বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি, জি। গত ২৬ জুন ২০১৮ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের অব্যবহিত পরেই তিনি বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। জেনারেল আজিজ ব্যক্তিজীবনে নিজেও একজন নিবেদিতপ্রাণ গলফ খেলোয়াড় এবং গলফ খেলাসহ বিভিন্ন খেলাধুলার একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক। অনেক পূর্ব হতেই তিনি গলফ খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং চাকুরী জীবনের বিভিন্ন পরিসরে গলফ এবং অন্যান্য খেলাধুলার উন্নতিকল্পে কাজ করে গেছেন। মোট কথা হল, সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ হলেন এমন ব্যক্তি যিনি জানেন, বাংলাদেশে গলফের উন্নতির প্রয়োজন কি এবং এই উন্নতি প্রসার ঘটাতে কি কি ধরণের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন ও সম্ভব।
![]() |
সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ |
বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশন গলফ খেলা সম্পর্কিত বিষয়ে একটা শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে গলফ খেলার উন্নয়ন, প্রসার এবং পরিচিতির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে বিস্তৃত ১৩টি গলফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাব বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশনের সঙ্গে এফিলিয়েটেড বা সম্বন্ধযুক্ত রয়েছে। জেনারেল আজিজ দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকেই তিনি নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই সকল ক্লাব সমূহের মানোন্নয়ন করার ও প্রতিটি গলফ ক্লাবকে আরো নান্দনিকভাবে গড়ে তোলার। এছাড়াও আরো অধিক সংখ্যক গলফ ক্লাবকে বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশনের সাথে এফিলিয়েটেড করারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশন নিজেও বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এফিলিয়েটেড একটি প্রতিষ্ঠান যা ‘যুব ও ক্রীড়া উন্নয়ন মন্ত্রণালয়’ এর কাজ করে থাকে।
![]() |
সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ |
ব্যক্তিগত জীবনে সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ নিজেও একজন উন্নতমানের গলফ খেলোয়াড় এবং একইসঙ্গে গলফের একজন একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক। তিনি তার অবসরের একটা বড় সময় গলফ খেলে এবং গলফ খেলার উন্নতিকল্পে ব্যয় করে থাকেন। তার মতে গলফ খেলার একটি অন্তর্গত গুরুত্ব আছে আমাদের অস্থির ও ব্যস্ত জীবনে। এই খেলা আমাদের জীবন সংগ্রাম ও সার্থকতার মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। প্রাত্যহিকের ক্লান্তিকর জীবন থেকে গলফ আমাদেরকে নিবিড় প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিয়ে যেয়ে একটা আনন্দময় সাময়িক অবসরের সৃষ্টি করে। জীবন যুদ্ধে পুনরায় ব্যপৃত হবার জন্যে এই ধরণের অবসর আমাদের খুবই প্রয়োজন। গলফ খেলার মধ্য দিয়ে তিনি খেলোয়ারদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা খুবই সম্ভব বলে তিনি মনে করেন, যা তাদের পেশাগত জীবনেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এই লক্ষ্যে বাংলাদেশে গলফ খেলার প্রসারের লক্ষ্যে জেনারেল আজিজ আহমেদ এরইমধ্যেই উল্লেখযোগ্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
![]() |
সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ |
গলফ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি এরইমধ্যেই বিভিন্ন গলফ এন্ড কান্ট্রি ক্লাব সমূহের উন্নতি ও নান্দনিকতা বৃদ্ধিকল্পে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তার নির্দেশনায় বাংলাদেশের গলফ ক্লাব সমূহে আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে ও হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত চতুর্থ প্রেসিডেন্ট কাপ গলফ টুর্নামেন্ট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
উল্লেখ্য, শিশু ও কিশোরদের মাঝে এই খেলা প্রসার করার জন্যেও তিনি বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন, যার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম গলফ খেলায় এগিয়ে আসবে এবং বাংলাদেশে গলফের নতুন জেনারেশনের খেলোয়াড় তৈরি হবে।
![]() |
সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ |
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আজিজ আহমেদ সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এই পদক্ষেপ সমূহ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতাকে উত্তরোত্তর উন্নত করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে সমাসীন করেছে। গলফ ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রচেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষকতা বাংলাদেশের গলফ খেলার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করবে বলে সবাই আশাবাদী।