Showing posts with label সফলতার গল্প. Show all posts
Showing posts with label সফলতার গল্প. Show all posts

জেএসসি ও এসএসসি কোনোটাতেই জিপিএ ৫ জোটেনি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আহমেদ নাফিস ফারহানের। তবে থামেনি তার বিজয় রথ। বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তাকে এনে দিয়েছে দেশি-বিদেশি অনেক পুরস্কার। 

আগামী ডিসেম্বরেই নেদারল্যান্ডসে হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড। বাংলাদেশ দলে নাফিসও আছে। গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় হয়ে যাওয়া এ উৎসবেও সে গিয়েছিল। বাকি পাঁচজনের মতো সে-ও এনেছিল ব্রোঞ্জ পদক।
বড় হয়ে অনেকেই হতে চায় মা-বাবার মতো। নাফিসও ব্যতিক্রম নয়। ছোটবেলা থেকেই কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় প্রকৌশলী বাবার কাজকর্ম। বাবার অফিসে নানা যন্ত্রপাতি দেখে অবাক হতো। তখনই যন্ত্রের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। ফেলে দেওয়া এটা-ওটা দিয়ে বানিয়ে ফেলত মজার কিছু। সিনেমায় তার প্রিয় চরিত্র আয়রনম্যান।
হতে চায় টনি স্টার্কের মতোই। আপাতত হাতের ইশারায় বাতি অন-অফ করতে নিজের মতো করে একটা নকশা সে বানিয়েছে। এটা বানাতে নাফিস ব্যবহার করেছে এইচসি-এসআর০৪ ও এমএইচ-বি সেন্সর। মাদারবোর্ড হিসেবে আছে আরদুইনো-ইউএনও। প্রথমে ‘সোনার’ সেন্সর দুটি ব্যবহারকারীর হাতের অবস্থান বের করবে। সেন্সরগুলো একটি তরঙ্গ পাঠাতে থাকবে হাতে। সেটা আবার প্রতিধ্বনি তৈরি করে। এই প্রতিধ্বনির সময়ের ওপর নির্ভর করে তৈরি হয় নানা প্যাটার্ন তথা বিন্যাস। একেক প্যাটার্নের সঙ্গে মিল করে দেওয়া যায় একেক কমান্ড। এভাবেই মোশন সেন্সর কাস্টমাইজেশন করেছে নাফিস। এটা নিয়ে পরে আরো বড় কিছু করার ইচ্ছা আছে ওর।

ফটোগ্রাফিও তার বড় শখ। আর এর জন্য ক্যামরার খুঁটিনাটিও তার নখদর্পণে। যান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্যামেরায় এমন এক সিস্টেম সেট করেছে, যা দিয়ে নির্দিষ্ট সময় বিরতিতে দীর্ঘ সময় ছবি তুলতে পারা যায়। এটা ক্যামেরার প্রচলিত টাইমল্যাপস মোডের একটি কাস্টমাইজেশন রূপ। জেস্টার কন্ট্রোলারের মতো এতেও একই ধরনের সেন্সর ও বোর্ড ব্যবহার করেছে নাফিস। নাফিস জানাল, ‘প্রথমে একটি আইআর রিসিভার ব্যবহার করে ক্যামেরা রিমোটের সিগনাল ডিকোড করি। তারপর রিমোটের শাটার ক্লিকের কোডটাকে বদলে দিই। এতে ওই সিগনাল নির্দিষ্ট সময় পর পর ব্রডকাস্ট হয়। তারপর হার্ডওয়্যারে নতুন অ্যালগরিদম আপলোড করলেই কাজ হয়ে যায়। ’
নাফিস ও তার কাজ নিয়ে তার স্কুলের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এখন ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বানায়। অনেকে আবার হুবহু কপি করে। তবে কেউ আছে একটা কিছু দেখে পরে নিজের মতো করে কিছু বানিয়ে ফেলছে। তবে নাফিসের প্রজেক্টগুলো আলাদা। আমার মনে হয় না, ওর মতো করে কেউ এগুলো আগে করতে পেরেছে। ’
থ্রিডি মডেলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে নাফিসের বানানো গাড়ির নকশা

