পৃথিবীর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে রহস্য । প্রতিটি অংশেই রয়েছে বিজ্ঞানের ছোয়া , বিজ্ঞানের একটি চমৎকার বিষয় হল গনিত । আর যদি বলি পৃথিবী এমনকি মহাবিশ্বের প্রায় প্রতিটি অংশেই গনিত ছড়িয়ে আছে তাহলে কি অবাক হবেন? এখন বলব গনিতের একটি রহস্যময় অংশ নিয়ে যা হচ্ছে সোনালী অনুপাত বা স্বর্গীয় অনুপাত , ইংরেজীতে যা হল Golden Ratio ।  প্রায় আড়াইহাজার বছর আগে পিথাগোরাস , ইউক্লিড , ফিবোনাচ্চি , কেপলার ,পিসা ,রাজা পেনরোজ সহ অসংখ্য বিজ্ঞানী এই সোনালী অনুপাত নিয়ে কাজ করেছেন।  এরা সবাই এই অনুপাত কে খুজে পেয়েছেন সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টির  অসংখ্য অংশে।  প্রকৃতি , মহাকাশ সকল অংশেই যেন এই সংখ্যা বিরাজমান ।

এই সংখ্যাটি শুধু মাত্র যে গনিতবিদরা ব্যাবহার করেছে তাই নয় , এই অনুপাতের ব্যাবহার করেছে  বিক্ষ্যাত চিত্রশিল্পী , স্থপতি , ভাষ্কর সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ । এতক্ষন ধরে সোনালী অনুপাত নিয়ে কথা বললেও  অনুপাতটি বলা হয়নি।   ১.৬১৮০৩৩৮৮......  হল সোনালী অনুপাত। আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাতের মান যদি ১.৬১৮ এই রকম হয় তবে  এর মধ্যে সোনালী অনুপাত আছে  বলা হয় । যেহেতু এটি  ২ টি বাহুর অনুপাত তাই এটি এর মান ঋনাত্বক বা শূন্য হয় না কখনোই । ল্যাটিন  Φ (PHI/ ফাই )   দ্বারা একে প্রকাশ করা হয়।  
গণিতবিদ ইউক্লিড তার ‘এলিমেন্টাস’ গ্রন্থে প্রথম PHI এর জ্যামেতিক ব্যখ্যা দেন । তিনি কোন একটি সরলরেখার উপর এমন একটি বিন্দু কল্পনা করেন ( যাকে বলা হয় গোল্ডেন পয়েন্ট ) যাতে রেখাটি এরকম অনুপাতে বিভক্ত হয় যে, ছোট অংশ/বড় অংশ = বড় অংশ/সম্পূর্ণ অংশ । এবং সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে সবসময় উপরের এই অনুপাতের মান হবে 1.6180… : 1 (PHI:1) 

গোল্ডেন রেশিও ২ ভাবে প্রকাশ হয় Golden Rectangle এবং  Golden Spiral।
গানিতিক হিসাব না হয় অন্য একসময় বুঝাবো  আজকে শুধু ঘটনাতেই থাক।  PHI এর সাথে কিন্তু ফিবনোচ্চি সিরিজেরও গভীর সম্পর্ক রয়েছে , গনিত বই এ ধারার অংক করার সময় হয়ত ফিবোনাচ্চি সিরিজের সাথে পরিচয় হয়েছে ।  1,1,2,3,5,8,13,21,34,55,89,144…………এটি একটী অসীম ধারা এবং এর বিশেষত্ব হল এর প্রতিটা পদ আগের দুই পদের যোগফল।   ধারার প্রথম ২-৩ টা সংখ্যা গোনায় না ধরে 

