ম্যান্ডেলার আসল নাম রোলিহলাহলা দালিভুনা ম্যান্ডেলা। কালো চামড়ার মানুষের অথিকার আদায়ের জন্য ২৭ বছর জেলে কাটানো এই মহান নেতার জীবন অনেক নাটকীয়তায় মোড়া। আজ থাকছে ম্যান্ডেলার জীবন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।




  1. ম্যাণ্ডেলা ছিল তার পরিবারের প্রথম স্কুলে যাওয়া সদস্য।
  2. ম্যান্ডেলার পূর্বপুরুষরা  ছিল স্থানীয় একটি রাজ পরিবারের সদস্য।
  3. ১৯২০ সালে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর উচ্চারণের সুবিধার্থে তার নাম পরিবর্তন করে নেলসন রাখেন এক শিক্ষক।
  4. খুব অল্প বয়সে কলেজে শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কারণে তাকে বিতাড়িত করা হয়।
  5. ম্যান্ডেলা আইন বিষয়ে উইটওয়াটারস্রান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।
  6. সশস্ত্র সংগ্রাম করার জন্য তিনি ইথিওপিয়া ও মরক্কোতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।
  7. ম্যান্ডেলার প্রিয় খেলা ছিল বক্সিং।
  8. ছদ্মবেশ ধারণ করে চোখ ফাঁকি দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি খুব পারদর্শী ছিলেন।
  9. তিনি সব মিলিয়ে প্রায় ২৫০ আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।


নতুন এই মানিব্যাগের নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ভোল্টারম্যান স্মার্ট ওয়ালেট’। মানিব্যাগ চুরির ঘটনা মাঝে-মধ্যেই ঘটে থাকে। বাসে-ট্রেনে ভিড়ের মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে ঘটে এমন ঘটনা। তবে এবার আর মানিব্যাগ চুরির চিন্তা করতে হবে না। 

এমন এক আধুনিক প্রযুক্তির মানিব্যাগ আবিষ্কার করা হয়েছে, যা চুরি ঠেকানো যাবে।

তবে এবার এই মানিব্যাগেও আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। বর্তমানে মানিব্যাগে শুধু টাকায় নয়, আইডেন্টিটি কার্ড, ক্রেডিট কার্ডসহ অনেক কিছুই রাখা হয়। যে কারণে হঠাৎ করে এই মানিব্যাগটি হারিয়ে গেলে বড়ই সমস্যায় পড়তে হয়। তবে মানিব্যাগ হারানোর সেই সমস্যা দূর করতে চলেছে এটি প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটানোর কারণে এটি আর হারানোর সমস্যা থাকবে না।



 পাশাপাশি যদি মানিব্যাগে থাকবে ৫১২ এমবি রম, একটি বিল্ট-ইন ক্যামেরা এমনকি ওয়াই-ফাই হট স্পট-এর মতো আধুনিক সব প্রযুক্তিও।

ঠিক এমনই এক অভিনব স্মার্ট মানিব্যাগ তৈরি করেছে ভোল্টারম্যান ইঙ্ক নামক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ফোন চার্জ করার জন্যও 
এই মানিব্যাগ ব্যবহার করতে পারবেন। আবার যদি কখনও আপনি আপনার ফোনটি ভুলে কোথাও রেখে আসেন, তাহলে তৎক্ষণাৎ 
এই মানিব্যাগটি অ্যালার্ম হিসাবে কাজ করবে। ঠিক একইভাবে আপনার মানিব্যাগটিও যদি কোথাও ভুলে রেখে আসেন বা কেও 
পকেট হতে সরানোর চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার ফোনটি তখন অ্যালার্ম হিসেবে কাজ করবে ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে।