নাফিসের একাডেমিক ফলাফল নিয়ে বললেন, ‘বাইরের অনেক বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও দেখা যায়, শিক্ষার্থী নির্বাচন করে নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীর দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে। আমি মনে করি না, ওর জিপিএ পাঁচহীন ফল তার ক্যারিয়ারে কোনো প্রভাব ফেলবে। ’
এদিকে গাড়িও ভালো লাগে নাফিসের। নিজের মতো করে গাড়ির নকশাও করে অবসরে। গণিতেও দখল তার। বাংলাদেশ ম্যাথ অলম্পিয়াড ২০১৫ ও ২০১৭-তে চট্টগ্রাম বিভাগে প্রথম রানার্স-আপ সে। কাঁচা নয় পদার্থবিজ্ঞানেও। বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড ২০১৫-তে সে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম ও জাতীয় পর্যায়ে অষ্টম হয়েছে। বাদ যায়নি জ্যোতির্বিজ্ঞান। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমি ও অ্যাস্ট্রোফিজিকস অলিম্পিয়াড ২০১৭-তেও প্রথম ১০ জনে ছিল তার নাম। প্রগ্রামিংয়েও সব্যসাচী। জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়সহ প্রগ্রামিংয়ে রয়েছে সাতটি পুরস্কার। পাকা হাত আঁকাআঁকিতেও। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বর্ণমেলায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিল।
খেলাধুলায় প্রিয় দাবা। ২০১৫ সালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ইনডোর গেমসে দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয় সে। সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল।
ডিসেম্বরের জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি নিয়ে নাফিস জানাল, ‘গতবারের চেয়ে এবারের প্রস্তুতি ভালো। চেষ্টা করব দেশের জন্য ভালো কিছু করার। ’
নাফিসের পছন্দের বিষয় তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান। এ নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন তার। নাফিস জানায়, সবার মতো হয়তো তার মা-বাবাও চেয়েছিলেন তাঁদের ছেলে যেন গোল্ডেন ‘এ’ প্লাস পায়। কিন্তু একাডেমিক ফলের ক্ষেত্রে স্রোতের বিপরীতে চলা নাফিস তা পায়নি। এ নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথাও তার নেই। তার বাকি সব অর্জনে মা-বাবা দারুণ খুশি।  
গুগলের সিইওর বেতন বলে কথা!
গত বছরে কত টাকা বেতন পেয়েছেন তিনি? সবার জানার আগ্রহ থাকতেই পারে। তাঁর বেতনটা আকর্ষণীয় ও চোখ-ধাঁধানো, তাতে সন্দেহ নেই।গত বছরে তিনি পেয়েছেন ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। তবে পুরোটা কিন্তু নগদ অর্থে বেতন হিসেবে পাননি পিচাই। এর মধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বেতন আর বাকিটা শেয়ার হিসেবে তাঁর নামে জমা হয়েছে।এদিক থেকে হিসাব করলে বেতন হিসেবে ২০১৫ সালের চেয়ে তাঁর বেতন কিছুটা কমেছে। ২০১৫ সালে ৬ লাখ ৫২ হাজার মার্কিন ডলার বেতন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৫ সালে স্টক অব শেয়ার হিসেবে তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৯৯ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৬ সালে এসে বেড়ে ১৯৮ দশমিক ৭ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে।

২০১৫ সালের আগস্ট মাসে গুগলের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর পিচাই।
গত দেড় বছরের মধ্যে গুগলের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সফলভাবে সামলানোর পাশাপাশি নতুন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন পিচাই। তাঁর নতুন পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেছে গুগলের বেতন-সংক্রান্ত কমিটি। গুগলের প্রধান নির্বাহী ল্যারি পেজ অ্যালফাবেট নামের প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসার নতুন লক্ষ্য নির্ধারণে কাজ করেছেন। শুধু গুগলের দায়িত্ব রয়েছে পিচাইয়ের কাঁধে। তবে ইউটিউবের বিজ্ঞাপনী আয় বাড়ানো, ক্লাউড কম্পিউটিং, মুঠোফোনসহ নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন পিচাই। এসব উদ্যোগ থেকে আয় করতে শুরু করেছে গুগল। তারই প্রতিফলন ঘটেছে সুন্দর পিচাইয়ের বেতনে।
গত বছরে গুগলের হার্ডওয়্যার ও ক্লাউড ব্যবসা ৫০ শতাংশ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
মন এক দৈত্য, যাকে ছাড়া আজকের দিনে আমরা অচল
সময় যত এগোবে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির স্নেহচ্ছায়া আরওই বেশি-বেশি করে এসে পড়বে বলেই আশা। প্রযুক্তিকে উপকারী, আরও উপকারী করে তোলার এই কাজ বিশ্বজুড়ে হাতে গোনা যে তুখোড় মস্তিষ্করা চলেছেন অনলসভাবে, গর্বের সঙ্গে বলা যায়, তাদের অনেকেই ভারতীয়। বিশ্বাস না হলে একটা লিস্টি দেখি? ইন্দ্রা নুয়ি (PEPSICO), সত্য নাদেল্লা (MICROSOFT), রাজীব সুরি (NOKIA), শান্তনু নারায়ণ (ADOBE), রাকেশ কপূর(RECKITT BENCKISER), অজয়পালসিংহ বঙ্গা (MASTERCARD), সঞ্জয় মেহরোত্র (SANDISK),ফ্রান্সিসকো ডিসুজা (COGNIZANT)। এই মানুষগুলোর প্রত্যেকে ওই কোম্পানিগুলোর হর্তাকর্তা,এবং প্রত্যেকেই ভারতীয়। এই তালিকায় এক্কেবারে টাটকা সংযোজন চেন্নাইয়ের PICHAI SUNDARARAJAN।

