৩০ সেকেন্ডেই হ্যাক হচ্ছে হোয়াটস এপ একাউন্ট, আপনার তথ্যগুলো নিরাপদ তো?

হোয়াটস এপ হ্যাক, হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক

নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছে না হোয়াটসঅ্যাপ-এর! কয়েক দিন আগেই জানা গিয়েছে, E2E বা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনেও হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন মোটেও সুরক্ষিত নয়। যতই কথোপকথন E2E এনক্রিপটেড হোক না কেন, যাদের মধ্যে তা চলছে, সেই দু’জন ছাড়া তৃতীয় কোন ব্যক্তি চাইলেই কথোপকথন ডি-কোড করতে পারেন। তাছাড়া, হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন মুছেও দেওয়া যায় না। মুছলেও তা থেকেই যায়!

এই বিপজ্জনক তথ্য জানাজানি হওয়ার পরেই উঠে এল আরও এক বিস্ফোরক খবর। জানাল সংযুক্ত আরব আমির শাহির এমিরেটস সেফার ইন্টারনেট সোসাইটি; সংক্ষেপে ই-সেফ নামের এক নন-প্রফিট অনলাইন সেফটি সংস্থা।
হোয়াটস এপ হ্যাক

সম্প্রতি এক সাংবাদ সম্মেলনে ই-সেফ দাবি করেছে, চাইলেই হ্যাক করা যায় হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট! কোন ব্যক্তি মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই এই দুষ্কর্মটি করতে পারেন! কী ভাবে, হাতে-কলমে তা সবাইকে দেখিয়েও দিয়েছে ই-সেফ।

ই-সেফ জানাচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকের চাবিকাঠি হল ফোনের QR কোড। একবার যদি কেউ আপনার ফোনের QR কোড পেয়ে যায়, তাহলে সেই কোড ব্যবহার করে ভায়া ডেস্কটপ হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করাটা শুধুই ছেলেখেলা! তার পরে সেই হ্যাকার যা খুশি করতে পারে অন্য ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিয়ে।

ই-সেফ আরও জানিয়েছে, তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, বেশির ভাগ মানুষই নাকি ডেস্কটপ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের পর লগ-আউট না করেই চলে যান! সে সব ক্ষেত্রে হ্যাকারদের কাজ আরও সহজ হয়ে যায়।
এছাড়া ই-সেফ জানাচ্ছে, তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী ১০০ জনের মধ্যে ৭৮ জন মানুষই তাদের ফোন অন্যের হাতে তুলে দেন! সেই ব্যাপারটা QR কোড জানার কাজটা অনেক সহজ করে দেয়। এ থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে কিছু পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশী ওয়েব নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান "এরিনা ওয়েব সিকিউরিটি" 
# আপনার মোবাইলে অবশ্যই কোড লক চালু করবেন। প্যাটার্ন লক হ্যাক করেও তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে অসাধুরা। বিস্তারিত - Click Here
# আনলক অবস্থায় ডিভাইসকে কোথাও ফেলে রেখে যাবেন না। ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
# ফোনের সেটিং অপশনে গিয়ে থার্ড পার্টি এপস এর অনুমোদন বন্ধ করে দিন। এর ফলে আপনার ডিভাইসে কি লগার সহ অন্য সকল ম্যালওয়ার এর মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। 
system settings. .. "Device" ==> "Apps" option ==> Enable / Disable third party apps ==> "Disable" ]
# মোবাইলকে আপডেট অবস্থায় রাখুন। পুরনো ভার্শনের দূর্বলতা সমাধান করেই আপডেট বের হয়, তাই আপনার ডিভাইসকে নিরাপত্তা দূর্বল অবস্থায় ফেলে রাখবেন না।
# কি ডাউনলোড করছেন তা আগে থেকে অবশ্যই যাচাই করে নিবেন। চমকপ্রদ কোন কিছু আসলেই বিস্তারিত না জেনে ডাউনলোড করবেন না।
# এপস ইন্সটল এর সময় কি কি অনুমতি নিচ্ছে তা যাচাই করে নিন। যেমন কোন কারন ছাড়াই একটি গেম আপনার ক্যামেরার অনুমতি নিতে চাইলে তা যাচাই না করে অনুমোদন দিয়ে দিলে আপনার অজান্তেই আপনার ওয়েব ক্যামেরাকে  ব্ল্যাকমেইলের জন্য ব্যাবহার করতে পারে অসাধুরা।
# ফোনে কি কি এপস ইন্সটল করা আছে তা যাচাই করবেন। আপনার অজান্তেই কোন এপস ডাউনলোড হয়ে হাতিয়ে নিতে পারে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবলী।
# ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যাবহারে সতর্ক হোন। কারন, ফ্রি ওয়াইফাই এর মাধ্যমে আপনার অসংখ্য তথ্যবলী হাতিয়ে নিতে পারবে অসাধুরা।
# কোন মেসেজ কোড আসলে কাউকে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। তাহলে আপনার অজান্তেই আপনার সকল আইডির অনুমোদন পেয়ে যাবে অসাধু হ্যাকাররা।
# হোয়াটস এপ , ফেসবুক, ব্রাউজার সহ গুরুত্বপূর্ণ এপস গুলোর ক্ষেত্রে অবশ্যই এপসলক এর মাধ্যমে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করুন। Smart App Protector সহ এরকম জনপ্রিয় কিছু এপস লকারের মাধ্যমে আপনি আপনার এপস গুলো সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

