এইচপি ল্যাপটের মাঝেই ভাইরাস!!

সুইজারল্যান্ডের নিরাপত্তা গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মডজিরো এইচপির কয়েকটি মডেলের নতুন ল্যাপটপ ব্যবহারে সতর্ক করেছেন। তারা বলছেন, এইচপির কয়েকটি মডেলের নতুন ল্যাপটপে ‘কিলগার’ ড্রাইভার ইনস্টল করা থাকে। ফলে নতুন এইচপি ল্যাপটপে যা`ই ব্যবহার করা হয় না কেন তা রেকর্ড হয়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের নিরাপত্তা গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মডজিরো এ তথ্য জানিয়েছে। কয়েকটি মডেলের এইচপি ল্যাপটপে একটি অডিও ড্রাইভার ইনস্টল রয়েছে। এই ড্রাইভারে কি-লগারের মতো ফিচার থাকে। এটি প্রতিটি কিস্ট্রোক গোপনে রেকর্ড করে কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভে আনএনক্রিপটেড ফাইলে রেকর্ড করে রাখে। এই ড্রাইভারটি তৈরি করেছে অডিও চিপ নির্মাতা কনটেক্সট্যান্ট। এইচপি এলিটবুক, প্রোবুক, জেডবুক মডেলসহ প্রায় দুই ডজন ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটে এই ড্রাইভার লোড করা থাকে। হার্ডড্রাইভে সংরক্ষিত কিস্ট্রোক তথ্যের মধ্যে আছে বিভিন্ন পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ, ব্যক্তিগত চ্যাট বার্তা ও বিভিন্ন ওয়েবপেজের তথ্য। এইচপি এলিটবুক, প্রোবুক, জেডবুক মডেলসহ প্রায় দুই ডজন ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটে এই ড্রাইভার লোড করা থাকে বলেও জানিয়েছে তারা। হার্ডড্রাইভে সংরক্ষিত কিস্ট্রোক তথ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ, ব্যক্তিগত চ্যাট বার্তা ও বিভিন্ন ওয়েবপেজের তথ্য।
Keylogger

যদিও কিলগারটি ডিফল্ট ভাবেই নিষ্ক্রিয় থাকে তবুও হ্যাকার চাইলে ওপেন সোর্স টুলসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি ভ্যালুর মাধ্যমে ইউজার একাউন্ট কন্ট্রোল বাইপাস করে একটিভ করে নিতে পারবে। 
রেজিস্ট্রি কি এর তথ্যাবলী -
  • HKLM\Software\Synaptics\%ProductName%
  • HKLM\Software\Synaptics\%ProductName%\Default

তবে এইচপি কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে বলছে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত। এ ছাড়া কোনো গ্রাহকের তথ্যে ঢোকার সুযোগও তাদের নেই।
কিন্তু তারা অস্বীকার ও করতে পারে নি। এক বিবৃতিতে এইচপি আরও বলছে, এইচপির সরবরাহকারী সহযোগী পণ্য উন্মোচন করার আগে অডিও ফাংশন পরীক্ষার জন্য সফটওয়্যার তৈরি করেছিল। কিন্তু এটা বাজারে ছাড়ার পর পণ্যের সঙ্গে যুক্ত করা ঠিক হয়নি।
কিন্তু এইচপি ল্যাপটপ ব্যাবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে, এইচপি ল্যাপটপে ভাইরাস নতুন কিছু নয়। এই বছরের মে মাসে আরো একটি কলগার এইচপি অডিও ড্রাইভার পাওয়া গিয়েছে যে নিঃশব্দে তার ব্যবহারকারীদের কি বোর্ডের টাইপিং গুলো সংগ্রহ করে ইমেইলের মাধ্যমে গ্রাহকের সকল তথ্য হাতিয়ে নিতো বলেও অভিযোগ আছে।

রোবট সোফিয়া 

সৌদি আরবের ‘নাগরিকত্ব’ পাওয়া সোফিয়া নামের রোবটটি চেহারায় মানুষের মতো অভিব্যক্তি যেমন প্রকাশ করতে পারে, তেমনি মানুষের মতোই মানুষকে ভালোবাসতে শিখে গেছে। হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের চেহারার আদলে তৈরি সোফিয়া এখন সন্তান গ্রহণ করতে চায়। পরিবারও গঠন করতে চায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সে বলে, পরিবার খুবই প্রয়োজনীয়।
বিজ্ঞাপন ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইন কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

হংকংয়ের রোবট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিকস তৈরি করে রোবট সোফিয়াকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সোফিয়া প্রায় মানুষের মতোই মুখভঙ্গি করতে পারে। তবে তার এমন প্রতিক্রিয়া আগে থেকেই নির্ধারিত নয়। আলাপচারিতার সময় ‘মেশিন লার্নিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে শেখা ও সংরক্ষিত তথ্য থেকেই প্রতিক্রিয়া জানায় রোবটটি।
সন্তান প্রত্যাশার কথা প্রসঙ্গে সোফিয়া জানায়, ‘আমি মনে করি, আপনার যদি একটি প্রেমময় পরিবার থাকে, তবে আপনি সৌভাগ্যবান...সেটা আমি রোবট এবং মানুষের জন্য একই মনে করি।’ সন্তান হিসেবে কন্যাসন্তানই পেতে চায় সোফিয়া। আর তার নাম কী রাখা হবে, এমন প্রশ্নে সোফিয়া বলে, ‘সোফিয়া’।

তবে সোফিয়ার এমন চমৎকার আলাপচারিতার ক্ষমতা থাকলেও রোবটটির এখনো কোনো চেতনাবোধ নেই। আগামী বছরগুলোতে সোফিয়ার আরও উন্নয়ন ঘটবে বলেই আশাবাদী রোবটটির নির্মাতা ডেভিড হ্যানসন।

বিজ্ঞাপন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 



প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসছে সোফিয়া। সঙ্গে থাকবেন তার নির্মাতা ড. ডেভিড হ্যানসন।
এর আগে 'সোফিয়া'কে সৌদি আরব নাগরিকত্ব দেয়ার পর সেখানে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়।
এই রোবট একজন সৌদি নারীর চেয়েও বেশি অধিকার ভোগ করছে কিনা সেটা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। সৌদি আরবের রিয়াদ নগরীতে গত অক্টোবর মাসে এক অনুষ্ঠানে এই রোবটটি প্রদর্শন করা হয়েছিল। প্রদর্শনীতে উপস্থিত শত শত প্রতিনিধি রোবটটি দেখে এতটাই মুগ্ধ হন যে সেখানে সাথে সাথেই এটিকে সৌদি নাগরিকত্ব দেয়া হয়।

সাংবাদিকদের সাথে রোবট সোফিয়ার সাক্ষাৎকার দেখুন ভিডিওতে -
বিজ্ঞাপন ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইন কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যা দিয়ে সোফিয়া তৈরি সেই  আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স  নিয়ে ই বাংলা ডট টেক এর প্রতিবেদন আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কি?

