঠিকানা  থেকে অডাসিটি সফটওয়্যার টি  ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে। অন্য যে কোনো সাধারণ সফটওয়্যারের মতই এটি ইন্সটল করা যাবে।

এরপর যে অডিও বা ভিডিও ফাইল থেকে নয়েজ দূর করতে হবে সেটি সনি ভেগাস প্রোয়ের টাইম লাইনে সংযুক্ত করতে হবে।




তারপর অডিও ও ভিডিও ফাইলটি নির্বাচিত করে ‘options’-এ ক্লিক করে ‘preferences’-এ যেতে হবে।





সেখান থেকে ‘audio’ ট্যাবে গিয়ে ‘preferred audio editor’-এ গিয়ে ব্রাউজ করে অডসিটি
 সফটওয়্যারটি নির্বাচিন করে ওকে বাটনে ক্লিক করতে হবে।





তারপর টাইম লাইনে গিয়ে নিবার্চিত অডিওটির রাইট বাটনে ক্লিক করে ‘open copy in audio editor’
 এ ক্লিক করতে হবে।



তাহলে ভিডিওটি অডিও ফাইলটি অডাসিটি দিয়ে চালু হবে।



এরপর অডাসিটি থেকে সম্পূর্ণ অডিওটি নির্বাচিত করে ‘effects’-এ ক্লিক করতে হবে।সেখান থেকে ‘noise reduction’-এ ক্লিক করতে হবে।




তারপর নতুন একটি পেইজ চালু হবে সেখানে ওকে ক্লিক করতে হবে। কিছু সময় লাগবে  কাজটি সম্পূর্ণ হতে।

এরপর অডিও প্লে করলেই দেখা যাবে পূর্বের তুলনায় কিছুটা হলেও নয়েজ কমেছে। তারপর সেটি সেইভ করতে হবে ফাইল অপশন থেকে।

এ প্রক্রিয়ায় তুলনামূলকভাবে নয়েজ কম  হবে।


আর্টিকেল টি ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না 
আজকে HTML এর টেবিল পার্ট নিয়ে আলোচনা করব ,  যদিও আজকাল ওয়েবসাইট গুলোতে টেবিল ব্যাবহার কম হয় তবুও কিছু ক্ষেত্রে টেবিল প্রয়োজন পরে , 

HTML TABLE Tag 

<table></table>

<tr></tr> (tr তে table row)

<td></td> (td তে table data)

<th></th> (th তে table header)
এই ৪ টি ট্যাগ ব্যাবহার করা হয় 

নীচের কোডটি বডি ট্যাগে লেখি 

<table>

<tr>

<th>Markup</th>
<th>Programming</th>
<th>Database</th>

</tr>

<tr>

<td>HTML</td>
<td>JS</td>
<td>SQL</td>

</tr>

<tr>

<td>CSS</td>
<td>PHP</td>
<td>MySQL</td>

</tr>

</table>
 কোডটি রান করলে  ছবির  মত দেখাবে । 



table ট্যাগের ভিতরে আমরা ৩ টি রো তৈরী করেছি ,

প্রথমটি হেড এর জন্য বাকি ২ টি রো আমরা সেই হেডিং এর উপাদান গুলো দিয়েছি । 
এখন প্রশ্ন আসতে পারে এখানে টেবিলের ভিতরের লেখা গুলো দেয়া হল কিন্তু টেবিলের কোন দাগ নেই কেন ? 
প্রথম টেবিল ট্যাগের বদলে <table border="1"> ট্যাগটি ব্যাবহার করব । তাহলেই টেবিলের বর্ডার দেখা যাবে । table ছিল একটি ট্যাগ , এর সাথে বর্ডার নতুন এড করা হয়েছে সহজ ভাষায় বলতে গেলে ট্যাগের সাথে এক্সট্রা কিছু এড হলে সেটি হবে এট্রিবিউট । 

