চ্যড হারলি, স্টিভ চ্যান ও বাংলাদেশি বংশদ্ভুত জাওয়েদ করিম ইউটিউবকে মূলত ডেটিং ওয়েবসাইট হিসেবে তৈরি করেন।  তেমনই ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, উইকিপিডিয়ার কার্যক্রম ছিল বর্তমান সময়ের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। 

ইউটিউব ছিল ডেটিং ওয়েবসাইটঃ 

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। কিন্তু সাইটটির তিন প্রতিষ্ঠাতা চ্যড হারলি, স্টিভ চ্যান ও বাংলাদেশি বংশদ্ভুত জাওয়েদ করিম ইউটিউবকে মূলত ডেটিং ওয়েবসাইট হিসেবে তৈরি করেন। তারা চেয়েছিলেন ব্যবহারকারীরা তাদের সম্পর্কে ভিডিও আপলোড করবেন এবং এর মাধ্যমে তারা তাদের পার্টনার খুঁজে নেবেন। কিন্তু প্রথম কয়েক মাসে কোনো নারীই তাদের ভিডিও আপলোড করেননি। এমনকি ভিডিও আপলোডের শর্তে ২০ ডলার দেওয়ার প্রস্তাবেও তাদের পরিকল্পনা সফলতার মুখ দেখেনি। তাই বাধ্য হয়েই উদ্যোক্তারা সব ধরনের ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে উন্মুক্ত করে দেয়।

ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটির পেছনে ছিলেন মূলত তিনজন প্রযুক্তিপ্রণেতা, পেপ্যাল প্রতিষ্ঠানের তিন প্রাক্তন চাকুরীজীবি চ্যাড হারলি, স্টিভ চ্যান আর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাভেদ করিম। তারা একসঙ্গে চাকরি করতেন। মাত্র কয়েক মাসের চেষ্টায় তৈরি হওয়া ইউটিউব ভিডিও ফাইলের আকার ছোট করে প্রদর্শনের বিশেষ প্রযুক্তির জন্য বিশ্বে অনন্য সাধারণ অবস্থান নিয়েছে। এখন ইউটিউবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ বিলিয়ন বার ভিডিও দেখা হয়। প্রতি মিনিটে আপলোড হয় ৪৮ ঘণ্টার ভিডিও। ১ কোটি ১৫ লাখ ডলারে নির্মাণ করা ইউটিউব এক বছরের মধ্যেই ১৬৫ কোটি ডলারে কিনে নেয় গুগল। ইউটিউব প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাওয়াদ করিম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ১৯৭৯ সালে পূর্ব জার্মানির মার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন জাভেদ করিম। তার বাবা বাংলাদেশের প্রবাসী বিজ্ঞানী নাইমুল করিম ও মাইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার বায়োকেমিস্ট্রির বিজ্ঞানী ক্রিস্টিনা করিম। নাইমুল করিম ১৯৯২ সালে সপরিবারে আমেরিকা পাড়ি দেন। ছোট বেলা থেকেই জাওয়াদ ছিলেন একটু চুপচাপ প্রকৃতির। কিন্তু চুপচাপ হলে কী হবে? তার মাথার মধ্যে সবসময় নানান ধরণের ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খেত। ছোটবেলা থেকেই আবিষ্কারের নেশা তাকে পেয়ে বসতো, আর তার ফলাফল আজকের এই ইউটিউব। জাওয়াদ করিমের ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত বেড়ে ওঠা জার্মানিতে হলেও পরবর্তীতে পড়ালেখা করেন আমেরিকায়। জাভেদ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানে তার স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছিলেন ২০০৫ সালে। জন্ম ও বেড়ে ওঠা:৯৭৯ সালে পূর্ব জার্মানির মার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন ইউটিউব প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ করিম। তার বাবা বাংলাদেশের প্রবাসী বিজ্ঞানী নাইমুল করিম ও মাইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটার বায়োকেমিস্ট্রির বিজ্ঞানী ক্রিস্টিনা করিম। নাইমুল করিম ১৯৯২ সালে সপরিবারে আমেরিকা পাড়ি দেন। ছোট বেলা থেকেই জাওয়াদ ছিলেন একটু চুপচাপ প্রকৃতির। কিন্তু চুপচাপ হলে কী হবে? তার মাথার মধ্যে সবসময় নানান ধরণের ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খেত। ছোটবেলা থেকেই আবিষ্কারের নেশা তাকে পেয়ে বসতো, আর তার ফলাফল আজকের এই ইউটিউব। জাওয়াদ করিমের ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত বেড়ে ওঠা জার্মানিতে হলেও পরবর্তীতে পড়ালেখা করেন আমেরিকায়। জাভেদ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানে তার স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছিলেন ২০০৫ সালে।
Photo source: wikipedia
ইউটিউবের শুরুর গল্প:কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ার পাশাপাশি ২০০৪ সালে পেপ্যালে চাকরি করার সময় চ্যাড হার্লি এবং স্টিভ চেনের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। স্টিভ ছিলেন একজন কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র। হার্লি মূলত পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিন জনই নতুন কিছু করতে চাইতেন। এমনকিছু করতে চাইতেন, যাতে পুরো পৃথিবী অবাক হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের মাঝে যোগাযোগ কম হওয়ায় সেই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত করতে একটু বেশি সময় লেগে যায়। ছোট বেলা থেকেই 
ইউটিউব প্রতিষ্ঠাতা জাভেদ করিম ছিলেন একটু চুপচাপ প্রকৃতির। কিন্তু চুপচাপ হলে কী হবে? তার মাথার মধ্যে সবসময় নানান ধরণের ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খেতো। ছোটবেলা থেকেই আবিষ্কারের নেশা তাকে পেয়ে বসতো, আর তার ফলাফল আজকের এই ইউটিউব।
