ওয়াই-ফাই রাউটারের গতি বৃদ্ধির পাঁচ উপায়:




১. রাউটার রাখুন ঘরের মাঝখানে-
ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার সময় আমরা যে জিনিসটা সবচেয়ে অবহেলা করি তা হচ্ছে অতিরিক্ত তার নেওয়া। তারের পরিমাণ কম থাকার কারণে রাউটারের জায়গা হয় ঘরের এক কোণে বা জানালার পাশে। ফলে অর্ধেক ওয়াই-ফাই সিগন্যাল রয়ে যায় বাইরে। এতে করে গতি হ্রাস পায়। কারণ ওয়াই-ফাই ছড়ায় ওমনি ডাইরেকশনালি, অর্থাৎ স্পিকার থেকে আওয়াজ যেভাবে চারদিকে ছড়িয়ে যায়, ঠিক সেইভাবে রাউটারের অ্যান্টেনাকে কেন্দ্র করে ওয়াই-ফাই চারদিকে ছড়িয়ে যায়। তাই রাউটারকে ঘরের মাঝখানে রাখার চেষ্টা করুন।

২. চোখের উচ্চতায় রাখুন -
শুধু যে ঘরের মাঝখানে রাখলেই রাউটারের গতি ভালো পাবেন, তা কিন্তু নয়। উচ্চতারও এখানে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। মাটি থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতা, অর্থাৎ চোখ বরাবর উচ্চতায় রাউটার রাখলে ভালো গতি পাওয়া যায়। পাশাপাশি রাউটারের সিগন্যালের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এমন কোনো ডিভাইস, যেমন—কর্ডলেস ফোনের বেস, অন্য কোনো রাউটার, প্রিন্টার, মাইক্রোওয়েভের সঙ্গেও রাউটার রাখা ঠিক নয়।

৩. কম ডিভাইস সংযুক্ত করা -
বাড়িতে বন্ধু বা আত্মীয় আনাগোনা খুব বেশি? সবাইকে ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড দিয়ে বেড়ান? তাহলে আপনার ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমতে বাধ্য। যদি দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ না হয়, তাহলে একসঙ্গে অনেক বেশি ডিভাইস সংযোগ না দেওয়াই ভালো। এখন অনেক রাউটারে ডিভাইস ব্লক করার সুযোগ থাকে। যদি দেখা যায়, কোনো নির্দিষ্ট ডিভাইস অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ টেনে নিচ্ছে, তাহলে তাকে ব্লক করে দিন। এ ছাড়া ফ্রি ওয়াই-ফাই পেলে অনেকেরই ডাউনলোড করার শখ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এতে করেও রাউটারের গতি কমে যায়।

৪. রিপিটার ব্যবহার করা -
ওয়াই-ফাইয়ের গতি বাড়িয়ে দিতে রিপিটারের জুড়ি নেই। বাজারে বা অনলাইন শপে প্রচুর রিপিটার পাওয়া যায়। রাউটারের সঙ্গে সংযুক্ত করে নেওয়াও সহজ। অনেক সময় বাড়িতে পুরোনো রাউটার থাকলে যথেষ্ট গতি পাওয়া যায় না। রাউটার এ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি দেবে আপনাকে।

প্রশ্নঃ রিপিটার কি?
উত্তরঃ রিপিটার হলো এমন একটি ডিভাইস যা সিগন্যালকে এমপ্লিফাই করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ১৮৫ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করার আগেই আপনি একটি রিপিটার ব্যবহার করে সেই সিগন্যালকে এমপ্লিফাই করে দিলে সেটি আরো ১৮৫ মিটার অতিক্রম করতে পারে। এটি কাজ করে ওএসআই মডেল এর ফিজিক্যাল লেয়ারে।

300MBPS এর রিপিটার ১৩০০/= এর মতো পরবে। যেখানে রাউটার পাওয়া যায় সেখানেই রিপিটার পেয়ে যাবেন।

