র‍্যানসামওয়ারে আক্রান্ত একটি কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোন অন করতে গিয়ে দেখলেন সেখানে লক করা। যে ফাইলেই প্রবেশ করুন না কেন সব লকড। শুধু একটা ই-মেইল দেয়া এবং হ্যাকারের দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা। একমাত্র অর্থ পরিশোধ করেই আপনার সব ডাটা বের করার উপায়। ভয়ঙ্কর এ ভাইরাসের নাম র‌্যানসমওয়্যার। এই র‌্যানসমওয়্যার ই-মেইল ও মেসেজের মাধ্যমে কম্পিউটারে ছড়িয়ে দিয়েছেন হ্যাকাররা। গতকাল রাত থেকে এ ভাইরাসটি দিয়ে গ্রাহকদের বিপদে ফেলছেন তারা।

এসব হ্যাক করা তথ্যের মধ্যে থাকে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন ছবি, ফাইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি। শুধু এখানেই শেষ নয়, তারপর এসব তথ্য ফেরত পাওয়ার জন্য ব্যক্তির কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ চাওয়া হতো। অর্থ না দিলে সে তথ্যগুলো নষ্ট করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
কিন্তু র‍্যানসামওয়ারের নতুন আরেকটি ভার্শন এনর‍্যামসম ভাইরাস আক্রান্ত করলে মুক্তিপণ হিসেবে "ন্যুড" ছবি দাবী করছে। তাও সাধারন কোন ন্যুড নয়, নিজের ই ন্যুড হওয়া লাগবে। যাচাই শেষেই আনলক হয়ে যাবে কম্পিউটারটি। 
অন্যদিকে অর্থ / ন্যুড দিয়েও স্বস্তি পাবে না কেউ। কারন ন্যুডকে পরবর্তীতে আর্থিক ফায়দা নেওয়ার জন্যই ব্যাবহার করা হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। 

যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এনর‍্যামসম :

মূলত ই-মেইল ও মেসেজ পাঠানো স্প্যাম লিংকের মাধ্যমে ঢুকে পড়ছে। এছাড়া জনপ্রিয় অ্যাপের ছদ্মাবরণেও ডিভাইসে ঢুকে পড়ছে এটি। শুধু তাই নয়, অন্যান্য ভাইরাসের মতো ফিশিং বা স্প্যাম ই-মেইলসহ ভুয়া সফটওয়্যার আপডেটের প্রলোভনেও ছাড়াচ্ছে ক্ষতিকর এ ভাইরাস।

ঝুঁকি এড়ানোর উপায় :
# কম্পিউটারে জরুরি ডাটার জন্য কম্পিউটারে এবং অনলাইনে এবং সিডি/ডিভিডি সবসময় ব্যাকআপ রাখুন।
# স্প্যাম বা সন্দেহজনক মেইল থেকে কখনোই কোনো অ্যাটাসমেন্ট ডাউনলোড করবেন না।
# স্প্যাম বা সন্দেহজনক মেইল থেকে কখনোই কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না।
# ম্যাসেঞ্জারে অপরিচিত/সন্দেহজনক কোনো ফাইল আসলে ডাউনলোড দেবেন না।
# অপরিচিত অ্যাপস ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকুন।
# যাদের ইতোমধ্যেই আক্রমণের শিকার হয়ে গেছে তারা ‘ক্রিপ্টোড্রপ’ টুলসটি ব্যবহার করুন।
# সফটওয়্যার হালনাগাদ রাখুন।
# সবসময় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করবেন না। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য লিমিটেড অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন।
# মাইক্রোসফট অফিসে ম্যাক্রো বন্ধ রাখুন।
# ব্রাউজার থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং আউটডেটেড প্লাগইন মুছে ফেলুন এবং অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করুন ।
# ক্যাফে বা অন্যের ডিভাইসে ই-মেইলে লগইন করবেন না।
# স্প্যাম মেইল খুলবেন না।