সাইবার জগতে নিরাপদে থাকার জন্য সচেতনতাই হোক প্রধান অস্ত্র। এই প্রত্যশাই রইলো।

ঢাকার রোডের রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট জানা যাবে গুগলেই!

সার্চ জায়ান্ট গুগলের রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেটে যুক্ত হয়েছে রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন সড়ক। ফলে রাজধানীর কোন সড়কে যানজট রয়েছে বা কোন সড়কে যানবাহনের গতি ধীর গতির তা গুগল ম্যাপের মাধ্যমেই দেখা যাবে। এছাড়া কোন সড়কে যানজট নেই এবং কোন সড়কে যান চলাচল বন্ধ তাও জানা যাবে।
গুগলের রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেটে রাজধানীর গুলশানের সড়কের অবস্থা (দুপুর ৩টা)
গুগল ম্যাপে গিয়ে দেখা যায় যানজট বা সড়কের যানবাহনের গতি বোঝানো হচ্ছে কয়েকটি রঙের চিহ্ন দিয়ে। যে সড়কে যানবাহনের গতি ধীর সেই স্থানে বা যানজটপূর্ণ  স্থানটুকুর সড়কটি লাল রঙে দেখানো হচ্ছে। আবার যে সড়কটিতে যানজট নেই সেই সড়কটি সবুজ রঙের। 
সবার মতামত নিয়ে জানা যায় যে, এই ট্রাফিক আপডেটটি বেশ সঠিক।

যেভাবে কাজ করে গুগলের রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট:
স্মার্টফোনে ব্যবহৃত গুগল ম্যাপ থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট সেবা দিয়ে থাকে গুগল। একজন ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট স্থানে যেতে গুগল ম্যাপ অ্যাপটি ব্যবহার করেন। এর ফলে তিনি গুগলকে তার বর্তমান অবস্থান জানার অনুমতি দিয়ে থাকেন। এদিকে গুগল তার গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট সেবাটি দিয়ে থাকে।
এদিকে শুধুমাত্র লাইভ ট্রাফিক আপডেট নয়, টাইপিকাল ট্রাফিক আপডেট নামে আরেকটি অপশনের দেখা মেলবে কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখা গুগল ম্যাপে। এর মাধ্যমে বিগত কয়েক দিনের ট্র্যাফিক আপডেট সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
জানা যায়, ২০০৭ সালে প্রথম রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট সেবাটি চালু করে গুগল। এরপর এই সেবাটি বিভিন্ন দেশে চালু করেছে গুগল। এর ফলে ট্রাফিক আপডেট পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করলো ঢাকাবাসীর।

জেএসসি ও এসএসসি কোনোটাতেই জিপিএ ৫ জোটেনি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আহমেদ নাফিস ফারহানের। তবে থামেনি তার বিজয় রথ। বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তাকে এনে দিয়েছে দেশি-বিদেশি অনেক পুরস্কার। 

