ফেসবুকের মেসেজে ছড়িয়ে যাচ্ছে ক্রিপ্টোম্যালওয়ার, হ্যাক হচ্ছে আইডি এবং ডিভাইস!

ফেসবুকে ভিডিও ফাইলের আকারে মেসেজের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে ক্রিপ্টো ম্যালওয়ার। পরিচিত কিংবা অপরিচিত কোন ব্যাক্তির আইডি থেকে পাঠানো এই ফালটি ওপেন করলেই হ্যাক হবে আপনার প্রিয় আইডি। ক্ষতি সাধন হবে আপনার প্রিয় ডিভাইসটির।

এখন পর্যন্ত এরকম দুই ধরনের ম্যালওয়্যার ফাইল নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সনাক্ত করতে পেরেছে , ফাইল দুইটি ভিডিও ফাইল আকারে জিপ করে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে । জিপ ফাইলটি খোলার পর সেখানে ভিডিও ফাইলের আইকন দেখা যায় তবে সেখানে এক্সটেনশন হিসেবে .exe থাকে । মাত্র ৫০০ থেকে ৯০০ কিলোবাইটের মধ্যের এই ফাইলটি শুধুমাত্র আপনার উইন্ডোজ পিসি তে ক্ষতিসাধন করতে পারে ।
তবে অন্য ফাইলটির মাধ্যমে আপনার আইডির বেশ কয়েকটি এক্সেস পেয়ে যাবে হ্যাকাররা, যার ফলে তাদের তৈরি কৃত এই স্ক্রিপটটি আপনার অজান্তেই আপনার পরিচিত সকলকে মেসেজ পাঠিয়ে ফাঁদে ফেলে দিবে।

দুইটি ফাইলের পৃথক বিশ্লেষণঃ
Filename: Video.71656613.mp4.exe
Size: 504KiB (515584 bytes)
Type: PE32 executable (GUI) Intel 80386, for MS Windows, UPX compressed
MD5SUM: 77b99d4cda37ea5d52780cab2c423204
SHA1: 172965c4b9e5d66169b473385d058acc5213d696
SHA256:94d92f5ac3bbda7f6aa545a2888a74eac2644f71ed8319339c9ee651ab82e28e
SSDEEP:TozGdX0M4ornOmZIzfMwHHQmRROXKnpfXtiQ/:T4GHnhIzOan6Q
Compiler/Packer: UPX v1.25 (Delphi) Stub Unpacked
Size: 969KiB (992256 bytes)
Type: PE32 executable (GUI) Intel 80386, for MS Windows
MD5SUM: d63582630abb6d84fab48bcd90ff38f8
SHA1: df1c1eb09408b51d7049f70532cf83927afd5ecc
SHA256: 3771dad8c38def8c8ba903a0e7b203cf05efd99e27add3dea77b9d702a84171f
SSDEEP: bCdOy3vVrKxR5CXbNjAOxK/j2n+4YG/6c1mFFja3mXgcjfJilgsUFccfXwIiQ3:bCdxte/80jYLT3U1jfH5cfr4


জিপ ফাইলটি থেকে বিশ্লেষন করলে আমরা এখানে একটি exe ফাইল পাবো যেখানে অবশ্যই অনেক তথ্যাবলী পাওয়া যেতে পারে।
এটি বিশ্লেষন করলে শুরুতেই এর মধ্যে ম্যালওয়ার এর মতো সন্দেহজনক আচরণ উপলব্ধি করা যায়।

এটি সাধারনত Taskill.exe ফাইল ব্যাবহার করে scanner এবং terminates এর সাহায্য ফাকি দেওয়ার উপায় সনাক্ত করে ভিক্টিমের কম্পিউটার এ উপস্থিতি কার্যকর করে।

যদি আমরা এই প্রক্রিয়াটি চেক করি তাহলে একটি miner.exe খুজে পাবো আর লোকেশন খুজতে গেলে দেখবো এটি updater.exe এর আদেশে PID. 3032 এর সাথে কাজ করছে। আরো সনাক্ত হয়েছে যে, এটি প্রটোকলেও প্রবেশ করতে সক্ষম হয় “stratum+tcp://” (Indicator: “stratum+tcp://”; File: “network.pcap”) সুতরাং টেকনিক্যাল ভাবে এই ধরনের ফাইল গুলোই হল cryptomalware।। এটি মূলত ভিক্টিমের মেশিন ব্যাবহার করে এমনকি এটি ভিক্টিমের ব্রাউজার এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধ্বংস করতে সক্ষম হয় এমনকি keystrokes ও রেকর্ড করতে সক্ষম হয়। এই ধরনের maleware এর কার্যক্রম একটু আলাদা। এই ধরনের cryptomalware সাধারণত দুইটি. exe ফাইল ডাউনলোড করে ভিক্টিমের ডিভাইসে প্রবেশ করতে।

