গত বছর সারা বিশ্বে  HummingBad নামের একটি অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর ম্যালওয়্যার ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। যেটি বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮৫ মিলিয়ন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসকে আক্রান্ত করেছে।  ৪৬ টি এপ্লিকেশনের মধ্যে এই ভাইরাসটি পাওয়া যায়, যার মধ্যে ২০ টি এপ্লিকেশন এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছে যাতে করে  সেটি অনায়াসে গুগল সিকিউরিটি চেক প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে পারে। এ যাবত কালের সকল অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার ভাইসার গুলোর মধ্যে HummingBad এক মাত্র ভাইরাস যার দ্বারা এত বিশাল পরিমাণ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস আক্রান্ত হয়েছে।
সব থেকে মজার ব্যাপার হলো এই ভাইরাসটি তেমন বড় ধরনের ক্ষতি বা তথ্য চুরির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো না। এটি ব্যবহার করা হতো অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে বিভিন্ন অনাকাক্ষিত অ্যাপ ডাউনলোড করে ইন্সটল করা এবং অ্যাড বসিয়ে তা থেকে ইনকাম করার কাজে। যার ফলসরূপ এই HummingBad এর নির্মাতা এটি থেকে প্রতি মাসে ইনকাম করেছেন প্রায় ৩ লক্ষ ডলার।
সর্বপ্রথম এই ভাইরাসটি সনাক্ত হয় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে।
২০১৬ সালের একটি চেকপয়েন্ট রিপোর্টে দেখা গেছে Yingmob নামের একটি চীনা বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান এই ভাইরাস তৈরীর ক্ষেত্রে অন্তরালে প্রধান পৃষ্টপোষক হিসেবে কাজ করে। চেকপয়েন্ট রিপোর্টে থেকে আরো জানা যায় যে এই HummingBad নামক ভাইরাসটি প্রায় ২০০ টা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে এই ভাইরাস জুরে দিয়ে এর নির্মাতা প্রতিমাসে ৩ লক্ষ ডলার আয় করতেন।


HummingBad এর নতুন সংস্করনঃ-
সম্প্রতি অনুসন্ধানকারীরা দাবী করছেন আরো ২০ টি অ্যাপ্লিকেশনে তারা এই HummingBad এর নতুন সংস্করন খুজে পেয়েছেন। যার নাম দেয়া হয়েছে HummingWhale। এটির কাজও ঠিক আগের মতোই। প্রথমত এটি ব্যবহার কারীকে অনাকাক্ষিত এড প্রদর্শন করবে তারপর ব্যবহারকারি যদি সেটি বন্ধ করার জন্য সরিয়ে দেন তারপরও সেটি মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ডে বিনা অনুমতিতে বিজ্ঞাপনদাতা কম্পানির অ্যাপ ইন্সটল করে দিবে। আর এই Pay-per-install Affiliate প্রোগ্রামের এর মাধ্যমে ভাইরাস নির্মাতা লক্ষ লক্ষ ডলার ইনকাম করে যাবে।


যে এপস গুলো দিয়ে তারা ম্যালওয়ার কোডের মাধ্যমে গ্রাহকের অনিচ্ছাকৃত ভাবেই আয় করতোঃ 
  • com.bird.sky.whalecamera – Whale Camera
  • com.op.blinkingcamera – Blinking Camera
  • com.fishing.when.orangecamera – Orange Camera
  • com.note.ocean.camera – Ocean camera
  • com.family.cleaner – Cleaner: Safe and Fast
  • com.wall.fast.cleaner – Fast Cleaner
  • com.blue.deep.cleaner – Deep Cleaner
  • com.color.rainbow.camera – Rainbow Camera
  • com.ogteam.love.flashlight – com.qti.atfwd.core
  • com.wall.good.clevercamera – Clever Camera
  • com.well.hot.cleaner – Hot Cleaner
  • com.op.smart.albums – SmartAlbums
  • com.tree.tiny.cleaner – Tiny Cleaner
  • com.speed.top – Topspeed Test2
  • com.fish.when.orangecamera – Orange Camera
  • com.flappy.game.cat – FlappyCat
  • com.just.parrot.album – com.qti.atfwd.core
  • com.ogteam.elephanta.album – Elephant Album
  • gorer – File Explorer
  • com.with.swan.camera – Swan Camera
  • com.touch.smile.camera – Smile Camera
  • com.air.cra.wars – com.qti.atfwd.core
  • com.room.wow.camera – Wow Camera-Beauty,Collage,Edit
  • com.start.super.speedtest – com.qti.atfwd.core
  • com.best.shell.camera – Shell Camera
  • com.ogteam.birds.album – com.qti.atfwd.core
  • com.tec.file.master – File Master
  • com.bird.sky.whale.camera – Whale Camera
  • cm.com.hipo rnv2 – HiPo r n
  • com.wind.coco.camera – Coco Camera
  • global.fm.filesexplorer – file explorer
  • com.filter.sweet.camera – Sweet Camera
  • com.op.blinking.camera – Blinking Camera
  • com.mag.art.camera – Art camera
  • com.cool.ice.camera – Ice Camera
  • com.group.hotcamera – Hot Camera
  • com.more.light.vpn – Light VPN-Fast, Safe,Free
  • com.win.paper.gcamera – Beauty Camera
  • com.bunny.h5game.parkour – Easter Rush
  • com.fun.happy.camera- Happy Camera
  • com.like.coral.album – com.qti.atfwd.core
  • com.use.clever.camera – Clever Camera
  • com.wall.good.clever.camera – Clever Camera
কোন সাইট ঘাটাঘাটি করছেন। এমন সময় অজান্তেই কোন ভাইরাস আপনার পিসিতে প্রবেশ করে সকল কিছুর এক্সেস পেয়ে গেলো তা চাইবেন না নিশ্চয়ই?

