মানুষ এবং কম্পিউটার মেমোরির মধ্যে একটি সদৃশ হলো, এদের উভয়েরই দুই প্রকারের মেমোরি রয়েছে। 
মানুষের মেমোরি প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে, -একটি হলো সর্ট টার্ম মেমোরি যা আপনি সম্প্রতি দেখেছেন, শুনেছেন, অথবা মস্তিষ্কে কল্পনা করেছেন এবং আরেকটি হলো - লং টার্ম মেমোরি যা আমরা শিখেছি, বা আমাদের জীবন থেকে অভিজ্ঞতা নিয়েছি, আর এই জন্যই এগুলো আমাদের বেশি ভালো করে মনে থাকে।





সাধারনত, কম্পিউটারের ইন্টারনাল মেমোরি উদ্বায়ী (যা দ্রুত উবিয়ে যায়) হয়ে থাকে—অর্থাৎ কম্পিউটার বন্ধ করার সাথে সাথেই এর মধ্যে সংরক্ষিত সকল তথ্য গায়েব হয়ে যায়। আর এর জন্যই কম্পিউটারের আরেক প্রকার মেমোরির প্রয়োজন পড়ে, যাকে সহায়ক মেমোরি বা স্টোরেজ বলা হয়। এই মেমোরি, কম্পিউটার অফ থাকা অবস্থায়ও কোন তথ্য মনে রাখতে 
পারে। সাধারন পিসি বা ল্যাপটপে হার্ডড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ স্টোরেজকে সহায়ক মেমোরি হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। সহায়ক মেমোরিকে আবার এক্সটারনাল মেমোরিও বলা হয়ে থাকে, কেনোনা হার্ডড্রাইভ আরেকটি আলাদা মেশিন হয়ে থাকে যা তারের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করা থাকে। আবার আজকের মডার্ন কম্পিউটার গুলোর সাথে প্লাগইন সহায়ক মেমোরি দেখতে পাওয়া যায়, যেমন ইউএসবি ফ্ল্যাশ মেমোরি স্টিক বা এসডি মেমোরি কার্ড,পোর্টআবোল হার্ডড্রাইভ,সিডি বা ডিভিডি রম, ইত্যাদি।

কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি কিন্তু অনেক কম হয়ে থাকে, সাধারনত ৫১২ এম্বি থেকে ৮ জিবি পর্যন্ত (মডার্ন কম্পিউটার গুলোতে আরো মেমোরি থাকে)। কম্পিউটারে যতোবেশি প্রধান মেমোরি থাকবে, কম্পিউটার ততোবেশি তথ্য প্রসেস করতে পারবে এবং দ্রুতগতিতে কাজ করতে সক্ষম হবে। যদি কম্পিউটারের এর প্রধান মেমোরির চাইতেও বেশি তথ্য সংরক্ষন করার প্রয়োজন পড়ে তবে এটি হার্ডড্রাইভের কিছু ফাঁকা স্থানে তা সংরক্ষিত করে থাকে, আর একে ভার্চুয়াল মেমোরি বলা হয়।





কম্পিউটার মেমোরি—কোন ফটো, ভিডিও, মিউজিক বা যেকোনো কম্পিউটার তথ্যকে নাম্বার অথবা সংখ্যার রূপে সংরক্ষিত করে রাখে। আর এই জন্যই কম্পিউটারকে বলা হয় “ডিজিটাল কম্পিউটার“। আমরা মানুষেরা দশমিক সংখ্যা ব্যবহার করে কাজ করতে পছন্দ করি (০ থেকে ৯ পর্যন্ত ১০ টি সংখ্যা)। কিন্তু কম্পিউটার সম্পূর্ণ আলাদা সংখ্যা সিস্টেম ব্যবহার করে কাজ করে, আর একে বাইনারি সংখ্যা বলা হয়। বাইনারিতে শুধুমাত্র দুইটি সংখ্যা থাকে, জিরো (0) এবং ওয়ান (1)। 

দশমিক কোন সংখ্যাকে লেখার জন্য বাইনারিতে একাধিক সংখ্যার প্রয়োজন পড়ে। বাইনারি ডিজিট গুলোকে বিট বলা হয়—
অর্থাৎ এক একটি জিরো বা ওয়ান হলো এক একটি বিট। একসাথে আটটি বিটকে এক বাইট (byte) বলে।




আমরা মানুষেরা দশমিক নাম্বার ব্যবহার করতে পছন্দ করি তার একটি বড় কারন হলো আমাদের ১০টি আঙ্গুল রয়েছে। 