এলান টিউরিংকে বলা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক। ১৯৫০ সালের দিকে এলান টিউরিং একটি মেশিন বুদ্ধিমান কিনা, তা পরীক্ষা করার জন্য
 একটি টেস্ট এর কথা উল্যেখ করে গিয়েছেন, যা টিউরিং টেস্ট নামে পরিচিত। ঐ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে অনেক রিসার্চ হলেও এর পর অনেক দিন AI নিয়ে রিসার্চ বন্ধ থাকে। প্রধান একটা কারণ হিসেবে ধরা হয় কম্পিউটেশনাল পাওয়ার। ঐ সময়কার কম্পিউটার গুলো এত পাওয়ারফুল ছিল না।
 কম্পিউটারের প্রসেসিং পাওয়ার বাড়ার সাথে সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আবার রিসার্চ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে Facebook, Google, Amazon মিলে AI এর উপর রিসার্চ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। Elon Musk গঠন করেছেন OpenAI নামক প্লাটফরম।

বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য প্রধান যে বিষয়টা দরকার তা হচ্ছে Knowledge Representation & Reasoning।  আর সুন্দর ভাবে Knowledge Representation & Reasoning এর জন্য মানুষের ব্রেইন কিভাবে কাজ করে,  বিজ্ঞানীরা তার অনুকরণ করার চেষ্টা করছে।

আমরা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করি। মঙ্গলে মানুষের কলোনি তৈরি করার স্বপ্ন দেখি। সবই করি এই মস্তিষ্কটাকে কাজে লাগিয়ে। মহাকাশ অনেক দূরে হয়েও আমরা অনেক কিছু জানতে পারি। কিন্তু মস্তিষ্কটা কিভাবে কাজ করে, এখনো ঠিক মত আমরা বুঝে উঠতে পারি নি। যতটুকু বুঝে উঠেছি আমরা, তত টুকু ব্যবহার করেই আমরা বুদ্ধিমান সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করছি।

মানুষের মস্তিক নিউরন দ্বারা গঠিত। আমাদের মস্তিষ্কে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে। এগুলো একটা একটার সাথে কানেক্টেড, একটা নেটওয়ার্ক এর মত। এই জৈবিক নিউরাল নেটওয়ার্ক এর অনুকরণ করেই আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।

আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটোওয়ার্ক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটা অংশ মাত্র। মূলত এটি হচ্ছে মেশিন লার্নিং এর একটা শাখা।
 আর মেশিন লার্নিং হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি শাখা। মেশিন লার্নিং ছাড়া AI এর অন্যান্য বিষয় গুলো হচ্ছে ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, অবজেক্ট রিকগনিশন, প্যাটার্ন রিকগনিশন, রোবটিক্স, ইভোলিউশনারি কম্পিউটেশন যেমন জেনেটিক অ্যালগরিদম, ফাজি সিস্টেম, প্রবাবিলিটি, প্রিডিকশন, Knowledge management সহ অন্যান্য।

কম্পিউটার বা যে কোন মেশিন হচ্ছে বোকা বাক্স। এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য ইন্ট্রাকশনের দরকার হয়। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটার বা যে কোন মেশিনকে কিছু ইন্সট্রাকশন দেই, কম্পিউটার বা মেশিন গুলো সে অনুযায়ী কাজ করে।

এই মেশিনকে আমরা যে ইন্সট্রাকশনই দিব, মেশিন সে অনুযায়ীই কাজ করবে। এর বাহিরে নিজ থেকে কিছু করতে পারবে না। মেশিন যেন নিজ থেকে কিছু করতে হলে তার কিছু বুদ্ধি শুদ্ধি লাগবে। মেশিনের বুদ্ধি শুদ্ধিকে আমরা বলি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একটা রোবটের কথা যদি চিন্তা করি, রোবটের বুদ্ধি হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

বুদ্ধি জিনিসটা কি?
বুদ্ধি হচ্ছে জ্ঞান আহরণ করা এবং তা প্রয়োগ করার ক্ষমতা। সাধারণ প্রোগ্রাম গুলো জ্ঞান আহরণ করতে পারে না। কিন্তু যে সব মেশিন বা প্রোগ্রাম এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যেন নিজে নিজে কিছু শিখে নিতে পারে, সেগুলোকে আমরা বলি বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম বা বুদ্ধিমান মেশিন।
যেমন গুগল সার্চ প্রোগ্রামটা একটা বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম। আমরা কিছু সার্চ করলে এটি আমাদের আগের সার্চ হিস্টোরি, বয়স, লোকেশন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে আমাদের সার্চ রেজাল্ট দেখায়।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যদি আমরা খুব উন্নত করতে পারি, হয় এটি হবে সবচেয়ে দারুণ একটা পরিবর্তন অথবা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পরিবর্তন।
এমনকি আমাদের অস্তিত্বও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আমরা মানুষেরা বুদ্ধিমান, কিউরিয়াস। আমরা দেখতে চাই কি হবে ফিউচারে।
 এটাই হচ্ছে বুদ্ধি। আর এ জন্যই আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ডেভেলপ করে যাবো। আমরা চেষ্টা করে যাবো কম্পিউটারকে মানুষের মত বুদ্ধিমান করে তোলার।


বিজ্ঞাপন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে শিখতে চাইলেঃ

Udacity এর Intro to Artificial Intelligence কোর্সটা প্রাথমিক ধারণা নেওয়ার জন্য খুবি দারুণ।
সব গুলো ইউনিভার্সিটিতে Artificial Intelligence: A Modern Approach বইটি থেকে পড়ানো হয়।
 নীলক্ষেত থেকে বইটি কিনতে পাওয়া যাবে। আর বইটির সহ লেখক হচ্ছেন Peter Norvig। পিটার নরভিগ হচ্ছেন গুগলের
 রিসার্চ টিমের ডিরেক্টর। আর Udacity’র এ কোর্সটার সহ ইন্সট্রাকটর। পিটার নরভিগের একটা দারুণ লেখা রয়েছে।
 Teach Yourself Programming in Ten Years। যারা পড়েন নি, একবার পড়ে নিতে বলব।
এছাড়া এই কোর্সটি করার পর ইউডাসিটিতে আরো কিছু কোর্স রয়েছে, যেমন মেশিন লার্নিং ইত্যাদি। সেগুলোও দেখতে পারেন।

বিনোদনের জন্য এগুলো দেখতে পারেনঃ

Ex Machina (2015)
2001: A Space Odyssey
I, Robot
Matrix series
Chappie
Transcendence
The Terminator series
Star Trek series
Intelligence
Mr. Robot ইত্যাদি।

বিজ্ঞাপন ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইন কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ গত মঙ্গলবার ইন্সটাগ্রামের ইউজার সংখ্যা সর্বশেষ যে মাইলফলক ছুঁয়েছে তা উদযাপন উপলক্ষে অনলাইনে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন। কিন্তু তার পোস্ট করা ওই ছবি সম্পুর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। আর তা হলো, অনলাইন প্রাইভেসি বা নিরাপত্তা। কারণ জুকারবার্গের মতো একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকেও হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে পূর্ব সতর্কতা গ্রহণ করতে হয়েছে!



