ওএসআই মডেল কি?





এক কম্পিউটার আরেক কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ এর মূল উদ্দেশ্য হলো তথ্য শেয়ার করা। মনেকরি  দু্ইটি কম্পিউটার ভিন্ন স্থানে অবস্থিত এবং এই দুইটি কম্পিউটার তথ্য আদান প্রদান করতে চায়। তাহলে একটি কম্পিউটার যখন ডাটা সেন্ড করবে তখন ডাটা অনেকগুলো মিডিয়া হয়ে ডেস্টিনেশন কম্পিউটারে পেৌছাবে।সোর্স থেকে ডেস্টিনেশনে যাওয়ার সময় ডাটা যেন কোন সমস্যা না হয় মানে ত্রুটি মুক্ত ভাবে পেৌঁছাতে পারে সে জন্য কিছু রূল নির্ধারন করা আছে। এই নিয়মকানুনগুলোকেই বলা হয় প্রটোকল। আর এই প্রটোকলগুলোর সমন্বয়ে যে মডেলটি তৈরি করা হয়েছে এই মডেলটিকেই বলা হয় OSI model. এই মডেলটি নির্ধারণ করেন ISO.
ওএসআই মডেলকে সাতটি লেয়ার বা স্তরে ভাগ ভাগ করা হয়। এর স্তরসমূহ হলো :
  • এপ্লিকেশন
  • প্রেজেন্টেশন
  • সেশন
  • ট্রান্সপোর্ট
  • নেটওয়ার্ক
  • ডাটালিংক
  • ফিজিক্যাল
৭. এপ্লিকেশন লেয়ার
এটি হলো ওএসআই মডেলের সপ্তম লেয়ার। এপ্লিকেশন লেয়ার ইউজার ইন্টারফেস প্রদান করে এবং নেটওয়ার্ক ডাটা প্রসেস করে।এপ্লিকেশন লেয়ার যে কাজ গুলো করে থাকে রিসোর্স শেয়ারিং, রিমোট ফাইল একসেস, ডিরেক্টরী সার্ভিস ইত্যাদি। এপ্লিকেশন লেয়ারের কিছু প্রটোকল এর পোর্ট এড্রেস দেওয়া হলো
প্রটোকলএফটিপিটিএফটিপিটেলনেটডিএইচসিপিডিএনএসপপআইম্যাপএসএমটিপিএইচটিটিপি
পোর্ট এড্রেস২০/২১৬৯২৩৬৭/৬৮৫৩১১০১৪৩২৫৮০
পোর্ট নাম্বারগুলো মনে রাখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ সিসিএনএ পরীক্ষায় সাধারণত এ ধরনের প্রশ্ন থাকে , যেমন  এইচটিটিপি এর পোর্ট নাম্বার কত?
৬. প্রেজেন্টেশন লেয়ার
এই লেয়ার নেটওয়ার্ক সার্ভিসের জন্য ডাটা ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করে। এই লেয়ার যে কাজ গুলো করে থাকে ডাটা কনভার্শন,ডাটা কমপ্রেশন, ডিক্রিপশন ইত্যাদি। এই লেয়ারে ব্যবহিত ডাটা ফরম্যাট গুলো হলো .জেপিজি, .এমপিইজি ইত্যাদি।
৫. সেশন লেয়ার
সেশন লেয়ারের কাজ হলো উৎস এবং গন্তব্য ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা , সেই সংযোগ কন্ট্রোল করে এবং প্রয়োজন শেষে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। ডাটা পাঠানোর জন্য ৩ ধরনের কন্ট্রোল ব্যবহার করা হয় ।
  • সিম্পলেক্স : সিম্পলেক্স এ ডাটা একদিকে প্রবাহিত হয়।
  • হাফ ডুপ্লেক্স :  হাফ ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে একদিকের ডাটা প্রবাহ শেষ হলে অন্যদিকের ডাটা অন্য দিকের ডাটা প্রবাহিত হয়ে থাকে।
  • ফুল ডুপ্লেক্স : ফুল ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে একইসাথে উভয়দিকে ডাটা প্রবাহিত হতে পারে।
৪. ট্রান্সপোর্ট লেয়ার
ওএসআই মডেলের চতুর্থ লেয়ার ট্রান্সপোর্ট লেয়ার । এই লেয়ারের কাজ হলো সেশন লেয়ারের কাছ থেকে পাওয়া পাওয়া ডাটা নির্ভরযোগ্যভাবে অন্য ডিভাইসে পৌছানো নিশ্চিত করে। এই লেয়ারে ডাটা পৌছানোর জন্য দু’ধরনের ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে:
  • কানেকশন ওরিয়েন্টেড