সুন্দর সম্পর্কে সুন্দর তথ্য

১. সুন্দরের সিইও হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে গুগল চলে এসেছে ‘ALPHABET’ নামের বড়দা কোম্পানি ছাতার তলায়। গুগলের প্রতিষ্ঠাতা LARRY PAGE ও SERGEY BRIN থাকছেন অ্যালফাবেটের দায়িত্বে। অধীনস্থ গুগলের দায়িত্বে রইলেন সুন্দর।
২. তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে সুন্দরের জন্ম ১৯৭২ সালে। ভীষণ সাধারণ পরিবারের সন্তান সুন্দর ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। সাতের দশকের ভারতের সেই সাধারণ পরিবারের অসাধারণ ছেলেটির আনুমানিক সম্পত্তির পরিমাণ আজ প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার!
৩. সহকর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়, গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেই নাকি পায়চারি করতে থাকেন সুন্দর। ঘরভর্তি লোক,মিটিং চলছে, এদিকে চিন্তিত মুখে ঘরের মধ্যেই পায়চারি করে বেড়াচ্ছেন সুন্দর, এই দৃশ্য আচমকা দেখতে পেলে তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।
৪. সুন্দরের বাবা ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনবছর টাকা জমিয়ে তবে তিনি কিনতে পেরেছিলেন একটি স্কুটার। অর্থকষ্ট থাকলেও সুন্দর ও তাঁর ভাইয়ের লেখাপড়ার ব্যবস্থায় কিন্তু কোনওদিন কোনও অভাব হতে দেননি সিনিয়র সুন্দররাজন।
৫. বাবার কাছেই ছোটবেলায় সুন্দর শুনতেন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কী-কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।সেই শুনতে-শুনতেই নাকি প্রযুক্তির প্রতি সুন্দরের আগ্রহের জন্ম।
৬. নিজের হাইস্কুলে সুন্দর ছিলেন ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন। সেখান থেকে KHARAGPUR IIT-তে বিটেক, তারপর STANFORD UNIVERSITY থেকে এমএস, এবং অবশেষে Wharton School of the University of Pennsylvania থেকে এমবিএ।
৭. আইআইটি থেকে যখন স্ট্যানফোর্ডে যাচ্ছেন সুন্দর, তাঁর বাবাকে নিজের সেভিংস থেকে যে পরিমাণ টাকা বের করতে হয়েছিল, তা ছিল তাঁর পুরো একবছরের রোজগারের সমতুল্য।
৮. গুগলে যোগ দেওয়ার আগে সুন্দর ছিলেন McKinsey & Company-র ম্যানেজমেন্ট কনসালটিংয়ে।
৯. পিচাই গুগ্লে কাজ করছেন সেই ২০০৪ সালে। গোড়ায় তাঁর দায়িত্বে ছিল GOOGLE CHROME ও ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট। সেইসঙ্গে GOOGLE DRIVE-এর সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে GMAIL ও GOOGLE MAP দেখভালের দায়িত্বও বর্তায় তাঁর উপরেই।
১০. ২০১১-য় TWITTER সুন্দরকে মোটা টাকা অফার করে, google ছেড়ে টুইটারে যোগ দেওয়ার জন্য। সুন্দর সেই আহ্বানে সাড়া দেননি। গুগলও সেসময় তাঁর পারিশ্রমিক বাড়িয়ে তাঁকে আটকে রাখতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি। বড়-বড় কোম্পানি যাকে নিয়ে এমন কামড়াকামড়ি করে মরে, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫০ মিলিয়ন ডলার হবে না তো কার হবে?
বিজ্ঞানী  ও সাধারন মানুষদের মধ্যে একটি বিশেষ পার্থক্য  হল তাদের ধৈর্য্য ও চিন্তা ,  বিজ্ঞানের বহু আবিষ্কারের পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানীদের  দীর্ঘ  সময়ের গবেষনা । কেও হয়ত কোন জিনিস নিয়ে  গবেষনায় ছিল মাসের পর মাস , কেও আবার ছিল বছরের পর বছর ,  এখন বলব পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ একটি পরীক্ষার কথা , যা ১৯৩০ সালে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে ।

