বর্তমানে ফটোগ্রাফি  অনেক মানুষেরই নেশা , নিজের তোলা ছবিতে প্রানের আরেকটু ছোয়া দিতেই তারা  ফটো এডিটর ব্যাবহার করে ।  তাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় তারা কোন সফটওয়্যারটি ব্যাবহার করে ? তো নিঃসন্দেহে বলা যায় অধিকাংশের উত্তর হবে ফটোশপ । শুধু ফটোগ্রাফার  নয় ,  ছবি সম্পর্কিত কাজের সাথে জড়িত বিভিন্ন পেশার মানুষের প্রথম পছন্দ ফটোশপ । এডোবি সিস্টেমস কম্পানির চমৎকার  এই সফটওয়্যারকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং কার্যকরী  ফটোএডিটিং সফটওয়্যার বলা হয় ।


এবার আসি শুরুর দিকের ঘটনায় , থমাস নল  (Thomas Knoll) এবং জন নল (John Knoll) নামের এই দুই ভাই  ১৯৮৭ সালে ফটোশপের কাজ শুরু করেন । ব্যাক্তিগত প্রকল্পের জন্যই কাজ শুরু করে তারা , বিভিন্ন প্রয়োজনের তাগিদে পরবর্তীতে তাতে যুক্তকরতে থাকে একাধিক ফিচার , ১৯৮৯ সালে অ্যাডোবির কাছে এই সফটওয়্যারটি বিক্রি করে দেন তাঁরা। ১৯৯০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ফটোশপ নাম দিয়ে  সফটওয়্যারটি উন্মুক্ত করে অ্যাডোবি। ওই সময় অবশ্য ছবি ডিজিটাইজ করা খুব কঠিন  ছিল।  প্রথম প্রিন্ট করতে প্রায়  দুই হাজার ডলার খরচ হয়েছিল। প্রথমদিকে এই সফটওয়্যারটির ক্রেতা  গ্রাফিকস শিল্পী ও সংবাদপত্রের কর্মকর্তারা  ছিলেন।
প্রকাশিত হয় ফটোশপ ১.০ ভার্শন ,এখনকার ফটোশপের ক্ষমতার সাথে তুলনা করলে হয়ত তখনের ফটোশপ একদমই  অকেজো একটি সফটওয়্যার ছিল , কিন্তু সেটি ছিল  গ্রাফিক কাজের জগতের যুগান্তকারী সূচনা । গড়ে প্রায় ২ বছরে একটি করে নতুন ভার্সন বের করতে থাকে এডবি । জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে যখন ফটোশপ ৭.০ ভার্সন বেড় হয় । এখনপর্যন্ত এডবির সবচেয়ে জনপ্রিয় ভার্সন হল ৭.০ ।
২০০৩ সালে ডেভেলপারগনের অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা তৈরী হয় ফটোশপ সি এস ৮.০ ।
ধিরে ধিরে প্রকাশিত হয় আরো ৫ টি ভার্শন , ৭ মে ২০১২ তে প্রকাশিত হয় ফটোশপ সি এস ৬ , নতুন ইন্টারফেসে ফটোশপ ব্যাবহারকারীদের মধ্যে আগ্রহ আরো বাড়িয়ে তুলে । তবে সিএস ৬ মানুষ ঠিক মত বোঝার আগেই প্রকাশিত হয় ফটোশপ সি সি  বা ক্রিয়েটিভ ক্লাউড ।
বর্তমানের বড় বড় সকল গ্রাফিক কাজের  প্রতিষ্ঠানেই  ফটোশপ সি সি ব্যাবহার করা হচ্ছে ।

ফটোশপের নিত্যনতুন ফিচার  নতুনত্ব আনছে ছবির জগতে , খুব সাধারন একটি ছবিকেও অসাধারন করে দেয়া যাচ্ছে এই ফটোশপ এর মাধ্যমে । ভাল দিক যেমন আছে ঠিক তেমনি এর খারাপদিক ও কিন্তু রয়েছে , ফটোশপে ছবি এডিট করে ব্ল্যাকমেইল , মিথ্যা তথ্য , বিভ্রান্তি প্রভৃতি বাজে কাজ অহরহ ঘটছে । আবার এই ফটোশপ ব্যাবহার করেই দেশের শত শত বেকার যুবকের  উপার্যনের রাস্তা খুলেছে ,প্রযুক্তিকে সুন্দর ভাবে ব্যাবহার করতে পারলেই দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব

Photoshop এর সাহায্যে এডিট করা একটি ছবি 


২০১২ সালের ৪ জানুয়ারী 4chan.org  নামের ইমেজ সাবমিশন ওয়েবসাইটে অজ্ঞাত পরিচয়ে একটি নতুন ছবি আপলোড হয় , খবর ছড়িয়ে পড়ে অতি দ্রুত , ছবিটিতে  বলা হয় তাদের কিছু বুদ্ধিদিপ্ত  মানুষ প্রয়োজন এবং তারা  পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের বাছাই করতে চায়
তাদের ছবিতে গোপন সূত্র রয়েছে যা ধরে এগিয়ে গেলেই একমাত্র তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব , নীচে স্বাক্ষর হিসেবে দেয়া থাকে ৩৩০১ এই কোডটি , তাদের পরিচয় হিসেবে থাকে একটি পোকার ছবি ইংরেজিতে যার নাম
Cicada