৫. ইউএসবি রাউটার ব্যবহার করুন -
রাউটার কেনার আগে দেখে নিন, তাতে ইউএসবি পোর্ট আছে কি না। কারণ, ইউএসবি পোর্ট থাকলে তাতে এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভ সংযোগ করা সহজ হয়। অথবা প্রিন্টারও সংযুক্ত করতে পারেন। এতে করে ইন্টারনেট থেকে কোনো জিনিস প্রিন্ট দেওয়ার জন্য ডিভাইসের প্রয়োজন পড়বে না। ইউএসবি পোর্টসমৃদ্ধ রাউটারগুলো বেশ শক্তিশালী হয়। ফলে সিগন্যালও পাওয়া যায় ভালো।

প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন টিপস / ট্রিকস সহ লেখা গুলো পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন। Click here

ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের নিত্যদিনের সঙ্গী হল গুগোল , প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সব কিছুর খবর নিয়েই গুগোল এর সাহায্য নেই আমরা ,  কিছু মজাদার ফিচার রয়েছে যা গুগোল সার্চের মাধ্যেমে পাওয়া যায় এবং  হয়ত আপনারা মিস করে গেছেন এতদিন , নীচে সেগুলোর কিছু অংশ দেয়া হল ।

১) Google Gravity:
গুগলের সার্চ বারে সার্চ দিন Google Gravity  লিখে । অসংখ্য রেজাল্টের মধ্যে প্রথমে যে লিংক থাকবে সেটিতে ক্লিক করুন । দেখবেন আপনার গুগল মামা নিউটনের সেই আপেল গাছের  আপেলের মত নীচে পড়ে যাবে ।

২) Barrel Roll:
সার্চবারে Barrel Roll লিখে সার্চ দিন। আগের মতই প্রথম লিংকে ক্লিক করুন । স্ক্রীনের সাথে চোখ রেখে আবার নিজে কাত হবেন না , তাহলে নীচে পড়ে যেতে পারেন ।

৩)Google Klingon এবং Google Pirate :
Klingon শব্দটির সাথে যাদের পরিচয় নেই তাদের বলছি এটি একটি ভাষা । কোথায় কেন ভাষাটি ব্যাবহার করা হয় গুগল ঘাটলেই পাবেন ,  নিশ্চয়তার সাথে বলতে পারি অবাক করা তথ্য পাবেন , কেন গুগলের এই দুই ভার্শন তা ঠিক জানা নেই

৪) Doodles
গুগলের জনপ্রিয় একটি ফিচার হচ্ছে গুগল ডুডল । বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিশেষ সময়ে ডুডল দেয়া হয় । সব ডুডল দেখতে পাবেন ডুডল আর্কাইভ থেকে ।  https://www.google.com/doodles এই লিংক এড্রেসবারে দিন ঘুরে আসুন ডুডলের দুনিয়া থেকে

৫) Calculator
গুগল ক্যালেন্ডার , গুগল ওয়েদার সার্ভিস এর হেল্প তো সবাই নিয়েছেন , কিন্তু গুগল ক্যালকুলেটর ব্যাবহার কয়জনই বা করেছে ? গুগলের রয়েছে চমৎকার একটি সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ফিচার , আশাপাশে পাওয়া ক্যালকুলেটার এপস গুলো থেকেও বেশ পাওয়ারফুল  এটি 


৬) Google Sphare
সার্চ বারে দিয়ে প্রথম লিংকে ঢুকেই দেখবেন লেখাগুলোর মধ্যে হালকা  ঘূর্ণিঝর শুরু হয়ে গেছে ।

৭) Graph for
গুগলে গ্রাফ ফর এর পর আপনার প্রয়োজনীয় সমীকরনটি লিখলেই আসবে  সুক্ষ গ্রাফ আর্ট , ম্যাথে আপনার আকা গ্রাফের শেপ ঠিক আছে কিনা মিলিয়ে দেখতে পারবেন সহযেই।
তো Graph for [(SQRT(COS(X))*COS(400*X)+SQRT (ABS(X))-0.4)*(4-X*X)^0.1]

এই সমীকরনটি সার্চ দিয়ে দেখুন তো রেজাল্ট কি আসে ।



আজ আর নয় , শুধু মাত্র মজার উদ্দ্যেশেই লেখা হয়েছে । সামনে হয়ত গুগলের আরো মজাদার কিছু নিয়ে আসব