বিশ্বের প্রথম অভিনব এই স্মার্ট মানিব্যাগটির দাম প্যাকেজ ভেদে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮ ডলার, ১৫৭ ডলার ও ৩৬৫ ডলার।
 তবে এখন শুধুই অপেক্ষা। 
এই সম্পর্কিত তথ্য পেতে চোক রাখুন এখানে 👌
 ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এমন এক ধরণের প্রযুক্তি যার মাধ্যমে আপনি  ভার্চুয়ালভাবে এক জায়গা থেকে অন্য কোন জায়গায় চলে যেতে  পারবেন।

বাস্তবে ওই জায়গায় না গেলেও অবাস্তব কোনো মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু   বাস্তবের চেতনার উদ্যোগকারী বিজ্ঞাননির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে।




ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম। যেখানে আপনাকে ত্রিমাত্রিকভাবে চোখে ছবি পাঠাবে। চার পাশের ছবিগুলোকে বাস্তবে রূপ দিবে। এভাবে আপনি ইচ্ছা করলে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় ঘুরে আসতে পারবেন।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহার করা হয় হেড মাউন্ডেড ডিসপ্লে, ডেটা গ্লোভ, পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুইট ইত্যাদি। এসব ডিভাইস ব্যবহার করে
 আপনি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কোন ডাক্তারদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে। কম্পিউটার সিম্যুলেশন ব্যবহার করে এটি পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ এবং বিমান প্রশিক্ষণেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মাদকাসক্ত বিশেষ করে যারা হেরোইনে আসক্ত, তাদের চিকিৎসায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির ব্যবহার বেশ কার্যকর। তাদের আসক্তি দূর করতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব হাউসটনের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।



ভার্চুয়াল রিয়েলিটির বিষয়টি সাম্প্রতিক কোনো ধারণা নয়। ১৯৩০-এর দশকে ফরাসি কবি অ্যান্তনিন আর্টাউড থিয়েটারে চরিত্র ও বিষয়ের মোহগ্রস্ততা বোঝাতে শব্দটি ব্যবহার করেন। পরে ট্রেনিং সিমুলেশন ও ভিডিও গেমে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বেশি ব্যবহার হয়েছে। নব্বইয়ের  দশকে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার বিজ্ঞানীরা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি থেরাপি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন।
 এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই  ড. র‌্যালফ ল্যামসন দাবি করেন, তৃতীয় পক্ষের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে তিনি তার উচ্চতাজনিত ভীতি দূর করতে সক্ষম হয়েছেন। 

তার এ দাবির পরই এর উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিভার্সিটি অব হাউসটনের গবেষকরা মাদক  সেবনকারীদের আসক্তি নিরাময়ে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি থেরাপি (ভিআরটি) ব্যবহারের কথা জানালেন।

গবেষকরা দাবি করেছেন, হেরোইনে আসক্ত ব্যক্তিদের আসক্তি দূর করতে ভিআরটি সাহায্য করতে পারে। গবেষকরা আটটি অবলোহিত ক্যামেরা ব্যবহার করে থ্রিডি পরিবেশ তৈরি করেন, যেখানে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি মাদক গ্রহণের অনুভূতি নিতে পারে।

এই সম্পর্কিত তথ্য পেতে চোক রাখুন এখানে 



অনেক সময় আমাদের ফোন গুলো আমাদের অবর্তমানেই অনেকে ব্যাবহার করে থাকে। আবার চুরি ও হয়ে যেতে পারে আমাদের অসতর্কতার কারনে।

আজকে আপনাদের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে এসেছি যার মাধ্যমে আপনি যে কোন মোবাইলের কল লিস্ট এবং মেসেজ গুলো দেখতে পারবেন। এই পদ্ধতি গুলো ব্যাবহারের ফলে আপনার মোবাইল হারিয়ে গেলেও আপনি অন্য যে কারো মোবাইল কিংবা কম্পিউটার থেকে দেখতে পারবেন চোর আপনার মোবাইলটিতে বর্তমানে কোন সীম ব্যাবহার করছে এবং কোন নাম্বারে কথা বলছে অথবা কোথায় মেসেজ পাঠাচ্ছে।
সেই সাথে তার ফেসবুক একাউন্টের বিভিন্ন তথ্য সহ পেয়ে যাবেন। ফেসবুক হ্যাক, হ্যা...!! চোরের ফেসবুক একাউন্ট সহ হ্যাক করে ফেলতে পারবেন তার অজান্তেই। জিপিএস ট্র্যাকিং অন করলে সাথে সাথে তার বর্তমান অবস্থান সহ ও পেয়ে যাচ্ছেন।