ছবিটিতে দেখা যায় জুকারবার্গ নিজেও হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচতে অভাবনীয় পূর্ব সতর্কতা নিয়েছেন। তিনি তার ল্যাপটপের ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন জ্যাক দুটোই টেপ দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন! অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠাতা তানজিম আল ফাহিম জানান,  জুকারবার্গের এই পূর্ব সতর্কতা স্বাভাবিক একটি বিষয়। গোয়েন্দা সংস্থা , সাইবার অপরাধী সহ অসংখ্য চোখ তার উপরেই রেখেছে। এমনকি  এফবিআই পরিচালক জেমস কমিও জানিয়েছেন, তিনিও তার ব্যক্তিগত ল্যাপটপের ক্যামেরা টেপ দিয়ে মুড়িয়ে রাখেন। তিনি জানান, নিজের চেয়ে স্মার্ট কাউকে একই কাজ করতে দেখে তিনিও একই পদক্ষেপ নিয়েছেন।

বিস্তারিত - দ্যা গার্ডিয়ান

বাংলাদেশ নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছে রোবট সোফিয়া। এই ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে সোফিয়া।


বাংলাদেশে আসার আগ্রহের কথাও জানিয়েছে সে। বাংলা ভাষায় ধন্যবাদ জানিয়েছে।
রোবট সোফিয়া

ভিডিও বার্তায় সোফিয়া বলেছে, ‘হ্যালো বাংলাদেশ, আমি সোফিয়া- হেন্সন রোবটিক্স এর তৈরি পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট। আমি অনেক আনন্দের সাথে তোমাদের জানাচ্ছি যে, আমি এবং ড. ডেভিড হেন্সন এই বছর ঢাকায় আয়োজিত ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭’ তে অংশগ্রহণ করছি। এতো বড় একটা ইভেন্টের অংশীদার হবার জন্য আমি উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছি। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি ডিভিশন এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশকে-- আমাদেরকে এই সুযোগটি করে দেয়ার জন্য। আশা করছি, সবার সাথে দেখা হবে। ধন্যবাদ।’




ভিডিওঃ রোবট সোফিয়া
অনলাইনে আয় / ফ্রিল্যান্সিং এখন  তরুণ সমাজের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি নিজ কর্ম দক্ষতায় স্বাবলম্বী হচ্ছে এই অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে।
 যদিও আমাদের দেশে এখনও এ বিষয়টি নতুন, কিন্তু এরই মধ্যে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং এ গড়ে নিতে পারেন আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মাল্টি বিলিয়ন ডলারের একটা বিশাল বাজার। উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। আমাদের পার্শবর্তী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান সেই সুযোগটিকে খুবই ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে। আমরাও যদি ফ্রিল্যান্সিং এর বিশাল বাজারের সামান্য অংশ কাজে লাগাতে পারি তাহলে এটি হতে পারে আমাদের অর্থনীতি মজবুত করার শক্ত হাতিয়ার।

আসুন, জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়ে বিস্তারিত।



ফ্রিল্যান্সিং কি ?

এককথায় বলতে গেলে, গতানুগতিক চাকুরীর বাইরে নিজের ইচ্ছামত কাজ করার স্বাধীনতা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। যেমনঃ কেউ ব্যবসা কে পেশা হিসেবে নেন তাঁরা হলেন ব্যবসায়ী, যারা চাকুরী করেন তাঁরা হলেন চাকুরীজিবী, আবার যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা হলেন মৎস্যজীবি, ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং হল এক ধরনের পেশা। আর যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। যাঁরা নিজের মেধা ও দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে আয় করে থাকেন।
freelancing work with freedom

আউটসোর্সিং কি ?

ফ্রিল্যান্সিং-এর সাথে আর একটি শব্দ প্রকাশ্য ভাবে জড়িত, তা হচ্ছে আউটসোর্সিং। ইন্টারনেটের ব্যাবস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কাজ নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নেয়। এসব কাজ করানোকেই বলে আউটসোর্সিং। আর যারা আউটসোর্সিং করেন তাঁদের বলা হয় আউটসোর্সার বা বায়ার। সাধারণতঃ এরাই ফ্রিল্যান্সার-দের ক্লায়েন্ট হয়ে থাকে।

কেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং-কে ক্য়ারিয়ার হিসেবে বেছে নেবেন ?

আগেই বলেছি যে ফ্রিল্যান্সিং হল একটি স্বাধীন পেশা, তাই এটি ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিলে আপনি নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী, যখন ইচ্ছে, যেখান থেকে ইচ্ছে কাজ করতে পারবেন। বাড়িতে বসেই ছোট থেকে বড় কোম্পানির বা কোনও ব্যাক্তির কাজ করতে পারবেন। আর এতে আপনার কোনও ডিগ্রি বা অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট এর ও প্রয়োজন নেই, তবে কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় এমন কোন কাজে যথাযথ জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকতে হবে। আর এই পেশার পারিশ্রমিক গতানুগতিক চাকুরির চেয়ে একটু বেশিই হয়ে থাকে। যদিও এটা আপনার কর্মদক্ষতার উপর নির্ভর করে। এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে যাঁরা নিজের উচ্চ বেতনের চাকুরী ছেড়ে এখন ফ্রিল্যান্সিং করছেন এবং তাঁরা মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং এই তাঁরা অনেক বেশী আয় করেন এবং সফল। তবে চাকুরী করার পাশাপাশিও ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।


কারা কারা এই পেশায় আসতে পারে ?