তাই, পিসিকে ভাইরাসের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে নিজেই বন্ধ করে নিতে পারেন অটোরান ফিচারটি।

প্রথমে আপনার কম্পিউটারের নোট প্যাড ওপেন করে সেখানে কোড গুলো paste করে দিন।

REGEDIT4
[HKEY_LOCAL_MACHINE\SOFTWARE\Microsoft\Windows NT\CurrentVersion\IniFileMapping\Autorun.inf]
@="@SYS:DoesNotExist"




ফাইলটিকে এবার .reg এক্সেনশন দিয়ে সেভ করে নিন। যেমন, আমারটা ebangla.reg নামে সেভ করেছি।
 এবার এই ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করে marge করে নিন। তাহলেই আপনার পিসি থেকে অটোরান ফিচারটি বন্ধ হয়ে যাবে। 

প্রিয় টেক পিপাসুরা। আশা করি ভালো আছেন।

ই বাংলা  ডট টেক এর হ্যাকিং / ক্র্যাকিং সিরিজে আপনাকে স্বাগতম। আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি এমন একটি টুলস যার মাধ্যমে আপনি হাতিয়ে নিতে পারবেন যে কারো ব্রাউজারে সেভ করা সকল পাসওয়ার্ড।

প্রথমে এই লিঙ্কটি থেকে টুলসটি সেটাপ করে নিন। [ চিন্তার কারন নেই, এন্টি ভাইরাস সচল রেখেই টুলসটি ব্যাবহার করতে পারবেন।
 
সেটাপ করা শেষ হলে নিন্মোক্ত ছবিটির মতো শুধু "Get Recovery" তে ক্লিক করলেই পাসওয়ার্ড লিস্ট চলে আসবে ফেসবুক / ইয়াহু / জিমেইল সহ সকল ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড গুলো ইউজার নেম  এবং ইমেইল সহ।


কিভাবে নিরাপদ থাকবেন এ ধরণের আক্রমন থেকে?

- অবশ্যই কম্পিউটার / ল্যাপটপে ইউজার একাউন্ট ব্যাবহার করুন পাসওয়ার্ড সহ।
- ব্রাউজারে মাস্টার পাসওয়ার্ড ফিচারটি চালু রাখুন।


[ বিশেষ সতর্কতাঃ টুলসটি ব্রাউজারের কুকিজ থেকে পাসওয়ার্ড গুলো সংগ্রহ করে থাকে। সুতরাং, এর যে কোন অসাধু ব্যাবহারের দায়ভার ই বাংলা ডট টেক টীমের নয়। আমাদের হ্যাকিং / ক্র্যাকিং সিরিজের প্রতিটি পোস্ট শুধুমাত্র শিক্ষার উদ্যেশেই দেওয়া হয়, অসাধু ব্যাবহারের জন্য নয়।]
বর্তমান বিশ্বে তথ্য খুঁজে পেতে গুগলের বিকল্প পাওয়া কঠিন। ইয়াহু কিংবা মাইক্রোসফটের বিং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও গুগলই এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। প্রতিনিয়ত আমরা গুগলে অনেক কিছুই সার্চ করে থাকি, কিন্তু সবসময়ই কি কাঙ্খিত উত্তরটি খুঁজে পাই? গুগল সার্চ করে দরকারী তথ্য খুঁজে পেতে আমরা কিছু টিপস এবং ট্রিকস এখানে শেয়ার করছি যা আপনাকে কাঙ্খিত বিষয় খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।


নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মধ্যে তথ্য খোঁজা

কোনো বিষয়ে নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইটে তথ্য খুঁজতে চাচ্ছেন? অনেক সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মধ্যে দেয়া বিল্ট-ইন সার্চ সুবিধাটি খুব একটা পারদর্শী হয়না। সেক্ষেত্রে গুগলে এভাবে লিখুন যা খুঁজতে চান site:সাইটের ঠিকানা
উদাহরণঃ আপনি যদি বাংলাটেক২৪ ডটকম ওয়েবসাইটে আইফোন সম্পর্কে সকল তথ্য খুঁজতে চান, তাহলে গুগলে এটা লিখে সার্চ করুন iphone site:ebangla.tech

সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয় খুঁজতে

আপনি যদি সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে তথ্য খুঁজতে চান তাহলে কোটেশন ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, Amazon Echo review লিখে সার্চ দিলে গুগল আপনাকে ৩৭ মিলিয়ন রেজাল্ট দেখাবে। আর যদি “Amazon Echo review” লিখে সার্চ দেন তবে এটি আপনাকে আরো সংক্ষেপে ১,২৮,০০০ রেজাল্ট দেখাবে।

বিষয় নির্দিষ্টকরণ

মনে করুন আপনি jaguar car খুঁজতে চান। সেক্ষেত্রে শুধু jaguar লিখে সার্চ করলে আপনি জাগুয়ার পশু সম্পর্কিত লিংক/ছবিও দেখতে পাবেন। এজন্য আপনাকে car বিষয়টি উল্লেখ করে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে jaguar -car  লিখে সার্চ করুন।

