মনে করুন রাতে মুভি দেখতে বসেছেন , ঘুম আসছে আবার মুভি ও শেষ না করে উঠতে ইচ্ছে করছে না ।  কখন ঘুমিয়ে যাবেন তার নেই ঠিক , আবার উঠে গিয়ে পিসি অফ করবেন  তাও আলসেমির কারনে পারছেন না । 
নো চিন্তা আমার মত অলস মানুষ যারা আছেন, তারা কষ্ট করে  কিছু টাইপ করুন মানে আপনার পিসি কে নির্দেশ দিয়ে রাখুন , ভদ্রলোক সময় মত আপনার কথা অনুযায়ী কাজ করবে , 
অর্থাৎ আপনি  দেখলেন যে মুভি টি শেষ হতে প্রায়  দেড় ঘন্টা বাকি , তো দেড় ঘন্টা পর পিসি যদি একাই অফ হয়ে যায় তো বেশ মজার হয় ব্যাপারটা । 

আসুন  দেখে আসি সেই মজাদার উপায়, 

ডেস্কটপ স্ক্রিনে মাউস এর রাইট বাটনটি ক্লিক করুন , 
সেখানে new থেকে  shortcut অপশনটি সিলেক্ট করুন ( সাধারনত ফোল্ডারের পরেই এই অপশনটি থাকে ) 

সেখানে  লেখার জন্য বক্স আসবে   নীচের কোডটি টাইপ করুন ,

SHUTDOWN -s -t 60

উপরে -s দিয়ে শাট ডাউন বোঝাচ্ছে আপনি যদি -r ব্যাবহার করেন তো রিস্টার্ট এর কাজ হবে 
সবার শেষে আমি লিখেছি ৬০ অর্থাৎ ৬০ সেকেন্ড বা ১ মিনিট পরে   এটি রান করবে ,  আপনার যত সময়পরে  কাজ করানো দরকার শুধু সময়টিকে সেকেন্ডে কনভার্ট করে নিন । 

এর পর next দিয়ে  Finish  দিন , দেখবেন আপনার ডেস্কটপে  Shutdown.exe নামে একটি আইকন তৈরী হয়েছে । সেটিতে ডাবল ক্লিক করুন।  System Shutdown নামে একটি Box আসবে 
আপনার বেধে দেয়া সময় পরে আপনার কম্পিউটার একাই বন্ধ হয়ে যাবে । 




শর্টকাট ভাইরাসের কবলে পড়ে নি এমন কম্পিউটার ব্যাবহার কারী খুজে বেড় করা কষ্ট । 

পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাস তো আগেই সরানোর নিয়ম দেখানো হয়েছে 
কমান্ড প্রম্পট এ গিয়ে  ছোট্ট কমান্ড দিলেই কাজ হয়ে যায় ......
এবার দেখি কম্পিউটারে শর্টকাট ভাইরাস আক্রান্ত হলে কয়েকলাইন এর কোড লিখে নিজে কিভাবে একটি শর্টকাট ভাইরাস রিমুভার তৈরী করে ফেলব ।

প্রথমেই নোটপ্যাড ওপেন করি , যারা নতুন বসেছেন  নোটপ্যাড বলতে  ডানে বামে কিছু দেখছেন না তারা  মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে  new অপশনের  Text Document সিলেক্ট করুন ।

এবার কিছু না বুঝেই  নীচের কোড টি কপি পেস্ট করুন 

echo off
attrib -h -s -r -a /s /d C:\*.*
attrib -h -s -r -a /s /d D:\*.*
attrib -h -s -r -a /s /d E:\*.*
attrib -h -s -r -a /s /d F:\*.*
attrib -h -s -r -a /s /d G:\*.*
echo complete.
echo complete.