এক এর বদলে ২-৩-৪ ব্যাবহার করুন , দেখুন কিরকম দেখা যায় । 

এবার টেবিলের ২ টি সেল বা অংশ করে দিব অনেকটা এই ছবির মত 


এর জন্য আমরা td, th এ rowspan এবং colspan এট্রিবিউট দুটি ব্যাবহার করব ।
উপরের ছবির মত টেবিল তৈরী করতে হলে এইরকম কোড করতে হবে 
<table border="1">

<tr>
<th rowspan="2">Web Language</th>
<td>HTML</td>
<td>CSS</td>
</tr>

<tr>
<td>PHP</td>
<td>JS</td>
</tr>

<tr>
<th>Framework</th>
<td>CI</td>
<td>Bootstrap</td>
</tr>

</table>

রান করে দেখুন । আশা করি rowspan বুঝতে পেরেছেন , ১৩ এবং ১৪ নম্বর লাইনদুটি বাদদিয়ে <td colspan="2"></td> লাইনটি দিন। দেখুন কি হয় , 


<br> ট্যাগঃ 
এবার আসি Line Break নিয়ে 
p  tag এর ভিতরে লেখার সময় <br/> ট্যাগ ব্যাবহার করলে পরের লাইন থেকে লেখা শুরু হয়, যদিও শুধু <br> ও একই কাজ করে ।
<hr/> ট্যাগঃ
আড়াআড়ি ভাবে লম্বা রেখা দেয়ার জন্য hr ট্যাগটি ব্যবহৃত হয়।

বডি ট্যাগের ভিতরে নীচের কোডটি রান করে দেখুন 

<p>Bangladesh</p><br/><hr/>
<p>Bangladesh</p>

Comment: 

প্রোগ্রামিং বা কোডিং এর গুরুত্বপূর্ন বিষয় হল কমেন্ট , যা শুধু কোডার এর বুঝার সুবিধার জন্য দেয়া হয় , এটি ডিস্প্লে তে  দেখা যায় না 
, এটি শুধু মাত্র সোর্স কোডেই দেখা যায়।

<!--  কমেন্ট  -->   , এই চিহ্ন দুটির মাঝখানে আপনি যা লেখবেন তাই কমেন্ট হিসেবে বসবে । 





বারকোড বলতে মুলত আমরা বুঝি লম্বালম্বা জেব্রাক্রসিং এর মত কিছু দাগকে , কিন্তু এতে ডাটা খুবই কম প্রদর্শ করা যায়, এর জন্য অত্যাধুনিক যে পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয় তা হচ্ছে ২ডি কোড বা কিউ আর কোড । Quick Response থেকেই কিউ আর শব্দটি এসেছে। এটি হল সর্বপ্রথম জাপানে স্বয়ংচালিত শিল্পের জন্য পরিকল্পিত ম্যাট্রিক্স বারকোড

 বিভিন্ন যায়গায় এই কিউ আর কোড ব্যাবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন ভিজিটিং কার্ড , বড় প্রডাক্ট , কোম্পানির জরুরী কাগজপত্র, বায়োডাটা , বিভিন্ন অনুষ্ঠানের টিকেট এ কিউ আর কোড ব্যাবহার হয়, 