গুগলে সংরক্ষিত (কোনো সাইটের) ক্যাশ পেতে

গুগল বিভিন্ন ওয়েব পেইজের ক্যাশ (Cache ) জমা রাখে। সেসব সাইটের সার্ভার বন্ধ থাকলেও/পেইজ মুছে গেলেও গুগল ক্যাশ থেকে নির্দিষ্ট কিছু সময় পর্যন্ত সেসব পেইজ কনটেন্ট ভিজিট করা যায়। অনলাইনে থাকা সাইটের গুগল ক্যাশ ভিজিট করেও সাইটের পুরাতন সংস্করণ দেখা যায়। গুগল ক্যাশ দেখার জন্য সাইটের ঠিকানা লেখার আগে Cache: লিখুন এবং পুরোটাই গুগলে সার্চ করুন। আপনি ভাগ্যবান হলে পেয়েও যেতে পারেন সেই সাইটের/পেইজের গুগল ক্যাশ।
উদাহরণঃ cache:http://ebangla.tech
এছাড়া, গুগলে কোনো কিছু সার্চ করলে যে সার্চ রেজাল্ট আসে, তার সবুজ রঙের লিংকের ডানপাশে থাকা ত্রিভুজ আকৃতির চিহ্নের ওপর ক্লিক করেও সেই ঠিকানার ক্যাশ করা কনটেন্ট দেখা যাবে।

নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ফাইল

কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাটের ফাইল খুঁজে পেতে ফাইল ফরম্যাট উল্লেখ করে দিন। যেমন, কোনো বিষয়ের পাওয়ার পয়েন্ট ফাইল খুঁজে পেতে চাইলে ফাইলের ধরন উল্লেখ করে দিন এভাবে Laptop Computer filetype:ppt

ছবি দিয়ে ছবি সার্চ করা

গুগলে ছবি ব্যবহার করে ছবি খোঁজার জন্য আপনাকে প্রথমে গুগল হোম/সার্চ পেজের উপরের দিকে থাকা Images লিংকে ক্লিক করে গুগল ইমেজেস পেজে যেতে হবে। ওখানে ড্রাগ-ড্রপ বা ক্যামেরা চিহ্নিত বাটনে ক্লিক করে ছবি সিলেক্ট করে দিলেই ছবি আপলোড হয়ে আপনাকে আপলোডকৃত ছবির অনুরূপ ছবি দেখাবে। এছাড়া যেকোনো সার্চ ফলাফল প্রদর্শিত হওয়ার সময় সেই পেজের উপরের দিকে Images লেখায় ক্লিক করেও সংশ্লিষ্ট ইমেজ খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে এটা যে সবসময়ই আপনাকে সঠিক তথ্য দেখাবে এমন নয়।

একই ধরনের ওয়েবসাইট খুঁজতে

একই ধরনের ওয়েবসাইট খুঁজতে related শব্দটি ব্যবহার করতে পারেন।
যেমনঃ related:bbc.com

ক্যালকুলেটর/কারেন্সি/সংজ্ঞা

গুগলের সার্চ বারকে সরাসরি আপনি ক্যালকুলেটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন 505*50লিখে এন্টার দিলে 505 ও 50 সংখ্যাদুটির গুণফল বের করা যাবে।
আর $50 to bdt লিখে সার্চ করলে ৫০ ডলারে সেই মুহুর্তে কত বাংলাদেশি টাকা পাওয়া যায় তা প্রদর্শিত হবে।
কোনো কিছুর সংজ্ঞা পেতে সেই বিষয়টির আগে define লিখে গুগলে সার্চ দিতে হবে। যেমন, define computer

লেখা - বিদ্যুৎ বিশ্বাস।
“ফ্রি ওয়াইফাই” খুব লোভনীয় একটি কথা না?
কিন্তু এটি যদি হয় আপনাকে ধরার একটি ফাঁদ, তখন কি করবেন?
কিভাবে বাঁচবেন এই ভয়ানক জাল থেকে? জানা আছে কি আপনার? যদি না জেনে থাকেন তবে আজকের এই পোষ্টটি আপনারই জন্য।


স্বভাব সুলভ ভাবে বলুন আর যেভাবেই বলুন ফ্রি ওয়াইফাই পেলে কিন্তু সচরাচর আমরা সবাই কানেক্ট করে ব্রাউজ করা শুরু করি। একটি বারও ভাবিনা এটির মাধ্যমে আমার কোন ক্ষতি বা আমি হ্যাকারদের শিকার হচ্ছি কিনা। মনে রাখবেন আপনার স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য হাতিয়ে নেবার জন্য এটি অতি উত্তম একটি মাধ্যম।
 তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে কিন্তু খুব সহজেই আপনি হ্যাক হবার সম্ভাবনা থেকে মুক্ত হতে পারেন। প্রথমে অনিরাপদ ওয়াইফাই কানেকশন গুলোতে জরুরী ওয়েবসাইট গুলো ব্রাউজ করা থেকে সতর্ক থাকুন। 
আপনার পাসেই বসে থাকা হ্যাকার ঐ একই ওয়াইফাই কানেকশন ব্যবহার করে খুব সহজে আপনার ফোনের বা ল্যাপটপের তথ্য নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিতে পারে। - See more at: http://timesofbengali.com/2015/02/21/11604#sthash.BG2KavZk.dpuf
আপনার পাসেই বসে থাকা হ্যাকার ঐ একই ওয়াইফাই কানেকশন ব্যবহার করে খুব সহজে আপনার ফোনের বা ল্যাপটপের তথ্য নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিতে পারে। - See more at: http://timesofbengali.com/2015/02/21/11604#sthash.BG2KavZk.dpuf
 আপনার পাসেই বসে থাকা হ্যাকার ঐ একই ওয়াইফাই কানেকশন ব্যবহার করে খুব সহজে আপনার ফোনের বা ল্যাপটপের তথ্য নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিতে পারে।

আপনি যদি অ্যাপলের ম্যাক বা উইন্ডোজ নির্ভর পিসি ব্যবহার করেন তবে নিরাপত্তার জন্য প্রতিটা ওএসএক্স বা উইন্ডোজের ইনবিল্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেয়া আছে। এটি চালু করতে হলে সিকিউরিটি সেটিংসে যেয়ে উইন্ডোজ ফায়ারওয়ালের সেটিংসে যাবেন তারপর ওখান থেকে ব্লক অল ইনকামিং ট্রাফিক অন করে দিবেন। এবার চেষ্টা করলেও আর আপনার পিসিতে কেউ সিগন্যাল পাঠাতে পারবে না।