কানেকশন ওরিয়েন্টেড এ ডাটা পাঠানোর আগে প্রেরক গ্রাহক এর সাথে একটি একুনলেজ সিগন্যাল এর মাধ্যাম কানেকশন তৈরি করে থাকে। ইহা টিসিটি এর ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।
  • কানেকশনলেস
কানেকশনলেস ওরিয়েন্টেড এ ডাটা পাঠানোর আগে প্রেরক গ্রাহক এর সাথে কোন একুনলেজ সিগন্যাল এর মাধ্যাম কানেকশন তৈরি করে থাকে না। ইহা ইউডিপি এর ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।
৩. নেটওয়ার্ক লেয়ার
নেটওয়ার্ক লেয়ারের কাজ হলো এড্রেসিং ও প্যাকেট ডেলিভারি। এই লেয়ারে ডাটা প্যাকেটে নেটওয়ার্ক এড্রেস যোগ করে এনক্যাপসুলেশনের মাধ্যমে।এই লেয়ারে রাউটার ব্যবহিত হয়ে থাকে এবং রাউটিং টেবিল তৈরি করে থাকে।
২. ডাটালিংক লেয়ার
এটি হলো ওএসআই মডেলের ২য় লেয়ার। ডাটালিংক লেয়ারের কাজ হলো ফিজিক্যাল লেয়ারের মাধ্যমে এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ডাটাগ্রামকে ক্রটিমুক্তভাবে প্রেরণ করা। এই লেয়ার দুটি ডিভাইসের মধ্যে লজিক্যাল লিংক তৈরি করে।  এই লেয়ারে ডাটাকে ফ্রেম এ পরির্বতন করে।
১. ফিজিক্যাল লেয়ার
ওএসআই মডেলের সর্ব নীচের লেয়ার হলো ফিজিক্যাল লেয়ার । এই লেয়ার ঠিক করে কোন পদ্ধতিতে এক ডিভাইসের সাথে আরেক ডিভাইসে সিগন্যাল ট্রান্সমিট হবে, ইলেকট্রিক সিগন্যাগ বা ডাটা বিট ফরম্যাট কি হবে ইত্যাদি। এই লেয়ারে ডাটা বিট টু বিট ট্রান্সফার হয়ে থাকে। এই লেয়ারে ব্যবহিত ডিভাইস গুলো হলো হাব, সুইজ ইত্যাদি।
চলুন এবার নিচের লেয়ার থেকে উপর লেয়ার পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনা করি,
ফিজিক্যাল লেয়ারে ক্যাবলের মধ্যে সিগন্যালগুলো বিট আকারে ট্রান্সফার হচ্ছে এই বিট গুলো ডাটালিংক লেয়ারে ফ্রেমে রূপান্তরিত হচ্ছে আর যেহেতু ফ্রেম গুলো রাউটারের মধ্যে দিয়ে যাবে তাই ফ্রেমগুলোকে প্যাকেট এ রূপান্তরিত হচ্ছে। এখন চলুন দেখি এই প্যাকেট গুলো কিভাবে যাবে  কানেকশন ওরিয়েন্টেড অবস্থায় নাকি কানেকশনলেস অবস্থায় এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে থাকে টান্সপোর্ট লেয়ার। টান্সপোর্ট লেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই সেগমেন্ট গুলো কোন মোড এ (সিম্পলেক্স, হাফ ডুপ্লেক্স , ফুল ডুপ্লেক্স) ট্রান্সফার হবে এই সিদ্ধান্তটি নিয়ে থাকে সেশন লেয়ার । তারপরই এই ডাটা গুলো কি ফরম্যাট এ ( .jpg, .mpeg etc) প্রেজেন্ট হবে তা নির্ধারণ করে প্রেজেন্টেশন লেয়ার। সবশেষে ইউজার এর সাথে ইন্টারফেস তৈরি করে এপ্লিকেশন লেয়ার।
অনেক সময় একটি প্রশ্ন আসে এপ্লিকেশন লেয়ার অথবা নেটওয়ার্ক লেয়ার  OSI model এর কততম লেয়ার  সহজেই মনে রাখার জন্য এই বাক্যটি মনে রাখতে পারেন।
All People Seem To Need Data Processing. এখানে
  • P= Presentation layer
  • A= Application layer
  • S= Session layer
  • T= Transport layer
  • N= Network layer
  • D= Data link layer
  • P=Physical layer

আজকের মতো তাহলে ওএসআই মডেল এখানেই শেষ করি ।আমাদের পরবর্তী লেকচার হলো TCP/IP.