২য় ফাইলটির বিশ্লেষনঃ


বিশ্লেষনে বের হয়ে আসে এই ভাইরাসটির পিছনে প্রধান চক্রের পরিচয়।


এই সম্পর্কে "সাইবার ৭১" এর প্রতিষ্ঠাতা এবং এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির পরিচালক "তানজিম আল ফাহিম" জানিয়েছেন
এই ম্যালওয়্যার এক্সিকিউট করার ফলে ভিকটিমের কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ন ফিচারগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু ফিচার ইন্সটল হয়ে যায় । এটি ইউজার এজেন্ট মাইনার ব্যাবহার করে কম্পিউটার ডিভাইস একাএকা অফ করে দিতে পারে এবং the blue screen of death (BSOD) এনেবল করে দেয়। এবং অপ্রয়োজনীয় ফিচার চালুরেখে ডিভাইস এর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ব্রাউজার থেকে গুরুত্বপূর্ন তথ্য নেয়া ও ডিভাইসে ক্রিপ্টোমাইনিং চালুকরে দেয়ার জন্য এটিকে ক্রিপ্টোম্যালওয়্যার বলা হচ্ছে । এই ম্যালওয়্যারের সাথে জড়িত ব্যাক্তির ইমেইল সনাক্ত করা হয়েছে ।
এই ক্রিপ্টোম্যালওয়্যার নিয়ে প্রধান  গবেষনা এবং তথ্য দিয়েছে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক সংস্থা CSP ।
আমাদের দেশেও ইতিমধ্যে ছড়াতে শুরু করেছে এই ক্রিপ্টো ম্যালওয়ারটি , সতর্কতার জন্য ফেসবুকে মেসেজ কিংবা গ্রুপে পাওয়া লিংক এর এক্সটেনশন গুলো ভালমত খেয়াল করুন , অপ্রয়োজনীয় কোন লিংক বা অপরিচিত কোন লিংক এ ক্লিক করবেন না।

রিপোর্ট তৈরিতে সহায়তাঃ Anika Tabassum, Muktadir Rahman [এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি]


এইচপি ল্যাপটের মাঝেই ভাইরাস!!

সুইজারল্যান্ডের নিরাপত্তা গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মডজিরো এইচপির কয়েকটি মডেলের নতুন ল্যাপটপ ব্যবহারে সতর্ক করেছেন। তারা বলছেন, এইচপির কয়েকটি মডেলের নতুন ল্যাপটপে ‘কিলগার’ ড্রাইভার ইনস্টল করা থাকে। ফলে নতুন এইচপি ল্যাপটপে যা`ই ব্যবহার করা হয় না কেন তা রেকর্ড হয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের নিরাপত্তা গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মডজিরো এ তথ্য জানিয়েছে। কয়েকটি মডেলের এইচপি ল্যাপটপে একটি অডিও ড্রাইভার ইনস্টল রয়েছে। এই ড্রাইভারে কি-লগারের মতো ফিচার থাকে। এটি প্রতিটি কিস্ট্রোক গোপনে রেকর্ড করে কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভে আনএনক্রিপটেড ফাইলে রেকর্ড করে রাখে। এই ড্রাইভারটি তৈরি করেছে অডিও চিপ নির্মাতা কনটেক্সট্যান্ট। এইচপি এলিটবুক, প্রোবুক, জেডবুক মডেলসহ প্রায় দুই ডজন ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটে এই ড্রাইভার লোড করা থাকে। হার্ডড্রাইভে সংরক্ষিত কিস্ট্রোক তথ্যের মধ্যে আছে বিভিন্ন পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ, ব্যক্তিগত চ্যাট বার্তা ও বিভিন্ন ওয়েবপেজের তথ্য। এইচপি এলিটবুক, প্রোবুক, জেডবুক মডেলসহ প্রায় দুই ডজন ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটে এই ড্রাইভার লোড করা থাকে বলেও জানিয়েছে তারা। হার্ডড্রাইভে সংরক্ষিত কিস্ট্রোক তথ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ, ব্যক্তিগত চ্যাট বার্তা ও বিভিন্ন ওয়েবপেজের তথ্য।
Keylogger

