বিজ্ঞানী  ও সাধারন মানুষদের মধ্যে একটি বিশেষ পার্থক্য  হল তাদের ধৈর্য্য ও চিন্তা ,  বিজ্ঞানের বহু আবিষ্কারের পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানীদের  দীর্ঘ  সময়ের গবেষনা । কেও হয়ত কোন জিনিস নিয়ে  গবেষনায় ছিল মাসের পর মাস , কেও আবার ছিল বছরের পর বছর ,  এখন বলব পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ একটি পরীক্ষার কথা , যা ১৯৩০ সালে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে ।

হয়ত  শুনতে  আজব লাগতে পারে ,  তবে আরো আজব করার মত জিনিস হল পরীক্ষাটি , আলকাতরার সান্দ্রতা (Viscosity) পরীক্ষা , পুস্তকীয় ভাষায় সান্দ্রতা বলতে বুঝায় তরল পদার্থের অভ্যন্তরীণ ঘর্ষণের ফলে প্রবাহে (বয়ে যেতে) বাধা দেবার প্রবণতাকে ।  

একটি কাচের ফানেলে আলকাতরা  দিয়ে কতক্ষনে তার ফোটা পড়ে এটি পরীক্ষা করাই ছিল মূল উদ্দ্যেশ্য।  ১৯৩০ সালে প্রফেসর থমাস পারনেলের হাত ধরে এই  পরীক্ষার সূচনা ঘটে , সর্বশেষ উত্তরসুরী হিসেবে এই পরীক্ষা পর্যবেক্ষন করেন প্রফেসর জন মেইনস্টোন ।  ১৯৩০ সালে শুরু  হয়ে প্রতি ৮ বছরে ১ টি ফোটা পরত  কিন্তু একটু দেরীতে  ১৯৮৮ সালে এর সপ্তম ফোটা টি  পড়ে , দেরী হওয়ার কারন হিসেবে ল্যাবের এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেমকে দায়ী করা হয়েছিল , ৮ম ফোটাটি পড়তে সময় একটু বেশী নিয়েছিল তা ছিল ২০০০ সাল। ৯ম ফোটাটি ২০১৪ সালের ১৭ ই এপ্রিল পড়ে ,   বেচে থাকতে এই পরীক্ষার শেষ দেখে যেতে পারেনি কেওই ,   পরীক্ষার শেষ গবেষক  জন মেইনস্টোন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান  আলকাতরার নবম ফোটা পড়ার  কিছু দিনের ভেতর।  এই পরীক্ষাটি  গিনেজ বুকে  the longest-running laboratory experiment  নামে  রেকর্ড করেছে।  ২০০৫ সালে এই পরীক্ষাটি IG Noble Prize পেয়েছিল  , IG noble  তারাই পায় যাদের কাজ নিয়ে মানুষ হাসবে কিন্তু এতে চিন্তা করার মত বিশেষ কিছু থাকবে ।

শর্টকাট পদ্ধতিতে বন্ধ করুন আপনার কম্পিউটার !!! 

কম্পিউটার Shutdown করার পদ্ধতি কমবেশি সবার ই জানা আছে। তবে শর্টকাট এবং দ্রুত সময়ে কীভাবে আমরা কম্পিউটার বন্ধ করতে পারি তা আজ দেখব । যেকোন উইন্ডোজেই করতে পারবেন এই  পদ্ধতি। 

পদ্ধতি এক:
কম্পিউটার বন্ধ করার জন্য প্রস্তুত। ওপেন করা উইন্ডোজগুলো বন্ধ করুন খুব দ্রুত। এজন্য কীবোর্ড থেকে চাপুন Alt + F4 (একসাথে)। এবার সব সচল উইন্ডোজ পেজ গুলো বন্ধ হয়ে গেলে আবার কীবোর্ড থেকে Alt + F4 চাপুন তখন আপনার ডেক্সটপে নিচের মত একটি পর্দা আসবে। সেখান থেকে ডানপাশের ডাউন arrow বাটন এ ক্লিক করে shutdown বাটনটি সিলেক্ট করুন।