কোডের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপার খেয়াল করুন , \*.* অংশ টির আগে আমাদের C,D,E,F,G  দেয়া আছে, এগুলো আমাদের ড্রাইভের নাম , কারো যদি ড্রাইভ বেশী থাকে তো নতুন এক লাইন এড করে নিবেন আর কারো যদি কম থাকে তাহলে এক লাইন রিমুভ করে দিবেন ।

এবার সেভ করে বেড় হয়ে আসুন ,  ফোল্ডারের নামটি চেঞ্জ করুন এবার নিজের পছন্দ মত যা খুশি সেই নাম দিন  এক্সটেনশনে .txt এর যায়গায় .bat  দিন । যারা এখনো  জানেন না কিভাবে ফাইল এক্সটেনশন চেঞ্জ করা যায় তারা চাইলে  এই লিংক থেকে  নিয়মটি পড়ে আসতে পারেন 
ব্যাস কাজ শেষ । ও হ্যা...... এই কাজটি কিন্তু ডেস্কটপ স্ক্রীনে করবেন ।
স্মার্টফোনের এই যুগে অনেক অসাধ্য সাধন করা যায় অতি সহজে। জটিল জটিল কাজ চোখের পলকেই করা সম্ভব। কিন্তু মোবাইল ফোনে বা সিমে সেভ করা প্রয়োজনীয় সব কন্টাক্ট নাম্বার কোনো কারণে ডিলেট হয়ে গেলে বা মোবাইল নষ্ট হয়ে গেলে তা ফিরে পাওয়া অত্যন্ত কষ্টের।
তবে মোবাইল নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলে, সিম নষ্ট হলেও আপনার সেভ করা কন্টাক্ট নাম্বারগুলো আর হারাবে না। কারণ আপনার হাতে রয়েছে স্মার্টফোন।

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে তাতে আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন। আর জিমেইল অ্যাকাউন্ট না থাকলে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলুন। আর ইন্টারনেট সংযোগ থাক বা না থাক আপনি অ্যাকাউন্ট টি লগ আউট করবেন না।
এরপর আপনি আপনার মোবাইলে মূল মেন্যু বা হোমে ফিরে আসুন। এরপর যখনই কোনো নাম্বার মোবাইলে সেভ করতে যাবেন তখন ‘কোথায় সেভ করবেন?’ এমন একটি অপশন আসবে। আর সেখানে ফোন স্টোরেজ, সিম এবং সেভ টু গুগল অপশন থাকবে।
আপনি ‘সেভ টু গুগল’ অপশন বেছে নিয়ে নাম্বারটি সেভ করুন এবং মোবাইলে থাকা আগের নাম্বারগুলো কপি করে সেখানে নিয়ে যান। আপনার কাজ এ পর্যন্ত শেষ।
পরে যখনই আপনি মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ দিবেন তখনই জিমেইল অ্যাকাউন্টটি সেভ করা নাম্বারগুলো নিজে নিজেই সংরক্ষণ করে নিবে।
এরপর আপনার মোবাইল হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলেও এবং সিমের সব নাম্বার ডিলেট হলেও আপনার কোনো চিন্তার কারণ নাই। অন্য যে স্মার্টফোনে আপনি আপনার ঐ জিমেইল অ্যাকাউন্ট লগ ইন করলে আপনার সেভ করা সব নাম্বার আবার আগের মতই পেয়ে যাবেন।
প্রত্যাখ্যানের পর প্রত্যাখ্যানই দেখেছি আমি।।।হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১০বার আবেদন করে।১০বারই প্রত্যাখ্যাত হয়েছি ।

এতক্ষণ যার কথা বলেছি তিনি হলেন পৃথিবীর অন্যতম বড়।অনলাইন ভিত্তিক কম্পানি আলিবাবা ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জ্যাক মা৷তার জন্ম চীনের জিজিয়াং প্রদেশে৷





ফোবর্স
ম্যাগাজিনের হিসেবে জ্যাক মা পৃথিবীর ৩৩ তম ধনী ব্যক্তি৷তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার৷
জ্যাক মার জীবনে এতবার ব্যার্থ হওয়ার পরও বড় হওয়ার,প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশা থেকে বিন্দু মাত্র
পিছপা হন নি৷


অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে তিনি আজকের অবস্থানে এসেছেন৷যেই জ্যাক মা চাকরির জন্য ৩০ বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন সেই জ্যাক মার প্রতিষ্ঠান আলিবাবা ডটকম চীনে নতুন করে ১৪ মিলিয়ন চাকরি তৈরি করেছে৷



