Showing posts with label ক্যামেরা. Show all posts
Showing posts with label ক্যামেরা. Show all posts
বর্তমান সময়ে DSLR ক্যামেরার গুরুত্ত দিন দিন বেড়েই চলেছে। কিছু দিন আগেও শুধুমাত্র ফটোগ্রাফাররা এই ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করতেন। কিন্ত বর্তমানে অনেকেই এই ক্যামেরা শখের বসেই কিনেন। অনেকেই আবার ন্যাচারাল ফটোগ্রাফীও করছে এই ক্যামেরা গুলো দিয়ে পাশাপাশি এদের ভিডিওর মানও খুব ভাল।


১। হেসেলব্লাডে’র H4D 200 MS ক্যামেরাটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ক্যামেরার মধ্যে অন্যতম । এটির ২০০ মেগা পিক্সেল সম্পন্ন যা দিয়ে কেপচার করতে পারবেন চোখ ধাঁধানো ছবি। ক্যামেরাটিতে একটি সেন্সর আছে যা দিয়ে যেকোন বস্তুর অবস্তান সঠিক ভাবে নির্ণয় করতে পারবেন।এটির মূল্য ৩৫ লাখ টাকা।


২। সেইটজের Seitz 6×17 Panoramic ক্যামেরাটি ও বেশ দামী একটি ক্যামেরা। এটি দিয়ে ১৬০ মেগা পিক্সেলের ছবি তুলা যাবে।পাশাপাশি এটি ৩০০ মেগাবাইট ডাটা রেকর্ড করতে পারে প্রতি সেকেন্ডে। এটির মূল্য ৩৩লাখ টাকার একটু বেশি।
 ৩। এটি হচ্ছে Phase One P65+ Back with 645DF Body । এই ক্যামেরাটি ৬৫ মেগাপিক্সেলে ছবি তুলতে পারে। সাথে আছে ৩ ইউএসবি পোর্ট। এটি এমনকি ISO 3200 তেও ১৫ পিক্সেলে ছবি কেপচার করতে পারে। এটির মূল্য ৩১ লাখ টাকা।


৪।  এটি হচ্ছে  Panoscan MK-3 ডিজিটাল ৩৬০ ডিগ্রি পেনুরেমিক ক্যামেরা। মাত্র ৮ সেকেন্ডের মধ্যে এই ক্যামেরাটি ৩৬০ ডিগ্রি ছবি তুলতে সক্ষম। এই ক্যামেরাটি সামরিক বাহিনীর টেকটিকেল ম্যাপিং বা পুলিশ বিভাগের ফরেনসিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এটির মূল্য ৩১ লাখ টাকার একটু বেশি।



এই ক্যামেরার বিশেষত্ব হল এতে দুটি ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে আছে ১৬০X১২০ রেজুলেশনের থার্মাল ইমেজ সেন্সর। অন্যটিতে আছে ১৯২০X১০৮০ ভিসিবল লাইট ক্যামেরা। এর দুটো ক্যামেরা একসঙ্গে কাজ করে। এই ক্যামেরা স্টিল ইমেজও নিতে পারে। এতে এইচডিএমআই ভিডিও আউটপুট রয়েছে।


এছাড়াও ফ্লেয়ারের আরেকটি মডেলের ক্যামেরা রয়েছে। যার মডেল ডুও আর। যেটিতে রেডিওমেট্রিক টেমপেরেচার মেসারমেন্ট পাওয়া যাবে।



এই ক্যামেরার অন্যান্য ফিচার ফ্লেয়ার ডুও ক্যামেরার মতোই। দুটি ফোনেরই সাইজ প্রায় সমান৷ ডুও আর ক্যামেরা সম্পূর্ণ রেডিওমেট্রিক ভেরিয়্যান্ট৷

দুটি ফোনেই হবে ১০৮০পি এইসডি ভিডিও৷ দুটি ক্যামেরাই ফ্লেয়ার অ্যাপের ব্লুটুথের সাহায্যে চালানো যাবে৷ 



অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া যাবে এই অ্যাপ৷ ড্রোন ব্যবহারকারীদের জন্য ১২ হাজার ফিট পর্যন্ত অপারেট করার বন্দোবস্ত থাকছে৷ এর পরিমাপ ৪১-৫৯-২৯.৬ মিমি৷ ওজন ৮৪ গ্রাম৷
আপনি কি ফটোগ্রাফার অথবা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার যেটাই হোন না কেন ভাল মানের ছবি পেতে পরিষ্কার লেন্সের গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারবেন না। লেন্স পরিষ্কারের জন্য প্রফেশনালদের কাছে যাওয়াই শ্রেয়, তবে সব যায়গায় প্রফেশনাল লোক পাওয়া নাও যেতে পারে। সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচিয়ে কিভাবে ঘরে বসে নিজে নিজেই খুব সহজে লেন্স পরিষ্কার করতে পারেন 

লেন্স মোটামুটি চারটি কারনে অপরিষ্কার হয়ে যেতে পারে,


  1. ধূলাবালি
  2. পানি
  3. ফাঙ্গাস
  4. দাগ বা স্ক্র্যাচ


পানি থেকে লেন্সকে যেভাবে রক্ষা করবেনঃ

- অন্য যে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মতই ক্যামেরা লেন্সের ক্ষেত্রেও পানি খুবই ক্ষতিকর। বেশিরভাগ লেন্সে মোটর এবং ইলেকট্রনিক সার্কিট থাকে যা পানির কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা ম্যালফাংশন সৃষ্টি করতে পারে খুব সহজেই। তাই, এক্ষেত্রে আমাদের যা করনীয়,