QR কোডের সুবিধা যদি জিজ্ঞেস করা হয় তো বলব বর্তমানে কিউ আর কোড ব্যাবহারকে ফ্যাশন বা প্রয়োজন যার সাথে ইচ্ছা তুলনা করতে পারেন । আপনার ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ছোট্ট কার্ডে আপনি কতটুকুই বা তথ্য দিতে পারবেন কিন্তু আপনি কিউ আর কোড ব্যাবহার করলে ছোট একটি জায়গা দখল করিয়ে তার মাধ্যমে প্রায় ২০০০+ বর্ন দিয়ে নিজেকে ব্যাক্ষা করতে পারবেন , বড় বড় কোম্পানী গুলোর বিজ্ঞাপনেও আজ কিউ আর কোড ব্যাবহার হচ্ছে । 
সাধারন বারকোডের কোন অংশ নষ্ট হয়ে গেলে বা এতে দাগ পড়ে গেলে এথেকে কোন তথ্য বেড় করে আনা অনেক সমস্যার হয়ে পড়ে। কেনোনা এতে তথ্য সংরক্ষিত রাখার জন্য শুধু কয়েকটি লম্বা রেখা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে কোন তথ্য ব্যাকআপ রাখার কোন সিস্টেম থাকেনা। কিন্তু ২ডি বারকোডে একই তথ্য আলাদা ফর্মে একাধিকবার সেভ করা থাকে। ফলে একটি তথ্য অ্যাক্সেস না হলেও আরেকটি থেকে এর তথ্য পাওয়া যায়। তাই কোড ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কিউআর কোডে কোন সমস্যা হয়ে থাকেনা।  
উপরের ছবিটি দেখলে সাধারন বারকোড ও কিউ আর কোড এর মধ্যে পার্থক্য ভাল মতই ধরতে পারবেন ।
কিউ আর কোডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি আপনি আপনার হাতের স্মার্টফোন দিয়েই রিড করতে পারবেন, এর জন্য কিউ আর কোডের কিছু এপস আছে যার একটি ডাউনলোড করলেই আপনি যেকোন কিউ আর কোড রিড করতে পারবেন । 

আজকাল কিউ আর কোড মোবাইলের এপস বা ডাটা ট্রান্সফারের কনফার্মেশন এর ক্ষেত্রেও ব্যাবহার হয়ে থাকে। অনেকে আবার নিজের তথ্য কিউ আর কোডে ট্যাটু হিসেবে দিয়ে রাখে যদিও ব্যাপারটি সমর্থন যোগ্য নয় , সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে হল্যান্ডের একটি মুদ্রাতে পর্যন্ত কিউ আর কোড ব্যাবহার করা হয়েছিল। 





কে আবিষ্কার করল এই বারকোড ?

নরম্যান জোসেফ উডল্যান্ড (ইংরেজি: Norman Joseph Woodland; জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২১ - মৃত্যু: ৯ ডিসেম্বর, ২০১২) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি রাজ্যে জন্মগ্রহণকারী আমেরিকান বিজ্ঞানী।ন. জোসেফ উডল্যান্ড এবং এন. জে. উডল্যান্ড নামেও তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন।
তিনি বিক্ষাত হয়েছেন  বারকোড আবিষ্কার করে। 

অনেকে বারকোড ও মোর্সকোড কে একই বলে থাকে,  আসলে ব্যাপারটি ভুল, তবে এটি সত্য যে মোর্স কোড থেকেই বারকোড এর উৎপত্তি । ১৯৪৮ সালে উডল্যান্ডের ও  বানার্র্ড সিলভার ২ জন একটি সুপারমার্কেটের ডিনের সাথে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসে তাদের বিষয় ছিল  কিভাবে পণ্যের তথ্যাবলী স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরীক্ষণ করা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু ডিন ব্যাপারটি এড়িয়ে যায় । উডল্যান্ড তার শিক্ষকতার চাকরী ছেড়ে দেন । এবং দাদার বাড়ি নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটিতে চলে যান। সমুদ্রতীরে থাকার সময় তিনি মোর্স কোড সম্পর্কে জানতে পারেন । তিনিও বিন্দু এবং ড্যাশের মাধ্যমে মোর্স কোডের ন্যায় রেখা ব্যবহার করে তথ্য প্রেরণের জন্যে কাজ করতে থাকেন। হাতের আঙ্গুল প্রয়োগ করে সরু রেখা তৈরী করে বিন্দু এবং ড্যাশের মাধ্যমে দ্বি-মাত্রিক ধারণার সন্ধান পান যা পরবর্তীতে বারকোড নির্মাণে সহায়তা করে।

বারকোড কি?

