অবশেষে মটো জি৫এস, জি৫এস প্লাস স্মার্টফোন জনসমক্ষে উন্মোচন করল মটোরোলা। মটো জি৫ এবং জি৫ প্লাসের পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে নতুন এ দুটি স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসছে মটোরোলা। মটো জি৫এস, প্লাস স্মার্টফোনের দাম রাখা হয়েছে যথাক্রমে ২৮১ এবং ৩৩৮ মার্কিন ডলার।
মেটাল ইউনিবডি ডিজাইনের দুটি স্মার্টফোনেরই অ্যান্ড্রয়েড ৭.১ ন্যুগাট অপারেটিং সিস্টেম চলবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারসহ ফোনটির সামনের দিকে হোম বাটন বিদ্যমান। ফোন দুটি লুনার গ্রে এবং গোল্ড সংস্করণে বাজারে আসবে।
মটো জি৫এস স্মার্টফোনে ১০৮০x১৯২০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনসহ ৫.২ ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে বিদ্যমান। এতে অক্টা-কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪৩০ প্রসেসর আছে। ফোনটিতে ৩জিবি র‌্যাম এবং ৩২জিবি ইনবিল্ট স্টোরেজ আছে যা আলাদা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ১২৮জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়ানো যাবে। এলইডি ফ্ল্যাশ, পিডিএফসহ স্মার্টফোনটির পিছনে ও সামনের ক্যামেরা যথাক্রমে ১৬ ও ৫ মেগাপিক্সেল। ফোরজি এলটিই সমির্থত স্মার্টফোনটিতে ৩০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি বিদ্যমান। এটি টার্বো পাওয়ার ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সমর্থণ করে। এর ফলে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই মোবাইল হয়ে উঠবে ফুল চার্জ।
মটো জি৫এস প্লাস স্মার্টফোনে ৫.৫ ইঞ্চি ১০৮০*১৯২০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের ৫.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে বিদ্যমান। ফোনটিতে অক্টা-কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬২৫ প্রসেসর আছে। ফোনটি ৩জিবি র‌্যাম/৩২জিবি স্টোরেজ এবং ৪জিবি র‌্যাম/৬৪জিবি স্টোরেজে দুটি ভ্যারিয়েন্টে ফোনটি বাজারে আসবে। তা ছাড়া আলাদা মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে ১২৮জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ ব্যবহার করা যাবে। এই স্মার্টফোনে ১৩ মেগাপিক্সেল সেন্সরের ডুয়াল রিয়ার ক্যামেরা আছে। এলইডি ফ্ল্যাশসহ ফোনটিতে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা আছে। এতে আছে ৩০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি।
মটো জি৫এস স্মার্টফোনটি ডুয়াল সিমে নির্ধারিত বাজারে পাওয়া যাবে। অন্যদিকে জি৫এস প্লাস স্মার্টফোনটি একটি মাত্র সিমে বাজারে আসবে। 
প্রবল তুষার ঝড় হয় লাল গ্রহ মঙ্গলে? আর সেই ঝড় কি রোজই হয় ভোর রাতে? 
তেমনই একটা সম্ভাবনার কথা হালে জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে, বিজ্ঞানীদের অনুমান, সেই বরফের পরিমাণ তেমন কিছু বেশি নয়, যা দিয়ে বরফের পুতুল তৈরি করা যাবে, বা রাস্তা বানানোর জন্য সেই বরফ কাটতে হবে! এমনকী, মঙ্গলে পা রাখলে বরফের জন্য বিশেষ জুতোরও প্রয়োজন হবে না। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন ফ্রান্সের পিয়ের কুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

পৃথিবীর থেকে মঙ্গলের ঠান্ডা অনেকটাই বেশি। তাপমাত্রা কম-বেশি মাইনাস ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এই মারাত্মক ঠান্ডায় বরফ গলে জল হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। গবেষকরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের যেহেতু বেশির ভাগটাই উড়ে গিয়েছে (মঙ্গলের অভিকর্ষ বল অনেক কম বলে), তাই তার বায়ুমণ্ডল খুব পাতলা। ফলে, সূর্যের তাপে পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি তেতে ওঠে ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলের পিঠ। তাই যদি সামান্যতম জলও থাকে মঙ্গলের পিঠে, তা হলেও খুব তাড়াতাড়ি তা উবে যাবে। সেই উবে যাওয়া জল উপরে উঠে জমে গিয়ে বরফ হয়। সেই বরফের টুকরোগুলো মঙ্গলের মেঘে ভেসে বেড়ায়। মেঘ ভারী হয়ে গেলে বরফের টুকরোগুলো ভোর রাতে নেমে আসতে থাকে মঙ্গলের বুকে।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলে মেঘ থেকে বরফ ঝরে পড়ে (তুষারপাত) অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। ৫-১০ মিনিটেই তা মঙ্গলের মাটির ১-২ কিলোমিটার অঞ্চল ভরিয়ে দেয়। আগে জানা ছিল, তা হতে লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন। মেঘে তুষার মিশে যাওয়ায় আবহাওয়া সামান্য ভেজাভেজাই থাকে বলা চলে। গবেষকদলের অন্যতম সদস্য আইমেরিক স্পাইগা জানিয়েছেন, মঙ্গলের ধুলোর আস্তরণের নিচে রয়েছে বরফ।

মঙ্গলে রাতের আকাশে পর্যবেক্ষণের কাজ চালাচ্ছে এক জে়াড়া কৃত্রিম উপগ্রহ। লাল গ্রহের উত্তর মেরু এলাকার মেঘ থেকে বরফ পড়ার খবর মিলেছে দু’টি উপগ্রহ থেকেই।