 আইডিয়া হলো, অসামান্য প্রতিভাবান দুজন বন্ধু ও আছে, কিন্তু এরকম একটা সাইট চালাইতে অনেক টাকা দরকার, সেজন্য প্রয়োজন এমন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, যিনি টাকা ইনভেস্ট করবেন। ‘সেকুয়া ক্যাপিটাল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ১১.৫ মিলিওন ডলার ইনভেস্ট করলো। ব্যস! তারা শুরু করে দিলেন তাদের কাজ। ২০০৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারা youtube.com ডোমেইনটি নিবন্ধন করলেন। তিন প্রকৌশলী কয়েক মাসের মধ্যে এর কাজও শেষ করে ফেললেন। নভেম্বর মাসে ‘ব্রডকাস্ট ইওরসেলফ’ শ্লোগানে অফিশিয়ালি উন্মুক্ত করা হলো ইউটিউব সাইটটি। ইউটিউবে আপলোড করা প্রথম ভিডিও: ইউটিউবের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ভিডিওটি আপলোড করেছিলেন জাভেদ। সেটা ২০০৫ সালের ২৩ এপ্রিলের ঘটনা। ওইদিনই তিনি প্রথম তার ইউজার একাউন্ট ‘jawed’ তৈরি করেন। সেখানে ‘Me at the zoo’ নামের একটা ১৯ সেকেন্ডের পরীক্ষামূলক ভিডিও সম্প্রচার করা হয়। যা ছিল সান ডিয়াগোর এক চিড়িয়াখানায়, বয়স্ক হাতি মেসার সামনে। আর ভিডিওটি শ্যুট করেছিলেন তারই হাইস্কুলের বন্ধু ইয়াকভ লাপিস্কি। যিনি এখন টলেডো ইউনিভার্সিটির কেমিক্যান অ্যান্ড এনভয়রমেন্টাল ইঞ্জিনিয়রিংয়ের অধ্যাপক । ভিডিও কোয়ালিটি একটু বাজেই বলা যায়। অবশ্য আমার তিন বছর আগের ফোনের ক্যামেরার কোয়ালিটিই বাজে, আর ১৩ বছর আগের ভিডিও কোয়ালিটি তো খানিকটা বাজে হওয়াটাই স্বাভাবিক(!) অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত এই ভিডিওর ভিউ ছাড়িয়েছে ৫৫ মিলিয়ন, আর কমেন্ট ৯১৯,০০০! এখন ইউটিউবে প্রতি মিনিটে ১০০ ঘন্টার ও বেশী ভিডিও আপলোড করা হয় !!!!! ভিডিও লিংক: https://youtu.be/jNQXAC9IVRw কর্মজীবন: ইউটিউব প্রতিষ্ঠার পর জাওয়াদ করিম আবারো স্ট্যানফোর্ডে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশোনা শুরু করেন। ইউটিউবের পরামর্শক হিসেবে তখন তিনি দায়িত্বরত ছিলেন। যখন ওয়েবসাইটটি পরিপূর্ণভাবে লঞ্চ করা হয়, তখন নিজেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখেন জাওয়াদ। নিজের পড়াশোনায় বেশি ফোকাস করে প্রতিষ্ঠানটির অনানুষ্ঠানিক পরামর্শক হিসেবে বাইরে থেকে কাজ করতেন তিনি। তিনি ২০০৭ সালের ১৩ই মে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বক্তৃতা দেন যেখানে তিনি তাঁর জীবনের উত্থান পতন এবং ইউটিউব তৈরির বিষয়টি তুলে ধরেন। বক্তৃতাটি হলো- “সবারই সম্ভবত ইউটিউব নিয়ে পছন্দ-অপছন্দের মিশ্র অনুভূতি আছে। কারণটা মনে হয় ইউটিউব নিজেই। একদিকে ইউটিউব যেমন প্রত্যেককে রাত জেগে নতুন সব ভিডিও দেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। ঠিক উল্টোভাবে বলা যায়, রাতের পর রাত এসব ভিডিও দেখার কারণে ইউটিউব তোমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে। আমি এ সুযোগে, ইউটিউবের কারণে যাদের সিজিপিএ গ্রেড কমে গেছে তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। অনেকে হয়তো জেনে খুশিই হবে যে ইউটিউব তোমাদের থেকে আমার বেশি সময় নষ্ট করেছে! যে কারও থেকে বেশি সময় ভিডিও দেখার জন্য বেশি সময় নষ্ট হয়েছে। অনেকে খেয়াল করেছ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে যেসব বক্তা আসেন তাদের মধ্যে আমি সর্বকনিষ্ঠ। এর ভালো-মন্দ দুটো দিকই আছে। খারাপ দিক হলো, বয়সের কারণে আমি তোমাদের জীবন সম্পর্কে গভীর কোনো দর্শনের ধারণা দিতে পারব না। না পারার কারণ হিসেবে বলা যায় আমি নিজেই সেই ধারণা খুঁজে বেড়াচ্ছি। ভালো দিক হলো তোমরা এবং আমি বয়সে একই প্রজন্মের। তার মানে দাঁড়ায়, আমি যে সুযোগ পেয়েছি, যা শিখতে পেরেছি, তা এখনো প্রয়োগ করার সুযোগ আছে। তিন বছর আগে আমি যে সুযোগ পেয়েছি, যেসব ধারণা প্রয়োগ করেছি তা তোমরা এখনো একইভাবে প্রয়োগ করার সুযোগ ও সময় পাবে।
ইউটিউব প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাওয়াদ করিম

 মিনেসোটার হাইস্কুলে পড়ার সময় আমি পৃথিবীর প্রথম জনপ্রিয় ইন্টারনেট ওয়েব ব্রাউজার মোজাইকের কথা শুনি এবং ব্যবহারের সুযোগ পাই। আমি ম্যাপ নিয়ে ইলিনয় খুঁজে বের করি এবং খেয়াল করি জায়গাটা মিনেসোটা থেকে বেশি দূরে নয়। তখনই আমার মাথায় নতুন চিন্তা ঢুকে গিয়েছিল। জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার যদি আমারই বাড়ির আঙিনার লোকজন উদ্ভাবন করে, তাহলে আমি অন্য কোথাও কেন যাব? সেই সময় আমি কোনো চিন্তা না করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, আমাকে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেই হবে। আমি হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অপেক্ষায় ছিলাম কর্তৃপক্ষের চিঠির জন্য। খুব দ্রুতই আমি উত্তর পাই, কিন্তু সে উত্তর ছিল আমার জন্য হতাশাজনক। আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলা হয়, কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে আমি ভর্তি হতে পারব না। ওই বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পূর্ণ হওয়াতে আমার ভর্তির সুযোগ নেই। কিন্তু আমি সিরামিকস প্রকৌশল বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাব। আমি বলতে চাই না, সিরামিকস বা মৃৎশিল্পের কোনো ভবিষ্যৎ নেই কিন্তু আমি তো এর জন্য আবেদন করিনি, স্বপ্ন দেখিনি। পুরোপুরি হতাশ হয়েছিলাম আমি। তো আমি তখন কী করতে পারি? আমি পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখি এবং কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনা করা যায় কি না তা জানতে চাই। আমি সেই চিঠিতে লিখেছিলাম, ‘কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ থাকবে আমার আবেদনপত্রের কোনো বিষয়ই যেন উপেক্ষা না করা হয়। আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি আমি কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার জন্য আগ্রহী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী।’ আমার আবেদন পুনরায় বিবেচনা করা হয় এবং আমি কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়ার সুযোগ পাই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের আমার প্রথম শিক্ষা ছিল কোনো কিছুর প্রতি নাছোড়বান্দার মতো লেগে থাকলে তা চূড়ান্ত ফল আনবেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরেই আমি এক প্রতিষ্ঠিত ইন্টারনেট ভিত্তিক অর্থ লেনদেনের কোম্পানিতে চাকরির সুযোগ পাই। মনে হচ্ছিল, চাকরিটা আমার জন্য বড় একটা সুযোগ। আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না পড়াশোনা বাদ দিয়ে কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার সুযোগটা গ্রহণ করা ঠিক হবে কি না? আমি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে দুসপ্তাহ সময় নিই। পরে পড়াশোনায় বিরতি দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়াতে পেপ্যাল সদর দপ্তরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমার মতে, যখন ঝুঁকি গ্রহণের সুযোগ পাবে তা অবহেলা করো না। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ভারত মহাসাগরে সুনামি আঘাত আনে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ধারণ করা সুনামির ভিডিওগুলো খুব দ্রুত গতিতে ইন্টারনেট ভুবনে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ইন্টারনেটে কোনো সক্রিয় সাইট ছিল না, যেখান থেকে ভিডিওগুলো সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়, দেখা যায়। এলোমেলোভাবে বিভিন্ন সাইটে অপরিকল্পিতভাবে ভিডিওগুলো সংরক্ষণ করা হয়, ভিডিও শেয়ার করার কোনো ভালো সাইট ছিল না। ই-মেইলেও সংযুক্ত করে ভিডিওগুলো পাঠানো যেত না। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ভিডিওগুলো দেখার জন্য তোমাকে প্রথমেই একটি ভিডিও প্লেয়ার ইন্সটল করতে হতো। ইন্সটলের পর সবচেয়ে বড় কাজ ছিল বাড়ির লোকজনকে তা চালানো শেখানো। ইন্টারনেটে ভিডিও দেখার এই সমস্যাগুলো সমাধানের উপযুক্ত সময় ছিল তখন। সুনামির দুই মাসের মধ্যেই ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি ও পেপ্যালের দুজন সহকর্মী ভিডিও শেয়ার ও সংরক্ষণের একটি ওয়েবসাইট তৈরির পরিকল্পনা করি। আমরা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের দিনে কাজ শুরু করি। ভ্যালেন্টাইনের দিন বলে কি কাজ বন্ধ থাকবে নাকি? এটাও তো অন্য একটা সাধারণ দিনের মতোই, তাহলে সেদিনই নয় কেন? ২৩ এপ্রিল ইউটিউব ডট কম নামের ওয়েবসাইট আমরা উন্মুক্ত করি। শুরুর দিকে আমাদের ওয়েবসাইট খুব কম জনই ব্যবহার করছে। অন্যদের আগ্রহ বাড়ানোর জন্য আমরা সাইটটিকে নতুন ধরনের ডেটিং সাইট বলে প্রচার করি। আমরা একটি স্লোগানও ঠিক করি: ‘টিউন ইন, হুক আপ’। আমরা কিছু আসল ডেটিং ভিডিও দেখে হতাশ হয়ে উঠেছিলাম। তাই আমরা এখানে সব ধরনের ভিডিও আপলোডের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠি। আমরা লস অ্যাঞ্জেলেস ও লাস ভেগাসের মেয়েদের উৎসাহিত করলাম আমাদের সাইটে ভিডিও আপলোডের জন্য। আমরা প্রতি ভিডিওর জন্য তাদের ২০ ডলার পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করলাম। আমাদের এই ঘোষণায় কেউ সাড়া না দিলে পুরস্কার ঘোষণা মাঠে মারা যায়! আমরা ওয়েবসাইট নিয়ে নতুন চিন্তা শুরু করলাম। পরে জুন মাসেই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক পরিবর্তন আনলাম। সাধারণ একটা রূপ দেওয়ার চেষ্টা করলাম, যেন সব ব্যবহারকারী খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারে। প্রতিষ্ঠার ১৮ মাসের মধ্যেই আমাদের ওয়েবসাইট নিয়ে আমরা আলোচিত হই। সাধারণ মানুষের কাছে আমরা খবরের শিরোনাম হই। তাদের অনেকের জিজ্ঞাসা ছিল, কীভাবে এ ধরনের আইডিয়া আমরা কোথা থেকে পেলাম। আমি তাদের সব সময় একটাই কথা বলি। চারদিকে সব সময়ই মেধাবী মানুষ থাকে, খুঁজে বের করতে হয় তাদের।
 তোমরা যখন এই হল থেকে বের হয়ে যাবে, তখন একটা কথাই মনে রাখবে। পৃথিবী তোমার জন্য অপেক্ষা করছে নতুন কোনো বড় উদ্যোগ সুযোগ সৃষ্টির জন্য। সবাইকে অভিনন্দন।
সূত্রঃ ইন্টারনেট 