এখন শুধু Ok বাটন এ ক্লিক করলে অথবা শুধু কীবোর্ড থেকে Enter কী প্রেস করলেই আপনার কম্পিউটার বন্ধ হবে।
পদ্ধতি দুই :  
 কীবোর্ডের উইন্ডোজ কী চেপে ধরে প্রেস করুন R। আপনার কম্পিউটারের Run কমান্ড চালু হবে। সেখানে গিয়ে টাইপিং বক্সে টাইপ করুন cmd তারপর Enter কী প্রেস করলেই Command prompt ডিসপ্লে চালু হবে।

সেখানে গিয়ে টাইপ করুন shutdown স্পেস -s (স্পেস) -t (স্পেস) 00 (জিরো জিরো) অথবা নিচের লেখাটি সরাসরি Ctrl + C চেপে কপি করে পেস্ট করুন –
shutdown -s -t 00
আরও দ্রুত কম্পিউটার বন্ধ করতে চান?
উইন্ডোজ কী চেপে ধরে প্রেস করুন R। সঙ্গে সঙ্গে Run কমান্ড চালু হয়ে যাবে, টাইপ করুন আগের মত করে shutdown (স্পেস) -s (স্পেস) -t (স্পেস) 00 (জিরো জিরো) অথবা নিচের কোডটি কপি করে পেস্ট করুন সরাসরি –
shutdown -s -t 00
আমরা অনেকেই কম্পিউটার ব্যবহার করি কিন্তু কম্পিউটারের নোটপ্যাড বলতে গেলে কমই ব্যবহার করি। আজ আপনাদেরকে একটি দারুণ ট্রিক দেখাব যা আপনি করতে পারবেন নোটপ্যাড দিয়ে এক মিনিটেই।



১। প্রথমে নোটপ্যাড ওপেন করুন এবং নিচের কোডটি কপি করে আপনার কম্পিউটারের নোটপ্যাড এ গিয়ে পেস্ট করুন।

@echo off
color 02
:start
echo %random% %random% %random% %random% %random% %random% %random% %random% %random% %random%
goto start

অথবা 

@echo off
color 0A
:A
echo b r E w e 4 e T r 8 M e F r a c h a S t 3 D a C r a s p e s T e 4 h 2 w r e G 2
ping -w .9 >nul
echo R E 9 8 8 R a t r e g 6 n u m A b R E X e Y A T u C 7 a D R a c r u C e B E p e
ping -w .9 >nul
echo c E B E s A d R u B R 3 H e R u D 7 g u d U 7 T a b u T 5 e p E 2 a v e 6 8 a Z
ping -w .9 >nul
echo n u r A X a j a s t a 9 h a 6 e h e G a s u t r a t r A y a f E q u 8 u b R u d
ping -w .9 >nul
echo k u v e 4 E 6 3 e t r a d r e f e y e q e 6 U H e z U b r u R a s 2 4 3 r A N a
ping -w .9 >nul
echo v u P R a b R u c e d U s w a h a c r a t h U 7 r a h u t u h u V e 7 U k u S a
ping -w .9 >nul
echo T e D r e 8 A p r a d a b u f U c u c E h E t 7 c r 5 s P a f r e t h u t 9 u t
ping -w .9 >nul
echo b R u G e p a R e s a P H e P a 2 U d 4 P r e F A b a t h a t h U s w a d R U d
ping -w .9 >nul
echo v U Y a C R e T R 9 k u b e D r a T 6 u j e 5 2 4 e B a f 2 u b 5 w A p a y U Y
ping -w .9 >nul
echo b r E w e 4 e n r 8 M e F r a c h a S t 3 D a C r a s p e s T e 4 a 2 w r e G 2
ping -w .9 >nul
echo k u v e 4 E 6 3 e t r a d r e f e y e q e 6 U H e z U b r u R a s 2 4 3 r A N a
ping -w .9 >nul
echo v u P R a b s u c e d U s w a 3 a c r a t h U 7 r a k u t u h u V e 7 U k u S a
ping -w .9 >nul
echo n u r A X a j a s t a 9 h a 6 e h e G a s u t r a t r A y a f E q u 8 u b u u d
ping -w .9 >nul
goto A