অনেক মানুষ কোড উদ্ধারে লেগে পড়ে সে সময় অনেকে ধাপ পার করার পর একটি ধাপে এসে দেখতে পান পাঁচটি ভিন্ন রাষ্ট্রের জিপিএস কো-অর্ডিনেট দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন  সহযোগিতার মাধ্যমে এ ধাপটিও পার করে তারা আসেন শেষ ধাঁধায়। সে ধাঁধাটির সমাধানের পর একটি ওয়েব লিংক দেওয়া হয় এবং যারা সেখানে যান তাদেরকে অবাক করে দিয়ে লেখা  উঠে-- “আমরা পশ্চাদ অনুসারী নয়, সবচেয়ে ভালোদের চাই ... ফলে এটি পরিষ্কার হয়ে যায় এই কোড কারো সাহায্যে নয় সম্পূর্ন নিজেকেই ভাঙ্গতে হবে ,ফলে প্রথমবারের প্রায় সবাই ই ব্যার্থ হয় ......  প্রথমবারে দেয়া কোড  পর্যায়ক্রমে প্রায় ১ মাস ধরে চলছিল , একটি কোড সমাধান করার পর তাদের সামনে নতুন  কোড আসত , কোড গুলো ছিল অতি জটিল, সাধারন মানুষের পক্ষে এই কোড ভাঙ্গা এক কথায় অসম্ভব ছিল  । 
এই কোড কেউ সম্পূর্ন রূপে একা ভাঙ্গতে পেরেছে কিনা  তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নি , আশ্চর্যের বিষয় হল কারা এই কোড দিচ্ছে কেন দিচ্ছে এটিও জানা সম্ভব হয়নি
তবে মানুষের জল্পনা কল্পনার কোন শেষ নেই বিভিন্ন ধারনা সিকাডা কে নিয়েও রয়েছে কারো মতে সিকাডা হল টপ ইন্টালিজেন্স যেমন সি আই এ , এম আই সিক্স  এই রকম কিছু প্রতিষ্ঠানের গোপন  নিয়োগ পদ্ধতি ,কারো মতে এরা এমন এক গুপ্ত সংঘ যারা বিশেষ কোন উদ্দ্যেশ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে , কেও কেও আবার একে এড়িয়া ৫১ এর গোপন কোন প্রযেক্ট এর অংশ দাবি করে ,আবার কারো মতে এটি কোন  হ্যাকার গ্রুপ যারা তাদের নতুন কোন আক্রমনের লক্ষে ক্রিপ্টোগ্রাফিতে দক্ষ মানুষ খুজে বেড়াচ্ছে , যে যাই বলুক না কেন এতটুকু নিশ্চিৎ এরা মজা করে গড়ে তোলা কোন সংগঠন নয় , এদের পেছনে রয়েছে অতি দক্ষ , ক্ষমতাবান , সম্পদশালী জনবল । কারন তাদের এই পাজেল শুধু মাত্র নির্দিষ্ট কোন এলাকা ব্যাপী নয় এটি ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ,
কেও যদি প্রশ্ন করে কোন বিষয় এর উপর পাজেল বা ধাধা দেয়া হয় তবে এটি বলা বড়ই কঠিন হয়ে যাবে তার কারন হল ,প্রতিটি ধাধার শুরু  ছবির মধ্যের একটি কথা দিয়ে হলেও পরবর্তী পর্যায় গুলোয় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে , যার মধ্যে কবিতা
, শিল্পকর্ম, সঙ্গীত, সাহিত্য, মায়ান ক্যালেণ্ডার, দর্শন, গণিত, ক্রিপ্টোগ্রাফি, সংখ্যাতত্ব, প্রযুক্তিবিদ্যা এবং  প্রাচীন পাণ্ডুলিপি। এই ধাধার শুরু ইন্টারনেটে হলেও এর কার্যক্রম পরিচালিত হয় টেলিফোনে, গানে, দুস্প্রাপ্য বইতে, ছবি এমনকি বিভিন্ন জায়গায় ছাপানো কাগজের মাধ্যমেও,  এবং তা  লুকানো হয়েছে এনক্রিপশন  এবং এনকোডিং করে।

এই ধাধার সিরিজগুলো শুধুমাত্র কম্পিউটারে বসে সমাধান করা যাবে না, এর জন্য প্রতিযোগীকে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে হবে। ধাধার সূত্রগুলো কিউআর কোড হিসেবে লাগানো থাকে টেলিফোন/ইলেকট্রিক পোল অথবা ডাকবাক্সে। এর জায়গার তালিকায়  ইউএসফ্রান্স, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া ,রাশিয়া, জাপান, পোলাণ্ড, মেক্সিকো এবং দক্ষিণ কোরিয়া রয়েছে । 
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে আবার হাজির হয় সিকাডা ৩৩০১ এবার থাকে একই  ধরনের প্রায় নতুন একটি ধাধা


