Showing posts with label কম্পিউটার. Show all posts
Showing posts with label কম্পিউটার. Show all posts

রাগ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করবে স্মার্টফোন!!

এবার থেকে আপনার মেজাজ পরিবর্তনের হদিশ দেবে স্মার্ট ফোন। শুনে অবাক হচ্ছেন তো? আপনার মস্তিষ্কে যদি কোনও অসুবিধা অনুভব করেন, তার জন্য ডাক্তারের কাছে না গিয়ে জিজ্ঞেস করুন আপনার স্মার্ট ফোনকে। কারণ আপনার মাথায় কি হয়েছে তার হদিশ দিতে পারবে আপনারই স্মার্ট ফোন।
সম্প্রতি ইতালির এক রিসার্চে জানা গিয়েছে, স্মার্ট ফোনের ইন বিল্ট সেন্সরের মাধ্যমে মেজাজ পরিবর্তনের কথা জানতে পারা যাবে। যদি আপনার বেশী মাত্রায় মেজাজের পরিবর্তন হয় তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার মস্তিষ্কে ‘বাইপোলার ডিসওর্ডার’ হয়েছে। ‘বাইপোলার ডিসওর্ডার হল এমন একটি রোগ যার জন্য আপনার মেজাজের পরিবর্তন ঘটবে খুব ঘন ঘন। আপনার মেজাজ কখন কি রকম থাকছে তার কথাও আপনাকে জানিয়ে দেবে স্মার্ট ফোন।

ইতালি কম্পিউটার বিজ্ঞানী ভেনেট ওসমানী, একটি রিসার্চের মাধ্যমে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের চিকিৎসার কথা জানতে পেরেছেন। এই রিসার্চটি তিনি কয়েকজন মানুষের ওপর চালান। ২ সপ্তাহ অন্তর অন্তর তাদের মেজাজ কতটা পরিবর্তন হচ্ছে তা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে তিনি পরিমাপ করে দেখেছিলেন।
কোন তথ্য খুঁজে পেতে আমরা সবাই গুগলের সাহায্য নিয়ে থাকি। তবে গুগলে কিছু বিশেষ কীওয়ার্ড রয়েছে যা আপনার গুগলে সার্চ দেওয়ার অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে।
১. খুব সহজে টাইমার তৈরি করতে পারেন গুগলে।

২. কোন শিল্পীর কিংবা ব্যান্ডের গানের তালিকা সহজেই পেতে পারেন গুগলে।

৩. প্রিয় লেখকের বইয়ের তালিকা দরকার ? সাহায্য নিন গুগলের।
৪. ফ্লাইটের তথ্য দেখতে পারেন গুগলের মাধ্যমে।

৫. আগামীকাল সূর্যোদয় কখন ? গুগলকে জিজ্ঞাসা করে দেখুন।
৬. বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতার নাম জানতে চান ? গুগল করেই দেখুন।
৭. Recursion লিখে গুগলে সার্চ দিলে গুগলের মাথা খারাপ হয়ে যায় নাকি ?
৮. Festivus লিখে সার্চ দিন, বাম পাশে একটি অ্যালুমিনিয়াম বার দেখাবে।
৯. zerg rush লিখে সার্চ দিলে গেম শুরু হয়ে যাবে সার্চ রেজাল্ট পেজে।
১০. কোন শব্দের উৎপত্তি এবং বিস্তারিত পেতে চাইলে নিচের মত চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
১১. দুটি খাবারের তুলনা করতে গুগল বেশ পারদর্শী।

ধরুন, আপনি এম এস ওয়ার্ডে একটি বিশাল রচনা টাইপ করেছেন। এবার আপনি চাচ্ছেন সেই লেখাটি কপি করে ই বাংলা ডট টেক এর ফ্যান পেজে  দিবেন। আপনি যখন লেখাটি কপি করে এম এস ওয়ার্ড বন্ধ করলেন, তখন কোথায় জমা আছে এতো বড় লেখাটি? সেই লেখাটি জমা হয়ে আছে আপনার কম্পিউটারের র‍্যামে। 