- সূত্রঃ আনন্দবাজার। 
ছবি সংগ্রহঃ নাসা।
এক অনলাইন ভিডিও গেম। এর কার্যক্রম অন্য সব অনলাইন গেইমের মতোই। তাই এই গেইমে যখন তরুণ-তরুণীরা খেলতে মত্ত হলো, তখন অভিভাবকদের তেমন ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে পারে সেটা মনেই হয়নি। যদিও বিগত বছরগুলোতে অনলাইন গেম রীতিমত মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে অভিভাবকদের মধ্যে। উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা বাদ দিয়ে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বসে গল্প করে সময় কাটাবে তারও কোন লক্ষণ চোখে পড়ে না। খেলাধুলার মাঠে যাওয়া? তো সে দুরস্ত! ঠিকমত ক্লাসে যাচ্ছে না, ক্লাসে অমনোযোগিতা, যথাসময়ে ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া-দাওয়া সবই যেন যান্ত্রিকতায় আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। শুধু অভিভাবকরাই নন, অনলাইন গেমের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আসক্তি চিন্তা বাড়িয়েছে মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীদেরও। শিশুদের মনোবিকাশ ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে পরছে। স্বাভাবিক বৃদ্ধিও বাধা পাচ্ছে এই গেমের নেশায়। শুধু কি তাই! অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে ঘটে চলেছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম তেমনি এক অনলাইন গেইম।
সাম্প্রতিককালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একাধিক দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’ নামের এই সোশ্যাল গেমিং-এর। এক পরিসংখ্যানগত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, গত তিন মাসে রাশিয়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোট ১৬ জন তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।
এতো কম সময়ের মধ্যে এত জন অল্পবয়সী মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনা বিস্মিত করেছিল পুলিশকেও। এদের মধ্যে সাইবেরিয়ার দুই স্কুলছাত্রী য়ুলিয়া কনস্তান্তিনোভা (১৫) এবং ভেরোনিকা ভলকোভা (১৪) একটি বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে পুলিশ রিপোর্ট থেকে জানা যায়। তদন্তকারী অফিসারদের তখন মনে হয়েছিল, এই সমস্ত আত্মহনন হয়তো বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা নয়, হয়তো কোনও গোপন যোগসূত্র রয়েছে এদের মধ্যে। মৃত্যুর পূর্বে য়ুলিয়া তার সোশ্যাল পেইজে একটি তিমির ছবি পোস্ট করে লিখে যায় ‘সমাপ্ত’। তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’। পুলিশ আরো ধারণা করতে থাকে সারা বিশ্বে অন্তত ১৩০ জন মানুষের আত্মহননের জন্য পরোক্ষে দায়ী এই অনলাইন গেইম।
এই খেলায় মোট ৫০টি আত্মনির্যাতনমূলক পর্যায় সম্পন্ন করতে হতো গেমে প্রতিযোগীদের। অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর ছিল সেই সমস্ত পর্যায়। প্রতিটি পর্যায়ের বিভিন্ন টাস্ক ছিল বেশ ভয়ঙ্কর। গেমের শুরুর টাস্কগুলি অবশ্য তেমন আহামরি কিছু নয়। বরং বেশ মজারই। যেমন, হঠাৎ মাঝরাত্রে ঘুম থেকে উঠে ভূতের সিনেমা দেখা। আর সেইজন্যই খুব সহজেই এই অনলাইন গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হতে থাকে কিশোর-কিশোরীরা।
কিন্তু ঘটনা ঘটতে থাকে পরবর্তী লেভেলগুলোতে। গেমের লেভেল যত এগোতে থাকে, তত কঠিন এবং ভয়ঙ্কর হতে থাকে টাস্কগুলি। একটি টাস্ক এমন ছিল যে প্রতিযোগীকে নিজের শরীরে ৫০টি নিডল (ইঞ্জেকশনের সূচ) ফুটাতে হবে এবং সেই ছবি পোস্ট করতে হতো গেমিং পেজে। প্রতিযোগিতার একেবারে সর্বশেষ পর্যায়ে ৫০তম টাস্কের কাজ যার পূর্বশর্তই হলো আত্মহনন!
পুলিশের ধারণা, ইদানিংকালে আত্মঘাতী ১৬ জন তরুণীই এই গেমের ৫০তম টাস্কের শর্ত অনুযায়ী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। রাশিয়া পুলিশের আশঙ্কা, সাম্প্রতিককালে গোটা বিশ্বে আত্মঘাতী হওয়া অন্তত ১৩০ জনের আত্মহননের পেছনে রয়েছে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’।
আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে রাশিয়ার পুলিশ জানায়, য়ুলিয়া এবং ভেরোনিকাসহ আত্মহত ১৬ তরুণীই সুইসাইড গেম-এ আসক্ত ছিল। তারা একেকজন ছিল নিষ্ঠাবান খেলোয়াড়। প্রায় উন্মাদনার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল তাদের জীবনে এই খেলা। খেলায় নিজেকে জয়ী দেখতে চাওয়ার নেশায় তারা নিজেকে শেষ করে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করেনি। প্রত্যেকে প্রতিযোগীই খেলার ৫০তম লেভেল পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। এই ৫০তম লেভেলেই প্রতিযোগীকে আত্মহত্যা করতে হয়। আর এভাবেই এসব তরুণী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে, এই গেমিংয়ের জন্য যে মোবাইল অ্যাপ রয়েছে তা কেউ একবার ডাউনলোড করলে তা আর সহজেই ডিলিট করা সম্ভব হয় না। শুধু কি তাই! একের পর এক মোবাইলে ক্রমাগত আসতে থাকে নোটিফিকেশন। ফলে ইচ্ছে না করলেও ওই মোবাইলের ইউজার এই গেম খেলতে বাধ্য হন।
তদন্তে নেমে পুলিশ হন্যে হয়ে খুজতে থাকে ফিলিপকে। কিন্তু সকলের প্রশ্ন জাগে কিন্তু কে এই ফিলিপ? কেনই বা তার জন্য নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন তরুণ-তরুণীরা? রাশিয়ার পুলিশ প্রাপ্ত সূত্র হতে জানা যায়, ২১ বছর বয়সী ফিলিপ ছিল রাশিয়ারই একজন বাসিন্দা। সে ভিকোন্তাক্তে নামক সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’ নামের এই সোশ্যাল গেমিংটির পেজের অ্যাডমিন ছিল। স্বভাবতই, পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পরে তার উপর। শেষমেশ বেশ কিছুদিন তদন্ত চালিয়ে ফিলিপ-কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের তীব্র জেরায় এই গেম চালানোর কথা স্বীকারও করে নেয় ফিলিপ। কিন্তু সে এইসব মৃত্যুর দায় নিতে অস্বীকার করে। সে কোনোভাবেই তার এই অনলাইন গেমকে অপরাধ বলে মানতে রাজি নন। তার বক্তব্য, সে তার খেলার মধ্য দিয়ে সমাজের ‘শুদ্ধিকরণ’ করছে। সে গর্বের সাথে বলতে থাকে, সমাজে যাদের বেঁচে থাকা উচিত নয়, তাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়াই ছিল তার লক্ষ্য। ফিলিপের মুখে এই সমস্ত কথা শুনে তার মানসিক সুস্থতা নিয়েই সন্দেহ জাগে পুলিশের মনে। ফিলিপ বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গের ক্রিস্টি জেলে বন্দী।
অ্যাডমিন গ্রেফতার হলেই সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পেজ বন্ধ হয়ে যায় না। ফিলিপকে বন্দী করা গেলেও তার পেজের কার্যক্রম থেমে থাকেনি এবং পেজটি বন্ধও হয়নি। ফলে পেজটি নিয়ে পুলিশের মনে চিন্তার রেখা থেকেই যাচ্ছে। বর্তমানে ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’টি রাশিয়ার সীমানা ছাড়িয়ে ব্রিটেনের তরুণ-তরুণীদের মধ্যেও দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর ফলে চিন্তা বাড়ছে ইউরোপের একাধিক মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীদের। স্কুল কলেজ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং অভিভাবকদের সর্তক করে দেয়া হচ্ছে যেন তারা তাদের সন্তানদের এই গেম থেকে দূরে রাখে। তাই সুইসাইড গেমের এই পেজটিকে নিষিদ্ধ করার কথাই ভাবছে পুলিশ-প্রশাসন।
সবকিছুই কেমন অদ্ভুত মনে হয় না? একটা সাধারণ গেম কীভাবে উচ্ছল কিশোরীর জীবন কেড়ে নিচ্ছে! মনোবিশেষজ্ঞরাও বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কেন একটা গেমের কারণে এতগুলো ছেলে মেয়ে আত্মহত্যা করছে তা খুবই উদ্বেগজনক । বিষয়টির গভীরে অনুসন্ধানের জন্য রাজনীতিবিদদের তারা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন। জীবনের ব্যস্ততায় আমরা কমবেশি সকলেই একটু একটু করে মনোবেদনায় আক্রান্ত হচ্ছি, তা না হলে আমাদের মধ্যকার সোশ্যাল ভেল্যুগুলো কেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে? কেন আমরা আর সুখে, দুঃখে, আনন্দ, বেদনায় নিজেকে আর আন্দোলিত করতে পারি না? পরিবারের বা সমাজের সকলের মাঝের বন্ধন কেন আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে যাচ্ছে? এসবই কি প্ররোচনা যোগাচ্ছে এমন গেম খেলতে? এবার হয়তো সবার ভাবার সময় এসেছে।
তথ্যসূত্রঃ
১) https://www.thesun.co.uk/news/worldnews/blue-whale-suicide-game-online-victims/
২) http://www.dailymail.co.uk/news/Blue-Whale-game-mastermind-says-s-cleansing-society.html
এ পর্যন্ত অ্যাপল যতোগুলো আইফোন বাজারে উন্মুক্ত করেছে সবগুলোই ব্যবসায়ীক দিক থেকে সফলতার মুখ দেখেছে। অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল আইফোন ৮ বাজারে আসছে। সম্প্রতি এই ফোনটির মডেলের ডিজাইন প্রকাশ করেছে। আইফোনপ্রেমীরা  অপেক্ষায় আছে তাদের কাঙ্ক্ষিত সেটটি কবে নাগাদ বাজারে আসবে সেই ভাবনায়।
 