ততদিন পর্যন্ত সাথেই থাকুন ।

উইন্ডোজের সাধারন ইউজাররাও  নোটপ্যাড নামক শব্দটির সাথে পরিচিত । কিন্তু যারা কোডিং বা ওয়েব ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করেছে তারা এর গুরুত্ব বেশ ভাল ভাবেই বুঝতে পারে। কাজের সুবিধার জন্য ব্যাবহার করা হয় হরেক রকমের টেক্সট এডিটর। সময়ের সাথে সাথে এই সব টেক্সট এডিটর নতুন নতুন ফিচার সহ আনছে অসংখ্য আপডেট এডিশন  ।  আমরা এখন পরিচিত হব বর্তমানে বহুল ব্যাবহৃত কিছু টেক্সট এডিটর  এর সাথে ।

১) নোটপ্যাড++ (Notepad++)



ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেছে অথচ নোটপ্যাড ++ ব্যাবহার করে নি এমন মানুষ কমই আছে , তুলনামুলক কম স্পেস এ দ্রুত কাজ করতে পারা টেক্সট এডিটরটি অনেক দিন ধরেই জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে । এই আগস্টের ৩০ তারিখ এর ৭.৫.১ ভার্শনটি রিলিজ হয়েছে । এটি সম্পূর্ন ফ্রী ব্যাবহার করা যায় এবং কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন প্লাগইন এড করার সুযোগ রয়েছে ।

২) সাবলাইম টেক্সট (Sublime Text)


সাবলাইম টেক্সট এডিটর প্রথমেই জনপ্রিয়তা পায় তার ইন্টারফেস এর জন্য, কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে  বিভিন্ন রঙ এর লেখার জন্যই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারে এটি । বর্তমানে সাবলাইমের ৩য় সংস্করনটি পাওয়া যাচ্ছে । চালাতে  হলে সাবলাইম এর ট্রায়াল ভার্শন ব্যাবহার করতে হবে , কিন্তু পপ আপ যদি আপনার সমস্যা মনে হয় তবে ৭০ ডলার দিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন এর প্রিমিয়াম ভার্শন । মাল্টি টাস্ককরার সক্ষমতা সহ লাইটওয়েট এর জন্য প্রফেশনালদের পছন্দের শীর্ষে।

৩) এটম (Atom)

একুশ শতাব্ধীর হ্যাকেবল টেক্সট এডিটর বলা হয় একে । গিট হাব এর অন্যতম জনপ্রিয় সফল প্রজেক্ট এটি, একে বলা হয় সাবলাইমের প্রতিদন্দী , এটই ফ্রি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার । ম্যাক , উইন্ডোজ ও লিন্যাক্স এ প্রায় সমান দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারে এটি । এর গ্রাফিকাল ইন্টারফেস এক কথায় অসাধারন । এছাড়াও অন্যান্য টেক্সট এডিটরের সকল সুবিধাই এতে রয়েছে ।

৪) ব্রাকেটস (Brackets)

জনপ্রিয় টেক্সট এডিটর গুলোর মধ্যে অন্যতম । ব্রাকেটস এর রয়েছে নিজস্ব প্লাগইন সিস্টেম , পিএসডি ডিজাইন থেকে যারা ওয়েব ডিজাইনে  কাজ করে তাদের কাছে প্রথম পছন্দ হল ব্রাকেটস , কারন ব্রাকেটস এর অন্যান্য ফিচার গুলোর মধ্যে একটি ইউনিক ফিচার হল পিএসডি ইনফরমেশন  এক্সট্র্যাক্ট করা ।বর্তমানে ব্রাকেটস এর ১.১০ ভার্শনটি পাওয়া যায়। এর সাথে কিছু প্লাগইন যোগকরলেই আপনার কোডিং এর সময় অনেকাংশেই  বেচে যাবে ।

৫)ভি আই এম ( VIM )

এটি কম্পিউটার এর সবচেয়ে পুরাতন কিন্তু সফল টেক্সট এডিটর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কাস্টমাইজেবল হওয়ায় ডেভেলপাররা এটি পছন্দ করে । এর ব্যাতিক্রমধর্মী একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ব্যাবহারে মাউজের কোন দরকার নেই । সম্পুর্ন কন্ট্রোল কি বোর্ড দিয়েই করতে পারবেন 