হয়ত  শুনতে  আজব লাগতে পারে ,  তবে আরো আজব করার মত জিনিস হল পরীক্ষাটি , আলকাতরার সান্দ্রতা (Viscosity) পরীক্ষা , পুস্তকীয় ভাষায় সান্দ্রতা বলতে বুঝায় তরল পদার্থের অভ্যন্তরীণ ঘর্ষণের ফলে প্রবাহে (বয়ে যেতে) বাধা দেবার প্রবণতাকে ।  

একটি কাচের ফানেলে আলকাতরা  দিয়ে কতক্ষনে তার ফোটা পড়ে এটি পরীক্ষা করাই ছিল মূল উদ্দ্যেশ্য।  ১৯৩০ সালে প্রফেসর থমাস পারনেলের হাত ধরে এই  পরীক্ষার সূচনা ঘটে , সর্বশেষ উত্তরসুরী হিসেবে এই পরীক্ষা পর্যবেক্ষন করেন প্রফেসর জন মেইনস্টোন ।  ১৯৩০ সালে শুরু  হয়ে প্রতি ৮ বছরে ১ টি ফোটা পরত  কিন্তু একটু দেরীতে  ১৯৮৮ সালে এর সপ্তম ফোটা টি  পড়ে , দেরী হওয়ার কারন হিসেবে ল্যাবের এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমকে দায়ী করা হয়েছিল , ৮ম ফোটাটি পড়তে সময় একটু বেশী নিয়েছিল তা ছিল ২০০০ সাল। ৯ম ফোটাটি ২০১৪ সালের ১৭ ই এপ্রিল পড়ে ,   বেচে থাকতে এই পরীক্ষার শেষ দেখে যেতে পারেনি কেওই ,   পরীক্ষার শেষ গবেষক  জন মেইনস্টোন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান  আলকাতরার নবম ফোটা পড়ার  কিছু দিনের ভেতর।  এই পরীক্ষাটি  গিনেজ বুকে  the longest-running laboratory experiment  নামে  রেকর্ড করেছে।  ২০০৫ সালে এই পরীক্ষাটি IG Noble Prize পেয়েছিল  , IG noble  তারাই পায় যাদের কাজ নিয়ে মানুষ হাসবে কিন্তু এতে চিন্তা করার মত বিশেষ কিছু থাকবে ।
  যাকে বলা  হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সফল অ্যানিমেটর । প্রথম কম্পিউটার এনিমেটেড
 ফিল্ম “টয় স্টোরি” শুরু হয় যার হাত ধরে। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন  আমি পিক্সার কোম্পানির নাম বলছি । 

আজকে আমরা তার সম্পর্কে কিছু তথ্য জানবো 

পৃথিবীর সর্বকালের সেরা উদ্যোক্তাদের তালিকায় স্টিভ জবসের নামটি একদম প্রথম দিকে থাকবে। তথ্য-প্রযুক্তি বিপ্লবের একজন স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে তাঁর অবদান বিশ্ববাসী শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে সবসময়।


১। স্টিভ জবসের মূল বাবা ও মা ছিল যথাক্রমে সিরিয় ও মার্কিন। জন্মের পরপরই তাকে দত্তক দিয়ে দেওয়া হয়।
২। জবসের পালিত বাবা ও মায়ের নাম পল জবস ও ক্লারা জবস।
৩। অ্যাপলের সহনির্মাতা ওজনিয়াকের সাথে জবসের দেখা হয় হাইস্কুলে। ওজনিয়াকের বয়স তখন ১৮ ও জবসের ১৩।
৪। স্টিভ জবস মাছ খেলেও মাংস খেতেন না।
৫। হাই স্কুলে জবসের জিপিও ছিল মাত্র ২.৬৫।
৬। মাত্র এক সেমিস্টারের পরই তিনি কলেজের পড়াশুনা বাদ দিয়ে দেন।
৭। কলেজ ছাড়ার পর আর্থিক সঙ্কটে পড়লে তিনি সাত মাইল হেঁটে একটি মন্দিরে গিয়ে খাবার খেয়ে আসতেন।
৮। ১৯৮৬ সালে তার নিজের তৈরি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল থেকে তাকে বের হয়ে যেতে হয় কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে তিনি আবারও অ্যাপলে যোগদান করে প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচান।
৯। জবস প্রোগ্রামিং কোড জানতেন না।
১০। ২০০৩ সালে তার প্যানক্রিয়াসে ক্যানসার ধরা পড়ে। অনেকের ধরণা, সাথে সাথে অপারেশন করা হলে তিনি ২০১১ সালে মারা যেতেন না।
 স্টিভ জবসের সেই বিখ্যাত ভাষণ পার্ট- ১ পড়তে ভিসিট করুন এখানে 