কিভাবে কল লিস্ট আর মেসেজ পাবো? চলুন, শুরু করা যাক। 



প্রথমে চলে যান হ্যালো স্পাই এর হোমপেজে। http://hellospy.com/ এখান থেকে আপনার ফোন এন্ড্রোয়েড হয়ে থাকলে Android অথবা আইফোন হয়ে থাকলে পাশের ফিচারটিতে ক্লিক করুন।

সেখান থেকে আপনার এপসটি ডাউনলোড করে নিন। যেহেতু এটা রিমোট এপস সুতরাং গুগল প্লে থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে অনেকের ফোনে সেটাপ নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে  ফোনের সেটিং অপশনে গিয়ে এই ফিচারটি চালু করে নিন। Settings > Security > check Unknown Sources  করে নিন। পুনশ্চঃ গুগল প্লে স্টোরের এপস গুলোতেই বিভিন্ন ম্যালওয়ার থাকে। তাই Unknown Sources অপশন সর্বদা অন রাখা আরো বিপদজনক। তাই, এই এপসটি সেটাপের পরে অবশ্যই ফিচারটি বন্ধ রাখুন। আর যাদের এপসটি সাধারন ভাবেই চালু হয়ে যাবে তারা সেটিং অপশনে গিয়ে ফিচার বন্ধ করুন। 






এবার ফোনটি রিস্টার্ট করে নিন। এটা ডিফল্ট এপস হিসেবে সেটাপ হয়ে আছে। শুধুমাত্র আপনি ছাড়া কেউ চাইলেও খুঁজে বের করতে পারবে না এপসটিকে।

এপসটি চালু করতে ডায়াল করুন #8888* 




এপসটি চালু হয়ে গেলে সেখানে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিন।




এবার আপনি যে কোন মোবাইল / কম্পিউটার থেকে লগিন করলেই রিমোটলি ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এর জন্য আপনার আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করুন এই লিংক হতে, http://hellospy.com/login.aspx

 চোরের কাছে থাকলেও খুঁজে বের করা কোন সমস্যাই হবে না। আর সব চাইতে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এপস সিকিউরিটি ফিচার চালু রাখলে আপনার অনুমতি ছাড়া চোর চাইলেও রুট ব্যাতীত কিছুই করতে পারবে না।

অনেকে হয়তো রুট শব্দটি শুনে ফোন রুটের জন্য আগ্রহী হয়ে পরবেন। তার আগে জেনে নেই রুট সম্পর্কে বিস্তারিত আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী। 


রুট ব্যাপারটা আসলে কী??
রুট শব্দটি এসেছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম থেকে । লিনাক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের রুট প্রিভিলেজ বা সুপার ইউজার পারমিশন আছে তাদেরকে রুট ইউজার বলা হয় । সবচেয়ে সহজ শব্দে বলা যায় , রুট হচ্ছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক যদিও এর বাংলা অর্থ গাছের শিকড় । রুটের উপকার আর ক্ষতিকর দিক গুলো জেনে নিতে পারেন এই লিংক থেকে এন্ড্রোয়েড রুট

তো, উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে আপনি আপনার ডিভাইসের উপর যে কোন নজরদারী চালাতে পারেন। আপনার অজান্তে কে কি করছে আপনার ডিভাইস দিয়ে তা মনিটরিং করতে পারবেন। হারিয়ে গেলেও খুঁজে বের করতে পারবেন।