এ বছরই আইফোনের ১০ বছরের জন্মদিন পালন করছে টেক জায়ান্ট অ্যাপল। এক দশক পূর্তি উপলক্ষে আইফোনে নতুন কী নকশা আনবে আধখাওয়া আপেল, তা নিয়ে আগ্রহের পারদ চড়ছিল বহুদিন ধরেই। অবশেষে ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হল আইফোন ৮ এর ডিজাইন। নতুন আইফোনের নকশা দেখে উচ্ছ্বসিত অ্যাপলপ্রেমীরা। অন্য আইফোনগুলোর থেকে এর ডিজাইন অনেকটাই অন্যরকম। এই ফোনের নতুনত্বই নজর কেড়েছে গ্রাহকদের। তবে নতুন এই মডেলে ‘বেজেল’ সম্পূর্ণ বাদ দিয়েছে অ্যাপল।
 
জানা গেছে, ৫ দশমিক ৮ ইঞ্চি ‘স্ক্রিন টু বডি’ ডিসপ্লে থাকবে নতুন এই ফোনে। সঙ্গে থাকবে উচ্চমানের ফ্রন্ট ক্যামেরা এবং সেনসরও। আইফোন ৮ এর মডেলে ‘হরিজেন্টাল’ নয়, ‘ভার্টিক্যাল’ ভাবে বসানো হয়েছে ডুয়েল ব্যাক ক্যামেরা। থাকছে লাইটনিং পোর্টও। সম্ভবত নতুন এই মডেলে থাকবে না ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এর আগে আইফোনের যতোগুলো মোবাইল সেট বাজারজাত করা হয়েছে তার সাথে আরও অনেক ফিচার যুক্ত হবে নতুন এই মডেলটিতে। সিকিউরিটির বিষয়ে জোরালো ভাবে দেখছে মোবাইলটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে তারা চাজিং পোর্টেও পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। 