কিন্তু কম্পিউটারের ১০টি আঙ্গুল থাকে না। আঙ্গুলের বদলে কম্পিউটার মেমোরি তে থাকে কোটিকোটি ইলেক্ট্রনিক সুইচ, যাকে ট্র্যানজিস্টর বলা হয়ে থাকে। ট্র্যানজিস্টর গুলো কোন বাইনারি নাম্বার সংরক্ষন করে রাখতে পারে যখন এর ভেতর দিয়ে ইলেকট্রিক কারেন্ট প্রবাহ করানো হয়। কোন ট্র্যানজিস্টরকে সুইচ অন করালে এটি (1) নাম্বারকে সংরক্ষিত করে এবং অফ
 করালে (0) নাম্বারকে সংরক্ষিত করে।
মি মাঝেমাঝে নিজেই আশ্চর্য হয়ে যাই, আরো কতো প্রকারের সিকিউরিটি রিস্ক থাকতে পারে! ২০১৪ সালের একটি রিপোর্ট থেকে জানতে পাড়লাম, স্ক্যামার’রা ফেইক বা নকল সেলফোন টাওয়ার তৈরি করে আপনার সেলফোন থেকে সকল তথ্য যেমন- এসএমএস, ইনকামিং, আউটগোয়িং কল ডিটেইলস, সেলফোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য় হাতিয়ে নিতে পারে। ব্যাপারটা আমার কাছে অনেক ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে সাথে এই সিকিউরিটি রিস্ক সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ থেকে আর্টিকেলটি পাবলিশ করলাম। আপনি কাউকে কল করেন আর অবশ্যই আশা করেন আপনার কলারের কাছেই কলটি পৌঁছাবে এবং আপনাদের কথোপকথন শুধু দুই জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত আপনি যদি নকল সেলফোন টাওয়ার থেকে সিগন্যাল গ্রহন করেন, সেক্ষেত্রে আপনার কলের উপর কেউ আড়ি পেতে শুনতে পারবে। কিন্তু ফেইক সেলফোন টাওয়ার কিভাবে সম্ভব? যদি সম্ভব হয়েও থাকে, তো এটি কিভাবে কাজ করে। আর কেই বা এই ধরণের টাওয়ার ব্যবহার করে আপনার ডাটা স্প্যাই করতে পারে? সকল প্রশ্নের উত্তর, এই আর্টিকেলে কভার করেছি।

নকল সেলফোন টাওয়ারঃ

যদি সাধারণভাবে কথা বলি সেলফোন টাওয়ার নিয়ে, তো এটি মূলত একটি এন্টেনা আবার ট্র্যান্সমিটার দুটোই। আপনার সেলফোনেও এন্টেনা এবং ট্র্যান্সমিটার লাগানো থাকে, কিন্তু সেলফোনের এন্টেনা আর ট্র্যান্সমিটার এতোটা শক্তিশালী হয় না, মাত্র কয়েক মিটার দূর পর্যন্তই সিগন্যাল পাঠাতে পারে, তবে এটা কিন্তু সেলফোনের সীমাবদ্ধতা নয়। ইচ্ছা করেই সেলফোনকে এরকম করে ডিজাইন করা হয়, কেনোনা এন্টেনা আর ট্র্যান্সমিটারের সিগন্যালের দূরত্ব বাড়াতে গেলে অনেক পাওয়ারের প্রয়োজন। সেলফোনকে সাধারণত পোর্টেবল হিসেবে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, আর ব্যাটারি ব্যাকআপ বলেও একটা ব্যাপার থাকে। তাই সেলফোন আলাদা টাওয়ার ব্যবহার করে, বিশেষ করে যেগুলোকে বাড়ির ছাদে বা পাহাড়ের উপর লাগানো থাকে। এই সেলফোন টাওয়ার গুলো আকারে বিশাল দৈত্যাকার হয়ে থাকে এবং অনেক পরিমানে বিদ্যুৎ খরচ করে অনেক শক্তিশালী সিগন্যাল তৈরি করতে পারে।

সেলফোন থেকে সামান্য সিগন্যাল গ্রহন করে সেলফোন টাওয়ার সেগুলোকে অ্যাম্পিফাই করে এবং প্রধান ষ্টেশনে পাঠিয়ে দেয়। তবে প্রথমে কোন সেলফোনকে কোন নির্দিষ্ট অপারেটর সেল টাওয়ার এবং প্রধান ষ্টেশনের সাথে যোগাযোগ করতে পারমিশনের প্রয়োজন হয়। আর এই বিশেষ পারমিশন গ্র্যান্ট করতে সিম কার্ড সাহায্য করে থাকে। সেলফোনে সিম লাগিয়ে ফোন অন করা মাত্র সেলফোন সিম থেকে আইএমএসআই গ্রহন করে এবং তা নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেয়—এবং অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য নেটওয়ার্কের কাছে অনুরোধ পাঠায়। নেটওয়ার্ক সেই আইএমএসআই কে গ্রহন করে এবং অ্যথন্টিকেশন কী প্রদান করার জন্য অভ্যন্তরীণ ডাটাবেজ চেক করে। এবার সিম আর নেটওয়ার্কের মধ্যে আরো কিছু “কী” আদান প্রদান করার পরে সিম কার্ড সেলফোনকে টাওয়ার এবং নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্টেড করিয়ে দেয়।