সূত্রঃ News.FileHippo.Com
WinRar  দিয়ে আপনার ফাইল কম্প্রেস করছেন কিন্তু তেমন কাজ হচ্ছে না , সর্বোচ্চ ২-৩ মেগাবাইট সাইজ কমে যাচ্ছে , কিন্তু গেম বা ইন্টারনেটে পাওয়া সফটওয়্যর গুলোর কম্প্রেস ফাইল এর আকারথাকে মূল ফাইলের ও অর্ধেক ,
ছোট একটি কাজ না করার জন্য আপনার উইন র‍্যার সফটওয়্যার টি  তার সামর্থ্য দেখায় না , প্রথমেই আপনি যে ফোল্ডারটি কম্প্রেস করতে চান তাতে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করুন Add to archive এ ক্লিক করুন। নীচের ছবির মত একটি উইন্ডো আসবে । 
  Archive name and parameters নামে একটি উইন্ডো আসবে। এবার Archive format থেকে RAR সিলেক্ট করুন এবং Compression method থেকে Best সিলেক্ট করে OK দিন। তাহলে আপনার ফাইলটি সর্বোচ্চ কম্প্রেস হবে। 
 মাঝে মাঝে মাউসে প্রব্লেম দেখা দিলে কম্পিউটার ব্যাবহারকারীরা  বিভিন্ন সমস্যার সম্মুক্ষীন হন , খুব দরকারী কাজ আজকের মধ্যেই শেষ করা লাগবে কিন্তু  আশে পাশে কম্পিউটারের দোকান নেই 
এমন অবস্থায় মাত্র ২ মিনিটে কারো কাছ থেকে মাউস নিয়ে কিছু অপশন পরিবর্তন করলেই বাকি সময় আপনি মাউস পয়েন্টারের কাজ করতে পারবেন কিবোর্ড দিয়ে , 

কন্ট্রোল প্যানেলে যান  এবার এখানে Ease of Access Center-এ ক্লিক করুন , যদি এই নামে কোন  আইকন না পান তাহলে, প্রথমে উপরে View by থেকে Classic view নির্বাচন করে দিন। তাহলেই  Ease of Access Center  আইকনটি দেখতে পাবেন । Make the mouse easier to use-এ ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো এলে এখানে Turn on Mouse Keys-এ টিক চিহ্ন দিন। Setup Mouse Keys-এ ক্লিক করে Pointer speed-এর Top Speed থেকে Low এবং High-এর মাঝে প্রয়োজনমতো কারসর নড়ানোর সুবিধাজনক অবস্থান নির্ধারণ করে দিন। এবার কাজ শেষে Apply-এ ক্লিক করে ওকে করে বের হয়ে আসুন।   কাজ হয়ে গেছে  .
num Lock অন করা আছে কিনা চেক করে নিন , তার কারন হল আপনার কীবোর্ডের নাম লকের বাটন দিয়েই মাউজ পয়েন্টার  এর কাজ করা যাবে , কীবোর্ডে  তীর চিহ্ন দিয়ে দেয়া আছে  কোন নাম্বার কিসের কাজ করে ,  লেফট ক্লিক এর জন্য ৫  এবং ডাবল ক্লিকের জন্য +  বাটনটি চাপুন , রাইট ক্লিকের জন্য ডান পাশের CTRL বাটন ব্যাবহার করুন  । ব্যাবহারে অসুবিধা হলে  Ease of Access Center এ গিয়ে স্পিড  নির্ধারন করে আসুন ।
উইন্ডোজ ৮ এবং ১০ এ  একই নিয়মে আপনি এটি সেট করতে পারবেন । 
এখন যদি আপনার এই কাজে মাউজ ২ মিনিটের জন্যও আনার ব্যবস্থা না থাকে তখন কি করবেন?  উপরের পদ্ধতি ভুলে যান , কীবোর্ডের বাম পাশের  Alt এবং Shift  কী একত্রে চাপুন একটি পপ আপ উইন্ডো আসবে , ওকে দিন , কাজ হয়ে যাবে 
তবে এক্সপি ইউজাররা একটু ব্যাতিক্রম ভাবে কাজ করতে হবে  , কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে ওপরে ডানে View by থেকে Classic view নির্বাচন করে দিন। তালিকায় থাকা Accessibility Options-এ ক্লিক করে পরের উইন্ডো থেকে মাউস ট্যাবে ক্লিক করুন। এখানে Use mouse keys-এ টিক চিহ্ন দিয়ে Apply -এ ক্লিক করে আবার ওকে করে বের হয়ে আসুন।

কী বোর্ডের ছোট খাট কয়েকটি বাটন কাজ করছে না , সমস্যা নেই , স্টার্ট মেনু থেকে run অপশনে যান , অথবা উইন্ডোজ + R  চাপুন  run  আসবে 
সেখানে লেখুন OSK  এন্টার দিন তাহলেই একটি কিবোর্ড আপনার স্ক্রীনে চলে আসবে 
OSK এর পুর্নরুপ হচ্ছে  On Screen Keyboard 

কম্পিউটার চালাচ্ছেন ,  স্পেস বাচানোর জন্য একটি ফোল্ডার ডিলেট করলেন , কিন্তু ডিলেট এর পড়ই মনে পড়ল এটি তে আপনার  অনেক পুরোনো ছবি ছিল , এখন কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন 
অবশ্যই রিকভারি টুল ইউজ করে । কিন্তু এই রিকভারি টুল কিভাবে কাজ করে? কখনো কি ভেবে দেখেছেন , আসুন সংক্ষেপে বুঝে আসি ব্যাপারটি ।

প্রথমেই  কিছু বাড়তি  কথা বলব , শুধু মাত্র বুঝার জন্য , আপনার একটি বুক শেলফ ও একটি টেবিল আছে , পড়ার টেবিলের উপর  গল্পের বই রাখার জন্য খেলেন এক ঝাড়ি , তারাতারি বাসার লোকদের বুঝানোর জন্য  নিজের শখের গল্পের বইটা নিয়ে বুকশেলফে ঢুকালেন , বাসার লোক দেখছে এখানে কোন বই নেই , কিছুদিন পড় আপনাকে কেও একজন ইয়া বড় এক ডিকশনারী গিফট করল । সেটি রাখতে গিয়ে বিপদে পড়লেন জায়গা নেই , তাই  নতুন বই রাখার জন্য  গল্পের বইটি বন্ধুকে দিয়ে দিলেন ফলে চিরতরে বইটি আপনার ঘরছাড়া হল ।

এবার আসুন কম্পিউটারের ঘটনায় যায় , আপনার ড্রাইভে অনেক ফোল্ডার আছে , ৫০ জিবি ড্রাইভে ৪৮ জিবি ফাইল ডকুমেনট রয়েছে , আপনি যখন এটি প্রথম ডিলেট করবেন সেটি তখন কম্পিউটারের রিসাইকেল বিন এ জমা হবে,  আপনি চাইলে রিস্টোর দিয়ে রিসাইকেল বিন থেকে যে কোন সময় আবার ফেরত আনতে পারবেন। কখনো কি খেয়াল করেছেন  কোন ফোল্ডারকে ডিলেট করে রিসাইকেল বিন এ  পাঠালেও ড্রাইভে কোন জায়গা খালি হয় না , ব্যাপারটা অনেকটা আপনার অই বই সরানোর মত ,  আপনি চাইলেই যেমন সেলফ থেকে বই নিতে পারবেন ঠিক তেমনি রিসাইকেল বিন ও এই রকম  ফাইল ট্রান্সফার হয় , ফলে ১ জিবির ফাইল ডিলেট করলেও ড্রাউভে কোন খালি দেখায় না , খালি করতে হলে প্রয়োজন রিসাইকেল বিন থেকে খালি করে দেয়া , এই খালি করা কিন্তু অনেকটা আপনার বই এর লুকানোর মত , আপনার বাবা মা মনে করে কোন বই নেই অথচ বই অন্য যায়গায় অক্ষত রয়েছে , ঠিক তেমনি আপনি রিসাইকেল বিন থেকে ডিলেট করলেও আপনি দেখেন এ ডিলেট হয়েছে , এমনকি ড্রাইভে খালি স্পেস হয়েছে , কিন্তু আসলে ফাইলটি সম্পুর্ন রুপে সরে যায়নি , ড্রাইভের অই স্পেস টুকু খালি হিসেবে মার্ক করা হয়েছে । তখন আসলে বুঝানো হয় যে আপনি চাইলে এই জায়গায় নতুন কিছু রাখতে পারবেন ।
 ফাইলটি যেখানে ছিল সেই স্পেসটি খালি হয়ে যায় কিন্তু ফাইলটি কিন্তু এখনো কোথাও সরে যায়নি বা ফাইলটির অস্তিত্ব শেষ হয়ে যায়নি। শুধুমাত্র পয়েন্টারগুলো চলে গিয়েছে। পয়েন্টার হল কম্পিউটারের আরেক ধরনের ডেটা যেগুলো আপনার মেমরিতে থাকা ফাইলগুলোর ডিরেক্টোরি পয়েন্ট করে বা নির্দেশ করে। 
এতটুকু জিনিস পর্যন্ত  রিকভারী সফটওয়্যার গুলা কাজ করে।  অর্থাৎ কোন কিছু সম্পুর্ন ডিলেট হয়ে গেলেও রিকভারি সফটওয়্যার গুলো কাজ করতে পারে , 
এবার গল্পের শেষ পার্ট , ঘড়ে নতুন বইকে জায়গা দিয়ে গিয়ে পুরাতন বই এর বিসর্জন  , অর্থাৎ আপনার ফ্রী হওয়া ড্রাইভে আপনি নতুন কিছু জিনিশ ঢুকালেন ফলে আপনার পুরাতন জিনিসের ফেরত পাওয়ার হার কমতে থাকবে ,  অর্থাৎ ডিলেট করার পর বা ডিলেট হয়ে যাওয়ার পর যতক্ষন পর্যন্ত না অই ড্রাইভে নতুন কিছু দেয়া হচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত ডাটা রিকভারি করা যায়।

হয়ত একটু জটিল করে বলে ফেলেছি , না বুঝলে  আরো একবার পড়ুন বুঝে যাবেন।
গুগলের সিইওর বেতন বলে কথা!
গত বছরে কত টাকা বেতন পেয়েছেন তিনি? সবার জানার আগ্রহ থাকতেই পারে। তাঁর বেতনটা আকর্ষণীয় ও চোখ-ধাঁধানো, তাতে সন্দেহ নেই।গত বছরে তিনি পেয়েছেন ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। তবে পুরোটা কিন্তু নগদ অর্থে বেতন হিসেবে পাননি পিচাই। এর মধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বেতন আর বাকিটা শেয়ার হিসেবে তাঁর নামে জমা হয়েছে।এদিক থেকে হিসাব করলে বেতন হিসেবে ২০১৫ সালের চেয়ে তাঁর বেতন কিছুটা কমেছে। ২০১৫ সালে ৬ লাখ ৫২ হাজার মার্কিন ডলার বেতন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৫ সালে স্টক অব শেয়ার হিসেবে তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৯৯ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৬ সালে এসে বেড়ে ১৯৮ দশমিক ৭ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে।

২০১৫ সালের আগস্ট মাসে গুগলের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর পিচাই।
গত দেড় বছরের মধ্যে গুগলের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সফলভাবে সামলানোর পাশাপাশি নতুন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন পিচাই। তাঁর নতুন পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেছে গুগলের বেতন-সংক্রান্ত কমিটি। গুগলের প্রধান নির্বাহী ল্যারি পেজ অ্যালফাবেট নামের প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসার নতুন লক্ষ্য নির্ধারণে কাজ করেছেন। শুধু গুগলের দায়িত্ব রয়েছে পিচাইয়ের কাঁধে। তবে ইউটিউবের বিজ্ঞাপনী আয় বাড়ানো, ক্লাউড কম্পিউটিং, মুঠোফোনসহ নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন পিচাই। এসব উদ্যোগ থেকে আয় করতে শুরু করেছে গুগল। তারই প্রতিফলন ঘটেছে সুন্দর পিচাইয়ের বেতনে।
গত বছরে গুগলের হার্ডওয়্যার ও ক্লাউড ব্যবসা ৫০ শতাংশ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
মন এক দৈত্য, যাকে ছাড়া আজকের দিনে আমরা অচল
সময় যত এগোবে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির স্নেহচ্ছায়া আরওই বেশি-বেশি করে এসে পড়বে বলেই আশা। প্রযুক্তিকে উপকারী, আরও উপকারী করে তোলার এই কাজ বিশ্বজুড়ে হাতে গোনা যে তুখোড় মস্তিষ্করা চলেছেন অনলসভাবে, গর্বের সঙ্গে বলা যায়, তাদের অনেকেই ভারতীয়। বিশ্বাস না হলে একটা লিস্টি দেখি? ইন্দ্রা নুয়ি (PEPSICO), সত্য নাদেল্লা (MICROSOFT), রাজীব সুরি (NOKIA), শান্তনু নারায়ণ (ADOBE), রাকেশ কপূর(RECKITT BENCKISER), অজয়পালসিংহ বঙ্গা (MASTERCARD), সঞ্জয় মেহরোত্র (SANDISK),ফ্রান্সিসকো ডিসুজা (COGNIZANT)। এই মানুষগুলোর প্রত্যেকে ওই কোম্পানিগুলোর হর্তাকর্তা,এবং প্রত্যেকেই ভারতীয়। এই তালিকায় এক্কেবারে টাটকা সংযোজন চেন্নাইয়ের PICHAI SUNDARARAJAN।

সুন্দর সম্পর্কে সুন্দর তথ্য

১. সুন্দরের সিইও হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে গুগল চলে এসেছে ‘ALPHABET’ নামের বড়দা কোম্পানি ছাতার তলায়। গুগলের প্রতিষ্ঠাতা LARRY PAGE ও SERGEY BRIN থাকছেন অ্যালফাবেটের দায়িত্বে। অধীনস্থ গুগলের দায়িত্বে রইলেন সুন্দর।
২. তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে সুন্দরের জন্ম ১৯৭২ সালে। ভীষণ সাধারণ পরিবারের সন্তান সুন্দর ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। সাতের দশকের ভারতের সেই সাধারণ পরিবারের অসাধারণ ছেলেটির আনুমানিক সম্পত্তির পরিমাণ আজ প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার!
৩. সহকর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়, গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেই নাকি পায়চারি করতে থাকেন সুন্দর। ঘরভর্তি লোক,মিটিং চলছে, এদিকে চিন্তিত মুখে ঘরের মধ্যেই পায়চারি করে বেড়াচ্ছেন সুন্দর, এই দৃশ্য আচমকা দেখতে পেলে তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।
৪. সুন্দরের বাবা ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনবছর টাকা জমিয়ে তবে তিনি কিনতে পেরেছিলেন একটি স্কুটার। অর্থকষ্ট থাকলেও সুন্দর ও তাঁর ভাইয়ের লেখাপড়ার ব্যবস্থায় কিন্তু কোনওদিন কোনও অভাব হতে দেননি সিনিয়র সুন্দররাজন।
৫. বাবার কাছেই ছোটবেলায় সুন্দর শুনতেন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কী-কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।সেই শুনতে-শুনতেই নাকি প্রযুক্তির প্রতি সুন্দরের আগ্রহের জন্ম।
৬. নিজের হাইস্কুলে সুন্দর ছিলেন ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন। সেখান থেকে KHARAGPUR IIT-তে বিটেক, তারপর STANFORD UNIVERSITY থেকে এমএস, এবং অবশেষে Wharton School of the University of Pennsylvania থেকে এমবিএ।
৭. আইআইটি থেকে যখন স্ট্যানফোর্ডে যাচ্ছেন সুন্দর, তাঁর বাবাকে নিজের সেভিংস থেকে যে পরিমাণ টাকা বের করতে হয়েছিল, তা ছিল তাঁর পুরো একবছরের রোজগারের সমতুল্য।
৮. গুগলে যোগ দেওয়ার আগে সুন্দর ছিলেন McKinsey & Company-র ম্যানেজমেন্ট কনসালটিংয়ে।
৯. পিচাই গুগ্লে কাজ করছেন সেই ২০০৪ সালে। গোড়ায় তাঁর দায়িত্বে ছিল GOOGLE CHROME ও ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট। সেইসঙ্গে GOOGLE DRIVE-এর সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে GMAIL ও GOOGLE MAP দেখভালের দায়িত্বও বর্তায় তাঁর উপরেই।
১০. ২০১১-য় TWITTER সুন্দরকে মোটা টাকা অফার করে, google ছেড়ে টুইটারে যোগ দেওয়ার জন্য। সুন্দর সেই আহ্বানে সাড়া দেননি। গুগলও সেসময় তাঁর পারিশ্রমিক বাড়িয়ে তাঁকে আটকে রাখতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি। বড়-বড় কোম্পানি যাকে নিয়ে এমন কামড়াকামড়ি করে মরে, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫০ মিলিয়ন ডলার হবে না তো কার হবে?
এখন থেকে ওয়াই- ফাইয়ের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেবে নতুন প্রযুক্তি লাই-ফাই । লাই-ফাই নামের এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গিগাবাইট পার সেকেন্ড গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া যাবে সহজেই। 

লাই-ফাই কি? 