২। তারপর নোটপ্যাড এর ফাইল অপশনে গিয়ে “Save as” এ ক্লিক করে matrix.bat নামে সেভ করুন 
(এখানে matrix এর জায়গায় আপনি নিজের ইচ্ছামত নাম দিতে পারবেন কিন্তু .bat অবশ্যই দিতে হবে)।

৩। এবার  যে জায়গায় ফাইলটি সেভ করছেন সেটি ওপেন করুন, আর দেখুন আপনার পর্দায় কি চমৎকার “matrix effect”।
  যাকে বলা  হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সফল অ্যানিমেটর । প্রথম কম্পিউটার এনিমেটেড
 ফিল্ম “টয় স্টোরি” শুরু হয় যার হাত ধরে। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন  আমি পিক্সার কোম্পানির নাম বলছি । 

আজকে আমরা তার সম্পর্কে কিছু তথ্য জানবো 

পৃথিবীর সর্বকালের সেরা উদ্যোক্তাদের তালিকায় স্টিভ জবসের নামটি একদম প্রথম দিকে থাকবে। তথ্য-প্রযুক্তি বিপ্লবের একজন স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে তাঁর অবদান বিশ্ববাসী শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে সবসময়।


১। স্টিভ জবসের মূল বাবা ও মা ছিল যথাক্রমে সিরিয় ও মার্কিন। জন্মের পরপরই তাকে দত্তক দিয়ে দেওয়া হয়।
২। জবসের পালিত বাবা ও মায়ের নাম পল জবস ও ক্লারা জবস।
৩। অ্যাপলের সহনির্মাতা ওজনিয়াকের সাথে জবসের দেখা হয় হাইস্কুলে। ওজনিয়াকের বয়স তখন ১৮ ও জবসের ১৩।
৪। স্টিভ জবস মাছ খেলেও মাংস খেতেন না।
৫। হাই স্কুলে জবসের জিপিও ছিল মাত্র ২.৬৫।
৬। মাত্র এক সেমিস্টারের পরই তিনি কলেজের পড়াশুনা বাদ দিয়ে দেন।
৭। কলেজ ছাড়ার পর আর্থিক সঙ্কটে পড়লে তিনি সাত মাইল হেঁটে একটি মন্দিরে গিয়ে খাবার খেয়ে আসতেন।
৮। ১৯৮৬ সালে তার নিজের তৈরি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল থেকে তাকে বের হয়ে যেতে হয় কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে তিনি আবারও অ্যাপলে যোগদান করে প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচান।
৯। জবস প্রোগ্রামিং কোড জানতেন না।
১০। ২০০৩ সালে তার প্যানক্রিয়াসে ক্যানসার ধরা পড়ে। অনেকের ধরণা, সাথে সাথে অপারেশন করা হলে তিনি ২০১১ সালে মারা যেতেন না।
 স্টিভ জবসের সেই বিখ্যাত ভাষণ পার্ট- ১ পড়তে ভিসিট করুন এখানে 

আমরা বলতে গেলে সবসময় কম্পিউটার চালু করি পাওয়ার বাটন চাপ দিয়ে। এটা একটা ট্রাডিশেনাল পদ্ধতি হয়ে গেছে।কিন্তু ধরুণ হঠাৎ করে আপনার ল্যাপটপের পাওয়ার বাটন যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে আপনি কি করবেন?