কিন্তু এখানে কিছু ব্যাপার রয়েছে, কখনোই কেউ একই নেটওয়ার্কে কানেক্টেড থাকা শর্তেও আপনার কল বা আলাদা তথ্য গুলোকে স্প্যাই করতে পারবে না, কেনোনা সেলফোন নেটওয়ার্ক অবশ্যই এনক্রিপশন ব্যবহার করে। তাহলে কেউ কিভাবে আপনার কল আড়ি পেতে শুনতে পারে? হ্যাঁ, নকল সেলফোন টাওয়ার ব্যবহার করে এরকমটা তখনোই করা সম্ভব হবে, যখন ফেইক টাওয়ারটি অরিজিন্যাল টাওয়ারের অ্যালগরিদমে কাজ করবে। উপরের প্যারাগ্রাফে বর্ণনা করেছি, কিভাবে সেলফোন আর সেল টাওয়ার কানেক্টেড হয়, ফেইক টাওয়ার একই রকমের আচরন করে এবং নিজেকে অরিজিন্যাল টাওয়ার হিসেবে প্রমাণ করানোর চেষ্টা করে। আপনার সিম কার্ড আর ফেইক সেলফোন টাওয়ার একই অ্যালগরিদমে একে অপরের সাথে কথা বলে এবং কী বা অথেনটিকেসন ইনফরমেশন শেয়ার করে। সিম কার্ড এবার ফেইক টাওয়ারকে আসল টাওয়ার মনে করে সেলফোনকে তার সাথে কানেক্টেড করিয়ে দেয়।

এবার নকল টাওয়ার প্রথমে আপনার সেলফোনকে নিজের সাথে কানেক্টেড করে, তারপরে আপনার ফোনের সিগন্যালকে আসল প্রভাইডার টাওয়ারের সাথে কানেক্টেড করিয়ে দেয়, যাতে আপনি বাকি নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্টেড থাকতে পারেন এবং ফোন কল বা আলাদা কাজ গুলো চালিয়ে যেতে পারেন। মানে আপনার আসল নেটওয়ার্ক প্রভাইডার আর আপনার সেলফোনের ঠিক মাঝখানে ফেইক টাওয়ার কানেক্টেড হয়ে থাকে। এখন হয়তো আপনি বলবেন, আপনার সেলফোন আসল টাওয়ার থেকে সিগন্যাল না নিয়ে নকল টাওয়ারের সাথে কেন কানেক্টেড হবে? এর কারণ হচ্ছে আপনার সেলফোনের কাজ করার ডিজাইন। আপনার সেলফোনকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে এটি সব থেকে কাছের এবং স্ট্রং সেল সিগন্যাল গ্রহন করে কাজ করে। ফেইক টাওয়ারকে এমনভাবে প্রেজেন্ট করা হয়, এটি আসল সেলফোন টাওয়ার থেকেও স্ট্রং সিগন্যাল তৈরি করে, ফলে আপনার ফোন স্বাভাবিক ভাবেই তার সাথে আগে কানেক্ট হওয়ার চিন্তা করে।

নকল সেল টাওয়ার কি করতে পারে?



আপনার ফোন একবার এই ফেইক টাওয়ারের সাথে কানেক্টেড হয়ে গেলে, টাওয়ার আপনার প্রত্যেকটি একটিভিটির উপর স্প্যাইং করতে পারবে। আপনার মেটাডাটা থেকে আরম্ভ করে আপনার কল পর্যন্ত স্প্যাইং করা যাবে। এমনকি আপনাকে নকল টাওয়ার থেকে নকল ম্যাসেজও পাঠানো যাবে, কিন্তু সেটা দেখে মনে হবে আসল। সাথে যেকোনো নাম্বার স্পুফ করে আপনাকে কলও করা যাবে। হয়তো হুবহু আপনার ব্যাংকের কলিং সেন্টার নাম্বার থেকে আপনার কাছে কল আসবে আর আপনার সকল তথ্য গুলোকে হাতিয়ে নেওয়ার হবে। এটা কোন কল্পনা নয়, চায়নাতে এরকম ঘটনার অলরেডি একজন শিকার হয়ে দ্যা ভার্জ ডট কম‘কে রিপোর্ট করেছেন। প্রথমে ব্যাক্তিটির কাছে তার ব্যাংক থেকে ম্যাসেজ আসে এবং পরে সে জানতে পারে তার ব্যাংক তাকে কোন ম্যাসেজ সেন্ডই করে নি। তাকে ম্যাসেজে লিঙ্ক সেন্ড করা হয়েছিলো, আর সেই লিঙ্ক অনুসরণ করে তার $৬৫০ ডলার অ্যাকাউন্ট থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছিলো।
স্ক্যামার’রা একটি ডিভাইজের সাহায্য করে ফেইক সিগন্যাল তৈরি করেছিলো, যেটার সিগন্যাল কোয়ালিটি আসল টাওয়ার থেকে শক্তিশালী ছিল, আর ফোন স্বাভাবিকভাবেই শক্তিশালী সিগন্যালের সাথে কানেক্টেড হয়ে যায়। চায়নার একটি বৃহত্তর মোবাইল সিকিউরিটি ফার্ম ১.২ বিলিয়নের মতো ফেইক ম্যাসেজ ডিটেক্ট করেছিলো যেগুলো নকল টাওয়ার থেকে সেন্ড করা হয়েছিলো। তারা মোটামুটি প্রতিদিন ১৩ মিলিয়ন ফেইক এসএমএস ডিটেক্ট করেছিলো।  এখন আপনি বলবেন, এতো গুলো স্ক্যামিং ম্যাসেজ? শুধু স্ক্যামিং ম্যাসেজ কেন, আপনার কাছে আসল সার্ভিসের ম্যাসেজও আসতে পারে। কেনোনা ম্যাসেজের মাধ্যমে অনেক কোম্পানি তাদের মার্কেটিং করিয়ে থাকে।
তাহলে কি বুঝলেন, কোম্পানিরাও এরকম ফেইক সেল টাওয়ার বসিয়ে তাদের মার্কেটিং চালিয়ে যেতে পারে। সাথে আরো তদন্ত করে খবর পেলো এফবিআই এর একটা সিক্রেট টীম নাকি নিজে থেকেই এরকম ফেইক টাওয়ার ব্যবহার করে সন্দেহভাজন কারো কল এবং সকল একটিভিটির উপর নজর রাখে। মানে স্ক্যামার র‍্যাকেট নয়, সরকারও চাইলে এমনটা করতে পারে, এক্ষেত্রে কারো ডিটেইলস পাওয়ার জন্য অপারেটরদের কাছে সরকারের হাত পাতাতে হবে না।