প্রথম প্রকাশঃ এখানে


গেম প্রেমিদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে যদি কোন প্রতিষ্ঠানের নাম বলা হয় তো EA গেমস কোম্পানীর নাম আগে বলতে হবে , কম্পিউটার , প্লে স্টেশনে সমান ভাবে নিজেদের মর্যাদা ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি 
জনপ্রিয় রেসং গেম নিড ফর স্পিড থেকে শুরু করে ফিফার মত গেমগুলো এদেরই তৈরী 

প্রতি বছরই EA (Electronic Arts) তাদের গেমারদের জন্য উপহার দিচ্ছে দারুন দারুন সব গেমস । তাই সারা পৃথিবীতেই EA (Electronic Arts) এর সুনাম অনেক বেশি । এদের বিভিন্ন গেম একই সাথে যেমন জনপ্রিয় তেমনি গেমার দের কাছেও এসব গেমের চাহিদা অনেক বেশি ।১৯৮২ সালে ট্রিপ হকিন্স এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।কম্পিউটার গেমের নকশা, উন্নয়ন, প্রোগ্রামিং-এর ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক আর্টস একটি প্রখ্যাত কোম্পানি। ১৯৮০ এর শেষের দিকে ইএ কম্পিউটারের জন্য গেম প্রকাশ করত। ১৯৯০ এর দশকে কোম্পানিটি ভিডিও গেম নির্মাণ করা শুরু করে। ইএ পরবর্তিতে কয়েকটি সফল গেম নির্মাতা কোম্পানি অধিগ্রহণের মাধ্যমে বড় কোম্পানিতে পরীনত হয়। ২০০০ এর শুরুর দিকে ইএ পৃথিবীর অন্যতম সফল ও বড় গেম নির্মাতা কোম্পানিতে পরিণত হয়। ২০০৮ অর্থবছরে ইএ-এর  আয় ছিল ৪.০২ বিলিয়ন ডলার।  নিড ফর স্পিড, মেডেল অফ অনার, ব্যাটলফিল্ড, বার্নআউট, কমান্ড এন্ড কঙ্কার হল এর বিক্ষ্যাত গেম সমুহ ।

তবে EA এর অধিকাংশ গেম ই ক্রিড়া বিষয়ক , এবং জনপ্রিয়তায় EA এর অন্যান্য গেমের চেয়েও উপরে সেগুলো ।  এনবিএ লাইভ, ফিফা, এনএইচএল, ম্যাডেন এনএফএল, এবং নাসকার এধরনের ধারাবাহিক গেম মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে সবচেয়ে বড় গেমিং বাজার তারাই ধরে রেখেছে । ইএ স্পোর্টস ধারাবাহিকের সেরা বিক্রয় হলো ফিফা ধারাবাহিক যা ১০০ মিলিয়ন একক পর্যন্ত বিক্রিত হয়েছে।ইএ স্পোর্টসের নীতিবাক্য হলো, It's in the game। 

ইলেক্ট্রনিক আর্টস এর সদর দপ্তর হল  রেড উড সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া  এবং EA স্পোর্টস  এর সদর দপ্তর হচ্ছে  ব্রিটিশ কলম্বিয়া ,কানাডাতে । ২০০৮ এর দিকে ব্যাবসায় বড় ধরনের ধস নামলেও খুব সহজেই কাটিয়ে তুলে সেই  অবস্থা কে , পরবর্তীবছর  থেকেই তারা লাভের মুখ দেখতে থাকে ।

ই এ  তাদের গেম গুলো সাধারনত সিরিজ ভিত্তিকভাবে বেড় করে  জনপ্রিয় সিরিজ গুলো হলঃ
ব্যাটলফিল্ড সিরিজ ,বার্নআউট সিরিজ, কমান্ড এন্ড কঙ্কার ,ফিফা সিরিজ , ফাইট নাইট সিরিজ , মেডেল অফ অনার সিরিজ , নিড ফর স্পিড সিরিজ , রক ব্যান্ড সিরিজ , দ্য সিমস সিরিজ 

তাদের জনপ্রিয় গেম গুলোর পোস্টারেও কিন্তু অনেক দৃষ্টীনন্দন হয় অনেক নীচে কয়েকটি গেমের পোস্টার দেয়া হল।




 




আপনি জানেন কি ??????

