Showing posts with label ফেসবুক. Show all posts
Showing posts with label ফেসবুক. Show all posts

ফেসবুকের মেসেজে ছড়িয়ে যাচ্ছে ক্রিপ্টোম্যালওয়ার, হ্যাক হচ্ছে আইডি এবং ডিভাইস!

ফেসবুকে ভিডিও ফাইলের আকারে মেসেজের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে ক্রিপ্টো ম্যালওয়ার। পরিচিত কিংবা অপরিচিত কোন ব্যাক্তির আইডি থেকে পাঠানো এই ফালটি ওপেন করলেই হ্যাক হবে আপনার প্রিয় আইডি। ক্ষতি সাধন হবে আপনার প্রিয় ডিভাইসটির।

এখন পর্যন্ত এরকম দুই ধরনের ম্যালওয়্যার ফাইল নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সনাক্ত করতে পেরেছে , ফাইল দুইটি ভিডিও ফাইল আকারে জিপ করে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে । জিপ ফাইলটি খোলার পর সেখানে ভিডিও ফাইলের আইকন দেখা যায় তবে সেখানে এক্সটেনশন হিসেবে .exe থাকে । মাত্র ৫০০ থেকে ৯০০ কিলোবাইটের মধ্যের এই ফাইলটি শুধুমাত্র আপনার উইন্ডোজ পিসি তে ক্ষতিসাধন করতে পারে ।
তবে অন্য ফাইলটির মাধ্যমে আপনার আইডির বেশ কয়েকটি এক্সেস পেয়ে যাবে হ্যাকাররা, যার ফলে তাদের তৈরি কৃত এই স্ক্রিপটটি আপনার অজান্তেই আপনার পরিচিত সকলকে মেসেজ পাঠিয়ে ফাঁদে ফেলে দিবে।

দুইটি ফাইলের পৃথক বিশ্লেষণঃ
Filename: Video.71656613.mp4.exe
Size: 504KiB (515584 bytes)
Type: PE32 executable (GUI) Intel 80386, for MS Windows, UPX compressed
MD5SUM: 77b99d4cda37ea5d52780cab2c423204
SHA1: 172965c4b9e5d66169b473385d058acc5213d696
SHA256:94d92f5ac3bbda7f6aa545a2888a74eac2644f71ed8319339c9ee651ab82e28e
SSDEEP:TozGdX0M4ornOmZIzfMwHHQmRROXKnpfXtiQ/:T4GHnhIzOan6Q
Compiler/Packer: UPX v1.25 (Delphi) Stub Unpacked
Size: 969KiB (992256 bytes)
Type: PE32 executable (GUI) Intel 80386, for MS Windows
MD5SUM: d63582630abb6d84fab48bcd90ff38f8
SHA1: df1c1eb09408b51d7049f70532cf83927afd5ecc
SHA256: 3771dad8c38def8c8ba903a0e7b203cf05efd99e27add3dea77b9d702a84171f
SSDEEP: bCdOy3vVrKxR5CXbNjAOxK/j2n+4YG/6c1mFFja3mXgcjfJilgsUFccfXwIiQ3:bCdxte/80jYLT3U1jfH5cfr4


জিপ ফাইলটি থেকে বিশ্লেষন করলে আমরা এখানে একটি exe ফাইল পাবো যেখানে অবশ্যই অনেক তথ্যাবলী পাওয়া যেতে পারে।
এটি বিশ্লেষন করলে শুরুতেই এর মধ্যে ম্যালওয়ার এর মতো সন্দেহজনক আচরণ উপলব্ধি করা যায়।

এটি সাধারনত Taskill.exe ফাইল ব্যাবহার করে scanner এবং terminates এর সাহায্য ফাকি দেওয়ার উপায় সনাক্ত করে ভিক্টিমের কম্পিউটার এ উপস্থিতি কার্যকর করে।

