ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড

ভিডিও এর জন্য সেরা ওয়েবসাইট হল ইউটিউব , ইমেজ যেমন ব্রাউজার থেকেই ডাউনলোড করা যায় তেমন করে ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করা যায় না , অনেকেই  ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার ব্যাবহার করে থাকেন, অনেকের কাছে আবার এর ফুল ভার্শন থাকে না , কোন প্রকার এপস বা ডাউনলোডার ছাড়াই ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড এর নিয়ম দেখেনিন ঝটপট করে এবং নিজের পছন্দের গান বা ভিডিও ডাউনলোড করে ফেলুন মুহুর্তের মধ্যে 
১)  ওয়েবসাইটের সাহায্যেঃ
http://keepvid.com  এ যান , এখানে সার্চ বক্সের মধ্যে আপনার পছন্দের ভিডিও লিংক দিন, নীচে  বিভিন্ন কোয়ালিটির ভিডিও লিস্ট আসবে , যেটি প্রয়োজন ডাউনলোড দিয়ে ফেলুন

২) লিংক চেঞ্জ করেঃ
ইউটিউবের পছন্দের ভিডিও টিতে যান ,লিংকটি শুধু একটু পরিবর্তন করুন  www. এর পরে ss  যুক্ত করুন 
অর্থাৎ www.ssyoutube.com/......
আপনার পছন্দের ভিডিওটির বিভিন্ন কোয়ালিটির ডাউনলোড অপশন চলে আসবে 

৩) এক্সটেনশনের মাধ্যমেঃ
ফায়ারফক্স ব্রাউজারের জন্য www.downloadhelper.net  এড্রেসে গিয়ে একটি এক্সটেনশন নামিয়ে নিন , ভিডিও শুরুর সময় ডাউনলোড  হেল্পার অপশন পাবেন , সেখানেই রয়েছে ডাউনলোড বাটন ।

৪) সফটওয়্যারের মাধ্যমেঃ
youtube by click  নামের  সফটওয়্যার দিয়ে সহজেই ইউটিউবের ভিডিও নামানো যায় 

৫)ডাউনলোডার দিয়েঃ
আইডিএম , ইউটিউব ডাউনলোডার সহ অনেক ডাউনলোডার আছে যা দিয়ে সহযেই ভিডিও ডাউনলোড করতে পারেন, ফ্রী ব্যবহার করতে চাইলে ইগলগেট ডাউনলোডার ও ভাল

লিনাক্স কার্নেলেই চূড়ান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া প্রত্যেকটি লিনাক্স ডিস্ট্রোতে ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এবং প্রাইভেসিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভাইরাস নির্মাতারাও তাই লিনাক্সের জন্য ভাইরাস তৈরীতে আগ্রহী হয় না। তাই ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, ট্রজান, রুটকীট, বটনেট,

 স্পাইওয়্যার ইত্যাদির অস্তিত্ব লিনাক্সের জগতে এলিয়েনের মত। তবে লিনাক্সের জন্য পরীক্ষার নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে এখনো পর্যন্ত মাত্র ৪৮ টি ম্যালওয়্যার তৈরি করা হয়েছে যেগুলো ব্যবহারকারী পাসওয়ার্ড দিলেই এক্সিকিউট করবে।অপরদিকে উইন্ডোজের আছে মিলিয়ন মিলিয়ন ভাইরাস যেগুলো দিনে দিনে বাড়ছে। তাই এন্টিভাইরাস ছাড়া উইন্ডোজ কল্পনাও করা যায় না। উইন্ডােজের দুর্বল সিকিউরিটির উপর ভিত্তি করেই এসব এন্টিভাইরাস কোম্পানি ব্যবসা করে যাচ্ছে।

লিনাক্স  ইন্টারফেস

লিনাক্স কার্নেলেই বেশিরভাগ হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার বিল্ট ইন থাকে। তাই কোন হার্ডওয়্যার লাগালে সেটার জন্য আলাদা করে ড্রাইভার ইন্সটলের প্রয়োজন হয় না। তাই উইন্ডোজ এর  মত ড্রাইভার সফট্ওয়্যার হারিয়ে গেলে সেটা খোঁজা নিয়েও কোন সমস্যায় পড়তে হয় না।গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস এর দিকে উইন্ডোজ এর থেকে কম নয় লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম । 


সফট্ওয়্যার ব্যবহার 
লিনাক্সের সফট্ওয়্যার গুলো উইন্ডোজের মত এখান থেকে ওখান থেকে খুঁজে খুঁজে ডাউনলোড করতে হয় না।লিনাক্সের সব সফট্ওয়্যার এক জায়গাতেই থাকে যার নাম সফট্ওয়্যার রিপোজিটরি বা সফট্ওয়্যার সেন্টার। এখানে প্রত্যেকটি সফট্ওয়্যার ডেভেলপাররা টেস্ট করে তারপর আপলোড করে থাকে। এটা অনেকটা গুগল প্লে স্টোরের মত।শুধু পছন্দের সফট্ওয়্যারটি সার্চ করে ইন্সটল নাও বাটনে ক্লিক করলেই সেটা ডাউনলোড হয়ে ইন্সটল হয়ে যাবে।

কীভাবে আপডেট করবেন 
লিনাক্স আপডেট দেওয়া শুধু একটি ক্লিকের ব্যাপার। লিনাক্স আপডেটে শুধু সিস্টেম আর সিকিউরিটি নয় বরং যেসব সফট্ওয়্যার আপনি ইন্সটল করেছেন সেসব সফট্ওয়্যারও অন্তর্ভুক্ত থাকে। লিনাক্সে শাটডাউন এবং রিস্টার্টের সময় আপডেট ইন্সটল হয় না তাই আপনি আপডেটে ক্লিক করে নিজের কাজ করতে পারবেন। 

ওপেন প্ল্যাটফর্ম 
লিনাক্স ডেভেলপাররা এর ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে। উইন্ডোজের মত ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে না। উইন্ডোজ ৮ এবং উইন্ডোজ ১০ এ এমন সিস্টেম আছে যাতে আপনি কি কি সফট্ওয়্যার ইন্সটল করেছেন, কতক্ষন ধরে সেগুলো ব্যবহার করেছেন, কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন ইত্যাদি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাইক্রোসফটের কাছে চলে যায়। তবে আপনি প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে এগুলো বন্ধ করতে পারেন কিন্তু মাইক্রোসফটের এসব নোংরা মানসিকতা তো আর বন্ধ করতে পারবেন না। Windows 10 আপনাকে তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও সার্ভিসে যুক্ত করার চেষ্টা করবে। তাদের ইকো সিস্টেম, করটানা, ওয়ান ড্রাইভ, অফিস স্যুট ইত্যাদি যেন আপনি ব্যবহার করেন সে ব্যাপারে জোর চেষ্টা চালাবে। লিনাক্সে এসব কিছুই হবে না কারণ আপনার প্রাইভেসির গুরুত্ব সবচাইতে বেশি।
'



মোবাইলে লিনাক্স সেটাপ করতে চাইলে নিয়ামবলী এই লিংকে - click here


আপনি টেবিলে বা কোলে আপনার কম্পিউটার নিয়ে বসে আছেন, আর আরেক প্রান্তে আপনার বন্ধু কম্পিউটার নিয়ে প্রস্তুত হয়ে বসে আছে আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য। কিন্তু আপনি আর আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের ফাঁকের মধ্যে আরো ডজন খানি কম্পিউটার রয়েছে যা আপনার আর আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের মধ্যের ফাঁকা স্থান পূরণ করছে। আর এভাবেই একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটার সংযুক্ত রয়েছে গোটা পৃথিবী জুড়ে আর এটাই হলো দ্যা ইন্টারনেট।