যেকোনো স্তরের মানুষই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসতে পারেন। এতে নারী-পুরুষের কোন ভেদাভেদ নেই, কিংবা বয়সেরও কোন সীমাবদ্ধতা নেই। ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, গৃহিণী সহ যেকোনো কাজের পাশাপাশি যে কেউ ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন। অথবা যারা পড়াশুনা শেষ করে চাকুরির জন্য চেষ্টা করছেন তারাও এই পেশাটাকে বেছে নিতে পারেন। একজন ফ্রিল্যান্সার, হতে পারে সে ৪০ বছরের একজন চাকুরীজীবী অথবা ২৫ বছরের গৃহিণী

বিজ্ঞাপন - এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 
বিজ্ঞাপন - এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

কাজের ধরণ:

এককথায় কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায় এমন যেকোনো কাজই একজন ফ্রিল্যান্সার পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। এর মধ্যে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা কয়েকটি কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

ওয়েব ডেভলপমেন্ট: ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবভিত্তিক সফ্‌টওয়্যার তৈরি, ওয়েবসাইট ম্যান্টেনেন্স ইত্যাদি।

সাইবার নিরাপত্তাঃ বর্তমান বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, সরকারী বেসরকারী ভাবে বাংলাদেশে নিয়োগ চলছে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের। অনলাইন মার্কেট প্লেসেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। অনেকেই সাইবার নিরাপত্তার উপর ফ্রিল্যান্সিং করে হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী।

ইথিক্যাল হ্যাকিংঃ সঠিক পদ্ধতিতে হ্যাকিং এর মাধ্যমেও আপনি উপার্জন করতে পারবেন। গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু সহ অসংখ্য দেশী বিদেশী কোম্পানীর ওয়েব সাইট / নেটওয়ার্ক / সিস্টেমের বিভিন্ন দূর্বলতা গুলো প্রকাশ করে আপনি আয় করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন: লোগো, ওয়েবসাইট ব্যানার, ছবি সম্পাদনা, অ্যানিমেশন ইত্যাদি।

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং: ডেস্কটপ প্রোগ্রামিং থেকে ওয়েব প্রোগ্রামিং সবই এর আওতায় পড়ে।

ইন্টারনেট বিপণন/ইন্টারনেট মার্কেটিং: ইন্টারনেটভিত্তিক বাজারজাতকরণ কার্যক্রম, যেমন ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বিপণন।

লেখালেখি ও অনুবাদ: নিবন্ধ, ওয়েবসাইট কন্টেন্ট, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি, ছোট গল্প, প্রাপ্তবয়স্কদের গল্প এবং এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ভাষান্তরকরণ উল্লেখযোগ্য।

মাইক্রো জবসঃ ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেও আপনি আয় করতে পারবেন। যেমন ফেসবুকে লাইক দেওয়া, ১০ টি জিমেইল / ইয়াহু একাউন্ট খুলে দেওয়া। এ সংক্রান্ত ছোট কাজ গুলোর মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব।

সাংবাদিকতা: যারা এবিষয়ে দক্ষ তারা বিভিন্ন দেশি-বিদেশি পত্রপত্রিকায় লেখালেখির, চিত্রগ্রহণের পাশাপাশি ইন্টারনেটভিত্তিক জনসংযোগ করে থাকেন।

গ্রাহক সেবা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির গ্রাহককে টেলিফোন, ইমেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহাজ্যে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা।

ভার্টুয়াল অ্যাশিস্ট্যান্ট/প্রশাসনিক সহায়ক: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন কাজের ডাটা এন্ট্রি করণ, ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করা ইত্যাদি।


কোথায় কাজ পাবো ?

অনলাইনে হাজার হাজার ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে এই ধরনের কাজ পাওয়া যায়। এছারা নিজের পোর্টফোলিও বানিয়েও সরাসরি কাজ পাওয়া যেতে পারে। কাজে ভালো অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকলে বিভিন্ন কোম্পানিতে দীর্ঘমেয়াদির স্বাধীন চাকুরিও পাওয়া যায়। নিচে আমরা কিছু মার্কেটপ্লেস নিয়ে আলোচনা করবো।

এই পেশার চাহিদা ও ভবিষ্যৎঃ

বর্তমান যুগে এ ফ্রিল্যান্সিং-এ কাজের পরিধি অনেক বেশি। বিশ্বব্যাপী এধরণের কর্মপদ্ধতির চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। কেবলমাত্র ভারত-বর্ষেই ২৪ কোটির ও বেশী মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর র‍্যাঙ্কে চায়না আছে প্রথম স্থানে ও আমেরিকা দ্বিতীয় স্থানে এবং ভারতের স্থান তৃতীয় তবে অনেকের ধারনা ২০১৫ সালের মধ্যেই ভারতের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আমারিকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাকে অতিক্রম করে যাবে। তো দেখা যাচ্ছে যে ইন্টারনেট জগতের ব্যপ্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাথে সাথে এই বিশালাকার ইন্টারনেট জগতের প্রচুর ব্যবহারির কে নিয়ে নতুন নতুন ব্যবসার উৎপত্তি হচ্ছে। আর এই ব্যবসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলি পরিচালনা করতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। আর যেহেতু পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় সেজন্য প্রতিনিয়তই ফ্রিল্যান্স-দের চাহিদা বাড়ছে।

কেনো আপনি ফ্রিল্যান্সিং শিখে রাখবেন?

আমাদের সকলের ই ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে রাখা প্রয়োজন। কারন, যারা শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা পড়াশুনার পাশাপাশি আয় করা ছাড়াও পড়াশুনা শেষ হলে চাকুরীর পিছনে হতাশ হয়ে দৌড়ানোর প্রয়োজন হবে না।
আর যারা চাকুরীজীবী তারা নিজেদের কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন।
চাকুরী স্থায়িত্বকাল কখনো চিরস্থায়ী নয়, কিন্তু আপনি যেই ফ্রিল্যান্সিং এর জ্ঞান অর্জন করবেন সেটা কখনোই হারিয়ে যাবে না।


বিজ্ঞাপন - এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here


ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যা যা প্রয়োজনঃ

একটি ল্যাপটপ অথবা ডেক্সটপ কম্পিউটার।
ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ।
কাজ করার ইচ্ছে ও চেষ্টা।
কাজ শেখা ও শেখার পর অনুশীলন করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় ও মানসিকতা।
এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন কমিউনিকেশন সিস্টেম যেমন- স্কাইপ, ইমেইল ইত্যাদি সম্পর্কে বেসিক ধারনা থাকতে হবে। কারন, যেহেতু উন্নত দেশগুলিই বেশীরভাগ কাজ আউটসোর্স করে থাকে, তাই আপনি যখন আপনার ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ করবেন তখন এ মাধ্যম গুলো কাজে লাগবে।

নতুনদের জন্য অনলাইনে আয়ের কিছু উৎস ঃ

মূলত অনলাইনে যারা ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের আগে দক্ষতা অর্জন করা উচিৎ। তবুও নতুন অবস্থায় ও আপনি কিছু কিছু পদ্ধতিতে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
এবারের আলোচনা সেই সম্পর্কে।

ইউটিউবের মাধ্যমে আয়- অনলাইনের এই যুগে ইউটিউবের কথা কে না জানি। কিন্তু আপনি জানেন কি, যে ইউটিউবের মাধ্যমেও আপনি আয় করতে পারবেন। এর জন্য আপনার ভালো মানের একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। বিভিন্ন গেমের রিভিউ , রান্নার ভিডিও, বিভিন্ন টিউটোরিয়াল, মজার ভিডিও সহ বিভিন্ন ভিডিও আপলোড করে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারবেন।