ইথিক্যাল হ্যাকিং কিংবা সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আগ্রহীরা আগামী ২৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ শনিবারে আয়োজিত ইথিক্যাল হ্যাকিং কনফারেন্সে যোগদান করতে পারবেন। Speaker হিসেবে উপস্থিত থাকছেন "সাইবার ৭১" এর প্রতিষ্ঠাতা সহ এরিনা ওয়েব টেকনোলোজির সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা।


কনফারেন্সের বিষয় সমূহঃ
 হ্যাকারদের নিয়ে বিস্তারিত তথ্যাবলী।
 কিভাবে ব্রুট ফোর্স আক্রমন হয়ে থাকে।
 আইপি ক্যামেরা, ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক নিয়ে তথ্যাবলী।
 মোবাইল ম্যালওয়ার। অসতর্ক হলে হ্যাকার আপনার মোবাইলকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
 কিভাবে হ্যাকার আপনার ব্যাক্তিগত তথ্যাদি হাতিয়ে নিতে পারবে।
 ফেসবুক একাউন্ট যে সকল ভূলের কারণে হ্যাক হয়ে থাকে।
 কিভাবে আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের নিরাপত্তা প্রদান করবো।
 ফেসবুক আইডিতে সমস্যা হলে যে পদ্ধতিতে সমাধান করা যায়।
 ইথিক্যাল হ্যাকাররা কিভাবে আয় করে থাকে। কোন কোন প্লাটফর্মে তারা কাজ করে থাকে। তাদের কাজের ধরণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
 কিভাবে আপনি সাইবার নিরাপত্তা এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে পারবেন।

এছাড়াও রয়েছে ১৫ মিনিট প্রশ্নোত্তর পর্ব, যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রশ্ন গুলোর উত্তর জেনে নিতে পারবেন।
আসন সংখ্যাঃ ৫৫ টি।
তারিখঃ ২৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ [ শনিবার ]
সময়ঃ সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত।
ঠিকানাঃ এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি
বি/১, প্রধান সড়ক, বনশ্রী, ঢাকা।
গুগল ম্যাপঃ Arena Web Security

আগ্রহীদের অবশ্যই প্রি রেজিস্ট্রেশন করে আসতে হবে। বিস্তারিত শর্তাবলী রেজিস্ট্রেশন ফর্মেই উল্লেখ করা রয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন লিংকঃ  https://docs.google.com/forms/d/1pNnMy1ppaH3vZPUhjw_i-6OnbD0OrRfc_4v7WV3liV4



এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির ইথিক্যাল হ্যাকিং কোর্স সম্পর্কে কিছু প্রশ্নোত্তরঃ
সহজ কিছু প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্নঃ এরিনা সিকিউরিটি কি?
~ এরিনা সিকিউরিটি হচ্ছে একটি ওয়েব সিকিউরিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যেখানে একজন আগ্রহী শিক্ষার্থীকে একেবারে বেসিক লেভেল থেকে শুরু করে ওয়েব সিকিউরিটি সেক্টরে দক্ষ করে গড়ে তুলতে সহায়তা করা হয়।

প্রশ্নঃ এরিনা সিকিউরিটির প্রধান লক্ষ্য কি?
~ বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সেক্টরে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেশে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কমার্শিয়াল সেক্টরের জন্য উপযোগী হয়ে গড়ে উঠা যোগ্য সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ নেই যারা এই মার্কেটপ্লেস গুলো দখল করতে পারবে।
তাই আমাদের এরিনা সিকিউরিটির কার্যক্রম শুরু করা। এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের এই সেক্টরের জন্য উপযোগী যোগ্য কয়েকজন সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞকে গড়ে তুলতে পারবো বলে আশাবাদী।

প্রশ্নঃ "এরিনা সিকিউরিটি"তে কারা কার্যক্রম পরিচালনা করে?
~ "সাইবার ৭১" এর সাবেক পরিচালক সহ কয়েকজন দেশসেরা ওয়েব সিকিউরিটি স্পেশালিষ্টরা মিলেই এরিনা ওয়েব সিকিউরিটির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