হঠাৎ চিন্তা হল গুগল নিয়ে কিছু লেখি ,  ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীরা বলতে গেলে অধিকাংশই তাদের দিন শুরু করে গুগল দিয়ে ,  তো আর দেড়ি না করে গুগল নিয়েই বসে পড়লাম 
গুগলের সার্চ বক্সে সার্চ দিলাম Google 
ব্যাপারটা অনেকটা  নিজের কাছে নিজের খবর জিজ্ঞেসকরার মতই হয়ে গেল, তবে যাই হোক   গুগল নিয়ে ঘাটতে ঘাটতে বেড় করলাম অসংখ্য ঘটনা , সব হয়ত একপর্বে বলা সম্ভব হবে না , 
তো আসুন গুগলকে কিছু খুজতে না দিয়ে নিজেরাই শুরু করি  খোজাখুজি  

১৯৯৮ সালের ৪ অক্টোবর ,সকালে ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কের Susan Wojcick র গ্যারেজের দরজা খোলা হয় , সেই সাথে খুলে যায় বিশ্বের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গুগলের  পথচলা  । গ্যারেজের মালিক সুজান ছিলেন  স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির পিএইচডি প্রোগ্রাম এর; দুই জন শিক্ষার্থী ল্যারি পেইজ ও সারজে ব্রিন এর বন্ধু  ,  এই দুজনের হাত ধরেই গরে উঠেছিল গুগল ।  যাত্রা শুরুর প্রাককালে দুই বন্ধু ছাড়াও  তাদের পাশে ছিলেন সান মাইক্রো সিস্টেমের সহ প্রতিষ্ঠাতা এন্ডি বেথটোশেইম । কোম্পানী দাড়ানোর আগেই তিনি ১ লাখ ডলার দেন। পরের বছরই জুন মাসে  দুটি কোম্পানী গুগলে আড়াই কোটি ডলার বিনিয়োগ করে। 
১৯৯৮ সালে গুগলের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হলেও পরিকল্পনা  কিন্তু অনেক আগে থেকেই হয়েছে .১৯৬৬ সালেই  তারা কাজের পরিকল্পনা করে এবং সেটি অনুযায়ী এগোতে থাকে । সেই থেকেই এই দুই বন্ধুর পরিশ্রমের ফসল আজকের গুগল । গুগল শুধু মাত্র সার্চ ইঞ্জিন নয় , এটি একটি কোম্পানী , তবে সার্চইঞ্জিনই একে জনপ্রিয়তা বেশী দিয়েছে ।  গুগলের এই জনপ্রিয়তার কারন হল গুগল তাদের একটা স্পেশাল অলগরিদম (গানিতিক কার্যবিধি) ব্যবহার করে;যা ব্যবহারকারীদের সামনে অনুসন্ধান ফলাফল গুলো তুলে ধরে। যখন গুগল সাধারনভাবে এই অলগরিদম সম্পর্কে কথা বলে; তারা নির্দিষ্ঠভাবে অলগরিদমটির গোপনীয়তা রক্ষা করে। গুগল তাদের এই সার্চ ইঞ্জিন এর অলগরিদম রহস্য গোপন রাখার ফলে; অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এর তুলনায় প্রতিযোগিতামূলকভাবে শক্ত অবস্হান ধরে রাখতে পারছে। এটা গুগলকে আরো সাহায্য করে হ্যাকিং ও বাহির থেকে সিস্টেম এর অপব্যবহার রোধ করতে; কেননা ভেতরের অলগরিদম এর ঘটনা সবারই অজানা।

অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এর মতন গুগলও স্বয়ংকৃয় প্রোগ্রাম ব্যবহার করে; যা পরিচিত স্পাইডারস (spiders) ও ক্রয়লারস (crawlers) নামে।গুগল এর কাছে অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এর তুলনায় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি; ওয়েবসাইট ইনডেক্স ও কীওয়ার্ড ইনডেক্স করা রয়েছে। সেকারনে একজন সাধারন ব্যববহারকারী অন্যান্য   সার্চ  ইঞ্জিন এর তুলনায়; গুগলেই সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক ফলাফল লাভ করে। গুগল পেজ র‍্যাংক  (PageRank) নামে একটি নিজস্ব অলগরিদম ব্যবহার করে; যা বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে অটোমেটিং ক্রয়ল করে তাকে বিভিন্ন মানদন্ডে আলাদা করে।


গুগলের নাম কিন্তু  লিন্যাক্সের নামের মতই ভুলে করে হয়ে যাওয়া নাম ।  প্রথমদিকে গুগলের নাম দেয়া ছিল ব্যাকর‍্যাব । পরবর্তীতে এই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় গুগল।  আমরা অনেকেই মাঝে মাঝে google বানান ভুল করে  Googol  লিখে ফেলি , মজা ব্যাপার হচ্ছে আমাদের ভুল করা এই শব্দটি ছিল ল্যারি ও সের্গের দেয়া নাম ,  ১৯৯৭ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর ল্যারি পেইজ ও সের্গেই ব্রিন গুগল ডট কম নামে একটি ডোমেইন নিবন্ধন করেন। কিন্তু তারা যেই ডোমেইনটি নিবন্ধন করতে চেয়েছিলেন সেটি না হয়ে ভুলবশত নিবন্ধিত হয় “Google” নামে। Googol  এর মানে হচ্ছে ১ এর পরে ১০০ টি শূন্য , গানিতিক ভাষায় বলতে গেলে টেন টু দি পাওয়ার হান্ড্রেড ।  (10^100 = 10,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000, 000,000,000, 000,000,000, 000,000, 000,000,000,000,000,000,000,000,000,000,000, 000,000 )
তখন সবচেয়ে বড় হার্ডডিস্ক ড্রাইভের মেমোরি সাইজ ছিলো ৪ গিগাবাইট। তাই তারা কম দামে লেগো সেট দিয়ে বানানো একটি কেবিনেটে ১০টি হার্ড ড্রাইভের সমাবেশ ঘটান, গুগলের সার্চ ইনডেক্সের আকার ১০ কোটি গিগাবাইটেরও বেশি। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে এই তথ্য জমা রাখতে চান, তবে তাঁর এক টেরাবাইট আকারের এক লাখ হার্ডড্রাইভের দরকার হবে।


গুগলের প্রথম দিকের হোম স্ক্রিন ছিল অনেকটাই সাদামাটা এর মূল কারন ছিল উদ্ভাবকরা তখন HTML এ অতটা দক্ষ ছিলেন না ,
১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে গ্যারেজ থেকে সরে  ইউনিভার্সিটী এভিনিউ তে স্থানান্তরিত হয় গুগল । সেসময় এর কর্মচারীর সংখ্যা ছিল ৮ জন,পড়ে তা বেড়ে ৪০ হয়  , বর্তমানে প্রায় ১৬,০০০ লোকের কর্মসংস্থান জুগিয়েছে এই গুগল।

প্রতিনিয়ত গুগল তাদের সার্চ ইঞ্জিনে আনছে নতুনত্ব । এমনই একটী সংযোজন হচ্ছে ডুডল , যেকোন দেশের বিশেষ দিনে  সেই দেশের ডোমেইনেই ডুডল দেখানো হয় , আবার আন্তর্জাতিক দিবস গুগলতেও থাকে বিশেষ ডুডল।ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন মিলে ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাসে প্রথম ডুডল তৈরি করেন। ‘তাঁরা অফিসের বাইরে আছেন এবং এ সময় কারিগরি কোনো ত্রুটির সমাধান করা যাবে না’—এই বার্তা ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রথম ডুডলটি তৈরি হয়।
 ১৯৯৮ সালের ‘বার্নিং ম্যান ফেস্টিভ্যাল’-এর জন্য প্রথম ডুডলটির ডিজাইন করেন গুগলের দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রাইন। তবে বর্তমানে লোগোর ডিজাইন করার জন্য গুগলের একটি বিশেষ টিম রয়েছে, এই টিমের সদস্যদের ডাকা হয় ডুডলার নামে।

( আগামী পর্বে সমাপ্ত )