পুনশ্চঃ এপ্লিকেশনটি প্রথম দুইদিন ট্রায়াল এর জন্য আপনাকে সকল ফিচার দিয়েই ব্যাবহার করতে দিবে। এরপর আপনাকে শুধু মেসেজ এবং কলের ফিচারটি দিবে যা যথেষ্ট আপনার জন্যই। তবুও যদি সবার আগ্রহ দেখি তাহলে হ্যালো স্পাই কিভাবে ফ্রিতে আজীবন সব ফিচার সহ ব্যাবহার করতে পারবেন তা নিয়ে পরবর্তী পোস্ট দেওয়া হবে।

সতর্কতাঃ আমরা শুধুমাত্র জ্ঞানের উদ্যেশে এবং মোবাইল হারিয়ে গেলে যাতে খুঁজে পাওয়া যায় তার জন্যই পোষ্টটি শেয়ার করেছি। এর কোন প্রকার অসাধু ব্যাবহার গ্রহণযোগ্য নয়, এবং কেউ অসাধু ব্যাবহার করতে গিয়ে কোন ক্ষতির সম্মুখীন হলে তার দায়ভার ও ই বাংলা ডট টেক টীমের নয়।
এবং আপনার ডিভাইসটি ব্যাবহারের জন্য কারো কাছে ফেলে যাবেন না। যদি একান্তই দিতে হয় তাহলে লগ সহ সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে চেক করুন কোথাও নতুন কিছু ইন্সটল করা আছে কিনা। সন্দেহ হলে অবশ্যই কোন সাইবার বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিন।


 
সাইবার জগতে নিরাপদ থাকতে  সচেতনতাই যথেষ্ট। ডার্ক ওয়েব সহ ইন্টারনেট জগতের নানা অজানা রহস্য জানতে এই পোষ্ট গুলো পড়ে নিতে ভূলবেন না। Click here 

টিউনার - তানজিম আল ফাহিম
প্রতিষ্ঠাতা, "সাইবার ৭১"
প্রধান নির্বাহী পরিচালক, "এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি"






লিন্যাক্স নিয়ে তো অনেক কথাই বলি এটি ওপেন সোর্স , যে কেও চাইলেই নিজের মত সাজিয়ে নিতে পারে , হেন তেন ।  আবার সবাই বলি এন্ড্রয়েড  লিন্যাক্স কার্নেল বেসড অপারেটিং সিস্টেম , 

তাহলে এইটা কেন আমরা নিজেরাই পছন্দ মত  সাজাতে পারি না ।  একে নিজের পছন্দমত এডিট করতে গেলে আবার রুট করা প্রয়োজন , আবার রুট যদি করা হয় তাহলে মোবাইল কোম্পানীগুলো তাদের ওয়ারেন্টি নীতিমালা বাইড়ে বলে মোবাইল ফেরত দিয়ে দেয় । তো আসুন জেনে নেই কেন মোবাইল  কোম্পানীগুলো তাদের মোবাইলে ফ্রী অপারেটিং সিস্টেমটির রুট এক্সেস হাইড করে রেখে দেয় ,