আগামী ডিসেম্বরেই নেদারল্যান্ডসে হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড। বাংলাদেশ দলে নাফিসও আছে। গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় হয়ে যাওয়া এ উৎসবেও সে গিয়েছিল। বাকি পাঁচজনের মতো সে-ও এনেছিল ব্রোঞ্জ পদক।
বড় হয়ে অনেকেই হতে চায় মা-বাবার মতো। নাফিসও ব্যতিক্রম নয়। ছোটবেলা থেকেই কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয় প্রকৌশলী বাবার কাজকর্ম। বাবার অফিসে নানা যন্ত্রপাতি দেখে অবাক হতো। তখনই যন্ত্রের প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। ফেলে দেওয়া এটা-ওটা দিয়ে বানিয়ে ফেলত মজার কিছু। সিনেমায় তার প্রিয় চরিত্র আয়রনম্যান।
হতে চায় টনি স্টার্কের মতোই। আপাতত হাতের ইশারায় বাতি অন-অফ করতে নিজের মতো করে একটা নকশা সে বানিয়েছে। এটা বানাতে নাফিস ব্যবহার করেছে এইচসি-এসআর০৪ ও এমএইচ-বি সেন্সর। মাদারবোর্ড হিসেবে আছে আরদুইনো-ইউএনও। প্রথমে ‘সোনার’ সেন্সর দুটি ব্যবহারকারীর হাতের অবস্থান বের করবে। সেন্সরগুলো একটি তরঙ্গ পাঠাতে থাকবে হাতে। সেটা আবার প্রতিধ্বনি তৈরি করে। এই প্রতিধ্বনির সময়ের ওপর নির্ভর করে তৈরি হয় নানা প্যাটার্ন তথা বিন্যাস। একেক প্যাটার্নের সঙ্গে মিল করে দেওয়া যায় একেক কমান্ড। এভাবেই মোশন সেন্সর কাস্টমাইজেশন করেছে নাফিস। এটা নিয়ে পরে আরো বড় কিছু করার ইচ্ছা আছে ওর।

ফটোগ্রাফিও তার বড় শখ। আর এর জন্য ক্যামরার খুঁটিনাটিও তার নখদর্পণে। যান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটিয়ে ক্যামেরায় এমন এক সিস্টেম সেট করেছে, যা দিয়ে নির্দিষ্ট সময় বিরতিতে দীর্ঘ সময় ছবি তুলতে পারা যায়। এটা ক্যামেরার প্রচলিত টাইমল্যাপস মোডের একটি কাস্টমাইজেশন রূপ। জেস্টার কন্ট্রোলারের মতো এতেও একই ধরনের সেন্সর ও বোর্ড ব্যবহার করেছে নাফিস। নাফিস জানাল, ‘প্রথমে একটি আইআর রিসিভার ব্যবহার করে ক্যামেরা রিমোটের সিগনাল ডিকোড করি। তারপর রিমোটের শাটার ক্লিকের কোডটাকে বদলে দিই। এতে ওই সিগনাল নির্দিষ্ট সময় পর পর ব্রডকাস্ট হয়। তারপর হার্ডওয়্যারে নতুন অ্যালগরিদম আপলোড করলেই কাজ হয়ে যায়। ’
নাফিস ও তার কাজ নিয়ে তার স্কুলের আইসিটি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এখন ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বানায়। অনেকে আবার হুবহু কপি করে। তবে কেউ আছে একটা কিছু দেখে পরে নিজের মতো করে কিছু বানিয়ে ফেলছে। তবে নাফিসের প্রজেক্টগুলো আলাদা। আমার মনে হয় না, ওর মতো করে কেউ এগুলো আগে করতে পেরেছে। ’
থ্রিডি মডেলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে নাফিসের বানানো গাড়ির নকশা