ইন্টারনেট কি ?
ইন্টারনেট নাম টার ভিতর ই জিনিষটা আসলে কি বুঝা যাচ্ছে… নেট তথা জাল যেহেতু নামের ভিতর আছে তবে অবশ্যই জালের কোন ব্যপার আছে ভিতরে। পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কম্পিউটার গুলো একসাথে যুক্ত হয়ে জালের মতো যে নেটওয়ার্ক বুনেছে সেটাই ইন্টারনেট। একটি কম্পিউটারের সাথে আরেকটি কম্পিউটারের সংযোগ করা থাকে বিভিন্ন উপায়ে। কোন কম্পিউটার গুলো সংযুক্ত থাকে পুরাতন কপার ক্যাবল দ্বারা আবার কোন গুলো ফাইবার-অপটিক ক্যাবল (যা আলোর স্পন্দনের মধ্যে ডাটা সেন্ড করে) দ্বারা আবার কোন কম্পিউটার গুলো বেতার কানেকশানে যুক্ত থাকে (বেতার কানেকশান মানে আমরা যাকে ওয়্যারলেস বুঝি,এটি রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে) এবং কোন কম্পিউটার গুলো স্যাটালাইটের সাথে সংযুক্ত থাকে। 
আর এইভাবেই আমরা উপভোগ করতে পারি ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজ সুবিধা, ইমেইল সেবা, অথবা ডাউনলোড করি এমপিথ্রী মিউজিক ফাইলস।
ইন্টারনেটের ডাটা গুলো কীভাবে আদান প্রদান করা হয়?
ইন্টারনেট মূলত টেলিফোন নেটওয়ার্ক এর মতো কাজ করে থাকে। কিন্তু ইন্টারনেটের ডাটা বহন করা আর টেলিফোন লাইনে কল করা আলাদা ব্যাপার। আপনি যখন আপনার কোন বন্ধুকে রিং করেন তখন আপনার টেলিফোনে আপনি এবং আপনার বন্ধুর মধ্যে একটি সরাসরি কানেকশান (বা সার্কিট) ওপেন হয়ে যায়। আপনি যতক্ষণ টেলিফোনে কানেক্ট হয়ে থাকেন, সার্কিটটি ততোক্ষণ ওপেন হয়ে থাকে। একটি টেলিফোনের সাথে আরেকটি টেলিফোনকে কানেক্ট থাকার পদ্ধতিকে সার্কিট সুইচিং বলা হয়। কখন কার কথা শোনা যাবে । সার্কিট সুইচিং কোন নেটওয়ার্ক স্থাপন করার জন্য সত্যিই অদক্ষ একটি পদ্ধতি। আপনি যখনই ফোনে আপনার বন্ধুর সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকবেন তখন সেই লাইনে আপনার সাথে অন্য কেউ সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবেনা। আর কার কথা পাঠানো হবে তা নিয়ন্ত্রন করে ইলেক্ট্রনিক টেলিফোন এক্সচেঞ্জ সিস্টেম।
কীভাবে কম্পিউটাররা ইন্টারনেটে বিভিন্ন কাজ করে থাকে?
পুরো ইন্টারনেট জুড়ে শতশত মিলিয়ন কম্পিউটার রয়েছে। কিন্তু এরা প্রত্যেকেই কিন্তু একই কাজ করে না। এদের মধ্যে কিছু কম্পিউটার শুধু তথ্য সংগ্রহ করে রাখে এবং কোন তথ্য কোথাও থেকে অনুরোধ করা হলে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর এই মেশিন গুলোকে বলা হয় সার্ভার। যে মেশিন গুলো কোন ডকুমেন্ট স্টোর করে রাখে তাদের বলা হয় ফাইল সার্ভার।যে সার্ভার গুলো আপনার আমার মেইল ধারণ করে রাখে, এদের বলা হয় মেইল সার্ভার। এবং যে সার্ভার গুলো ওয়েবপেজ ধারণ করে রাখে তাদের বলা হয় ওয়েব সার্ভার। ইন্টারনেটে বহুত মিলিয়ন সার্ভার রয়েছে।

যে কম্পিউটার গুলো সার্ভার থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এদের বলা হয় ক্লায়েন্ট কম্পিউটার। আপনি যখন মেইল চেক করার জন্য ইন্টারনেটে প্রবেশ করেন তখন আপনার কম্পিউটারটি হলো ক্লায়েন্ট, আপনার আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার) হলো সার্ভার এবং মেইলটি আসে মেইল সার্ভার থেকে। ইন্টারনেটে সার্ভারের তুলনায় ক্লায়েন্টের সংখ্যা বেশি, প্রায় বিলিয়ন খানেক।
যখন দুটি কম্পিউটার একে অপরের সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে থাকে তখন একে বলা হয়ে থাকে পিরস (Peers)। আপনি যদি আপনার বন্ধুর সাথে ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং করেন বা ফটো আদান প্রদান করেন তবে এটি হলো পির টু পির (peer-to-peer) (P2P) কমুনিকেসন। পি টু পি তে কখনো আপনার কম্পিউটার ক্লায়েন্ট হিসেবে আচরন করে আবার কখনো আপনার কম্পিউটার সার্ভার হসেবে আচরন করে। মনে করুন আপনি আপনার বন্ধুকে ফটো সেন্ড করলেন, তখন আপনার কম্পিউটার সার্ভার হিসেবে কাজ করলো (ফটো সেন্ড করলো)। এবং আপনার বন্ধুর কম্পিউটার ক্লায়েন্ট হিসেবে কাজ করবে (ফটো অ্যাক্সেস করবে)। আবার আপনার বন্ধু ফটো সেন্ড করলে তার কম্পিউটার সার্ভার হিসেবে কাজ করবে (ফটো সেন্ড করলো) আর আপনার কম্পিউটার এবার ক্লায়েন্ট হিসেবে কাজ করবে (ফটো অ্যাক্সেস করবে)।
শুধু সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট ছাড়াও আরেকটি মধ্যম কম্পিউটার রয়েছে যা ইন্টারনেটের আরেকটি অংশ। আর এর নাম হলো রাউটার।এটি শুধু আলাদা সিস্টেমের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে থাকে। আপনার বাড়িতে বা স্কুলে বা অফিসে যদি একাধিক কম্পিউটার থাকে তবে রাউটার সকলকে একত্রিত করে ইন্টারনেটে কানেক্ট করতে সাহায্য করে।

এখন জানতে হবে টিসিপি/আইপি  এবং ডিএনএস সম্পর্কে !!
ইন্টারনেটে ডাটা আদান প্রদান করার আসল ব্যাপারটি কিন্তু মোটেও কোন ঘরের ইট খামে করে বহন করার মতো সহজ নয়। ইন্টারনেটের ডাটা গুলো কোন মানুষ যেমন আপনি বা আমি দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি দিন নেটে অসংখ্য ডাটা আদান প্রদান করা হয়ে থাকে—খসড়া ভাবে প্রায় ৩ বিলিয়ন ইমেইলস এবং প্রচুর পরিমানে ট্র্যাফিক বিভিন্ন ডাটা ডাউনলোড এবং আপলোড করছে বিশ্বের ২৫০ মিলিয়ন ওয়েবসাইট জুড়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি এই সকল ডাটা গুলোকে প্যাকেটে পরিণত করে পাঠানো হয়ে থাকে এবং কারো যদি কোন কন্ট্রোলই না থাকে তবে কীভাবে এই প্যাকেট গুলো না হারিয়ে প্রত্যেকে আসল গন্তব্যে পৌঁছে যায়?

টিসিপি/আইপি (TCP/IP) বা ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রোটোকল/ইন্টারনেট প্রোটোকল। এই সিস্টেমটিই সকল প্যাকেট গুলোকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। এটি বলতে পারেন টু ইন ওয়ান সিস্টেম। কম্পিউটারের দুনিয়ায় “প্রোটোকল” মানে হলো একটি স্ট্যান্ডার্ড যা প্রত্যেকে বিশ্বাস করে এবং সকল জিনিষ নিশ্চিতভাবে পৌঁছে গেছে তা নিশ্চিত করে।ইন্টারনেট প্রোটোকল বা আইপি হলো একটি সাধারন অ্যাড্রেসিং সিস্টেম। ইন্টারনেটে অবস্থিত সকল মেশিন আমারটা আপনারটা সবারটাতেই একটি ভিন্ন আইপি থাকে। যখন প্রত্যেকটি মেশিনে আলাদা আলাদা আইপি থাকবে তখন কোন মেশিন কোনটা তা সহজেই চেনা যাবে এবং সে অনুসারে প্যাকেট পাঠানো সম্ভব হয়ে থাকে। আইপি অ্যাড্রেস মূলত কিছু সংখ্যার সন্নিবেশ হয়ে থাকে।এবং সংখ্যা গুলো কমা বা কোলন ব্যবহার করে আলাদা করা হয়ে থাকে।
ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু আলাদা হয়ে থাকে। ওয়েবসাইটে আইপির বদলে সহজে মনে রাখার জন্য নাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন (ebangla.tech)। এই সিস্টেমের নাম হলো ডিএনএস বা ডোমেইন নেম সার্ভার। ডোমেইন নেম ব্রাউজারে প্রবেশ করানোর পড়ে কম্পিউটার এই আইপি খুঁজতে আরম্ভ করে এবং আইপি খুঁজে পেলে ওয়েব সার্ভার থেকে সাইট ওপেন হয়ে যায়।আইপি মূলত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। একটি হলো IPv4 এবং আরেকটি IPv6। আইপিভি৪ এ চার খণ্ডের ডিজিট থাকে। যেমন 12.34.56.78 অথবা 123.255.212.55। কিন্তু দ্রুত বর্ধমান ইন্টারনেট জগতে আজ আর নতুন কোন আইপিভি৪ অ্যাড্রেস অবশিষ্ট নেই। তাই নতুন এক সিস্টেম উদ্ভবন করা হয়েছে যার নাম হলো আইপিভি৬। এটি আইপিভি৪ এর তুলনায় অনেক লম্বা 123a:b716:7291:0da2:912c:0321:0ffe:1da2 হলো আইপিভি৬ এর উদাহরণ। 