বারকোড বর্তমান সময়ে একটা জনপ্রিয় পদ্ধতি। এর মাধ্যমে ছোট্ট একটা ছবির মধ্যে অনেক তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়। 
বই , চিপস , চকলেট , বিস্কুট , কেক ,কাপড় বা প্রসাধনী সামগ্রীতেও  সাদা একটি বক্সের ভিতরে লম্বা ডোরাকাটা দাগ দেখা যায়। দোকানের একটি যন্ত্র যা থেকে  লেজারের একটি রশ্মি এই দাগগুলোকে পড়েই বলে দেয় আপনার ক্রয় করা পণ্যটির পরিচয় আর মূল্যমান।

কেন ব্যাবহার করা হয় ? 

প্রশ্ন আসতে পারে তো এমন চিহ্নের কি দরকার, আগে তো দোকানের স্টিকারে কলম দিয়েই লেখা থাকত । কলম দিয়ে শুধু একবার পন্যের দামটি লেখবেন কিন্তু পরে যদি দাম বেড়ে যায় তখন? 
সব পন্যের মধ্যে দাম পরিবর্তন করতে হবে । 
কিন্তু বারকোড সিস্টেমে একটি পন্যের কোড  ইনপুট দিলেই সব হয়ে যায় যখন দাম বাড়ানোর তখন সহযেই কোড অনুযাইয়ী সকল পন্যের দাম পরিবর্তন করা যায় , এছাড়াও দোকানের প্রোডাক্টের সঠিক হিসাব ও এর মাধ্যমে রাখা সম্ভব । 
ফলে কোন পন্য চুড়ি হওয়া , নষ্ট হওয়ার হিসাব ঠিক ঠাক মত রাখা যায় । 

কিভাবে কাজ করে? 

বারকোড রিড করার জন্য একটি লেজার বা এলইডি প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়, প্রশ্ন আসতে পারে তো এখানে তো ১,২,৩ এমন সংখ্যাও ব্যাবহার করা যেত , আসলে এমন সঙ্খ্যার ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ভুল হওয়ার সম্ভাব্যতা বেড়ে যায় , তাই এই প্রসেস, এটি নিখুত এবং এতে ভুল হয়না বললেই চলে ।
আপনি যদি একটি বারকোড দেখেন এর আগামাথা কিছুই বুঝতে পারবেন না। কোথায় এর শুরু কোথায়-ই বা সংখ্যা। কিন্তু এটা কিন্তু খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। নাম্বারের জন্য প্রত্যেক পণ্য সমপরিমাণ জায়গা পায়, আড়াআড়ি ভাবে সাতটি ফাকা স্থান একটি পণ্যের পরিচয় বহন করে। এই ফাকা স্থানগুলোকে সাদা কাল কিছু ডোরা দাগে পূর্ণ করা হয়। এই দাগগুলো ০-৯ সংখ্যা প্রকাশ করে।
বারকোড রিডারের  লেজার  রশ্মিটি প্রতিফলনের উপর নির্ভর করে স্ক্যানার বুঝতে পারে এটি সাদা অংশ না কালো অংশ। কারণ সাদা অংশ আলো সবথেকে বেশি প্রতিফলন করে আর কালো অংশ সবথেকে কম। স্ক্যানারের সাথে সংযুক্ত একটি ইলেকট্রনিক সার্কিট এই কোডকে বাইনারি অর্থাৎ ০ আর ১ রূপান্তরিত করে আর স্ক্যানারের সাথে থাকা কম্পিউটারে তা পাঠিয়ে দেয়। কম্পিউটার পণ্যকে চিহ্নিত করে, এটির বিক্রয় নিশ্চিত করে । 


এভাবেই বারকোড আমাদের বর্তমান জীবনে ব্যাবসা বানিজ্য অনেক সহজ করে দিয়েছে ।