আমরা অনেকেই একটু অলস প্রকিতির মানুষ। কেমন সেটা বলি। মনে করে দেখেন যখনি আপনি ফেসবুক বা অন্যান্য প্রয়জনিয়া সাইটে ধুকছেন তখন আপনার ব্রাউজার স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনাকে “রিমেম্বার পাসওয়ার্ড” নামের একটি নোটিফিকেশন দিচ্ছে। এটি ইয়েস করে দেবার মানে হল পরবর্তীতে আপনি যখন এই একই ওয়েবসাইটে ধুকবেন তখন আর আপনাকে নতুন করে ইউজার নেম পাসওয়ার্ড দেয়া লাগবে না।
আপনার ব্রাউজারই সেটি মনে রাখবে। এটি আমাদের খুবই মারাত্মক একটি ভুল। হ্যাকার রা অনেক সময় আপনার ব্রাউজার কে টার্গেট করে থাকে। এই ফিশিং থেকে বাঁচার জন্য মজিলা ফায়ারফক্সে মাস্টার পাসওয়ার্ড নামে একটি অপশন আছে সেটি অন করে নিবেন।  দরকারি ওয়েবসাইট গুলার পাস ব্রাউজারে সেভ না করাই বেষ্ট প্র্যাকটিস।

কোনও ওয়েবসাইট ব্যবহার করলে এইচটিটিপি (HTTP) আপনার কাজ সংকেত হিসেবে নেয়। তখন ওখানে যেটা করছেন সেটা কনফিডেনশিয়াল হয়ে যায়। তাই এইচটিটিপি এভরিহোয়্যার (HTTPS Everywhere) ইনস্টল করে নিন। বিভিন্ন জনপ্রিয় সাইটে আপনার ক্রিয়াকলাপ সংকেত হিসেবে পৌঁছাতে বাধ্য হবে।
অনেক সময় দেখা গেছে হ্যাকাররা “ফ্রি ওয়াইফাই” বা অন্য নতুন নামে একটি ভুয়া নেটওয়ার্ক তৈরি করে। সেক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হবে, আপনি অবিশ্বাস যোগ্য ওয়াইফাই থেকে সতর্ক থাকুন।
খুবই প্রয়োজনীয়  ব্যাবহার যেমন, অনলাইনে কেনাকাঁটা করা, ব্যাংক ট্রান্সফার, ইত্যাদি স্পর্শকাতর কাজগুলো ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে করবেন না। সর্বোপরি চেষ্টা করেন উপরের নির্দেশনা ঠিক মতো মেনে চলার।

নিজে সতর্ক থাকুন, অন্যকেও সচেতন করে তুলুন।  
জুকারবার্গ কে চিনে না জানে না এমন কেউ মনে হয় পৃথিবীতে নাই। এইতো ১৪ ই মে ২০১৭ তে তার ৩৩ তম জন্মদিন গেলো। ২০১৭ এর ফোর্বস এর লিস্টে তিনি টপ ৫ ধনীর তালিকায় জায়গা করে নেন। তার সর্বমোট সম্পদের পরিমাণ ৬২বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশী টাকায় যা পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকারও বেশী। 

মার্ক জুকারবার্গের ১০টি অজানা তথ্য: 
১: কম্পিউটার গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেন বাড়ির পাশে ‘মার্সি কলেজ’ থেকে, কিন্তু তখনও তিনি হাই স্কুল শেষ করেন নাই।
২: AOL, মাইক্রোসফট এর মত কোম্পানী তাকে জব অফার করে হাই স্কুল পাশ করার আগেই, কিন্তু তিনি সবাইকে না করে দেন। 
৩: তিনি প্রথম ফেসবুক লঞ্চ করেন তার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির হোস্টেল থেকে।
৪: তিনি ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষে থাকতে ড্রপ দেন, ফেসবুক নিয়ে কাজ করার কারণে। সেই গ্র্যাজুয়েশন তিনি শেষ করেন ২০১৭ সালে।
৫: তার উপর একটু বায়োগ্রাফী মুভি নির্মিত হয়, যার নাম ‘The Social Network.’
৬: তিনি ফেসম্যাশ নামে একটি প্রোগ্রাম তৈরী করেন, যা হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির দুই ছাত্রের ছবির মাধ্যমে কম্পেয়ার করতে পারত এবং ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা ভোট দিতে পারত কে বেশী আকর্ষণীয় বা আবেদনময়ী। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা অযৌক্তিক বলে বন্ধ করে দেন।
৭: জুকারবার্গের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলো ‘সন পার্কার’ যিনি Napster এর কো-ফাউন্ডার, যিনি একইসাথে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান।
৮: ফেসবুকের ১.২ মিলিয়ন স্টক শেয়ার এবং ২০ মিলিয়ন নগদ টাকা মূল্যে পৌছায়।
৯: স্টিভ জবস এর মত জুকার্বার্গ এরও বার্ষিক বেতন ১ ইউএস ডলার।
১০: ২০১০ এবং ২০১৩ তে জুকারবার্গ টাইম ম্যাগাজিন এর "Person of the Year" নির্বাচিত হন। ২৮ বছর বয়সে তিনি সবচেয়ে কম বয়সী সিইও এর লিস্টে জায়গা করে নেন।
প্রাইমারিতে দুইবার ফেল, মাধ্যমিকে  তিনবার ফেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তিনবার ফেল, চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়ে ৩০ বার ব্যর্থ,হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১০ বার আবেদন করে ১০ বারই প্রত্যাখ্যাত হইয়েছিল , এত ব্যার্থতার ঝুলি যার জীবনে তিনি হলেন বর্তমানে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি, নাম     “জ্যাক মা”  , অনেকেই তাকে নামে চিনে না  কিন্তু সকলেই তার প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিচিত , জ্যাকমার সেই প্রতিষ্ঠানের নাম আলিবাবা , বিশ্বের সবচেয়ে বড় ই কমার্স সাইট , ই কমার্স সেক্টরের সফল মানুষদের তালিকায় তিনি অন্যতম ।
তার এই সফলতা রাতারাতি আসেনি , এর পেছনে রয়েছে অনেক ত্যাগ, ধৈর্য্য ও পরিশ্রমের গল্প। 