~ সূত্রঃ ফোর্বস
বর্তমানের প্রচলিত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম গুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম , লিন্যাক্স কার্নেলে তৈরী চমৎকার ইন্টারফেস ও সহজ চালনা পদ্ধতির জন্য ছোট থেকে বড় সকলের কাছেই এটি প্রিয় একটি সিস্টেম। 



এন্ড্রয়েডের জনক বলতে যার নাম আসে সেই ব্যাক্তিটি হল Andy Rubins, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক মনোবিজ্ঞানীর ঘরে জন্ম তার , চাকরী জীবন শুরু করেছিল বিখ্যাত কম্পানী অ্যাপলে , চাকরী ছেড়ে নিজে কিছু করায় মন দিল, তৈরী করল হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস ম্যাজিক কাপ , কিন্তু তা জনপ্রিয়তা পেল না , কয়েকজন পরিচিত সহকর্মী নিয়ে গড়ে তুললেন আর্টেমিস রিসার্চ নামের  একটি প্রতিষ্ঠান,
যারা ওয়েবটিভি নিয়ে কাজ করেছিল । সন্তুষ্ট হতে পারল না রুবিন্স,  তৈরী করল নতুন একটি প্রতিষ্ঠান নাম ডেঞ্জার , সেখান থেকেই সূচনা  হল  এন্ড্রয়েড এর।

তখন ২০০৩ সাল  জনসাধারন বলতে গেলে  এন্ড্রয়েড বলে কোন শব্দের সাথে পরিচিত হয়নি , রুবিন্স তখন ডিজিটাল ক্যামেরার অপারেটিং সিস্টেম তৈরী  নিয়ে কাজ করছিলেন । তিনি কিছুদিনেই লক্ষ করলেন ডিজিটাল ক্যামেরার বাজার খুব একটা সুবিধাজনক নয় , তাই তিনি মোবাইলের জন্য তার অপারেটিং সিস্টেম ডিজাইন এর চিন্তা করলেন
। তার সাথে কাজ করছিল তখন  আরো কয়েকজন ,  রিচ মাইনার  (ওয়াইল্ডফায়ার কমউনিকেশনসইনকর্পোরেটেডের সহ প্রতিষ্ঠাতা) ,নিক সিয়ারস (টি-মোবাইলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট)এবং ক্রিস হোয়াইট (ওয়েবটিভি’র ডিজাইন এবং ইন্টারফেস প্রধান)
যেহেতু তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ছিলেন তাই এনড্রয়েড প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম চালাত অনেকটাই  লুকিয়ে। প্রতিষ্ঠান থেকে এটা বলা হয়েছিল যে তারা শুধু মোবাইলের একটি সফটওয়্যারের কাজ করছে। ১ বছরের মধ্যেই রুবিন্স এর সমস্ত টাকা শেষ হয়ে যায় ,কাজ সম্পন্ন হল তবুও ঠিকমত মানুষের কাছে তার এই প্রযুক্তি পৌছাল না , সে সময় কোম্পানী কোন প্রকার ঝুকি নেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না। তারা বিক্রি হয়ে যাওয়ার স্বিদ্ধান্ত নেয়।

এন্ড্রয়েড সবার নজরে এসেছিল ২০০৫ সালের ১৭ ই আগস্ট  যখন টেক জায়ান্ট কোম্পানী গুগোল এন্ড্রয়েড কিনে নেয় , গুগোল যখন এন্ড্রয়েড কিনে নেয় তখন এন্ড্রয়েডের অবস্থা সুবিধাজনক ছিল না তবুও গুগোল শুরুতেই মোবাইল বিজনেস এর চিন্তা করে । তখন গুগলের চিন্তা কোন হার্ডওয়্যার ভিত্তিক ছিল না তাদের সমস্ত টার্গেট সফটওয়্যার ভিত্তিক ছিল , এন্ড্রয়েড কিনে নেয়ার পর এর সাবেক তিন কর্মচারীকেই তাদের দায়িত্বে বহাল রাখে  , যার ফলে মালিকানা পরিবর্তন হলেও এর প্রতিষ্ঠাতারা এর সাথেই রয়ে যায় , এন্ড্রয়েড কিনার পর থেকেই গুগল তাদের নিজস্ব মোবাইল আনছে এমন খবর চারদিকে প্রকাশিত হতে থাকে , বিবিসি , ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মত বড় বড় সংবাদ মাধ্যম  প্রচার করতে থাকে গুগলের সম্ভাব্য নতুন মোবাইলের খবর , মূলত তখন গুগোল মোবাইল কোম্পানীগুলোকে স্মার্টফোন হিসেবে এন্ড্রয়েড ব্যাবহারে সহায়তা করত ( এখনও করছে )
সর্বপ্রথম 
HTC কোম্পানী গুগলের সহায়তায় প্রথম এন্ড্রয়েড ফোন তৈরী করে যার নাম ছিল HTC Dream । ধীরে ধীরে অন্যান্য কোম্পানীও এন্ড্রয়েড ব্যাবহারে আগ্রহ দেখাতে থাকে ,

এর পর থেকেই গুগল এন্ড্রয়েড আপডেট করা শুরু করে এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন  ফিচার যুক্ত করছে ।  প্রথমদিকের বেশ কয়েকটি ভার্শন রিলিজ হওয়ার পর এন্ড্রয়েড তাদের ভার্সনের নাম দেয়া শুরু করেন  মজার ব্যাপার হল প্রত্যেকটি ভার্শনের নাম ইংলিশ বর্নমালার ক্রমানুসারে এবং মিষ্টিজাত খাবারের নাম অনুসারে দেয়া , ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
এন্ড্রয়েডের সুবিধা কি এমন প্রশ্ন যদি জিজ্ঞেস করা যায় তবে নিঃসন্দেহে যে কেও বলবে এর এপস এর প্রাচুর্যতা , গুগলের প্লে স্টোর ছাড়াও অসংখ্য ওয়েবসাইট এ এন্ড্রয়েড সাপোর্টেড এপস পাওয়া যায় , কিছু টাকা দিয়ে কিনতে হলেও অনেক এপসই বিনামূল্যে পাওয়া যায় , এপ্লিকেশন মার্কেটে এখন প্রায় ২০০,০০০ এর বেশী এপস রয়েছে , প্রতিনিয়তই নতুন নতুন এপস তৈরী হচ্ছে ,যার ফলে সমৃদ্ধ হচ্ছে এন্ড্রয়েড দুনিয়া ,

এন্ড্রয়েড তাদের প্রতিটি ভার্শনেই নতুন নতুন ফিচার যুক্তকরেছে ,
এন্ড্রয়েডেরপ্রথম ভার্শন ১.০ যা রিলিজ হয়েছিল ২০০৮ সালে  এতে ছিল এপ স্টোর যা পরে প্লে স্টোর নামে প্রকাশ পায় ,  অনস্ক্রীন কীবোর্ড ছিল না  তাই এটি চালাতে কীপ্যাড যুক্ত মোবাইল প্রয়োজন ছিল,২০০৯ সালে যখন ভার্শন ১.৫ প্রকাশ পেল তখন  অনস্ক্রীন কীবোর্ড  চালুকরল ।২০১০ এ এন্ড্রয়েডের ভার্শন ২.৩ প্রকাশের সময় স্যামসাং ও এন্ড্রয়েডের আনুষ্ঠানিক পার্টনারশীপ হয়, পরবর্তী ভার্শনগুলোতে যুক্ত হয়  প্যাটার্ন লক , মোবাইল টিভি, ফিংগারপ্রিন্ট সিকিউরিটি, মাল্টি উইন্ডো , ভলকান এপিআই ,গুগল এসিস্ট্যান্ট ইত্যাদি
এইভাবেই এন্ড্রয়েড  তাদের প্রতিটি ভার্শনে একের পর এক প্রযুক্তি যুক্ত করে  তাক লাগিয়ে দিচ্ছে বিশ্বকে ।

এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ( লিন্যাক্স কার্নেল সহ )  প্রায় ১২ মিলিয়ন কোডিং লাইনের সমন্বয়ে তৈরী হয়েছে এর মধ্যে
৩ মিলিয়ন এক্স এম এল লাইন , ২.৮ মিলিয়ন সি ল্যাংগুয়েজ লাইন ,  ২.১ মিলিয়ন জাভা লাইন , ১.৭৫ সি++  লাইনব্যাবহার করা হয়েছে
এটি জাভার উপর ভিত্তি করে কাজ করে  এবং জাভা কোর লাইব্রেরীতে চলে

দিন দিন এন্ড্রয়েডের ব্যাবহার বেড়েই চলছে , ২০১১ সালে গুগলের দেয়া তথ্য মতে এন্ড্রয়েডের ব্যাবহার কারীর সংখ্যা ১৯০ মিলিয়নের ও বেশী ,এন্ড্রয়েড প্রযুক্তি খুবই দ্রুততার সাথে উন্নতি করছে ২০১৭ সালে এন্ড্রয়েডের  নতুন সংস্করন  O  (oreo) প্রকাশ পেতে যাচ্ছে । দেখা যাক এন্ড্রয়েড তার আসন্ন ভার্সন গুলোতে ব্যাবহারকারীর জন্য কি চমক রাখছে।




জিডি হচ্ছে জেনারেল ডায়েরীর সংক্ষিপ্ত রুপ। প্রতিটি থানায় এবং ফাঁড়িতে একটি ডায়েরীতে ২৪ ঘন্টার খবর রেকর্ড করা হয়। প্রতিদিন সকাল আটটায় ডায়েরী খুলে পরের দিন সকাল আটটায় বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ কার্যত এটি কখনই বন্ধ হয় না।
এই ডায়েরীতে থানার বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন আসামী কোর্টে চালান দেয়া, এলাকার বিভিন্ন তথ্য, থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আগমন ও প্রস্থানের তথ্য ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে।

সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব
সাধারণ মানুষের কাছে জিডির গুরুত্ব ভিন্ন। কোন থানায় মামলাযোগ্য নয় এমন ঘটনা ঘটলে মানুষ থানায় জিডি করে থাকেন। আবার কাউকে ভয় ভীতি দেখানো হলে বা অন্য কোন কারণে যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, কিংবা কোন ধরনের অপরাধের আশঙ্কা করেন তাহলেও তিনি জিডি করতে পারেন। জিডি করার পর পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। প্রয়োজনবোধে তদন্ত করা, নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও জিডির বিষয়টি মামলাযোগ্য হলে পুলিশ মামলা করে থাকে। আইনগত সহায়তা পাওয়ার জন্য জিডি অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অনেক সময় আদালতেও জিডিকে সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জিডি করা
থানার ডিউটি অফিসার জিডি নথিভুক্ত করেন। এক্ষেত্রে তিনি একটি ডায়েরীতে জিডির নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য লিপিবদ্ধ করেন। জিডির দুটি কপি করা হয়। একটি থানায় সংরক্ষণ করা হয় এবং অন্যটিতে জিডির নম্বর লিখে প্রয়োজনীয় সাক্ষর ও সীলমোহর দেয়া হয়। এটি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হয়।
অভিযোগকারী নিজে জিডি লিখতে পারেন, আবার প্রয়োজনে থানার কর্মকর্তাও লিখে দিয়ে থাকেন।
প্রতিটি জিডির বিপরীতে একটি নম্বর দেয়া হয়, ফলে কোন অবৈধ প্রক্রিয়া মাধ্যমে কেউ আগের তারিখ দেখিয়ে জিডি করতে পারেন না।
অনলাইন জিডি
আবার পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া দেবার প্রয়োজন নেই এমন ক্ষেত্রে যেমন পাসপোর্ট হারানো, বাখাটে বা মাদক সেবীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান বা এজাতীয় ক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করা যেতে পারেন বা সরাসরি পুলিশ সদরদপ্তরে ফ্যাক্স বা ই-মেইল করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে দেশের বাইরে থেকেও জিডি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনলাইনে জিডি করার পর ই-মেইল বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জিডি নম্বরটি জিডিকারীকে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
অনলাইনে জিডি করার জন্য  http://www.police.gov.bd সাইটে গিয়ে ‘Citizens help request’ –এ ক্লিক করতে হবে।
ই-মেইল: bangladesh@police.gov.bd.
ফ্যাক্স: +৮৮০-২-৯৫৫৮৮১৮
হারানো বিষয়ের জিডি
মোবাইল ফোনের সিম, পরীক্ষার সার্টিফিকেট, জমির দলিল প্রভৃতি হারিয়ে গেলে ঐ সব কাগজপত্র পুনরায় তুলতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হারানো সংবাদের জিডি চেয়ে থাকে, তাই ঐসব ক্ষেত্রে হারানো সংবাদের জিডি করে সেই জিডি নম্বরসহ কর্তৃপক্ষরে কাছে আবেদন করতে হয়।