চলুন দেখে নিই কীভাবে কী-বোর্ড থেকে কম্পিউটার চালু করা যাই 


১। প্রথমে কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় কিবোর্ড থেকে Del বাটনটি চেপে ধরে Bios অপশন এ প্রবেশ করতে হবে।
২। এরপরে Power Management Setup নির্বাচন করুন এবং এন্টার চাপুন।
৩। এখন সেখানে Power on my keyboard নির্বাচন করে এন্টার দিন।
৪। তারপর আবার -Password নির্বাচন করে এন্টার দিন।
৫ ) Enter Password এ কোন একটি কি(key) পাসওয়ার্ড হিসেবে দিয়ে সেভ করে (F10) করে বেরিয়ে আসুন।

ব্যস, হয়ে গেল কাজ।
এরপর কিবোর্ড থেকে উক্ত কি অর্থ্যাৎ পাসওয়ার্ড কি(key) টি চাপ দিলেই আপনার ল্যাপটপ আগের মত চালু করতে পারবেন।গিগাবাইট এবং অন্যান্য মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে একই শর্ত প্রযোজ্য।

এরকম আরও তথ্য পেতে ভিসিট করুন এখানে 
অলিম্পিক গেমস হল একটি আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যেখানে গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন  দেশের প্রতিযোগীরা বিভিন্ন ধরনের খেলায় অংশগ্রহণ করে।দুইশতাধিক দেশের অংশগ্রহণে মুখরিত এই অলিম্পিক গেমস বিশ্বের সর্ববৃহৎ গেমস।অলিম্পিক গেমস প্রত্যেক চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। 




কবে থেকে শুরু হয় 

খৃষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দিতে প্রাচীন গ্রীসের অলিম্পিয়া থেকে শুরু হওয়া প্রাচীন অলিম্পিক গেমস থেকেই মূলত আধুনিক অলিম্পিক গেমসের ধারণা জন্মে।
 ১৮৯৪ সালে ব্যারন পিয়ের দ্য কুবেরত্যাঁ সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) গঠন করেন। 

অলিম্পিক আন্দোলন থেকেই বিংশ এবং একবিংশ শতাব্দীতে অলিম্পিক গেমসে অনেক ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনগুলোর অন্যতম হল শীতকালীন অলিম্পিকের প্রচলন, প্রতিবন্ধীদের জন্য প্যারালিম্পিক এবং কিশোর ক্রীড়াবিদদের জন্য যুব অলিম্পিক গেমস।




ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাড়াও অলিম্পিক গেমসে ্আরও অন্যান্য আচার ও রীতি–রেওয়াজের প্রচলন রয়েছে যেমন অলিম্পিক মশাল, পতাকা, উদ্বোধনী এবং সমাপনি অনুষ্ঠান ইত্যাদি। গ্রীষ্ম এবং শীতকালীন অলিম্পিকে ৩৩ টি ক্রীড়ার ৪০০ টি বিভাগে প্রায় ১৩,০০০ ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করে থাকেন। প্রত্যেক বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী ক্রীড়াবিদদের যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জের পদক দেওয়া হয়।


গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১। এখন পর্যন্ত (২০১৬) আফ্রিকা মহাদেশে  কোন অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়নি।
২। এখন (২০১৬) পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন অলিম্পিক মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
৩। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি প্রথমে প্যারিসে গঠিত হলেও এর সদর দপ্তর অন্য জায়গায় অবস্থিত। জায়গাটির নাম – 
লুজান, সুইজারল্যান্ড।
৪। ১৯৯২  সাল পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন অলিম্পিক একই বছরে অনুষ্ঠিত হতো।
৫। প্রথম অলিম্পিকে মাত্র ৯টি খেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো।
৬। প্রাচীন অলিম্পিক গেমসের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে গ্রিক মিথলজির একজন চরিত্রের নাম পাওয়া যায়। এই  বিখ্যাত চরিত্রের নাম হেরাক্লিস।
৭। এশিয়ার জাপানে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালে।
৮।  ১৯২৪ সালে বসেছিলো শীতকালীন অলিম্পিকের প্রথম আসর এবং সেটি হয়েছিল ফ্রান্সেই। 
৯। অলিম্পিক প্রতীকে মোট ৬টি রং ব্যবহার করা হয়েছে (অলিম্পিক প্রতিষ্ঠাতার মতে)।
১০। প্রথম শীতকালীন অলিম্পিকে  মাত্র ৫টি খেলা অন্তর্ভুক্ত ছিলো।