১৯৬৪ সালে চিনের হোয়াং ঝু প্রদেশে তিনি জন্মগ্রহন করেন , ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি  ছিলেন পরিবারের  ২য় সন্তান  , খুব একটা স্বচ্ছল পরিবার ছিল না তার , মা বাবা দুজনই গান গেয়ে বেড়াতেন । জ্যাক মা এর দাদা ছিল জাতীয়তাবাদী দলের স্থানীয় অফিসার ,চেয়ারম্যান মাও ক্ষমতায় আসার পর তার দাদাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় , তাদের পরিবারের  শিল্প কর্মকান্ডে নিষেধাজ্ঞা এসে পড়ে, জ্যাকমা ছিলেন লিকলিকে শরীরের অধিকারী , স্কুলে পড়া অবস্থায় তার প্রিয় কাজ ছিল ঝি ঝি পোকা সংরক্ষন করা ,

ছাত্র হিসেবে জ্যাকমা খুব একটা ভাল ছিল না , ইংরেজী ভাষাটা ভাল লাগত তার,
১৯৭৬ সালে চেয়ারম্যান মাও এর মৃত্যুর পর  চিনে বিদেশী পর্যটক আসা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে সে সময় মাও বিদেশিদের সাথে ঘুরে ঘুরে ইংরেজি  রপ্ত করে নেয় । দীর্ঘ ৯ বছর ফ্রী ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করেন , এসময় একটি রেডিও কিনেন তিনি ইংরেজি শোনার জন্য।
ইংরেজিতে ভাল হলেও গনিতে ছিল বরাবরের মতই দুর্বল , জাতীয় কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় পরপর দুইবার ফেল করেন তিনি  , ৩য় বারের প্রচেষ্টায় তিনি ভর্তি হন হুয়াং ঝু টিচার্স ইন্সটিটিউট, এটিকে বলা হত হুয়াংঝুর সবচেয়ে নিম্নমানের প্রতিষ্ঠান, কলেজে পড়ার সময় জ্যাক মা এর পরিচয় হয় ঝাং ইং এর সাথে ,পরবর্তীতে তাদের বিয়ে হয়, জ্যাকমা তার গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন ১৯৮৮ সালে গ্র্যাজুয়েশনের পর তিনি স্থানীয় কলেজে ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে জোগদান করেন, ৫ বছর চাকুরীর সময় তার বেতন ছিল ১৫ ডলার।  চাকরীর সময় তিনি কে এফ সি তে চাকরির আবেদন করেছিলেন। ২৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে জ্যকমা বাদে বাকি ২৩ জনের চাকরী হয়েছিল। পুলিশে আবেদনের সময় ৫ জনে ৪ জনই চাকরী পেয়েছিল সেখানেও তিনি ব্যার্থ ছিলেন। পরে জ্যাকব স্বিদ্ধান্ত নিলেন ব্যাবসা করার , খুলে বসলেন এক অনুবাদ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখানেও ব্যার্থ হয়ে পরেন তিনি , এসময় তিনি টাকার জন্য রাস্তায় মালগাড়িও টানতেন । ১৯৯৫ সালে একটি কোম্পানীর অনুবাদক হয়ে আমেরিকা ভ্রমনের সুযোগ হয় তার , মজার কথা হল চুক্তি অনুযায়ী সেই কোম্পানী তাকে এর জন্য কোন টাকাই দেয় নি বরং পিস্তলের ভয় দেখিয়েছিল ,  তবে এই আমেরিকা ভ্রমন তার জীবনকে পরিবর্তন করে দেয় , তিনি পরিচিত হন ইন্টারনেট এর সাথে
তিনি জানতে পারেন যে ইন্টারনেট থেকে সকল তথ্যই নাকি পাওয়া যায় , তিনি প্রথম বিয়ার লেখে সার্চ করলেন , ইন্টারনেট সম্পর্কে জানতে গিয়ে তিনি দেখলেন সেখানে ম্যান্ডারিন (চিনা ভাষা) ভাষায় কোন তথ্যই নেই , এমনকি চীন নিয়েও কোন তথ্য নেই, তিনি দেশে ফিরে এলেন , নতুন এক কোম্পানী খুলে বসলেন , সেটির জন্য ওয়েবসাইট নির্মান করালেন এবং তাতে রপ্তানীকারক চীনা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য দিতে লাগলেন , সেটি ছিল চীনের প্রথম ইন্টারনেট ব্যাবসার ওয়েবসাইট , সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল জ্যাকমার ওয়েব ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিল না এবং এখনও নেই ।যাই হোক বরাবর এর মত তার এবারের প্রচেষ্টাও ব্যার্থ হল...
৪ বছর পর জ্যাকমা তৈরী  করল আলিবাবা নামের নতুন কোম্পানী , জ্যাকমা প্রথম তার ১৭ জন বন্ধুকে একদিন বাসায় দাওয়াত করে তার নতুন কোম্পানী ও তার প্ল্যানের কথা  জানায় , সারারাত জ্যাক মা এই প্ল্যান নিয়ে ভাবে এবং  ঠিক  করেন উনি ওনার নিজের আইডিয়া অনুযায়ী সামনে এগুবেন যে যাই বলুক না কেন।