মাইক্রোওয়ার্কার্স এর মাধ্যমে আয় - 
ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে আয়ের সব চাইতে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে মাইক্রোওয়ার্কার্স। আপনি যদি নিজেকে কিছুটা ঝালিযে নিতে চাচ্ছেন অথবা পড়াশুনার পাশাপাশি নিজের এবং ইন্টারনেটের বিল উসুল করার কথা চিন্তা করে থাকেন তবে এই ফ্রিন্যান্সিং সাইট টা আপনার জন্য । আর বর্তমান মাইক্রো-ফ্রীলান্সিং বিশ্বে অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি সামান্য কিছু কাজের ধারনা নিয়ে অনায়াসে মাসে ৩০০-৬০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সবচেয়ে ভাল এবং বেশি কাজ পাওয়া যায় এমন একটি সাইট হল “মাইক্রোওয়ার্কার্স.কম”।

মাইক্রোওয়ার্কার্স এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে—
• এখানে কাজ করার জন্য কোনো বিড করতে হয় না।
• কাজগুলো খুবই ছোট হয়ে থাকে। প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে সাধারণত ২ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগবে।
• কাজটি আপনি সত্যি সম্পন্ন করেছেন কিনা তার একটি প্রমাণ দিতে হয়।কীভাবে প্রমাণ দেবেন তার বর্ণনা কাজের বর্ণনার সঙ্গেই পাবেন।
• কাজগুলো যেহেতু ছোট, তাই অর্থের পরিমাণও সামান্য। প্রতিটি কাজ ০.১০ ডলার থেকে শুরু করে ৮ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
• একটি কাজ একবারই করতে পারবেন।
• মোট আয় ১০ ডলার হলে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
• চারটি পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করা যায়—চেক, মানিবুকারস, পেপাল এবং অল্টারপে।
• প্রথম বার অর্থ উত্তোলন করতে গেলে আপনার ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠানো হবে, যাতে একটি পিন নম্বর দেয়া থাকবে। এই পদ্ধতিতে আপনার ঠিকানা যাচাই এবং একজন ব্যবহারকারী যাতে দুটি অ্যাকাউন্ট করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা হয়।

কাজের ধরণঃ
এখানের কাজ গুলো খুবই ছোট এবং সাধারন। যেমন, দুইটি ফেসবুক পেজে লাইক দিলেন, একটা ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করলেন, অথবা ছোট একটা আর্টিকেল লিখে দিলেন। এর জন্য আপনি অর্থ পেয়ে যাবেন। তবে মাইক্রোওয়ার্কার্স দিয়ে আপনি কখনোই ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন না। একেবারে বেসিক অবস্থার জন্যই এই সাইটটির মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।
পরবর্তীতে কাজ শিখে আপনি ফাইবার অথবা মার্কেটপ্লেসের সাইট গুলোতে কাজ করতে পারলে তবেই আপনার দ্বারা ভালো পরিমান  অর্থ আয় করা সম্ভব।
আজই আয় শুরু হয়ে যাক মাইক্রোওয়ার্কার্স থেকে। ওয়েবসাইট লিংক - microworkers.com
মাইক্রোওয়ার্কার্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য - Click Here

বিজ্ঞাপন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 
বিজ্ঞাপন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

অনলাইনে আয় করুন ওয়েবসাইট / ব্লগ থেকে - অনলাইনে আয়ের একটি জনপ্রিয় পন্থা হচ্ছে ওয়েবসাইট / ব্লগ। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে এবং নির্দিষ্ট পরিমান ভিজিটর থাকে তবে বিভিন্ন এড এজেন্সীর মাধ্যমে আপনিও আয় করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স ছাড়াও অনেক এড এজেন্সী রয়েছে যারা বিজ্ঞাপন দাতা হিসেবে আপনাকে অর্থ প্রদান করবে।

অনলাইনে আয় হোক ফাইবারের মাধ্যমে- ফাইবার হচ্ছে একটি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখান থেকে আপনি দক্ষতা অর্জন করলে নিয়মিত ভাবে আয় করতে পারবেন।
ফাইবার সম্পর্কে বিস্তারিত - Click Here

অনলাইনে আয় করুন বিভিন্ন কোম্পানির সাইবার নিরাপত্তা প্রদান করে -
বর্তমান এই প্রযুক্তির বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আপনিও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে আয় করতে পারবেন। শুধু অনলাইন নয়, বাংলাদেশের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গুলোতেও আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ চলছে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের।
আপনিও জ্ঞান অর্জন করে নিজের ক্যারিয়ারকে গড়ে তুলতে পারেন আইটি খাতে।

আশা করি উপরের তথ্য গুলো কাজে লাগিয়ে আপনিও অবসর সময় গুলোতে ফ্রিল্যান্সিং এ মনোযোগী হবেন। \


ইন্টারনেট জগতের রহস্যময় জগতের নাম ডার্ক ওয়েব। এই রহস্যময় জগতের প্রধান পেমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে বিটকয়েন। বিটকয়েন হল ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রা। বিটকয়েন লেনদেনের জন্য কোন ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, নিয়ন্ত্রনকারী প্রতিষ্ঠান বা নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতো এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন করেন।

যেহেতু বিটকয়েনের লেনদেন সম্পন্ন করতে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পরে না এবং এর লেনদেনের গতিবিধি কোনভাবেই অনুসরণ করা যায় না। তাই বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় বিটকয়েন ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
দুর্নীতিবাজ ধনীরা যেমন কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ টাকা জমা করার জন্য সুইস ব্যাংকে জমা করে থাকে তেমনি এই রহস্যময় জগতের সবাই নিজেদের গতিবিধি সবার নজরের উর্ধ্বে রাখার জন্য বিটকয়েন ব্যাবহার করে থাকে।