আধুনিক অলিম্পিক

আধুনিক যুগে অলিম্পিক গেমস বলতে ১৭শ শতাব্দীর দিকে শুরু হওয়া আধুনিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাকেই বুঝানো হয়েথাকে। 
এই ধরনের প্রথম অনুষ্ঠান ছিল ইংল্যান্ডে শুরু হওয়া কোটসউল্ড গেমস বা কোটসউল্ড অলিম্পিক গেমস। ১৬১২থেকে ১৬৪২ সালের মধ্যে এই কোটসউল্ড গেমসের প্রধান আয়োজক ছিলেন রবার্ট ডোভার, যিনি ছিলেন একজন ব্রিটিশ আইনজীবী।


ফ্রান্সে ১৭৯৬ থেকে ১৭৯৮ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত এল অলিম্পিয়েড ডি লা রিপাবলিক গেমসও প্রাচীন অলিম্পিক গেমসের ঐতিহ্য বহন করে। প্রাচীন গ্রিক অলিম্পিক গেমসে অনুষ্ঠিত কিছু ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এই অলিম্পিকেও অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৭৯৬ সালে অনুষ্ঠিত এই এল অলিম্পিয়েড ডি লা
 রিপাবলিক গেমসে সর্বপ্রথম ম্যাট্রিক পদ্ধতির পরিমাপ অনুসরণ করা হয়েহিল।

১৮৫০ সালের দিকে ইংল্যান্ডের শ্রপশায়ারের মাক ওয়েনলকে আধুনিক যুগের মত
 করে অলিম্পিক গেমসের প্রচলন শুরু করেন ড. উইলিয়াম পেনি ব্রুকস।




১৮৬২ থেকে ১৮৬৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের লিভারপুলে জন হুলি এবং চার্লস মিলির তত্বাবধানে বার্ষিক অলিম্পিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই ক্রীড়ার আসরটি আন্তর্জাতিক হলেও পেশাদারিত্বের মান ছিল অনেক নিচে। এই আসরে শুধুমাত্র ভদ্র সমাজের শৌখিন এবং অপেশাদার খেলোয়াড়রাই অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন। তবে ১৮৯৬ সালের গ্রীসে অনুষ্ঠিত আধুনিক অলিম্পিক ছিল লিভারপুলে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের প্রায় হুবহু অনুরূপ ছিল।১৬৬৫ সালে জন হুলি এবং ড. ব্রুকস ন্যাশনাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন গঠন করেন যা পরবর্তীতে ব্রিটিশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন গঠনের পথ প্রদর্শকের কাজ করে। 
শুধু তাই নয় এই সংস্থার সংবিধানের বিভিন্ন পরিচ্ছেদের ভিত্তিতেই অলিম্পিক সনদ লেখা হয়।



ক্লাউড কম্পিউটিং

ক্লাউড কম্পিউটিং বলতে আমরা মেঘের মত কিছু বুঝি । আসলে তা না ।  ক্লাউড কম্পিউটিং হল কম্পিউটারের রিসোর্স গুলো যেমন হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর সার্ভিস গুলো নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রদান করা।