১৯৯৯ সালে জ্যাকমা  মোট ১৮ জন নিয়ে তার আলিবাবা কোম্পানী চালু করেন ,তৎকালীন সময়ে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান গুলোর জন্য আলিবাবা যেন আশার আলো হয়ে হাজির হয়, খুব দ্রুততার সাথে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।  এবং প্রথম বছরেই কনসোর্টিয়াম থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ পান , এর পর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।  জ্যাক মা তার পারিবারিক জীবন নিয়ে খুব একটা মিডিয়ায় আসেন নি  স্ত্রী , এক ছেলে ও একমেয়ে নিয়ে ছোট্ট সংসার ,

জীবনে বার বার ব্যর্থ হয়েও তিনি হার মানেননি , প্রতিবার নতুন করে শুরু করেছেন , যেই জ্যাক মা চাকরির জন্য ৩০ বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন সেই জ্যাক মার প্রতিষ্ঠান আলিবাবা ডটকম চীনে নতুন করে ১৪ মিলিয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন , যে জ্যাকমা টাকার জন্য মালবাহি গাড়ি টেনেছে সেই জ্যাকমা আজ নিজের কর্মপ্রচেষ্টায় ২৫০০ কোটি ডলারের মালিক ।

খুব ভাল বক্তা তিনি , মানুষকে খুব সুন্দর উৎসাহ দিতে পারেন, তার বিভিন্ন  উক্তি  আজ বিশ্বের শত শত তরুনদের মনে উৎসাহ জোগায় , ২০১৫ সালে হংকং এর একটি অনুষ্ঠানে তরুন উদ্যোগতাদের উদ্দেশ্যে তিনি খুব সুন্দর বক্তব্য দিয়েছিলেন 
“আমি এমন বহু মানুষ দেখেছি যারা অবাস্তব ও অসম্ভব কল্পনায় ডুবে থাকে ,তারা ভাবে যে অন্য সবাই ভুল , তারাই ঠিক । আলিবাবায় আমরা ১৮ জন এটাই ঠিক করেছিলাম আমরা আমাদের বিশ্বাসে অটল থাকব , একসঙ্গে সকল চড়াই উতরাই পারি দিব , আমাদের মাঝে কোন স্বপ্ন বা কল্পনা ছিল না, ছিল আশা  ।

তোমরা নিজেকে প্রশ্ন কর , তোমর স্বপ্ন থাকলে তা পুরনে তুমি অটল কিনা ? যদি কোন লক্ষ থাকে তবে তা পুরনে সাথি যুগিয়ে নিও , একা পথচলা খুবই বিরক্তিকর, নিজের কাজ ঠিক ভাবে করলেই একটী ব্যাবসা দাঁড়িয়ে যায় না  এর জন্য প্রয়োজন একদল মানুষের মধ্যে সুন্দর বোঝাপরা।
সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে এবার যুক্ত করা হলো ফেসবুক ব্যবহারকারীর পরিচয় গোপন করে লগ-ইন করার সুবিধা। ফেসবুকের এফ৮ সম্মেলনে নতুন এই ফিচারটির ঘোষণা প্রদান করেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান মার্ক জুকারবার্গ।সাম্প্রতিক সময়ে যখন অনলাইনে তথ্যের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রযুক্তি বিশ্ব, তখন ফেসবুকের নতুন এই ফিচারটি সাড়া ফেলেছে বিশ্বব্যাপী। সানফ্রান্সিসকোতে ফেসবুকের বার্ষিক ডেভেলপার কনফারেন্স এফ৮-এ ফেসবুক বরাবরই নতুন কোনো চমক নিয়ে হাজির হয়। এরই প্রেক্ষিতে এবারে জুকারবার্গ এই ফিচারটি নিয়ে হাজির হয়েছেন।

ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কী পছন্দ করেন বা কী পছন্দ করেন না, সেসব নিয়েই তারা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিচয় গোপন রেখেই ফেসবুকের লগ-ইনের সুবিধা অবশ্য প্রাথমিকভাবে মোবাইল প্ল্যাটফর্মের জন্যই উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে বলে জানান জুকারবার্গ। বেশি বেশি মোবাইল ব্যবহারকারী যাতে ফেসবুক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই এই ফিচারটি চালু করা হয়েছে। যারা সচরাচর অনলাইনে নিজেদের তথ্য শেয়ার করতে চান না, তাদের জন্য এটি বড় একটি সুযোগ হয়ে এসেছে বলেই জানান জুকারবার্গ।
এ ছাড়া ফেসবুকের মোবাইল অ্যাপসে সাধারণত অ্যাপস নিজেই বলে দেয় ব্যবহারকারীর কোন কোন তথ্য শেয়ার করতে হবে। নতুন ফিচারে ব্যবহারকারী নিজেই নির্বাচন করতে পারবে সে কোন কোন তথ্যগুলো শেয়ার করতে চায় কিংবা কোনো তথ্য আদৌ শেয়ার করতে চায় কি না। মূলত ফেসবুকের ডেভেলপাররাই এই ফিচারটি প্রাথমিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। পরে সকলের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।
যারা এইচটিএমএল ৫ কিংবা কোডিং এ যারা বিশেষ দক্ষতা আনতে চান তাদের জন্য ১০ টি ফ্রি ই বুক লিংক দেওয়া হলো। এর মাধ্যমে নিজের দক্ষতা ঝালাই করা ছাড়াও প্রোগ্রামিং এ বিশেষ দক্ষতা তৈরি করতে সহায়তা করবে। 
১। গেটিং রিয়েল: http://gettingreal.37signals.com/
২। অ্যালিমেন্টস অফ টাইপোগ্রাফিক স্টাইল: http://webtypography.net/
৩। জাস্ট আস্ক: http://www.uiaccess.com/accessucd/index.html
৪। ডিজাইনিং ফর ওয়েব: http://designingfortheweb.co.uk/
৫। এসএমএ সিএসএস: http://smacss.com/
৬। লার্নিং ওয়েব ডিজাইন(বই): http://cdn2.filepi.com/g/tAZ0Ywf/1402145594/71e223e556b85e931a0545b104a31421
৭। এইচটিএমএল ৫ কুইক লার্নিং: http://freehtml5templates.com/html5-quick-learning-guide/
৮। হাউ টু বি ক্রিয়েটিভ: http://changethis.com/manifesto/show/6.HowToBeCreative
৯। ওয়েব ডিজাইনার সাক্সেস গাইড: http://www.airgid.com/blog/everything-creative/web-designers-success-guide-free-ebook/
১০। পিক্সেল পারফেক্ট: http://www.ustwo.co.uk/blog/the-ustwo-pixel-perfect-precision-handbook-2/
১১। ওয়েব ডিজাইন ট্রেন্ডস: http://www.awwwards.com/web-design-and-mobile-trends-for-2013-ebook-download-it-for-free.html
যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে আগ্রহী কিন্তু সঠিক গাইডলাইন পাচ্ছেন না তাদের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়ালের সেরা ১০ টি ওয়েবসাইট লিংক শেয়ার করা হলো। এই সাইট গুলোর মাধ্যমে সঠিক প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই হয়ে উঠতে পারবেন একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার। 



