কম্পিউটার কী বোর্ডে বেশ কয়েক প্রকারের কী আছে।তার মধ্যে এক প্রকার হলো ফাংশন কী। যার অবস্থান কী বোর্ডের একদম উপরে।



ফাংশন কী সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হল 
F1
এই ফাংশন কি উইন্ডোজের সব জায়গায় হেল্প মেনু হিসেবে কাজ করে থাকে। আপনি যদি কোনো প্রোগ্রামে কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ কোনো অংশের কাজ না পারেন বা কোনো সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে, তাহলে F1 চাপলে সেই প্রোগ্রামের সাহায্যে পর্দায় চালু হয়ে যাবে। হেল্প দেখে সেই বিষয় শিখে নিতে পারবেন। SHIFT + F1 চাপলে সংবেদনশীল সাহায্য সেবা বিন্যাস আকারে প্রকাশ পাবে। CTRL + ALT + F1 চাপলে মাইক্রোসফট সিস্টেম তথ্য দেখা যাবে।
F2
এটি ব্যবহার করে যেকোনো ফাইল, ফোল্ডারের নাম বদলানো (রিনেম) যায়। যেকোনো ফোল্ডার নির্বাচন করে F2 চাপলে সেই ফোল্ডারের নামবদলের সুযোগ পাবেন। ওয়ার্ডে এই ফাংশন কির কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবহার রয়েছে। Alt + Ctrl + F2 চাপলে পুরোনো ডকুমেন্ট ফাইল খোলা যাবে। Ctrl + F2 চেপে প্রিন্ট নমুনা (প্রিভিউ) দেখা যাবে। ALT + SHIFT + F2 চাপলে ফাইল সেভ করা যাবে। SHIFT + F2 চেপে লেখা কপি করা যাবে। F2 কি চেপে কোনো কোনো মাদারবোর্ডের বায়োস সেটাপে ঢোকা যায়।
F3
কম্পিউটারে কাজ করার সময় কোনো তথ্য খুঁজে নিতে হলে F3 চাপতে হবে। এমএস-ডসের নির্দেশনা আবার দেখানোর কাজে F3 ব্যবহার হয়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লেখা নির্বাচন করে Shift + F3 কি চাপলে নির্বাচিত অংশের লেখা ছোট হাতের থেকে বড় হাতের লেখায় পরিণত হবে।
F4
ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার চালু করে F4 চাপলে ওয়েব ঠিকানা লেখার জায়গায় হিস্ট্রি (সাম্প্রতিক সময়ে দেখা ওয়েবসাইটের তালিকা) দেখাবে। ALT + F4 চাপলে উইন্ডোজে চালু থাকা যেকোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করা যাবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে F4 কি চাপলে সর্বশেষ কাজ পুনরায় হবে (আনডু)। SHIFT + F4 চাপলে Find or Go To কাজ করবে। CTRL + F4 চাপলে চালু থাকা ডকুমেন্টসের উইন্ডো বন্ধ হবে।
F5
এটি চাপলে চালু থাকা উইন্ডোজ রিফ্রেশ হবে। ইন্টারনেট দেখার সফটওয়্যারে F5 চাপলে ওয়েবসাইটের ওই পাতা আবার আসবে (লোড হবে)। পাওয়ার পয়েন্টে F5 চেপে স্লাইডশো দেখা যায়। ওয়ার্ডে F5 কি চাপলে Find and replace window চালু হবে। SHIFT + F5 চেপে আগের রিভিশনে ফিরে যাওয়া যায়। CTRL + SHIFT + F5 চাপলে Bookmarks সম্পাদন করা যাবে। ALT + F5 চাপলে ওয়ার্ড প্রোগ্রাম বন্ধ হবে।
F6
এই কি চাপলে কারসর ইন্টারনেট ব্রাউজারের ঠিকানা লেখার জায়গায় (অ্যাড্রেস বার) চলে যাবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে CTRL + F6 কি চাপলে চালু থাকা সব ডকুমেন্টকে পর্যায়ক্রমে দেখাবে। Ctrl + Shift + F6 চাপলে আরেকটি ওয়ার্ড ডকুমেন্ট চালু হবে।
F7
উইন্ডোজে এই কির খুব বেশি কাজ নেই। তবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে SHIFT + F7 কি চাপলে এর অভিধান থেকে সমার্থক শব্দ খুঁজে নেওয়া যাবে।
F8
উইন্ডোজ চালু হওয়ার সময় এই কি চাপলে উইন্ডোজ সেফ মুডে কাজ শুরু করবে। ওয়ার্ডে Shift + F8 চাপলে নির্বাচিত অংশকে সংকোচন করা যায়। ALT + F8 চাপলে ম্যাক্রো চালু হবে।
F9
এটি চাপলে উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারের আওয়াজ (ভলিউম) বাড়ানো যায়। ওয়ার্ডে CTRL + F9 কি চাপলে ফাঁকা ক্ষেত্র তৈরি হবে।
F10
এটি চাপলে উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ারের ভলিউম কমানো যায়। F10 চাপলে অধিকাংশ প্রোগ্রামের মেনু বার দেখায়। যেকোনো ফোল্ডার নির্বাচন করে Shift + F10 চাপলে শর্টকাট মেনু দেখাবে।
F11
যেকোনো ইন্টারনেট ওয়েব ব্রাউজারে F11 চাপলে সেটি পর্দাজুড়ে (ফুলস্ক্রিন) দেখাবে। মাইক্রোসফট এক্সেলে Shift + F11 চাপলে নতুন স্প্রেডশিট খোলা যাবে। CTRL + F11 চাপলে নতুন ম্যাক্রো ওয়ার্ডবুকে যোগ হবে।
F12
অভ্র বাংলা কি-বোর্ড বাংলা/ইংরেজি লেখা যাবে F12 কি চেপে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে Ctrl + Shift + F12 কি চেপে যেকোনো ডকুমেন্টস প্রিন্ট করা যাবে। Shift + F12 কি চাপলে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট সেভ করা যাবে।