- প্রথমত চেষ্টা করুন লেন্সকে পানি হতে যথা সম্ভব দূরে রাখতে, অপ্রয়োজনে বৃষ্টির মধ্যে ক্যামেরা লেন্স খোলা আবহাওয়ায় মুক্ত করে রাখবেন না।
- বৃষ্টির মধ্যে ছবি তুলতে চাইলে ভাল মানের ওয়াটারপ্রুফ কেসিং বা ব্যাগ ব্যবহার করুন।
- ছবি তোলা শেষে শুষ্ক তোয়ালা দিয়ে লেন্স মুড়িয়ে রাখুন কিছুক্ষন
- ঘটনাক্রমে যদি লেন্সের ভেতর পানি ঢুকে যায় তাহলে একটি এয়ার টাইড বক্সে সিলিকা জেল নিয়ে তার মধ্যে লেন্সকে ডুবিয়ে রাখুন এমনভাবে যেন চারপাশেই সিলিকা জেল থাকে। সিলিকা জেল না থাকলে একটি সুতি কাপরে লেন্সটি মুড়িয়ে চালের পাতিল বা ড্রামের মধ্যে রেখে দিন অন্তত ১০ ঘন্টা। এভাবে চালগুলো লেন্সের ভেতরে থাকা পানি ধিরে ধিরে শুষে নেবে।


যেভাবে স্ক্র্যাচ বা দাগ হতে রক্ষা করবেন লেন্সকেঃ

নানা কারনে লেন্সের গায়ে দাগ পড়তে পারে। কিছু দাগ আছে যেগুলো তৈলাক্ত পদার্থ বা হাতের ছাপের কারনে তৈরি হয়, এসব দাগ খুব সহজেই লেন্স পরিষ্কারক জেল দিয়ে মুছে ফেলা যায়। তবে কিছু হার্ড দাগ আছে যেগুলো কোন কিছু করেই তাড়ানো যায়না। এজন্য আমাদের করণীয় দাগ যেন না পড়ে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা। লেন্সের ফিল্টার সমূহ যেমন ধূলাবালি থেকে লেন্সকে রক্ষা করে তেমনি দাগ থেকেও রক্ষা করে। তাই লেন্সে স্ক্র্যাচ পড়া থেকে বাচাতে সবসময় ফিল্টার ব্যবহার করা 
উচিত।



ধূলাবালি পরিষ্কার করবেন যেভাবেঃ

বাতাসে সবসময় অসংখ্য ক্ষুদ্রকায় ধূলিকণা ভেসে বেড়ায়। যেহেতু ছবি তুলতে চাইলে ক্যামেরা বাতাসে বের করতেই হয়, তাই  শত চেষ্টা করেও এসব ধূলিকণা থেকে লেন্স কে রক্ষা করতে পারবেন না। সামান্য পরিমান ধুলো হয়তো আপনার চোখেও পড়বে না বা মাঝে মাঝে ছবিতেও ধরা দিবে না তবে বেশি পরিমাণ ধুলা আপনার লেন্সটিকে ড্যামেজও করে দিতে পারে।  এসব ক্ষুদ্র ধূলিকণা আপনার ছবির সার্পনেস কমিয়ে দিতে পারে বহুগুনে, আবার লেন্সের ভেতরে অনেক বেশি পরিমানে ধূলাবালি ঢুকে গেলে ফোকাসেও সমস্যা হয়। 



এসব সমস্যা এড়াতে প্রথমত আপনার উচিত লেন্সে ফিল্টার লাগানো। ফিল্টার সমূহ লেন্সের ভেতরে ধূলাবালি ঢুকতে প্রায় ৫০ শতাংশ বাঁধা দেয়। আর অবশ্যই যখন প্রয়োজন নাই তখন ক্যামেরা ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখবেন। তবে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে লেন্সের ভেতরে ধূলা ঢুকেই যায় তাহলে লেন্স ক্লিনিং টুলকিট ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে এসব টুলকিট ৫০০ থেকে শুরু করে ভিবিন্ন দামে পাওয়া যায়। এসব টুলকিটে সাধারনত একটি মাইক্রোফাইবার কাপড়, সফট ব্রাশ, ক্লিনিং জেল, এয়ার ব্লোয়ার ইত্যাদি থাকে। প্রথমে ফিল্টারটা লেন্স থেকে খুলে ফেলুন, তারপর এয়ার ব্লোয়ার দিয়ে ডাস্টগুলো ব্লো করুন। এতে বেশিরভাগ ধূলাবালিই উড়ে যাবে, তবে কিছু বড় ধূলিকণা এরপরেও লেন্সের গায়ে লেগে থাকে। এক্ষেত্রে টুলকিটের সাথে থাকা মাইক্রোফাইবার কাপড়টি দিয়ে আলতো ভাবে রাউন্ড করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ধূলাবালি পরিষ্কার করুন। লেন্সে যদি কোন তৈলাক্ত পদার্থ লেগে থাকে তাহলে কাপড়টিতে সামান্য ক্লিনিং জেল লাগিয়ে নিন।

বাসায় লেন্স পরিস্কার করবেন কীভাবে? 

  • অধিক পরিমানে ধূলা কখনই মুখ দিয়ে ফুঁক দিয়ে পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না, এতে করে মুখ থেকে পানি লেন্সের গায়ে লেগে আঠালো ভাব তৈরি করে লেন্সকে ঘোলা করে দিতে পারে।
  • লেন্সে পানি প্রবেশ করলে আগুনে সেক দিয়ে অথবা কড়া রোদে শুকিয়ে পানি বের করার চেষ্টা করবেন না।
আর্টিকেল টি ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না