মোবাইল কোম্পানীগুলো ইচ্ছে করেই আসলে লক করে রাখে এই ব্যাবস্থাটি , রুট ফোল্ডার/পার্টিশনে থাকা ফাইলগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর কোনো একটি দুর্ঘটনাবশতঃ মুছে গেলে আপনার পুরো ডিভাইস কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। এছাড়াও ম্যালিশিয়াস বা ক্ষতিকারক প্রোগ্রামও অনেক সময় রুট করা ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। কিন্তু লক থাকা অবস্থায় ব্যবহারকারী নিজেই রুট অ্যাক্সেস পান না, তাই অন্য প্রোগ্রামগুলোর রুট অ্যাক্সেস পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে। ইন্টারনাল ম্যামরির প্রয়োজনীয় ফাইল্গুলো খুবই দরকারী। একটি ফাইলের ক্ষতি হলেই মোবাইল কার্যক্ষমতা হারায়। কিছু কিছু কোম্পানি (যেমন সনি) নিজেদের সাইটেই ডিভাইস রুট করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের প্রণালী দিয়ে রেখেছে। তাই সাধারন ইউজাররা যাতে ভুল করে কিছু না করে এর জন্যই মুলত রুট দেয়া হয় না। 
আরেকটি কারন আছে তা হল মোবাইলের নিজস্ব থিম ইন্টারফেস।যা এক মোবাইল কে অন্য মোবাইলকে আলাদা হিসেবে তুলে ধরে , তাই তারা মোবাইলের সাথে বলতে গেলে সেই ইন্টারফেস ও আপনার কাছে বিক্রি করে 

আশা করি বুঝে গেছেন কেন কোম্পানীগুলো সহযেই ফ্রী সোর্স অপারেটিং সিস্টেম রুট পার্মিশন সহ দেয় না । 




আমাদের সকলের রুট শব্দটির সাথে পরিচয় হয়েছে গনিতের মাধ্যমে , এছাড়াও  পথ বা রাস্তা বুঝাতে রুট শব্দটি ব্যাবহার করা হয় আবার উদ্ভিদ নিয়ে পড়াশোনা করা মানুষ বলবে রুট মানে গাছের শিকড় । এর সাথে সাথে আরেকটা জিনিশ  পাইকারী হারে শোনা যায় , সেটি হল মোবাইল রুট করা ।  রুট নিয়ে বেশ কিছু কথা প্রচলিত আছে যে এন্ড্রয়েডের পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স পাওয়ার জন্য রুট করে । এই কথা শোনা মাত্রই অনেকে রুট করতে উঠে পড়ে লাগে , বরং দেখা যায় রুট করার পর থেকে মোবাইলে শ খানেক সমস্যার আগমন ঘটেছে । 

তো রুট আসলে কি ? আসুন সোজা ভাবেই  জেনে নেই । লিন্যাক্স ইউজাররা একটি শব্দের সাথে বেশ ভাল ভাবেই পরিচিত তা হল রুট ডিরেক্টরি । মোবাইলের এই রুট হল অনেকটা ওইটাই , অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক এর অনুমতি পাওয়া বলা যেতে পারে ,এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী সেই ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন।উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না । লিনাক্সেও তেমনি রুট পারমিশন প্রাপ্ত ইউজার ছাড়া সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজগুলো করা যায় না। যিনি লিনাক্স-চালিত কম্পিউটার বা সার্ভারে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন অথবা যার সব কিছু করার অনুমতি রয়েছে, তাকেই রুট ইউজার বলা হয়।  এখন প্রশ্ন আশতে পারে  এন্ড্রয়েডের কথা বলে লিন্যাক্স এর ভাষন কেন দেয়া হচ্ছে , এর জন্যই যে  অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে। যারা কম্পিউটারে লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেছেন, তারা অ্যান্ড্রয়েড রুট করার পর কম্পিউটারের মতোই ফাইল সিস্টেম (রুট পার্টিশন) দেখতে পাবেন অ্যান্ড্রয়েডে,

মানুষ কেন রুট ব্যাবহার করে ?  একেক মানুষের চাহিদা বা ইচ্ছা এক এক রকম । কেও ডেভেলপিং এর জন্য , কেও কিছু বিশেষ সুবিধার জন্য , কেও স্পেসাল কিছু এপস ইন্সটল করার জন্য , আবার কেও আরেকজনের কাছে কিছু শুনে কিছু না বুঝেও রুট করে থাকে । এর সুবিধা যেমন আছে অসুবিধাও কিন্তু কম নয় 
তো আসুন সুবিধা অসুবিধা গুলো একটউ দেখি 