যদি আমরা এই প্রক্রিয়াটি চেক করি তাহলে একটি miner.exe খুজে পাবো আর লোকেশন খুজতে গেলে দেখবো এটি updater.exe এর আদেশে PID. 3032 এর সাথে কাজ করছে। আরো সনাক্ত হয়েছে যে, এটি প্রটোকলেও প্রবেশ করতে সক্ষম হয় “stratum+tcp://” (Indicator: “stratum+tcp://”; File: “network.pcap”) সুতরাং টেকনিক্যাল ভাবে এই ধরনের ফাইল গুলোই হল cryptomalware।। এটি মূলত ভিক্টিমের মেশিন ব্যাবহার করে এমনকি এটি ভিক্টিমের ব্রাউজার এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধ্বংস করতে সক্ষম হয় এমনকি keystrokes ও রেকর্ড করতে সক্ষম হয়। এই ধরনের maleware এর কার্যক্রম একটু আলাদা। এই ধরনের cryptomalware সাধারণত দুইটি. exe ফাইল ডাউনলোড করে ভিক্টিমের ডিভাইসে প্রবেশ করতে।

২য় ফাইলটির বিশ্লেষনঃ


বিশ্লেষনে বের হয়ে আসে এই ভাইরাসটির পিছনে প্রধান চক্রের পরিচয়।


এই সম্পর্কে "সাইবার ৭১" এর প্রতিষ্ঠাতা এবং এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির পরিচালক "তানজিম আল ফাহিম" জানিয়েছেন
এই ম্যালওয়্যার এক্সিকিউট করার ফলে ভিকটিমের কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ন ফিচারগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু ফিচার ইন্সটল হয়ে যায় । এটি ইউজার এজেন্ট মাইনার ব্যাবহার করে কম্পিউটার ডিভাইস একাএকা অফ করে দিতে পারে এবং the blue screen of death (BSOD) এনেবল করে দেয়। এবং অপ্রয়োজনীয় ফিচার চালুরেখে ডিভাইস এর তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ব্রাউজার থেকে গুরুত্বপূর্ন তথ্য নেয়া ও ডিভাইসে ক্রিপ্টোমাইনিং চালুকরে দেয়ার জন্য এটিকে ক্রিপ্টোম্যালওয়্যার বলা হচ্ছে । এই ম্যালওয়্যারের সাথে জড়িত ব্যাক্তির ইমেইল সনাক্ত করা হয়েছে ।
এই ক্রিপ্টোম্যালওয়্যার নিয়ে প্রধান  গবেষনা এবং তথ্য দিয়েছে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক সংস্থা CSP ।
আমাদের দেশেও ইতিমধ্যে ছড়াতে শুরু করেছে এই ক্রিপ্টো ম্যালওয়ারটি , সতর্কতার জন্য ফেসবুকে মেসেজ কিংবা গ্রুপে পাওয়া লিংক এর এক্সটেনশন গুলো ভালমত খেয়াল করুন , অপ্রয়োজনীয় কোন লিংক বা অপরিচিত কোন লিংক এ ক্লিক করবেন না।

রিপোর্ট তৈরিতে সহায়তাঃ Anika Tabassum, Muktadir Rahman [এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি]
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ গত মঙ্গলবার ইন্সটাগ্রামের ইউজার সংখ্যা সর্বশেষ যে মাইলফলক ছুঁয়েছে তা উদযাপন উপলক্ষে অনলাইনে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। কিন্তু তার পোস্ট করা ওই ছবি সম্পুর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। আর তা হলো, অনলাইন প্রাইভেসি বা নিরাপত্তা। কারণ জুকারবার্গের মতো একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকেও হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে পূর্ব সতর্কতা গ্রহণ করতে হয়েছে!



ছবিটিতে দেখা যায় জুকারবার্গ নিজেও হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে অভাবনীয় পূর্ব সতর্কতা নিয়েছেন। তিনি তার ল্যাপটপের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন জ্যাক দুটোই টেপ দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন! অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা তানজিম আল ফাহিম জানান,  জুকারবার্গের এই পূর্ব সতর্কতা স্বাভাবিক একটি বিষয়। গোয়েন্দা সংস্থা , সাইবার অপরাধী সহ অসংখ্য চোখ তার উপরেই রেখেছে। এমনকি  এফবিআই পরিচালক জেমস কমিও জানিয়েছেন, তিনিও তার ব্যক্তিগত ল্যাপটপের ক্যামেরা টেপ দিয়ে মুড়িয়ে রাখেন। তিনি জানান, নিজের চেয়ে স্মার্ট কাউকে একই কাজ করতে দেখে তিনিও একই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বিস্তারিত - দ্যা গার্ডিয়ান
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করে। কারণ একাউন্ট হ্যাক হওয়া মানে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের হাতে চলে গেছে। এসময় অস্থির না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় জেনে নিতে হবে-

ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে কিভাবে বোঝা যায়?

ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে কিনা এ বিষয়ে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে। এক্ষেত্রে নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলেই আমরা বুঝবো ফেসবুক আইডি হ্যাক হ্যাক হয়েছে-  
  • আপনার ইমেইল অথবা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
  • আপনার নাম অথবা তথ্য পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
  • আপনার অজান্তে কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। 
  • কাউকে ম্যাসেজ পাঠানো, যা আপনি পোষ্ট নি।
  • কোন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করা, যা  আপনি নিজে করেন নি।




ফেসবুক আইডি হ্যাক কিভাবে হয়ে থাকে? 
বেশ কিছু পদ্ধতিতেই ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
# কমন পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে ফেসবুক আইডি হ্যাক হতে পারে। যেমন, অনেকে পাসওয়ার্ড হিসেবে 123456 / abcd2017  দিয়ে রাখে। এক্ষেত্রে তার আইডিটি হ্যাকাররা হ্যাক করে নিতে পারে।
দেখে নিন কিছু পাসওয়ার্ড লিস্ট, এগুলো আপনার পাসওয়ার্ড হিসেবে থাকলে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনার তালিকায় থাকতে পারে আপনার আইডি। লিংক - Click Here


# সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে হতে পারে আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক। যেমন অনেকেই তার মোবাইল নাম্বারকে তার পাসওয়ার্ড হিসেবে দিয়ে রাখে। আবার অনেকেই নিজের পরিবারের মানুষ কিংবা ভালোবাসার মানুষটির নামকেই পাসওয়ার্ড হিসেবে দেখতে পছন্দ করে থাকে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই তার আইডিটি কোন হ্যাকার তথ্য সংগ্রহ করেই হ্যাক করে নিতে পারবে।

# ফিশিং পেজ
- ফেসবুকের মতো দেখতে হুবহু একটি পেজ চলে আসলো। আপনি ফেসবুক মনে করেই কোন যাচাই বাছাই ছাড়াই দিয়ে দিলেন পাসওয়ার্ড। ব্যাস! হ্যাকারের কাছে চলে যাবে আপনার সকল তথ্য এবং প্রিয় এই ফেসবুক আইডি হ্যাক এর শিকার হতে হবে।


ছবি - 

# Password recovery process  - এ আপনার আইডি এর আগের পাসওয়ার্ড এবং ইমেইলের পাসওয়ার্ড জানা থাকলে আপনার আইডি রিকভার করার মাধ্যমে হ্যাক করা যাবে। এর থেকে সুরক্ষিত থাকতে চাইলে আপনার আইডি এবং ইমেইলের পাসওয়ার্ড যেন কেউ না জানে সেদিকে লক্ষ রাখুন। ফেসবুক আইডি এবং ইমেইলের পাসওয়ার্ড ভিন্ন রাখবেন।


# Trusted Contact হচ্ছে ফেসবুকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। এই ফিচারটি আপনি চালু না রাখলে স্প্যামার আপনাকে টার্গেট করে আপনার নামে ফেক ডুকুমেন্ট তৈরি করে আপনার আইডি হ্যাক করতে পারবে। 

# Session hijacking হচ্ছে আপনি অন্য কারো ডিভাইস থেকে যখন ফেসবুকে লগিন করবেন তখন আপনি লগ আউট করার পরও ব্রাউজার এর saved password  এ গিয়ে আপনার পাসওওার্ড পাওয়া যাবে। ফলে আপনার আইডি হ্যাক করা যাবে। এর থেকে সুরক্ষিত থাকতে অন্য কারো ডিভাইস দিয়ে ব্রাউজিং করার পর browser এর cache,history,saved password clear করে দিবেন।

# Man in the middle attack হচ্ছে আপনি যখন কোন wifi network/lan এ থাকবেন তখন একি wifi ব্যবহার করছে এমন কেউ আপনার পাসওয়ার্ড বের করে ফেলতে পারবে। বিভিন্ন software/mobile app দিয়ে এই attack wifi network এ চালিয়ে পাসওয়ার্ড বের করে ফেলা যায়। এর থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য vpn(virtual private network) ব্যবহার করে আপনার ip(internet protocol) address,mac address hide করে ফেলুন।