এই পর্যায়েও প্রতিযোগিরা একটি নির্দিষ্ট যায়গায় গিয়ে আটকিয়ে যায় , এবার ও প্রতিযোগীতা শেষ হয়ে যায় কেও এটির সমাধান করতে পেরেছিল কিনা তা জানা যায়নি ,
পরবর্তী ম্যসেজ আসে ২০১৪ এর জানুয়ারীতেই২০১৪ এর পর ২০১৫  এবার আর কোন কোড বা ধাধা আসে নি , ফলে চারদিকে গুজব উঠে সিকাডা সমাপ্ত হয়ে যাওয়ার , কিন্তু সব কথা ভুল প্রমান করে ২০১৬ তে আবার নতুন ধাধা নিয়ে হাজির হয় সিকাডা,  যা প্রতিবছরই তারা পরিচালনা করছে ।
২০১৭ সালে তাদের দেয়া সর্বশেষ তথ্য ছিল
তবে গার্ডিয়ানের মতে এই ধাধার সম্পূর্ন শেষ কেও করতে  পারেনি অথবা করলেও তার সম্পর্কে কোন তথ্য জানা যায় নি
যে ব্যাক্তি নিয়ে সিকাডা কোড বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছিল সেই ব্যাক্তি হল
৩৪ বছর বয়সী ,সুইডেনের অধিবাসী , একজন ক্রিপ্টোগ্রাফি স্পেসালিস্ট জুয়েল এরিকসন ।
মাত্র ৩ সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীর কঠিনতম এনিগমাটির সমাধান করা ব্যাক্তি ছিলেন তিনি কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক ভাবে তিনি নিজেও এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছিলেন , ভৌগলিক জটিলতার কারনে তিনি অন্য দেশে না গিয়ে সেই দেশে অবস্থিত তার বন্ধুর সাহায্য নেয় যার জন্য তার পক্ষে আর সামনে এগোনো সম্ভব হয় না । ২০১২ সালে শুরু হওয়া বিশ্বয়কর এই ধাধার কে বা কারা কেন দিয়েছে তার কোন  সঠিক তথ্য প্রকাশ পায় নি ,এত সুপরিকল্পিত, জটিল  এই ধাধা  কেও  সমাধান করেছে কিনা এ সম্পর্কেও নেই কোন তথ্য, একে অনলাইনে  বিশ্বের সেরা ৫ অমিমাংসিত রহস্যের মধ্যে ধরা হয় ।
হয়ত অদুর ভবিষ্যতে সিকাডার গোপনীয়তা প্রকাশ পাবে , সিকাডার বেশ কয়েকটি ধাধার সমাধান ইন্টারনেট জুড়ে রয়েছে কিন্তু পূর্নাংগ সমাধানের আগ পর্যন্ত তাদের সম্পর্কে হয়ত কিছুই জানা সম্ভব হবে না।

ডার্ক ওয়েবের ধারাবাহিক সিরিজ গুলো পাবেন এই লিংকে - Click Here

 
সেছে নতুন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, নাম ‘ওরিও’ বা ‘অ্যান্ড্রয়েড ও’। গত সোমবার গুগল তাদের এই নতুন সিস্টেমের বিষয়ে ঘোষণা দেয়। এতে পুরোনো সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৭.১ নোগাট থেকে অ্যান্ড্রয়েড ৮.০ ওরিওতে উন্নীত হলো অপারেটিং সিস্টেমটি। 


যখন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে সূর্যগ্রহণ বিশাল এক ইংরেজি ‘ও’ বর্ণ সৃষ্টি করেছে, তখন গুগল ঘোষণা করল তাদের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম, যার ইংরেজি বানানের প্রথম বর্ণ শুরু সেই ‘ও’ দিয়েই। সে যাই হোক, বিজনেস ইনসাইডারের সৌজন্যে চলুন আমরা জেনে আসি, কী কী নতুন ফিচার থাকছে নতুন এই অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমে। 

১. অবশেষে অ্যান্ড্রয়েড স্ট্যাটাস বারে ব্যাটারির শতকরা হিসাব নিয়ে ফিরছে অ্যান্ড্রয়েড ওরিও। যদিও এর আগে গুগল ব্যাটারির শতকরা হিসাব দিয়েছিল, কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তা আবার উঠিয়ে নেয় গুগল কর্তৃপক্ষ। 

২. দ্রুত বুট আপ দেওয়ার সুযোগ থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ও’তে, যা আপনার গোটা অ্যাপ ও ব্যাটারির জীবনের প্রতি ইতিবাচক প্রভাব বয়ে নিয়ে আসবে। 

৩.অ্যান্ড্রয়েড ও’তে থাকছে ‘পিকচার ইন পিকচার’ ফিচার। যার ফলে একই সঙ্গে ভিডিও দেখা ও ভিডিও চ্যাটের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। 
 কোনো কিছু কাট বা কপি করার জন্য এখন আর গোটা নাম বা লেখা নির্বাচন করার দরকার নেই। কারণ ‘ওরিও’ বা অ্যান্ড্রয়েড ৮-এ রয়েছে ‘স্মার্ট টেক্সট সিলেকশন’ ফিচার। ফলে গোটা টেক্সটটির আগে ও পেছনে স্পর্শ করলেই নির্বাচিত হয়ে যাবে লেখাটি। 

৪. ‘স্মার্ট টেক্সট সিলেকশন’ শুধু যে টেক্সট কপি বা কাট করবে তা নয়; বরং ফোনের যেকোনো অ্যাপ বা ফিচার এটি ব্যবহার করে ফোন নম্বর, ঠিকানা ইত্যাদি এই ফিচারের সাহায্যে কম সময়ে কপি ও কাট করতে পারবেন। 