আমরা প্রতিনিয়ত অহরহ অ্যানিমেশন দেখে যাচ্ছি। অ্যানিমেশন কত রকমের হতে পারে তার কোন ধারণাই হয়তো সাধারণ মানুষের নেই।  অ্যানিমেশন হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে অনেকগুলো ইমেজ সিকোয়েন্সকে ধারাবাহিকভাবে রান করে যে মুভিং পিকচার তৈরি করা হয় সেটাই হলো অ্যানিমেশন। অর্থাৎ অনেকগুলো স্থির ইমেজকে একটার পর একটা রান করে অ্যানিমেশন তৈরি করা হয়।

এই অ্যানিমেশন অনেক ধরণের হতে পারে। 2D , 3D, স্টপ মোশন সহ অনেক রকম পদ্ধতি রয়েছে অ্যানিমেশন তৈরি করার। তবে অন্যতম প্রধান এবং আমরা এখন সচরাচর যে দুই ধরণের অ্যানিমেশনগুলো টিভি কিংবা ইন্টারনেটে দেখে থাকি তা হলোঃ

2D কিংবা ট্র্যাডিশনাল অ্যানিমেশন।
3D কম্পিউটার অ্যানিমেশন।

2D অ্যানিমেশন পরিচিতিঃ
আমরা ছোট বেলায় যে টম এন্ড জেরি , টারজান, মীনা সহ  যত রকম কার্টুন দেখেছি সেগুলোই হচ্ছে 2D অ্যানিমেশন কিংবা ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন। হাতে ড্রয়িং করে এই অ্যানিমেশনগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে।ডিজনি এই 2D অ্যানিমেশন স্টুডিও থেকেই বিশ্ববিখ্যাত সব ফিল্ম তৈরি করেছে। যদিও এখন ডিজনি 3D অ্যানিমেশন ফিল্ম তৈরি করে থাকে।কম্পিউটার 3D অ্যানিমেশন আসার আগে এই ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশনগুলোই ছিল বিশ্বসেরা। 


3D কম্পিউটার অ্যানিমেশন পরিচিতিঃ
কম্পিউটার অ্যানিমেশন অনেকগুলো সফটওয়্যার দিয়ে বিভিন্ন ধাপ অনুসরণ করে তৈরি করা হয়। আমরা বর্তমানে হলিউডের যত জনপ্রিয় ৩ডি অ্যানিমেশন ফিল্মগুলো দেখি সবই হচ্ছে কম্পিউটার ৩ডি অ্যানিমেশন। কুং ফু পান্ডা, ফাইন্ডিং নিমো, টয় স্টোরি সহ জনপ্রিয় সবগুলো অ্যানিমেশন ফিল্মই হলো এই কম্পিউটার অ্যানিমেশন।


এনিমেশনে ফ্রেম কি? 
প্রত্যেকটা ছবিগুলোকে আলাদা ভাবে বলা হয়  এনিমেশনে ফ্রেম । 




এনিমেশন কিভাবে কাজ করে?
মানুষের চোখের সামনে থেকে কোন বস্তু সরে যাওয়ার পরেও ০.১ সেকেন্ড দেখা যায়। এই নীতির ওপর ভিত্তি করেই এনিমেশন কাজ করে। এনিমেশনে, স্ক্রিনে খুব দ্রুত (সেকেন্ডে ১৫ – ২৫বার) পরপর ফ্রেম পরিবর্তন করে দেখানো হয়।সেকেন্ডে ২৫বার ফ্রেম পরিবর্তন হলে মানুষের চোখ সেটাকে চলন্ত ছবি বা ভিডিও হিসেবে দেখে। তাই আমাদের মনেহয় এনিমেশনের বস্তুগুলো নড়াচড়া করছে।আপনি যদি সিলিং ফ্যানের দিকে তাকান তাহলে আপনার মনে হবে যে একটি গোল ব্লেডের ফ্যান ঘুরছে। ফ্যানে ৩টা ব্লেড থাকে, কিন্তু ওগুলো এত জোরে ঘুরে যে আপনার চোখ ৩টা ব্লেডের বৃত্তাকার গতিপথকে একটি গোল ব্লেড বলে মনেহয়।মূলত এটিই সকল প্রকার এনিমেশনের মূল ভিত্তি। 

যেভাবে শিখবেন অ্যানিমেশন তৈরী?
অ্যানিমেশন তৈরীর  জন্য প্রয়োজন হবে কঠোর পরিশ্রম। ফটোশপ বা এডোবি প্রিমিয়ারের মতোই এর জন্যও একটা টিউটরিয়াল দেখলেই কাজ হবে না। এর জন্য প্রয়োজন হবে প্রজেক্ট ভিত্তিক টিউটরিয়াল। নীচের সফটওয়্যার টি দিয়ে অ্যানিমেশন তৈরী করা শিখতে পারবেন । এছাড়া ইউটিউব বা গুগল সার্চ এর মাধ্যমে অ্যানিমেশন তৈরী শিখতে পারেন।   

সফটওয়্যার টির ডাউনলোড লিঙ্ক এখানে 


"পর্ন কীভাবে যৌন চাহিদাকে বিকৃত করে"
.