সমস্যা, সমাধান, সুযোগ এবং নতুনভাবে শুরু করার গল্প


ই-কমার্সের বিশাল সাম্রাজ্যে জায়ান্টদের মধ্যে অন্যতম ই-কমার্স ওয়েবসাইট আলিবাবা শুরু করার বছর পাঁচেক আগেও জ্যাক মা ইন্টারনেট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন না। ১৯৯৪ সালে তিনি প্রথম ইন্টারনেট নামক মাধ্যমের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারেন। ১৯৯৫ সালের প্রথম দিকে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সেখানে এক বন্ধুর সহযোগিতায় ইন্টারনেটের প্রথম পাঠ নেন। সেসময় তিনি ইন্টারনেটে ‘বিয়ার’ লিখে সার্চ দিয়ে যে সমস্ত তথ্য পান, তার মধ্যে বিভিন্ন দেশের ওয়েবসাইটের অবদান থাকলেও নিজ দেশ থেকে কোনো অবদান তার চোখে পড়েনি। এমনকি তার নিজের দেশের তথ্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়েও না পেয়ে বেশ মনঃক্ষুণ্ণ হন জ্যাক। পরে নিজেই এক বন্ধুর সহযোগিতায় একটি সাধারণ ওয়েবসাইট তৈরি করেন। ওয়েবসাইটটি প্রকাশ করার মাত্র ঘণ্টা পাঁচেকের মধ্যে তিনি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পান। এটিই মূলত ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসা করার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে তার জন্য।



সে বছরই জ্যাক তার স্ত্রী জ্যাং ইং এর সহযোগিতায় বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে প্রায় বিশ হাজার ইউএস ডলার সংগ্রহ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের একজন বন্ধুর সহযোগিতায় china yollow page নামের একটি কোম্পানি তৈরি করেন। তাদের মূলত কাজ ছিল চীনের বিভিন্ন কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়া, যদিও জ্যাক প্রোগ্রামিং এর কিছুই জানতেন না। মাত্র তিন বছরের মধ্যে সেই কোম্পানি প্রায় আট লক্ষ ইউএস ডলারের মতো মুনাফা লাভ করে। এই পরিমাণটা সেই সময়ের তুলনায় অনেক বিশাল ছিল।

সে সময়ের কথা বলতে গিয়ে জ্যাক জানান, ওয়েবের সাথে সংযুক্তির পর দিনদিন চারপাশ বদলাতে থাকে। কিন্তু ইন্টারনেট সংযোগ অনেক ধীর গতির হওয়ায় একটি ওয়েব পেজ লোড হতেই অধিকাংশ সময় ঘণ্টা তিনেকের মতো প্রয়োজন হতো। ঐ সময়টা অতিবাহিত করার জন্য আমি আমার বন্ধুদেরকে বাড়িতে দাওয়াত দিতাম। টিভি দেখে, তাস খেলে, মাতাল হওয়ার মাধ্যমে সময়টা বেশ কেটে যেত।



২০০৩ সালে Taobao Marketplace, Alipay, Ali Mama এবং Lynx নামের চারটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এর মধ্যে টাওবাও মার্কেটপ্লেস বেশ দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। সে সময় বর্তমান বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তর ই-কমার্স কোম্পানি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করা ebay থেকে আলিবাবাকে কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু জ্যাক মা তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং ইয়াহুর সহ-প্রতিষ্ঠাতা Jerry Yang থেকে পাওয়া এক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিয়ে তার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে থাকেন। তার সঠিক সিদ্ধান্ত, বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ এবং হাল ছেড়ে না দেয়ার ফলাফল হিসেবে আলিবাবা বর্তমানে  বিজনেস-টু-বিজনেস, বিজনেস-টু-কাস্টমার এবং কাস্টমার-টু-কাস্টমার সার্ভিস দেয়া কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।