র‍্যামকে তাই কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমরি বলা হয়। র‍্যাম থেকে এই রচনাটি মুছে অন্য কিছু রাখলেন যখন আপনি আবার যখন কোন কিছু কপি করলেন। আপনি যখনই কম্পিউটারটি অফ করবেন, তখনই র‍্যাম এর যাবতীয় তথ্য মুছে যাবে। ইংরেজিতে RAM =Random Access Memory, অর্থাৎ যে মেমরি পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়। শুধু বড় কোন লেখাই নয়- গেম খেলা, গান শোনার কাজে, ভিডিও দেখার সময় র‍্যাম কাজ করে। আর তাই, র‍্যাম এর আকার বেশি হলে কম্পিউটারের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।




তাই, কাজের সুবিধার জন্য র‍্যামের আকার বাড়িয়ে নেয় অনেকেই। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম তাদের বিভিন্ন ফিচারের জন্য আপনার র‍্যামের একটা নির্ধারিত অংশ রেখে দেয় যা আপনি মুক্ত করে নিতে পারবেন।

এর জন্য আপনাকে যা করতে হচ্ছে, প্রথমে My Computer আইকনে ক্লিক করে Properties অপশনে যেতে হবে। 

এরপর advanced system setting এ click করুন।
এরপর নিচের মতো advanced এ click করার পর setting এ ক্লিক করুন।  পুনরায় advanced এ click করুন। এর পর change এ click করুন।

এবার শুরু পরের ধাপ  - প্রথমে automatically manage paging file size থেকে টিক তুলে দিন। 
এর পর custom এ click করে removable disk select করুন এবং বক্সে RAM এর পরিমান নির্ধারণ করে দিন। আপনি সর্বোচ্চ কতোটুকু যেতে পারবেন তা সেখানেই উল্লেখ করা থাকবে। 
সতর্কতা - removable disk অবশ্যই ফাঁকা হতে হবে।

২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই মারণ খেলা৷ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দুবছর পরে৷ প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে৷ যেন আত্মহত্যার জন্যই৷ সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল' বা নীল তিমি৷
ইদানীং ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একাধিক দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ‘ব্লু হোয়েল গেম'-এর৷ হু হু করে বাড়ছে আত্মহননের ঘটনা৷ পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন মাসে রাশিয়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোট ১৬ জন তরুণীর আত্মহত্যার খবর মিলেছে৷ এদের মধ্যে সাইবেরিয়ার দুই স্কুলছাত্রী য়ুলিয়া কনস্তান্তিনোভা (১৫) এবং ভেরোনিকা ভলকোভা (১৪) একটি বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে৷ তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম'৷ শুরুর টাস্কগুলি অবশ্য তেমন ভয়ংকর নয়৷ বরং বেশ মজারই৷ আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা৷

প্রথমে সাদা কাগজে তিমি মাছের ছবি এঁকে শুরু হয় খেলা৷ তারপর খেলোয়াড়কে নিজেরই হাতে পিন বা ধারালো কিছু ফুটিয়ে নিজের রক্ত দিয়ে আকঁতে হয় সেই তিমির ছবি৷ একা ভূতের ছবি দেখতে হয়, আবার ভোর চারটে কুড়ি মিনিটে ঘুম থেকেও উঠতে হয়৷ চ্যালেঞ্জের মধ্যে অতিরিক্ত মাদকসেবনও রয়েছে৷ এই খেলায় প্রত্যেকেই মারা গিয়েছেন, এমনটা নয়৷ মারাত্মক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জাও লড়ছেন অনেকে৷ গেমের লেভেল যত এগোয়, ততই ভয়ংকর হতে থাকে টাস্কগুলি৷ এই টাস্কগুলিতে অংশগ্রহণের পর সেই ছবি পোস্ট করতে হয় এর গেমিং পেজে৷জার্মানির আরেক গেম ডিজাইনার ক্যারোলিন গেপার্ট৷ তার নিজের একটি গেম তৈরির কোম্পানি রয়েছে, যার নাম ‘ইয়ো মেই’৷ শুরুতে কাজ করতেন একটি কোম্পানিতে৷ সেখানে কাজ শিখে পরে নিজেই নিজের সংস্থাটি খোলেন৷ কিন্তু তিনি বুঝে উঠতে পারেন না, কেন গেম শিল্পে মেয়েদের উপস্থিতি এতটা কম৷
প্রতিযোগিতার একেবারে শেষ পর্যায়ে, অর্থাৎ ৫০তম টাস্কের শর্তই হলো আত্মহনন৷ রাশিয়া পুলিশের আশঙ্কা, সাম্প্রতিককালে গোটা বিশ্বে আত্মঘাতী হওয়া অন্তত ১৩০ জনের আত্মহননের পেছনে রয়েছে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম'৷ এই গেমিং অ্যাপ মোবাইলে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে তা আর কোনোভাবেই ডিলিট করা সম্ভব নয়৷ শুধু তাই নয়, ওই মোবাইলে ক্রমাগত নোটিফিকেশন আসতে থাকে যা ওই মোবাইলের ইউজারকে এই গেম খেলতে বাধ্য করে৷