নাফিসের একাডেমিক ফলাফল নিয়ে বললেন, ‘বাইরের অনেক বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও দেখা যায়, শিক্ষার্থী নির্বাচন করে নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীর দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে। আমি মনে করি না, ওর জিপিএ পাঁচহীন ফল তার ক্যারিয়ারে কোনো প্রভাব ফেলবে। ’
এদিকে গাড়িও ভালো লাগে নাফিসের। নিজের মতো করে গাড়ির নকশাও করে অবসরে। গণিতেও দখল তার। বাংলাদেশ ম্যাথ অলম্পিয়াড ২০১৫ ও ২০১৭-তে চট্টগ্রাম বিভাগে প্রথম রানার্স-আপ সে। কাঁচা নয় পদার্থবিজ্ঞানেও। বাংলাদেশ ফিজিকস অলিম্পিয়াড ২০১৫-তে সে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম ও জাতীয় পর্যায়ে অষ্টম হয়েছে। বাদ যায়নি জ্যোতির্বিজ্ঞান। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমি ও অ্যাস্ট্রোফিজিকস অলিম্পিয়াড ২০১৭-তেও প্রথম ১০ জনে ছিল তার নাম। প্রগ্রামিংয়েও সব্যসাচী। জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়সহ প্রগ্রামিংয়ে রয়েছে সাতটি পুরস্কার। পাকা হাত আঁকাআঁকিতেও। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বর্ণমেলায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিল।
খেলাধুলায় প্রিয় দাবা। ২০১৫ সালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ইনডোর গেমসে দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয় সে। সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল।
ডিসেম্বরের জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি নিয়ে নাফিস জানাল, ‘গতবারের চেয়ে এবারের প্রস্তুতি ভালো। চেষ্টা করব দেশের জন্য ভালো কিছু করার। ’
নাফিসের পছন্দের বিষয় তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান। এ নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন তার। নাফিস জানায়, সবার মতো হয়তো তার মা-বাবাও চেয়েছিলেন তাঁদের ছেলে যেন গোল্ডেন ‘এ’ প্লাস পায়। কিন্তু একাডেমিক ফলের ক্ষেত্রে স্রোতের বিপরীতে চলা নাফিস তা পায়নি। এ নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথাও তার নেই। তার বাকি সব অর্জনে মা-বাবা দারুণ খুশি।  

গুগল ড্রাইভ কি? গুগল ড্রাইভ ব্যাবহার করার সঠিক উপায়!!

জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের একটি সেবা হলো গুগল ড্রাইভ। এটি ব্যবহার করে সহজে ও নিরাপদে ফাইল রাখা যায়। ক্লাউডে ফাইল সংরক্ষণ করে বলে গুগল ড্রাইভের বেশ কিছু সুবিধা আছে। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—
 কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলেও ফাইল নষ্ট কিংবা হারাবে না।
 ছবি, ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, পিডিএফ, অডিও, ভিডিওসহ ছোট-বড় সব ধরনের ফাইল সংরক্ষণ করা যায়।
 মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেটসহ যেকোনো যন্ত্র থেকে ব্যবহার করা যায়।


অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই
কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে গুগল ড্রাইভের অ্যাপ ইনস্টল করলে সংরক্ষিত ফাইলগুলো কম্পিউটার বা মোবাইলের নির্ধারিত ফোল্ডারে জমা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী অনলাইন বা অফলাইনে থাকা অবস্থায় ফাইল খোলা ও হালনাগাদ করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-চালিত যেকোনো যন্ত্র ও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের যেকোনো কম্পিউটারের জন্য অ্যাপ পাওয়া যায়।
যেকোনো স্থান থেকে ব্যবহার করা যায়
আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, ব্যবহৃত যন্ত্র থেকে জিমেইলে ঢুকলেই গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করা যাবে। সেখানে আপনার সংরক্ষিত সবকিছুই পাওয়া যাবে। এতে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো সব সময় বহন করতে হবে না এবং হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
নতুন ফাইল ও ফোল্ডার
কম্পিউটারের মতোই গুগল ড্রাইভে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফাইল ও ফোল্ডার তৈরি করা যায়। তৈরি করা ফাইল সবার সঙ্গে শেয়ার করা যায় সহজেই। ফাইল সংরক্ষণ করা ছাড়া ও গুগল ড্রাইভের রয়েছে গুগল ডকস সুবিধা নিয়ে ফাইল তৈরি করা যায়। যেখানে দৈনন্দিন কাজের জন্য ফাইল তৈরি ও হালনাগাদ করা যায়। বহুল ব্যবহৃত ওয়ার্ড, এক্সেলসহ বেশির ভাগ অফিস অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যায়। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে রিয়েল টাইম আপডেট অর্থাৎ একসঙ্গে সব জায়গায় এবং সব যন্ত্রে ফাইল হালনাগাদ হয়। অর্থাৎ একটি ফাইল একই সময়ে একাধিক স্থান থেকে ব্যবহার করা যায়।
গুগল ফরমে সহজেই তথ্য সংগ্রহ করা যায়
কাজের প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের জন্য রয়েছে গুগল ফরম। ফরমে পূরণকৃত তথ্য স্প্রেডশিটে সহজেই সংগ্রহ করা যায় ও তা প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্লেষণ করে ফলাফল তৈরি করা যায়।
সংযুক্ত ফাইল সহজেই পাঠানো যায়
জিমেইলে ২৫ মেগাবাইটের বেশি কোনো ফাইল যুক্ত করতে হলে গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করতে হয়। আবার ড্রাইভে থাকা যেকোনো ফাইলসহ জিমেইলে সরাসরি যুক্তও করা যায়। ই-মেইলে আসা যেকোনো ফাইল ড্রাইভে সংরক্ষণ করা যায়। এ জন্য ইমেইলে যুক্ত ফাইলের ওপর মাউস নিলে ড্রাইভে সংরক্ষণ করার একটি অপশন দেখাবে।
গুগলের প্রত্যেক ব্যবহারকারী জিমেইল, গুগল ড্রাইভ ও গুগল ফটোজ ব্যবহারের জন্য ১৫ গিগাবাইট জায়গা পেয়ে থাকে। এর বেশি প্রয়োজন হলে প্রিমিয়াম সেবা গ্রহণ করতে হবে।