আমাদের এই ইন্টারনেট-এর জগতে অনেক ওয়েবসাইট  আছে যেগুলোর মধ্যে এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলো খুব খারাপ এবং এই ওয়েবসাইট গুলো বাচ্চাদের পক্ষে বিশেষ করে আরও খারাপ। তাই এই সাইট গুলো ব্লক করা আমাদের পক্ষে বিশেষ দরকার। সেজন্য আমরা নানা ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি এবং আনেক সময় এগুলো আমাদের প্রয়োজন মত  কাজ করে না। আর সেই জন্য আপনি আপনার ঐ অপছন্দের সাইট গুলো ব্লক করতে পারছেন না। 




কিন্তু আমরা ওই সাইট গুলো কোনও সফটওয়্যার ছাড়াই ব্লক করতে পারি।

ব্লক করার জন্য 
প্রথমে C ড্রাইভ এ যান 
এরপর windows > system32 > drivers > etc > ফোল্ডার এ যান





সেখানে “hosts” নামে একটা ফাইল দেখতে পাবেন, এটা প্রথমে cut  করে Desktop এ paste করুন, এবার ফাইল –টির ওপরে রাইট ক্লিক করে edit এ ক্লিক করুন এটি Notepad এ খুলুন




এবার যে সাইট গুলো ব্লক করতে চান সেগুলো
# 127.0.01       localhost
# ::1                  localhost
এর নিচে এভাবে লেখুনঃ


এবার “hosts” ফাইল টি save করুন এবার ফাইলটি desktop থেকে cut করে যেখানে ছিল মানে c ড্রাইভ এ যান এরপর windows > system32 > drivers > etc > ফোল্ডার এ যান আর paste করে দিন।


ব্লক করা ওয়েবসাইট আনব্লক করবেন যেভাবেঃ
এবার যদি আপনার কম্পিউটারে কোনও সাইট ব্লক করা থাকে তা আপনি ওখানে দেখতে পারবেন, শুধু ওটা Delete করে দিন তাহলেই সাইটটি আনব্লক হয়ে যাবে।

সাইবার জগতে সচেতনতাই হোক আপনার প্রধান অস্ত্র।
যদি আর্টিকেলটি উপকারী মনে হয়ে থাকে তাহলে সবার নিকট তথ্যগুলো ছড়িয়ে দিতে ভূলবেন না। 

[ টেকহাব / ই বাংলা টেক ]





অনেক সময়ই কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের মোবাইল চার্জে থাকে বা অন্য কোথাও দূরে থাকে কিংবা কম্পিউটারে এতটা মগ্ন থাকি যে আমাদের মোবাইলের কল , মেসেজ বা অন্যান্য নোটিফিকেশন গুলো মিস হয়ে যায়।





 অনেক সময়ই অনেক গুরুত্বপূর্ন নোটিফিকেশন মিস হয়ে যাওয়ার কারনে অনেক দুঃখজনক ব্যাপার ঘটে।

 আপনার গুগল ক্রোম বা ফায়ারফক্স এ " Desktop Notification 
For Android " নামের Addon অথবা Extension টি লাগান। 

গুগোল ক্রোম এর জন্য যা করতে হবেঃ






১। Extension ডাউনলোড করার পর ওপেন করুন,
২। Gmail একাউন্ট দিয়ে লগ ইন করুন যেটা আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে সেট করা আছে। 
৩। এখন যে পেইজ টা আসবে এটাতে নিচের ছবির মত তিনটাতেই টিক মার্ক দিন। 
৪। এবার আপনার ফনে ইনষ্টল করা এপ টি ওপেন করুন। 
৫। সেটংস এ যান এবং Desktop Notification এর পাশে টিক মার্ক দিন। 






৬। এবার বেক করে নিচে দেখুন Gmail এ লগ ইন দিতে বলেছে, সেখানে ক্লিক করে আপনি আপনার ফোনের যে 
ইমেইল টি আছে সেটা সিলেক্ট করুন।






গুগোল ক্রোম ডাউনলোড  

লিঙ্কঃ https://goo.gl/0O5TY4


ফায়ারফক্স এর জন্যঃ





১. Addons টি ওপেন করার পর সেটিংস এ ক্লিক করুন।
২. নিচে কোড দেওয়ার একটা জায়গা পাবেন ( ছবিতে দেওয়া আছে )
৩. ফোনের এপ টি ওপেন করুন। আগের মতই সব করুন



লিঙ্কঃ https://goo.gl/HvlTSn 



ব্যাস আপনার কাজ শেষ। এবার আপনার ফোনের যত নটিফিকেশন আসবে সব ই আপনার কম্পিউটারে দেখাবে।আপনি চাইলে টেষ্ট বাটন টায় ক্লিক করে কাজ করছে কিনা টেষ্ট করে দেখে নিতে পারেন। 

বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল থাকে । চলুন দেখা যাক কীভাবে যেকোনো 

ফাইল হাইড করবেন  বা হাইড ফাইল খুঁজে পাবেন 


যে ফাইল/ফোল্ডারটি হাইড করতে চান সেই ফাইল/ফোল্ডারটির ওপরে রাইট ক্লিক করে এবং সেখান থেকে একদম নিচের অপশনটি Properties এ ক্লিক করতে হবে।



 Properties এ ক্লিক করার পরে নিচের মত একটি মেসেজ আসবে  যেখান থেকে Hidden নামের অপশনটিতে টিক দিতে এবং Apply এরপরে ok ক্লিক করতে হবে। 



তাহলে ফোল্ডারটি ওখান থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে। দেখুন ফোল্ডারটি দেখা যাচ্ছে না।



এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে ওই ফোল্ডারটি আনহাইড করা যাবে?


 এ জন্য যে কোনো একটি ফোল্ডার  ওপেন করে উপরে Tools থেকে Folder Options এ ক্লিক করতে হবে, অথবা Start>Control panel>Folder Option ওপেন করতে হবে।



সেখানে View ট্যাবটি ক্লিক করুন সেখানে Show Hidden files and folders নামে একটি অপশন আছে। সেটি সিলেক্ট করে ওপেন করুন। তাহলে দেখা যাবে সেই হিডেন ফাইলটি সেখানে হালকাভাবে শো করছে (যেখানে ফাইলটি হিডেন করা ছিল) ।



এ ফাইলটিকে আবার আগের মত করতে, ফাইলটির উপরে রাইট ক্লিক করুন এবং Properties থেকে Hidden এর টিকটি উঠিয়ে দিন। অবশেষে Apply, ok করতে হবে। তাহলে হিডেন ফাইলটি দেখা যাবে।



আমারা সবাই HD ফটো পছন্দ করি সেটা ডেক্সটপ সুন্দর করতে হোক বা কোন ওয়েবসাইট এর জন্য হোক বা অন্য কোন কাজেই আমারা জানি গুগল মামাতে সব কিছু পাওয়া যাই কিন্তু আমার মনে হয় গুগল মামার থেকেও কোন অংশে কম নয় আমি যেসকম সাইট গুলর লিঙ্ক দেবো এখানে যা আছে সবি আপনি HD পাবেন সঙ্গে সম্পূর্ণ ফ্রীও পাবেন ।


 তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন সাইট গুল দেখে আসি 



unsplash.com ঃ আমার খুবি পছন্দের একটি সাইট আপনি দেখুন আমারও পছন্দ হয়েছে যাবে খুবি ক্লিন একটা সাইট অনেক সুন্দর সুন্দর একাধিক HD ওয়ালপেপার আছে আশাকরি
 আপনার প্রয়োজন মেটাবে । 


picjumbo.com ঃ এটাও আমার খুব ভাল লেগেছে এখানে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফুল HD ফটো পাবেন আপনি ইছে করলে সার্চ করতে পারেন তাছাড়া আপনি বিভাগ অনুযায়ী ডাউনলোড করতে পারবেন । 

pixabay.com ঃ আমার দেখা সেরা কিছুর মধ্যে অন্য তম এটাও খুব মজার একটা সাইট সার্চ এর সঙ্গে সঙ্গে আপনি বিভাগ থেকেও আপনার পছন্দ ফটো ডাউনলোড করতে পারবেন । সত্যি এটা দারুন ভিজিট করলেই এর আসল মজা পাবেন । 

publicdomainarchive.com ঃ বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজেক্ট ডিজাইন এর কাজেও এই সাইট খুবি কাজে দিবে আপনার এখানেও আপনি মজার ও চাহিদা পূর্ণ HD ফটো পাবেন ভিজিট করুন তাহলেই বুঝবেন । 

freeimages.com ঃ বেস্ট কিছু ওয়ালপেপার সাইট এর মধ্যে অন্যতম । গ্রাফিক্স ডিজাইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাইট এর জন্য এটা উপযুক্ত একটি ফ্রী ফটো ডাউনলোড সাইট ভিজিট করলেই আসল মজা পাবেন । 



pdpics.com ঃ এটাও ভিজিট করে দেখতে পারেন আশাকরি খুব ভাল লাগবে অনেক প্রফেশন টাইপ ফটো পাবেন যেটা আপনার ওয়েবডিজাইন থেকে শুরু করে অনেক কাজে আসবে । 



imcreator.com ঃ দারুন একটি ফটো সাইট এখানে আপনি আপনার দরকারি অনেক ফটো পাবেন যেগুল আপনার চাহিদা পুরন করবে আশাকরি তাহলে সাইট ভিজিট করুন আমার কথা মিলে যাবেন । 

উপরের সাইট গুল যদি আপনার ভাল লাগে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন ।
ডেস্কটপকে সাজানোর জন্য অনেক রকম সফটওয়্যার পাওয়া যায়।  তবে এখন আপনাদের কে যা শেখাব তা অন্য সবগুলোর চাইতে ভিন্ন।


 আপনার ডেস্কটপটা হয়ে যাবে সমুদ্রের তলদেশ যেখানে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের চলাফেরা থাকবে। এক কথায় আপনার ডেস্কটপটি হয়ে যাবে জীবন্ত।




এই কাজে দুটো সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। 

 Desktop Icon Toy
 Living 3D Dolphins Animated Wallpaper


ডাউনলোড লিঙ্ক ঃ এখানে 
ডাউনলোড হয়ে গেলে প্রথমে  প্রোগ্রামটি সেটাপ করুন। সেটাপ একদম সোজা। দেখবেন আপনার ডেস্কটপে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে।




তবে আরো একটু কাজ বাকি আছে। তাই এবার DesktopIconToy সেটাপ করুন। এটার সেটাপ ও খুবই সহজ। এবার Desktop Icon Toy চালু করুন। বাম পাশের ট্রি থেকে Hiding এ ক্লিক করুন। ডানপাশে Icon Hiding ট্যাবে Always hide icons এ টিক চিহ্ন দিন। Show icons by clicking desktop এ 5 seconds সিলেক্ট করুন। Text Hiding ট্যাবে সবগুলো টিক চিহ্ন তুলে দিন। বাম পাশের ট্রি থেকে Tray icon এ ক্লিক করুন। ডানপাশে Display options dialog সিলেক্ট করে OK বাটনে ক্লিক করুন। 