১)গুগলের সার্চ ইনডেক্সের আকার ১০ কোটি গিগাবাইটেরও বেশি। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে এই তথ্য জমা রাখতে চান, তবে তাঁর এক টেরাবাইট আকারের এক লাখ হার্ডড্রাইভের দরকার হবে।

২)ফেসবুক এমন একটি ওয়েবসাইট যার নামে মানসিক রোগ এর নাম রয়েছে , Facebook Addiction Disorder (FAD) , কয়েকটি দেশে এই রোগ নিরাময়ের জন্য নিরাময় কেন্দ্র আছে।

৩)লিন্যাক্স এর উদ্ভাবক লিনুস বেনেডিক্ট ঘুরতে গিয়ে পেঙ্গুইনের ঠোকর খেয়েছিল , সেখান থেকেই সে তার লিন্যাক্স এর লোগো হিসেবে ঠিক করে ফেলেন একটি নাদুস নুদুস পেংগুইন

৪)বায়লোজির শিক্ষার্থীরা কালার ব্লাইন্ড কথাটির সাথে পরিচিত , মার্ক জাকারবার্গ ও কিন্তু কালার ব্লাইন্ড , লাল সবুজ ধরতে সমস্যা হয় , তবে নীল রঙ বেশ ভাল দেখতে পান , এজন্যই অনেক কিছু চেঞ্জ করলেও ফেসবুকের রঙ নীল সাদাই রয়ে গেছে ।

৫)গুগল ও গুগলের নামের আশপাশে থাকা অনেক ডোমেইন কিনে রেখেছে গুগল। গুগল লিখতে ভুল হলেও যে ডোমেইন নামগুলো পাওয়া যায়, তারও মালিক গুগল। যেমন গুওগল , গগল  প্রভৃতি। গুগল  ৪৬৬৪৫৩ ডোমেইনটিও নিয়ে রেখেছে।

৬)কোরীয়ান কোম্পানী স্যামসাং এর নামেটি কিন্তু কোরীয়ান ভাষাতেই আর  এর অর্থ হচ্ছে থ্রী স্টার বা তিন তারকা 

৭)স্যামসাং এর মোট কর্মী সংখ্যা ৪ লাখ ৮৯ হাজার , যা এপল, গুগল ও মাইক্রোসফট এর সম্বিলিত সংখ্যার চাইতেও বেশি।

৮)যতই দা কুমড়া সম্পর্ক থাকুক কথিত আছে যে  স্যামসাং-এর তৈরি কম্পিউটার চিপ হচ্ছে আইফোন-এর চালিকাশক্তি৷

৯)ফেসবুকের সবচেয়ে ছোট একাউন্ট ইউ আর এল বলতেপারেন জাকারবার্গের আইডি কে , ইউআরএলের শেষে /4 লিখলেই আপনি পৌঁছে যাবেন প্রোফাইলে। লিঙ্কঃ http://www.facebook.com/4

১০)ড্রপবক্সের সার্ভার এবং ডেস্কটপ সফটওয়্যার দুটোই প্রাথমিকভাবে পাইথনে প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা হয়েছিল।

১১)  প্রতি মাসে প্রায় ৫কোটি মানুষ ৩০টি ভাষায় ইয়াহু ব্যবহার করে ।

১২) প্রতিদিন ৭০ মিলিয়ন স্থিরচিত্র এবং ভিডিও শেয়ার করা হয় ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে।

১৩)টুইটারে দিনে প্রায় ৬ কোটি টুইট বা বার্তা প্রদান করা হয় 

১৪)বাচ্চাদের খেলা ডাক ডাক গুজ থেকে  সার্চ ইঞ্জিন ডাকডাকগো নামকরন করা হয়েছে 

১৫)বাংলাদেশের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে পিপিলিকা ডট কম 

১৬)বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত  মোট ৩ টি  সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে - পিপিলিকা ডট কম , খুজুন ডট কম ও চরকী ডট কম 

১৭)ডেল কোম্পানীর নাম হয়েছে তাদের ডিরেক্টর Michael Dell এর নাম অনুসারে

১৮) অন্য কোম্পানী তাদের মোটো বা স্লোগান এক রাখলেও Asus সেটি ৩ বার পরিবর্তন করেছে  ।
মোবাইল নাকি জীবাণু ছড়াচ্ছে! ইন্টারনেট, ব্লুটুথ বা কোনও ফাইল শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে নয়। হাতে হাতে। সারা দিন যে আমরামোবাইল ঘাঁটছি অজান্তেই তা থেকে সেই সব জীবাণু ছড়াচ্ছে। এমনই ৩টি নতুন জীবাণুর সন্ধান পেলেন পুণের এনসিসিএস
 (ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেল সায়েন্স)-র বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তারা আদৌ ক্ষতিকারক নয় বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের।




ইউনিভার্সিটি অব সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার মলিকিউলার মাইক্রোবাইলোজি এবং ইমিউনোলজি বিভাগের প্রফেসর উইলিয়াম 
দেপাওলো-র মতে, টয়লেট পেপারের থেকে অনেক বেশি জীবাণু থাকে মোবাইলের গায়ে। ২০১৫ সালে তাঁর একটি গবেষণা 
পত্রে দেপাওলো জানাচ্ছেন, টয়লেট পেপারে সাধারণত ৩ ধরনের ব্যাকটেরিয়া দেখা গিয়েছে। কিন্তু মোবাইলের গায়ে প্রায়  দশ-বারো ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক মিলেছে। তবে এই মোবাইলের গায়ে মিশে থাকা জীবাণুর মধ্যে নতুন দু’টি ব্যাকটেরিয়া 
এবং একটি ছত্রাককে সনাক্ত করতে পেরেছে পুণের এনসিসিএসের বিজ্ঞানীরা।


কী ভাবে ছড়ায় এ সব জীবাণু? 

বিজ্ঞানীদের দাবি, মোবাইল এমন একটা বস্তু যেটি রান্নাঘর থেকে টয়লেট পর্যন্ত আমাদের হাতে ঘোরাফেরা করে।  আর এই মোবাইলের সঙ্গে মিশে যায় আমাদের শরীরের ঘাম এবং ময়লা। যার ফলে দিব্যি খেয়ে বেঁচে পরে রয়েছে এই জীবাণুরা। 

বিজ্ঞানী জোগেস এস সাউচ এবং তাঁর দল ২৭টি মোবাইল থেকে জীবাণু সংগ্রহ করেন। এই মোবাইলগুলি থেকে ৫১৫টি ব্যাকটেরিয়া এবং ২৮টি ছত্রাকের সন্ধান পান তাঁরা। কিন্তু এ সব জীবাণু মানুষের বন্ধু বলেই মনে করছেন এনসিসিএসের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর প্রদীপ রাহি। 





তা হলে আমাদের কী উপকারে লাগে এই জীবাণু? 

রাহি বলছেন, ‘‘এই ৩ ধরনের জীবাণু ডলফিনের মতো। মানুষের কাছে থাকতে ভালবাসে। নাকের ভিতর বা রেটিনায় থাকা ধুলো-বালি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এরা।’’

মোবাইল চার্জার বা পাওয়ার ব্যাঙ্কের দিন বোধহয় অতীত হতে চলেছে। এসে গেল বিশ্বের প্রথম ব্যাটারি বিহীন মোবাইল। যা তৈরি 
করলেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। এ নিয়ে একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাতে দাবি করা হয়েছে, 





আশপাশের রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের সাহায্যেই এই মোবাইল কাজ করবে।
মোবাইলের প্রটোটাইপ তৈরি করে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি গত ১ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর 
কম্পিউটিং মেশিনারি অন ইন্টার‌্যাকটিভ, মোবাইল, ওয়্যারেবল অ্যান্ড ইউবিকুইটাস টেকনোলজিস নামক জার্নালে। তাতে জানানো হয়েছে, প্রোটোটাইপটি ব্যবহার করতে খরচ হবে মাত্র সাড়ে ৩ মাইক্রোওয়াট পাওয়ার। যার জন্য ব্যাটারির প্রয়োজন নেই। অ্যাম্বিয়েন্ট রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের মাধ্যমে সেই পাওয়ার জোগাড় করে নেবে মোবাইলটি।

গবেষক দলের একমাত্র ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী শ্যাম গোল্লাকোটা বলেন, “এই প্রথম আমরা এমন একটি মোবাইল তৈরি
 করেছি যা প্রায় জিরো-পাওয়ার ব্যবহার করে।” এতে স্কাইপ-এর সাহায্যেই কল রিসিভ বা কথাবার্তাও বলা যাবে বলে জানিয়েছেন 
তিনি।গোটা গবেষণাটি ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন-সহ গুগ্‌ল ফ্যাকাল্টি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডসের অর্থ সাহায্যে করা হয়েছে।

কিন্তু কেন এই মোবাইলে ব্যাটারির প্রয়োজন হবে না?