অনুপ্রেরণায় জ্যাক মা



জ্যাক মার মতে, “আপনি যদি হাল ছেড়ে না দেন, তাহলে সামনে জয়ী হওয়ার আরো সুযোগ পাবেন।” তিনি আরো বলেন, “যদি আপনি চেষ্টাই না করেন, তাহলে কীভাবে বুঝবেন কোনো সুযোগ আছে কি নেই?” অর্থাৎ তিনি হাল ছেড়ে না দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে বলেছেন। এক জায়গায় ব্যর্থ হলেও, আরেক জায়গায় চেষ্টা করার কথা বলেছেন। তিনি বারবার ধৈর্য ধারণ করার কথা বলেছেন। নিজের পছন্দের কাজের প্রতি আসক্ত হবার কথা বলেছেন। ছোট ছোট কাজ দ্বারা এগিয়ে যাবার মাধ্যমে বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখতে উৎসাহী করেছেন।

যারা এখানে আগে কম্পিউটারের  বিবর্তন ধারা টপিক পড়েছেন তারা অনেকেই কনফিউশনে পড়ে গেছেন হয়ত,   কারন হাতের সামনের ল্যাপটপে সুন্দর করে লেখা 6th জেনারেশন আর সেখানে কিনা ভদ্রলোক বলে দিয়েছে কম্পিউটার  কে ৫ টি জেনারেশনে ভাগ করা হয়েছে । দুই কুল রক্ষা করতে বলে ফেলি  আসলে আপনিও ঠিক আমিও ঠিক।  আসলে সেটি হচ্ছে প্রসেসর এর জেনারেশন । খুব বেশিদিন হয়নি  মাত্র 7th Gen রিলিজ হয়েছে । 


প্রসেসর এর জেনারেশন কি ?

প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটার এর প্রান, এর মূল চালিকাশক্তি। প্রসেসর মূলত  দুইটি কোম্পানি তৈরি করে। ইন্টেল ও এএমডি। আমাদের দেশে মূলত ইন্টেল সবচে বেশি ব্যাবহার হয়। তবে ইউরোপে এএমডির বাজার বেশি।  এই “জেনারেশন” শব্দটা শুধু ইন্টেল কোম্পানি তার তৈরি প্রসেসরগুলোর বিক্রির কাজে ব্যাবহার করে। এটা কোন আন্তর্জাতিক শব্দ না,এর কোন মানও নেই। পুরোপুরি ইন্টেলের ব্যাবসা বাড়ানোর একটা পদ্ধতি। জেনারেশন হলো, ইনটেল প্রতি বছর যে প্রসেসর তৈরি করে তার উৎপাদন টেকনিক কতটা উন্নত এবং কতটা ছোট।  ইনটেল প্রত্যেক বছরে অর্থাৎ প্রসেসর এর প্রতিটি নতুন জেনারেশন এ এই ট্র্যান্সিস্টর গুলো কতো বেশি ক্ষুদ্র করে বানিয়েছে তা প্রকাশ করে। কম্পিউটার প্রসেসর এর ট্র্যান্সিস্টর গুলো যত বেশি ক্ষুদ্র হবে ততো বেশি দ্রুত গতি সম্পূর্ণ হবে, ততো বেশি দক্ষ হবে এবং কম পাওয়ার ব্যবহার করবে। 

Core i3 , i5 , i7 

ইন্টেলের প্রচলিত সেলেরন , পেন্টিয়াম প্রসেসর গুলোর ব্যাবহার দিন দিন উঠে যাচ্ছে , তার যায়গা নিয়ে নিচ্ছে ইন্টেলের কোর প্রসেসর ।  বর্তমানে ইন্টেলের core i3 , core i5 , core i7 
এই ৩ টি প্রসেসর এ  সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়।  এগুলো থেকেই মুলত জেনারেশন শব্দটি ইন্টেল ব্যাবহার করছে ।
ক্লক স্পিড , ক্যাশ ম্যামরী , পাওয়ার ইউজ  এই সব সুবিধা দিয়ে জেনারেশন পরিবর্তন হচ্ছে ।