এই ধারার যেকোন সংখ্যা দিয়ে  পরের সংখ্যা ভাগ দিলে ১.৬১ পাওয়া যায় যা হল সোনালী অনুপাত, প্রথমেই সোনালী অনুপাতের  আরেকটী নাম বলেছিলাম তা হচ্ছে  স্বর্গীয় অনুপাত,  ‘The Divine Proportion’ বা ‘ স্বর্গীয় অনুপাত’ নাম করনটি করেছিল বিক্ষ্যাত চিত্র শিল্পী ও বিজ্ঞানী  লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি , তাকে বলাহত গোল্ডেন রেশিও মাস্টার । তার কারন তিনিই প্রথম মানবদেহে PHI এর উপস্থিতি লক্ষ করেন ; বুঝতে পারেন এর মর্ম ( তিনি মৃত মানুষের দেহের বাইরের ও ভিতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে অনেক গবেষণা করতেন  । আমরা ডাক্তারের চেম্বারে যেসব মানুষের অঙ্গের ছবি দেখি সেগুলো প্রথম ভিঞ্চিই ডিজাইন করেছিলেন )।

মানব দেহে সোনালী অনুপাতের উপস্থিতিঃ 


মানব দেহের অসংখ্য যায়গায় পাওয়া যায় এই অনুপাত , নাভির নিচ থেকে বাকি অংশের দৈর্ঘ্য = 1.6180…(PHI) ; আবার কাঁধ থেকে হাটু পর্যন্ত এবং হাটু থেকে পায়ের আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত দূরত্বের অনুপাত ও 1.6180…(PHI) ; মানুষের বাহু(বাইসেপ্স) এর সাথে সম্পূর্ণ হাত এর অনুপাতের মান হল 1.6180…(PHI); মানুষের আঙ্গুলের অগ্রভাগ থেকে কনুই এর দৈর্ঘ্য এবং কবজি থেকে কনুই এর দৈর্ঘ্যের অনুপাত 1.6180…(PHI) ; মানুষের মুখমণ্ডলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত 1.6180…(PHI) ; ঠোঁটের দৈর্ঘ্য ও নাকের প্রস্থের অনুপাত , চোখের ২ প্রান্তের দুরুত্ব ও চুল থেকে চোখের মনির দুরুত্ব ও 1.6180…(PHI) ।সারা মুখমন্ডলের সবকিছুতে , শরীরের গিঁটে গিঁটে , মেরুদন্ডে , অভ্যন্তরের অঙ্গেপ্রত্যঙ্গে সবখানে এই PHI খুঁজে পাওয়া যাবে । গোটা মানবদেহে প্রায় ৩ শতাধিক Golden Ratio (PHI) খুঁজে পাওয়া যায় ; মুখমণ্ডলেই পাওয়া যায় ৩০ টিরও বেশি ।  মনোবিজ্ঞানীরা নাকি মানবমনের সাথেও এর সম্পর্ক নির্ণয় করেছে।
মানব মুখমন্ডলে সোনালী অনুপাত
প্রকৃতিতে সোনালী অনুপাতঃ

গোটা প্রানীকুলে-উদ্ভিদকুলে সব কিছুতেই মাত্রাগত ভাবে PHI বিদ্যমান ।সূর্যমুখী ফুলের পাপড়ি ১.৬১৮ অনুপাতে বৃদ্ধি পায়। মৌচাকে স্ত্রী মৌমাছি ও পুরুষ মৌমাছির সংখ্যার অনুপাত PHI । ফুলের ভেতর প্রতি স্তরের রেনুর সাথে পরের স্তরের রেনুর অনুপাত PHI । গাছের প্রতি স্তরে স্তরে পাতা বৃদ্ধির অনুপাত PHI । শামুক-ঝিনুক-সী-শেল এর স্পাইরালেও কোন-না-কোনভাবে PHI রয়েছে , মাছের ঝাক , বন্য প্রানীর শিকার , সব কিছুতেই বিদ্যমান এই অনুপাত। চৌম্বকক্ষেত্র কিংবা বিদ্যুৎক্ষেত্রে ,সরল ছন্দিত স্পন্দনে , তাপবিজ্ঞানে সবখানেই পাওয়া যায় PHI
ফুলের মাঝে সোনালী অনুপাত বিদ্যমান 
মানব স্থাপত্য ও শিল্পেঃ
বিক্ষ্যাত অনেক শিল্প , স্থাপত্যেও রয়েছে  সোনালী অনুপাত , মিসরের পিরামিডে , আগ্রার তাজমহলে , ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারে , নটরডেমে, পারথেননে , ইউনাইটেড নেশন বিল্ডিং সহ আরও অজস্র স্থাপত্যে PHI ব্যবহৃত হয়েছে। বিক্ষ্যাত ছবি  মোনালিসা, ম্যাডোনা অফ রকস ,দ্যা লাস্ট সাপার , ভিট্রভিয়ান ম্যান প্রভৃতি শিল্পেও পাওয়া গেছে সোনালী অনুপাত। কিছু বিখ্যাত কোম্পানির লোগোতে কি করে PHI ব্যবহৃত হয়েছে ।
বিক্ষ্যাত স্থাপত্যেও রয়েছে গোল্ডেন রেশিও