বৈষম্যের অভিযোগ এনে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাবেক তিন নারী কর্মী। গুগলে পুরুষ কর্মীদের তুলনায় নারী কর্মীদের কম বেতন দেওয়া হয় এবং সেইসাথে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও নারীরা বঞ্চিত হয় বলে মামলার বিবরণীতে দাবি করেছেন এই তিন নারী।
গুগল এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ অবগত থাকা সত্ত্বেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলেও দাবি তাদের।
লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের এই শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। কর্মীদের বেতন ভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগও গুগলের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
মামলার একজন বাদী কেলি এলিস এই মামলার বিষয়ে বিবিসি’কে বলেন, ‘প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান এই বিষয়গুলোকে আর অবহেলা না করে এখনই বন্ধ করতে হবে।’ তার টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করা একটি টুইটে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, শুধু গুগল নয়, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও যেন এই ধরনের বৈষম্য বন্ধ করে সবাইকে সমানভাবে গণ্য করা হয় তার জন্য আদালত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কেলি এলিস ২০১০ সালে গুগলে যোগ দেন। চার বছরের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও তাকে একজন ফ্রেশার হিসেবেই নিয়োগ দেয় গুগল। যদিও একই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন পুরুষ কর্মী আরও উচ্চ পদে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া তাকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজেও নিয়োগ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন এলিস। বৈষম্যের কারণে চার বছরের মাথায় তিনি গুগল ছাড়েন।

বাংলা কীবোর্ডে লেখা অপেক্ষাকৃত কঠিন , যার কারনে অনেকেই বাংলা উচ্চারন ইংরেজিতে লিখত , কিন্তু এখন শুধু একটি সফটওয়্যারের জন্য খুব সহজেই উচ্চারনের ব্যাবহার দিয়েই বাংলা টাইপ করতে পারছে , এর জন্য তাকে কীবোর্ডের কোন বাটনের অক্ষর মুখস্ত রাখতে হচ্ছে না ।
সকলেই খুব সহযে এটি ব্যাবহার করতে  পারছে , বাংলা কী বোর্ডে লেখাকে এতটা সহজ বান্ধব করে দেয়া সফটওয়্যারটি হল ' অভ্র ' ।

এটি  ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার বিনামূল্যের ও মুক্ত সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটির অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এতে ফোনেটিক (ইংরেজিতে উচ্চারণ করে বাংলা লেখা) পদ্ধতিতে বাংলা লেখা যায়।উইন্ডোজে ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য ২০০৩ সালের ২৬শে মার্চ অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যারটি আবির্ভূত হয়।
মেহদী হাসান খান নামে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্র তার ‘ওমিক্রন ল্যাব’ থেকে  ২০০৩ সালে অভ্র কীবোর্ড তৈরির কাজ শুরু করেন। তিনি এটি সর্বপ্রথম তৈরি করেছিলেন ভিজুয়াল বেসিক প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে, পরবর্তীতে তিনি তা ডেলফিতে ভাষান্তর করেন। এই সফটওয়্যারটির লিনাক্স সংস্করণ লেখা হয়েছে সি++ প্রোগ্রামিং ভাষায়। পরবর্তীতে রিফাত-উন-নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা এবং নিপুন হক এই সফটওয়্যারের উন্নয়নের সাথে যুক্ত হন । এই প্রজেক্টের সূচনা হয় ২০০৩ সালের বইমেলা থেকেই তখন সেখানে বাংলা ইনোভেশন থ্রু ওপেন সোর্স, বায়োস নামে একটা সংগঠন বাংলা নামে একটা প্রদর্শনী করে। এখানে পুরো ইন্টারফেসটা ছিলো বাংলায় এবং বাংলায় লেখালেখিও করা যেতো। মেহেদি হাসান তাদের বাংলা ফন্টটা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করেন বাংলায় লেখালেখির জন্য। কিন্তু দেখা গেলো এই ফন্ট ব্যবহার করে লেখার জন্য উইন্ডোজে কোন কি-বোর্ড নেই। অনেক ঝামেলা করে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ইনসার্ট ক্যারেক্টার থেকে ওই ফন্টের ক্যারেক্টারগুলো ব্যবহার করে বাংলা লেখা সম্ভব। কিন্তু সরাসরি ওই ফন্টের জন্য কোন কি-বোর্ড ছিলো না। মানে হলো, ওই ফন্টের জন্য একটা কি-বোর্ড থাকলে উইন্ডোজ ইউনিকোডে বাংলা লেখা সম্ভব ছিলো। ব্যস, তখন থেকেই তিনি কাজে নেমে পড়েন। ডেভলপার হিসেবে কাজ করেছেন রিফাত-উন-নবী। আর ফন্ট ডেভলপার হিসেবে কাজ করেছেন সিয়াম। সিয়াম-রুপালী ফন্টটা তারই বানানো।