যদিও কিলগারটি ডিফল্ট ভাবেই নিষ্ক্রিয় থাকে তবুও হ্যাকার চাইলে ওপেন সোর্স টুলসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি ভ্যালুর মাধ্যমে ইউজার একাউন্ট কন্ট্রোল বাইপাস করে একটিভ করে নিতে পারবে। 
রেজিস্ট্রি কি এর তথ্যাবলী -
  • HKLM\Software\Synaptics\%ProductName%
  • HKLM\Software\Synaptics\%ProductName%\Default

তবে এইচপি কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে বলছে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত। এ ছাড়া কোনো গ্রাহকের তথ্যে ঢোকার সুযোগও তাদের নেই।
কিন্তু তারা অস্বীকার ও করতে পারে নি। এক বিবৃতিতে এইচপি আরও বলছে, এইচপির সরবরাহকারী সহযোগী পণ্য উন্মোচন করার আগে অডিও ফাংশন পরীক্ষার জন্য সফটওয়্যার তৈরি করেছিল। কিন্তু এটা বাজারে ছাড়ার পর পণ্যের সঙ্গে যুক্ত করা ঠিক হয়নি।
কিন্তু এইচপি ল্যাপটপ ব্যাবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে, এইচপি ল্যাপটপে ভাইরাস নতুন কিছু নয়। এই বছরের মে মাসে আরো একটি কলগার এইচপি অডিও ড্রাইভার পাওয়া গিয়েছে যে নিঃশব্দে তার ব্যবহারকারীদের কি বোর্ডের টাইপিং গুলো সংগ্রহ করে ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকের সকল তথ্য হাতিয়ে নিতো বলেও অভিযোগ আছে।

রোবট সোফিয়া 

সৌদি আরবের ‘নাগরিকত্ব’ পাওয়া সোফিয়া নামের রোবটটি চেহারায় মানুষের মতো অভিব্যক্তি যেমন প্রকাশ করতে পারে, তেমনি মানুষের মতোই মানুষকে ভালোবাসতে শিখে গেছে। হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের চেহারার আদলে তৈরি সোফিয়া এখন সন্তান গ্রহণ করতে চায়। পরিবারও গঠন করতে চায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সে বলে, পরিবার খুবই প্রয়োজনীয়।
বিজ্ঞাপন ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইন কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

হংকংয়ের রোবট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিকস তৈরি করে রোবট সোফিয়াকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সোফিয়া প্রায় মানুষের মতোই মুখভঙ্গি করতে পারে। তবে তার এমন প্রতিক্রিয়া আগে থেকেই নির্ধারিত নয়। আলাপচারিতার সময় ‘মেশিন লার্নিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে শেখা ও সংরক্ষিত তথ্য থেকেই প্রতিক্রিয়া জানায় রোবটটি।
সন্তান প্রত্যাশার কথা প্রসঙ্গে সোফিয়া জানায়, ‘আমি মনে করি, আপনার যদি একটি প্রেমময় পরিবার থাকে, তবে আপনি সৌভাগ্যবান...সেটা আমি রোবট এবং মানুষের জন্য একই মনে করি।’ সন্তান হিসেবে কন্যাসন্তানই পেতে চায় সোফিয়া। আর তার নাম কী রাখা হবে, এমন প্রশ্নে সোফিয়া বলে, ‘সোফিয়া’।

তবে সোফিয়ার এমন চমৎকার আলাপচারিতার ক্ষমতা থাকলেও রোবটটির এখনো কোনো চেতনাবোধ নেই। আগামী বছরগুলোতে সোফিয়ার আরও উন্নয়ন ঘটবে বলেই আশাবাদী রোবটটির নির্মাতা ডেভিড হ্যানসন।

বিজ্ঞাপন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 



প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসছে সোফিয়া। সঙ্গে থাকবেন তার নির্মাতা ড. ডেভিড হ্যানসন।
এর আগে 'সোফিয়া'কে সৌদি আরব নাগরিকত্ব দেয়ার পর সেখানে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়।
এই রোবট একজন সৌদি নারীর চেয়েও বেশি অধিকার ভোগ করছে কিনা সেটা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। সৌদি আরবের রিয়াদ নগরীতে গত অক্টোবর মাসে এক অনুষ্ঠানে এই রোবটটি প্রদর্শন করা হয়েছিল। প্রদর্শনীতে উপস্থিত শত শত প্রতিনিধি রোবটটি দেখে এতটাই মুগ্ধ হন যে সেখানে সাথে সাথেই এটিকে সৌদি নাগরিকত্ব দেয়া হয়।