৫. ‘গুগল প্লে প্রোটেক্ট’ নামে নতুন একটি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ওরিওতে। যেকোনো ধরনের ক্ষতিকর ফাইল বা নিরপত্তা বিঘ্নিত করে এমন কিছু থেকে আপনার মোবাইলকে দেবে যথাযথ সুরক্ষা। 

৬. নতুন এ অপারেটিং সিস্টেমে রয়েছে ‘গুগল অটো ফিল ফিচার’। ফলে যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার আইডি পাসওয়ার্ড রেখে দিলেই প্রতিবার ঢোকার সময় সেগুলো আর পুনরায় টাইপ করতে হবে না।
স্বল্প দূরত্বে এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ডাটা ট্রান্সফারের জনপ্রিয় তারহীন প্রযুক্তি ব্লুটুথ। স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ থেকে শুরু করে তারহীন স্পিকার সেটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ব্লুটুথের সর্বশেষ সংস্করণ ব্লুটুথ ৪ দশমিক ২ বাজারে ছাড়া হয় ২০১৪ সালে। সামনেই ব্লুটুথের আরেকটি সংস্করণ ব্লুটুথ ৫ বাজারে ছাড়া হবে। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনিডিটিভি।
নতুন সংস্করণে গতি বাড়বে প্রায় দ্বিগুণ আর ব্লুটুথের রেঞ্জ ক্ষমতা বাড়ানো হবে আগের তুলনায় চারগুণ। এ ছাড়া যোগ করা হচ্ছে লো-এনার্জি মোড। নতুন সংস্করণের ফ্রিকোয়েন্সি থাকবে আগের মতোই ২ দশমিক ৪ গিগাহার্জের।
ব্লুটুথ প্রযুক্তির এই সংস্করণ বা মান ঠিক করে থাকে স্পেশাল ইন্টারেস্ট গ্রুপ (এসআইজি)। অ্যাপল, মাইক্রোসফট, স্যামসাংসহ বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই গ্রুপের সদস্য। ৩০ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছে এই গ্রুপে। এসআইজির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারের পর ছয় মাসের মধ্যে ডিভাইসগুলোতে ব্লুটুথ ৫ সংস্করণ ব্যবহার করা যাবে। সে হিসেবে ধারণা করা যায় আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ বিভিন্ন ডিভাইসে ব্লুটুথ ৫ সংস্করণ ব্যবহার করতে পারবে ব্যবহারকারীরা।
সংগৃহীত 
তোমার বয়স যতই হোক বা যেখানেই পড়ালেখা করো তুমি প্রোগ্রামিং কনটেস্টে অংশ নিতে পারবে, এমনকি তুমি যদি স্কুলে পড়ো তাহলেও। ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড হলো স্কুল-কলেজের স্টুডেন্টদের জন্য প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ের অলিম্পিয়াডে ভালো করে তুমি অংশ নিতে পারবে আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে। তুমি যদি স্কুল-কলেজ থেকেই সিরিয়াসলি কনটেস্ট করা শুরু করো তাহলে খুবই ভালো সম্ভাবনা আছে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় গিয়ে তুমি দেশের সেরা একজন কনটেস্টেন্ট হতে পারবে, রাশিয়া-চীনের মতো যেসব দেশ কনটেস্টে সবথেকে ভালো তারা খুব কম বয়সে এটা শুরু করে। তুমি যদি এরই মধ্যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম বা ২য় বর্ষে পড়ালেখা করো তাহলেও মোটেও দেরী হয়ে যায়নি, তুমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত ন্যাশনাল লেভেলের কনটেস্টগুলোতে অংশ নিতে পারবে। তবে তোমার লক্ষ্য হবে আকাশ ছোয়ার, তুমি হয়তো একসময় অংশ নিবে acm icpc ওয়ার্ল্ড ফাইনালে, প্রোগ্রামিং কনটেস্টের সবথেকে সম্মানজনক প্রতিযোগীতায়। এটার জন্য তোমাকে খুবই ভালো ফলাফল করতে হবে রিজিয়নাল কনটেস্টে। প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে ১টি বা ২টি টিম ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশ নেয়।

এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিয়মিত অনলাইন কনটেস্ট হয়, সেগুলোতে অংশ নিতে পারে যে কেও, শুধু তোমাকে ইমেইল আইডি দিয়ে সাইটে রেজিস্টার করতে হবে। সেখানে তুমি সারা বিশ্বের প্রোগ্রামারদের সাথে প্রতিযোগীতা করবে, তোমাকে পারফরমেন্স অনুযায়ী গ্র্যান্ডমাস্টার/এক্সপার্ট ইত্যাদি রেটিং দেয়া হবে, সেখানে দেখতে পারবে বাংলাদেশি প্রোগ্রামাররা ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়েও খুবই ভালো ফলাফল করে। প্রোগ্রামিং কনটেস্ট টপ-রেটেড কোডারদের অনেকের বয়স ১৫-১৬ বা তারও কম তাই তোমার ইউনিভার্সিটিতে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা দরকার নেই।