ফেক সার্ভার কিভাবে কাজ করে থাকে? 


এই পয়েন্টে আমি আপনাদের আশ্বাস দেবো বলে ভেবে ছিলাম, যে অন্তত আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত এরকম কিছুর খবর জানতে পারি নি। কিন্তু আরো কিছু অনলাইন রিসার্স করার পরে সমস্ত আশ্বাস আমার কাছেই ফেলে রাখতে হলো। যদিও আসল সেলফোন টাওয়ারের যন্ত্রপাতি অনেক বেশি দামী, আর বিশেষ অর্ডার করার মাধ্যমেই অপারেটর’রা সেগুলোকে বানিয়ে নিয়ে আসে, কিন্তু ফেইক সেলফোন সিগন্যাল তৈরি করা ডিভাইজ সেটআপ করতে মাত্র $৭০০ ডলারের ইনভেস্টই যথেষ্ট, মানে মাত্র ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ করে এরকম সিস্টেম সেটআপ করা সম্ভব। আর বুঝতেই তো পাড়ছেন, এ সিস্টেম সেটআপ করা স্ক্যামারদের জন্য কতোটা লাভের কাজ। তারা নিঃসন্দেহে এই সিস্টেম ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যেকোনো অ্যাকাউন্ট যেটা সেলফোনের সাথে সম্পর্কযুক্ত ব্যাস আরামে  হ্যাক করে নেবে।
আরো অবাক করা কথা জানতে চান? —হ্যাঁ, ফ্ল্যাইং ফেইক সেলফোন টাওয়ারও রয়েছে! মানে একটি ড্রোনকে নকল সেল টাওয়ার বানিয়ে যেকোনো স্থানে পাঠিয়ে সেলফোন থেকে সকল তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব। তাহলে এখন আপনিই বলুন, যে সিস্টেম সেটআপ করতে মাত্র কয়েক হাজার টাকারই দরকার, সেটা কেন যেকোনো স্ক্যামার র‍্যাকেট সেটআপ করতে চাইবে না?
এখন কথা বলি, এই ফেইক টাওয়ার থেকে বাঁচা যাবে কিভাবে সে প্রসঙ্গে। দেখুন সত্যি কথা বলতে এই সিস্টেম থেকে বাঁচার কোন উপায়ই নেই। একবার যদি ঐ ধরণের কোন সিগন্যালের সাথে কানেক্টেড হয়ে যান, তারা আপনার সকল তথ্য গুলোকে হাইজ্যাক করে নেবে বা উপরের বর্ণিত ব্যাপার গুলো আপনার সাথে ঘটতে পারে। তবে কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলোর লক্ষন থেকে বোঝা যেতে পারে আপনি ফেইক সেল টাওয়ারের সাথে কানেক্টেড রয়েছেন, তবে ১০০% নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়, অন্তত আপনার সাইড থেকে। ফেইক সেল টাওয়ার গুলোর খুব বেশি ক্যাভারেজ থাকে না, তাই হতে পারে সেটা আপনার আশেপাশে কোথাও থেকেই সিগন্যাল সেন্ড করছে। অনেক ফেইক সেল টাওয়ারের প্রধান ষ্টেশনের সাথে কানেকশন থাকে না, তাই হতে পারে ফেইক সেল টাওয়ারে সাথে কানেক্টেড হওয়ার পরে আপনি যখন কল বা ইন্টারনেট ইউজ করার চেষ্টা করবেন, আপনার কাছে এম্পটি রেসপন্স আসবে। তবে অনেক সময় আপনার আসল নেটওয়ার্কের সমস্যার ফলেও এমনটা হতে পারে। যদি আপনি লক্ষ্য করেন, ফোনে ফুল নেটওয়ার্ক রয়েছে কিন্তু কল কানেক্ট হওয়ার সময় বা কল চলাকালীন সময়ে কথার মধ্যে অনেক ডিলে অনুভব করতে পারেন তো হতে পারে আপনি ফেইক টাওয়ারের সাথে কানেক্টেড রয়েছেন।
ফেইক সেল সিগন্যাল বিশেষ করে ২জি বা ১জি নেটওয়ার্কে বেশি কার্যকারী হয়। কেনোনা ২জি অনেক পুরাতন মোবাইল নেটওয়ার্ক সিস্টেম, এখানে উন্নত এনক্রিপশন বা অ্যালগরিদম নেই, তাই আপনি যদি ২জি ফোন বা স্মার্টফোনেও ২জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে সহজেই আপনার ফোন ফেইক সেল টাওয়ারের সাথে কানেক্টেড হয়ে যাবে। ৩জি বা ৪জি নেটওয়ার্কে ফেইক টাওয়ার কানেক্টেড হওয়া একটু মুশকিলের, কেনোনা এই নতুন নেটওয়ার্ক টেকনোলজিতে লেটেস্ট সিকিউরিটি ফিচার রয়েছে।