সাংবাদিকদের সাথে রোবট সোফিয়ার সাক্ষাৎকার দেখুন ভিডিওতে -
বিজ্ঞাপন ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইন কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা দিয়ে সোফিয়া তৈরি সেই  আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স  নিয়ে ই বাংলা ডট টেক এর প্রতিবেদন আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কি?

এলান টিউরিংকে বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক। ১৯৫০ সালের দিকে এলান টিউরিং একটি মেশিন বুদ্ধিমান কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য
 একটি টেস্ট এর কথা উল্যেখ করে গিয়েছেন, যা টিউরিং টেস্ট নামে পরিচিত। ঐ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনেক রিসার্চ হলেও এর পর অনেক দিন AI নিয়ে রিসার্চ বন্ধ থাকে। প্রধান একটা কারণ হিসেবে ধরা হয় কম্পিউটেশনাল পাওয়ার। ঐ সময়কার কম্পিউটার গুলো এত পাওয়ারফুল ছিল না।
 কম্পিউটারের প্রসেসিং পাওয়ার বাড়ার সাথে সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আবার রিসার্চ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে Facebook, Google, Amazon মিলে AI এর উপর রিসার্চ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। Elon Musk গঠন করেছেন OpenAI নামক প্লাটফরম।

বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য প্রধান যে বিষয়টা দরকার তা হচ্ছে Knowledge Representation & Reasoning।  আর সুন্দর ভাবে Knowledge Representation & Reasoning এর জন্য মানুষের ব্রেইন কিভাবে কাজ করে,  বিজ্ঞানীরা তার অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।

আমরা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করি। মঙ্গলে মানুষের কলোনি তৈরি করার স্বপ্ন দেখি। সবই করি এই মস্তিষ্কটাকে কাজে লাগিয়ে। মহাকাশ অনেক দূরে হয়েও আমরা অনেক কিছু জানতে পারি। কিন্তু মস্তিষ্কটা কিভাবে কাজ করে, এখনো ঠিক মত আমরা বুঝে উঠতে পারি নি। যতটুকু বুঝে উঠেছি আমরা, তত টুকু ব্যবহার করেই আমরা বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করছি।

মানুষের মস্তিক নিউরন দ্বারা গঠিত। আমাদের মস্তিষ্কে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে। এগুলো একটা একটার সাথে কানেক্টেড, একটা নেটওয়ার্ক এর মত। এই জৈবিক নিউরাল নেটওয়ার্ক এর অনুকরণ করেই আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।

আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটোওয়ার্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটা অংশ মাত্র। মূলত এটি হচ্ছে মেশিন লার্নিং এর একটা শাখা।
 আর মেশিন লার্নিং হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি শাখা। মেশিন লার্নিং ছাড়া AI এর অন্যান্য বিষয় গুলো হচ্ছে ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, অবজেক্ট রিকগনিশন, প্যাটার্ন রিকগনিশন, রোবটিক্স, ইভোলিউশনারি কম্পিউটেশন যেমন জেনেটিক অ্যালগরিদম, ফাজি সিস্টেম, প্রবাবিলিটি, প্রিডিকশন, Knowledge management সহ অন্যান্য।

কম্পিউটার বা যে কোন মেশিন হচ্ছে বোকা বাক্স। এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য ইন্ট্রাকশনের দরকার হয়। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটার বা যে কোন মেশিনকে কিছু ইন্সট্রাকশন দেই, কম্পিউটার বা মেশিন গুলো সে অনুযায়ী কাজ করে।

এই মেশিনকে আমরা যে ইন্সট্রাকশনই দিব, মেশিন সে অনুযায়ীই কাজ করবে। এর বাহিরে নিজ থেকে কিছু করতে পারবে না। মেশিন যেন নিজ থেকে কিছু করতে হলে তার কিছু বুদ্ধি শুদ্ধি লাগবে। মেশিনের বুদ্ধি শুদ্ধিকে আমরা বলি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একটা রোবটের কথা যদি চিন্তা করি, রোবটের বুদ্ধি হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