একটি জিডির নমুনা দেখা যাক নিচে

বরাবর
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
………. থানা
ঢাকা।
বিষয়: এসএসসি সার্টিফিকেট হারানো সংবাদ ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন।
মহোদয়,
আমি নিম্ন সাক্ষরকারী আপনার থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে জানাচ্ছি যে, আমার এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট আজ সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় ঢাকা কলেজের পাশের রাস্তার একটি ফটোকপি করার দোকান থেকে হারিয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় হারানোর বিষয়টি ডায়েরীভুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সার্টিফিকেটের বিবরণ:
পরীক্ষার নাম…শিক্ষাবর্ষ…রেজিষ্ট্রেশন নং… রোল নং…
দাখিলকারী,
….
ঠিকানা…
ফোন…


বাংলাদেশ পুলিশের আরও কিছু সেবা সম্পর্কে জানুন

১। গাড়ি আটক হলে কী করবেন
ট্রাফিক আইন ভাঙাসহ বিভিন্ন কারণে পুলিশ গাড়ি আটক করে করে থাকে। গাড়ি আটক হলে অনেকেই ঘাবড়ে যান, মনে করেন গাড়ি ছাড়িয়ে আনা বেশ ঝামেলার কাজ। অনেকে আবার উৎকোচ দিয়ে কাল্পনিক ঝামেলার হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করেন।
পুলিশ বিভিন্ন কারণে আপনার গাড়ি আটক করতে পারে, যেমন, সঠিক জায়গায় গাড়ি পার্ক না করা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, চলতে গিয়ে পুলিশের নির্দেশনা না মানা, গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত কাগজপত্র নবায়ন না করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন না করা ইত্যাদি।
গাড়ি আটক করার সময় পুলিশ একটি বা দু’টি কাগজ জব্দ করবে এবং আপনাকে একটি রশিদ দেবে। ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের চারটি জোন রয়েছে, উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম। পুলিশের দেয়া রশিদের পেছনেই লেখা থাকবে কোন জোনের ট্রাফিক পুলিশ আপনার গাড়িটি আটক করলো। আপনাকে সেই জোনের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। রশিদের পেছনে জোন ভিত্তিক উপস্থিতির সময়ও লেখা থাকে। কাজেই সে অনুয়ায়ী গেলে আপনার সময় বাঁচবে। তবে অন্তত চার-পাঁচদিন পরে যাওয়াই ভালো, কারণ কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট অফিসে পৌঁছাতে সাধারণত তিন-চারদিন সময় লাগে।
কোথায়, কি অপরাধে জরিমানা করা হল, কে জরিমানা করলেন, কত তারিখের মধ্যে হাজির হতে হবে সব কিছুই লিখে দেয়া হয় রশিদটিতে। সংশ্লিষ্ট জোনের ডেপুটি কমিশনার জরিমানা নির্ধারণের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি করে থাকেন। এসব ক্ষেত্রে আপনি আপনার অনুকূলে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে পারেন। ডেপুটি কমিশনার পূর্ণ জরিমানার চার ভাগের এক ভাগ পর্যন্ত জরিমানা নির্ধারন পারেন, এমনকি জরিমানা মওকুফও করে দিতে পারেন। তবে আপনার ড্রাইভারকে রশিদসহ পাঠিয়ে জরিমানা দিয়ে আসাটাই বেটার অপশন বলা যায়। জরিমানা দেবার জন্য ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অফিস থেকে আরেকটি রশিদ দেয়া হবে আপনাকে।
বিভিন্ন অপরাধে জরিমানার হার জানতে ‘যানবাহনের মামলা’ প্রতিবেদনটি পড়তে পারেন।
তবে জরিমানা না দিলে বা যথাসময়ে হাজির না হলে অপরাধের ধরন, ঘটনাস্থল ইত্যাদির প্রতিবেদন সহকারে মামলাটি আদালতে প্রেরণ করা হবে ওয়ারেন্ট ইস্যু করার জন্য। এসব ক্ষেত্রে জরিমানা নির্ধারনের পর আপনি যদি মনে করেন আপনার ওপর অন্যায় করা হয়েছে তবে আদালতেও যেতে পারেন। সামান্য জরিমানার জন্য আদালতে গিয়ে আর্থিক বিচারে আপনার কোন ফায়দা হবে না, তবে রায় আপনার অনুকূলে গেলে সেটি আপনার জন্য একটি নৈতিক বিজয় হবে। বলাহুল্য এত ঝামেলা করে কেউ সাধারণত জরিমানা চ্যালেঞ্জ করতে আদালতে যায় না।
২। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহের পদ্ধতি
বিদেশে যাওয়া বা বিদেশে চাকুরির ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। পুলিশ ক্লিয়রেন্স সার্টিফিকেট এর অর্থ হচ্ছে, যাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেয়া হচ্ছে তিনি কোন অপরাধী নন এবং তার বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগও নেই।
ঢাকার বাসিন্দাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হলে রমনায় অবস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদরদপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। সকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ইংরেজী ভাষায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়িত করে দেয়া হয়।
যোগাযোগ:
‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস’, রুম-১০৯,
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়াটার্স,
৩৬, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণী, রমনা, ঢাকা।
হেল্পলাইনঃ- ০১১৯১০০৬৬৪৪, ০২-৭১২৪০০০, ৯৯৯-২৬৩৫
* সার্টিফিকেট সংগ্রহের পদ্ধতিগুলো এক নজরে দেখে নেই 
একটি সাদা কাগজে বাংলা বা ইংরেজীতে পুলিশ কমিশনার মহোদয় বরাবর আবেদন করতে হয়, সাথে ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে হয়। পাসপোর্টের যে সকল পৃষ্ঠায় প্রার্থী সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে যে সকল পৃষ্ঠা এবং যদি নবায়ন করা হয়ে থাকে তবে নাবায়নের পৃষ্ঠাসহ পাসপোর্টের ফটোকপি দাখিল করতে হয়। কর্তৃপক্ষ চাইলে মূল পাসপোর্টও প্রদর্শন করতে হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট গৃহীত হয় না।
ঠিকানা সংক্রান্ত নিয়মাবলী:
  • পাসপোর্টে উল্লেখিত স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ঠিকানার যে কোন একটি অবশ্যই ঢাকা মহানগর এলাকার অভ্যন্তরে হতে হবে এবং অবশ্যই ঐ ঠিকানায় বসবাস করতে হবে। যদি পাসপোর্টে উল্লেখিত স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা অথবা “থানা এলাকার” পরিবর্তন হয় তবে নিকটস্থ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঠিকানা সংশোধন করে পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করতে হবে। প্রার্থীর দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ/স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সনদপত্রে উল্লেখিত ঠিকানার সাথে প্রার্থীর বর্তমান বসবাসের ঠিকানার মিল থাকা জরুরি।
  • যারা বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের ফটোকপিসহ তার পক্ষে আত্মীয়/অনুমোদিত ব্যক্তি আবেদন পত্র দাখিল করতে পারেন।
  • পাসপোর্টে উল্লেখিত ঠিকানা যদি ঢাকা মহানগরীর বাইরে হয় তবে ঠিকানাটি যে জেলার অন্তর্গত সেই জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হয়।
সাথে যা যা প্রয়োজন:
  • বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় কোড নম্বর- (১-২২০১-০০০১-২৬৮১) এর অনুকূলে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা মূল্যমানের ট্রেজারী চালানের মূলকপি। ব্যাংক চালানের কোড নম্বর এর ঘরে কোন প্রকার ঘষামাজা / ফ্লুইড ব্যবহার করা যাবে না এবং সঠিকভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সিল দেয়া হল কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এম.আর.পি) ক্ষেত্রে যদি পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে তবে ঠিকানার প্রমাণ স্বরুপ জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন সনদ/ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রদত্ত সনদপত্রের ফটোকপি ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে দাখিল করতে হয়।
  • শুধুমাত্র “স্পেন” সংক্রান্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য প্রার্থীকে তার আবেদনসহ উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রের সাথে ০৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সত্যায়িত করে “সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়” বরাবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন শাখা ০৩ এ দাখিল করতে হয়।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা
আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর অফিস থেকে প্রাথমিকভাবে সিরিয়াল নম্বরসহ একটি টোকেন দেয়া হয়। টোকেনে একটি তারিখ উল্লেখ করা হয়। উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট থানায় টোকেনটি জমা দিতে হয়। এরপর থানার তরফ থেকে একটি তদন্তর্কায সম্পন্ন করা হয়। এই তদন্তের সাত (৭) কর্মদিবসের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়া হয়।
বাংলাদেশে বসবাসরত/কর্মরত বিদেশী নাগরিক/বিদেশী পাসপোর্টধারী ব্যক্তিগণ উপরোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিজে অথবা অনুমোদিত ব্যক্তি দ্বারা আবেদনপত্র দাখিল করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।
পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নিকট আবেদনের নমুনা-

বরাবর,
পুলিশ কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
ঢাকা।
বিষয়ঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী এই মর্মে আবেদন করছি যে, আমি/ আমার……………………………………….বিদেশ যাওয়া/ স্থায়ীভাবে বসবাস করা/ ……………………………………………………………………………….. জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন। আমার…………………………………………………………………… পাসপোর্ট অনুযায়ী বৃত্তান্ত নিম্নরুপঃ-

নাম……………………………………………………………………………………..
পিতা/ স্বামী…………………………………………………………………………….
ঠিকানা…………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………
পাসপোর্ট নম্বর ……………………..ইস্যুর তারিখ ………………………………..
স্থান ………………………………………………….

অতএব, মহোদয়ের নিকট আবেদন, আমি যাতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে পারি তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক
তারিখ………………..
………………………….
ফোন………………………

৩। হঠাৎ গ্রেফতার হলে কি করবেন ?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা অন্যান্য প্রয়োজনে পুলিশ বিভিন্ন অভিযানে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আটক করে থাকে। তবে কোন অভিযোগ ছাড়া কাউকে অনির্দিষ্টকাল আটক করে রাখতে পারে না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে ছেড়ে দিতে হয় বা কোন আইনের আওতায় তাকে গ্রেফতার দেখাতে হয় এবং কোন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করতে হয়। ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনে আটকাদেশ দিতে পারেন।
পুলিশ গ্রেফতার করলে করণীয়:
  • পুলিশের নিকট নাম, ঠিকানা ও পেশাসহ পরিচয় তুলে ধরতে হবে।
  • পেশজীবি বা ছাত্র হলে পরিচয়পত্র প্রদর্শন করা যেতে পারে। একারণে সবসময় পরিচয়পত্র সাথে রাখা উচিত।
  • এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পরিচিত আইনজীবির ফোন নম্বর সাথে রাখা যেতে পারে এবং গ্রেফতারের পর দ্রুত আইনজীবিকে বিষটি জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। অন্তত আত্নীয় বা বন্ধুকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
  • ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নেয়া হয়, আর যে কোন থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে সংশ্লিষ্ট থানায় নেয়া হয়।
  • গ্রেফতারের পর কাউকে লকআপে রাখার আগে তার বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমন, কাগজ, মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি থাকলে তার কাছ থেকে নিয়ে নেয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার সেগুলোর একটি তালিকা তৈরী করে আটককৃত ব্যক্তির সাক্ষর নেয়। এই সাক্ষর দেবার সময় তালিকাটি পড়ে নেয়া উচিত।
  • পুলিশ অফিসারের নিকট কোন বিবৃতি দিলে তা পাঠ করে বা বিবৃতির ভাষ্য অবগত হয়ে তাতে স্বাক্ষর করা উচিত।
  • গ্রেফতারের পর আইনজীবী বা পরিবারের কাউকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানাতে না পারলে আদালতে হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে সরাসরি বিষয়টি জানানো উচিত। এতে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
  • গ্রেফতারের পর কোন পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হলে বা অসুস্থ হলে আদালতের মাধ্যমে বা নিজ উদ্যোগে মেডিকেল চেকআপ করিয়ে নিতে নেয়া যায়। চেকআপ করালে এ রিপোর্টটি সংগ্রহে রাখা উচিত। চেকআপকারী ডাক্তারের পরিচয় জেনে রাখা উচিত কারণ তা পরবর্তীতে প্রয়োজন হতে পারে।
  • পুরনো কোন মামলায় গ্রেফতার হলে দ্রুত ঐ মামলার নম্বরসহ কাগজপত্র নিয়ে আদালতে গিয়ে জামিন শুনানীর চেষ্টা করা যেতে পারে।
  • নতুন কোন মামলায় বা কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার হলে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে জামিন শুনানীর চেষ্টা করা যেতে পারে।
৪। অর্থ পরিবহনে পুলিশী নিরাপত্তা 
বিভিন্ন সময়ে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে এখন অনেকেই বড় অংকের টাকা নিয়ে যাতায়াতে বেশ উদ্বিগ্ন থাকেন। সব সময় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা সম্ভব না হওয়াতে ব্যক্তি পর্যায়ে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে নগদ টাকা পরিবহন করতেই হয়।
বড় অংকের অর্থ আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন আপনি। যেদিন পুলিশী নিরাপত্তা প্রয়োজন হবে তার চার থেকে পাঁচ দিন আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর কবে এবং কোথায় বিশেষ নিরাপত্তা প্রয়োজন সেটা জানিয়ে আবেদন করতে পারেন, এজন্য আলাদা কোন মাশুল দিতে হবে না। আর দরখাস্ত করতে সশরীরে যেতে হবে রমনায় অবস্থিত পুলিশ কমিশনার অফিসে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এক্সচেঞ্জের(৯৯৯ নম্বরে) ২২২২, ২৩৩৩, ২৪৪৪, ২৬৬৬ এক্সটেনশন নম্বরে ডায়াল করে বিস্তারিত জানতে পারেন।


 ফেসবুকের প্রোটেক্ট অ্যান্ড কেয়ার টিমের টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার শবনম শেখ
স্প্যামারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন।

ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ফেসবুকে ফেক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার কার্যক্রম শুরু করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ভুয়া অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি সন্দেহের তালিকায় ফেলে অনেকের আসল অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

সুতরাং জেনে নিন, কীভাবে বুঝবেন যে, আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিরাপদ নয়? অর্থাৎ ফেসবুকের সন্দেহের তালিকায় পড়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি।

* ইমেইল কিংবা মোবাইল ফেরিভাইড করা না থাকলে।

* প্রোফাইলে নিজের ছবির বদলে কোনো পুতুল কিংবা অন্য কোনো ছবি ব্যবহার করে থাকলে।

* ফেসবুক আইডি অনেকদিন পর পর লগিন করলে।

* ফেসবুক অ্যাড অ্যাকাউন্টে ডলার অপরিশোধ রাখলে।

* অটো লাইক ব্যবহার কিংবা স্প্যাম করলে।



ফেসবুকের টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাবনাম শেখ ফেসবুকের সিকিউরিটি ব্লগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ফেসবুকে যখন কেউ নিজের প্রতিনিধিত্ব করেন, তখন তিনি বাস্তব জীবনের মতো দায়িত্বশীলতা দেখান। ভুয়া অ্যাকাউন্টে এ নিয়ম মানা হয় না। ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো মূলত স্প্যাম ছাড়তে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।



তাই এ অ্যাকাউন্টগুলোর কারণে সাধারণ ব্যবহারকারীরা বিভ্রান্ত হয়ে যান। প্রাথমিকভাবে কতগুলো বিষয়কে ভুয়া চিহ্নিত করার উপায় হিসেবে দেখিয়েছে ফেসবুক। সেগুলো হচ্ছে- একই প্রকারের পোস্ট বারবার দেয়া, একই ধরনের লিংক অস্বাভাবিক মাত্রায় শেয়ার করা, পর্নো ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া, ছবি ও ভিডিও শেয়ার অস্বাভাবিকসহ এ জাতীয় আইডিগুলো চিহ্নিত করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।