এখন আসি যেটা শিখাতে মুলত লেখাটা শুরু করেছিলাম সেই অংশে, অনলাইন জাজে হাতেখড়ি। তুমি যখন একটা প্রবলেম সলভ করবে সেটা সঠিক নাকি সেটা বলে দিবে অনলাইন জাজ। অনলাইন জাজ আসলে এক ধরণের অনলাইন সফটওয়্যার যে তোমার কোড পরীক্ষা করে কয়েক সেকেন্ডের মাঝে বলে দেয় সেটা সঠিক নাকি। প্র্যাকটিস করার জন্য অসংখ্য অনলাইন জাজ আছে। তুমি হয়তো জানো এইসব জাজের মধ্যে একটি আছে একজন বাংলাদেশির তৈরি করা, জাজটির নাম lightoj, তৈরি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জানে আলম জান যিনি বর্তমানে গুগলে কাজ করছেন। তবে আমরা শুরু করবো বাংলাদেশিদের মধ্যে সবথেকে পপুলার UVa online judge দিয়ে, এটা তৈরি করেছে স্পেনের ভ্যালাডোলিড ইউনিভার্সিটি, লিংকটা হলো http://uva.onlinejudge.org/। তুমি শুরুতেই এখানে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলো।

অ্যাকাউন্ট খুলে তুমি বামে browse problems থেকে “Contest Volumes” লিংকটাতে যাও। সেখানে দেখবে উপরের মতো volume C,volume CI ইত্যাদি লেখা আছে। তুমি volume C তে ক্লিক করো। সেখানে দেখবে প্রবলেমের একটা লিস্ট এসে গিয়েছে।




ডানের কলামগুলোতে দেয়া আছে কতজন প্রবলেমটা সলভ করেছে আর কতজন চেষ্টা করেছে। যে প্রবলেম যত বেশি মানুষ সলভ করেছে সেটা তত সহজ হবার সম্ভাবনা বেশি। তুমি নিচে স্ক্রল করে 10055 – Hashmat the Brave Warrior প্রবলেমটায় ক্লিক করো। প্রবলেমটি সেট করেছেন বাংলাদেশের Shahriar Manzoor,তিনি খুবই বিখ্যাত প্রবলেমসেটার এবং পুরো পৃথিবীতে হাতেগোণা অল্প যে কয়জন মানুষ তিনি ওয়ার্ল্ড ফাইনালের জাজ হতে পেরেছেন তাদের একজন। প্রবলেমটা একবার তুমি রিডিং পরো তারপর আমি ব্যাখ্যা করছি।
যেকোনো প্রবলেমকে ৩টা অংশ ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগে থাকে প্রবলেমের বর্ণনা। এরপরে থাকে “Input” অংশ। এই অংশ বলা থাকে তোমাকে কি ধরণের ভ্যালুর জন্য প্রবলেমটা সলভ করতে হবে। “Output” অংশে থাকে কিভাবে আউটপুট প্রিন্ট করতে থাকে। কয়েকটি sample input/output দেয়া হয় বোঝার সুবিধার জন্য। কিন্তু এটা কিন্তু জাজ এর Input না। জাজের একটি ইনপুট ফাইল থাকে, hashmat প্রবলেমটার জন্য সেটা হতে পারে এরকম

সত্যিকারের জাজ ইনপুট ফাইলে কি আছে সেটা খালি প্রবলেম সেটাররা জানেন, তোমাকে বা আমাকে সেটা দেয়া হবেনা, তোমাকে খালি বলা হবে ইনপুট ফাইলে কি ধরণের ইনপুট আছে, ইনপুট ফাইল কত বড়, যে সংখ্যা বা স্ট্রিং ইনপুট দেয়া হবে সেগুলো কত বড় ইত্যাদি। প্রতিটি ইনপুটের জন্য তোমাকে আউটপুট প্রিন্ট করতে হবে প্রবলেমে বলা ইনস্ট্রাকশন অনুযায়ী। জাজের কাছে একটা answer ফাইল আছে। তুমি যেসব আউটপুট প্রিন্ট করবে জাজ সেটাকে আরেকটি আউটপুট ফাইলে নিয়ে যাবে। তারপরে answer ফাইলের এর সাথে তোমার কোডথেকে পাওয়া আউটপুট মিলিয়ে দেখবে। এই কারণে তুমি আউটপুটে অতিরিক্ত কোনো কিছু প্রিন্ট করতে পারবেনা, যেমন hashmat প্রবলেমে তুমি প্রতি লাইনে সুন্দর করে “the answer is 10” এভাবে প্রিন্ট করলে হবেনা, যেভাবে বলেছে সেভাবে শুধুমাত্র উত্তরটা প্রিন্ট করতে হবে। তোমাকে ফাইল নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা, তুমি সাধারণভাবেই printf,scanf দিয়ে কাজ করবে, ফাইলের ব্যাপার জাজ হ্যান্ডেল করবে।

তুমি একটা সলিউশন লিখে ফেলবে। সলিউশনটা হতে পারে এরকম:

আমি সরাসরি কোড না দিয়ে ইমেজ দিলাম যাতে কেও কপি-পেস্ট করে প্রথম সলিউশন লেখার আনন্দ মিস না করে। while এর ভিতর scanf এর এরকম ব্যবহার হয়তো তুমি আগে দেখোনি, আপাতত জেনে রাখো এভাবে লিখলে যতক্ষণ ২টি সংখ্যা ইনপুট দেয়া হবে ততক্ষন তোমার কোড কাজ করবে, ফাইল যখন শেষ হবে(EOF=end of file) তখন কোড টার্মিনেট করবে। এই কোডটা লিখে স্যাম্পল ইনপুট গুলো কিবোর্ড দিয়ে ইনপুট দিয়ে দেখো যে আউটপুটের সাথে মিলছে নাকি। মনে রাখবে শুধুমাত্র আউটপুট অংশটা ভিন্ন একটা ফাইলে নিয়ে জাজের সাথে মিলিয়ে দেখা হবে।
এবার বামে quick submit এ ক্লিক করো। প্রবলেম আইডি হলো 10055 যেটা প্রবলেমের উপরেই লেখা আছে। ল্যাংগুয়েজ সিলেক্ট করো C++ 4.5.3।


এরপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করো। জাজের সার্ভার ঠিকঠাক থাকলে কয়েক সেকেন্ডে জাজ হয়ে যাবে। 
প্রবলেম সলভ করতে গিয়ে অনেক সময়ই তুমি আটকে যাবে, বারবার wrong answer খাবে। তখন তুমি কি করবে? প্রথম কাজ হলো আরো ভালোভাবে চিন্তা করো। এরপরেও না পারলে সাহায্য নাও। হতে পারে তুমি এমন জায়গায় থাকো যেখানে সাহায্য করার মতো শিক্ষক বা বড় ভাই নাই। ইন্টারনেটের যুগে এটা কোনো ব্যপারই না, তুমি বিভিন্ন ফোরামের সাহায্য নাও। তুমি জান ভাইয়ের lightoj তে রেজিস্টার করলে একটি চমৎকার ফোরাম পাবে যেখানে অনেকেই সাহায্য করবে। uva সহ প্রায় সব অনলাইন জাজেরই ফোরাম আছে, তুমি গুগলে সার্চ করলেই লিংক পাবে সেগুলোর। সেখানে তুমি বড় বড় প্রোগ্রামারদের সাথে কথা বলো, দেখো তারা কিভাবে প্র্যাকটিস করে। বাংলাদেশের প্রোগ্রামারদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য চমৎকার জায়গা হতে পারে ফেসবুক, তুমি নিচের গ্রুপ গুলোতে জয়েন করো:
প্রোগক্রিয়া-বাংলা ইনফরমেটিক্স ব্লগ
BD programmers
Bangladesh Informatics Olympiad
আপাতত এখানেই শেষ করছি। তোমার আরো কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই জানাও, তোমাকে সাহায্য করতে পারলে খুশি হবো। শুভকামনা থাকলো।
সংগৃহীত 

কম্পিউটার ব্যাবহার করেছে অথচ শর্টকাট ভাইরাসের মুখোমুখি হয়নি এমন মানুষ খুজে  পাওয়া খুবই কঠিন একটি কাজ। সাধারনত পেনড্রাইভ ও ম্যামরিকার্ড দ্বারা এই ভাইরাসের সাথে বেশিরভাগ মানুষের পরিচয় ঘটে ।
বেশ কিছু শর্টকাট রিমুভার সফটওয়্যার যা দিয়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ।
এছাড়াও আরো  কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে কোন প্রকার  এন্টিভাইরাস ছাড়াই এই  ভাইরাস বা স্ক্রিপ্ট এর জ্বালাতন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ।


পদ্ধতি ১ঃ
প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে  Run  এ যান , এর পর সেখানে টাইপ করুন cmd
তখনই Command Prompt  চালু হবে ।attrib -h -s -r -a /s /d X:*.
উপরের কমান্ডটি লেখুন , শুধুমাত্র X  এর জায়গায় আপনার  যে ড্রাইভের ভাইরাস সরাতে চান সে ড্রাইভের নাম লেখুন
( যেমন virus  আক্রান্ত ড্রাইভের নাম  যদি f:  হয় তাহলে  কোডটি হবে 
attrib -h -s -r -a /s /d f:*.  )
enter প্রেস করুন ।  তাহলেই দেখবেন অইড্রাইভের শর্টকাট ফাইলগুলো আগের মত হয়ে গেছে ।


পদ্ধতি ২ঃ

নোটপ্যাড ওপেন করুন, এবং নীচের  কমান্ড  গুলো লেখুন 
@echo off
attrib -h -s -r -a /s /d X:*.*
attrib -h -s -r -a /s /d X:*.*
attrib -h -s -r -a /s /d X:*.*
@echo complete.

( X এর জায়গায় আপনার ড্রাইভের নাম  দিতে হবে )
virusremover.bat  নামে সেভ করুন ( এক্সটেনশন অবশ্যই .bat হতে হবে  নাম যাই দিন না কেন )এবার সবকিছু ক্লোজ করে দিয়ে  নতুন বানানো bat ফাইলে ডাবল ক্লিক করুন দেখবেন প্রব্লেম সল্ভ ।
পদ্ধতি ৩ঃ
যদি কম্পিউটারই শর্টকাট ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে  কী বোর্ডের CTRL+SHIFT+ESC চাপুন এখানে wscript.exe ফাইলটি সিলেক্ট করুন।End Process এ ক্লিক করুন।  এবার আপনার কম্পিউটারের C:/ ড্রাইভে যান।সার্চ বক্সে wscript লিখে সার্চ করুন। wscript নামের সব ফাইলগুলো SHIFT+DELETE দিন। যেই ফাইলগুলো ডিলিট হচ্ছে না ওইগুলো স্কিপ করে দিন।এখন RUN এ যান। wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।Stop script after specified number of seconds: এ 1 দিয়ে APPLY করুন।
আশা করি সমাধান হয়ে যাবে ।