সুবিধাঃ
বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, 
টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা যায় 
,স্পিড বাড়ানো কমানোর সুবিধা পাওয়া যায় যার মাধ্যমে অপ্রয়োজনী সময়ে স্পীড কমিয়ে ব্যাটারী ব্যাক আপ এর সময় বাড়ানো যায়।
মোবাইলের ভিতরের ডিজাইন সম্পুর্ন রূপে পরিবর্তন করা যায় 
অন্যদের মোবাইল থেকে সম্পূর্ন ভিন্ন ভাবে মন মত সেট করা যায় ।

অসুবিধা:
নতুন কেনা মোবাইলে কোম্পানী ওয়ারেন্টি প্রদান করে , রুট করা মোবাইলের ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি কার্যকর হয় না , 
একটু এদিক সেদিক হলে ফোন ব্রিক হয়ে যায়  অর্থাৎ কাজের অযোগ্য হয়ে যায় এক্ষেত্রে স্থায়ী বা অস্থায়ী সমস্যা হয় 
ফ্রী ভাবে প্রবেশের একটি রাস্তা তৈরী হয়ে যাওয়া যা দিয়ে ভাইরাস , ম্যালওয়্যার , স্প্যাম  প্রবেশ করে সেক্ষেত্রে এন্ড্রএডের সিকিউরিটি  কাজ করতে পারে না ,

রুট করার কিছু এপসঃ
রুট করা টা একটু ক্রিটিকাল সব  ফোন একই নিয়মে রুট করা যায় না ,  ইউটিউব বা গুগলের সাহায্য নিতে পারেন এতে , কারন মডেল ভিত্তিক রুট সিস্টেম ও আলাদা হয় । মোবাইলের এপ এবং কম্পিউটার  দিয়েই রুট করা যায়, মোবাইল এপ দিয়ে করতে গেলে  Kingroot বা Framaroot বেশ ভাল এপ , আর কম্পিউটার দিয়ে করতে চাইলে kingo root  ব্যাবহার করতে পারেন ।


রুট করার সুবিধা অসুবিধা দুটোই দেয়া হয়েছে । রুট করা বা না  করা এখন সম্পূর্ন আপনার ইচ্ছার বা প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে ।
ব্রিটিশ জুয়েলার Stuart Hughes যিনি সাধারনত বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রযুক্তি পন্যের দামী ভার্শন তৈরি করে থাকেন, এবার তৈরি করলেন একটি আইফোন ৪ যার দাম প্রায় ৮ মিলিয়ন ডলার! এই আইফোন এর পাতলা ফ্রেমে যুক্ত রয়েছে প্রায় ৫০০টি হীরা যা ১০০ ক্যারেটের বেশি। এর পেছন দিকেও রয়েছে ৫৩টি হীরা। এর মূল নেভিগেশন বাটনটি প্লাটিনামের তৈরি এবং এতে যুক্ত রয়েছে ৭.৪ ক্যারেটের একটি গোলাপী হিরা।


এর আগে তিনি তৈরি করেছিলেন হিরা এবং স্বর্ন দিয়ে বাধাঁই করা একটি ম্যাকবুক এয়ার যার মূল্য প্রায় ৩,৫৩,০০০ ডলার। এগুলো ছাড়াও ব্যাকবেরী, আইপ্যাড, নকিয়া ইত্যাদি পন্যের হীরে এবং স্বর্ন খচিত রুপ তৈরি করেছিলেন।
৮ মিলিয়ন ডলারের এই আইফোন তৈরি হবে মাত্র ২টি। আর একটি যদি আপনি কিনতে পারেন, তাহলে আপনার প্রতিদ্বন্দী থাকবে মাত্র একজন 🙂 আর কোন পার্টিতে মূল আলোচনার বিষয় থাকবেন আপনি, কারন একই ধরনের আরেকটি ফোন নিয়ে পার্টিতে অন্য কেউ থাকার আশংকা একেবারেই নেই।