কাজ শেষ।   দেখুন আপনার ডেস্কটপ হয়ে গেছে সমুদ্রের তলদেশ। 
প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের তথ্যর আদান-প্রদানের পরিধিও দিন দিন বড় হচ্ছে । আমরা সারাক্ষন একে  অন্যর কাছে থেকে বিভিন্ন তথ্য নিচ্ছি । বর্তমানে আমরা বৈষয়িক তথ্য-কেন্দ্রিক বিপ্লব এর মাঝে আছি।প্রতিনিয়ত এবং প্রতিদিনেই, বিভিন্ন বিজনেস কেন্দ্র থেকে এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট (টুইটার, ফেসবুক ইত্যাদি) থেকে তাঁদের বিপুল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নির্গত হয়।

এই বিপুল পরিমান তথ্যর সমষ্টি হল বিগ ডাটা। 



বিগ ডাটা – এক বিস্ময়কর বিপ্লবের সূচনা


আইবিএম এর মতে বর্তমানে সারা বিশ্বে ২.৭ যেটাবাইট (১ যেটাবাইট = ১০২১ বাইট) তথ্য আছে। বর্তমানের প্রায় ৯০% তথ্য যা নির্গত হয়েছে শেষ দুবছর ধরে।

¨ ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রায় ৩০+ পেটাবাইট এর (১০১৫) মতন তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করে।  ১০০ টেরাবাইট এর মতন তথ্য প্রতিদিনেই ফেসবুকে ঢোকে এবং প্রতিমাসেই ৩০ লক্ষকোটি তথ্য ফেসবুকে বিভিন্ন ভাবে ভাগ হয়।

¨ টুইটারে প্রতিদিনেই প্রায় ১৭৫ লক্ষ টুইট হয়।

¨ ওয়াল্ মার্ট প্রতিদিনেই প্রায় প্রতি ঘণ্টায়  ১ লক্ষ এর বেশী তথ্য আদানপ্রদান করে যা কিনা এক বিশাল তথ্য ভাণ্ডারে গিয়ে জমা হয়।

¨ ২০০৯ সালে গুগল দিনে প্রায় ২০ পেটাবাইট এর মতন তথ্য আদানপ্রদান করত।

¨ ২০০৯ সালের থেকে ৪৪ গুণ বেশি তথ্য উৎপাদন হবে ২০২০ সালে।

কিন্তু ভবিষ্যৎ - এর জন্য কিছু প্রশ্ন জেগে উঠছে যেমন - কি টেকনোলজি এই বিপুল পরিমাণ তথ্যকে প্রসেসিং করতে সাহায্য করবে ? বা কী রকম বিজনেস এর উপর কাজ হবে ?

বিগ ডাটা ইরা আসলে টেকনোলজি ওয়ার্ল্ডে সবার জন্যই একটা চান্স, যারা ক্যাচ করতে পারবে তারা উঠে আসবে তাছাড়া বাকিরা ছিটকে পড়বে !!! বিগ ডাটা আসলে অনেক বড় একটা আশীর্বাদ কোম্পানিগুলোর জন্য এবং এমনকি নিজেদের জন্যও , যারাই আমরা ইন্টারনেট এবং টেকনোলজি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।




দেখে নেই, টেকনোলজি ওয়ার্ল্ড কিভাবে চেঞ্জ হয়ে হয়ে গেছে গত শতাব্দী থেকে ঃ 

১. ৮০ ভাগ ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন এখন আনস্ট্রাকচার্ড।
২. আনস্ট্রাকচার্ড ডাটা স্ট্রাকচার্ড ডাটা থেকে ১৫X ভাবে বেড়েই চলছে।
৩. ইনফরমেশনগুলো এক্সেস পাওয়া যেন সবার গণতান্ত্রিক অধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে , মানে সবার জন্য ইনফরমেশন গুলা এভেইল্যাবল।
৪. ২০২০ সালের মধ্যে ডাটা ক্রিয়েটিং রেট হবে ৪৪ ট্রিলিয়ন গিগাবাইটস। [ফোর্বস ]