মহাবিশ্বে সোনালি অনুপাতঃ
হারিকেন ,ঘূর্ণিঝড় , ধোঁয়ার কুণ্ডলী সবসময়ই Golden Spiral অনুসরন করে বৃদ্ধি পায়। এমনকি  গ্যালাক্সি গুলোও Golden Spiral অনুসরন করে বিস্তৃত হয় । আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলোর সূর্যের চারপাশে আবর্তনকালও PHI অনুসরনে চলে। শনি গ্রহের বলয়ের ক্ষেত্রেও বাহিরের উজ্জ্বল বলয় ও ভেতরের অন্ধকার বলয় এর অনুপাত PHI ।
ঘুর্নিঝর ও ছায়াপথেও সোনালী অনুপাত
মোটামোটি ছোট করে অনেক কিছুই বলে ফেললাম , সোনালী অনুপাত নিয়ে অসংখ্য গবেষনা হয়েছে , জীবনে প্রতিটি অংশে এর উপস্থিতির জন্যই এর আরেক নাম হচ্ছে Number of Life .
এখানে Fibonacci  এর উচ্চারন ফিবোনাচ্চি করা হয়েছে , বেশ কিছু বই এ ফিবোনাক্কি পড়েছিলাম , তবে ফিবোনাচ্চি বেশী জায়গায় পেয়েছি। গোল্ডেন রেশিও নিয়ে অল্প কিছু লেখা রয়েছে ড্যান ব্রাউনের দ্যা ভিঞ্চি কোড  বইটিতে , ক্রিপ্টোগ্রাফি ও সিম্বলজি নিয়ে আগ্রহ থাকলে পড়ে ফেলতে পারেন মজাদার এই বইটি , আর হ্যা ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে যদি কিছু জানতে চান তাহলে ঘুড়ে আসুন এই লিংক থেকে ।
মোবাইলে ডাটা কিনে ফেসবুক চালাচ্ছেন ,Facebook এর একটি চমৎকার ফিচার ভিডিও স্ট্রিমিং। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কোন মাজাদার ঘটনার ভিডিও পাবলিশ করতে পারে তাদের বন্ধু ও অনুসরণকারীদের কাছে।  ঠিকমত টাইমলাইন ও চেক করতে পারলেন না পেইজ স্ক্রল করার সময় একেক পেজ বা প্রোফাইলের শেয়ার করা ভিডিও অটো প্লে হয়ে যায় , মেগাবাইট তখন মহাবেগে কাটতে থাকে । অনেকের কাছে এই ব্যাপারটা খুবই বিরক্তিকর 
তাহলে এবার অফ করে দেই ফেসবুকের অটো ভিডিও প্লে ফিচারটি ।  এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিচের পদ্ধতিটি অনুসরণ করুন। 
১)প্রথমে আপনার ফেসবুকের Account টি আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
২)সেটিংস অপশনে যান 
৩)বাম পাশের প্যানেলে Videos ট্যাবে ক্লিক করুন। Video Settings ডানদিকে দেখা যাবে। ওখানে দুটি Video Default Quality ও Auto-Play Videos এখন Auto-Play Videos এর ডান দিকে ড্রপডাউন বাটন থেকে Off সিলেক্ট করুন

তাহলেই বন্ধ হয়ে যাবে অটো প্লে অপশন , তারপর থেকে আপনি আপনার পছন্দের ভিডিও প্লে দিলেই দেখবেন , অজথা আর কোন ভিডিও চালু হবে না
ফায়ারফক্সের একটি গোপন ফিচার , যা হয়ত আপনি জানতেন না 

মাঝে মাঝের বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লেখা গুলোর জন্য আমাদের স্ক্রীনশট এর প্রয়োজন পড়ে , অনেকে এর জন্য এপস ব্যাবহার করলেও উইন্ডোজ ব্যাবহার কারীদের জন্য রয়েছে স্নিপিং টুল ।  কিন্তু যখন একটী ওয়েবসাইটের পূর্নাংগ পেইজ এর স্ক্রীনশট তোলার প্রয়োজন পরে তখনই ঘটে বিপত্তি । 
ফায়ারফক্স ব্রাউজারে এর জন্য রয়েছে একটি সহজ ফিচার যা হয়ত অনেকেরই জানা নেই ,  প্রথমে ফায়ারফক্স ব্রাউজার ওপেন করে আপনার পছন্দের ওয়েব পেইজে প্রবেশ করুন । 
তারপর  কী বোর্ডের  shift+f2 চাপুন  দেখুন ব্রাউজারের নীচের দিকে একটি  বক্স এসেছে এটি হল ফায়ারফক্সের কমান্ড বক্স 
পেইজ এর একদম নীচের দিকে আসবে কমান্ডবার টি 

এখানে টাইপ করুন   Screenshot --fullpage   এবং এন্টার চাপুন । খেয়াল রাখবেন স্ক্রীনশট লেখার পরে একটি স্পেস রয়েছে তারপর বাকি অংশ । আপনার প্রয়োজনীয় ওয়েব পেইজটির ফুল পেইজ এর ইমেজ  কম্পিউটারে সেভ হয়ে গেছে । 
দেড়ী না করে তাহলে  ebangla.tech  এর একেকটি পোস্ট এর ফুল স্ক্রীনশট দিয়ে রাখুন , এবং মোবাইলে নিয়ে  যেকোন সময় পড়ে ফেলুন ।
ফাইল আদান প্রদানের জন্য পেনড্রাইভ একটি গুরুত্ব পূর্ন ডিভাইস । মাঝে মাঝে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার জন্য ড্রাউভ বা ডিভাইসে পাসওয়ার্ড প্রটেকশন ব্যাবহার করতে হয়। অনেকেই এর জন্য বিভিন্ন এপস ব্যাবহার করেন, কিন্তু মজার কথা হচ্ছে। উইন্ডোজ এর ই কিন্তু ড্রাইভ পাসওয়ার্ডের নিজস্ব প্রটেকশন সিস্টেম আছে যা অনেকের চোখে পড়লেও ব্যাবহার করা হয়নি হয়ত । সেই ফিচারটি হল  BitLocker ।
অনেকেরই পরিচিত লাগছে নামটি , হ্যা। ঠিক ধরেছেন , কন্ট্রোল প্যানেলেই তালার একটি ছবি দিয়ে এই অপশনটি আছে ।
প্রথমেই আপনার পেনড্রাইভটি কম্পিউটারে  প্রবেশ করান  অথবা যে ড্রাইভ লক করবেন তাতে  মাউজ দিয়ে রাইট ক্লিক করুন , Turn on BitLocker নামের একটি অপশন আসবে সেটি সিলেক্ট করুন, পাসওয়ার্ড দিন , নেক্সট দিয়ে ফিনিশ দিন । ব্যাস তারপরই আপনার ড্রাইভ বা কম্পিউটার ড্রাইভে ঢুকতে গেলেই পাসওয়ার্ড চাইবে , 
এই অপশনটি অফ করতে চাইলে কন্ট্রোল প্যানেলের BitLocker অপশনে যান । 

মাক্রোসফট এর অন্যতম জনপ্রিয়  প্রোগ্রাম হল মাইক্রোসফট অফিস । বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই এই অফিস প্রোগ্রাম ব্যাবহার করা হয় ।  মাইক্রোসফট অফিস প্রোগ্রাম অনেক সমৃদ্ধ , এর অনেক সুবিধাই আমাদের অজানা , অফিসের কাজকর্ম ছাড়া অন্য ছোটখাট কাজে আমরা অফিস প্রোগ্রাম ব্যাবহার করি  আজ এখানে আমরা দেখব মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড এর কিছু  সুবিধা সমুহ যা হয়ত আমরা অনেকেই জানি না ।

পাসওয়ার্ড দিয়ে ফাইল সংরক্ষনঃ
সাধারনত ওয়ার্ড ফাইলগুলো তে ক্লিক করেই আমরা ভিতরে প্রবেশ করে ফেলি ।  ওয়ার্ড ফাইলগুলোর নিরাপত্তার জন্য চাইলেই এতে পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করা যায় , ফলে কেও  ফাইলে ক্লিক করলে প্রথমেই পাসওয়ার্ড চাবে এবং সঠিক পাসওয়ার্ড দিলেই ডক ফাইলের লেখাগুলো পড়তে পারবে । এর জন্য প্রথমেই আপনার ওয়ার্ড ফাইলটি File অপশনে ক্লিক করুন । সেখানে প্রথমেই পাবেন Protect Document ( ছবিতে দেয়া আছে ) 
সেই অপশনে ক্লিক করলে ড্রপডাউন মেনু আসবে সেখান থেকে Encrypt with password অপশনে ক্লিক করলেই আপনাকে পাসওয়ার্ড দিতে বলবে সেখানে পাসওয়ার্ড দিয়ে ওকে দিলেই পরবর্তীতে সেই ফাইলটি ওপেন করতে গেলেই পাসওয়ার্ড চাইবে ।
( মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের পুরাতন ভার্শনে Tools--> option--> security তে গেলেই পাসওয়ার্ড দিতে পারবেন )

বর্নের স্পেস নির্ধারনঃ

ওয়ার্ড ফাইলের ফন্ট অপশনে যান ( ছবিতে  লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা আছে ) । সেখানে ক্লিক করলেই একটি পপ আপ বক্স আসবে । সেখানে এডভান্স ট্যাব এ ক্লিক করে সেখান থেকে আপনি পছন্দমত লেটার এর জন্য স্পেস নির্ধারন করতে পারবেন


পিডিএফ ফাইল তৈরীঃ
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলকে  পিডিএফ ফাইল ও তৈরী করা যায়। এর জন্য এডোবি এক্রোব্যাট  সফটওয়্যারটি ইন্সটল করা থাকতে হবে ।  আপনার ফাইল  এর সমস্ত লেখা সহ তৈরী করুন ,  এবার ফাইল মেনু থেকে প্রিন্ট কমান্ডে ক্লিক করুন । printer name এ acrobat Distiler সিলেক্ট করুন। ওকে বাটনে ক্লিক করে বেড়িয়ে আসুন ।



জানেন কি ?লিনাক্স বা অ্যান্ড্রয়েড  অপারেটিং সিস্টেম হলো ওপেন সোর্স সফটওয়্যার।  কারন ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গুলো যখন উন্মুক্ত করা হয়, তখন এরসাথে সোর্স কোড গুলোকেও উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। অনেক সময় ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার ডেভেলপাররা সোর্স কোড দিয়ে সফটওয়্যারটির এক্সিকিউট করে ফাইল তৈরি করে তারপর উন্মুক্ত করে, আবার অনেক সময় শুধু সোর্স কোড উন্মুক্ত করে। 

ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কি?
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বলতে, যেখানে সফটওয়্যারটির সোর্স কোড সকলের জন্য ওপেন থাকে (পাবলিক) এবং অন্যান্য সফটওয়্যার গুলোর সোর্স কোড ক্লোজ থাকে (প্রাইভেট)। তো ওপেন-সোর্স সফটওয়্যার বলতেই ফ্রী কিছু নয়। হ্যাঁ, হয়তো আপনি অনেক সফটওয়্যারকে ফ্রী দেখতে পান, তবে এটির সংখ্যা অতি সামান্য। শুধু ওপেন-সোর্স নয়, প্রাইভেট সফটওয়্যার গুলোও ফ্রী হতে পারে।

ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কেন ব্যবহার উপযোগী ?
মনেকরুন , কোন ইঞ্জিনিয়ার একটি বাড়ি তৈরি করলেন এবং বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপন দিলেন। আপনি সেই বিজ্ঞাপন দেখে বাড়িটি কিনলেন। বাড়িটি কেনার পরে আপনি সেটি যথাযতো ভাবে ব্যবহার করতে শুরু করলেন। আপনি সকল রুম ব্যবহার করছেন, সকল সুইচ ব্যবহার করছেন ইত্যাদি। এখন মনেকরুন ,একটি ঘরের  বিদ্যুতের লাইনের সমস্যা হয়ে গেলো বা পানির নল ফেটে কোথা হতে পানি নির্গমন করা আরম্ভ করে দিল। তবে আপনি কি করবেন? আপনি তো নিজে ঠিক করতে পারবেন না—কেনোনা আপনি আপনার বাড়ির বৈদ্যুতিক লাইন সম্পর্কে জেনেন না, আর নাই বা জেনেন কোন দিক দিয়ে কোন পানির নল নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

একইভাবে যখন আপনি কোন সফটওয়্যারকে আপনার সিস্টেমে ইন্সটল করেন, তখন তার সোর্স কোড সম্পর্কে আপনার কোন জ্ঞান থাকেন না আর নাইবা আপনি চাইলে সেই কোড গুলোকে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। যেমন করে আপনার বাড়ির নলের ব্যবস্থা এবং ইলেক্ট্রিসিটি লাইন আপনার বাড়ির পানি এবং বিদ্যুৎকে চালাতে সাহায্য করে ,ঠিক একইভাবে কোন সফটওয়্যার তার কাজ করার পদ্ধতি আপনাকে না জানিয়েই আপনার কাজ করে দেয়। 

ওপেন সোর্সের সুবিধা

কমিউনিটি তৈরি করতে সাহায্য করে----    যখন কোন সোর্স কোডকে পাবলিক হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়, তখন যেকোনো ডেভেলপার বা প্রোগ্রামার সেই সফটওয়্যারটি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এই অর্জিত জ্ঞান তাদের প্রোগ্রামিং দক্ষতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
এটি দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়---মালিকানা কোন সফটওয়্যারে বা ক্লোজ সফটওয়্যারে কোন ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গেলে, ব্যবহারকারীগনদের অপেক্ষা করতে হয়, যতক্ষণ না সেই সফটওয়্যার কোম্পানিটি তা ঠিক করে নতুন ভার্সন উন্মুক্ত করে।ওপেন সোর্সে যেকোনো সফটওয়্যারের ত্রুটি অনেক দ্রুত সমাধান হতে পারে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্রতিযোগিতা ও বৈচিত্র্যতার সৃষ্টি করে--  ওপেন সোর্স সফটওয়্যার বৈচিত্র্যতার জন্য বিশেষভাবে বিশিষ্ট। লিনাক্সের কতো গুলো ফ্লেভার রয়েছে, জেনেনই তো। আবার মজিলা ফায়ারফক্সের কতো গুলো ভাই ব্রাউজার রয়েছে তাও জানেন।এমনকি গুগল ক্রোম ব্রাউজারও ক্রমিয়াম নামক ওপেন-সোর্স প্রোজেক্ট থেকে প্রস্তুত। 
প্রথম যখন Bluetooth এর নাম শুনেছিলাম একটু অবাকই হয়েছিলাম , আক্ষরিক অর্থে  blue মানে নীল এবং tooth মানে দাঁত  হলেও আমাদের ব্যাবহারের bluetooth  এর অর্থ কিন্তু নীল দাঁত নয় । 
এর নামকরনের পিছনে রয়েছে মজাদার ইতিহাস ।

৯৫৮ থেকে ৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের ভাইকিং রাজা ছিলেন হেরাল্ড ব্লু-টুথ। ডেনমার্ক এবং নরওয়ের কিছু অংশকে একত্র করে একটি দেশের আওতায় আনতে পেরেছিলেন তিনি। ডেনমার্কের মানুষকে খ্রিস্টান করার নেপথ্যেও এই হেরাল্ড ব্লু-টুথের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ব্লুটুথ সিম্বলটি “H”  “B” মিলিয়ে করা হয়েছে। 
রাজা Harald Bluetooth এর নামানুসারে ব্লুটুথ নামকরণ করা হয়।
এবার চলে আসি অনেক সামনে  ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সেসময়ে যোগাযোগস্থাপনকারী একটি প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়েছিল। অনেক কোম্পানী বা অনেক লোক অনেক কিছু তৈরী করলেও কোনটি তেমন কাজে আসছিল না।  জিম কার্ডাখ, ইন্টেলের এই ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছিলেন ওয়্যারলেস টেকনোলজি নিয়ে। যে কয়টি সংগঠন তখন কাজ করছিল তাদেরকে এক করার উদ্যোগ নেন কার্ডাখ। সেসময়ে কার্ডাখ ভাইকিংদের ওপর একটি বই পড়ছিলেন, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন হেরাল্ড ব্লু-টুথ। প্রতিযোগী সবপক্ষকে একত্র করার কাজটা  মধ্যযুগে হেরাল্ডই করে দেখিয়েছিলেন  আর তিনিও তখন সব সংগঠনকে একত্র করার চেষ্টা করছিলেন , সেই থেকেই নাম দিয়ে দেয়া হল bluetooth. 

bluetooth হল ১-১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে ওয়্যারলেস যোগাযোগের একটি পদ্ধতি। ব্লুটুথ-এর কার্যকরী পাল্লা হচ্ছে ১০ মিটার। তবে বিদ্যুৎ কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে এর পাল্লা ১০০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ব্লুটুথ ২.৪৫ গিগাহার্টজ-এ কাজ করে।ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে কম ক্ষমতা বিশিষ্ট বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে তথ্য পাঠানো হয়। এই যোগাযোগ ব্যাবস্থায় ২.৪৫ গিগাহার্ট্‌জ (প্রকৃতপক্ষে ২.৪০২ থেকে ২.৪৮০ গিগাহার্ট্‌জ-এর মধ্যে)-এর কম্পাংক ব্যাবহৃত হয়। শিল্প, বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত যন্ত্রের জন্য উপরিউক্ত কম্পাংকের সীমাটি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।  এর বর্তমানে ভার্শন ৪ আসছে  , যেখানে ভার্শন ১.২  সর্বোচ্চ ১ মেগাবিট /সেকেন্ড  ছিল সেখানে বর্তমানের ৩ ভার্শন ২৪ মেগাবিট /সেকেন্ড এ তথ্য আদানপ্রদান করছে ।

Bluetooth এর কিছু ব্যাবহারঃ

১. ব্লুটুথ হেডফোনের মাধ্যমে তার ছাড়া তার ছাড়াই শব্দ শুনতে পারেন।

২. ব্লুটুথ কিবোর্ড মাউস অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হচ্ছে।

৩. ব্লুটুথ লকের মাধ্যমে রিমোটলি তালা খুলছে।

৪. ব্লুটুথ দিয়ে কয়েকজন মিলে গেম খেলা যায়

৫. বর্তমানে ফাইল অপেক্ষাকৃত দ্রুততার সাথে এসে পড়ে