লাই-ফাই এঁর পূর্ণরূপ  Light Fidelity। LiFi একাধিক হালকা বাল্ব দ্বারা গঠিত হয় যা একটি বেতার নেটওয়ার্ক তৈরি করে, একে ড্যাসাল নেটওয়ার্কিং বলে।
লাই-ফাই কীভাবে কাজ করে?
লিফি আলোকে তীব্রতা নির্ণয় করে তথ্য প্রেরণ করতে দেয়, যা একটি ছবির সংবেদনশীল সংবেদক দ্বারা প্রাপ্ত হয়।আলোর সংকেত ব্যবহার করে বৈদ্যুতিন রূপে মডুলেশন হয়। এই মডুলেশনটি এমনভাবে সঞ্চালিত হয় যে এটি মানুষের চোখকে রক্ষা করে।ওয়াই-ফাইয়ের মতো এটি দেয়ালের ওপারে ডাটা পাঠাতে পারে না। এর কারণ লাই- ফাই আলোর মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ করে থাকে। তাই আবদ্ধ জায়গাতে সীমাবদ্ধ থাকবে এর সিগন্যাল।

লাই-ফাই সুবিধাঃ

এটি ওয়াইফাই থেকে নিরাপদ ঃ লাই-ফাইয়ের সংযোগ ওয়াই-ফাইয়ের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ। পাসওয়ার্ড চুরি করে আর কেউ সেটা ব্যবহার করতে পারবে না।
ঘরে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী প্রযুক্তি হতে পারে লাই-ফাই। ভবিষ্যতে হয়তো দেখা যাবে, বাসায় ব্যবহৃত এলইডি লাইট একইসঙ্গে ঘরকে আলোকিত এবং ঘরের ভেতরে লোকাল নেটওয়ার্ক তৈরিতে অবদান রাখছে।



টুরিং ফোনের নির্মাতাদের দাবি যে, এই ফোন হ্যাক করা যাবে না, এটা ভাঙবে না এবং পানি এর কিছু করতে পারবে না!আগামী ডিসেম্বর মাস হতে ফোন গুলি বাজারে দেখা যাবে। এ খবর জানিয়েছে এনগেজেট।
বিওল্ফ, ফারাওহ এবং কার্ডিনাল এই তিনটি রংয়ে পাওয়া যাবে টুরিং ফোন । ফোনগুলোতে রয়েছে ১৬ জিবি, ৬৪ জিবি এবং ১২৮ জিবি মেমোরির আলাদা সংস্করণ। দাম পড়বে ৬১০ থেকে ৮৭০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত। সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক টুরিং রোবোটিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ তৈরি করেছে এই ফোন। এই ফোনগুলোতে কোনো ইউএসবি পোর্ট এবং হেডফোন জ্যাক নেই।নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ফোন হ্যাক করা যাবে না। কারণ এই ফোনে থাকা সব অ্যাপ্লিকেশন ইন্ড টু ইন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এটা ভাঙা যাবে না কারণ এটি বানানো হয়েছে ‘লিকুয়িডমরফিয়াম’ নামের এক বস্তু দিয়ে, যা স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লিকুয়িডমরফিয়াম আগামী দিনের স্মার্টফোনের বডি বানানোর প্রযুক্তি পাল্টে দেবে। স্মার্টফোনটিতে পানি ঢুকতে পারবেনা কারণ এর ভেতরে রয়েছে ন্যানো-কোটিং। ফোনটির ভেতরে কোনো রাবার ব্যবহার করা হয়নি এবং এটি পুরোপুরি খুলে ফেলা যাবে।
টুরিং ফোনের সুবিধা 
টুরিং ফোন চলবে ৫.১ ললিপপ অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে। এতে রয়েছে ৫.৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি স্ক্রিন (১০৮০x১৯২০ পিক্সেল)। ২.৫ গিগাহার্জ কোয়াড-কোর স্ন্যাপড্রাগন ৮০১ এসওসি প্রসেসর। রয়েছে ৩ জিবি র‍্যাম, ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশের ১৩ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। রয়েছে তিন হাজার এমএএইচের নন রিমুভাল ব্যাটারি।কানেক্টিভিটির জন্য রয়েছে ফোরজি এলটিই, ওয়াই-ফাই ৮০২.১১এসি, ব্লুটুথ ৪.০ এলই। রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, অ্যাকসেলোরোমিটার, জিরোস্কোপ, ম্যাগনেটোমিটার, প্রক্সিমিটি, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট, টেম্পারেচার এবং হিউমিডিটি।