প্রশ্নঃ শিক্ষার্থীদের কোর্স শেষে কি অতিরিক্ত ভাবে সাপোর্ট / সহযোগিতা করা হয়?
~ হ্যা, দুই মাসের কোর্স শেষে অতিরিক্ত ভাবে দুই মাসের ইন্টার্নি প্রজেক্ট করা হয়েছে যেখানে সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে তৈরি করা ছাড়াও কমার্শিয়াল সেক্টর এবং মার্কেটপ্লেস গুলোতে যোগ্য হিসেবে তৈরি করে তোলার জন্য বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করা হয়।
টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাক ডরসির টুইটার অ্যাকাউন্ট কিছু সময়ের জন্য হ্যাকড হয়েছিল। ‘চাকলিং স্কোয়াড’ নামের একটি হ্যাকার দল জ্যাক ডরসির অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার দাবি করেছে। ৪০ লাখের বেশি অনুসারী হয়েছে ওই প্রোফাইলে। হ্যাকড হওয়ার পর ওই অ্যাকাউন্ট থেকে অত্যন্ত আপত্তিকর এবং বর্ণবাদী মন্তব্য করা হয়। ওই প্রোফাইল প্রায় ১৫ মিনিট হ্যাকারদের দখলে ছিল বলে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
জ্যাক ডরসি - টুইটার।

টুইটার কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের নিজস্ব সিস্টেমে ঢুকতে পারেনি হ্যাকাররা। এর জন্য একটি মোবাইল অপারেটর দায়ী। তবে ওই মোবাইল অপারেটরের নাম প্রকাশ করেনি তারা।
টুইটারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মোবাইল অপারেটরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের সুযোগে টুইটার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে থাকা ফোন নম্বর আগে হ্যাক করা হয়। এতে অননুমোদিত ব্যক্তি ফোন নম্বর থেকে টেক্সট বার্তার মাধ্যমে টুইট করতে পেরেছে। এ সমস্যা এখন সমাধান করা হয়েছে।
টুইটারের একটি সূত্র বলেছে, হ্যাকারা ‘সিমসোয়াপিং’ বা ‘সিমজ্যাকিং’ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে জ্যাক ডরসির অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ পদ্ধতিতে বর্তমান ফোন নম্বরকে নতুন একটি সিমকার্ডে স্থানান্তর করা হয়। অনেক সময় মোবাইল অপারেটরের কোনো কর্মীকে ঘুষ দিয়ে বা ফাঁদে ফেলে এ ধরনের কাজ করতে পারে দুর্বৃত্তরা। ডরসির ক্ষেত্রে মোবাইল নম্বর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর টেক্সট বার্তা ব্যবহার করে সরাসরি টুইট পোস্ট করতে পেরেছে হ্যাকাররা।
মোবাইল ফোন থেকে টুইট করার অপশনটি এখনো চালু রেখেছে টুইটার। কারণ, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ডেটার দাম বেশি হওয়ায় সেখানে বার্তার মাধ্যমেই টুইট করার সুবিধাটি রয়েছে।
জ্যাক ডরসির অ্যাকাউন্ট থেকে করা একটি টুইটে লেখা হয়েছে, তাদের প্রধান কার্যালয়ে বোমা পেতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হলোকাস্ট নিয়ে আপত্তিকর টুইট করা হয়।
হ্যাকাররা একটি ওয়েবসাইট চালু করে সেখানে হ্যাকিং নিয়ে আলোচনা ও কৌতুক শুরু করে। পরে অবশ্য সেটি বন্ধ করে দিয়েছে।
সম্প্রতি চাকলিং স্কোয়াডের পক্ষ থেকে হাই-প্রোফাইল বেশ কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিউটি ভ্লগার জেমস চার্লস, ইউটিউবার ডেসমন্ড অ্যামোফা প্রমুখ।
টুইটারের বাইরে থেকে কেউ তাদের নিরাপত্তা ভেঙে ফেলছে। এ ঘটনা তাদের জন্য বিব্রতকর। টুইটারে বিশ্বের বড় বড় রাজনৈতিক নেতার প্রোফাইল রয়েছে। সূত্রঃ প্রথম আলো।