পেনড্রাইভের ডাটা ট্রান্সফার স্পিড বাড়াতে চাইলে  এই লিংক থেকে ঘুরে আসুন  
সকালে উঠেই টপকোডারে এ লেখা দেখলাম “একটি শিশুকে একই আইফোন দিলে সে দিনরাত অ্যাংগ্রি বার্ডস খেলবে, শিশুটিকে কোডিং শিখালে সে আইফোনটার জন্য সফট্ওয়্যার তৈরি করবে” দারুণ এই লেখাটা দেখে মনে হলো কেন আমরা প্রোগ্রামিং বা কোডিং শিখবো সেটা নিয়ে বাংলায় কিছু লিখি। এ লেখাটি প্রোগ্রামিং নিয়ে যাদের কোনো ধারণা নেই বা খুব সামান্য ধারণা আছে তাদের আগ্রহী করে তোলার একটি ছোট্ট প্রচেষ্টা।



কম্পিউটার একটি অসম্ভব ক্ষমতাবান কিন্তু নির্বোধ একটি যন্ত্র। একটি যন্ত্র ৫০জন সাধারণ মানুষের কাজ একাই করতে পারে কিন্তু ৫০টি যন্ত্র একটি অসাধারণ মানুষের কাজ করতে পারেনা(Hubbard, Elbert)। প্রোগ্রামিং শিখে আমরা একেকজন হয়ে উঠতে পারি সেই মানুষটি যে এই যন্ত্রকে ইচ্ছামত কথা শোনাতে পারে। তুমি যা বলবে যেভাবে কম্পিউটার তাই করবে, এটাই হলো সোজা কথায় প্রোগ্রামিং। হয়তো বলতে পারো এখনইতো কম্পিউটার সেটা করে, আমি গান শুনাতে বললে সে শুনিয়ে দেয়, আমি গেম খেলতে চাইলে সে আমার সাথে খেলতে শুরু করে। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হলো একজন প্রোগ্রামার আগেই কম্পিউটারকে বলে রেখেছে যে তুমি গান শুনতে চাইলে সে যেন শুনিয়ে দেয়। সে যদি বলে রাখতো গেম খেলতে চাইলে পড়তে বসার উপদেশ দিতে তাহলে কম্পিউটার তাই করতো, তোমার কিছু করার থাকতোনা। প্রোগ্রামার হলো সে যার কথায় কম্পিউটার উঠা-বসা করে। দারুণ একটা ব্যাপার এটা, তাইনা?
কিন্তু তুমি কেন প্রোগ্রামিং শিখবে? বড় বড় কথা বলার আগে সবথেকে প্রথম কারণ আমি বলবো কারণ “প্রোগ্রামিং দারুণ মজার একটি জিনিস!”। কম্পিউটারের সাথে অন্য যন্ত্রের বড় পার্থক্য হলো এটা দিয়ে কতরকমের কাজ করানো যায় তার সীমা নেই বললে খুব একটা ভুল হবেনা। তাই প্রোগ্রামিং জানলে যে কতকিছু করা যায় তার তালিকা করতে বসলে শেষ করা কঠিন। তুমি দিনের পর দিন প্রোগ্রামিং করেও দেখবে জিনিসটা বোরিং হচ্ছেনা, প্রায় প্রতিদিনই নতুন মজার কিছু শিখছো, নতুন নতুন টেকনোলজী আবিষ্কারের সাথে সাথে তুমি আরো অনেক রকম কাজ করতে পারছো অথবা তুমিই করছো নতুন আবিষ্কার! আজ হয়তো জটিল কোনো সমীকরণ সমাধান করার জন্য ফাংশন লিখছো, কাল এসব ভালো লাগছেনা বলে লাল-নীল রঙ দিয়ে একটি অ্যানিমেশন বানাতে বসে গেলে, তোমার সৃষ্টিশীলতার সবটুকুই কাজে লাগাতে পারবে প্রোগ্রামিং এর জগতে।