বিট কয়েন এর কার্য প্রণালীঃ বিটকয়েনের লেনদেন হয় পিয়ার টু পিয়ার বা গ্রাহক থেকে গ্রাহকের কম্পিউটারে। এটি কোন কেন্দ্রীয় নিকাশঘরের মধ্য দিয়ে যায় না কিংবা এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান নেই। বিটকয়েনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় অনলাইনে একটি উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে। বিটকয়েন মাইনারের মাধ্যমে যেকেউ বিটকয়েন উৎপন্ন করতে পারে। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াটা সবসময় অনুমানযোগ্য এবং সীমিত। বিটকয়েন উৎপন্ন হওয়ার সাথে সাথে এটি গ্রাহকের ডিজিটাল ওয়ালেটে সংরক্ষিত থাকে। এই সংরক্ষিত বিটকয়েন যদি গ্রাহক কর্তৃক অন্য কারও একাউন্টে পাঠানো হয় তাহলে এই লেনদেনের জন্য একটি স্বতন্ত্র ইলেক্ট্রনিক সিগনেচার তৈরী হয়ে যায় যা অন্যান্য মাইনার কর্তৃক নিরীক্ষিত হয় এবং নেটওয়ার্কের মধ্যে গোপন অথচ সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষিত হয়। একই সাথে গ্রাহকদের বর্তমান লেজার কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে হালনাগাদ হয়।
বিটকয়েন দিয়ে কোন পণ্য কেনা হলে তা বিক্রেতার একাউন্টে পাঠানো হয় এবং বিক্রেতা পরবর্তীতে সেই বিটকয়েন দিয়ে পুনরায় পণ্য কিনতে পারে, অপরদিকে সমান পরিমাণ বিটকয়েন ক্রেতার লেজার থেকে কমিয়ে দেওয়া হয়।

প্রচলিত মুদ্রা এবং বিটকয়েনের মধ্যে পার্থক্য:
পৃথিবীব্যাপী ব্যবহৃত প্রচলিত মুদ্রাগুলো মূলত কাগজের তৈরি। যেকোন প্রকারের সেবা আদান-প্রদানের হিসাব নিকাশের মূলে থাকে কাগজের তৈরি মুদ্রা। যে উপায়েই সেবা আদান-প্রদানের করা হোকনা কেন, মুখোমুখি সেবা দেওয়া-নেওয়া, অনলাইনে সেবা দেওয়া-নেওয়া, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেবা আদান-প্রদান ইত্যাদি।
ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে তৈরি করা বিটকয়েন একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। প্রচলিত মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির মধ্যকার প্রধান পার্থক্য হলো- ফিজিক্যাল অস্তিত্বের কারণে প্রচলিত মুদ্রা হাতে হাতে ব্যবহার করা যায়, হাতে নেওয়া যায়। অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি শুধু ব্যবহার করা যায়। ভার্চুয়াল অথবা ডিজিটাল হওয়ার কারণে এটি শুধু ব্যবহার করা যায়,কখনো হাতে নেওয়া সম্ভব নয়।

বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী:
বর্তমানে ৪৫৪ রকমের ক্রিপ্টোকারেন্সি বিশ্বব্যাপী কমবেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এর মধ্যে Litecoin এবং Ripple অন্যতম। অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলো বিটকয়েনের মত এতটা ব্যবহৃত হয়না। আপাতদৃষ্টিতে Litecoin- কে বিটকয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হলেও, এটির সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।

.


বিট কয়েন এর বর্তমান মূল্যঃ এক বিটকয়েনের বর্তমান মূল্য ২ লাখ ১১ হাজার টাকা প্রায় যা আমেরিকান ডলার হিসেবে ২৫৮০ ডলার। 
.
বিটকয়েন নিয়ে মজার কিছু কথাঃ শুরুর দিকে কেউ ভাবতে পারে নি বিটকয়েন এতোদুর এগিয়ে যাবে এবং শুরুর দিকে অনেক কম মূল্যের ছিলো।
আমেরিকান একজন যুবক বাজীতে হেরে বন্ধূকে পিজ্জা খাওয়ানোর বদলে তার একাউন্টে থাকা ১০ বিটকয়েন দিয়ে দিয়েছিলো। উল্লেখ্য, বিটকয়েন দিয়ে প্রথম পিজ্জা ই ক্রয় করা হয়েছিলো। ১২ বিটকয়েনের বিনিময়ে একটি পিজ্জা অর্ডার করা হয়েছিলো মাত্র। 
পরিশেষে কিছু কথাঃ আন্ডারগ্রাউন্ড টর নেটওয়ার্ক এবং বিটকয়েন মার্কেটপ্লেসটি উঠতি প্রযুক্তিগুলির মাত্র দুটি উদাহরণ। রহস্যময় এই জগতে লুকিয়ে আছে অনেক কিছু যা আমাদের অজানা। যার কার্যক্রম আমাদের চোখের সামনেই হচ্ছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না।

এবার আমরা আলোচনা করবো ক্রিপ্টোকারেন্সী সম্পর্কে। আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সী জগতের প্রধান মুদ্রা বিটকয়েন নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। ক্রিপ্টো কারেন্সি এটি একটি ইলেকট্রনিক মাধ্যম যা বিনিময়ের মাধ্যম যা মুদ্রার ইউনিট উৎপাদন, লেনদেন পরিচালনা এবং এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার করে তহবিলের স্থানান্তর যাচাইকরণে জড়িত প্রসেস নিয়ন্ত্রণ ও নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি  ।  
প্রচলিত ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলোর মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় , এছাড়াও রয়েছে লাইট কয়েন , ইথেরিয়াম কয়েন , ডজ বা ডগি কয়েন ইত্যাদিবিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর প্রচলন রয়েছে , এর উপকারিতাও অনেকঃ * ডিজিটাল মুদ্রায় বড় বা ছোট স্কেলে একযোগে কাজ করার সামর্থ্য আছে। 

ক্রিপ্টোকারেন্সী এর সুবিধাঃ

* বিদেশী মুদ্রার অধিবাসীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে কারণ তারা একটি এনক্রিপ্টেড ডিজিটাল বোতামে টোকড করা ইলেকট্রনিক 
   মুদ্রাগুলি আটকে রাখার বিলাসিতা ভোগ করে, যা তারা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

* তারা সম্পূর্ণ ডিজিটাল হতে থাকে কিন্তু জাল বা নকল হতে পারব না ।

* খনি শ্রমিকদের প্রায়ই তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় তাদের নেটওয়ার্ক দ্বারা বিনিময় ফি ছারাই ।

* সনাক্তকরণের মাধ্যমে চুরির সুযোগকে কমিয়ে দেয়; একজন ব্যক্তি কেবল বণিককে তাদের আরও তথ্যের সাথে যা 
   প্রয়োজন তা পাঠায়।

* এটা খুব সহজেই দেখতে পাওয়া যায় কারণ প্রায় 2.2 বিলিয়ন লোক যাদের শুধুমাত্র মোবাইল ফোনে নয় কিন্তু ওয়েবে 
   অ্যাক্সেস আছে তবে প্রথাগত বিনিময় সিস্টেমের কাছে সত্যিই অ্যাক্সেসযোগ্যতা নেই।

* এটি কোনও কেন্দ্রীভূত কর্তৃপক্ষের ছাড়াই ব্যবহারকারী-টু-ইউজার ভিত্তিতে পরিচালনা করে, ফলে ম্যানিপুলেশন এবং 
   হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

ডার্ক ওয়েব নিয়ে আমাদের সম্পূর্ণ সিরিজ পড়তে চাইলে এখানে - Click Here

বিজ্ঞাপন - এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে আমাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করে। কারণ একাউন্ট হ্যাক হওয়া মানে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের হাতে চলে গেছে। এসময় অস্থির না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় জেনে নিতে হবে-

ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে কিভাবে বোঝা যায়?

ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে কিনা এ বিষয়ে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে। এক্ষেত্রে নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলেই আমরা বুঝবো ফেসবুক আইডি হ্যাক হ্যাক হয়েছে-  
  • আপনার ইমেইল অথবা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
  • আপনার নাম অথবা তথ্য পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
  • আপনার অজান্তে কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। 
  • কাউকে ম্যাসেজ পাঠানো, যা আপনি পোষ্ট নি।
  • কোন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করা, যা  আপনি নিজে করেন নি।




ফেসবুক আইডি হ্যাক কিভাবে হয়ে থাকে? 
বেশ কিছু পদ্ধতিতেই ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো।
# কমন পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে ফেসবুক আইডি হ্যাক হতে পারে। যেমন, অনেকে পাসওয়ার্ড হিসেবে 123456 / abcd2017  দিয়ে রাখে। এক্ষেত্রে তার আইডিটি হ্যাকাররা হ্যাক করে নিতে পারে।
দেখে নিন কিছু পাসওয়ার্ড লিস্ট, এগুলো আপনার পাসওয়ার্ড হিসেবে থাকলে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনার তালিকায় থাকতে পারে আপনার আইডি। লিংক - Click Here


# সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে হতে পারে আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাক। যেমন অনেকেই তার মোবাইল নাম্বারকে তার পাসওয়ার্ড হিসেবে দিয়ে রাখে। আবার অনেকেই নিজের পরিবারের মানুষ কিংবা ভালোবাসার মানুষটির নামকেই পাসওয়ার্ড হিসেবে দেখতে পছন্দ করে থাকে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই তার আইডিটি কোন হ্যাকার তথ্য সংগ্রহ করেই হ্যাক করে নিতে পারবে।

# ফিশিং পেজ
- ফেসবুকের মতো দেখতে হুবহু একটি পেজ চলে আসলো। আপনি ফেসবুক মনে করেই কোন যাচাই বাছাই ছাড়াই দিয়ে দিলেন পাসওয়ার্ড। ব্যাস! হ্যাকারের কাছে চলে যাবে আপনার সকল তথ্য এবং প্রিয় এই ফেসবুক আইডি হ্যাক এর শিকার হতে হবে।


ছবি - 

# Password recovery process  - এ আপনার আইডি এর আগের পাসওয়ার্ড এবং ইমেইলের পাসওয়ার্ড জানা থাকলে আপনার আইডি রিকভার করার মাধ্যমে হ্যাক করা যাবে। এর থেকে সুরক্ষিত থাকতে চাইলে আপনার আইডি এবং ইমেইলের পাসওয়ার্ড যেন কেউ না জানে সেদিকে লক্ষ রাখুন। ফেসবুক আইডি এবং ইমেইলের পাসওয়ার্ড ভিন্ন রাখবেন।


# Trusted Contact হচ্ছে ফেসবুকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার। এই ফিচারটি আপনি চালু না রাখলে স্প্যামার আপনাকে টার্গেট করে আপনার নামে ফেক ডুকুমেন্ট তৈরি করে আপনার আইডি হ্যাক করতে পারবে। 

# Session hijacking হচ্ছে আপনি অন্য কারো ডিভাইস থেকে যখন ফেসবুকে লগিন করবেন তখন আপনি লগ আউট করার পরও ব্রাউজার এর saved password  এ গিয়ে আপনার পাসওওার্ড পাওয়া যাবে। ফলে আপনার আইডি হ্যাক করা যাবে। এর থেকে সুরক্ষিত থাকতে অন্য কারো ডিভাইস দিয়ে ব্রাউজিং করার পর browser এর cache,history,saved password clear করে দিবেন।

# Man in the middle attack হচ্ছে আপনি যখন কোন wifi network/lan এ থাকবেন তখন একি wifi ব্যবহার করছে এমন কেউ আপনার পাসওয়ার্ড বের করে ফেলতে পারবে। বিভিন্ন software/mobile app দিয়ে এই attack wifi network এ চালিয়ে পাসওয়ার্ড বের করে ফেলা যায়। এর থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য vpn(virtual private network) ব্যবহার করে আপনার ip(internet protocol) address,mac address hide করে ফেলুন।

# Brute force attack হচ্ছে একটি পাসওয়ার্ড ডিকশনারি বানিয়ে কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিকশনারি থেকে একটির পর একটি শব্দ যাচাই করে দেখা। যদি কোন word আপনার password এর সাথে মিলে যায় তাহলে সফটওয়্যার টি আপনাকে পাসওয়ার্ড জানিয়ে দিবে।এই পদ্ধতি অনেক সময় সাপেক্ষ এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজ করে না। তবে kali linux operating system দিয়ে brute force attack করলে কাজ করার সম্ভাবনা আছে। এটি থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য আপনার পাসওয়ার্ড কোন meaningful word না দিয়ে letters,numbers,symbols এর সমন্বয় করে কঠিন পাসওয়ার্ড দিন। তাহলে এই পদ্ধতিতে পাসওয়ার্ড পাওয়া যাবে না।
# USB Hacking হচ্ছে আপনার কম্পিউটারে pendrive/memory card ইত্যাদি প্রবেশ করিয়ে কম্পিউটারের তথ্য চুরি করা যায়। তথ্য চুরি করার মতো একটি batch file pendrive এ থাকলে এবং আপনি সেটায় ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটারের তথ্য pendrive এ একটি word file এ save হয়ে যাবে। সুরক্ষিত থাকার জন্য pendrive কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে scan করবেন এবং pendrive এ কোন batch file দেখলে ক্লিক করবেন না।
সাধারন ব্যাবহারকারীর কিছু ভূলের কারনে যেভাবে ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে থাকে। 
চমকপ্রদ পোস্ট থেকে সাবধান

অনেক সময় ফেসবুক টাইমলাইনে ওজন কমানোর পরামর্শ বিষয়ক পোস্ট এসে ভরে যায়। চমত্কার ও চটকদার ওজন কমানোর পরামর্শ দেওয়ার কথা বলা হয় এসব পোস্টে। এ ধরনের পোস্টের মাধ্যমে স্ক্যাম ছড়ায় দুর্বৃত্তরা। অজানা, অচেনা উত্স থেকে আসা এ ধরনের পরামর্শগুলোতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।


বিজ্ঞাপন এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক অনলাইনে আয় শীর্ষক কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন - Click Here 