ভূগোলের শিক্ষক মৌসম মজুমদারের কথায়, ‘‘এই সমস্যার শিকড় অনেক গভীরে৷ কেন ছেলে-মেয়েরা কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইলে বেশি সময় দিচ্ছে, অনেক অভিভাবকের সেদিকে তাকানোর সময় নেই৷ ফলে বিপদ তাদের নজর এড়িয়ে ঘরে ঢুকছে৷ বাবা-মায়েদের তাদের সন্তানদের আরও বেশি সময় দেওয়াই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান৷'


ব্লু হোয়েল'-এর মতো বিপজ্জনক অনলাইন গেমস-এর লিঙ্ক সরানোর নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার৷ গুগল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, মাইক্রোসফ্ট এবং ইয়াহু থেকে অবিলম্বে এই লিংক সরাতে হবে৷ কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে খবর, অনলাইন গেমসের নেশায় মেতে বিশ্ব জুড়েই একাধিক দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে৷ ভারত তার ব্যতিক্রম নয়৷ সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে এ ধরনের একাধিক ঘটনার খবর শোনা গিয়েছে৷ তাতে যে ‘ব্লু হোয়েল'-ই জড়িত তেমন অভিযোগও উঠেছে৷ সরকার যে নির্দেশ পাঠিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘অবিলম্বে ব্লু হোয়েল বা এ ধরনের বিপজ্জনক গেমসের লিঙ্ক সরিয়ে ফেলতে হবে৷' কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের নির্দেশের পরই ওই পাঁচ সংস্থাকে ‘ব্লু হোয়েল' সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে৷

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ঋতম গিরি মনে করেন, মারণ এই খেলা থেকে তরুণ-তরুণীদের রক্ষা করার একমাত্র উপায় হলো বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফিরিয়ে আনা৷ জলজ্যান্ত মানুষের অবহেলা থেকেই ছাত্রছাত্রীরা অনলাইন গেমের দিকে ঝুঁকছে৷
ফিলিপ বুদেইকিন নামে সাইকোলজির এক প্রাক্তন ছাত্র নিজেকে ওই গেমের আবিষ্কর্তা বলে দাবি করে৷ বছর একুশের ওই রুশ যুবকের দাবি, যারা মানসিক অবসাদে ভোগেন, প্রতিনিয়ত আত্মহত্যার কথা ভাবেন, তাদের আত্মহত্যার জন্য মজাদার পথ বাতলাতেই এই গেমের ভাবনা৷ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে৷ পুলিশকে ফিলিপ বলেছে, ‘‘সমাজকে পরিচ্ছন্ন করাই” নাকি তার উদ্দেশ্য৷