যেহেতু আপনার সেলফোন সম্পূর্ণ লিগ্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করে ফেইক টাওয়ারের সাথে কানেক্টেড হয়, তাই এক্ষেত্রে বোঝা খুবই মুশকিলের কাজ। যাই হোক, অন্তত আপনি জানলেন এটি কি ধরণের সিস্টেম এবং কিভাবে কাজ করে। 


 সাইবার জগতে সচেতনতাই হোক আপনার প্রধান অস্ত্র।
যদি আর্টিকেলটি উপকারী মনে হয়ে থাকে তাহলে সবার নিকট তথ্যগুলো ছড়িয়ে দিতে ভূলবেন না। 

[ টেকহাব / ই বাংলা টেক ]

বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈদ্যুতিক গাড়ি টেসলার উদ্ভাবক



তিনিই সেই ব্যক্তি এলন রীভ মাস্ক, যিনি টেসলা মোটরস, সোলার সিটি এবং স্পেস এক্স, এই তিনটি বড় বড় নামজাদা কোম্পানির কর্ণধার।মাত্র ৪৫ বছর বয়সেই তিনি পৃথিবীর পরিবেশ নিয়ে ধ্যান ধারণার উর্ধ্বে উঠে পৃথিবীর ভোল পাল্টে দেওয়ার প্রযুক্তিতে বদ্ধ পরিকর।




গাড়ি ছাড়াও রকেট নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা মাস্ক। এ বছর গভীর মহাকাশ থেকে পরিবেশের ওপর নজরদারি করার জন্য গুগল ও ফিডেলটি নামের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল পেয়েছে তাঁর এই প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া মহাকাশ থেকে তারহীন উপায়ে পুরো বিশ্বে নেটওয়ার্ক সিস্টেম গড়ে তুলতে ৪০০ কৃত্রিম উপগ্রহ
 উৎক্ষেপণের জন্য সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে স্পেস এক্স। ২০১৩ সালে একটি বিশেষ টিউবের মধ্য দিয়ে দ্রুতগতির ট্রেন সিস্টেম বা হাইপারলুপের নকশার কথা জানান মাস্ক।



এলন মাস্কের দাবি, হাইপারলুপ হবে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির যোগাযোগ প্রযুক্তি। সৌরশক্তিনির্ভর এ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ৬০০ মাইলেরও বেশি গতিতে যোগাযোগ করা যাবে, অথচ এ যোগাযোগ প্রযুক্তি হবে প্লেন বা ট্রেনের চেয়ে সাশ্রয়ী। স্টেশন থেকে দ্রুতগতির হাইপারলুপ প্রযুক্তির যানে চেপে দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। হাইপারলুপ প্রযুক্তি মার্কিন ব্যাংকগুলোর




 অর্থ লেনদেনের একটি পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এলন মাস্কের মতে, হাইপারলুপ হবে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির কনকর্ডবিমান, দ্রুতগতির ট্রেন ও এয়ার হকির নকশার সমন্বিত রূপ। এটি এমন একটি যোগাযোগব্যবস্থা হবে, যার মাধ্যমে একটি টিউব কয়েকটি দেশ অথবা শহরজুড়ে থাকবে। টিউবের ভেতর থাকবে ক্যাপসুল। টিউব ব্যবস্থার মধ্যে কোনো বায়ু থাকবে না।
 ফলে থাকবে না কোনো প্রকার ঘর্ষণশক্তি। এই দ্রুতগতির ক্যাপসুলে চড়ে ঘণ্টায় ৬০০ মাইল বেগে ভ্রমণ করা যাবে।হাইপারলুপ ব্যবস্থায় ঘণ্টায় দুই লাখ মানুষের ভ্রমণের সুযোগ থাকবে। আর নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট এবং নিউইয়র্ক থেকে বেইজিং যেতে লাগবে দুই ঘণ্টা। মাস্ক প্রবর্তিত এই হাইপারলুপ প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় এ বছর। 



হাইপারলুপ ট্র্যাক নির্মাণে খরচ হবে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার।