প্রোগ্রামিং করা মানে আনন্দের সাথে শেখা। এই শেখাটা খালি কম্পিউটারের মধ্য সীমাবদ্ধ না, অধিকাংশ ভালো প্রোগ্রামারদের খুবই ভালো গাণিতিক এবং লজিকাল জ্ঞান থাকে। দাবা খেলার মতোই প্রোগ্রামিং পুরোটাই লজিকের খেলা, কোন কাজের পর কোনটা করলে কি হবে, কিভাবে করলে আরো দ্রুত ফলাফল আসবে এইসব নিয়ে চিন্তা করতে করতে মস্তিষ্কের লজিকাল সেক্টরটা ডেভেলপ করে। আমার মতে চিন্তা করার মত আনন্দের এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ ২য়টি নেই। বিশেষ করে কম বয়সে প্রোগ্রামিং শিখালে সে চিন্তাশক্তি বৃদ্ধির যেই সুফলটা পাবে সেটা সারাজীবন কাজে লাগবে, সে যদি প্রোগ্রামিং পরে ছেড়েও দেয় তারপরেও চিন্তা করার ক্ষমতাটা থেকে যাবে।
প্রোগ্রামিং কি শুধু কম্পিউটার সাইন্স যারা পড়ে বা পড়তে চায় তারা শিখবে? সেটার কোনো যুক্তি নেই, তুমি যেই বিষয় নিয়েই পড়ছো বা পড়তে চাও, প্রোগ্রামিং তুমি আনন্দের জন্যই শিখতে পারো এবং চাইলে তোমার কাজেও লাগাতে পারো। তুমি বিজ্ঞানের যেকোনো বিষয়ে লেখাপড়া করলেতো কথাই নেই, তোমার গবেষণায় প্রতি মূহুর্তে কম্পিউটার লাগবে, তুমি বিজনেস, আর্টস পড়লেও প্রোগ্রামিং কাজে লাগবে। তুমি কোম্পানির জন্য দারুণ একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারো, একটি সফটওয়্যার বানাতে পারো যেটা যেসব কাজ বোরিং সেগুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে করে দিবে! আমি অনেক সময় ছোটো-খাটো কিন্তু বোরিং কাজ করার সময় চট করে একটা স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলি, তারপর সেটাকে কাজ করতে দিয়ে ঘুম দেই!

প্রোগ্রামিং শেখা কি খুব কঠিন? উত্তর হলো হ্যা,যদি তোমার আগ্রহ না থাকে এবং কেও তোমাকে জোর করে শেখায়। যদি একবার মজা পেয়ে যান তাহলে এরপর কারো শেখানো লাগবেনা, নিজেই সব শিখে ফেলতে পারো। আমার উপদেশ হবে ২-৩ সপ্তাহ প্রোগ্রামিং করার পর যদি তোমার ভালো না লাগে তাহলে জোর করে করার দরকার নাই, এটা তোমার জন্য না, অন্য যেটা ভালো লাগে সেই কাজ করো। যদি একবার ভালো লাগে বাজী ধরে বলতে পারি কোড লিখতে লিখতে তুমি প্রায়ই খাবার কথাও ভুলে যাবে। যেকোন কাজের জন্যই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো ভালো লাগা, যেটা ভালো লাগেনা সেটা করার কোনো অর্থ আমি দেখিনা কারণ দুইদিন পর যা শিখসি সব ভুলে যাবো।
সি বা জাভার মতো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শেখা মানেই কিন্তু তুমি প্রোগ্রামিং শিখে ফেলোনি। ল্যাংগুয়েজ শেখা খুব সহজ কাজ, প্রথমে একটা কষ্ট করে শিখে ফেললে এরপর যেকোনো ল্যাংগুয়েজ শেখা যায়। তোমাকে খুবই ভালো লজিক ডেভেলপ করতে হবে, অ্যালগোরিদম আর ডাটা স্ট্রাকচার নিয়ে পড়ালেখা করতে হবে, গণিত জানতে হবে, তাহলেই তুমি একজন ভালো প্রোগ্রামার হয়ে উঠবে। তবে ভয়ের কিছু নেই, সবই তুমি ধীরে ধীরে শিখে ফেলতে পারবো, শুধু লাগবে চেষ্টা আর সময়। এটা আশা করবেনা যে ৬ মাসে তুমি অনেক ভালো প্রোগ্রামার হয়ে যাবে তবে লেগে থাকলে ২-৩ বছরে অবশ্যই মোটামুটি ভালো একটা লেভেলে তুমি পৌছাতে পারবে।
তুমি যদি কম্পিউটার সাইন্সের স্টুডেন্ট হও তাহলে এইসব কথাই তুমি হয়তো জানো, শুধু বলবো প্রোগ্রামিং কে আর ৫টা সাবজেক্টের মতো ভেবোনা, খালি সিজিপিএ বাড়াতে কোডিং শিখলে তোমার মতো অভাগা কেও নাই, প্রোগ্রামিং উপভোগ করার চেষ্টা করো, জানার আনন্দে শিখো।

বই পড়া, গণিত চর্চা করার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং শিখা এই সংস্কৃতি শুরু করতে বিশাল একটি ভুমিকা রাখতে পারে। আমি মনে করি বর্তমান যুগে প্রোগ্রামিং শেখাটা অন্য যেকোন বিষয় শেখার মতই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের সব কাজে কম্পিউটার লাগে। তাই আপনার আশেপাশের ছেলেমেয়েদের গেমস খেলতে দেখলে তাদের প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানাও, উৎসাহিত করো, অবশ্যই জোর করে শেখানোর কোনো মানে হয়না, যার ভালো লাগবে সে শিখবে তবে সবাই অন্তত জানুক প্রোগ্রামিং কি, এছাড়া কিভাবে শেখার জন্য উৎসাহিত হবে? অনেকেই ইউনিভার্সিটিতে আসার আগে জানেনা প্রোগ্রামিং বলে একটা বস্তু আছে! আর তোমরা প্রোগ্রামিং জানলে অন্যদেরও শিখতে সাহায্য করো, এভাবেই পরিবর্তন একসময় আসবেই, সবাই লজিক দিয়ে ভাবতে শিখবে, চিন্তা করার সংস্কৃতি তৈরি হবে।

হ্যাপি কোডিং!
-সংগৃহীত