গবেষকেরা জানিয়েছেন, প্রচলিত ব্যাটারি নয়, এই মোবাইল চলবে আশপাশের রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের মতো অপ্রচলিত উপাদানের সাহায্যে। রেডিও সিগন্যাল থেকে শক্তি সঞ্চয় করে মোবাইলের বেস স্টেশন থেকে ৩১ ফুট দূর পর্যন্ত 
কথাবার্তা বলা যাবে। তবে যদি আলোকতরঙ্গের সাহায্যে মোবাইলটি চলে তবে তা বেস স্টেশনের ৫০ ফুট দূরের পর্যন্ত কার্যক্ষম থাকবে।




ব্যাটারি ছাড়া কী ভাবে কাজ করবে এটি?
গবেষকেরা জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে কথা বলতে হলে মাইক্রোফোনের শব্দতরঙ্গগুলি ব্যবহার করবে মোবাইল। এর পর শব্দতরঙ্গগুলিকে শ্রবণযোগ্য সাঙ্কেতিক সিগন্যালে বদলে ফেলে তার প্রতিফলন ঘটাবে তা। এর উল্টোটা হবে কল রিসিভের সময়। ফোনের স্পিকারে আসা সাঙ্কেতিক রেডিও সিগন্যালগুলিকে শব্দতরঙ্গে বদলে নেবে মোবাইলটি।



গতবারে গুগলের মজাদার কিছু সার্চের প্রথম পর্বের পর আবার এসে পড়লাম নতুন আরো মজাদার ৭ টি জিনিস নিয়ে।
এবারের জিনিস গুলো গতবারের জিনিসগুলো থেকেও আরো ইন্টারেস্টিং হবে , তো দেরী না করে শুরু  করে ফেলুন গুগল সার্চ।


১) হঠাৎ কোন মুরুব্বি বলে বসল , আরে আমাদের সময় গুগোল ছিল অন্যরকম আর এখনের গুগল অন্যরকম।  খুব ইচ্ছা হল  সেই পুরোনো গুগলের থিমটি ব্যাবহার করতে , কোন সমস্যা নেই গুগলে সার্চ দিন " google in 1998 " । সাথে সাথেই আপনার পরিচিত গুগল নস্টালজিক হয়ে ফিরে যাবে পুরাতন সেই থিমে । যারা পুরাতন গুগলের সাথে পরিচিত নন তারা একটু ঢু মেরে আসতে পারেন অতীত থেকে ।

 

২) চরম মাত্রায় স্ট্রেস এ আছেন , কোন ভাবেই স্ট্রেস কমাতে পারছেন না ? বর্তমানের তরুন সমাজের স্ট্রেস  কমানোর অদ্ভুত প্রযুক্তি কাজে লাগাতে পারেন। ফিজেট স্পিনার ঘুরাতে পারেন । ভন ভন করে ঘুরবে আর সেটির দিকে তাকিয়ে অলৌকিক ভাবে স্ট্রেস কমিয়ে ফেলুন, কিন্তু যারা আমার মত ব্যাপক অর্থসংকটে ভুগছেন টাকা দিয়ে স্পিনার কিনা সম্ভব নয় এখন, তারা এক কাজ করতে পারেন, গুগলে শুধু সার্চ দিন spinner  লেখে , গুগল আপনার সামনে স্পিনার হাজির করে দিবে , মাউস দিয়ে ঘুরাতে পারবেন স্পিনারটি , পার্থক্য শুধু একটাই  বর্তমানের ছেলেদের মত ঘুরন্ত স্পিনার এক হাত থেকে অন্য হাতে নিয়ে যাওয়ার মত এপিক কাজটি করতে পারবেন না ।

 

৩) Sonic The Hedgehog লেখে গুগলে সার্চ দিন ,  ডানদিকে বিক্ষাত গেম সনিকের কয়েকটি ছবি আসবে । ডানদিকের ছোট্ট ছবিতে ক্লিক করেই দেখুন , গেমে যেমন ৩৬০ ডিগ্রিতে ডিগবাজি দিত ভদ্রলোক এখানেও একই কাজ করবে

 

৪) গতবার বলেছিলাম do a barrel roll  এর কথা তবে এবার বলব আরেকটু এডভান্স জিনিস
সার্চবারে চুপচাপ সার্চ করুন Z or R twice । এবার দেখুন কি হয় । ভয় পাবেন না ,  সব কিছুই ঠিক আছে ।

 

৫) গতবার গুগলের ক্যালকুলেটরের কথা বলেছিলাম , অনেকের মতে গুগলে সব হিসেবেই এক্সপার্ট
এবার তারা the answer to life, the universe, and everything, লেখে সার্চ দিন
দেখুন গুগল এই হিসাব আপনাকে ক্যালকুলেটর দিয়ে করে দিবে , রেজাল্ট কি আসে দেখুন তো।

 

৬)  ধ্বংসাত্বক গুগল দেখেছেন কখোনো ? দেখতে চাইলে এখনি  সার্চ বাড়ে লেখুন Zerg rush
তারপর দেখুন লাল ও হলুদ O  কিরকম ধ্বংশলীলা চালাচ্ছে

 

৭) ক্লাসিক গেম ডিএক্স বল খেলেছেন  এমন লোক অনেক অনেক অনেক বেশি আছে। নাম শুনে আবার ও খেলতে ইচ্ছে করছে ? গুগলে সার্চ দিন atari breakout , এরপর ইমেজ অপশনে যান , আগে প্রথম ট্যাব গুগল প্লে তে ক্লিক করুন গেম শুরু হয়ে যাবে  , খেলা শুরু করে দিন

যারা প্রথম পর্বটি মিস করেছেন তারা পড়ে ফেলতে পারেন এই লিংক থেকে
http://www.ebangla.tech/2017/09/googleFun.html
আমরা অনেকেই পয়েন্ট অফ সেলস সফটওয়্যার এর সাথে পরিচিত। এটি সফল ব্যবসায়ীদের নিকট অনেক জনপ্রিয়। ৩০ বছর আগে যখন ব্যাংকিং-এ কম্পিউটারের কোন প্রয়োগ ছিল না, তখন গ্রাহকদেরকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা উঠানো বা জমা দিতে হত। 



ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ রেজিস্ট্রার বইয়ে এন্ট্রি দিয়ে চেক পাশ করতেন। তাতে সময় লাগতো অনেক বেশী। কম্পিউটারের প্রচলণের পর গ্রাহকের হিসাবে দ্রুত পোষ্টিং দেওয়া সম্ভব হওয়ায় গ্রাহকদেরকে বেশীক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হয় না। মাস বা বছর শেষে আয় ব্যয় হিসাব তৈরি গ্রাহকের জমা উত্তোলন বা মুনাফা নির্ণয় কিংবা ব্যালেন্স সীট তৈরী করা
 অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। যথাসময়ে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরী প্রায় অসম্ভব ছিল। সকল শাখার প্রতিবেদন হেড অফিসে একসাথে করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তৈরী ছিল বেশ কঠিন কাজ। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে হিসাব নিকাশের কাজ এখন খুবই সহজ হয়ে পড়েছে কারন হাতের নাগালেই রয়েছে পয়েন্ট অফ সেলস (Point Of sale) সফটওয়্যারটি।






এই পয়েন্ট অফ সেল (Point Of sale) সফটওয়্যারটিতে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে পয়েন্ট অফ সেল মডিউল সংযুক্ত করা হয়েছে। উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, খুচরা বিক্রেতা, ছোট, বড় ও মাঝারি যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সফটওয়্যারটি উপযোগী । বিশেষভাবে তৈরীকৃত এই সফট্ওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে আপনার কম্পিউটার 
দোকান, সুপার সপ, গ্রসারি সপ, ফার্নিচার, পেইস্ট্রি সপ থেকে শুরু করে যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাব রাখতে পারেন।

 আমাদের এই সফট্ওয়্যার এর বিস্তারিত বিবরণ নিছে তুলে ধরা হলঃ

Easy User Interface
Fully Secured
Stylish Outlook
Totally User-Friendly
Multi-User System
Online/Offline
Fully Desktop Based
Work Without Internet
Full Inventory System
Customer Management System
Date To Date Report Printing System
Buyer & Supplier Account Management
Build In Email & Sms Service