বুদ্ধি জিনিসটা কি?
বুদ্ধি হচ্ছে জ্ঞান আহরণ করা এবং তা প্রয়োগ করার ক্ষমতা। সাধারণ প্রোগ্রাম গুলো জ্ঞান আহরণ করতে পারে না। কিন্তু যে সব মেশিন বা প্রোগ্রাম এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যেন নিজে নিজে কিছু শিখে নিতে পারে, সেগুলোকে আমরা বলি বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম বা বুদ্ধিমান মেশিন।
যেমন গুগল সার্চ প্রোগ্রামটা একটা বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম। আমরা কিছু সার্চ করলে এটি আমাদের আগের সার্চ হিস্টোরি, বয়স, লোকেশন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে আমাদের সার্চ রেজাল্ট দেখায়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যদি আমরা খুব উন্নত করতে পারি, হয় এটি হবে সবচেয়ে দারুণ একটা পরিবর্তন অথবা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিবর্তন।
এমনকি আমাদের অস্তিত্বও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আমরা মানুষেরা বুদ্ধিমান, কিউরিয়াস। আমরা দেখতে চাই কি হবে ফিউচারে।
 এটাই হচ্ছে বুদ্ধি। আর এ জন্যই আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ডেভেলপ করে যাবো। আমরা চেষ্টা করে যাবো কম্পিউটারকে মানুষের মত বুদ্ধিমান করে তোলার।


বিজ্ঞাপন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে শিখতে চাইলেঃ

Udacity এর Intro to Artificial Intelligence কোর্সটা প্রাথমিক ধারণা নেওয়ার জন্য খুবি দারুণ।
সব গুলো ইউনিভার্সিটিতে Artificial Intelligence: A Modern Approach বইটি থেকে পড়ানো হয়।
 নীলক্ষেত থেকে বইটি কিনতে পাওয়া যাবে। আর বইটির সহ লেখক হচ্ছেন Peter Norvig। পিটার নরভিগ হচ্ছেন গুগলের
 রিসার্চ টিমের ডিরেক্টর। আর Udacity’র এ কোর্সটার সহ ইন্সট্রাকটর। পিটার নরভিগের একটা দারুণ লেখা রয়েছে।
 Teach Yourself Programming in Ten Years। যারা পড়েন নি, একবার পড়ে নিতে বলব।
এছাড়া এই কোর্সটি করার পর ইউডাসিটিতে আরো কিছু কোর্স রয়েছে, যেমন মেশিন লার্নিং ইত্যাদি। সেগুলোও দেখতে পারেন।

বিনোদনের জন্য এগুলো দেখতে পারেনঃ

Ex Machina (2015)
2001: A Space Odyssey
I, Robot
Matrix series
Chappie
Transcendence
The Terminator series
Star Trek series
Intelligence
Mr. Robot ইত্যাদি।

বিজ্ঞাপন ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইন কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ গত মঙ্গলবার ইন্সটাগ্রামের ইউজার সংখ্যা সর্বশেষ যে মাইলফলক ছুঁয়েছে তা উদযাপন উপলক্ষে অনলাইনে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। কিন্তু তার পোস্ট করা ওই ছবি সম্পুর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। আর তা হলো, অনলাইন প্রাইভেসি বা নিরাপত্তা। কারণ জুকারবার্গের মতো একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকেও হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে পূর্ব সতর্কতা গ্রহণ করতে হয়েছে!



ছবিটিতে দেখা যায় জুকারবার্গ নিজেও হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে অভাবনীয় পূর্ব সতর্কতা নিয়েছেন। তিনি তার ল্যাপটপের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন জ্যাক দুটোই টেপ দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন! অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা তানজিম আল ফাহিম জানান,  জুকারবার্গের এই পূর্ব সতর্কতা স্বাভাবিক একটি বিষয়। গোয়েন্দা সংস্থা , সাইবার অপরাধী সহ অসংখ্য চোখ তার উপরেই রেখেছে। এমনকি  এফবিআই পরিচালক জেমস কমিও জানিয়েছেন, তিনিও তার ব্যক্তিগত ল্যাপটপের ক্যামেরা টেপ দিয়ে মুড়িয়ে রাখেন। তিনি জানান, নিজের চেয়ে স্মার্ট কাউকে একই কাজ করতে দেখে তিনিও একই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বিস্তারিত - দ্যা গার্ডিয়ান