অভ্র রিলিজের পর জনপ্রিয়তা ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ল টাইপিং এ অদক্ষ লোকও নিজের ছোট খাট কাজগুলো নিজেই টাইপ করে ফেলতে পারল ,  অভ্রর জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে তখন এতে বাধা আসে বিজয় থেকে । কম্পিউটারে বাংলা লেখার বাণিজ্যিক ক্লোজ সোর্স সফটওয়্যার ‘বিজয়’ এর স্বত্বাধিকারী এবং ‘আনন্দ কম্পিউটার্স’ এর প্রধান নির্বাহী মোস্তাফা জব্বার ৪ঠা এপ্রিল ২০১০ তারিখে দৈনিক জনকন্ঠের একটি নিবন্ধে অভ্রর দিকে ইঙ্গিত করে দাবী করেন যে- হ্যাকাররা তার ‘বিজয়’ সফটওয়্যারটি চুরি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি অভ্র কীবোর্ডকে পাইরেটেড সফটওয়্যার হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে ইউএনডিপি হ্যাকারদের সহযোগিতা করেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে ইউএনডিপি-র প্ররোচনাতেই জাতীয় তথ্যভান্ডার তৈরির কাজে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অভ্র কীবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে। মেহেদী হাসান খান জানান যে ক্লোজড সোর্স প্রোগ্রাম হ্যাক করা সম্ভব নয় বিধায় বিজয়ের সিস্টেম হ্যাক করা সম্ভব নয়। অপরদিকে, অভ্র'র পক্ষ থেকে মেহদী হাসান খান সকল নালিশ অস্বীকার করেন এবং অভিযোগ করেন যে, জব্বার বিভিন্ন পর্যায়ে ও গণমাধ্যমে তাদেরকে চোর বলেন এবং তাদের প্রতিবাদ সেখানে উপেক্ষিত হয়। কম্পিউটারে বাংলা নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের জন্য উকিল নোটিশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দিয়ে আক্রমণের হুমকি উপেক্ষা করে কাজ করা স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা। তিনি আরো বলেন যে নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রকল্পে বাণিজ্যিক বিজয় এর পরিবর্তে বিনামূল্যের অভ্র ব্যবহার করাতে প্রায় ৫ কোটি টাকা লোকসান হওয়ায় জব্বার এমন অভিযোগ করেছেন।  সে অভিযোগ অতটাও গুরুত্ব পেল না ।
কিন্তু পরবর্তীতে আবার  , অভ্র ৪.৫.১ সফটওয়্যারের সাথে ইউনিবিজয় নামে একটি কীবোর্ড লেয়াউট সরবরাহ করা হয়। এই ইউনিবজয় কীবোর্ড লেয়াউট প্যাটেন্টকৃত বিজয় কীবোর্ড লেয়াউটের নকল দাবী করে মোস্তফা জব্বার কপিরাইট অফিসে কপিরাইট আইন ভঙ্গের জন্য মেহেদী হাসান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর ভিত্তিতে কপিরাইট অফিস খানকে কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠায়  পরবর্তীতে ১৬ জুন ২০১০ তারিখে ঢাকার আগারগাঁও এ অবস্থিত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অফিসে অনেক তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মেহদী হাসান খান ও মোস্তফা জব্বারের মধ্যে একটি সমঝোতা হয় এই মর্মে, ২০ আগস্ট, ২০১০ এর মধ্যে, অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যার থেকে ইউনিবিজয় লেআউট সরিয়ে নেওয়া হবে এবং কপিরাইট অফিস থেকে মেহদী হাসান খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সেই চুক্তি অণুযায়ী, অভ্রর ৪.৫.৩ সংস্করণ থেকে ইউনিবিজয় কীবোর্ড বাদ দেওয়া হয়। তিনি অভ্র কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান।

