ফোনের কথোপকথন কানে গিয়েছিল পড়শির। সেই সুবাদে ‘নীল তিমি’র (ব্লু হোয়েল) খপ্পর থেকে উদ্ধার হল এক স্কুল-ছাত্র। শুক্রবার রাতে বাঁকুড়া শহরের ঘটনা।
বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রটি ফোনে কাউকে জিজ্ঞাসা করছিল, ‘হাত কী ভাবে কাটতে হবে’? সে কথা শুনে ফেলেন এক পড়শি। তাঁর থেকে খবর পায় ছাত্রের পরিবার। বছর সতেরোর ওই তরুণের কাকা জানান, খবর পেয়েই ভাইপোর ফোন কেড়ে তাঁরা সাহায্য চান বাঁকুড়া সদর থানার। পুলিশ ছেলেটিকে হাসপাতালে পাঠায়। জেলার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, ‘‘ব্লু হোয়েলের মতো গেমের ভয়ঙ্কর প্রভাব সম্পর্কে পড়ুয়াদের সচেতন করতে আমরা ইতিমধ্যেই স্কুল-কলেজে শিবির শুরু করেছি। এখন দেখছি, আরও জোরদার প্রচার চালাতে হবে।’’




স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলেটির বাবা নেই। মা পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। ছেলেকে মোবাইলটি মা-ই কিনে দেন। সেই মোবাইলে ছেলে এমন একটা খেলা খেলছিল, যার পরিণতি আত্মহত্যাও হতে পারত— এ কথা জেনে ভেঙে পড়েন ওই বিধবা। বলেন, ‘‘বাড়িতে ও সারাক্ষণ ফোন নিয়ে থাকত। খুব কম কথা বলছিল গত মাস দু’-তিন। ফোন নিয়ে বাড়ির কেউ কিছু বললে রেগে যেত। তা যে এই কারণে, তা বুঝিনি।’’ কাকার দাবি, ওই কিশোর কয়েক মাস আগে কথায় কথায় ‘ব্লু হোয়েল’ খেলার ব্যাপারে তাঁকে বলেছিল। বিষয়টি নিয়ে তাঁর কোনও ধারণা ছিল না। ফলে, কোনও সন্দেহ হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘ভাগ্যিস, আমাদের পড়শি ভাইপোর ফোনের কথাবার্তা শুনতে পেয়েছিলেন, না হলে কী হতো!’’‘ব্লু হোয়েল’ খেলা নিয়ে সম্প্রতি এ রাজ্যেও শুরু হয়েছে তোলপাড়। দিনকয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক ছাত্রকে ‘ব্লু হোয়েল’ খেলার মাঝপথে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার হাওড়ার এক স্কুল-ছাত্র ওই খেলায় মেতেছে জানতে পেরে, শুরু হয় ‘কাউন্সেলিং’।


 শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের একটি স্কুলে ক্লাসে বসে হাতে ‘নীল তিমি’র ছবি আঁকায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে জেরা করেছে পুলিশ।


‘ব্লু হোয়েল’ খেলা নিয়ে সম্প্রতি এ রাজ্যেও শুরু হয়েছে তোলপাড়। দিনকয়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের এক ছাত্রকে ‘ব্লু হোয়েল’ খেলার মাঝপথে উদ্ধার করা হয়।
রিষড়ায় দশম শ্রেণির ছাত্রের হাতে ‘নীল তিমি’ঃ--নীল তিমির আতঙ্ক ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে এ রাজ্যেও। উত্তরপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র, গুয়াহাটির পর এ বার নীল তিমির আতঙ্ক বালির রিষড়াতে। রিষড়ার একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের হাতে মিলল ‘নীল তিমি’র ছবি।পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বাঁ হাতে কম্পাস দিয়ে চিরে ওই ছবি এঁকেছিল সে। ছাত্রটিকে জি়জ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, মোবাইলে একটি লিঙ্ক পেয়ে ওই মারণ খেলায় মেতেছিল সে। খেলাটি যে ‘ব্লু হোয়েল’, সেটা সে তখনও জানত না। খেলায় এমন ভাবে মেতে গিয়েছিল যে তার থেকে বার হতেও পারছিল না। তার অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, মানসিক ভাবে খুব ভেঙে পড়েছে সে। তাই আপাতত তাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ারই পরিকল্পনা করেছেন বাড়ির লোকেরা।পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী ওই ছাত্রটি খেলাধুলোতেও তুখোড়। 