গ্রাফিক্স ডিজাইন টিউটোরিয়ালের সেরা ১০ টি ওয়েবসাইট :-

পিএসডি টুটস : এতে টিউটোরিয়ালের পাশাপাশি অনেক রিসোর্স, অনুপ্রেরণামূলক তথ্য রয়েছে। http://psdtuts.com/
গ্রাফিক্স ডিজাইনার টিপস : ধারাবাহিক ভাবে টিউটোরিয়াল, রিসোর্স ও অনলাইন প্রশিক্ষণের জন্য এই সাইটি প্রচুর জনপ্রিয়। http://graphicdesignertips.com/
আবদুজিডো : এটি একটি ডিজাইন ব্লগ। এতে রয়েছে অনেক ট্রিপস। http://abduzeedo.com/tutorials
লুন ডিজাইন : যারা ফটোশপে কাজ করেন। তাদের জন্য এই সাইটি। http://kailoon.com/
ফটোশপ স্টার : এই সাইটি অনেক আগের । ১৭ বছর ধরে সফল ভাবে কাজ করছে এই সাইটি। ডিজাইনাদের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ অনেক কিছু রয়েছে। http://www.photoshopstar.com/
দ্য ফটোশপ রোড ম্যাপ : গ্রাফিক্স ডিজাইনের সেরা টিউটোরিয়ালগুলো পেতে এই সাইট অনন্য। http://www.photoshoproadmap.com/
ফটোশপ টিউটর : এটিও টিউটোরিয়াল ও রিসোর্সের জন্য আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। http://www.pstut.info/
কম্পিউটার আর্টস : ১৫ ডলারের এই ম্যাগাজিনটির কিছু অংশ সাইটটি থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। http://www.computerarts.co.uk/tutorials
ওয়েব ডিজাইন ওয়াল : ডিজাইন ইন্সপায়রেশন, ডিজাইন ট্রেন্ডস ও টিউটোরিয়ালের জন্য অসাধারণ সাইট এটি। http://www.webdesignerwall.com/tag/photoshop-tutorials/
ভার্লিস ব্লগ : বিভিন্ন বিষয়ে সমৃদ্ধ ভার্লিস একটি জনপ্রিয় ডিজাইন ব্লগ। ওয়েব, হোম ও গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজনীয় অনেক টিউটোরিয়াল রয়েছে এই সাইটে। http://veerle.duoh.com/
অনেকেই হয়ত মারিয়ানা'স ওয়েব এর নাম শুনেছেন; আবার অনেকে হয়ত শুনেন নি। মারিয়ানা'স ওয়েব আসলে কি? আমরা কি মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ করতে পারব? মারিয়ানা'স ওয়েব সার্ফ বা ব্রাউজ করা কী বৈধ? 
তার আগে আমরা ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে কিছুটা জানব, তাহলে আমাদের সুবিধা হবে।