তবে যাই হোক এটি অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই যে আজ অভ্রের জন্যই  অসংখ্য মানুষ কম্পিউটার বা মোবাইলে বাংলায় তাদের মনের ভাব প্রকাশ করছে ।  অভ্রের স্লোগান হল ভাষা হোক উন্মুক্ত ।  তারা তাদের মুল লক্ষ্যে সামনে এগিয়ে যাক , আর শেষ করছি
মেহেদি হাসান খানের কোন এক স্বাক্ষাৎকারে দেয়া একটি চমৎকার উক্তি দিয়ে " আমি এখন আর অসাধারণ মানুষে বিশ্বাস করি না। বরং আমি সে সব সাধারণ মানুষে বিশ্বাস করি যারা বেপরোয়া হয়ে অসাধারণ সব কাজ করছেন "


কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইসের মধ্যে কি বোর্ড অন্যতম , এই কি বোর্ড দিয়েই কম্পিউটারে লেখার কাজ সম্পাদনা করা হয় । যদিও শুরুর দিকে শুধু ইংরেজি কী বোর্ড ছিল কিন্তু পরবর্তীতে  বিভিন্ন ভাষায় লেখার জন্য সফটওয়্যার ও লে আউট ব্যাবহার করে তৈরী হয়েছে হরেক রকমের কি বোর্ড ।  বাংলা কি বোর্ডের রয়েছে একটি ইতিহাস , খুব বেশিদিন হয়নি যখন বাংলা কী বোর্ড  চালু হল , আজ মানুষের হাতে হাতে ডিজিটাল ডিভাইস , সব যায়গায় মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করছে বাংলা ভাষা দিয়ে , বাংলা কী বোর্ডের ঘটনা জানতে পিছিয়ে যেতে হবে সেই ১৯৬৫ সালে।
বাংলা কি-বোর্ডর ধারণাটা প্রথম প্রয়োগ করেন শহীদ মুনীর চৌধুরী ,তার ‘মুনীর’ কি-বোর্ডর মাধ্যমে । টি ছিলো টাইপ রাইটারের জন্য তৈরী করা একটি QWERTY কি-বোর্ড লেআউট। এটিই বাংলা ভাষায় প্রথম লেআউট।  টাইপ রাইটারে  জনপ্রিয়তা পেল লে আউটটি ।