আজকের অনলাইন দুনিয়ার ইন্টারনেট পেমেন্টের পদ্ধতি মূলত এই প্রযুক্তিবিদ এলন মাস্কের মস্তিষ্ক প্রসূত। ভার্চুয়াল ওয়ালেটের উৎপত্তি কিন্তু পেপ্যালের হাত ধরেই। আজকের আধুনিক বিশ্বে এক অভিনব সাড়া জাগিয়েছে তার কোম্পানি পেপ্যাল। পেপ্যালের নাম পূর্বে ছিল ‘এক্স ডট কম’। শুরুর এক বছরের মাথায় ২০০১ সালে নাম পাল্টে হয় পেপ্যাল।


পরবর্তীতে ২০০২ সালে eBay কোম্পানি এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে পেপ্যাল কিনে নেয়,যেখানে এলনের শেয়ারে প্রাপ্ত অর্থ ছিল ১৮০ মিলিয়ন ডলার। অথচ অদ্ভুত হলেও সত্য যে, তার মূল ভালোবাসা তখনও ছিল পরিবেশ এবং মহাকাশের উপরেই। তারই পথে ছুটে যেতে কোম্পানি বিক্রি করে যে মোটা অর্থ তিনি পেয়েছিলেন তার অধিকাংশই ব্যয় করেছেন 



সৌরশক্তির পেছনে। তার স্বপ্ন ছিল কার্বনের কালো থাবা মুক্ত এক পৃথিবীর, যেখানে মানুষ বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারবে, গড়ে তুলবে সুন্দর এক পৃথিবী। 
 আজীবন তেজষ্ক্রিয় পদার্থ নিয়ে কাজ করে এক অজানা রোগে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর আইনস্টাইন বলেছিলেন: সুপ্রসিদ্ধ মনীষীদের মাঝে একমাত্র মেরি কুরীর জীবনই যশের প্রভাবমুক্ত ছিল। নিজের জীবনটা যিনি অপরিচিতের মতো সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে পেরিয়ে গিয়েছেন, সেই চিরকেলে নারীর কথা লিখতে বসে আজ আমি নিজের মধ্যে সাহিত্য প্রতিভার অভাব বোধ করছি। মেরী স্কলোডসকা কুরীর জন্ম পোল্যান্ডের ওয়ার্স এ রাশিয়ায় অত্যাচারী জার শাসনের নিষ্পেষণের সময়। পরিবারে তাঁকে মানিয়া নামে ডাকতো। তাঁর বাবা ব্লাদিস্লাভ শক্লোদোভস্কি ওয়ার্সে একটি নামকরা কলেজের পদার্থের অধ্যাপক ছিলেন এবং মা ছিলেন একটি নামকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। তাঁর বাবা প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় মেরীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিজ্ঞান ও সাহিত্য বিষয়ে আসর বসাতেন।




কসময় তাঁর পরিবার মারাÍক অর্থ সংকটে পড়ায় তাঁর বড় বোনের পড়াশুনার খরচ চালানোর জন্য তিনি ১৮৬৬ সালের ১ জানুয়ারি মাসিক পাঁচশ রুবল-এর বিনিময়ে এক অভিজাত রুশ আইনজীবির বাড়িতে গভর্নেসের চাকরি নেন। তাদের দুবোনের মধ্যে শর্ত ছিল একজনের পড়াশুনা শেষ হবার পর অপর জনের পড়াশুনার খরচ যোগাবে। তাই অনেক মানসিক পীড়নের মধ্যে তাঁকে তিন বছর চাকরি করতে হয় এবং এরই মধ্যে তার বড় বোন ব্রোনিয়া ডাক্তারী পাস করে। পূর্ব শর্তানুযায়ী এবার মেরী তাঁর বোনের আর্থিক সহায়তায় বিজ্ঞানের উচচশিক্ষার জন্য প্রথমে অস্ট্রিয়ার শাসনাধীন ‘ক্রাকো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। কিন্তু সেখানে তিনি বিজ্ঞান ক্লাসে যোগ দিতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচিব তাকে অসম্মতি জ্ঞাপন করে বলেন “বিজ্ঞান মেয়েদের জন্য নয় তাই তিনি যেন রন্ধন শিক্ষা ক্লাসে যোগ দেন।” পরিচয় ঘটে এক ফরাসী বিজ্ঞানী পিয়ারে কুরীর সাথে যিনি ইতিমধ্যে চুম্বকত্ব ও পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণা করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। পিয়ারে কুরী তার জীবনকে পরিবর্তীত করার ক্ষেত্রে নিয়ামক ভূমিকা রাখেন। তারা বিয়েও করেন। ১৮৯৮ সালেই এই দ¤পতি প্রথমে পিচব্লেণ্ড হতে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ পলোনিয়াম (৯৪চঁ২৩৯) এবং পরে রেডিয়াম (জধ) আবিষ্কার করেন যা ইউরোনিয়াম [৯২ট২৩৯] হতে দশ লক্ষগুণ বেশি শক্তিশালী।