# Brute force attack হচ্ছে একটি পাসওয়ার্ড ডিকশনারি বানিয়ে কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিকশনারি থেকে একটির পর একটি শব্দ যাচাই করে দেখা। যদি কোন word আপনার password এর সাথে মিলে যায় তাহলে সফটওয়্যার টি আপনাকে পাসওয়ার্ড জানিয়ে দিবে।এই পদ্ধতি অনেক সময় সাপেক্ষ এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজ করে না। তবে kali linux operating system দিয়ে brute force attack করলে কাজ করার সম্ভাবনা আছে। এটি থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য আপনার পাসওয়ার্ড কোন meaningful word না দিয়ে letters,numbers,symbols এর সমন্বয় করে কঠিন পাসওয়ার্ড দিন। তাহলে এই পদ্ধতিতে পাসওয়ার্ড পাওয়া যাবে না।
# USB Hacking হচ্ছে আপনার কম্পিউটারে pendrive/memory card ইত্যাদি প্রবেশ করিয়ে কম্পিউটারের তথ্য চুরি করা যায়। তথ্য চুরি করার মতো একটি batch file pendrive এ থাকলে এবং আপনি সেটায় ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটারের তথ্য pendrive এ একটি word file এ save হয়ে যাবে। সুরক্ষিত থাকার জন্য pendrive কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে scan করবেন এবং pendrive এ কোন batch file দেখলে ক্লিক করবেন না।
সাধারন ব্যাবহারকারীর কিছু ভূলের কারনে যেভাবে ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে থাকে। 
চমকপ্রদ পোস্ট থেকে সাবধান

অনেক সময় ফেসবুক টাইমলাইনে ওজন কমানোর পরামর্শ বিষয়ক পোস্ট এসে ভরে যায়। চমত্কার ও চটকদার ওজন কমানোর পরামর্শ দেওয়ার কথা বলা হয় এসব পোস্টে। এ ধরনের পোস্টের মাধ্যমে স্ক্যাম ছড়ায় দুর্বৃত্তরা। অজানা, অচেনা উত্স থেকে আসা এ ধরনের পরামর্শগুলোতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।


বিজ্ঞাপন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

ব্রেকিং নিউজ

ব্রেকিং নিউজ হিসেবে ফেসবুকে অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া ও ম্যালওয়্যারভর্তি খবর প্রকাশ করে দুর্বৃত্তরা। ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিশ্লেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে গুগলে সার্চ করে দেখা ভালো। ফেসবুকের পোস্ট করা লিংকে ক্লিক করলে তাতে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

কখনও তারকা গুজব পোস্টে ক্লিক নয়

ফেসবুকে তারকাদের নিয়ে বা সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা সংশ্লিষ্ট গুজব নিয়ে চটকদার খবরের পোস্ট পাওয়া যায়। অনেক সময় এ ধরনের খবরকে ‘ব্রেকিং নিউজ’, ‘গোপন খবর’, ‘গোমর ফাঁস’, ‘তথ্য ফাঁস’, ‘আড়ালের খবর’ ইত্যাদি নামে পরিবেশন করা হয়।

ফেসবুকের গিফট কার্ড

আপনি ফেসবুকে লটারি জিতেছেন বা কোনো উপহার জিতেছেন বলে টাইমলাইনে পোস্ট দেখাতে পারে। বিনামূল্যে উপহারের নমুনা দেখিয়ে সে লিংকটিতে ব্যবহারকারীকে ক্লিক করতে আকৃষ্ট করে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে ফেসবুকের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া স্ক্যামগুলোর একটি এই গিফট কার্ড স্ক্যাম। এ ধরনের লিংকে ক্লিক করলে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়। এসব তথ্য দেওয়া হলেও কোনো উপহার পাওয়া যায় না বরং কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ভুয়া নিউজ সাইটের লিংক