পরবর্তীতে যখন কম্পিউটার এল তখন থেকেই বাংলা অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা হল , লে আউট তো রেডি  এবার সাথে প্রয়োজন সফটওয়্যার বা মূল প্রোগ্রামিং যা  কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রুপান্তর করবে এবং ‘ফন্ট’ যা  কম্পিউটারের মনিটরে দেখাবে। 
তখন বেক্সিমকো কম্পানী দ্রুততার সাথে প্রশার লাভ করছিল , কোম্পানীর কাজের জন্যই তখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কম্পিউটার নিয়ে আসা হল, সে সময় বেক্সিমকোতে যন্ত্র প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন  সাইফ শহীদ নামের একজন প্রকৌশলী , যার উপর এই কম্পিউটারের দায়িত্ব পড়ল । কম্পিউটার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তার মাথায় প্রথম বাংলায়  কম্পিউটারে লেখার চিন্তা আসে , মুনীর কিবোর্ড যথেষ্ট জটিল ছিল বলে তিনি নিজেই একটি লে আউট তৈরী করলেন ।  নাম দিলেন  'শহীদ লিপি' যদিও অনেকের ধারনা উনি নিজের নামের সাথে মিল রেখে নাম করন করেছেন কিন্তু এই নাম করণের পেছনের ইতিহাসটা তিনি বর্ণনা করেছেন এভাবে, “১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯- এ চার বছর যখন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- তখন প্রতিটি শহীদ দিবসে শহীদ মিনারে যেতাম প্রভাব ফেরীতে যোগ দিতে। শেষের বছরগুলিতে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হবার কারনে আরও ব্যস্তায় কাটতো ঐ দিনটি। ফলে ১৯৮৫ সালে যখন লন্ডন থেকে কমিউপউটারে প্রথম বাংলায় চিঠি লিখে পাঠালাম ঢাকাতে আমার মাকে, তখন একটা নামই শুধু মনে এসছিল- তাই এ প্রচেষ্টার নামকরণ করলাম, “শহীদলিপি”। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ পাক্কা দুই বছর কয়েকজন সহকর্মী মিলে তৈরী করেন লে আউট ও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার , প্রথমে এপলের ম্যাকিন্টশ এর জন্য কাজ করলেও পরবর্তীতে উইন্ডোজের ভার্শন ও তৈরী করেন তারা । তখন কম্পিউটারের দাম সাধ্যের বাইড়ে থাকায় এটি কোন ব্যাবসায়িক প্রযেক্ট ছিল না । কিন্তু যত  জায়গায় বাংলা ব্যাবহার হয়েছে তখন সব জায়গায়ই শহীদ কী বোর্ড  ব্যাবহৃত হত। 
শহীদ কীবোর্ড বাংলায় কম্পিউটারের সুচনা ঘটিয়ে ছিল ঠিকই কিন্তু এতে বিপ্লব এনেছিল বিজয় কিবোর্ড , মোস্তফা জব্বার ছিলেন পেশায় একজন সাংবাদিক , প্রিন্টিং কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তিনি দেখতে পান ছোট পার্সোনাল কম্পিউটারেই মানুষ প্রিন্টার সংযোগ করে প্রিন্ট করছে ,
দেশে ফেরার সময় সাথে করে একটি প্রিন্টার ও একটী পার্সোনাল কম্পিউটার নিয়ে আসেন তিনি । মুনির কীবোর্ড ও শহীদ কী বোর্ড থাকলেও সেগুলো পার্সোনাল কম্পিউটারের উপযোগি ছিল না ।  নিজের প্রচেষ্টা ও বিভিন্ন জনের সহায়তায়  তৈরী করেন বিজয় নামের সফটওয়্যার , 
ম্যাকেন্টশের জন্য প্রথম বিজয় করা হলেও তা পরে উইন্ডজের জন্য করা হয়েছিল এবং উইন্ডোজ পিসি তেই সবচেয়ে বেশী ব্যাবহৃত হয়েছিল । বিজয় হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাবসাসফল সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে অন্যতম । বিজয় প্রকাশের পর পরই শুরু হল প্রিন্টিং জগতের নতুন পথচলা । 
পুরাতন গদবাধা নিয়ম ছেড়ে সকল প্রেসেই কম্পিউটার ও বিজয় ব্যাবহার করা শুরু হল ।

কম্পিউটার জগতে বাংলা কিবোর্ড বিপ্লবের হল শুভ সূচনা ।


চাঁদে অভিজানে সফলতার পর থেকেই মানুষের আকাঙ্ক্ষা আরো বেড়ে যায় । নতুন  লক্ষ্য হিসেবে উপস্থিত হয় মংগল গ্রহ ।পৃথিবীর নিকটবর্তী হওয়ায় এই গ্রহ নিয়েই সবচেয়ে বেশী আগ্রহ মানুষের ,
১৯৬৫ সালে মেরিনার ৪ নামের মহাকাশযান সর্বপ্রথম মঙ্গল অভিজানে যায় । এই অভিযান থেকেই শুরু হয় মঙ্গল সম্পর্কে বিভিন্ন ধারনা , মঙ্গলে পানির অস্ত্বিত্ব , প্রানের অস্তিত্ব  ইত্যাদি ।  মঙ্গল অভিযানের সবচেয়ে সফল  অভিযানটি হচ্ছে করছে  নভোযান কিউরিওসিটি , এটি নাসার মঙ্গলে  পাঠানো ৭ম  নভোযান । মঙ্গলে অবতরনের অল্প সময় পরই কাজে লেগে পড়ে রোবটটি ।