এই রেডিয়ামের ব্যবহার অপরিসীম। তাদের কাজের অবদান স্বরূপ ১৯০৩ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি কুরী দ¤পত্তিকে ডেভী পদক প্রদান করে। এবং এ বছরই পদার্থবিজ্ঞানে হ্যানরী বেকেরেলের সাথে তাদেরকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
তিনি রেডিয়ামকে বিশুদ্ধ অবস্থায় আলাদা করতে সক্ষম হন। এবং পুণরায় তাঁর যোগ্যতা প্রমাণে সক্ষম হন। তার এই কৃতিত্বের জন্য ১৯১১ সালে রসায়ন বিজ্ঞানে তিনি একা নোবেল পুরস্কার পান। দ্বিতীয় যুদ্ধে আহত সৈনিকদের যিনি দিয়েছেন একাগ্র সেবা, ভবিষ্যত বিজ্ঞানীদের দিয়েছেন উপদেশ ও পরামর্শ। সর্বোপরি নিজের স্বাস্থ্যের দিকে না তাকিয়ে যিনি ঢেলে দিয়েছেন তাঁর সবটুকু সময়।
সায়েন্টিফিক গণনার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডা বায়রনের জন্ম লন্ডনে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। অগাস্টা অ্যাডা বায়রন [Ada Byron] ছিলেন রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রন ও অ্যানে ইসাবেলে মিলব্যাংকের কন্যা। ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন পৃথিবীর এই প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে পরিচিত এ নারী গণিতবিদ। কিন্তু অ্যাডার জন্মের ঠিক এক মাস পর এই দম্পতি পৃথক হয়ে যান। আর জন্মের মাত্র চার মাস পর লর্ড বায়রন চিরকালের জন্য ইংল্যান্ড ছেড়ে চলে যান। অ্যাডার কখনও বাবার সঙ্গে দেখা হয়নি। ১৮২৩ সালে অ্যাডার বাবা গ্রিসে মারা যান। তার মা লেডি বায়রনই তাকে বড় করে তোলেন। তার পুরো নাম ছিল অ্যাডা অগাস্টা কিং, আর ডাকা হতো কাউন্টেস অব লাভলেস বা শুধুই অ্যাডা লাভলেস নামে। অ্যাডা মাত্র ৩৬ বছর বেঁচে ছিলেন। ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জরায়ুর ক্যান্সার এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।



তার জীবন আবেগ ও যুক্তি, কবিতা ও গণিতশাস্ত্র এবং অসুস্থ স্বাস্থ্য ও শক্তি ক্ষরণের মধ্যকার সংগ্রামে মহিমান্বিত। মা লেডি বায়রন কোনোভাবেই চাননি তার মেয়ে বাবার মতো কাব্যিক হোক। তিনি চেয়েছিলেন অ্যাডা গণিত ও সঙ্গীত শিক্ষায় বড় হোক, যাতে বিপদজনক কাব্যিক প্রবণতাকে প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু অ্যাডার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সেই ঐতিহ্য ১৮২৮ সালের দিকেই প্রকাশ পায়। সেই সময় তিনিই ফ্লাইং মেশিনের নকশা প্রণয়ন করছিলেন। গণিতশাস্ত্র তার জীবনকে দিয়েছিল উড়ে চলার গতি।


১৭ বছর বয়সে [১৮৩২] তার গাণিতিক প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে। ছেলেবেলা থেকেই মা তাকে গণিতে দক্ষ করে তুলতে চাইতেন যাতে বাবার প্রভাব কোনোভাবেই মেয়ের মধ্যে প্রতিফলিত না হয়। ১৮৪১ সালের আগে অ্যাডা জানতেনই না লর্ড বায়রন তার বাবা। গণিতজ্ঞ ও যুক্তিবিদ ডি-মরগান তার শিক্ষক ছিলেন! স্যার চার্লস ডিকেন্স, চার্লস হুইটস্টোন এবং বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের সঙ্গেও তার জানাশোনা ছিল। ১৮৩৩ সালের ৫ জুন তার সঙ্গে পরিচয় হয় স্যার চার্লস ব্যাবেজের। চার্লস ব্যাবেজের সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠ এবং রোমান্টিক সম্পর্কও গড়ে ওঠে। ব্যাবেজ অ্যাডার অসাধারণ ধীরশক্তি, সাবলীল লেখনি এবং প্রতিভায় মুগ্ধ ছিলেন। ব্যাবেজ অ্যাডা সম্পর্কে নিজের লেখায় অ্যাডাকে ‘সংখ্যার জাদুকর’ উপাধিতে আখ্যা দিয়েছিলেন। পরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।