তার অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, গত তিন-চার মাস ধরে সে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। পড়াশোনাতেও অমনোযোগী হয়ে পড়েছিল। সবসময় চুপচাপ থাকত। কারও সঙ্গে বিশেষ মিশত না। সবসময় মোবাইল নিয়েই তাকে ব্যস্ত থাকতে দেখা যেত। ছেলেটির মা জানিয়েছেন, রাত তিনটের সময় উঠে সে মোবাইল নিয়ে কিছু করত। জিজ্ঞাসা করলে কোনও উত্তর দিত না। স্কুলের শিক্ষকদেরও এই ব্যাপারে জানিয়েছিলেন তার বাড়ির লোকজন। তবে তাঁরাও প্রথমে বোঝেননি যে ছাত্রটি ‘ব্লু হোয়েল’ নামক মারণ খেলার ফাঁদে পড়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে এক জন শিক্ষকের। ক্লাস চলাকালীন তিনি দেখেন ওই ছাত্রের বাঁ হাতে নীল তিমির ছবি আঁকা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুল প্রিন্সিপালকে বিষয়টি তিনি জানান। ছাত্রের বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়। তাকে বাড়ি থেকে দূরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখা হয়েছে।কয়েক দিন আগেই ‘ব্লু হোয়েল’-এর খপ্পরে পড়ে মাদুরাইয়ের তিরুমঙ্গলম এলাকার ১৯ বছর বয়সী ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।
নীল তিমির গ্রাসে আরও যে কত জনঃ---কোথাও রচনা লিখতে দিয়ে, কোথাও বা হাত পরীক্ষা করতে গিয়ে বিভিন্ন স্কুলে মিলছে ‘ব্লু হোয়েল গেম’-এ আসক্ত পড়ুয়ার খোঁজ। যত বাড়ছে খোঁজ, ততই বেরিয়ে আসছে মারণ খেলায় আসক্ত নতুন নতুন নাম। কিন্তু এর সুরাহা কোথায়? এ খেলা বন্ধ করবে কে? বহু চেষ্টাতেও মিলছে না দিশা।
বৃহস্পতিবার বারাসত গার্লস স্কুলে দুই ছাত্রী ওই মারণ খেলায় আসক্ত বলে খবর এসেছিল। শুক্রবার আবার জানা গিয়েছে বারাসাত কালীকৃষ্ণ স্কুলের দুই ছাত্রী ওই খেলায় আসক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, আরও কিছু ছাত্রীও নিয়মিত এই খেলা খেলছে বলে খবর এসেছে। ব্লু হোয়েলে আসক্ত হুগলির রিষড়া স্কুলের এক ছাত্রেরও কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। কাউন্সেলিং করানো হচ্ছে হাওড়ার শ্যামপুরের অনন্তপুর সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলের আর এক ছাত্রের।


‘ব্লু হোয়েল গেম এর অপকারিতা’ নিয়ে সচেতনতা চলাকালীন শুক্রবার বারাসতের স্কুল থেকে আরও কিছু ছাত্রী আসক্ত বলে খোঁজ মিলেছে। বারাসত কালীকৃষ্ণ গার্লস স্কুলে এ দিন সব ছাত্রীদের ডেকে কথা বলা এবং হাত পরীক্ষা শুরু করেন শিক্ষিকারা। দেখা যায়, একটি মেয়ের হাতে নীল তিমি আঁকা। সে জানায়, পরিচিত এক দাদার থেকে ব্লু হোয়েলের লিঙ্ক পেয়েছে। আর একটি মেয়ের হাত-পায়ে ব্লেড দিয়ে অজস্র কাটাকাটি ছিল। এর পরেই তাদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়।গত কয়েক মাস ধরে যেমন অবস্থা হয়েছিল বালির বাসিন্দা, মাহেশের স্কুল পড়ুয়াটিরও। সদা চঞ্চল ছেলেকে বেশ কয়েক দিন ধরেই মনমরা লাগছিল। গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইলে ব্যস্ত থাকত সে। ভোরে উঠেই তুলে নিত মোবাইল। ছেলের এমন আচরণে চিন্তায় পড়ে যান বাবা-মা। শেষমেশ বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে ফোন আসে, ছেলে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমের শিকার!
মা-বাবা জানান, পড়াশোনাতেও অমনোযোগী হয়ে পড়েছিল বছর পনেরোর ছেলেটি। বৃহস্পতিবার ওই পড়ুয়া বাঁ হাত তুলতে চমকে ওঠেন শিক্ষক। দেখেন, কব্জির কয়েক ইঞ্চি নীচে মাছের অবয়ব আঁকা। কাছে ডেকে দেখা যায়, হাতে ব্লু হোয়েলের ১১ নম্বর ধাপের নীল তিমির ছবি। আসে পুলিশ। প্রধান শিক্ষক সুমন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই ছাত্রের কাউন্সেলিং করতে বলা হয়েছে।’’ শুক্রবার ওই ছাত্র জানায়, দিন কুড়ি আগে তার মোবাইলে আচমকাই ব্লু হোয়েল গেমের লিঙ্ক আসে। কৌতূহলবশত ক্লিক করতেই সে জড়িয়ে পরে ওই খেলায়। ওই কিশোরের বাবা বলেন, ‘‘পড়াশোনার জন্য ইন্টারনেটের দরকার হয় বলে মোবাইলটা কিনে দিয়েছিলাম।’’ ঘটনা জানার পরেই ছেলের থেকে মোবাইল নিয়ে নিয়েছেন বাবা-মা।