 ২০১১ সালের ২৬ শে নভেম্বর যাত্রা শুরু করা  কিউরিসিটি প্রায়  ২৪৯,২২৮,৭৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে  মঙ্গলে পৌছায় , এতে সময় লেগেছিল প্রায় ৮ মাস ।  বিজ্ঞানীরা এই অভিযান নিয়ে ছিল চরম উৎকন্ঠায়। অভিযান শুরু থেকে মাটিতে কিউরিওসিটির অবতরন  ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে শ্বাস্রুদ্ধকর মুহুর্ত । মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে প্রবেশের সময়  প্রায় ১২০০০  মাইল প্রতি ঘন্টা  বেগে প্রবেশ করে এবং অবতরনের সময় এর বেগ ছিল ২  মাইল প্রতি ঘন্টা  । 


কিউরিওসিটি রোবট সম্পর্কে আরো কিছু কথাঃ 

তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য রোবট থেকে এর দক্ষতা বেশী ছিল ।  দৈর্ঘে প্রায় ১০ ফুট এবং চওড়ায় প্রায় ৭ ফুট আকৃতির এই রোবটের ভর ছিল ৯০০ কেজি । RTG টেকনলজিতে  শক্তি উৎপাদন করত রোবটটি । RTG হল এক প্রকার ইলেক্ট্রিক জেনারেটর যা তেজষ্ক্রিয় ক্ষয় ব্যাবহার করে । কিউরিওসিটি এমন ভাবে তৈরী করা যে এটি চলার সময় প্রায়  ৩০ ইঞ্চি উচ্চতার বাধাও  অতিক্রম করতে পারে, গতির হিসেবে নেহায়েত কম যায় না রোবটটি , সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ কিলোমিটার প্রতিঘন্টায় । মঙ্গলের তাপমাত্রা হুটহাট করে উঠানামা করে , ৩০ থেকে ১২৭ ডিগ্রি পর্যন্ত রেকর্ড তাপমাত্রা থেকে বাচতে এই রোবটের ছিল নিজস্ব তাপ নিয়ন্ত্রন প্রযুক্তি । এতে ব্যাবহার হয়েছে ১৭ টি ক্যামেরা  । যাতে  মাইক্রোস্কোপিক থেকে শুরু করে দীর্ঘ জিনিসের ছবিও অনায়াসে তোলা যাবে, আবহাওয়া স্টেশন , পাওয়ার ড্রিল , এক্স রে , লেজার মেশিন কি নেই এতে । এটি মঙ্গলে পাঠানো সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল কারন এর ওজন ছিল পূর্বের সব রোবট থেকে বেশী।

যা যা করবে এই রোবটঃ 

ভুমির উপাদান বিশ্লেষণ , প্রানের অস্তিত্ব খোজা , মাটির নমুনা , কার্বন চক্র ও বিভিন্ন গ্যাস সনাক্ত করন , পানির উপস্থিতি , ৪ বিলিয়ন বছর পর্যন্ত বিভিন্ন  ধাপে মঙ্গলের আবহাওয়া নির্নয় , মঙ্গলের জ্বালামুখ গেইল সম্পর্কে তথ্য নির্ণয়   ইত্যাদি 

সফলতাঃ

এই রোবট টি মহাকাশযান দ্বারা পাঠানো সফল রোবট গুলোর মধ্যে অন্যতম ,   ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের এই রোবটটি  এর মধ্যেই অসংখ্য ছবি ,  তথ্য , রিপোর্ট পৃথিবীতে পাঠিয়েছে , পানির অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে , বিভিন্ন ধরনের নতুন পাথর শিলা  প্রবাহমান নদিপথের  অস্তিত্বের প্রমান পাওয়া গেছে যার মাধ্যমে একসময় মঙ্গলে পানির প্রাচুর্যতা অনুধাবন করা হয় 
এটির মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে  অনেক কিছুই বিশ্ববাসী জানতে পেরেছে । 


বর্তমানে যানটি তার প্রথম বৈজ্ঞানিক গন্তব্য গ্লেনেগ্লে তে রয়েছে ।  নীচে কিউরিওসিটির পাঠানো কিছু ছবি দেয়া হল ঃ