জেনারেশন চিনার উপায়ঃ

মনে করুন একটি প্রসেসর এর মডেল ইনটেল কোর i7 ৪৭৭০ এবং আরেকটি প্রসেসর এর মডেল ইনটেল কোর i7 ৫৭৭০। এখানে প্রথম প্রসেসরটি ৪র্থ জেনারেশন এবং দ্বিতীয় প্রসেসরটি ৫ম জেনারেশন। লক্ষ করলে দেখতে পাবেন যে এর জেনারেশন সংখ্যা এর মডেল সংখ্যার প্রথম সংখ্যা। এভাবেই আপনি খুব সহজেই কম্পিউটার প্রসেসর এর জেনারেশন চিনতে পারবেন।


কোনটি কিনবেনঃ 

জেনারেশন বা মডেল যত বেশী হবে সুবিধা তত বেশী পাবেন , আসলে জেনারেশনের চেয়েও প্রসেসর কোনটী নিবেন সেটি বেশী প্রয়োজনীয় , আপনার প্রসেসর এর মডেল নির্ভর করবে  আপনার কাজের উপর , 
আপনি যদি খুব সাধারন একজন ইউজার হন , নেট ব্রাউজিং , গান শোনা মুভি দেখা , টাইপ করা এই রকম কাজের জন্য কোর আই ৩ বা এর চেয়ে নিচের কম্পিউটারই যথেষ্ট । আপনি যদি মাল্টি টাস্ক করে থাকেন ,  হালকা গেম খেলার ঝোক আছে , প্রোগ্রামিং , গ্রাফিক্স এর কাজ করেন তখন আপনি কোর আই ৫ ব্যাবহার করতে পারেন, কোর আই ৭ এর ক্ষেত্রে বলব এটি নিয়ে টাকা নষ্ট করার মানেই হয় না , কারন 3D এর কাজ , ভিডিও রেন্ডারিং , এডভান্স গেমিং এর মত কাজ গুলো ছাড়া এই প্রসেসর এর দরকার নেই , তবে  হাই কনফিগারেশনের গেমার যারা আছে  তাদের জন্য কোর আই ৭  বেস্ট । 
নিজেই এবার ঠিক করুন প্রসেসর কোনটি  নিবেন আপনি ? 

ডার্ক ওয়েব সহ ইন্টারনেট জগতের নানা অজানা রহস্য জানতে এই পোষ্ট গুলো পড়ে নিতে ভূলবেন না। Click here 



অনেককাল আগে থেকেই  মানুষ গননার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে থাকে , গননার সুবিদার্থে  তৈরী করে বিভিন্ন নিয়ম ও যন্ত্র
মোটামুটি খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালে যন্ত্রের সাহায্যে গণনার যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই থেকে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে নানা ধাপ পেরিয়ে কম্পিউটার ও তার প্রযুক্তি অগ্রগতি অব্যাহত। সূচনা পর্বে কম্পিউটার ছিল শুধু মাত্র একটি গণনা যন্ত্র, নাম অ্যাবাকাস (ABACUS)। প্রকৃতপক্ষে এখন আমরা ক্যালকুলেটর বলতে যা বুঝি, অ্যাবাকাস ছিল তা-ই। কাঠের একটি বাক্সের মত জিনিসে কয়েকটি পুতি লাগানো থাকত যা দিয়ে ক্যালকুলেটরের মত হিসাব করা হত । আজ কম্পিউটার বলতে সাধারণ ভাবে যে যন্ত্রটির চেহারা আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তা প্রযুক্তিগত বিবর্তনের দীর্ঘ পথ অতিক্রমের ফসল। এই বিবর্তনে একের পর এক যে সব যন্ত্রের আবির্ভাব ঘটেছে, সেগুলি হল (১) অ্যাবাকাস, (২) প্যাসকালের যান্ত্রিক গণক, (৩) চার্লস ব্যাবেজের ডিফারেন্সিয়াল ইঞ্জিন, (৪) বৈদ্যুতিন সংখ্যা গণক বা ইলেকট্রনিক নিউমেরিক ইন্টিগ্রেটর অ্যান্ড ক্যালকুলেটর (ENIAC), (৫) সর্বজনীন স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার বা ইউনির্ভাসাল অটোম্যাটিক কম্পিউটার (UNIVAC)।