Ethical Hacking Conference, Dhaka

ভারতের এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ স্লোগান দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের সেরাইকেলা এলাকায় মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে শামস তাবরেজ নামের ২৪ বছরের ওই তরুণের ওপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। পরে উত্তেজিত জনতা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। একটি পিলারের সঙ্গে বেঁধে টানা সাত ঘণ্টা তাঁকে বেধড়ক লাঠি, চড় ও ঘুসি মারা হয়। সেইসঙ্গে জোর করে ওই যুবককে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ স্লোগান দিতে বলা হয়।
সন্ধ্যা থেকে প্রায় রাতভর মারধরের শিকার হয়ে শেষমেশ অচেতন হয়ে পড়েন শামস। পরবর্তী সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
শামস তাবরেজ নামের যুবককে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় জেলা পুলিশের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে অজ্ঞাতনামা হ্যাকাররা। এতে আসামীদের শাস্তির দাবী করা হয়েছে এবং ভারতে ধর্মীয় দাঙ্গায় হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পুলিশকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওয়েবসাইট লিংকঃ http://khargonepolice.org/
মিরর লিংকঃ  https://mirror-h.org/zone/2237608/

ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখুনঃ হ্যাকিং শুধু নেশাই নয়, বরং জনপ্রিয় এবং সম্মানজনক পেশা হিসেবে পরিণত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হওয়া সত্ত্বেও অভাব রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ছাড়া বাংলাদেশে সহ উন্নত বিশ্ব গুলোর জব সেক্টরেও রয়েছে এর প্রচুর চাহিদা। তাই, দক্ষ সাইবার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে অনলাইনে যে কোন জায়গা থেকেই সাইবার সিকিউরিটির উপর সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রবেশ করুন এই সম্ভাবনাময় জগতে। 

কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত  বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।  





নিরাপদ এবং নৈতিকভাবে সংবেদনশীল অনলাইন অভিজ্ঞতা দিতে বাজারে আসছে ‘হালাল’ ব্রাউজার। সালাম ওয়েব নামের একটি মালেশিয়ান প্রতিষ্ঠান মুসলমানদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এটি তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলমানকে লক্ষ্য করে। এই ব্রাউজারে এমন ব্যবস্থা থাকবে যেখানে ভৌগোলিক সীমা ধরে নামাজের সময় দেখাবে। এতে থাকা কম্পাস কেবলার দিক জানাবে। এমনকি নামাজের সময় যদি আপনি কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে যান তাহলে সেটা যে ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী নিষিদ্ধ সেটিও জানিয়ে দেবে।

ব্রাউজারটি হবে বহুভাষিক। যেখানে ইংরেজি, মালোয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ান ভাষা বাহাসা, বাংলা, উর্দু এবং আরবি ভাষার বিভিন্ন সংস্করণ থাকছে।
সালাম ওয়েবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজ্জা হাসনি জরিনা বলেন, নতুন প্রজন্মের অনেকেই যেমন প্রযুক্তিকে ভালোবাসে, তেমনি আবার তারা ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী চলার চেষ্টাও করেন। ফলে আমরা চাই তাদের সেই অভিজ্ঞতা যেন আরো ভালো হয়।

ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখুনঃ হ্যাকিং শুধু নেশাই নয়, বরং জনপ্রিয় এবং সম্মানজনক পেশা হিসেবে পরিণত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হওয়া সত্ত্বেও অভাব রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ছাড়া বাংলাদেশে সহ উন্নত বিশ্ব গুলোর জব সেক্টরেও রয়েছে এর প্রচুর চাহিদা। তাই, দক্ষ সাইবার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে অনলাইনে যে কোন জায়গা থেকেই সাইবার সিকিউরিটির উপর সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রবেশ করুন এই সম্ভাবনাময় জগতে। 

কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত  বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।  


ওপেন সোর্স ইন্টিলিজেন্স ধারাবাহিক বেসিক ট্রেনিংঃ Online Location Tracking.
[কোন নাম্বার থেকে মিসকল / থ্রেটকল / হুমকি কিংবা অশ্লীল বার্তা পেয়ে থাকলে যেভাবে খুঁজে বের করবেন।]
কোন নাম্বার থেকে মিসকল / থ্রেটকল / হুমকি কিংবা অশ্লীল বার্তা পেয়ে থাকলে ব্লক করে দেওয়াকেই আমরা সমাধান মনে করে থাকি। এক্ষেত্রে অপরাধীরা অপরাধ করেও রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে, আমাদেরকে বানাচ্ছে বোকা।
আসুন, আমরা জেনে নিচ্ছি ওপেন সোর্স ইন্টিলিজেন্স এর মাধ্যমে আপনি নিজেই কিভাবে তার মোবাইল নাম্বারের তথ্য খুঁজে বের করবো তা নিয়ে বিস্তারিত।
১ম কাজঃ প্রথমে "True caller" নামে গুগল প্লে স্টোরে জনপ্রিয় একটি এপস রয়েছে , সেটা ডাউনলোড করে নেট কানেকশন অন করে নাম্বারটা লিখলে আপনি তার নাম পেয়ে যাবেন। 
তবে, অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ চালু রেখে সার্চ করতে হবে। আমাদের অনেকের ই ধারণা ট্রু কলার ভালো ভাবে কাজ করে না... কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকে বিধায় কোন অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলে তার তথ্যাবলী পাই না।