বেশিরভাগ পর্ন ব্যবহারকারীরা নিজেদের মধ্যে অস্বাভাবিক একটা পরিবর্তন দেখতে পায়। পর্নে দেখানো বিকৃত কিছু যৌন ক্রিয়া যা তাদের কাছে আগে জঘন্য বা অনৈতিক বলে মনে হত, পর্ন দেখার পর থেকে একসময় সেগুলো তাদের কাছে সেক্সচুয়ালি উত্তেজনাকর হয়ে দাঁড়ায়। এভাবে তারা পর্নের যত জঘন্য ও বিকৃত যৌন ক্রিয়া উপভোগ করতে থাকে তাদের কাছে তা ততোই স্বাভাবিক ও গ্রহণযোগ্য হতে থাকে।
.
আপনারা অনেকেই হয়ত জানেন যে, ইঁদুর লাশের গন্ধ সহ্য করতে পারে না।
কিন্তু জিম ফস্ট নামক একজন রিসার্চার ভাবলেন ইঁদুরের এই স্বভাবটা কীভাবে পরিবর্তন করা যায়? তাই তিনি একটা মহিলা ইঁদুরের গায়ে এমন লিকুইডযুক্ত স্প্রে মারলেন যার গন্ধ মরা, পচা ইঁদুরের গন্ধের মত। এরপর তিনি সেই মহিলা ইঁদুরটিকে কিছু পুরুষ ইঁদুরের সাথে একই খাঁচায় বন্ধী করে দিলেন। তারা মহিলা ইঁদুরটির প্রতি এতোই আকর্ষণ অনুভব করে যে পচা লাশের গন্ধের ব্যাপারটা পুরোপুরি এড়িয়ে যায়। কি অবাক কাণ্ড! তাই না? কিন্তু এর চেয়েও অবাক করা ঘটনা ঘটেছে পরে।
.
যখন পুরুষ ইঁদুরগুলো পচা লাশের গন্ধযুক্ত মহিলা ইঁদুরের সাথে সেক্স করায় অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন ফস্ট তাদেরকে আলাদা আলাদা খাঁচায় রেখে বিভিন্ন খেলনা দিয়ে খেলতে দিল। কিছু খেলনার মধ্যে সেই পচা লাশের গন্ধযুক্ত স্প্রে করা ছিল। ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে, পুরুষ ইঁদুরগুলো সব খেলনার মধ্যে পচা লাশের গন্ধযুক্ত খেলনাগুলোকেই খেলার জন্য বেছে নিলো। মনে হচ্ছিল যেন তারা সেই অপ্রিয় গন্ধটাই এখন পছন্দ করে[1]।
.
আপনি হয়ত ভেবে অবাক হচ্ছেন যে কীভাবে ইঁদুরের একটা স্বাভাবিক স্বভাবকে বদলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে?
এর কারণ হল:
ইঁদুর, মানুষ সহ যত স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে সবার ব্রেইনে "রিওয়ার্ড সেন্টার" নামক একটা জিনিস আছে[2]। জীবন ধারণের জন্য খাওয়া, সেক্স করা বা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তোলার সময় ভালো অনুভূতি সৃষ্টি করাই রিওয়ার্ড সেন্টারের কাজ[3]। ব্রেইনে বিভিন্ন "আনন্দ দানকারী কেমিক্যাল" এর মিশ্রণে এ অনুভূতির উদ্ভব হয়[4]।
.
এই কেমিক্যালগুলো আপনাকে ভালো অনুভূতি দেওয়ার চেয়েও বেশি কিছু করে থাকে। আপনার মধ্যে যখন ভালো অনুভূতি জাগ্রত হয় তখন আপনার ব্রেইন কিছু নতুন নার্ভ প্যাথওয়ে এর উদ্ভব ঘটায়। নার্ভ প্যাথওয়ে আপনার অনুভূতি ও কাজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে[5]। এর মাধ্যমেই ব্রেইন নিশ্চিত করে যে, এ কাজে আপনি আবার ফিরে আসবেন। একটি কাজ ও অনুভূতির মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ সংযোগ সৃষ্টি হয়, এতে আপনার ইচ্ছা কিংবা না থাকুক তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ "যে নিউরনগুলো একসাথে প্রজ্বলিত হয়, তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হয়"[6]।
.
সাধারণত আমাদের ব্রেইন, স্বাস্থ্যকর কাজগুলোকে আমাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে এবং জীবন ধারণের জন্য ভাল অভ্যাস গড়ার দিকেই ধাবিত করে[7]। কিন্তু রিওয়ার্ড কেমিক্যালগুলো যখন ক্ষতিকর কিছুর সাথে সংযুক্ত হয়, তা ব্রেইনের স্বাভাবিক প্রবণতার বিপরীতটাই ঘটায়। 
.
লাশের দুর্গন্ধযুক্ত ইঁদুরের সাথে সেক্স করার ফলে পুরুষ ইঁদুরগুলোর ব্রেইন যেভাবে রিওয়্যার্ড(rewired) হয়েছিল, অর্থাৎ, সেই অপ্রিয় গন্ধটা ভালো লাগায় পরিণত হয়েছিল - তেমনি মানুষের ব্রেইনেও একই প্রসেস ঘটে পর্নের দ্বারা। পর্ন ব্যবহারকারীদের অনেকে ভাবে যে তারা শুধু বিনোদনের জন্য পর্ন দেখছে, কার ক্ষতি করছে না। কিন্তু অন্যের ক্ষতি না করলেও সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়ে যাচ্ছে তাদের নিজেদের ব্রেইনে। যখন আপনি আরাম করে পর্ন দেখেন তখন ব্রেইন কিন্তু বসে থাকেনা, সে ব্যস্ত থাকে আপনার যৌন অনুভূতিকে স্ক্রিনে আপনি যা দেখছেন তার সাথে সংযুক্ত করায়[8]। 
.
একজন পর্ন ব্যবহারকারী যখন একই ধরণের পর্ন দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন সে আরও বেশি উত্তেজনা পাবার জন্য আরও এক্সট্রিম পর্নের দিকে ঝুঁকতে থাকে[9]। তাছাড়া সময়ের সাথে সাথে পর্নেও আরও এক্সট্রিম ক্যাটেগরি আসছে।
.
১৫০০ জন যুবকের মধ্যে একটি জরিপ চালান হয়, তাদের মধ্যে শতকরা ৫৬ জন বলেন, "যতই তারা পর্ন দেখতে থাকে, ততোই তাদের রুচি এক্সট্রিম পর্নের দিকে ধাবিত হতে থাকে"[11]। পর্নে দেখানো বিকৃত যে যৌন ক্রিয়া তাদের কাছে আগে জঘন্য বা অনৈতিক বলে মনে হত, পর্ন দেখার পর থেকে একসময় সেগুলো তাদের কাছে সেক্সচুয়ালি উত্তেজনাকর হয়ে দাঁড়ায়[12], ঠিক সেই ইঁদুরগুলোর মত। কার কার ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে যে তারা নিজের স্ত্রীর যৌন আবেদনে সাড়া দেয় না, কিন্তু পর্ন ঠিকই দেখে যাচ্ছে[13]। কতো নির্মম একটা অবস্থা।
.
পর্নের বিকৃত যৌন ক্রিয়া উপভোগ করতে থাকা মানুষগুলো একসময় সেই কাজগুলোকেই স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে নেয়। একই জিনিস দেখলে তাদের আগে বমি আসত, ঘৃণা করত মন থেকে। অথচ সেই কাজগুলোই সময়ের সাথে তাদের আচরণে প্রভাব ফেলতে শুরু করে[14]। একটি গবেষণায় দেখা যায়, যারা অনেক পর্ন দেখে তারা উগ্রভাবে সেক্স করা, এমনকি পশুর সাথে মানুষের সেক্স করাকেও স্বাভাবিক মনে করে[15]। আর যারা এ ধরনের কাজকে স্বাভাবিক মনে করে, তারা তা নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করাকেও অস্বাভাবিক মনে করে না[16]।
.
এছাড়াও রিসার্চে আরও জানা যায় যে পর্ন দেখার ফলে যৌন চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসে[17]। তাছাড়া অতিরিক্ত পর্ন ব্যবহারকারীদের কেউকেউ নারী নির্যাতনের মত জঘন্য কাজকেও সমর্থন করে[18]। এছাড়াও গবেষণায় জানা যায়, পর্ন আসক্ত পুরুষদের দ্বারা নারীরা বেশি প্রতারণার স্বীকার হয়[19]। এমনকি ২০১৫ সালে ৭টি দেশে ২২টি ভিন্ন ভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, যারা অতিরিক্ত পর্নে বুদ হয়ে থাকে, তাদের কেউকেউ যৌন নির্যাতনকে সমর্থন করে, এমনকি নিজেরাও এতে অংশগ্রহণ করে থাকে[20]। তার মানে এটা বলছি না যে, যারা পর্ন দেখে তাদের সবাই এক একজন ধর্ষকে পরিণত হবে। তবে অনিয়মিত পর্ন ব্যবহারও চিন্তাধারায় প্রভাব ফেলে[21]। আর চিন্তাধারা যখন দূষিত হয় তখন আচরণে প্রভাব পড়াও বেশি দূরের ব্যাপার নয়।
.
কিন্তু পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে সত্য তথ্য উন্মোচনের মাধ্যমে সমাজে এর প্রভাব কমানো সম্ভব। পর্ন আমাদের অন্তরকে দূষিত করে ফেলে, এলোমেলো করে দেয় সব স্বাভাবিক চিন্তাকে। তবুও অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আমরা সুস্থভাবে বাঁচতে চাই, মুক্ত বাতাসে দু'হাত মেলে স্বাধীনতার স্বাদ অনুভব করতে চাই, জীবনে সুখ চাই, ভালোবাসা চাই। তাই জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করার জন্যই আমাদের এই আসক্তি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। 

সূত্রঃ 
রেফারেন্সঃ
----------------
[1] Pfaus, J. G., Kippin, T. E., & Centeno, S. (2001). Conditioning And Sexual Behavior: A Review. Hormones And Behavior 40: 291–321. Retrieved From http://Www.Pphp.Concordia.Ca/.../Pfaus-Kippin-Centeno...; See Also Robinson
, M. J. F., & Berridge, K. C. (2013). Instant Transformation Of Learned Repulsion Into Motivational “Wanting”. Current Biology, 23, 282-289. Doi:10.1016/J.Cub.2013.01.016 (Transforming Rats’ Revulsion To Saltiness Into Attraction)

[2] National Institute On Drug Abuse: The Reward Pathway. (2016). Retrieved From http://Www.Drugabuse.Gov/.../Section-I/4-Reward-Pathway; Volkow, N. D., & Morales, M. (2015). The Brain On Drugs: From Reward To Addiction. Cell, 162 (8), 712-725. Doi:10.1016/J.Cell.2015.07.046; Pitchers, K. K., Et Al. (2013). Natural And Drug Rewards Act On Common Neural Plasticity Mechanisms With DeltaFosB As A Key Mediator. Journal Of Neuroscience, 33 (8), 3434-3442. Doi:10.1523/JNEUROSCI.4881-12.2013

[3] Volkow, N. D., Koob, G. F., & McLellan, A. T. (2016). Neurobiological Advances From The Brain Disease Model Of Addiction. New England Journal Of Medicine, 374, 363-371. Doi:10.1056/NEJMra1511480; Zatorre, R. J., & Salimpoor, V. N., (2013) From Perception To Pleasure: Music And Its Neural Substrates. Proceedings Of The National Academy Of The Sciences Of The United States Of America, 110, 2. Doi:10.1073/Pnas.1301228110; Hedges, V. L., Chakravarty, S., Nestler, E. J., & Meisel, R. L. (2009). Delta FosB Overexpression In The Nucleus Accumbens Enhances Sexual Reward In Female Syrian Hamsters. Genes Brain And Behavior, 8(4), 442–449. Doi:10.1111/J.1601-183X.2009.00491.X; Bostwick, J. M. And Bucci, J. E. (2008). Internet Sex Addiction Treated With Naltrexone. Mayo Clinic Proceedings 83, 2: 226–230; Nestler, E. J., (2005) Is There A Common Molecular Pathway For Addiction?, Nature Neuroscience, 8(11) 1445-1449. Doi:10.1038/Nn1578; Balfour, M. E., Yu, L., And Coolen, L. M. (2004). Sexual Behavior And Sex-Associated Environmental Cues Activate The Mesolimbic System In Male Rats. Neuropsychopharmacology 29(4), 718–730. Doi:10.1038/Sj.Npp.1300350

[4] Volkow, N. D., Koob, G. F., & McLellan, A. T. (2016). Neurobiological Advances From The Brain Disease Model Of Addiction. New England Journal Of Medicine, 374, 363-371. Doi:10.1056/NEJMra1511480; Negash, S., Van Ness Sheppard, N., Lambert, N. M., & Fincham, F. D. (2016). Trading Later Rewards For Current Pleasure: Pornography Consumption And Delay Discounting. The Journal Of Sex Research, 53(6), 698-700. Doi:10.1080/00224499.2015.1025123; Banca, P., Et Al. (2016). Novelty, Conditioning, And Attentional Bias To Sexual Rewards. Journal Of Psychiatric Research, 72, 91-101. Doi:10.1016/J.Jpsychires.2015.10.017; Berridge, K.C., & Kringelbach, M. L. (2015). Pleasure Systems In The Brain. Neuron, 86, 646-664. Doi:10.1016/J.Neuron.2015.02.018; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books (108); Pace, S. (2014). Acquiring Tastes Through Online Activity: Neuroplasticity And The Flow Experiences Of Web Users. M/C Journal, 17(1). Retrieved From http://Journal.Media-Culture.Org.Au/.../Article/View/773

[5] Hilton, D. L. (2013). Pornography Addiction—A Supranormal Stimulus Considered In The Context Of Neuroplasticity. Socioaffective Neuroscience & Psychology 3:20767. Doi:10.3402/Snp.V3i0.20767; Pitchers, K. K., Et Al. (2013). Natural And Drug Rewards Act On Common Neural Plasticity Mechanisms With DeltaFosB As A Key Mediator. Journal Of Neuroscience, 33(8), 3434-3442. Doi:10.1523/JNEUROSCI.4881-12.2013; Hedges, V. L., Chakravarty, S., Nestler, E. J., And Meisel, R. L. (2009). DeltaFosB Overexpression In The Nucleus Accumbens Enhances Sexual Reward In Female Syrian Hamsters. Genes Brain And Behavior 8, 4: 442–449. Doi:10.1111/J.1601-183X.2009.00491.X.; Hilton, D.L, & Watts, C. (2011). Pornography Addiction: A Neuroscience Perspective, Surgical Neurology International 2, 19. Doi:10.4103/2152-7806.76977; Miner, M. H., Raymond, N., Mueller, B. A., Lloyd, M., Lim, K. O. (2009). Preliminary Investigation Of The Impulsive And Neuroanatomical Characteristics Of Compulsive Sexual Behavior. Psychiatry Research 174: 146–51. Doi:10.1016/J.Pscychresns.2009.04.008; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books (107).

[6] Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books (63).

[7] Berridge, K. C., & Robinson, T. E. (2016). Liking, Wanting, And The Incentive-Sensitization Theory Of Addiction. American Psychologist, 71(8), 670-679. Doi:10.1037/Amp0000059; Berridge, K.C., & Kringelbach, M. L. (2015). Pleasure Systems In The Brain. Neuron, 86, 646-664. Doi:10.1016/J.Neuron.2015.02.018; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books (109); Paul, P. (2007). Pornified: How Pornography Is Transforming Our Lives, Our Relationships, And Our Families. New York: Henry Hold & Co. (75).

[8] Berridge, K. C., & Robinson, T. E. (2016). Liking, Wanting, And The Incentive-Sensitization Theory Of Addiction. American Psychologist, 71(8), 670-679. Doi:10.1037/Amp0000059; Love, T., Laier, C., Brand, M., Hatch, L., & Hajela, R. (2015). Neuroscience Of Internet Pornography Addiction: A Review And Update, Behavioral Sciences, 5(3), 388-433. Doi: 10.3390/Bs5030388; Pace, S. (2014). Acquiring Tastes Through Online Activity: Neuroplasticity And The Flow Experiences Of Web Users. M/C Journal, 17(1). Retrieved From http://Journal.Media-Culture.Org.Au/.../Article/View/773; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books (95).

[9] Park, B. Y., Et Al. (2016). Is Internet Pornography Causing Sexual Dysfunctions? A Review With Clinical Reports. Behavioral Sciences, 6, 17. Doi:10.3390/Bs6030017; Negash, S., Van Ness Sheppard, N., Lambert, N. M., & Fincham, F. D. (2016). Trading Later Rewards For Current Pleasure: Pornography Consumption And Delay Discounting. The Journal Of Sex Research, 53(6), 698-700. Doi:10.1080/00224499.2015.1025123; Pitchers, K. K., Et Al. (2013). Natural And Drug Rewards Act On Common Neural Plasticity Mechanisms With DeltaFosB As A Key Mediator. Journal Of Neuroscience, 33(8), 3434-3442. Doi:10.1523/JNEUROSCI.4881-12.2013; Layden, M. A. (2010). Pornography And Violence: A New Look At The Research. In J. Stoner And D. Hughes (Eds.) The Social Costs Of Pornography: A Collection Of Papers (Pp. 57–68). Princeton, NJ: Witherspoon Institute; Angres, D. H., & Bettinardi-Angres, K. (2008). The Disease Of Addiction: Origins, Treatment, And Recovery. Disease-A-Month, 54, 696–721. Doi:10.1016/J.Disamonth.2008.07.002; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. (105) New York: Penguin Books; Paul, P. (2007). Paul, P. (2007). Pornified: How Pornography Is Transforming Our Lives, Our Relationships, And Our Families. (75) New York: Henry Hold And Co.

[10] Park, B. Y., Et Al. (2016). Is Internet Pornography Causing Sexual Dysfunctions? A Review With Clinical Reports. Behavioral Sciences, 6, 17. Doi:10.3390/Bs6030017; Kalman, T.P. (2008). Clinical Encounters With Internet Pornography. Journal Of The American Academy Of Psychoanalysis And Dynamic Psychiatry, 36(4) 593-618. Doi:10.1521/Jaap.2008.36.4.593; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books, (109); Cline, V. B. (2001). Pornography’s Effect On Adults And Children. New York: Morality In Media; Zillmann, D. (2000). Influence Of Unrestrained Access To Erotica On Adolescents’ And Young Adults’ Dispositions Toward Sexuality. Journal Of Adolescent Health, 27, 2: 41–44. Retrieved From Https://Www.Ncbi.Nlm.Nih.Gov/Pubmed/10904205

[11] NoFap Survey (2012) http://Www.Reddit.Com/.../Rnofap_survey_data_complete.../

[12] Wery, A. & Billieux, J. (2016). Online Sexual Activities: An Exploratory Study Of Problematic And Non-Problematic Usage Patterns In A Sample Of Men. Computers In Human Behavior 56, 257-266. Doi:10.1016/J.Chb.2015.11.046; Park, B. Y., Et Al. (2016). Is Internet Pornography Causing Sexual Dysfunctions? A Review With Clinical Reports. Behavioral Sciences, 6, 17. Doi:10.3390/Bs6030017; Paul, P. (2010). From Pornography To Porno To Porn: How Porn Became The Norm. In J. Stoner And D. Hughes (Eds.) The Social Costs Of Pornography: A Collection Of Papers (Pp. 3–20). Princeton, N.J.: Witherspoon Institute.

[13] Park, B. Y., Et Al. (2016). Is Internet Pornography Causing Sexual Dysfunctions? A Review With Clinical Reports. Behavioral Sciences, 6, 17. Doi:10.3390/Bs6030017; Voon, V., Et Al. (2014). Neural Correlates Of Sexual Cue Reactivity In Individuals With And Without Compulsive Sexual Behaviors, PLoS ONE, 9(7), E102419. Doi:10.1371/Journal.Pone.0102419; Hall, P. (2013). Sex Addiction—An Extraordinarily Contentious Problem. Sexual And Relationship Therapy, 29(1) 68-75. Doi:10.1080/14681994.2013.861898; Sun, C., Bridges, A., Johnason, J., & Ezzell, M. (2014) Pornography And The Male Sexua Script: An Analysis Of Consumption And Sexual Relations. Archives Of Sexual Behavior. 45, 1-12. Doi:10.1007/S10508-014-0391-2. Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books. (130).

[14] Zillmann, D. (2000). Influence Of Unrestrained Access To Erotica On Adolescents’ And Young Adults’ Dispositions Toward Sexuality. Journal Of Adolescent Health, 27, 2: 41–44. Retrieved From Https://Www.Ncbi.Nlm.Nih.Gov/Pubmed/10904205

[15] Zillmann, D. (2000). Influence Of Unrestrained Access To Erotica On Adolescents’ And Young Adults’ Dispositions Toward Sexuality. Journal Of Adolescent Health, 27, 2: 41–44. Retrieved From Https://Www.Ncbi.Nlm.Nih.Gov/Pubmed/10904205

[16] Layden, M. A. (2004). Committee On Commerce, Science, And Transportation, Subcommittee On Science And Space, U.S. Senate, Hearing On The Brain Science Behind Pornography Addiction, November 18; Cline, V. B. (2001). Pornography’s Effect On Adults And Children. New York: Morality In Media; Zillmann, D., & Bryant, J. (1984). Effects Of Massive Exposure To Pornography. In N. M. Malamuth And E. Donnerstein (Eds.) Pornography And Sexual Aggression. New York: Academic Press.

[17] Weinberg, M. S., Williams, C. J., Kleiner, S., & Irizarry, Y. (2010). Pornography, Normalization And Empowerment. Archives Of Sexual Behavior, 39 (6) 1389-1401. Doi:10.1007/S10508-009-9592-5; Doring, N. M. (2009). The Internet’s Impact On Sexuality: A Critical Review Of 15 Years Of Research. Computers In Human Behavior, 25(5), 1089-1101. Doi:10.1016/J.Chb.2009.04.003

[18] Hald, G. M., Malamuth, N. M., & Yuen, C. (2010). Pornography And Attitudes Supporting Violence Against Women: Revisiting The Relationship In Nonexperimental Studies. Aggression And Behavior 36, 1: 14–20. Doi: 10.1002/Ab.20328; Berkel, L. A., Vandiver, B. J., And Bahner, A. D. (2004). Gender Role Attitudes, Religion, And Spirituality As Predictors Of Domestic Violence Attitudes In White College Students. Journal Of College Student Development 45(2):119–131.

[19] DeKeseredy, W. (2015). Critical Criminological Understandings Of Adult Pornography And Woman Abuse: New Progressive Directions In Research And Theory. International Journal For Crime, Justice And Social Democracy, 4(4), 4-21. Doi:10.5204/Ijcjsd.V4i4.184; Simmons, C. A., Lehmann, P., & Collier-Tenison, S. (2008). Linking Male Use Of The Sex Industry To Controlling Behaviors In Violent Relationships: An Exploratory Analysis. Violence Against Women, 14(4), 406-417. Doi:10.1177/1077801208315066; Shope, J. H. (2004), When Words Are Not Enough: The Search For The Effect Of Pornography On Abused Women. Violence Against Women, 10(1), 56-72. Doi: 10.1177/1077801203256003

[20] Wright, P., Tokunaga, R. S., & Kraus, A. (2015). A Meta-Analysis Of Pornography Consumption And Actual Acts Of Sexual Aggression In General Population Studies. Journal Of Communication, 66(1), 183-205. Doi:10.1111/Jcom.12201

[21] Peter, J. & Valkenburg, P. M., (2016) Adolescents And Pornography: A Review Of 20 Years Of Research. Journal Of Sex Research, 53(4-5), 509-531. Doi:10.1080/00224499.2016.1143441 (“Existing Research Has Produced Consistent Evidence That Adolescents’ Pornography Use Is Related To Their Sexual Attitudes.”); Bridges, A. J. (2010). Pornography’s Effect On Interpersonal Relationships. In J. Stoner And D. Hughes (Eds.) The Social Costs Of Pornography: A Collection Of Papers (Pp. 89-110). Princeton, NJ: Witherspoon Institute.
পর্ন সাইটের সংখ্যা প্রায় ৪.২ মিলিয়ন যা কিনা পৃথিবীর মোট ওয়েবসাইট সংখ্যার ১২%। এ পর্নসাইটগুলোতে প্রতি মাসে ৭২ মিলিয়ন মানুষ ভিজিট করে। প্রতিদিন সার্চ ইঞ্জিনে করা মোট সার্চের এক-চতুর্থাংশ বা ৬৮ মিলিয়ন সার্চই পর্নোগ্রাফিক ম্যাটেরিয়াল দেখার উদ্দেশ্যে করা হয়, যেখানে ৪০ মিলিয়ন রেগুলার ভিজিটরই অ্যামেরিকান[১]।



চ্যাটস্ওর্থ, ক্যালিফোর্নিয়া পৃথিবীর ৮৫% অ্যাডাল্ট কনটেন্ট তৈরী করে। শীর্ষস্থানীয় ফিমেল ট্যালেন্ট এজেন্সিগুলো চ্যাটস্ওর্থ এর আশেপাশে বা মধ্যেই অবস্থিত। অভিজ্ঞ পর্ণ পারফর্মাররা সেখানে কাজের উদ্দেশ্যে আসাযাওয়া করে। প্রায় সব ১৮+ ডিভিডি প্রডাকশন কোম্পানিগুলো চ্যাটস্ওর্থ এ স্থাপিত।
যুক্তরাষ্ট্রে গড়া পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি প্রতি বছর ৪,০০০ - ১১,০০০ ফিল্ম প্রডিউস করে এবং বার্ষিক প্রায় ৯ - ১৩ বিলিয়ন ডলার আয় করে[২]। প্রায় ২০০ টি প্রডাকশন কোম্পানিতে ১২০০-১৫০০ জন পারফর্মার রয়েছে। পর্ণ পারফর্মাররা প্রতিটি সুটের জন্য অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ৪০০ - ১০০০ ডলার পায়।
এভাবেই প্রতিনিয়ত ব্যাবসা করে চলছে এই দালালেরা। মাঝখানে দাস হচ্ছে ভিউয়ার ও পারফর্মাররা।
[১] truth behind the fantasy of porn by Shelly Luben
[২] pink cross foundation

পর্ণের ব্রেইন ইফেক্ট [ ১ম পর্ব ] পড়ে নিতে ভূলবেন না। Click here

পর্ন কিভাবে ড্রাগের মত ইফেক্ট করে?