শুরু থেকে এখন পর্যন্ত  কম্পিউটারের ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে । কম্পিউটারের এই পরিবর্তনের বিবর্তনকে ৫ টি প্রজন্মে ভাগ করা হয়েছে , কম্পিউটার সংক্রান্ত আলোচনায় ‘প্রজন্ম’ বলতে প্রযুক্তিগত ধাপকে বোঝায়।

প্রথম প্রজন্ম (১৯৪২-১৯৫৫)
দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৫ – ১৯৬৪)
তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৪ – ১৯৭৫)
চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭৫ ও তার পরবর্তী সময়)
পঞ্চম প্রজন্ম ( আসন্ন )

প্রথম প্রজন্ম (১৯৪২-১৯৫৫)

১৯৪২ থেকে ১৯৫৫ সালের মধ্যে যে সব কম্পিউটার তৈরি হয়েছে, সেগুলিকে বলা হয় প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার। ঐ সব কম্পিউটারের গঠনতান্ত্রিক কাঠামোর মূল যন্ত্রাংশ ছিল ভ্যাকুয়াম টিউব। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রতীক হিসাবে এই সব কম্পিউটারের নানা সুবিধা থাকলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এগুলির কিছু অসুবিধাও ছিল।
প্রথমত, এই সব কম্পিউটার ছিল আকারে বড়। দ্বিতীয়ত, এগুলি সব সময় বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে কাজ করতে পারত না। তৃতীয়ত, শীততাপ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা ছাড়া এগুলিকে ব্যবহার করা যেত না। চতুর্থত, প্রায়ই এ সব কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়ত। যেমন, ভ্যাকুয়াম টিউব প্রায়ই খারাপ বা নষ্ট হয়ে যেত। তখন তা বদলানো ছাড়া উপায় থাকত না। পঞ্চমত, এগুলি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার উপযোগী ছিল না।  

দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৫ – ১৯৬৪)

দ্বিতীয় প্রজন্মে কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রায় সমস্ত দিক দিয়েই আগ্রগতি শুরু হয়। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সমস্যার সমাধানে কম্পিউটার এর প্রয়োগ ইত্যাদিতে। এই সার্বিক আগ্রগতির প্রধান কারন ছিল ১৯৪৭ সালে Transistor  এর আবিষ্কার। ১ম প্রজন্মের তুলনায় সুবিধা ছিল  প্রথম প্রজন্মের তুলনায় আকারে ছোটো। কম পরিমান তাপের উতপত্তি প্রথম প্রজন্মের তুলনায়। দ্রুত গতিতে ক্রিয়াশীল। কিন্তু ক্রমাগত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। কুলিং সিস্টেম এর প্রয়োজন ছিল বিধায় দ্রুততার সাথেই নতুন  প্রজন্মের কম্পিউটার এর আগমন ঘটে। 

তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৪ – ১৯৭৫)

 দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়েছিল ট্রানজিস্টর। তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে তার জায়গা নিলো ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আই সি), যা সাধারণত সিলিকনের একটি মাত্র টুকরোর উপরে তৈরি অতি ক্ষুদ্র স্থানে সীমাবদ্ধ বিদ্যুৎ সঞ্চালন চক্র। যে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আই সি-র এই ব্যবহার, তার নাম লার্জ স্কেল ইন্টিগ্রেশন (এল এস আই) টেকনোলজি।
দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারে অসুবিধার মাত্রা খুবই কম আসে, সুবিধা বেড়ে যায় অনেকটাই। প্রথমত, তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি ছিল আকারে ছোট।
দ্বিতীয়ত, এগুলি আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্যতার সঙ্গে কাজ করতে পারত। তৃতীয়ত, এগুলি ব্যবহারের সময় কম তাপ উত্পন্ন হত। চতুর্থত, এগুলি তথ্য বিন্যাসের কাজ দ্রুত করতে পারত। পঞ্চমত, এগুলির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ ছিল কম। ষষ্ঠত, এই কম্পিউটারগুলি ছিল বহনযোগ্য, অর্থাৎ সহজেই এগুলি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা নিয়ে যাওয়া যেত। সপ্তমত, এগুলি চালাতে কম বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজন হত। অষ্টমত, এগুলির বাণিজ্যিক উত্পাদন ছিল তুলনামুলক ভাবে সহজ এবং এর খরচ ছিল কম।

চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭৫ ও তার পরবর্তী সময়)

 চিপ (Chip) তৈরির প্রজুক্তিতে অভাবনীয় আগ্রগতি হল চতুর্থ প্রজন্মে। যার ফলশ্রুতি হল LSI (Large Scale Integration) circuit এবং VLSI (Very Large Scale Integration) circuit প্রযুক্তি। যার সাহায্যে একটি চিপে এক লক্ষ্যেরও বেশি ট্রানজিস্টার রাখা সম্ভব হল। ফলে সার্কিটের আকার এতোটাই ছোটো হয়ে গেল যে , সি পি উ (CPU) কে একটি মাত্র চিপের মধ্যে আনা সম্ভব হল। ফলে চম্পুতেরের আকার অনেক ছোটো হল এবং তার বিশ্লেষণ ক্ষমতাও অনেক গুন বেশি হল।আকারে অনেক ছোটো ও বহন যোগ্য।রক্ষণাবেক্ষণের খরচ খুব কম।বহু উদ্দেশ্য সাধক।
কম বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন। তবে এর  জটিল গঠন থাকায় এটি সবার বোধগম্য নয় এছাড়া এর কোন অসুবিধা নেই । 

৫ম প্রজন্মঃ

বিজ্ঞানীরা এখন পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার তৈরির কাজে ব্য‌স্ত, চলেছ আরও উন্নত ও পরিমার্জিত প্রযুক্তি উদ্ভাবনের গবেষণা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অপটিক ফাইবার প্রযুক্তির প্রয়োগ। মনে রাখতে হবে, মানুষের মেধার যেমন স্বকীয়তা আছে, কম্পিউটারের কিন্তু তা নেই। কম্পিউটারকে মেধাসম্পন্ন করে তুলতে হয়। তাই কম্পিউটারের মেধা কৃত্রিম মেধা। এই মেধা ও তার ব্যবহারকে অপটিকাল ফাইবার ও অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে কত তীক্ষ্ণ ও দক্ষ করে তোলা যায়, পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারে চলছে তারই পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
এই ক্যামেরার বিশেষত্ব হল এতে দুটি ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে আছে ১৬০X১২০ রেজুলেশনের থার্মাল ইমেজ সেন্সর। অন্যটিতে আছে ১৯২০X১০৮০ ভিসিবল লাইট ক্যামেরা। এর দুটো ক্যামেরা একসঙ্গে কাজ করে। এই ক্যামেরা স্টিল ইমেজও নিতে পারে। এতে এইচডিএমআই ভিডিও আউটপুট রয়েছে।


এছাড়াও ফ্লেয়ারের আরেকটি মডেলের ক্যামেরা রয়েছে। যার মডেল ডুও আর। যেটিতে রেডিওমেট্রিক টেমপেরেচার মেসারমেন্ট পাওয়া যাবে।



এই ক্যামেরার অন্যান্য ফিচার ফ্লেয়ার ডুও ক্যামেরার মতোই। দুটি ফোনেরই সাইজ প্রায় সমান৷ ডুও আর ক্যামেরা সম্পূর্ণ রেডিওমেট্রিক ভেরিয়্যান্ট৷

দুটি ফোনেই হবে ১০৮০পি এইসডি ভিডিও৷ দুটি ক্যামেরাই ফ্লেয়ার অ্যাপের ব্লুটুথের সাহায্যে চালানো যাবে৷ 



অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া যাবে এই অ্যাপ৷ ড্রোন ব্যবহারকারীদের জন্য ১২ হাজার ফিট পর্যন্ত অপারেট করার বন্দোবস্ত থাকছে৷ এর পরিমাপ ৪১-৫৯-২৯.৬ মিমি৷ ওজন ৮৪ গ্রাম৷