বেশ কয়েক বছর ধরেই রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে অনলাইন গেম, বিশেষত অভিভাবকদের কাছে৷ তবে শুধু অভিভাবকরাই নন, অনলাইন গেমের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আসক্তি চিন্তা বাড়িয়েছে মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীদেরও৷ শিশুদের বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রেও নাকি বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন ধরনের গেম৷ অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, বাড়ছে দুর্ঘটনাও৷ এর সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। 
ফিলিপ বুদেকিন
ফিলিপ বুদেকিন

বিগত কয়েক বছর ধরেই অনলাইন গেম রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে অভিভাবকদের কাছে। শুধু অভিভাবকরাই নন, অনলাইন গেমের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আসক্তি চিন্তা বাড়িয়েছে মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীদেরও। শিশুদের বুদ্ধির স্বাভাবিক বিকাশের ক্ষেত্রেও নাকি অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গেমের নেশা। অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। বাড়ছে দুর্ঘটনাও। আর অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা।

ইদানীংকালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে একাধিক দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’ নামের একটি সোশ্যাল গেমিং-এর। পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন মাসে রাশিয়া এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মোট ১৬ জন তরুণীর আত্মহত্যার খবর পেয়েছিল পুলিশ। এদের মধ্যে সাইবেরিয়ার দুই স্কুলছাত্রী য়ুলিয়া কনস্তান্তিনোভা (১৫) এবং ভেরোনিকা ভলকোভা (১৪) একটি বহুতলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’। এই গেমে প্রতিযোগীদের মোট ৫০টি আত্মনির্যাতনমূলক লেভেল কমপ্লিট করতে হতো। ভয়ঙ্কর ছিল সেই সমস্ত লেভেল ও তার টাস্কগুলি। গেমের শুরুর টাস্কগুলি অবশ্য তেমন ভয়ঙ্কর নয়। বরং বেশ মজারই। আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। কিন্তু গেমের লেভেল যত এগোয়, ততই ভয়ঙ্কর হতে থাকে টাস্কগুলি।
এই টাস্কগুলিতে অংশগ্রহণের পর সেই ছবি পোস্ট করতে হয় এর গেমিং পেজে। প্রতিযোগিতার একেবারে শেষ পর্যায়ে, অর্থাৎ ৫০তম টাস্কের শর্তই হল আত্মহনন। পুলিশের অনুমান, সাম্প্রতিক কালে আত্মঘাতী ১৬ জন তরুণীই এই গেমের ৫০তম টাস্কের শর্ত অনুযায়ী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। রাশিয়া পুলিশের আশঙ্কা, সাম্প্রতিক কালে গোটা বিশ্বে আত্মঘাতী হওয়া অন্তত ১৩০ জনের আত্মহননের পেছনে রয়েছে এই ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, এই গেমিং অ্যাপ মোবাইলে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলে তা আর কোনও ভাবেই ডিলিট করা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, ওই মোবাইলে ক্রমাগত নোটিফিকেশন আসতে থাকে যা ওই মোবাইলের ইউজারকে এই গেম খেলতে বাধ্য করে।
তদন্তে নেমে দিন কয়েক আগেই পুলিশ হদিস পায় এই গেম-এর পেজ অ্যাডমিন-কে। নাম ফিলিপ বুদেকিন, বয়স ২১ বছর। ফিলিপ রাশিয়ারই বাসিন্দা। সে ভিকোন্তাক্তে নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় চালাত তার এই মারাত্মক গেম। ইতিমধ্যেই ফিলিপকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের জেরায় এই গেম চালানোর কথা স্বীকারও করেছে সে। কিন্তু কোনও ভাবেই এই কাজকে অপরাধ বলে মানতে নারাজ ফিলিপ। তার মতে, সমাজে যাঁদের বেঁচে থাকা উচিত নয়, সে তাঁদেরকেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। ফিলিপ আপাতত সেন্ট পিটার্সবার্গের ক্রিস্টি জেলে বন্দি। বর্তমানে ‘ব্লু হোয়েল সুইসাইড গেম’টি রাশিয়ার গণ্ডী পেরিয়ে ব্রিটেনের তরুণ-তরুণীদের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যা চিন্তা বাড়িয়েছে ইউরোপের একাধিক মনোবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীর।