ফায়ারফক্সের একটি গোপন ফিচার , যা হয়ত আপনি জানতেন না 

মাঝে মাঝের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লেখা গুলোর জন্য আমাদের স্ক্রীনশট এর প্রয়োজন পড়ে , অনেকে এর জন্য এপস ব্যাবহার করলেও উইন্ডোজ ব্যাবহার কারীদের জন্য রয়েছে স্নিপিং টুল ।  কিন্তু যখন একটী ওয়েবসাইটের পূর্নাংগ পেইজ এর স্ক্রীনশট তোলার প্রয়োজন পরে তখনই ঘটে বিপত্তি । 
ফায়ারফক্স ব্রাউজারে এর জন্য রয়েছে একটি সহজ ফিচার যা হয়ত অনেকেরই জানা নেই ,  প্রথমে ফায়ারফক্স ব্রাউজার ওপেন করে আপনার পছন্দের ওয়েব পেইজে প্রবেশ করুন । 
তারপর  কী বোর্ডের  shift+f2 চাপুন  দেখুন ব্রাউজারের নীচের দিকে একটি  বক্স এসেছে এটি হল ফায়ারফক্সের কমান্ড বক্স 
পেইজ এর একদম নীচের দিকে আসবে কমান্ডবার টি 

এখানে টাইপ করুন   Screenshot --fullpage   এবং এন্টার চাপুন । খেয়াল রাখবেন স্ক্রীনশট লেখার পরে একটি স্পেস রয়েছে তারপর বাকি অংশ । আপনার প্রয়োজনীয় ওয়েব পেইজটির ফুল পেইজ এর ইমেজ  কম্পিউটারে সেভ হয়ে গেছে । 
দেড়ী না করে তাহলে  ebangla.tech  এর একেকটি পোস্ট এর ফুল স্ক্রীনশট দিয়ে রাখুন , এবং মোবাইলে নিয়ে  যেকোন সময় পড়ে ফেলুন ।
ফাইল আদান প্রদানের জন্য পেনড্রাইভ একটি গুরুত্ব পূর্ন ডিভাইস । মাঝে মাঝে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার জন্য ড্রাউভ বা ডিভাইসে পাসওয়ার্ড প্রটেকশন ব্যাবহার করতে হয়। অনেকেই এর জন্য বিভিন্ন এপস ব্যাবহার করেন, কিন্তু মজার কথা হচ্ছে। উইন্ডোজ এর ই কিন্তু ড্রাইভ পাসওয়ার্ডের নিজস্ব প্রটেকশন সিস্টেম আছে যা অনেকের চোখে পড়লেও ব্যাবহার করা হয়নি হয়ত । সেই ফিচারটি হল  BitLocker ।
অনেকেরই পরিচিত লাগছে নামটি , হ্যা। ঠিক ধরেছেন , কন্ট্রোল প্যানেলেই তালার একটি ছবি দিয়ে এই অপশনটি আছে ।
প্রথমেই আপনার পেনড্রাইভটি কম্পিউটারে  প্রবেশ করান  অথবা যে ড্রাইভ লক করবেন তাতে  মাউজ দিয়ে রাইট ক্লিক করুন , Turn on BitLocker নামের একটি অপশন আসবে সেটি সিলেক্ট করুন, পাসওয়ার্ড দিন , নেক্সট দিয়ে ফিনিশ দিন । ব্যাস তারপরই আপনার ড্রাইভ বা কম্পিউটার ড্রাইভে ঢুকতে গেলেই পাসওয়ার্ড চাইবে , 
এই অপশনটি অফ করতে চাইলে কন্ট্রোল প্যানেলের BitLocker অপশনে যান । 

মাক্রোসফট এর অন্যতম জনপ্রিয়  প্রোগ্রাম হল মাইক্রোসফট অফিস । বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই এই অফিস প্রোগ্রাম ব্যাবহার করা হয় ।  মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম অনেক সমৃদ্ধ , এর অনেক সুবিধাই আমাদের অজানা , অফিসের কাজকর্ম ছাড়া অন্য ছোটখাট কাজে আমরা অফিস প্রোগ্রাম ব্যাবহার করি  আজ এখানে আমরা দেখব মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড এর কিছু  সুবিধা সমুহ যা হয়ত আমরা অনেকেই জানি না ।

পাসওয়ার্ড দিয়ে ফাইল সংরক্ষনঃ
সাধারনত ওয়ার্ড ফাইলগুলো তে ক্লিক করেই আমরা ভিতরে প্রবেশ করে ফেলি ।  ওয়ার্ড ফাইলগুলোর নিরাপত্তার জন্য চাইলেই এতে পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করা যায় , ফলে কেও  ফাইলে ক্লিক করলে প্রথমেই পাসওয়ার্ড চাবে এবং সঠিক পাসওয়ার্ড দিলেই ডক ফাইলের লেখাগুলো পড়তে পারবে । এর জন্য প্রথমেই আপনার ওয়ার্ড ফাইলটি File অপশনে ক্লিক করুন । সেখানে প্রথমেই পাবেন Protect Document ( ছবিতে দেয়া আছে ) 
সেই অপশনে ক্লিক করলে ড্রপডাউন মেনু আসবে সেখান থেকে Encrypt with password অপশনে ক্লিক করলেই আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে বলবে সেখানে পাসওয়ার্ড দিয়ে ওকে দিলেই পরবর্তীতে সেই ফাইলটি ওপেন করতে গেলেই পাসওয়ার্ড চাইবে ।
( মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের পুরাতন ভার্শনে Tools--> option--> security তে গেলেই পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন )

বর্নের স্পেস নির্ধারনঃ

ওয়ার্ড ফাইলের ফন্ট অপশনে যান ( ছবিতে  লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা আছে ) । সেখানে ক্লিক করলেই একটি পপ আপ বক্স আসবে । সেখানে এডভান্স ট্যাব এ ক্লিক করে সেখান থেকে আপনি পছন্দমত লেটার এর জন্য স্পেস নির্ধারন করতে পারবেন


পিডিএফ ফাইল তৈরীঃ
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলকে  পিডিএফ ফাইল ও তৈরী করা যায়। এর জন্য এডোবি এক্রোব্যাট  সফটওয়্যারটি ইন্সটল করা থাকতে হবে ।  আপনার ফাইল  এর সমস্ত লেখা সহ তৈরী করুন ,  এবার ফাইল মেনু থেকে প্রিন্ট কমান্ডে ক্লিক করুন । printer name এ acrobat Distiler সিলেক্ট করুন। ওকে বাটনে ক্লিক করে বেড়িয়ে আসুন ।



জানেন কি ?লিনাক্স বা অ্যান্ড্রয়েড  অপারেটিং সিস্টেম হলো ওপেন সোর্স সফটওয়্যার।  কারন ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গুলো যখন উন্মুক্ত করা হয়, তখন এরসাথে সোর্স কোড গুলোকেও উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। অনেক সময় ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার ডেভেলপাররা সোর্স কোড দিয়ে সফটওয়্যারটির এক্সিকিউট করে ফাইল তৈরি করে তারপর উন্মুক্ত করে, আবার অনেক সময় শুধু সোর্স কোড উন্মুক্ত করে। 

ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কি?
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বলতে, যেখানে সফটওয়্যারটির সোর্স কোড সকলের জন্য ওপেন থাকে (পাবলিক) এবং অন্যান্য সফটওয়্যার গুলোর সোর্স কোড ক্লোজ থাকে (প্রাইভেট)। তো ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার বলতেই ফ্রী কিছু নয়। হ্যাঁ, হয়তো আপনি অনেক সফটওয়্যারকে ফ্রী দেখতে পান, তবে এটির সংখ্যা অতি সামান্য। শুধু ওপেন-সোর্স নয়, প্রাইভেট সফটওয়্যার গুলোও ফ্রী হতে পারে।

ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কেন ব্যবহার উপযোগী ?
মনেকরুন , কোন ইঞ্জিনিয়ার একটি বাড়ি তৈরি করলেন এবং বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিলেন। আপনি সেই বিজ্ঞাপন দেখে বাড়িটি কিনলেন। বাড়িটি কেনার পরে আপনি সেটি যথাযতো ভাবে ব্যবহার করতে শুরু করলেন। আপনি সকল রুম ব্যবহার করছেন, সকল সুইচ ব্যবহার করছেন ইত্যাদি। এখন মনেকরুন ,একটি ঘরের  বিদ্যুতের লাইনের সমস্যা হয়ে গেলো বা পানির নল ফেটে কোথা হতে পানি নির্গমন করা আরম্ভ করে দিল। তবে আপনি কি করবেন? আপনি তো নিজে ঠিক করতে পারবেন না—কেনোনা আপনি আপনার বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন সম্পর্কে জেনেন না, আর নাই বা জেনেন কোন দিক দিয়ে কোন পানির নল নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

একইভাবে যখন আপনি কোন সফটওয়্যারকে আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করেন, তখন তার সোর্স কোড সম্পর্কে আপনার কোন জ্ঞান থাকেন না আর নাইবা আপনি চাইলে সেই কোড গুলোকে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। যেমন করে আপনার বাড়ির নলের ব্যবস্থা এবং ইলেক্ট্রিসিটি লাইন আপনার বাড়ির পানি এবং বিদ্যুৎকে চালাতে সাহায্য করে ,ঠিক একইভাবে কোন সফটওয়্যার তার কাজ করার পদ্ধতি আপনাকে না জানিয়েই আপনার কাজ করে দেয়। 

ওপেন সোর্সের সুবিধা

কমিউনিটি তৈরি করতে সাহায্য করে----    যখন কোন সোর্স কোডকে পাবলিক হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়, তখন যেকোনো ডেভেলপার বা প্রোগ্রামার সেই সফটওয়্যারটি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এই অর্জিত জ্ঞান তাদের প্রোগ্রামিং দক্ষতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
এটি দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়---মালিকানা কোন সফটওয়্যারে বা ক্লোজ সফটওয়্যারে কোন ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গেলে, ব্যবহারকারীগনদের অপেক্ষা করতে হয়, যতক্ষণ না সেই সফটওয়্যার কোম্পানিটি তা ঠিক করে নতুন ভার্সন উন্মুক্ত করে।ওপেন সোর্সে যেকোনো সফটওয়্যারের ত্রুটি অনেক দ্রুত সমাধান হতে পারে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্রতিযোগিতা ও বৈচিত্র্যতার সৃষ্টি করে--  ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বৈচিত্র্যতার জন্য বিশেষভাবে বিশিষ্ট। লিনাক্সের কতো গুলো ফ্লেভার রয়েছে, জেনেনই তো। আবার মজিলা ফায়ারফক্সের কতো গুলো ভাই ব্রাউজার রয়েছে তাও জানেন।এমনকি গুগল ক্রোম ব্রাউজারও ক্রমিয়াম নামক ওপেন-সোর্স প্রোজেক্ট থেকে প্রস্তুত। 
প্রথম যখন Bluetooth এর নাম শুনেছিলাম একটু অবাকই হয়েছিলাম , আক্ষরিক অর্থে  blue মানে নীল এবং tooth মানে দাঁত  হলেও আমাদের ব্যাবহারের bluetooth  এর অর্থ কিন্তু নীল দাঁত নয় । 
এর নামকরনের পিছনে রয়েছে মজাদার ইতিহাস ।

৯৫৮ থেকে ৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের ভাইকিং রাজা ছিলেন হেরাল্ড ব্লু-টুথ। ডেনমার্ক এবং নরওয়ের কিছু অংশকে একত্র করে একটি দেশের আওতায় আনতে পেরেছিলেন তিনি। ডেনমার্কের মানুষকে খ্রিস্টান করার নেপথ্যেও এই হেরাল্ড ব্লু-টুথের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ব্লুটুথ সিম্বলটি “H”  “B” মিলিয়ে করা হয়েছে। 
রাজা Harald Bluetooth এর নামানুসারে ব্লুটুথ নামকরণ করা হয়।
এবার চলে আসি অনেক সামনে  ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সেসময়ে যোগাযোগস্থাপনকারী একটি প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়েছিল। অনেক কোম্পানী বা অনেক লোক অনেক কিছু তৈরী করলেও কোনটি তেমন কাজে আসছিল না।  জিম কার্ডাখ, ইন্টেলের এই ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছিলেন ওয়্যারলেস টেকনোলজি নিয়ে। যে কয়টি সংগঠন তখন কাজ করছিল তাদেরকে এক করার উদ্যোগ নেন কার্ডাখ। সেসময়ে কার্ডাখ ভাইকিংদের ওপর একটি বই পড়ছিলেন, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন হেরাল্ড ব্লু-টুথ। প্রতিযোগী সবপক্ষকে একত্র করার কাজটা  মধ্যযুগে হেরাল্ডই করে দেখিয়েছিলেন  আর তিনিও তখন সব সংগঠনকে একত্র করার চেষ্টা করছিলেন , সেই থেকেই নাম দিয়ে দেয়া হল bluetooth. 

bluetooth হল ১-১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে ওয়্যারলেস যোগাযোগের একটি পদ্ধতি। ব্লুটুথ-এর কার্যকরী পাল্লা হচ্ছে ১০ মিটার। তবে বিদ্যুৎ কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে এর পাল্লা ১০০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ব্লুটুথ ২.৪৫ গিগাহার্টজ-এ কাজ করে।ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে কম ক্ষমতা বিশিষ্ট বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হয়। এই যোগাযোগ ব্যাবস্থায় ২.৪৫ গিগাহার্ট্‌জ (প্রকৃতপক্ষে ২.৪০২ থেকে ২.৪৮০ গিগাহার্ট্‌জ-এর মধ্যে)-এর কম্পাংক ব্যাবহৃত হয়। শিল্প, বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত যন্ত্রের জন্য উপরিউক্ত কম্পাংকের সীমাটি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।  এর বর্তমানে ভার্শন ৪ আসছে  , যেখানে ভার্শন ১.২  সর্বোচ্চ ১ মেগাবিট /সেকেন্ড  ছিল সেখানে বর্তমানের ৩ ভার্শন ২৪ মেগাবিট /সেকেন্ড এ তথ্য আদানপ্রদান করছে ।

Bluetooth এর কিছু ব্যাবহারঃ

১. ব্লুটুথ হেডফোনের মাধ্যমে তার ছাড়া তার ছাড়াই শব্দ শুনতে পারেন।

২. ব্লুটুথ কিবোর্ড মাউস অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হচ্ছে।

৩. ব্লুটুথ লকের মাধ্যমে রিমোটলি তালা খুলছে।

৪. ব্লুটুথ দিয়ে কয়েকজন মিলে গেম খেলা যায়

৫. বর্তমানে ফাইল অপেক্ষাকৃত দ্রুততার সাথে এসে পড়ে


ইউটিউব থেকে ভিডিও ডাউনলোড

ভিডিও এর জন্য সেরা ওয়েবসাইট হল ইউটিউব , ইমেজ যেমন ব্রাউজার থেকেই ডাউনলোড করা যায় তেমন করে ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড করা যায় না , অনেকেই  ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার ব্যাবহার করে থাকেন, অনেকের কাছে আবার এর ফুল ভার্শন থাকে না , কোন প্রকার এপস বা ডাউনলোডার ছাড়াই ইউটিউবের ভিডিও ডাউনলোড এর নিয়ম দেখেনিন ঝটপট করে এবং নিজের পছন্দের গান বা ভিডিও ডাউনলোড করে ফেলুন মুহুর্তের মধ্যে 
১)  ওয়েবসাইটের সাহায্যেঃ
http://keepvid.com  এ যান , এখানে সার্চ বক্সের মধ্যে আপনার পছন্দের ভিডিও লিংক দিন, নীচে  বিভিন্ন কোয়ালিটির ভিডিও লিস্ট আসবে , যেটি প্রয়োজন ডাউনলোড দিয়ে ফেলুন

২) লিংক চেঞ্জ করেঃ
ইউটিউবের পছন্দের ভিডিও টিতে যান ,লিংকটি শুধু একটু পরিবর্তন করুন  www. এর পরে ss  যুক্ত করুন 
অর্থাৎ www.ssyoutube.com/......
আপনার পছন্দের ভিডিওটির বিভিন্ন কোয়ালিটির ডাউনলোড অপশন চলে আসবে 

৩) এক্সটেনশনের মাধ্যমেঃ
ফায়ারফক্স ব্রাউজারের জন্য www.downloadhelper.net  এড্রেসে গিয়ে একটি এক্সটেনশন নামিয়ে নিন , ভিডিও শুরুর সময় ডাউনলোড  হেল্পার অপশন পাবেন , সেখানেই রয়েছে ডাউনলোড বাটন ।

৪) সফটওয়্যারের মাধ্যমেঃ
youtube by click  নামের  সফটওয়্যার দিয়ে সহজেই ইউটিউবের ভিডিও নামানো যায় 

৫)ডাউনলোডার দিয়েঃ
আইডিএম , ইউটিউব ডাউনলোডার সহ অনেক ডাউনলোডার আছে যা দিয়ে সহযেই ভিডিও ডাউনলোড করতে পারেন, ফ্রী ব্যবহার করতে চাইলে ইগলগেট ডাউনলোডার ও ভাল

লিনাক্স কার্নেলেই চূড়ান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া প্রত্যেকটি লিনাক্স ডিস্ট্রোতে ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা এবং প্রাইভেসিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভাইরাস নির্মাতারাও তাই লিনাক্সের জন্য ভাইরাস তৈরীতে আগ্রহী হয় না। তাই ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, ট্রজান, রুটকীট, বটনেট,

 স্পাইওয়্যার ইত্যাদির অস্তিত্ব লিনাক্সের জগতে এলিয়েনের মত। তবে লিনাক্সের জন্য পরীক্ষার নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে এখনো পর্যন্ত মাত্র ৪৮ টি ম্যালওয়্যার তৈরি করা হয়েছে যেগুলো ব্যবহারকারী পাসওয়ার্ড দিলেই এক্সিকিউট করবে।অপরদিকে উইন্ডোজের আছে মিলিয়ন মিলিয়ন ভাইরাস যেগুলো দিনে দিনে বাড়ছে। তাই এন্টিভাইরাস ছাড়া উইন্ডোজ কল্পনাও করা যায় না। উইন্ডােজের দুর্বল সিকিউরিটির উপর ভিত্তি করেই এসব এন্টিভাইরাস কোম্পানি ব্যবসা করে যাচ্ছে।

লিনাক্স  ইন্টারফেস

লিনাক্স কার্নেলেই বেশিরভাগ হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার বিল্ট ইন থাকে। তাই কোন হার্ডওয়্যার লাগালে সেটার জন্য আলাদা করে ড্রাইভার ইন্সটলের প্রয়োজন হয় না। তাই উইন্ডোজ এর  মত ড্রাইভার সফট্ওয়্যার হারিয়ে গেলে সেটা খোঁজা নিয়েও কোন সমস্যায় পড়তে হয় না।গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস এর দিকে উইন্ডোজ এর থেকে কম নয় লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম । 


সফট্ওয়্যার ব্যবহার 
লিনাক্সের সফট্ওয়্যার গুলো উইন্ডোজের মত এখান থেকে ওখান থেকে খুঁজে খুঁজে ডাউনলোড করতে হয় না।লিনাক্সের সব সফট্ওয়্যার এক জায়গাতেই থাকে যার নাম সফট্ওয়্যার রিপোজিটরি বা সফট্ওয়্যার সেন্টার। এখানে প্রত্যেকটি সফট্ওয়্যার ডেভেলপাররা টেস্ট করে তারপর আপলোড করে থাকে। এটা অনেকটা গুগল প্লে স্টোরের মত।শুধু পছন্দের সফট্ওয়্যারটি সার্চ করে ইন্সটল নাও বাটনে ক্লিক করলেই সেটা ডাউনলোড হয়ে ইন্সটল হয়ে যাবে।

কীভাবে আপডেট করবেন 
লিনাক্স আপডেট দেওয়া শুধু একটি ক্লিকের ব্যাপার। লিনাক্স আপডেটে শুধু সিস্টেম আর সিকিউরিটি নয় বরং যেসব সফট্ওয়্যার আপনি ইন্সটল করেছেন সেসব সফট্ওয়্যারও অন্তর্ভুক্ত থাকে। লিনাক্সে শাটডাউন এবং রিস্টার্টের সময় আপডেট ইন্সটল হয় না তাই আপনি আপডেটে ক্লিক করে নিজের কাজ করতে পারবেন। 

ওপেন প্ল্যাটফর্ম 
লিনাক্স ডেভেলপাররা এর ব্যবহারকারীদের প্রাইভেসিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখে। উইন্ডোজের মত ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে না। উইন্ডোজ ৮ এবং উইন্ডোজ ১০ এ এমন সিস্টেম আছে যাতে আপনি কি কি সফট্ওয়্যার ইন্সটল করেছেন, কতক্ষন ধরে সেগুলো ব্যবহার করেছেন, কোন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন ইত্যাদি তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাইক্রোসফটের কাছে চলে যায়। তবে আপনি প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে এগুলো বন্ধ করতে পারেন কিন্তু মাইক্রোসফটের এসব নোংরা মানসিকতা তো আর বন্ধ করতে পারবেন না। Windows 10 আপনাকে তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও সার্ভিসে যুক্ত করার চেষ্টা করবে। তাদের ইকো সিস্টেম, করটানা, ওয়ান ড্রাইভ, অফিস স্যুট ইত্যাদি যেন আপনি ব্যবহার করেন সে ব্যাপারে জোর চেষ্টা চালাবে। লিনাক্সে এসব কিছুই হবে না কারণ আপনার প্রাইভেসির গুরুত্ব সবচাইতে বেশি।
'



মোবাইলে লিনাক্স সেটাপ করতে চাইলে নিয়ামবলী এই লিংকে - click here