ট্রু কলার ছাড়াও "EYECON" নামে আরো একটি কার্যকরী এপস আছে প্লে স্টোরে। ব্যাবহার করে দেখতে পারেন।


২য় কাজঃ নাম্বারটি ফেসবুক মেসেঞ্জারে সার্চ করে আপনি কিন্তু তার প্রোফাইল লিংকটাও পেয়ে যাবেন।
ফেসবুকে নাম্বার দিয়ে সার্চ করার অপশনটি বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু নাম্বারটি যদি ফেসবুক মেসেঞ্জার দিয়ে সার্চ করলে সেই নাম্বারে কোন ফেসবুক আইডি থাকলে পেয়ে যাবেন। [৯৫% ক্ষেত্রেই নাম্বারের ক্ষেত্রে ফেসবুক আইডি পাওয়া যায়।]
ছবিতে লাল অংশে আপনি আপনার নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বারটি লিখলেই সেই নাম্বারের সাথে যুক্ত থাকা ফেসবুক আইডিটিতি পেতে পারেন। 

এবার আপনি নিন্মোক্ত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে ফেসবুক থেকেই তার Location / অবস্থান খুঁজে বের করতে পারবেন।
💻 ফেসবুকে যদি কেউ হুমকি দেয় কিংবা অশ্লীল বার্তা পাঠায় অথবা ফেক আইডি খুলে তাহলে তাকে খুঁজে বের করার উপায়।
প্রথমে, grabify.link ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কোন একটি ছবিকে সংযুক্ত করুন। [খুবই সহজ কার্যপদ্ধতি]
অতঃপর, লিংকটি টার্গেটকে পাঠিয়ে দিলে টার্গেট ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনি তার আইপি এড্রেস পেয়ে যাবেন।

আইপি এড্রেস থেকে কিভাবে তার বাসার ঠিকানা খুঁজে বের করবেন এই নিয়ে চিন্তায় আছেন। তাই তো?
এটাও খুঁজে বের করতে পারবেন সহজেই।
whatismyipaddress.com/ip-lookup ওয়েবসাইটে গিয়ে আইপি লিখলেই আপনি গ্রাহকের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের তথ্যাবলী সহ ম্যাপে তার অবস্থান পেয়ে যাচ্ছেন।
[আপনার আইপি দিয়েই একটা ট্রাই করে দেখুন।] 
ওহ হো, বলতেই ভূলে গিয়েছি। কিভাবে আপনার আইপি খুঁজে বের করবেন সেটাই তো জানানো হয় নি।
খুবই সহজ। গুগলে গিয়ে what is my ip লিখে সার্চ করলেই চলে আসবে আপনার আইপি এড্রেসটি।
এবার টার্গেটের আইপি এড্রেস সহ বাসার ঠিকানা পেয়ে গেলে একসাথে গিয়ে চা - পানি খেয়ে আসুন।  আর যদি থ্রেটকল হয় পুলিশ সহ গিয়েই মামাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসুন। আগামী পর্বে থাকবে কিভাবে হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে বের করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত। 

ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখুনঃ হ্যাকিং শুধু নেশাই নয়, বরং জনপ্রিয় এবং সম্মানজনক পেশা হিসেবে পরিণত হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে সাইবার নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হওয়া সত্ত্বেও অভাব রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ছাড়া বাংলাদেশে সহ উন্নত বিশ্ব গুলোর জব সেক্টরেও রয়েছে এর প্রচুর চাহিদা। তাই, দক্ষ সাইবার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে অনলাইনে যে কোন জায়গা থেকেই সাইবার সিকিউরিটির উপর সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রবেশ করুন এই সম্ভাবনাময় জগতে। 

কোর্স সম্পর্কে বিস্তারিত  বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।