ফেসবুকে অজানা-অচেনা উত্স থেকে নানা গুজব, চটকদার খবর প্রকাশ করা হয়। খবরের যে উত্সগুলো আপনার পরিচিত নয় সে সাইটগুলোর খবরে ক্লিক করলে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকি থাকে। আসল খবরের আদলে সাইবার দুর্বৃত্তরা ফেসবুকে ভুয়া নিউজের লিংক পোস্ট করে তাদের উদ্দেশ্য সফল করে।


এছাড়াও কিছু পদ্ধতি আছে হ্যাক করার জন্য। যেমনঃ stealers, sidejacking, botnets ইত্যাদি। তবে এগুলোই বেশি ব্যবহ্রত হয়।
অনেকেই ভাবেন হ্যাকারদের হাতে জাদুর কাঠি আছে এবং তারা যা চান তাই পারেন। তাই হ্যাকার দেখলে অনেকেই মনে করেন আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে দিবে এবং ভয় পান। ধারনাটি ভুল। হ্যাকিং একটি জ্ঞান, যা ভালোভাবে জানলে কেউ ই এর বাজে ব্যাবহার করতে চায় না।  তবে সাধারন মানের হ্যাকাররাই ফেসবুক আইডি সম্পর্কিত বিষয় গুলো নিয়ে পড়ে থাকে। প্রশিক্ষিত হ্যাকারদের কাছে নিজস্ব কোন পদ্ধতি থাকে। ইথিক্যাল / ভালো হ্যাকাররা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কারো আইডি হ্যাক করবেন না। বর্তমানে ইথিক্যাল হ্যাকিং একটি জনপ্রিয় পেশা। তাই, সকল হ্যাকাররাই এখন ইথিক্যাল ভাবেই কাজ করে থাকে। খুবই সাধারন পদ্ধতি গুলোতেই ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে থাকে এর ফলে 


যেভাবে ফেসবুক আইডির নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবেন - 

# ফেসবুক আইডি হ্যাক এর হাত থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই আপনাকে যেভাবে ফেসবুক আইডি হ্যাক হচ্ছে তা ভালো ভাবে জানতে হবে। [ ইতিমধ্যেই আমরা সব গুলো পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা করেছি।] 
তবে বাধ্যতামূলক ভাবে কিছু নিরাপত্তা নিশ্চিন্ত করতে হবে। তা হচ্ছে,
- কমন / সহজ পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অহেতুক ফেসবুক এপ্লিকেশন ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যেই মেইল এবং ফোন নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি সংযুক্ত তা উক্ত ফেসবুক আইডিতেই প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- লগিন এপ্রোভাল চালু করুন। [এতে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড কেউ জেনে গেলেও আপনার অনুমতি ছাড়া চালু করতে পারবে না।] 
[ লগিন এপ্রোভাল চালু করতে - facebook > setting > Security and Login > Use two-factor authentication > setup > on ]
- ট্রাস্টেড কন্ট্রাক্ট চালু করুন। এগুলো আপনার পরিচিতদেরকে নির্ধারন করুন। এতে আপনার আইডি স্প্যামাররা হ্যাক করতে পারবে না। অন্য কোন পদ্ধতিতে যদি হ্যাক এর শিকার হয় তাহলে যে কোন মূহুর্তে আপনি Trusted Contact এর সাহায্যের মাধ্যমে রিকভার করে নিতে পারবেন।


ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে রিকভার করার পদ্ধতি - 
হ্যাক হওয়ার পর আইডিটি উদ্ধার করতে কয়েক ধাপে কাজ করতে হয়। হ্যাক হওয়া আইডি ফিরে পাওয়ার উপায় তুলে ধরতে এ টিউটোরিয়াল।প্রথমে এড্রেস বার থেকে www.facebook.com/hacked এ লিংকে প্রবেশ করতে হবে।

এরপর My Account Is Compromised এ ক্লিক করতে হবে।

তারপর ফোন নম্বর, ই-মেইল কিংবা ইউজার নাম দিয়ে একাউন্টটি শনাক্ত করতে হবে।

এরপর নিরাপত্তামূলক কিছু প্রশ্ন জানতে চাওয়া হবে। কয়েক ধাপে সেগুলোর সঠিক তথ্য দিলে হ্যাক হওয়া আইডি ফিরে পাওয়া যাবে। তবে শর্ত একটিই একাউন্টের সব তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে। তবে উপরের দেওয়া নিরাপত্তা তথ্য অনুযায়ী আপনি ট্রাস্টেড কন্ট্রাক্ট এ আপনার পরিচিতদের দিয়ে রাখলে আপনি খুব সহজেই আইডি হ্যাক হলেও রিকভার করে নিতে পারবেন।