বৃহস্পতিবার দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে নিয়ে হইচই হয় হাওড়ার শ্যামপুরের অনন্তপুর সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলে। স্কুল সূত্রের খবর, ক্লাসে বসে ট্যাব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিল ছেলেটা। বারবার তাকাচ্ছিল ডান হাতের ক্রেপ ব্যান্ডেজ ঢাকা কব্জির দিকে। সন্দেহ হওয়ায় শিক্ষকেরা বিষয়টি জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে। এর পরেই তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ দেখে কব্জিতে ‘ব্লু হোয়েল’ লেখা। পুলিশের দাবি, ওই পড়ুয়া কাউন্সেলিংয়ে জানিয়েছে, এক বন্ধু মারফত ‘ব্লু হোয়েল গেম’ ডাউনলোড করেছিল। প্রথমে নীল কালি দিয়ে ‘ব্লু হোয়েল’ শব্দটি লিখে ছবি তুলে পাঠিয়েছিল ওই অ্যাপে। কিন্তু ছবি গৃহীত হয়নি। জানানো হয়, রক্ত দিয়ে লিখতে হবে। তখন মশা মেরে তার রক্ত আলতার সঙ্গে মিশিয়ে কব্জিতে ‘ব্লু হোয়েল’ লেখে। এ বার তা গৃহীত হয়। পুলিশকে ওই ছাত্র জানিয়েছে, এক সময়ে খেলা থেকে সে বেরোতে চেয়েছিল। তখন তার বাবাকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়।
সূএঃ-- আনন্দ বাজার


ব্লু হোয়েল এর চ্যালেঞ্জ গুলো এবং বিস্তারিত জানতে পড়ুন এই ফিচারটি - ব্লু হোয়েল গেম
কম্পিউটার , বর্তমান সময়ের অন্যতম  গুরুত্বপূর্ন যন্ত্র , শিক্ষা , চিকিৎসা , গবেষনা এমন কোন কাজ  নেই যাতে এখন কম্পিউটার ব্যাবহার করা হয় না , কিন্তু কম্পিউটার বলতে কি বুদ্ধিদিপ্ত , শক্তিশালী যন্ত্রই বুঝায় ?
 উইকিপিডিয়া মতে প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। Compute শব্দটি থেকে কম্পিউটার শব্দটির উৎপত্তি ,  যার অর্থ ছিল গননা করা , গননার ইতিহাস অনেক অনেক আগের ,  প্রাচীন কালে মানুষ একসময় সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গননা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়। এর মাঝে পেড়িয়ে গেছে অনেক সময় , এবাকাস গননা যন্ত্র হলেও একে কম্পিউটার এরমর্যাদা দেয়া হয়নি । কম্পিউটার তাহলে কত আগের ? ২০০ বছর না ৩০০ বছর , শুনলে অবাক হবেন  যে প্রথিবীর সবচেয়ে প্রাচিন কম্পিউটার হিসেবে যে যন্ত্রটিকে বিবেচনা করা হয় তা প্রায় ২ হাজার বছর আগের , কম্পিউটারটির নাম দেয়া হয়েছে  The Antikythera Mechanism ,  এটি একটি দ্বীপের নামে নাম করন করা হয়েছে , এর নাম করনের ঘটনাটিও বেশ  মজাদার ,   আজ থেকে প্রায় ১১৭ বছর আগে  ঠিক ১৯০০ সালে গ্রীসের  এজিয়ান সমুদ্রপথে প্রচন্ড ঝড়ের কবলে পড়েন  ক্যাপ্টেন দিমিত্রি ও তার একদল নাবিক , প্রচন্ড ঝড়ে যখন অবস্থা ভিশন খারাপ তখন বাধ্যে হয়েই জাহাজ নোঙর ফেলার চিন্তা করে ,সামনেই ছিল অ্যান্টিকিথেরা আইল্যান্ড ,  কোনমতে দ্বীপের কাছে পোছায় জাহাজটি এবং সেখানে আশ্রয় নেয় সবাই ,  সকালে ঝড় কমে আসলে কিছু সামুদ্রিক স্পঞ্জ সংগ্রহের জন্য জাহাজের  অন্যান্য নাবকদের নির্দেশনা দেয় , কিছুক্ষনের মধ্যে জানতে পারেন সমুদ্রের নিচে বড় কিছু একটা রয়েছে , কৌতুহলী হয়ে আরো কয়েকজন নিয়ে ক্যাপ্টেন নিজেই নেমে পড়েন পানিতে ,খুজে পান একটী জাহাজ , সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় ব্রোঞ্জের একটি মুর্তি । ক্যাপ্টেন গ্রীসে ফেরত গিয়ে এই ডুবে থাকা জাহাজের ব্যাপারে নৌবাহিনিকে জানান , নৌবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী দল প্রায় ২ বছর ধরে ডুবে থাকা জাহাজে অভিজান চালালো ।
উদ্ধারকৃত বস্তুগুলো যাদুঘরে দেয়ার স্বীদ্ধান্ত হয় 


জাদুঘরে যাওয়ার পূর্বে পূরাতত্ব পরীক্ষায়  একটি পাথরে কয়েকটি গিয়ার  এর মত জিনিস আটকে থাকায়  সেসময় কৌতুহলের সৃষ্টি হয় ,  এটি নিয়ে গবেষনার দায়িত্বে ছিলেন ভালেরস স্তাইস । তিনি কোন ভাবেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না পাথরটি এমন কেন । বেশ কিছুদিন পর  তিনি বুঝতে পারলেন এটির গঠন তিনি যা ভেবেছিলেন তার চেয়েও অনেক বেশী জটিল । এটির রহস্য উদ্ধারে আরো মানুষের সাহায্য প্রয়োজন ।  খবর ছড়ানোর পর বহু গবেষক এটি নিয়ে গবেষনায় নেমে পড়লেন , কিন্তু  ১৭ সেন্টিমিটারের এই ছোট বস্তু সবার মাথা খারাপ করে ফেলল , কারন এমন মেকানিজম সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই তাদের ।
বিশ্বের নামিদামি মানুষ এটি নিয়ে গবেষনা করেও ৭৫ বছর পর্যন্ত এর কোন সুরাহা করতে পারল না ।  তবে ধীরে ধীরে মানুষ অনেক কিছু উদ্ধার করতে সম্ভব হয় , প্রযুক্তির কল্যানে বেড় করা হয়েছে এর বয়স , যন্ত্রটি প্রায় ১৫০ খ্রিষ্টপূর্ব  তৈরী করা হয়েছিল মানে ২১০০ বছর এর ও আগে , এবং জাহাজটি প্রায় ৬০ খ্রীষ্টপূর্ব থেকে পানীর নীচে রয়েছে , যন্ত্রটিকে গ্রীক সভ্যতার একটি অংশ ধরা হয় ,এর উদ্ভাবক রোডস দ্বীপের বাসিন্দা ছিলেন ।  ১৯৭০ সালের দিকে বিজ্ঞানীরা এই যন্ত্র পুনরায় তৈরীর স্বীদ্ধান্ত নেন ।  সকল টুকরার এক্সরে ইমেজিং এর মাধ্যমে একটী নকশা দাড় করান ।  সকলের কাছেই পরিষ্কার হয়ে যায় এই যন্ত্রের কাজ , দেখা গেল এই যন্ত্রটি দিয়ে তখন আবিষ্কার হওয়া  ৫ টি গ্রহের গতিবিধি একদম সূক্ষ ভাবে হিসাব করা যেত । 
হঠাৎ করেই আলোচনার ঝড় তুলে দিলেন  বিজ্ঞানী দানিকেন , তিনি ঘোষনা দিলেন এই যন্ত্র পৃথিবীর কারো তৈরী নয়।  তিনি কারন হিসেবে জোড়ালো একটী যুক্তি দেখান , যা আসলেই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তখন , তিনি দেখান এই যন্ত্র ব্যাবহারকারীরা জানত সূর্যকে কেন্দ্র করে অন্যান্য গ্রহ গুলো ঘুড়ছে , কিন্তু এই যন্ত্র তৈরীর ও দেড় হাজার বছর পড়ে মানুষ  কোপার্নিকাস মডেল থেকে সৌরজগত সম্পর্কে ধারনা পায়।
আবার এটি ৯৫% কপার এবং ৫% টিনের মিশ্রণে তৈরি। কপার আর টিনের মিশ্রণে একটি যন্ত্রাংশ তৈরি হবে যা সর্বপ্রকার মরিচা-রোধক হবে এই ধারনাই আমরা পেয়েছি কয়েকশ বছর পূর্বে,  
আবার শুরু হয় গবেষনা ২০০৬ সালে সিটি স্ক্যান করে জানা যায় যন্ত্রের গায়ে একটি ম্যানুয়াল রয়েছে , গ্রীক ভাষাবিদ রা মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ২০০০ বছরের প্রাচীন এই ম্যানুয়াল এর পাঠোদ্ধার করতে সক্ষম হয় । 

ম্যানুয়াল দেখে যন্ত্রটির ডিজাইন করা হয় ও পরে প্রকৌশলীরা এটির একটী রেপ্লিকা তৈরীতে নেমে পড়ে । রেপ্লিকা তৈরীর দায়িত্বে ছিল মাসিমো মোগি ভিসেন্টি, ২০০৭ সালে রেপ্লিকা তৈরীর কাজ সমাপ্ত করা হয় ।  ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থেকে এই যন্ত্রটি দিয়ে কি কি করা যেত তার তালিকা । শুধু কি গ্রহের গতিবিধী ? না । এটি দিয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডার, মিশরীয় ক্যালেন্ডার, সথিক এবং কালিপিয় চক্র নির্ভুল ভাবে নির্ণয় করা যায় । তৈরীকাল হতে ৫০০ বছর পর্যন্ত এটি দিয়ে একদম নির্ভুল ভাবে গ্রহের গতিবিধি জানা গিয়েছে ,যোগ বিয়োগ ,গুন , ভাগ ও করা যায় এটি দিয়ে । 
এর গবেষনা শেষ হয়নি এখনো , সম্পূর্ন রহস্য এখনো এর উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি । ব্রিটিশ ইতিহাসবেত্তা ডেরেক প্রাইস এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন কম্পিউটার হিসেবে দাবি করেন। এই যন্ত্রের অনুসন্ধানকে ইতিহাসের সেরা অনুসন্ধানের মধ্যে অন্যতম ধরা হয়। বলার কোন অপেক্ষা রাখে না অসম্ভব মেধাবী কোন ব্যাক্তি দ্বারা এটি তৈরী , এটি প্রমান হয় যে সে সময়ের গবেষক দল তাদের সময় বিবেচনায় জ্ঞানের দিক দিয়ে কয়েকশ বছর বেশী এগিয়েছিল  । আবার  বিজ্ঞানী দানিকেন এর পৃথিবীর বাইড়ের প্রানীর  কথাও কিন্তু ফেলনা নয় ।  আজকের পোস্টটি শেষ করব গুগলের দেয়া Antikythera mechanism এর ডুডল এর ছবিটি দেখে । 
পৃথিবীর প্রথম প্রোগ্রামার সম্পর্কে জানতে হলে ঘুরে আসুন এই লিংক থেকে
র‍্যানসামওয়ারে আক্রান্ত একটি কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোন অন করতে গিয়ে দেখলেন সেখানে লক করা। যে ফাইলেই প্রবেশ করুন না কেন সব লকড। শুধু একটা ই-মেইল দেয়া এবং হ্যাকারের দাবিকৃত অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা। একমাত্র অর্থ পরিশোধ করেই আপনার সব ডাটা বের করার উপায়। ভয়ঙ্কর এ ভাইরাসের নাম র‌্যানসমওয়্যার। এই র‌্যানসমওয়্যার ই-মেইল ও মেসেজের মাধ্যমে কম্পিউটারে ছড়িয়ে দিয়েছেন হ্যাকাররা। গতকাল রাত থেকে এ ভাইরাসটি দিয়ে গ্রাহকদের বিপদে ফেলছেন তারা।

এসব হ্যাক করা তথ্যের মধ্যে থাকে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন ছবি, ফাইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি। শুধু এখানেই শেষ নয়, তারপর এসব তথ্য ফেরত পাওয়ার জন্য ব্যক্তির কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ চাওয়া হতো। অর্থ না দিলে সে তথ্যগুলো নষ্ট করে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
কিন্তু র‍্যানসামওয়ারের নতুন আরেকটি ভার্শন এনর‍্যামসম ভাইরাস আক্রান্ত করলে মুক্তিপণ হিসেবে "ন্যুড" ছবি দাবী করছে। তাও সাধারন কোন ন্যুড নয়, নিজের ই ন্যুড হওয়া লাগবে। যাচাই শেষেই আনলক হয়ে যাবে কম্পিউটারটি। 
অন্যদিকে অর্থ / ন্যুড দিয়েও স্বস্তি পাবে না কেউ। কারন ন্যুডকে পরবর্তীতে আর্থিক ফায়দা নেওয়ার জন্যই ব্যাবহার করা হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। 

যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এনর‍্যামসম :

মূলত ই-মেইল ও মেসেজ পাঠানো স্প্যাম লিংকের মাধ্যমে ঢুকে পড়ছে। এছাড়া জনপ্রিয় অ্যাপের ছদ্মাবরণেও ডিভাইসে ঢুকে পড়ছে এটি। শুধু তাই নয়, অন্যান্য ভাইরাসের মতো ফিশিং বা স্প্যাম ই-মেইলসহ ভুয়া সফটওয়্যার আপডেটের প্রলোভনেও ছাড়াচ্ছে ক্ষতিকর এ ভাইরাস।

ঝুঁকি এড়ানোর উপায় :
# কম্পিউটারে জরুরি ডাটার জন্য কম্পিউটারে এবং অনলাইনে এবং সিডি/ডিভিডি সবসময় ব্যাকআপ রাখুন।
# স্প্যাম বা সন্দেহজনক মেইল থেকে কখনোই কোনো অ্যাটাসমেন্ট ডাউনলোড করবেন না।
# স্প্যাম বা সন্দেহজনক মেইল থেকে কখনোই কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না।
# ম্যাসেঞ্জারে অপরিচিত/সন্দেহজনক কোনো ফাইল আসলে ডাউনলোড দেবেন না।
# অপরিচিত অ্যাপস ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকুন।
# যাদের ইতোমধ্যেই আক্রমণের শিকার হয়ে গেছে তারা ‘ক্রিপ্টোড্রপ’ টুলসটি ব্যবহার করুন।
# সফটওয়্যার হালনাগাদ রাখুন।
# সবসময় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করবেন না। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য লিমিটেড অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন।
# মাইক্রোসফট অফিসে ম্যাক্রো বন্ধ রাখুন।
# ব্রাউজার থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং আউটডেটেড প্লাগইন মুছে ফেলুন এবং অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করুন ।
# ক্যাফে বা অন্যের ডিভাইসে ই-মেইলে লগইন করবেন না।
# স্প্যাম মেইল খুলবেন না।

সূত্রঃ News.FileHippo.Com
WinRar  দিয়ে আপনার ফাইল কম্প্রেস করছেন কিন্তু তেমন কাজ হচ্ছে না , সর্বোচ্চ ২-৩ মেগাবাইট সাইজ কমে যাচ্ছে , কিন্তু গেম বা ইন্টারনেটে পাওয়া সফটওয়্যর গুলোর কম্প্রেস ফাইল এর আকারথাকে মূল ফাইলের ও অর্ধেক ,
ছোট একটি কাজ না করার জন্য আপনার উইন র‍্যার সফটওয়্যার টি  তার সামর্থ্য দেখায় না , প্রথমেই আপনি যে ফোল্ডারটি কম্প্রেস করতে চান তাতে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করুন Add to archive এ ক্লিক করুন। নীচের ছবির মত একটি উইন্ডো আসবে । 
  Archive name and parameters নামে একটি উইন্ডো আসবে। এবার Archive format থেকে RAR সিলেক্ট করুন এবং Compression method থেকে Best সিলেক্ট করে OK দিন। তাহলে আপনার ফাইলটি সর্বোচ্চ কম্প্রেস হবে। 
 মাঝে মাঝে মাউসে প্রব্লেম দেখা দিলে কম্পিউটার ব্যাবহারকারীরা  বিভিন্ন সমস্যার সম্মুক্ষীন হন , খুব দরকারী কাজ আজকের মধ্যেই শেষ করা লাগবে কিন্তু  আশে পাশে কম্পিউটারের দোকান নেই 
এমন অবস্থায় মাত্র ২ মিনিটে কারো কাছ থেকে মাউস নিয়ে কিছু অপশন পরিবর্তন করলেই বাকি সময় আপনি মাউস পয়েন্টারের কাজ করতে পারবেন কিবোর্ড দিয়ে , 

কন্ট্রোল প্যানেলে যান  এবার এখানে Ease of Access Center-এ ক্লিক করুন , যদি এই নামে কোন  আইকন না পান তাহলে, প্রথমে উপরে View by থেকে Classic view নির্বাচন করে দিন। তাহলেই  Ease of Access Center  আইকনটি দেখতে পাবেন । Make the mouse easier to use-এ ক্লিক করুন। নতুন উইন্ডো এলে এখানে Turn on Mouse Keys-এ টিক চিহ্ন দিন। Setup Mouse Keys-এ ক্লিক করে Pointer speed-এর Top Speed থেকে Low এবং High-এর মাঝে প্রয়োজনমতো কারসর নড়ানোর সুবিধাজনক অবস্থান নির্ধারণ করে দিন। এবার কাজ শেষে Apply-এ ক্লিক করে ওকে করে বের হয়ে আসুন।   কাজ হয়ে গেছে  .
num Lock অন করা আছে কিনা চেক করে নিন , তার কারন হল আপনার কীবোর্ডের নাম লকের বাটন দিয়েই মাউজ পয়েন্টার  এর কাজ করা যাবে , কীবোর্ডে  তীর চিহ্ন দিয়ে দেয়া আছে  কোন নাম্বার কিসের কাজ করে ,  লেফট ক্লিক এর জন্য ৫  এবং ডাবল ক্লিকের জন্য +  বাটনটি চাপুন , রাইট ক্লিকের জন্য ডান পাশের CTRL বাটন ব্যাবহার করুন  । ব্যাবহারে অসুবিধা হলে  Ease of Access Center এ গিয়ে স্পিড  নির্ধারন করে আসুন ।
উইন্ডোজ ৮ এবং ১০ এ  একই নিয়মে আপনি এটি সেট করতে পারবেন । 
এখন যদি আপনার এই কাজে মাউজ ২ মিনিটের জন্যও আনার ব্যবস্থা না থাকে তখন কি করবেন?  উপরের পদ্ধতি ভুলে যান , কীবোর্ডের বাম পাশের  Alt এবং Shift  কী একত্রে চাপুন একটি পপ আপ উইন্ডো আসবে , ওকে দিন , কাজ হয়ে যাবে 
তবে এক্সপি ইউজাররা একটু ব্যাতিক্রম ভাবে কাজ করতে হবে  , কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে ওপরে ডানে View by থেকে Classic view নির্বাচন করে দিন। তালিকায় থাকা Accessibility Options-এ ক্লিক করে পরের উইন্ডো থেকে মাউস ট্যাবে ক্লিক করুন। এখানে Use mouse keys-এ টিক চিহ্ন দিয়ে Apply -এ ক্লিক করে আবার ওকে করে বের হয়ে আসুন।

কী বোর্ডের ছোট খাট কয়েকটি বাটন কাজ করছে না , সমস্যা নেই , স্টার্ট মেনু থেকে run অপশনে যান , অথবা উইন্ডোজ + R  চাপুন  run  আসবে 
সেখানে লেখুন OSK  এন্টার দিন তাহলেই একটি কিবোর্ড আপনার স্ক্রীনে চলে আসবে 
OSK এর পুর্নরুপ হচ্ছে  On Screen Keyboard 

কম্পিউটার চালাচ্ছেন ,  স্পেস বাচানোর জন্য একটি ফোল্ডার ডিলেট করলেন , কিন্তু ডিলেট এর পড়ই মনে পড়ল এটি তে আপনার  অনেক পুরোনো ছবি ছিল , এখন কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন 
অবশ্যই রিকভারি টুল ইউজ করে । কিন্তু এই রিকভারি টুল কিভাবে কাজ করে? কখনো কি ভেবে দেখেছেন , আসুন সংক্ষেপে বুঝে আসি ব্যাপারটি ।

প্রথমেই  কিছু বাড়তি  কথা বলব , শুধু মাত্র বুঝার জন্য , আপনার একটি বুক শেলফ ও একটি টেবিল আছে , পড়ার টেবিলের উপর  গল্পের বই রাখার জন্য খেলেন এক ঝাড়ি , তারাতারি বাসার লোকদের বুঝানোর জন্য  নিজের শখের গল্পের বইটা নিয়ে বুকশেলফে ঢুকালেন , বাসার লোক দেখছে এখানে কোন বই নেই , কিছুদিন পড় আপনাকে কেও একজন ইয়া বড় এক ডিকশনারী গিফট করল । সেটি রাখতে গিয়ে বিপদে পড়লেন জায়গা নেই , তাই  নতুন বই রাখার জন্য  গল্পের বইটি বন্ধুকে দিয়ে দিলেন ফলে চিরতরে বইটি আপনার ঘরছাড়া হল ।

এবার আসুন কম্পিউটারের ঘটনায় যায় , আপনার ড্রাইভে অনেক ফোল্ডার আছে , ৫০ জিবি ড্রাইভে ৪৮ জিবি ফাইল ডকুমেনট রয়েছে , আপনি যখন এটি প্রথম ডিলেট করবেন সেটি তখন কম্পিউটারের রিসাইকেল বিন এ জমা হবে,  আপনি চাইলে রিস্টোর দিয়ে রিসাইকেল বিন থেকে যে কোন সময় আবার ফেরত আনতে পারবেন। কখনো কি খেয়াল করেছেন  কোন ফোল্ডারকে ডিলেট করে রিসাইকেল বিন এ  পাঠালেও ড্রাইভে কোন জায়গা খালি হয় না , ব্যাপারটা অনেকটা আপনার অই বই সরানোর মত ,  আপনি চাইলেই যেমন সেলফ থেকে বই নিতে পারবেন ঠিক তেমনি রিসাইকেল বিন ও এই রকম  ফাইল ট্রান্সফার হয় , ফলে ১ জিবির ফাইল ডিলেট করলেও ড্রাউভে কোন খালি দেখায় না , খালি করতে হলে প্রয়োজন রিসাইকেল বিন থেকে খালি করে দেয়া , এই খালি করা কিন্তু অনেকটা আপনার বই এর লুকানোর মত , আপনার বাবা মা মনে করে কোন বই নেই অথচ বই অন্য যায়গায় অক্ষত রয়েছে , ঠিক তেমনি আপনি রিসাইকেল বিন থেকে ডিলেট করলেও আপনি দেখেন এ ডিলেট হয়েছে , এমনকি ড্রাইভে খালি স্পেস হয়েছে , কিন্তু আসলে ফাইলটি সম্পুর্ন রুপে সরে যায়নি , ড্রাইভের অই স্পেস টুকু খালি হিসেবে মার্ক করা হয়েছে । তখন আসলে বুঝানো হয় যে আপনি চাইলে এই জায়গায় নতুন কিছু রাখতে পারবেন ।
 ফাইলটি যেখানে ছিল সেই স্পেসটি খালি হয়ে যায় কিন্তু ফাইলটি কিন্তু এখনো কোথাও সরে যায়নি বা ফাইলটির অস্তিত্ব শেষ হয়ে যায়নি। শুধুমাত্র পয়েন্টারগুলো চলে গিয়েছে। পয়েন্টার হল কম্পিউটারের আরেক ধরনের ডেটা যেগুলো আপনার মেমরিতে থাকা ফাইলগুলোর ডিরেক্টোরি পয়েন্ট করে বা নির্দেশ করে। 
এতটুকু জিনিস পর্যন্ত  রিকভারী সফটওয়্যার গুলা কাজ করে।  অর্থাৎ কোন কিছু সম্পুর্ন ডিলেট হয়ে গেলেও রিকভারি সফটওয়্যার গুলো কাজ করতে পারে , 
এবার গল্পের শেষ পার্ট , ঘড়ে নতুন বইকে জায়গা দিয়ে গিয়ে পুরাতন বই এর বিসর্জন  , অর্থাৎ আপনার ফ্রী হওয়া ড্রাইভে আপনি নতুন কিছু জিনিশ ঢুকালেন ফলে আপনার পুরাতন জিনিসের ফেরত পাওয়ার হার কমতে থাকবে ,  অর্থাৎ ডিলেট করার পর বা ডিলেট হয়ে যাওয়ার পর যতক্ষন পর্যন্ত না অই ড্রাইভে নতুন কিছু দেয়া হচ্ছে ততক্ষন পর্যন্ত ডাটা রিকভারি করা যায়।

হয়ত একটু জটিল করে বলে ফেলেছি , না বুঝলে  আরো একবার পড়ুন বুঝে যাবেন।
গুগলের সিইওর বেতন বলে কথা!
গত বছরে কত টাকা বেতন পেয়েছেন তিনি? সবার জানার আগ্রহ থাকতেই পারে। তাঁর বেতনটা আকর্ষণীয় ও চোখ-ধাঁধানো, তাতে সন্দেহ নেই।গত বছরে তিনি পেয়েছেন ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। তবে পুরোটা কিন্তু নগদ অর্থে বেতন হিসেবে পাননি পিচাই। এর মধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বেতন আর বাকিটা শেয়ার হিসেবে তাঁর নামে জমা হয়েছে।এদিক থেকে হিসাব করলে বেতন হিসেবে ২০১৫ সালের চেয়ে তাঁর বেতন কিছুটা কমেছে। ২০১৫ সালে ৬ লাখ ৫২ হাজার মার্কিন ডলার বেতন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৫ সালে স্টক অব শেয়ার হিসেবে তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৯৯ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৬ সালে এসে বেড়ে ১৯৮ দশমিক ৭ মার্কিন ডলার ছুঁয়েছে।

২০১৫ সালের আগস্ট মাসে গুগলের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর পিচাই।
গত দেড় বছরের মধ্যে গুগলের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব সফলভাবে সামলানোর পাশাপাশি নতুন বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন পিচাই। তাঁর নতুন পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেছে গুগলের বেতন-সংক্রান্ত কমিটি। গুগলের প্রধান নির্বাহী ল্যারি পেজ অ্যালফাবেট নামের প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসার নতুন লক্ষ্য নির্ধারণে কাজ করেছেন। শুধু গুগলের দায়িত্ব রয়েছে পিচাইয়ের কাঁধে। তবে ইউটিউবের বিজ্ঞাপনী আয় বাড়ানো, ক্লাউড কম্পিউটিং, মুঠোফোনসহ নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন পিচাই। এসব উদ্যোগ থেকে আয় করতে শুরু করেছে গুগল। তারই প্রতিফলন ঘটেছে সুন্দর পিচাইয়ের বেতনে।
গত বছরে গুগলের হার্ডওয়্যার ও ক্লাউড ব্যবসা ৫০ শতাংশ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
মন এক দৈত্য, যাকে ছাড়া আজকের দিনে আমরা অচল
সময় যত এগোবে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির স্নেহচ্ছায়া আরওই বেশি-বেশি করে এসে পড়বে বলেই আশা। প্রযুক্তিকে উপকারী, আরও উপকারী করে তোলার এই কাজ বিশ্বজুড়ে হাতে গোনা যে তুখোড় মস্তিষ্করা চলেছেন অনলসভাবে, গর্বের সঙ্গে বলা যায়, তাদের অনেকেই ভারতীয়। বিশ্বাস না হলে একটা লিস্টি দেখি? ইন্দ্রা নুয়ি (PEPSICO), সত্য নাদেল্লা (MICROSOFT), রাজীব সুরি (NOKIA), শান্তনু নারায়ণ (ADOBE), রাকেশ কপূর(RECKITT BENCKISER), অজয়পালসিংহ বঙ্গা (MASTERCARD), সঞ্জয় মেহরোত্র (SANDISK),ফ্রান্সিসকো ডিসুজা (COGNIZANT)। এই মানুষগুলোর প্রত্যেকে ওই কোম্পানিগুলোর হর্তাকর্তা,এবং প্রত্যেকেই ভারতীয়। এই তালিকায় এক্কেবারে টাটকা সংযোজন চেন্নাইয়ের PICHAI SUNDARARAJAN।

সুন্দর সম্পর্কে সুন্দর তথ্য

১. সুন্দরের সিইও হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে গুগল চলে এসেছে ‘ALPHABET’ নামের বড়দা কোম্পানি ছাতার তলায়। গুগলের প্রতিষ্ঠাতা LARRY PAGE ও SERGEY BRIN থাকছেন অ্যালফাবেটের দায়িত্বে। অধীনস্থ গুগলের দায়িত্বে রইলেন সুন্দর।
২. তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে সুন্দরের জন্ম ১৯৭২ সালে। ভীষণ সাধারণ পরিবারের সন্তান সুন্দর ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী। সাতের দশকের ভারতের সেই সাধারণ পরিবারের অসাধারণ ছেলেটির আনুমানিক সম্পত্তির পরিমাণ আজ প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার!
৩. সহকর্মীদের কাছ থেকে জানা যায়, গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেই নাকি পায়চারি করতে থাকেন সুন্দর। ঘরভর্তি লোক,মিটিং চলছে, এদিকে চিন্তিত মুখে ঘরের মধ্যেই পায়চারি করে বেড়াচ্ছেন সুন্দর, এই দৃশ্য আচমকা দেখতে পেলে তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।
৪. সুন্দরের বাবা ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনবছর টাকা জমিয়ে তবে তিনি কিনতে পেরেছিলেন একটি স্কুটার। অর্থকষ্ট থাকলেও সুন্দর ও তাঁর ভাইয়ের লেখাপড়ার ব্যবস্থায় কিন্তু কোনওদিন কোনও অভাব হতে দেননি সিনিয়র সুন্দররাজন।
৫. বাবার কাছেই ছোটবেলায় সুন্দর শুনতেন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কী-কী কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।সেই শুনতে-শুনতেই নাকি প্রযুক্তির প্রতি সুন্দরের আগ্রহের জন্ম।
৬. নিজের হাইস্কুলে সুন্দর ছিলেন ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন। সেখান থেকে KHARAGPUR IIT-তে বিটেক, তারপর STANFORD UNIVERSITY থেকে এমএস, এবং অবশেষে Wharton School of the University of Pennsylvania থেকে এমবিএ।
৭. আইআইটি থেকে যখন স্ট্যানফোর্ডে যাচ্ছেন সুন্দর, তাঁর বাবাকে নিজের সেভিংস থেকে যে পরিমাণ টাকা বের করতে হয়েছিল, তা ছিল তাঁর পুরো একবছরের রোজগারের সমতুল্য।
৮. গুগলে যোগ দেওয়ার আগে সুন্দর ছিলেন McKinsey & Company-র ম্যানেজমেন্ট কনসালটিংয়ে।
৯. পিচাই গুগ্লে কাজ করছেন সেই ২০০৪ সালে। গোড়ায় তাঁর দায়িত্বে ছিল GOOGLE CHROME ও ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট। সেইসঙ্গে GOOGLE DRIVE-এর সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে GMAIL ও GOOGLE MAP দেখভালের দায়িত্বও বর্তায় তাঁর উপরেই।
১০. ২০১১-য় TWITTER সুন্দরকে মোটা টাকা অফার করে, google ছেড়ে টুইটারে যোগ দেওয়ার জন্য। সুন্দর সেই আহ্বানে সাড়া দেননি। গুগলও সেসময় তাঁর পারিশ্রমিক বাড়িয়ে তাঁকে আটকে রাখতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি। বড়-বড় কোম্পানি যাকে নিয়ে এমন কামড়াকামড়ি করে মরে, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫০ মিলিয়ন ডলার হবে না তো কার হবে?