"ফাংশন কি" নিয়ে বিস্তারিত

F1 : উইন্ডোজকে সেফ মোডে খুলতে ব্যবহার করা হয়। উইন্ডোজসহ বেশির ভাগ সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে এটি হেল্প বাটন হিসেবেও কাজ করে।
F2 : উইন্ডোজ চালুর সময় বায়োসে প্রবেশ করতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই কি ব্যবহার হয়। কম্পিউটারে সিলেক্ট করা কোনো ফাইল বা ফোল্ডার রিনেম বা নাম পরিবর্তনও এটি চেপে করা যায়।
মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে কোনো ডকুমেন্ট খুলতে alt+ctrl+F2 ব্যবহার করা হয়।

F3 : উইন্ডোজ ডেস্কটপের ক্ষেত্রে এই বাটন সার্চের কাজ করে। এই কি (key) চেপে ডস মোডে লেখা সর্বশেষ লাইনটিও ফিরিয়ে আনা যাবে।
F4 : উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার বা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ক্ষেত্রে এই বাটন অ্যাড্রেস বার খোলার কাজ করে। অ্যাক্টিভ উইন্ডো একবারে বন্ধ করতে alt+f4 ব্যবহার করা হয়।
F5 : যেকোনো ব্রাউজারের ক্ষেত্রে এই বাটন রিফ্রেশের কাজ করে।
মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে এই বাটন দিয়ে একবারে Find, Replace, Go to ডায়ালগ উইন্ডো খোলা যায়।
F6 : ব্রাউজারের ওয়েব অ্যাড্রেসে যেতে বা সিলেক্ট করতে এটি ব্যবহার হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই বাটন দিয়ে ভলিউমও কমানো যায়।
F7 : মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও আউটলুকের ক্ষেত্রে বানান ও ব্যাকরণ চেক করার জন্য ব্যবহার হয়। কিছু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এই বাটন দিয়ে ভলিউম বাড়ানো যায়।
F8 : উইন্ডোজকে সেফ মোডে খুলতে এই বাটন ব্যবহার করা হয়। কিছু কম্পিউটারে এটি দিয়ে উইন্ডোজ রিকভারি সিস্টেম শুরু করা যায়।
F9 : মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে এই বাটন রিফ্রেশের কাজ করে। কিছু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে  এটি দিয়ে ব্রাইটনেস কমানো যায়।
F10 : যেকোনো অ্যাক্টিভ উইন্ডোজের ক্ষেত্রে এটি দিয়ে মেন্যু বার খোলা হয়। কিছু ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এই বাটন দিয়ে ব্রাইটনেস বাড়ানো যায়।

রাগ নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করবে স্মার্টফোন!!

এবার থেকে আপনার মেজাজ পরিবর্তনের হদিশ দেবে স্মার্ট ফোন। শুনে অবাক হচ্ছেন তো? আপনার মস্তিষ্কে যদি কোনও অসুবিধা অনুভব করেন, তার জন্য ডাক্তারের কাছে না গিয়ে জিজ্ঞেস করুন আপনার স্মার্ট ফোনকে। কারণ আপনার মাথায় কি হয়েছে তার হদিশ দিতে পারবে আপনারই স্মার্ট ফোন।
সম্প্রতি ইতালির এক রিসার্চে জানা গিয়েছে, স্মার্ট ফোনের ইন বিল্ট সেন্সরের মাধ্যমে মেজাজ পরিবর্তনের কথা জানতে পারা যাবে। যদি আপনার বেশী মাত্রায় মেজাজের পরিবর্তন হয় তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার মস্তিষ্কে ‘বাইপোলার ডিসওর্ডার’ হয়েছে। ‘বাইপোলার ডিসওর্ডার হল এমন একটি রোগ যার জন্য আপনার মেজাজের পরিবর্তন ঘটবে খুব ঘন ঘন। আপনার মেজাজ কখন কি রকম থাকছে তার কথাও আপনাকে জানিয়ে দেবে স্মার্ট ফোন।

ইতালি কম্পিউটার বিজ্ঞানী ভেনেট ওসমানী, একটি রিসার্চের মাধ্যমে স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে মস্তিষ্কের চিকিৎসার কথা জানতে পেরেছেন। এই রিসার্চটি তিনি কয়েকজন মানুষের ওপর চালান। ২ সপ্তাহ অন্তর অন্তর তাদের মেজাজ কতটা পরিবর্তন হচ্ছে তা স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে তিনি পরিমাপ করে দেখেছিলেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ ব্যার্থ হওয়ার কিছু কারন, যে কারনগুলোর জন্য কাজ পাচ্ছেন না মার্কেটপ্লেস গুলোতে!

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নতুনরা হয়ত অনেক জবেই অ্যাপ্লিকেশন করছেন কিন্তু কোন রিপ্লাই পাচ্ছেননা । অনেকের প্রশ্ন কেন জব পাচ্ছেন না, এর অন্যতম কারণ কি হতে পারে, এর থেকে সফল হওয়ার উপায় ইত্যাদি। জানলে একটু অবাক হবেন, সমীক্ষায় গিয়ে দেখে গেছে, পুরাতনদের তুলনায় নতুনদের অনেক অনেক কাজ পাওয়ার হার বেশি। একজলকে দেখে নিই সম্ভাব্য কি কি কারণে আপনি মার্কেটপ্লেসে  কাজ পাচ্ছেন নাঃ

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে

১। কাজ না পাওয়ার অন্যতম হলো —জব অ্যাপ্লিকেশন করার সময় কি কাজ করতে হবে তা সঠিকভাবে জেনে না নেওয়া।
২। জব ডিটেইল এ কিছু কিওয়ার্ড উল্লেখ করা থাকে যা আমরা সঠিকভাবে উত্তর না দিয়ে জব আপ্লিকেশন করি। যে কারনে ক্লায়েন্ট আর আপ্লিকেশনের উত্তর প্রদান করেন না।
৩। দেখা গেছে অনেকেই একই কভার লেটার বারবার কপি করে ব্যবহার করেন, যা নির্দিষ্ট জবের জন্য হয়তো অপ্রাসঙ্গিক। এবং জবের জন্য ক্লায়েন্টের নজর কারতে পারেনা।

৪। মাঝে মাঝে কিছু বায়ার জব ডিটেইলে বলে দেন আগের করা কোন কাজের স্যাম্পল কিংবা পোর্টফোলিও এটাচ করে দেয়ার জন্যে। সেক্ষেত্রে কভার লেটারের সাথে ফাইল এটাচ করে দিতে হয়। তবে অরিজিনাল ফাইল দেয়া থেকে বিরত থাকুন। আর পোর্টফোলিওগুলো আগে থেকেই সাজিয়ে রাখুন। কারণ কাজ পাবার ক্ষেত্রে পোর্টফোলিও অনেক ভাল ভূমিকা রাখে।
৫। পোর্টপলিও ঃ আপনার যদি ভালো প্রোটফোলিও থাকে তাহলে কাজ পাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি । সবসময় আপনি যে প্রজেক্ট এর কাজ শেষ করবেন তারপর তা আপডেট করে নিন ।
৬। কাজের রেট কমিয়ে বিড করছেন?
আচ্ছা, ধরুন দোকানে গিয়েছেন মাম পানির বোতল কিনতে; দোকানদার দাম হাকলেন ১৫ টাকা। আরেক দোকানে গিয়ে দেখলেন সেটি ১০টাকা। আপনি আগে থেকেই জানেন মাম পানির বাজারদর ১৫টাকা। এখন কোয়ালিটির কথা চিন্তা করলে কোনটি কিনবেন?
৭। কাভার লেটার লেখার সময় অনেকে বানানের প্রতি খেয়াল রাখেন না। এটি কাজ না পাওয়ার অন্যতম আর একটি কারণ।

avenuesangma / ebangla.tech

ফ্রিল্যান্সিং / অনলাইনে আয় শিখতে চাইলে - Click Here