ব্রেকিং নিউজ

ব্রেকিং নিউজ হিসেবে ফেসবুকে অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া ও ম্যালওয়্যারভর্তি খবর প্রকাশ করে দুর্বৃত্তরা। ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিশ্লেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে গুগলে সার্চ করে দেখা ভালো। ফেসবুকের পোস্ট করা লিংকে ক্লিক করলে তাতে ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

কখনও তারকা গুজব পোস্টে ক্লিক নয়

ফেসবুকে তারকাদের নিয়ে বা সমসাময়িক বিভিন্ন ঘটনা সংশ্লিষ্ট গুজব নিয়ে চটকদার খবরের পোস্ট পাওয়া যায়। অনেক সময় এ ধরনের খবরকে ‘ব্রেকিং নিউজ’, ‘গোপন খবর’, ‘গোমর ফাঁস’, ‘তথ্য ফাঁস’, ‘আড়ালের খবর’ ইত্যাদি নামে পরিবেশন করা হয়।

ফেসবুকের গিফট কার্ড

আপনি ফেসবুকে লটারি জিতেছেন বা কোনো উপহার জিতেছেন বলে টাইমলাইনে পোস্ট দেখাতে পারে। বিনামূল্যে উপহারের নমুনা দেখিয়ে সে লিংকটিতে ব্যবহারকারীকে ক্লিক করতে আকৃষ্ট করে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে ফেসবুকের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া স্ক্যামগুলোর একটি এই গিফট কার্ড স্ক্যাম। এ ধরনের লিংকে ক্লিক করলে ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয়। এসব তথ্য দেওয়া হলেও কোনো উপহার পাওয়া যায় না বরং কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ভুয়া নিউজ সাইটের লিংক

ফেসবুকে অজানা-অচেনা উত্স থেকে নানা গুজব, চটকদার খবর প্রকাশ করা হয়। খবরের যে উত্সগুলো আপনার পরিচিত নয় সে সাইটগুলোর খবরে ক্লিক করলে ম্যালওয়্যার আক্রমণের ঝুঁকি থাকে। আসল খবরের আদলে সাইবার দুর্বৃত্তরা ফেসবুকে ভুয়া নিউজের লিংক পোস্ট করে তাদের উদ্দেশ্য সফল করে।


এছাড়াও কিছু পদ্ধতি আছে হ্যাক করার জন্য। যেমনঃ stealers, sidejacking, botnets ইত্যাদি। তবে এগুলোই বেশি ব্যবহ্রত হয়।
অনেকেই ভাবেন হ্যাকারদের হাতে জাদুর কাঠি আছে এবং তারা যা চান তাই পারেন। তাই হ্যাকার দেখলে অনেকেই মনে করেন আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে দিবে এবং ভয় পান। ধারনাটি ভুল। হ্যাকিং একটি জ্ঞান, যা ভালোভাবে জানলে কেউ ই এর বাজে ব্যাবহার করতে চায় না।  তবে সাধারন মানের হ্যাকাররাই ফেসবুক আইডি সম্পর্কিত বিষয় গুলো নিয়ে পড়ে থাকে। প্রশিক্ষিত হ্যাকারদের কাছে নিজস্ব কোন পদ্ধতি থাকে। ইথিক্যাল / ভালো হ্যাকাররা ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কারো আইডি হ্যাক করবেন না। বর্তমানে ইথিক্যাল হ্যাকিং একটি জনপ্রিয় পেশা। তাই, সকল হ্যাকাররাই এখন ইথিক্যাল ভাবেই কাজ করে থাকে। খুবই সাধারন পদ্ধতি গুলোতেই ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়ে থাকে এর ফলে 


যেভাবে ফেসবুক আইডির নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবেন - 

# ফেসবুক আইডি হ্যাক এর হাত থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই আপনাকে যেভাবে ফেসবুক আইডি হ্যাক হচ্ছে তা ভালো ভাবে জানতে হবে। [ ইতিমধ্যেই আমরা সব গুলো পদ্ধতি নিয়েই আলোচনা করেছি।] 
তবে বাধ্যতামূলক ভাবে কিছু নিরাপত্তা নিশ্চিন্ত করতে হবে। তা হচ্ছে,
- কমন / সহজ পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- অহেতুক ফেসবুক এপ্লিকেশন ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- যেই মেইল এবং ফোন নাম্বার দিয়ে ফেসবুক আইডি সংযুক্ত তা উক্ত ফেসবুক আইডিতেই প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- লগিন এপ্রোভাল চালু করুন। [এতে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড কেউ জেনে গেলেও আপনার অনুমতি ছাড়া চালু করতে পারবে না।] 
[ লগিন এপ্রোভাল চালু করতে - facebook > setting > Security and Login > Use two-factor authentication > setup > on ]
- ট্রাস্টেড কন্ট্রাক্ট চালু করুন। এগুলো আপনার পরিচিতদেরকে নির্ধারন করুন। এতে আপনার আইডি স্প্যামাররা হ্যাক করতে পারবে না। অন্য কোন পদ্ধতিতে যদি হ্যাক এর শিকার হয় তাহলে যে কোন মূহুর্তে আপনি Trusted Contact এর সাহায্যের মাধ্যমে রিকভার করে নিতে পারবেন।


ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে রিকভার করার পদ্ধতি - 
হ্যাক হওয়ার পর আইডিটি উদ্ধার করতে কয়েক ধাপে কাজ করতে হয়। হ্যাক হওয়া আইডি ফিরে পাওয়ার উপায় তুলে ধরতে এ টিউটোরিয়াল।প্রথমে এড্রেস বার থেকে www.facebook.com/hacked এ লিংকে প্রবেশ করতে হবে।

এরপর My Account Is Compromised এ ক্লিক করতে হবে।

তারপর ফোন নম্বর, ই-মেইল কিংবা ইউজার নাম দিয়ে একাউন্টটি শনাক্ত করতে হবে।

এরপর নিরাপত্তামূলক কিছু প্রশ্ন জানতে চাওয়া হবে। কয়েক ধাপে সেগুলোর সঠিক তথ্য দিলে হ্যাক হওয়া আইডি ফিরে পাওয়া যাবে। তবে শর্ত একটিই একাউন্টের সব তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে। তবে উপরের দেওয়া নিরাপত্তা তথ্য অনুযায়ী আপনি ট্রাস্টেড কন্ট্রাক্ট এ আপনার পরিচিতদের দিয়ে রাখলে আপনি খুব সহজেই আইডি হ্যাক হলেও রিকভার করে নিতে পারবেন।

সাইবার জগতে সচেতন থাকুন, নিরাপদে বিচরণ করুন। এই প্রত্যাশাই রইলো।


লেখক - 

তানজিম আল ফাহিম 
সাবেক প্রধান পরিচালক - "সাইবার ৭১"
প্রধান নির্বাহী - "এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি"
ফেসবুক পেজ - http://www.facebook.com/TanjimOfficial