সাইবার জগতে সচেতন থাকুন, নিরাপদে বিচরণ করুন। এই প্রত্যাশাই রইলো।


লেখক - 

তানজিম আল ফাহিম 
সাবেক প্রধান পরিচালক - "সাইবার ৭১"
প্রধান নির্বাহী - "এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি"
ফেসবুক পেজ - http://www.facebook.com/TanjimOfficial

রাত ১০ টার পর থেকেই হঠাৎ কাজ করছে না ফেসবুক। বন্ধ রয়েছে তাদের সার্ভার। প্রবেশ করা যাচ্ছে না ইন্সট্রাগ্রামেও।

তাৎক্ষনিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে সিস্টেমের কোন আপডেট করার জন্য ফেসবুক বন্ধ থাকতেই পারে।

বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টা) থেকে হঠাৎ ফেসবুক বিকল দেখতে শুরু করেন বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীরা। বিশ্বজুড়ে ফেসবুক অচল হয়ে পড়ার এ খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে। #Facebookdown নামে ট্রেন্ডিং টপিক হিসেবেও এটি জনপ্রিয় হয়েছে। 
ফেসবুক অচল হয়ে পড়ার পরপরই ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, ফেসবুক হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাঁরা জেনে এই সমস্যা সমাধানের কাজ শুরু করেন। ফেসবুক দ্রুত স্বাভাবিক করতে কাজ করেছে তাঁদের টিম। 




কিছু কিছু ব্যাবহারকারীরা যারা লগিন করে ছিলেন তারা নিউজফিডে প্রবেশ করতেও পারছেন না। তবে, এই সম্পর্কে এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ফেসবুকের  যে কোন সিস্টেম আপগ্রেড করার কাজের জন্য কিছু সময়ের জন্য সার্ভার ডাউন কিংবা সমস্যা হতেই পারে। এতে ফেসবুক আইডির কোন প্রকার সমস্যা হবে না। সকল ব্যাবহারকারীদের নিশ্চিন্তে থাকার পরামর্শ ও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 
 Outage Report এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অসংখ্য ব্যাবহারকারীরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। 
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ছাড়াও টিন্ডার, হিপচ্যাট, এআইএমের মতো সেবাগুলোও অচল হয়ে পড়ার খবর বিশ্বজুড়ে অনলাইন বিভিন্ন মাধ্যমে উঠে এসেছে।

‘খাটের ওপর শুয়ে আছে একজন বৃদ্ধ। সামনে বসা ছোট্ট একটি মেয়ে। হাতে কাগজ। দেখে মনে হবে মেয়েটি সাহায্যপ্রার্থী। এমনই একটি ছবি সোমবার রাত থেকে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। আর ছবিটির সঙ্গে ইনবক্সে দেয়া হচ্ছে একটি মেসেজ, যাতে লেখা আছে, ‘ছবিটি সবাইকে সেন্ড করো। কারণ এ মেয়েটার বাবার অপারেশন হবে। এটি যতবার সেন্ড করা হবে মেয়ের পরিবারকে ততবারই ১ টাকা করে দেবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।’

এই মেসেজ পেয়ে বাংলাদেশের আবেগী অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের বন্ধুদের ইনবক্সে তা পাঠাতে শুরু করেন। অনেকে ম্যাসেঞ্জারেও পাঠাচ্ছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফেসবুকে এটি ভাইরাল হয়েছে। অনেকে এই ছবি ও মেসেজটি তাদের ফেসবুক ওয়ালেও শেয়ার করছেন। এতে আবার কেউ কেউ বিরক্তিও দেখাচ্ছেন।

তবে পোস্টটি নিছক ‘প্রতারণামূলক বার্তা’ উল্লেখ করে আইটি বিশেষজ্ঞ তানজিম আল ফাহিম জাগো নিউজকে বলেন, এ বার্তা পাঠানো কিংবা শেয়ারের জন্য ফেসবুক কাউকে কোনো টাকা দেবে না।
“এ ধরনের পোস্টে অনেকেই বিরক্ত হন। তারা চাইলে শেয়ার দেয়া বা সেন্ড করা ওই ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ‘রিপোর্ট’ করতে পারেন। এতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ওই অ্যাকাউন্টধারীকে সতর্ক কিংবা তার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে অচল করে দিতে পারে“ বলেন তিনি।
পোস্টের বিষয়ে এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সাইবার একাত্তরের অ্যাডমিন মো. ফাহিম জাগো নিউজকে বলেন, ফেসবুকের হোম পেজেই উল্লেখ করা আছে, ‘It's free and always will be.’ অর্থাৎ ফেসবুক ব্যবহার কিংবা পরিচালনার জন্য আপনার কাছে কোনো অর্থ নেয়া হবে না। সুতরাং আপনার কমেন্ট/লাইক, শেয়ার কিংবা ইনবক্সে পাঠানো থেকে ফেসবুক কোনো আয় করে না। এর থেকে কোনো প্রকার অর্থও তারা কাউকে দেয় না। বিভিন্ন সময় দুর্যোগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ত্রাণ দিলেও সেটা কখনোই এসব কার্যক্রমের ভিত্তিতে নয়।
তিনি বলেন, ওই ১ টাকা কিংবা ডলার যোগ হওয়ার সংবাদটি সম্পূর্ণ প্রতারণামূলক বার্তা, ইন্টারনেটের পরিভাষায় একে হোক্স (ধাপ্পাবাজি) বলে। গত কয়েক দিনে এ বার্তা ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে পড়ছে। এর কোনো ভিত্তি নেই।
ফাহিম আরও জানান, ২০০৭ সাল থেকে ফেসবুক ঘিরে এ ধরনের হোক্স চালু আছে। বিভিন্ন সময় তা পরিবর্তিত রূপে ফেসবুকে ছড়ায়। এ ধরনের লিংকে ক্লিক করে অন্যজনকে পাঠানোর মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে। অনেক পরিচিতজনের কাছ থেকে এ বার্তা আসতে পারে। এ ধরনের বার্তা এলে তাতে ক্লিক না করে বা এ বার্তা অনুসরণ না করে তা ডিলিট করা বা মুছে দেয়ার অনুরোধও জানিয়েছে ফেসবুক।
কীভাবে ফেসবুক হোক্স থেকে সতর্ক হবেন?
ফাহিম জানান, হোক্স স্লেয়ার (Hoax Slayer) নামে একটি ওয়েবসাইট বিভিন্ন হোক্স পর্যবেক্ষণের কাজ করে। হোক্স সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে। সাধারণভাবে কোনো পোস্ট শেয়ার করার আগে সন্দেহ হলে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে পরামর্শ (সাপোর্ট) চাইতে পারেন।
এছাড়াও ফেসবুকে একটি প্রোগ্রাম রয়েছে ফ্যাক্ট চেকিং নামের। ‘ফেক নিউজ ফিল্টারিং টুল’থেকে শুরু করে ‘ফ্যাক্ট-চেক বাটন’অবধি বিভিন্ন নাম দেয়া হচ্ছে এটিকে। ফেসবুক ব্যবহারকারী যদি কোনো পোস্ট দেখে মনে করেন যে, এটা ফেক নিউজ হতে পারে তাহলে তারা পোস্টটির ওপরের ডানপাশের বাটনে ক্লিক করে সেটিকে ফেক নিউজ হিসেবে ফ্ল্যাগ করতে পারবেন।
ফেসবুকের কর্মীরা তখন সেই পোস্টটিকে দেখবেন, সেই সঙ্গে সেটিকে পাঠানো হবে বার্লিনভিত্তিক একটি নিরপেক্ষ ফ্যাক্ট-চেকিং সংগঠনের কাছে, যার নাম ‘করেক্টিভ’। করেক্টিভ যদি পোস্টের কাহিনীটিকে অনির্ভরযোগ্য মনে করে তাহলে সেটিকে ‘ডিসপিউটেড’বা ‘বিতর্কিত’বলে ফ্ল্যাগ করা হবে৷
এছাড়া আরও কয়েকটি ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ফেসবুককে সহায়তা করে থাকে।

পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে - জাগো নিউজ