উল্লেখ্য, আধুনিক কম্পিউটারের জনক চার্লস একটি ডিফারেন্সিয়াল যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন সংখ্যার ঘাত গণনা করা অর্থাৎ কোনো সংখ্যাকে সেই সংখ্যা দিয়ে একবার, দু’বার, তিনবার, চারবার গুণ করলে যে ফল হয় তা বের করা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই বিয়োগযন্ত্র বানানোর সময় আরেকটি নতুন যন্ত্র বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। এই যন্ত্রই তাকে ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। এর নাম তিনি দিয়েছিলেন অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন বা বিশ্লেষণী যন্ত্র। স্যার চার্লস উইলিয়াম ব্যাবেজ যখন তার ডিফারেন্স মেশিন বা অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামক কম্পিউটার আবিষ্কারের নেশায় মত্ত, তখন অ্যাডা তার গণিতবিষয়ক বিশ্লেষণী ক্ষমতার দ্বারা বুঝতে পেরেছিলেন এই কম্পিউটারগুলোর নাম্বার ক্রাঞ্চিংয়ের অমিত সম্ভাবনা সম্পর্কে। চার্লস ব্যাবেজ তাই লিখে গেছেন তার decline of Science in England বইয়ে। এই অসামান্যা নারীর সম্ভাবনাময় ধারণাগুলো চার্লস ব্যাবেজের কাজকে আরও বেগবান করেছিল। চার্লস ব্যাবেজের কল্পিত এই যন্ত্রে আধুনিক স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটারের অনেকগুণই উপস্থিত ছিল। সৌভাগ্যের ব্যাপার, ব্যাবেজের অনেক ধারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কবি কন্যা অ্যাডা বায়রন। অ্যাডা বায়রন এই যন্ত্রের কর্মসূচি বা প্রোগ্রাম করেছিলেন। তাই তাকে পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয়।
যদি আপনি মনে করেন না যে আপনি পুনরায় ফেসবুক ব্যবহার করবেন, তাহলে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে মুছে ফেলার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। দয়া করে মনে রাখবেন যে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করতে সক্ষম হবেন না । আপনি এটি করার আগে,




 আপনি Facebook থেকে আপনার তথ্য একটি কপি ডাউনলোড করতে পারেন।


 তারপর, যদি আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের জন্য কোনও বিকল্প থেকে স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে চান তবে আপনার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন এবং ফেসবুক কে   জানান।

যখন আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলবেন, লোকেরা ফেসবুকে এটি দেখতে সক্ষম হবে না।

 আপনার ফটো, স্থিতি আপডেট বা ব্যাকআপ সিস্টেমে সংরক্ষিত অন্যান্য ডেটা যেমন আপনার পোস্ট করা সমস্ত মুছতে মুছে ফেলার প্রক্রিয়াটির শুরু থেকে 90 দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। 




আপনি ফেসবুকে যা কিছু করছেন তা আপনার অ্যাকাউন্টে সংরক্ষণ করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, আপনার অ্যাকাউন্টটি  মুছে দেওয়ার পরেও কোনো বন্ধু আপনার কাছেও বার্তা পাঠাতে পারে। আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার পরে ও   সে  তথ্য ফেসবুক server এ  থাকে।

লিঙ্কটি হল ঃ এখানে 


প্রযুক্তি সহজলভ্য হলেও ইন্টারনেট স্পিড আমাদের দেশে সহজলভ্য নয়। বিশেষ করে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীরা আরো বেশী ভোগান্তির শিকার।

আসুন, আজকে জেনে নেই কিভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট হ্যাক করে দ্বিগুণ গতি উপভোগ করতে পারবেন।

প্রয়োজনীয় টুলস-


কার্যপ্রণালীঃ
 ধরে নেই আপনার IP হলো 10.20.200.90। তাহলে Network Scanner সফটওয়্যারটি ওপেন করে Range From থেকে 10.20.200.1 To 10.20.200.250 সিলেক্ট করে দিতে পারেন। অর্থাৎ আপনার IP অনুযায়ী Range অনুমান করে বসিয়ে Start Scanning এ ক্লিক করুন। 
ফলাফল হিসেবে  আপনি কিছু IP এবং MAC adress পাবেন।

এখন Technitium MAC Address Changer বা TMAC সফটওয়্যার ওপেন করুন। Windows 7/10 হলে রাইট ক্লিক করে Run as administrator এ ক্লিক করে ওপেন করুন।
এবার Up,operational যেটা আছে সেটা সিলেক্ট করে দিয়ে Change MAC এ ক্লিক করুন।
এখন ঐ খালি বক্সগুলোতে আইপি স্ক্যান করে যে mac address পেয়েছেন সেটা বসিয়ে Change now তে ক্লিক করে ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।। মনে রাখবেন আপনি যার আইপি ব্যবহার করবেন তার mac address ই এখানে বসাতে হবে।
এবার Control Panel\Network and Sharing Center এ যান। তারপর Change adapter settings থেকে Local Area Connection এ রাইট ক্লিক করে properties এ যান।
এখন আপনার IP পরিবর্তন করে সেখানে দ্রুত ইন্টারনেট গতি কারো MAC Address এর ব্যাবহারকারীর IP বসিয়ে দিন। সব ঠিক ঠাক থাকলে কিছুক্ষন পরেই আপনার নেট চালু হয়ে যাবে।

সতর্কতা -
# অবশ্যই আপনার কম্পিউটারের নাম বদলিয়ে নিবেন।
# সব সময় এইভাবে নেট ব্যবহার করবেন না। গভীর রাতে ব্যবহার করলে কোন সমস্যা হবে না অন্যথায় IP conflict হবে। আপনার নিজের IP & MAC Address অন্য কোথাও লিখে রাখুন। যাতে ভূলে গেলেও পরবর্তীতে যাতে আবার ঠিক করা যায়।





আরো পড়ুন, জেনে নিন যে কোন মোবাইলের কল লিস্ট আর মেসেজ গুলো।http://www.ebangla.tech/2017/09/AndroidHack.html