মারিয়ানা'স ওয়েবঃ

এখন যদি বলা হয় এই ডার্ক ওয়েব এর চাইতেও গভীর একটি ওয়েব রয়েছে; আর তখনই তা ব্রাউজ করা যাবে যখন;সেই ওয়েবসাইট এর এড্রেস আপনার কাছে থাকবে আরও থাকতে হবে সেই ওয়েবসাইটে ঢোকার চাবি। মারিয়ানা'স ওয়েব এতই গভীর যে এখানে ঢোকা সহজ কোন ব্যাপার নয়; খুবই কঠিন একটি প্রক্রিয়া। যেকেউ চাইলে প্রবেশ করতে পারবে না এই ইন্টারনেটের অন্ধকার জগতে।
এই মারিয়ানা নামটি এসেছে মানিয়ানা ট্রেঞ্চথেকে। এই মারিয়ানা ট্রেঞ্চহল প্রশান্ত মহাসাগর এর সবচেয়ে গভীর তম স্হান [গভীরতা প্রায় ১১ কি.মি]। এটি সমুদ্রের এমন একটি স্হান যা পুরো পৃথিবীর সবচাইতে গভীরতম স্হান। এই নাম থেকেই এর নাম হয়েছে মারিয়ানা'স ওয়েব।
এটা মানা হয় যে; সরকার এর যতসব টপ সিক্রেট তথ্যগুলো আছে তা এখানে পাওয়া যায়। দুনিয়ায় সবচেয়ে রহস্যময় আর গোপনীয় জিনিস যদি থাকে সেসব এখানে দেখা যায়। আরও বলা হয় যে; "এটলান্টিস" সমুদ্রের নিচে এক কাল্পনিক দ্বীপ যেটি আছে; তার তথ্যও এই মারিয়ানা'স ওয়েবে আছে।আরও বলা হয় যে; ইলুমিনাটি বা ইলুমিনাটিদের লোকদের [শয়তানের পূজারী]সাথে যোগাযোগ; এর ব্যবস্হা এই মারিয়ানা'স ওয়েবে আছে। তাই এই মারিয়ানা'স ওয়েব হল ইন্টারনেটের সবচেয়ে রহস্যময় ও গোপনীয় জায়গা। এর চাইতে রহস্যময় ও গোপনীয় ওয়েব আর নেই।
তো গর্ভমেন্ট কী জন্য এটার বিরুদ্ধে কিছু করছে না? কেন এটাকে প্রকাশ করা হচ্ছে না? খানে গর্ভমেন্ট এই জন্য এটি করেনা কেননা;অনেক দেশের সিক্রেট অনেক তথ্য এই মারিয়ানা'স ওয়েবে আছে;এমনকি তাদেরও থাকতে পারে। মারিয়ানা'স ওয়েবে Human Experiments ও হয়ে থাকে; এবং তার ডাটাবেসও সেভ করা হয় এখানে।
কয়েক বছর আগের কথা; একজন ওয়েব ডেভেলপার ছিল যে ফ্রিল্যান্স কাজ করত। অর্থা তাকে কেউ টাকা দিত সে তার বিনিময়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিত। এভাবে ওই ব্যক্তিকে একজন unknown লোক যার নাম 450w[হয়ত তার কোডনাম] ছিল; reddit নামের ইন্টারনেট ফোরামে ভাড়া করল। ওয়েব ডেভেলপার জানত না যে এই লোকটি কে। কিন্তু সেই unknown লোকটি তাকে অনেক বেশী প্রাইজ অফার করল;খুবই সাধারন একটা কাজ করার জন্য।
সে বলেছিল আমি আপনার থেকে নরমাল ওয়েবসাইট আমার সার্ভারে ডিজাইন করে নিব; এর বিনিময়ে আপনাকে সপ্তাহে ৫০ হাজার ডলার দেব। তখন ওই ওয়েব ডেভেলপার এর মনে হল কোন স্ক্যাম বা এইরকম কিছু হবে হয়তবা;কিন্তু তার টাকার দরকার ছিলো তাই সে অর্ডারটি নিয়ে নিল। তারপর সেই ওয়েব ডেভেলপার দিয়ে পার্সোনল প্রাইভেট কোন সার্ভারে কাজ করানো হল;সাধারন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করানো হল। শুধু ডিজাইন করিয়ে নেয়া হল কোনো কনটেন্ট দেয়া হল নাএভাবে কাজ চলতে থাকল, ৯ সপ্তাহ সেই ডেভেলপার কাজ করেছিল।
একসময় তার মনে ইচ্ছা জাগল যে সে কোন সার্ভারে কাজ করছে। তার কাছে ওই সার্ভার এর নির্দিষ্ট এলাকার এক্সেস ছিল তাই সে বুঝতে পারছিলো না কিছু। তবে সে কিছু ফাইল ডাউনলোড করল ওই সার্ভার থেকে; কিছু ভিডিও ক্লিপ।
একটি ক্লিপে কিছু বাইনারি কোড নির্দেশ করছিলো, ডিকোড করার পর তা দাঁড়ায় “একবার আপনি এখানে ঢুকলে আর বের হওয়ার রাস্তা নেই, ঢুকার চেষ্টা করবেন না, এখানেই থেমে যান”
ধারনা করতে পাচ্ছেন মারিয়ানা'স ওয়েব কেমন এবং; ভয়ংকর একটি জায়গা তার বলতে আর কোন সন্দেহ থাকে না।এখানে সাধারন কোন এথিক্যাল বা হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারের কোন স্হান নেই। একজন সাধারন মানুষের মারিয়ানা'স ওয়েবে বেশি ঘাটাঘাটি বা ঢোকার চেষ্টা না করা; এসবের ভেতর না যাওয়াই ভালো।
আর এখানে আপনার কাজের কোনো কিছু ও নেই। আর এসবই মূল কারন কেউ মারিয়ানা'স ওয়েব প্রকাশ এর জন্য কোন অভিযান করে না। গর্ভনমেন্ট কোন পদক্ষেপ নেয়না; আগেই বলেছি তাদেরও অনেক গোপন তথ্য এখানে বিদ্যমান। বড় থেকে বড় হ্যাকারও এই মারিয়ানা'স ওয়েব নিয়ে কিছু করার আগে অনেকবার ভাববে। এটি ইন্টারনেটের একটি কোনা যেখানে বিনা ঠিকানা, বিনা চাবিতে ঢোকা বলতে অসম্ভব এটি বিষয়।

এটাও মানা হয় যে, মারিয়ানা'স ওয়েবে ঢুকতে তা দখল করতে কোয়ান্টাম কম্পিউটারস এর প্রয়োজন হবে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটারও বলা যেতে পারে; এদের প্রোসেসিং স্পীড আমাদের সাধারন কম্পিউটার থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশী হবে। [মানা হয় মাত্র ৪টি কোয়ান্টাম কম্পিউটার দিয়ে সম্পূর্ণ আমেরিকার কম্পিউটারের ঘাটতি পূরন করা সম্ভব!]