কোকেইন এবং পর্নের মধ্যে আপাতদৃষ্টিতে কোন মিল না থাকলেও গবেষণায় দেখা যায় যে, পর্ন দেখার ফলে আমাদের ব্রেইন ঠিক একই ধরনের আনন্দদানকারী কেমিক্যাল উৎপন্ন করার ফাঁদে পরে যে ফাঁদে ড্রাগ ইউজারদের ব্রেইন পরে থাকে। এছাড়াও অপ্রকৃত এই উত্তেজনার ফলে আপনার ব্রেইন নতুন করে নিউরাল সার্কিট তৈরি করা শুরু করে। শুনতে আজব লাগলেও, এটাই সত্যি। অসুন, ব্যাপারটা নিয়ে আরেকটু গভীরে যাওয়া যাক।

কোকেইন এবং পর্নের মধ্যে সাধারণত তেমন কোন মিল পাওয়া যায়না। একটি পাওয়া যায় জীর্ণ চিপা চুপায়; আরেকটি ফ্রিতে ডাউনলোড করা যায়। একটির অভ্যাস খুব দ্রুত প্রবল হতে থাকে, যেখানে অন্যটি নির্ভর করে হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকশন এর মূল্যের উপর।

তাহলে মিলটা কোথায়?
.
মিলটা হচ্ছে ব্রেইনের ভিতর[1]।
.
আপনি যদি একজন নিউরোসার্জন নাও হয়ে থাকেন তারপরও এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আমাদের ব্রেইন কিভাবে কাজ করে। নিউরাল সায়েন্স রিলেটেড এই ফ্যাক্টগুলো আপনি যত ভালোভাবে বুঝবেন পর্নের প্রতি আপনার ততো অনীহা সৃষ্টি হবে। আমাদের ব্রেইনের গভীরে "reward pathway" বা পুরস্কার তৈরীর পথ [2] বলে একটি ব্যাপার থাকে। এই রিওয়ার্ড প্যাথওয়ে এর কাজটা তার নামের মতোই, এটা আপনাকে ঠিক সেভাবে পুরস্কৃত করে যেভাবে সে আপনাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। জটিল লাগছে ব্যাপারটা? আপনার সুবিধার জন্য আরেকটু স্পেসিফিকালি বলছি, ব্রেইনের এই সার্কিটটি আপনাকে রিওয়ার্ড দেয় যখন আপনি এমন কিছু করেন যা আপনার জীবনকে অগ্রসর করে, যেমনঃ ভালো কিছু খাওয়া বা কিছু পাবার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা[3]। আর এই পুরস্কার প্রদানের জন্য এটা আপনার ব্রেইনে কিছু কেমিক্যাল নির্গত করে। এদের মধ্যে সাধারণত যে কেমিক্যালটি রিলিজ হয় তার নাম হচ্ছে ডোপামিন, কিন্তু অক্সিটোসিন এর মতো অন্য কেমিক্যালও রিলিজ করে থাকে [4]।

সাধারণত, এই কেমিক্যালগুলো পাইকারি হারে উৎপন্ন হয়। অর্থাৎ, পরিতৃপ্তি পাওয়া যায় এমন যে কোন কিছুতেই তারা উৎপন্ন হয়ে বসে থাকবে। আল্লাহ সুবহান ওয়াতাআলা ঠিক এমনভাবেই এদের সৃষ্টি করেছেন। এদের কাজ আমাদের পরিতৃপ্তি অনুভব করানো, অন্য মানুষদের সাথে সম্পর্ক তৈরীতে সাহায্য করা এবং আনন্দ বা মজা দেয় এমন কোন কাজের কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়া [5]। তবে সমস্যা হচ্ছে, এই রিওয়ার্ড প্যাথওয়ে হাইজ্যাকড্ (hijacked) হতে পারে [6]।

কোকেইন এবং আফিম জাতীয় ড্রাগগুলো অনেক বেশী পরিমানে ডোপামিন নির্গত করার জন্য রিওয়ার্ড প্যাথওয়েকে উস্কে দেয়ার মাধ্যমে নেশাখোরদের যেভাবে মাতাল করে নাকানিচুবানি খাওয়ায় তার জন্য একজন নেশাখোরের তেমন কোন কষ্ট করা লাগেনা [7]। অন্য কোন জিনিসটি এমন করে থাকে চিন্তা করুন তো?
.
পর্ন [8]।
.
এবং আপনার ব্রেইনে বয়ে যাওয়া ডোপামিনের বন্যা, ক্ষনিকের সন্তুষ্টি দানের চেয়েও বেশী কিছু করে থাকে। ব্রেইনে পালসে্র মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে, ডোপামিন পুরস্কার পাওয়ার নতুন প্যাথওয়ে বা রাস্তা তৈরী করে, যা একজন ইউজারকে আগের সেই কাজটাতেই ফিরিয়ে নিয়ে যায় যে কাজের মাধ্যমে কেমিক্যালটা নির্গত হয়েছিল [9]।

একজন ড্রাগ বা পর্ন ইউজার যত বেশী ড্রাগ নেয় বা পর্ন দেখে, তাদের ব্রেইনে এই প্যাথওয়েগুলো তত বেশী তৈরী হয়, ড্রাগ/পর্ন ইউজকে সহজ থেকে সহজতর করতে থাকে। যার ফলে একজন মানুষ বার বার ড্রাগ নিতে বা পর্ন দেখতে ফিরে আসে, যদিও তারা তা চায়না [10]।

সময়ের সাথে, অবিরত কেমিক্যালগুলো অতিরিক্ত মাত্রায় পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার ফলে ব্রেইনে অন্যান্য পরিবর্তনও ঘটে থাকে। একজন নেশাখোর আগের চেয়ে বেশী মজা পাওয়ার জন্য বা ক্ষনিকের জন্য ভালো অনুভূতি পেতে অনেক বেশী ড্রাগ নিতে থাকে, পর্ন ইউজাররা খুব দ্রুত এর প্রতি আসক্ত হয়ে যায় কারন তাদের ব্রেইন অতিমাত্রায় ডোপামিনে ডুবে থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যায় [11]।
অন্যকথায়, যদিও পর্ন ব্রেইনে ডোপামিন নির্গত করতে থাকে, একজন ব্যবহারকারী এর ইফেক্ট তেমন একটা বুঝতে পারেনা।

এর কারণ হলো, অতিরিক্ত ডোপামিন এর বোঝা থেকে নিজেকে প্রটেক্ট করার জন্য ব্রেইন কিছু কেমিক্যাল (এক্ষেত্রে ডোপামিন) রিসেপ্টর কমিয়ে ফেলে[12]।
কম রিসেপ্টর থাকায় ব্রেইন মনে করে ডোপামিনের পরিমান কমে গেছে এবং একই মাত্রার পর্ন ইউজারকে আগের মতো উত্তেজনা দেয়না। যার ফলে-

-অনেক পর্ন ইউজাররা আরো বেশী পর্ন খোঁজে,
-অনেকে প্রায়সময়ই খোঁজে বা
-আরো এক্সট্রিম পর্ন খোঁজে বা

অনেকের ক্ষেত্রে এই তিনটিই কাজ করে, যাতে বেশী ডোপামিন উৎপন্ন করে উত্তেজনা ফিরে পাওয়া যায় [13]।

এবং যখন একজন পর্ন ইউজার তার ব্রেইনে পালস্ এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া কেমিক্যালগুলোর সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং বুঝতে পারে যে সে অ্যাডিক্টেড, তখন তার মধ্যে এই অভ্যাসটা প্রত্যাহার করতে চাওয়ার প্রবনতা তৈরী হয়, যেমনটা একজন ড্রাগ ইউজারের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে [14]।

মানুষ প্রায়ই মনে করে পর্ন এমন একটি জিনিস যা সর্বকালেই ছিল। তবে এখনকার পর্নের ভার্সন পুরোই আলাদা। ইন্টারনেটকে ধন্যবাদ, পর্ন এখন মিশে যাচ্ছে শক্তিশালী ডোপামিনের সাথে, এর সাথে নতুনত্ব, শক এবং সারপ্রাইজ এর ককটেল যুক্ত হয়ে ব্রেইনে বইয়ে দিচ্ছে ডোপামিনের জোয়ার [15]। পর্নের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হচ্ছে এর বিশাল ক্যাটেগরি বা ভ্যারিয়েশন, এক পর্নস্টারের উপর যখন ইন্টারেস্ট ডাউন খায় তখন ইউজাররা খুব সহজেই পেয়ে যায় আরো এক ডজন নতুন পর্নস্টার যারা ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের ডোপামিন লেভেলকে চাঙ্গা রাখে।

ইউ.এস. সিনেট কমিটিকে, ডঃ জেফারি স্যাটিনোভার পর্নের ইফেক্ট নিয়ে বলেন, "আমরা যেন নতুন এক হিরোইনের উদ্ভব ঘটিয়েছি..যা নিজের ঘরে সম্পূর্ণ প্রাইভেসির মধ্যে ব্যবহারযোগ্য এবং চোখের মাধ্যমে সরাসরি চলে যাচ্ছে ব্রেইনে" [16]।

#TeamFAD

রেফারেন্সঃ
.
[1] Pitchers, K. K., Vialou, V., Nestler, E. J., Laviolette, S. R., Lehman, M. N., and Coolen, L. M. (2013). Natural and Drug Rewards Act on Common Neural Plasticity Mechanisms with DeltaFosB as a Key Mediator. Journal of Neuroscience 33, 8: 3434-3442; Hilton, D. L. (2013). Pornography Addiction—A Supranormal Stimulus Considered in the Context of Neuroplasticity. Socioaffective Neuroscience & Psychology 3:20767; Hilton, D. L., and Watts, C. (2011). Pornography Addiction: A Neuroscience Perspective. Surgical Neurology International, 2: 19. (http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3050060/)

[2] Hilton, D. L., and Watts, C. (2011). Pornography Addiction: A Neuroscience Perspective. Surgical Neurology International, 2: 19; (http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3050060/) Bostwick, J. M. and Bucci, J. E. (2008). Internet Sex Addiction Treated with Naltrexone. Mayo Clinic Proceedings 83, 2: 226–230; Nestler, E. J. (2005). Is There a Common Molecular Pathway for Addiction? Nature Neuroscience 9, 11: 1445–1449; Leshner, A. (1997). Addiction Is a Brain Disease and It Matters. Science 278: 45–7.

[3] Bostwick, J. M. and Bucci, J. E. (2008). Internet Sex Addiction Treated with Naltrexone. Mayo Clinic Proceedings 83, 2: 226–230; Balfour, M. E., Yu, L., and Coolen, L. M. (2004). Sexual Behavior and Sex-Associated Environmental Cues Activate the Mesolimbic System in Male Rats. Neuropsychopharmacology 29, 4:718–730; Leshner, A. (1997). Addiction Is a Brain Disease and It Matters. Science 278: 45–7.

[4] Hedges, V. L., Chakravarty, S., Nestler, E. J., and Meisel, R. L. (2009). DeltaFosB Overexpression in the Nucleus Accumbens Enhances Sexual Reward in Female Syrian Hamsters. Genes Brain and Behavior 8, 4: 442–449; Bostwick, J. M. and Bucci, J. E. (2008). Internet Sex Addiction Treated with Naltrexone. Mayo Clinic Proceedings 83, 2: 226–230; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books, 108; Mick, T. M. and Hollander, E. (2006). Impulsive-Compulsive Sexual Behavior. CNS Spectrums, 11(12):944-955; Nestler, E. J. (2005). Is There a Common Molecular Pathway for Addiction? Nature Neuroscience 9, 11: 1445–1449; Leshner, A. (1997). Addiction Is a Brain Disease and It Matters. Science 278: 45–7.

[5] Bostwick, J. M. and Bucci, J. E. (2008). Internet Sex Addiction Treated with Naltrexone. Mayo Clinic Proceedings 83, 2: 226–230; Paul, P. (2007). Pornified: How Pornography Is Transforming Our Lives, Our Relationships, and Our Families. New York: Henry Hold and Co., 75; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books, 107; What Is Oxytocin, Psychology Today,http://www.psychologytoday.com/basics/oxytocin

[6] Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books, 106;
Kauer, J. A., and Malenka, J. C. (2007). Synaptic Plasticity and Addiction. Nature Reviews Neuroscience 8: 844–858; Mick, T. M. and Hollander, E. (2006). Impulsive-Compulsive Sexual Behavior. CNS Spectrums, 11(12):944-955; Nestler, E. J. (2005). Is There a Common Molecular Pathway for Addiction? Nature Neuroscience 9, 11: 1445–1449; Leshner, A. (1997). Addiction Is a Brain Disease and It Matters. Science 278: 45–7.

[7] Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books, 106; Nestler, E. J. (2005). Is There a Common Molecular Pathway for Addiction? Nature Neuroscience 9, 11: 1445–1449.

[8] Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books, 106;
Nestler, E. J. (2005). Is There a Common Molecular Pathway for Addiction? Nature Neuroscience 9, 11: 1445–1449.

[9] Hilton, D. L. (2013). Pornography Addiction—A Supranormal Stimulus Considered in the Context of Neuroplasticity. Socioaffective Neuroscience & Psychology 3:20767; Pitchers, K. K., Vialou, V., Nestler, E. J., Laviolette, S. R., Lehman, M. N., and Coolen, L. M. (2013). Natural and Drug Rewards Act on Common Neural Plasticity Mechanisms with DeltaFosB as a Key Mediator. Journal of Neuroscience 33, 8: 3434-3442; Hedges, V. L., Chakravarty, S., Nestler, E. J., and Meisel, R. L. (2009). DeltaFosB Overexpression in the Nucleus Accumbens Enhances Sexual Reward in Female Syrian Hamsters. Genes Brain and Behavior 8, 4: 442–449; Hilton, D. L., and Watts, C. (2011). Pornography Addiction: A Neuroscience Perspective. Surgical Neurology International, 2: 19; (http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3050060/)
Miner, M. H., Raymond, N., Mueller, B. A., Lloyd, M., Lim, K. O. (2009). Preliminary Investigation of the Impulsive and Neuroanatomical Characteristics of Compulsive Sexual Behavior. Psychiatry Research 174: 146–51; Angres, D. H. and Bettinardi-Angres, K. (2008). The Disease of Addiction: Origins, Treatment, and Recovery. Disease-a-Month 54: 696–721; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books, 107.

[10] Angres, D. H. and Bettinardi-Angres, K. (2008). The Disease of Addiction: Origins, Treatment, and Recovery. Disease-a-Month 54: 696–721; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books, 102.
[11] Pitchers, K. K., Vialou, V., Nestler, E. J., Laviolette, S. R., Lehman, M. N., and Coolen, L. M. (2013). Natural and Drug Rewards Act on Common Neural Plasticity Mechanisms with DeltaFosB as a Key Mediator. Journal of Neuroscience 33, 8: 3434-3442; Angres, D. H. and Bettinardi-Angres, K. (2008). The Disease of Addiction: Origins, Treatment, and Recovery. Disease-a-Month 54: 696–721; Doidge, N. (2007). The Brain That Changes Itself. New York: Penguin Books, 105; Paul, P. (2007). Pornified: How Pornography Is Transforming Our Lives, Our Relationships, and Our Families. New York: Henry Hold and Co., 75.

[12] Hilton, D. L., and Watts, C. (2011). Pornography Addiction: A Neuroscience Perspective. Surgical Neurology International, 2: 19; (http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC3050060/) Angres, D. H. and Bettinardi-Angres, K. (2008). The Disease of Addiction: Origins, Treatment, and Recovery. Disease-a-Month 54: 696–721.

[13] Angres, D. H. and Bettinardi-Angres, K. (2008). The Disease of Addiction: Origins, Treatment, and Recovery. Disease-a-Month 54: 696–721; Zillmann, D. (2000). Influence of Unrestrained Access to Erotica on Adolescents’ and Young Adults’ Dispositions Toward Sexuality. Journal of Adolescent Health 27, 2: 41–44.

[14] Angres, D. H. and Bettinardi-Angres, K. (2008). The Disease of Addiction: Origins, Treatment, and Recovery. Disease-a-Month 54: 696–721; Berridge, K. C. and Robinson, T. E. (2002). The Mind of an Addicted Brain: Neural Sensitization of Wanting Versus Liking. In J. T. Cacioppo, G. G. Bernston, R. Adolphs, et al. (Eds.) Foundations in Social Neuroscience (pp. 565–72). Cambridge, Mass.: MIT Press.

[15] Paul, P. (2007). Pornified: How Pornography Is Transforming Our Lives, Our Relationships, and Our Families. New York: Henry Hold and Co., 75; Caro, M. (2004). The New Skin Trade. Chicago Tribune, September 19; Brosius, H. B., et al. (1993). Exploring the Social and Sexual “Reality” of Contemporary Pornography. Journal of Sex Research 30, 2: 161–70.

[16] Satinover, J. (2004). Senate Committee on Commerce, Science, and Transportation, Subcommittee on Science, Technology, and Space, Hearing on the Brain Science Behind Pornography Addiction and Effects of Addiction on Families and Communities, November 18.