মনে করুন আপনার একটি প্রতিষ্ঠান আছে এবং তাতে ৫০০ জন কর্মী কাজ করে। তাহলে আপনাকে এই ৫০০ জন কর্মীর ডাটা (নাম, ছবি, ঠিকানা, বয়স ইত্যাদি) এবং তাদের বেতনের হিসেব রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি কাস্টমাইজ সফটওয়্যার কিনতে হবে এবং ডাটা সংরক্ষণের জন্য হার্ডডিস্ক এবং জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে এত কিছু করার কোন দরকার নেই। কোন সফটওয়্যার এবং অতিরিক্ত হার্ডওয়্যার না কিনেই আপনি অনলাইনে কাজ গুলো করতে পারবেন এবং আপনার মূল্যবান ডাটা অনলাইনেই সংরক্ষণ করতে পারবেন। মূলত এটাকেই বলা হয় ক্লাউড কম্পিউটিং।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর কিছু  বৈশিষ্ট্য ঃ 

১) খুব দ্রুত এবং সহজে যেকোনো রিসোর্স নেয়া যায় । ইচ্ছা করলেই যখন খুশী তখন শুধু মাত্র কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে রিসোর্স কম বেশি করা যায়। 

২) আপনি শুধু আপনার আপ্লিকেশন তৈরি এবং ব্যবসায় মনোযোগ দিবেন। আর যা ব্যবহার করবেন তার খরচ দিবেন। 

৩) যতক্ষণ আপনি ইন্টারনেট এবং প্রোভাইডারের সাথে কানেক্ট থাকবেন, ব্যবহারকারী হিসেবে  যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো ডিভাইস দিয়ে আপনি আপনার ক্লাউড রিসোর্সে প্রবেশ করতে পারবেন।

৪)ইনফ্রাস্ট্রাকচার সেটআপ দেয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে কোন চিন্তা করা লাগেনা। ক্লাউড  সার্ভিস প্রোভাইডাররাই সবকিছু দেখভাল করে। 

৫)একাধিক ব্যবহারকারী একই প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারে কোন ঝামেলা ছাড়া।

৬) নির্ভরযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য ক্লাউড  সার্ভিস প্রোভাইডাররা  পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় অনেক গুলো ডাটাসেন্টার স্থাপন করে রেখেছে। এতে আপনার ডাটা নিরাপদে থাকে । 


ক্লাউড কম্পিউটিং সাধারনত চার ধরনের হয়ে থাকে।
  1. Public Cloud
  2. Hybrid Cloud
  3. Private Cloud
  4. Community Cloud
সুবিধাঃ

কম খরচঃ যেহেতু কোন আলাদা সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার কেনার প্রয়োজন হয় না। তাই স্বাভাবিক ভাবেই খরচ কম।

ব্যবহার বান্ধবঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এর কাজ গুলো যেকোনো স্থানে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যায় তাই এটা সহজে ব্যবহার যোগ্য।

সফটওয়্যার আপডেটঃ সফটওয়্যার আপডেট এর কোন  প্রয়োজন নেই। এগুলো অটোমেটিক আপডেট হয়ে থাকে। তাই আলাদা কোন মেইনটেন্স খরচ লাগেনা।

ডকুমেন্ট কন্ট্রোলঃ ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট সমূহ কন্ট্রোল করতে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেবার জন্য আলাদা লোকের প্রয়োজন হয়না। অতিরিক্ত লোক ছাড়াই সকল ডকুমেন্ট কন্ট্রোল করা যায়।



সিকিউরডঃ  ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ডাটা হারিয়ে যাতে পারে। হার্ডডিস্ক নষ্ট হওয়া সহ নানাবিধ স্যমস্যা থাকে।  এসব হতে ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পূর্ণ মুক্ত। ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পূর্ণ সিকিউর এবং আপনার ডাটা হারানোর বা নষ্ট হবার কোন চান্স থাকে না।

কিছু ক্লাউড কম্পিউটিং অ্যাপ্লিকেশনঃGoogle Apps, Evernote, Quickbooks, Toggl, OneDrive